ডেনিম ফেব্রিকের ইতিহাস | Denim Fabrics - Textile Lab | Textile Learning Blog
ডেনিম কি ??

ডেনিম এক প্রকার ফ্যাব্রিক যা ১০০ % কটন টুইল বা স্টেচ টুইল দ্বারা তৈরি। ডেনিম হচ্ছে কটনের মজবুত গঠনের ওয়ার্প ফেস্ড টুইল টেক্সটাইল যেখানে ওয়েফ্ট সুতা দুই বা ততোধিক ওয়ার্প সুতার নিচ দিয়ে যায়। এ কারণে ডেনিম এর সারফেস এ একটি কালার প্রাধান্য পায়। এটি একটি ওভেন ফ্যাব্রিক যার টানায় থাকে নীল কটন আর পড়েনে থাকে সাদা কটন, এটি ইন্ডিগো ডেনিম নামে পরিচিত। তবে ডেনিমে বিভিন্ন রং এর ওয়ার্প ও ওয়েফ্ট সুতা থাকতে পারে। সারা বিশ্ব জুড়ে জিন্স, জ্যাকেটস, শার্ট, ব্যাগ, পার্স সহ অনেক অ্যাকসেসোরিস নানা বয়সের নারী-পুরুষের জন্য তৈরিতে ডেনিম ফ্যাব্রিক ব্যবহার করা হয়


ডেনিম এর উৎপত্তি ও ইতিহাস :

আধুনিক সভ্যতার অন্যতম উপাদান হিসেবে আমাদের পোশাক-পরিচ্ছদ সবসময়ই অনন্যতার দাবিদার। কারণ মানুষ আদিম বৈশিষ্ট্য থেকে সভ্য হলো মূলত তখনই, যখন থেকে তারা পোশাক পরিধান করা শুরু করলো। আমাদের মৌলিক চাহিদার মধ্যে দ্বিতীয়টি আমাদের পরিধেয় বস্ত্র। কাজেই পোশাকের অবদানকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।

আধুনিক সভ্য সমাজে আবার এই পোশাকই মানুষের রুচিবোধ এবং আভিজাত্যের নির্দেশক হিসেবেও চিহ্নিত হয়ে থাকে। বর্তমান সমাজের মানুষ খুবই ফ্যাশন সচেতন হয়ে উঠেছে। আর এই ফ্যাশন গার্মেন্টেসের যুগে ডেনিম বা জিন্স তৈরি করে নিয়েছে বিশাল এক জায়গা। কিন্তু ডেনিম ফেব্রিকেরও আছে জন্ম ইতিহাস। এখন যেমন জিন্স অভিজাত মানুষের কিংবা তরুণ সমাজের কাছে একটি অন্যরকম পছন্দের জায়গা তৈরি করে নিয়েছে, এর জন্ম কিন্তু সে উদ্দেশ্যেও হয়নি। এই লেখায় আমরা ডেনিম বা জিন্স-এর উৎপত্তির ইতিহাস নিয়েই জানবো।


হাল আমলের ফ্যাশনে জিন্সের গুরুত্ব অপরিহার্য :


১৯৬৯ সালে 'আমেরিকান ফেব্রিকস' নামক ম্যাগাজিনের একজন রিপোর্টার লিখেছিলেন যে, "পৃথিবীর আদি ফেব্রিক বা কাপড়সমূহের মধ্যে ডেনিম অন্যতম হলেও এর যৌবন চিরন্তন।"  কথাটি মোটেও মিথ্যা কিছু নয়। কারণ সেই সতেরো শতক থেকে এখন পর্যন্ত ডেনিমের চাহিদা না কমে বরং বেড়েছে দিন কে দিন।


এখনকার অধিকাংশ মানুষের কাছেই ডেনিমের গুরুত্ব, বিশেষ করে জিন্স প্যান্টের গুরুত্ব অধিক। হাল আমলের ফ্যাশন জিন্স ব্যতিরেকে কল্পনা করাটা একটু কঠিন। বিশেষ করে ছাত্র ও তরুণ সমাজ তাদের প্রতিদিনকার জীবনযাত্রা পাঁচ পকেট ও তামার রিভেট বিশিষ্ট জিন্সের প্যান্ট ছাড়া কল্পনা করতে পারে না। গতানুগতিক জিন্সের গঠনের বাইরেও আধুনিক জিন্স গার্মেন্টসে এসেছে নানান বৈচিত্র্য। এর মধ্যে আছে যেমন স্লিটিং ইফেক্ট, ফেডিং ইফেক্ট কিংবা লেজার এনগ্রেভিং ইত্যাদি।


জিন্সে ফেডিং ও স্লিটিং ইফেক্টঃ  


প্রথমেই ডেনিম এবং জিন্সের ভেতরকার পার্থক্যটুকু পরিষ্কার করা দরকার। ডেনিম বলতে মূলত বোঝানো হয় গার্মেন্টস তৈরির মূল ফেব্রিককে, যা থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শার্ট-প্যান্ট বা পরিধানযোগ্য অন্যান্য পোশাক তৈরি করা হয়। সচরাচর আমরা যে বয়ন করা শার্ট-প্যান্ট পরে থাকি, ডেনিমের গঠন এর থেকে খানিকটা আলাদা। এই গঠনকে বলা হয় টুইল বুনন (Twill Weave)। এই ধরনের বুননের ফলে ফেব্রিকে কোনাকুনি লাইনের মতো দেখা যায়। ডেনিম ফেব্রিক তৈরি করা হয় মূলত ১০০% কটন থেকে। এরপর সেটি চলে যায় গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে এবং এই ফেব্রিক থেকে তৈরি করা হয় শার্ট, প্যান্ট, জ্যাকেট, স্যুট, ব্যাগ ইত্যাদি। একই ধরনের গঠন দেখা যায় গাবার্ডিনের ক্ষেত্রে। যদিও এদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য আছে।
ডেনিম ফেব্রিকে টুইল বুননের ফলে গঠিত কোনাকুনি লাইন / ডায়াগোনাল 


ফেব্রিক বা কাপড় বুননের ক্ষেত্রে সাধারণত দু ধরনের সুতা ব্যবহার করা হয়। কাপড়ের দৈর্ঘ্য বরাবর সুতাকে বলা হয় ওয়ার্প সুতা এবং আড়াআড়ি সুতাকে বলা হয় ওয়েফট সুতা। ওয়েফট সুতা ওয়ার্প সুতার উপর নিচ দিয়ে প্রবেশ করানোর ফলেই কাপড় তৈরি হয়। সাধারণ ফেব্রিকের ক্ষেত্রে একটা বাদে একটা ওয়ার্প সুতার উপর দিয়ে বা নিচ দিয়ে প্রথম ওয়েফট সুতা প্রবেশ করানো হয়। পরবর্তী ওয়েফট সুতা প্রবেশ করানো হয় বিপরীতভাবে। কিন্তু ডেনিমের ক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক ওয়ার্প সুতার উপর দিয়ে বা নিচ দিয়ে একটি ওয়েফট সুতা প্রবেশ করানো হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, ডেনিমের ক্ষেত্রে কেবল ওয়ার্প সুতাই রঙিন সুতা, কিন্তু ওয়েফট সুতা সাদাই থাকে। এই কারণেই ডেনিমের সামনের অংশ রঙিন হলেও পেছনের অংশ সাদা।

সার্জ ফেব্রিক এবং সার্জ ডি নিমস ফেব্রিকঃ

অন্যদিকে সচরাচর জিন্স বলতে মূলত ডেনিম থেকে তৈরী ট্রাউজার বা প্যান্টকেই বোঝানো হয়। অর্থাৎ বলতে গেলে ডেনিম যদি হয় আলু, তাহলে জিন্স হবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই! ডেনিম হচ্ছে কাঁচামাল, জিন্স হচ্ছে এর পরিণত অবস্থা। সেই সুবাদে বলা যায়, সকল জিন্সই ডেনিম, কিন্তু সকল ডেনিম জিন্স নয়। কারণ আগেই বলা হয়েছে যে, ডেনিম ফেব্রিক দিয়ে কেবল প্যান্টই তৈরি করা হয় না।

ডেনিমের উৎপত্তি বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়ে গবেষকরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত প্রকাশ করেছেন। ডেনিম বা জিন্স আজকের সভ্যতা ও ফ্যাশনে অন্যরকম আবেদন তৈরি করতে পারলেও এর উৎপত্তিকে বলা হয়ে থাকে ১৭শ শতকের দুর্ঘটিত আবিষ্কার। সেসময়ে ইতালিতে বিশেষ একপ্রকার শক্তিশালী ফেব্রিক উৎপাদিত হতো। এই বিশেষ ফেব্রিকের নাম ছিল সার্জ। তো সেই সময়ে দক্ষিণ ফ্রান্সের নিমস (Nimes) অঞ্চলের অধিবাসীরা এই ইতালিয়ান ফেব্রিকের অনুকরণে ফেব্রিক তৈরি করতে গিয়েই তৈরি হয়।

ডেনিমের প্রকারভেদ
1.Dry Denim

2.Selvage Denim

3.Stretch Denim

4.Poly Denim

5.Ramie Cotton Denim


বিশ্বের সেরা ১০টি ডেনিম ব্রান্ড :

1. Levi Strauss and Co

2. Wrangler

3. Diesel

4. Pepe Jeans London

5. True Religion

6. 7 For all Mankind

7. Guess

8. Calvin Klein

9. Lucky

10. G-Star Raw


বাংলাদেশ ডেনিম সংক্ষিপ্ত বিবরণ :

বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন কনজিউসারদের দ্বারা ব্যাপকভাবে ডেনিমের ব্যাপক ব্যবহার বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে শিল্প বর্তমানে ২৫টি ডিনিম উৎপাদনকারী কারখানা রয়েছে যার মোট বিনিয়োগ ৮৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।  ডেনিম মাসিক প্রযোজনা প্রতি মাসে ৩০ মিলিয়ন গজ এবং প্রায় ৬০ মিলিয়ন গজ চাহিদা। ভারসাম্য চাহিদা পূরণের জন্য চীন, ভারত ও পাকিস্তানের মতো দেশ থেকে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৩৫ মিলিয়ন গজ আমদানি করা হয় যা গড় মূল্য ৭৫মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিটিএমএর তথ্য অনুযায়ী ডেনিম সাব সেক্টরের মোট বিনিয়োগ ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।


তাছাড়া ২০২০সালের মধ্যে ড্যানিমের জন্য বিশ্বব্যাপী বাজারে ৬৪.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পৌঁছানোর পূর্বাভাস রয়েছে। ২০১৩-২০১৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে ডিনিম পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ এবং প্রতিদিন দিনে বেড়েছে। সমগ্র বিশ্বের মোট ডেনিম উৎপাদন আনুমানিক ৭ বিলিয়ন মিটার এবং এশিয়াতে মোট ৭০% ফ্যাব্রিক উৎপাদিত হয়।





বাংলাদেশের ভবিষ্যতের ডিনিম শিল্পের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আন্তর্জাতিক বাজারে ডেনিম ফ্যাব্রিকের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে দেখা করার জন্য স্থানীয় মিলগুলি বিশেষ করে বয়ন ও প্রক্রিয়াকরণের দিকে নজর দিচ্ছে৷

দেশের অন্যতম ১০ টি ডেনিম তৈরি কারখানা :

1.Envoy Textiles Ltd.

2.Pacific Jeans Ltd.

3.Ha-Meem Denim Mills Ltd.

4.Baximco Denim Limited.

4.NASSA-Taipei Denim Limited.

5.Partex Denim Ltd.

6.Chittagong Denim Mills Ltd.

7.Shasha Denims Ltd

8.Mahmud Denim ltd.

9.yogotex Fabrics co ltd.



জিন্স ও ডেনিম এর মধ্যে  সম্পর্ক :

বিষয়টি একটু ভাবনার যখন আপনি কাউকে প্রশ্ন করবেন, জিন্স এবং ডেনিম এর মধ্যে পার্থক্য কর। বিশ্বের অনেক স্থানেই জিন্স বলতেই ডেনিম কে বুঝায়। ডেনিম এবং জিন্স দুটোই ভিন্ন জিনিস কিন্তু তারা একে অপরের সাথে জড়িত।


জিন্সঃ
জিন্স এক ধরনের গার্মেন্টস যা আজকাল সব বয়সের মানুষই ব্যবহার করতে পারেন। উনিশ শতকের শেষভাগে জিন্স গার্মেন্টস পরিচিত লাভ করে কপার রিভেটেড কটন ট্রাউজার এর মাধ্যমে। পরিধানে আরামদায়কতার জন্য বর্তমান সময়ে এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। জিন্স ছাড়া বর্তমান তরুণ সমাজ তো কল্পনার বাইরে। নীল রং এর জিন্স, জিন্স এর একটি স্বঃতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বহন করলেও বর্তমানে বিভিন্ন কালারের জিন্স পাওয়া যায়। এই গার্মেন্টস তৈরীতে ডেনিম ফ্যাব্রিক ব্যবহার করা হয়। জিন্স বলতে বিশেষভাবে ডেনিম প্যান্টকে বোঝানো হয়।

জিন্স ব্যবহারের অন্যতম উপকার হলঃ

১. এটি আয়রণিং ছাড়াই পরিধান করা সম্ভব।

২. অন্যান্য গার্মেন্টস এর ন্যায় এটি বারবার ওয়াশিং করার প্রয়োজন নেই।

৩. এটি এক ধরণের ফ্যাশন্যাবল গার্মেন্টস।

৪. ব্যবহারে দীর্ঘ সময় স্থায়ী হয়।


ডেনিমঃ
ডেনিম এক প্রকার ফ্যাব্রিক যা ১০০ % কটন টুইল বা স্টেচ টুইল দ্বারা তৈরি। ডেনিম হচ্ছে কটনের মজবুত গঠনের ওয়ার্প ফেস্ড টুইল টেক্সটাইল যেখানে ওয়েফ্ট সুতা দুই বা ততোধিক ওয়ার্প সুতার নিচ দিয়ে যায়। এ কারণে ডেনিম এর সারফেস এ একটি কালার প্রাধান্য পায়। এটি একটি ওভেন ফ্যাব্রিক যার টানায় থাকে নীল কটন আর পড়েনে থাকে সাদা কটন, এটি ইন্ডিগো ডেনিম নামে পরিচিত। তবে ডেনিমে বিভিন্ন রং এর ওয়ার্প ও ওয়েফ্ট সুতা থাকতে পারে। সারা বিশ্ব জুড়ে জিন্স, জ্যাকেটস, শার্ট, ব্যাগ, পার্স সহ অনেক অ্যাকসেসোরিস নানা বয়সের নারী-পুরুষের জন্য তৈরিতে ডেনিম ফ্যাব্রিক ব্যবহার করা হয়।


ডেনিম নিয়ে কিছু কথাঃ

১, যদিও ডেনিম তৈরি হয় কটন দিয়ে তবুও হেম্প ডেনিমও মাঝে মাঝে পাওয়া যায়।

২. ডেনিম ফ্যাব্রিকে সহজে ক্রিজ পড়ে না।

৩. এটি খুব শক্তিশালী এবং স্থায়ী।

৪. পরিধানের সময় শক্ত সুরক্ষা দেয়।

৫. ডেনিম ডাই এ ভ্যাট ও সালফার ডাই ব্যবহার করা হয় বলে পরিধানে গরম লাগে না । তবে রি-এ্যাকটিভ ডাই ব্যবহার করলে ব্যাপারটা ভিন্ন।

৬. প্রধানত আট প্রকার ডেনিম ফ্যাব্রিক পাওয়া যায়। যেমনঃ কালারড ডেনিম, বাবল গাম ডেনিম, মার্বেল ডেনিম, রিভার্স ডেনিম ইত্যাদি।


ডেনিম ব্যবহার :

আধুনিক বিশ্বের ডেনিম তৈরি পোশাক  খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । আমরা জানি যে এখনকার দিনগুলিতে পুরুষদের ট্রাউজার,শার্ট, মহিলাদের পোষাকে প্রতিদিন দিনে ডেনিম ব্যবহার করা হয়।  গ্রাহকদের মধ্যে এটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। ডেনিম পণ্য এখন প্রায় সব ধরনের মানুষের মধ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন ডেনিম তাই বহুমুখী। মহিলাদের হ্যান্ডব্যাগ, স্কুল এবং কলেজ ব্যাগ, এবং ভ্রমণ ব্যাগ তৈরীর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ডেনিম । সুতরাং ডেনিম এর পরিসীমা দিন দিন বাড়ছে। সুতরাং ডেনিম জ্যাকেট, প্যান্ট, শর্টস, শার্ট, স্কার্ট, সুট, টুপি, বেল্ট, বুট এবং অ্যাথলেটিক জুতা, ডেনিম ওয়াইন ব্যাগ, ডেনিম পেন্সিল কেস, ডেনিম অ্যাপারন, ডেনিম গিলস, ডেনিম রেজাল্ট, ল্যাম্পশেডস, গৃহসজ্জার সামগ্রী ইত্যাদি। এছাড়াও সানগ্লাস ফ্রেম করতে ব্যবহৃত হয়।

ডেনিম এর সাধারণ ব্যবহার ছাড়া, কিছু খুব আকর্ষণীয় পণ্য আছে। আপনি ডেনিম এর বহুমুখী ব্যবহারে অবাক হতে পারেন।
যেমন :
ডেনিম হেলমেট
ডেনিম শাড়ি
সানগ্লাস ফ্রেম
কুকুর এবং পোষা প্রাণী জন্য ডেনিম কোট
ডেনিম আন্ডারওয়্যার, বিকিনিস এবং ব্রাস।
ডেনিম মুখ মাস্ক।
ডেনিম মোবাইল কেস।


Zobayer Hossain Noyon
Textile blogger
Sheikh kamal Textile Engineering College,Jhenaidah

Reference :
Wikipedia
Chim.bris.com
Textilelearner.com
Fibreproperties.blogspot.com.

ডেনিম ফেব্রিকের ইতিহাস | Denim Fabrics

ডেনিম কি ??

ডেনিম এক প্রকার ফ্যাব্রিক যা ১০০ % কটন টুইল বা স্টেচ টুইল দ্বারা তৈরি। ডেনিম হচ্ছে কটনের মজবুত গঠনের ওয়ার্প ফেস্ড টুইল টেক্সটাইল যেখানে ওয়েফ্ট সুতা দুই বা ততোধিক ওয়ার্প সুতার নিচ দিয়ে যায়। এ কারণে ডেনিম এর সারফেস এ একটি কালার প্রাধান্য পায়। এটি একটি ওভেন ফ্যাব্রিক যার টানায় থাকে নীল কটন আর পড়েনে থাকে সাদা কটন, এটি ইন্ডিগো ডেনিম নামে পরিচিত। তবে ডেনিমে বিভিন্ন রং এর ওয়ার্প ও ওয়েফ্ট সুতা থাকতে পারে। সারা বিশ্ব জুড়ে জিন্স, জ্যাকেটস, শার্ট, ব্যাগ, পার্স সহ অনেক অ্যাকসেসোরিস নানা বয়সের নারী-পুরুষের জন্য তৈরিতে ডেনিম ফ্যাব্রিক ব্যবহার করা হয়


ডেনিম এর উৎপত্তি ও ইতিহাস :

আধুনিক সভ্যতার অন্যতম উপাদান হিসেবে আমাদের পোশাক-পরিচ্ছদ সবসময়ই অনন্যতার দাবিদার। কারণ মানুষ আদিম বৈশিষ্ট্য থেকে সভ্য হলো মূলত তখনই, যখন থেকে তারা পোশাক পরিধান করা শুরু করলো। আমাদের মৌলিক চাহিদার মধ্যে দ্বিতীয়টি আমাদের পরিধেয় বস্ত্র। কাজেই পোশাকের অবদানকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।

আধুনিক সভ্য সমাজে আবার এই পোশাকই মানুষের রুচিবোধ এবং আভিজাত্যের নির্দেশক হিসেবেও চিহ্নিত হয়ে থাকে। বর্তমান সমাজের মানুষ খুবই ফ্যাশন সচেতন হয়ে উঠেছে। আর এই ফ্যাশন গার্মেন্টেসের যুগে ডেনিম বা জিন্স তৈরি করে নিয়েছে বিশাল এক জায়গা। কিন্তু ডেনিম ফেব্রিকেরও আছে জন্ম ইতিহাস। এখন যেমন জিন্স অভিজাত মানুষের কিংবা তরুণ সমাজের কাছে একটি অন্যরকম পছন্দের জায়গা তৈরি করে নিয়েছে, এর জন্ম কিন্তু সে উদ্দেশ্যেও হয়নি। এই লেখায় আমরা ডেনিম বা জিন্স-এর উৎপত্তির ইতিহাস নিয়েই জানবো।


হাল আমলের ফ্যাশনে জিন্সের গুরুত্ব অপরিহার্য :


১৯৬৯ সালে 'আমেরিকান ফেব্রিকস' নামক ম্যাগাজিনের একজন রিপোর্টার লিখেছিলেন যে, "পৃথিবীর আদি ফেব্রিক বা কাপড়সমূহের মধ্যে ডেনিম অন্যতম হলেও এর যৌবন চিরন্তন।"  কথাটি মোটেও মিথ্যা কিছু নয়। কারণ সেই সতেরো শতক থেকে এখন পর্যন্ত ডেনিমের চাহিদা না কমে বরং বেড়েছে দিন কে দিন।


এখনকার অধিকাংশ মানুষের কাছেই ডেনিমের গুরুত্ব, বিশেষ করে জিন্স প্যান্টের গুরুত্ব অধিক। হাল আমলের ফ্যাশন জিন্স ব্যতিরেকে কল্পনা করাটা একটু কঠিন। বিশেষ করে ছাত্র ও তরুণ সমাজ তাদের প্রতিদিনকার জীবনযাত্রা পাঁচ পকেট ও তামার রিভেট বিশিষ্ট জিন্সের প্যান্ট ছাড়া কল্পনা করতে পারে না। গতানুগতিক জিন্সের গঠনের বাইরেও আধুনিক জিন্স গার্মেন্টসে এসেছে নানান বৈচিত্র্য। এর মধ্যে আছে যেমন স্লিটিং ইফেক্ট, ফেডিং ইফেক্ট কিংবা লেজার এনগ্রেভিং ইত্যাদি।


জিন্সে ফেডিং ও স্লিটিং ইফেক্টঃ  


প্রথমেই ডেনিম এবং জিন্সের ভেতরকার পার্থক্যটুকু পরিষ্কার করা দরকার। ডেনিম বলতে মূলত বোঝানো হয় গার্মেন্টস তৈরির মূল ফেব্রিককে, যা থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শার্ট-প্যান্ট বা পরিধানযোগ্য অন্যান্য পোশাক তৈরি করা হয়। সচরাচর আমরা যে বয়ন করা শার্ট-প্যান্ট পরে থাকি, ডেনিমের গঠন এর থেকে খানিকটা আলাদা। এই গঠনকে বলা হয় টুইল বুনন (Twill Weave)। এই ধরনের বুননের ফলে ফেব্রিকে কোনাকুনি লাইনের মতো দেখা যায়। ডেনিম ফেব্রিক তৈরি করা হয় মূলত ১০০% কটন থেকে। এরপর সেটি চলে যায় গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে এবং এই ফেব্রিক থেকে তৈরি করা হয় শার্ট, প্যান্ট, জ্যাকেট, স্যুট, ব্যাগ ইত্যাদি। একই ধরনের গঠন দেখা যায় গাবার্ডিনের ক্ষেত্রে। যদিও এদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য আছে।
ডেনিম ফেব্রিকে টুইল বুননের ফলে গঠিত কোনাকুনি লাইন / ডায়াগোনাল 


ফেব্রিক বা কাপড় বুননের ক্ষেত্রে সাধারণত দু ধরনের সুতা ব্যবহার করা হয়। কাপড়ের দৈর্ঘ্য বরাবর সুতাকে বলা হয় ওয়ার্প সুতা এবং আড়াআড়ি সুতাকে বলা হয় ওয়েফট সুতা। ওয়েফট সুতা ওয়ার্প সুতার উপর নিচ দিয়ে প্রবেশ করানোর ফলেই কাপড় তৈরি হয়। সাধারণ ফেব্রিকের ক্ষেত্রে একটা বাদে একটা ওয়ার্প সুতার উপর দিয়ে বা নিচ দিয়ে প্রথম ওয়েফট সুতা প্রবেশ করানো হয়। পরবর্তী ওয়েফট সুতা প্রবেশ করানো হয় বিপরীতভাবে। কিন্তু ডেনিমের ক্ষেত্রে দুই বা ততোধিক ওয়ার্প সুতার উপর দিয়ে বা নিচ দিয়ে একটি ওয়েফট সুতা প্রবেশ করানো হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, ডেনিমের ক্ষেত্রে কেবল ওয়ার্প সুতাই রঙিন সুতা, কিন্তু ওয়েফট সুতা সাদাই থাকে। এই কারণেই ডেনিমের সামনের অংশ রঙিন হলেও পেছনের অংশ সাদা।

সার্জ ফেব্রিক এবং সার্জ ডি নিমস ফেব্রিকঃ

অন্যদিকে সচরাচর জিন্স বলতে মূলত ডেনিম থেকে তৈরী ট্রাউজার বা প্যান্টকেই বোঝানো হয়। অর্থাৎ বলতে গেলে ডেনিম যদি হয় আলু, তাহলে জিন্স হবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই! ডেনিম হচ্ছে কাঁচামাল, জিন্স হচ্ছে এর পরিণত অবস্থা। সেই সুবাদে বলা যায়, সকল জিন্সই ডেনিম, কিন্তু সকল ডেনিম জিন্স নয়। কারণ আগেই বলা হয়েছে যে, ডেনিম ফেব্রিক দিয়ে কেবল প্যান্টই তৈরি করা হয় না।

ডেনিমের উৎপত্তি বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়ে গবেষকরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত প্রকাশ করেছেন। ডেনিম বা জিন্স আজকের সভ্যতা ও ফ্যাশনে অন্যরকম আবেদন তৈরি করতে পারলেও এর উৎপত্তিকে বলা হয়ে থাকে ১৭শ শতকের দুর্ঘটিত আবিষ্কার। সেসময়ে ইতালিতে বিশেষ একপ্রকার শক্তিশালী ফেব্রিক উৎপাদিত হতো। এই বিশেষ ফেব্রিকের নাম ছিল সার্জ। তো সেই সময়ে দক্ষিণ ফ্রান্সের নিমস (Nimes) অঞ্চলের অধিবাসীরা এই ইতালিয়ান ফেব্রিকের অনুকরণে ফেব্রিক তৈরি করতে গিয়েই তৈরি হয়।

ডেনিমের প্রকারভেদ
1.Dry Denim

2.Selvage Denim

3.Stretch Denim

4.Poly Denim

5.Ramie Cotton Denim


বিশ্বের সেরা ১০টি ডেনিম ব্রান্ড :

1. Levi Strauss and Co

2. Wrangler

3. Diesel

4. Pepe Jeans London

5. True Religion

6. 7 For all Mankind

7. Guess

8. Calvin Klein

9. Lucky

10. G-Star Raw


বাংলাদেশ ডেনিম সংক্ষিপ্ত বিবরণ :

বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন কনজিউসারদের দ্বারা ব্যাপকভাবে ডেনিমের ব্যাপক ব্যবহার বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে শিল্প বর্তমানে ২৫টি ডিনিম উৎপাদনকারী কারখানা রয়েছে যার মোট বিনিয়োগ ৮৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।  ডেনিম মাসিক প্রযোজনা প্রতি মাসে ৩০ মিলিয়ন গজ এবং প্রায় ৬০ মিলিয়ন গজ চাহিদা। ভারসাম্য চাহিদা পূরণের জন্য চীন, ভারত ও পাকিস্তানের মতো দেশ থেকে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৩৫ মিলিয়ন গজ আমদানি করা হয় যা গড় মূল্য ৭৫মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিটিএমএর তথ্য অনুযায়ী ডেনিম সাব সেক্টরের মোট বিনিয়োগ ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।


তাছাড়া ২০২০সালের মধ্যে ড্যানিমের জন্য বিশ্বব্যাপী বাজারে ৬৪.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পৌঁছানোর পূর্বাভাস রয়েছে। ২০১৩-২০১৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে ডিনিম পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ এবং প্রতিদিন দিনে বেড়েছে। সমগ্র বিশ্বের মোট ডেনিম উৎপাদন আনুমানিক ৭ বিলিয়ন মিটার এবং এশিয়াতে মোট ৭০% ফ্যাব্রিক উৎপাদিত হয়।





বাংলাদেশের ভবিষ্যতের ডিনিম শিল্পের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আন্তর্জাতিক বাজারে ডেনিম ফ্যাব্রিকের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে দেখা করার জন্য স্থানীয় মিলগুলি বিশেষ করে বয়ন ও প্রক্রিয়াকরণের দিকে নজর দিচ্ছে৷

দেশের অন্যতম ১০ টি ডেনিম তৈরি কারখানা :

1.Envoy Textiles Ltd.

2.Pacific Jeans Ltd.

3.Ha-Meem Denim Mills Ltd.

4.Baximco Denim Limited.

4.NASSA-Taipei Denim Limited.

5.Partex Denim Ltd.

6.Chittagong Denim Mills Ltd.

7.Shasha Denims Ltd

8.Mahmud Denim ltd.

9.yogotex Fabrics co ltd.



জিন্স ও ডেনিম এর মধ্যে  সম্পর্ক :

বিষয়টি একটু ভাবনার যখন আপনি কাউকে প্রশ্ন করবেন, জিন্স এবং ডেনিম এর মধ্যে পার্থক্য কর। বিশ্বের অনেক স্থানেই জিন্স বলতেই ডেনিম কে বুঝায়। ডেনিম এবং জিন্স দুটোই ভিন্ন জিনিস কিন্তু তারা একে অপরের সাথে জড়িত।


জিন্সঃ
জিন্স এক ধরনের গার্মেন্টস যা আজকাল সব বয়সের মানুষই ব্যবহার করতে পারেন। উনিশ শতকের শেষভাগে জিন্স গার্মেন্টস পরিচিত লাভ করে কপার রিভেটেড কটন ট্রাউজার এর মাধ্যমে। পরিধানে আরামদায়কতার জন্য বর্তমান সময়ে এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। জিন্স ছাড়া বর্তমান তরুণ সমাজ তো কল্পনার বাইরে। নীল রং এর জিন্স, জিন্স এর একটি স্বঃতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বহন করলেও বর্তমানে বিভিন্ন কালারের জিন্স পাওয়া যায়। এই গার্মেন্টস তৈরীতে ডেনিম ফ্যাব্রিক ব্যবহার করা হয়। জিন্স বলতে বিশেষভাবে ডেনিম প্যান্টকে বোঝানো হয়।

জিন্স ব্যবহারের অন্যতম উপকার হলঃ

১. এটি আয়রণিং ছাড়াই পরিধান করা সম্ভব।

২. অন্যান্য গার্মেন্টস এর ন্যায় এটি বারবার ওয়াশিং করার প্রয়োজন নেই।

৩. এটি এক ধরণের ফ্যাশন্যাবল গার্মেন্টস।

৪. ব্যবহারে দীর্ঘ সময় স্থায়ী হয়।


ডেনিমঃ
ডেনিম এক প্রকার ফ্যাব্রিক যা ১০০ % কটন টুইল বা স্টেচ টুইল দ্বারা তৈরি। ডেনিম হচ্ছে কটনের মজবুত গঠনের ওয়ার্প ফেস্ড টুইল টেক্সটাইল যেখানে ওয়েফ্ট সুতা দুই বা ততোধিক ওয়ার্প সুতার নিচ দিয়ে যায়। এ কারণে ডেনিম এর সারফেস এ একটি কালার প্রাধান্য পায়। এটি একটি ওভেন ফ্যাব্রিক যার টানায় থাকে নীল কটন আর পড়েনে থাকে সাদা কটন, এটি ইন্ডিগো ডেনিম নামে পরিচিত। তবে ডেনিমে বিভিন্ন রং এর ওয়ার্প ও ওয়েফ্ট সুতা থাকতে পারে। সারা বিশ্ব জুড়ে জিন্স, জ্যাকেটস, শার্ট, ব্যাগ, পার্স সহ অনেক অ্যাকসেসোরিস নানা বয়সের নারী-পুরুষের জন্য তৈরিতে ডেনিম ফ্যাব্রিক ব্যবহার করা হয়।


ডেনিম নিয়ে কিছু কথাঃ

১, যদিও ডেনিম তৈরি হয় কটন দিয়ে তবুও হেম্প ডেনিমও মাঝে মাঝে পাওয়া যায়।

২. ডেনিম ফ্যাব্রিকে সহজে ক্রিজ পড়ে না।

৩. এটি খুব শক্তিশালী এবং স্থায়ী।

৪. পরিধানের সময় শক্ত সুরক্ষা দেয়।

৫. ডেনিম ডাই এ ভ্যাট ও সালফার ডাই ব্যবহার করা হয় বলে পরিধানে গরম লাগে না । তবে রি-এ্যাকটিভ ডাই ব্যবহার করলে ব্যাপারটা ভিন্ন।

৬. প্রধানত আট প্রকার ডেনিম ফ্যাব্রিক পাওয়া যায়। যেমনঃ কালারড ডেনিম, বাবল গাম ডেনিম, মার্বেল ডেনিম, রিভার্স ডেনিম ইত্যাদি।


ডেনিম ব্যবহার :

আধুনিক বিশ্বের ডেনিম তৈরি পোশাক  খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । আমরা জানি যে এখনকার দিনগুলিতে পুরুষদের ট্রাউজার,শার্ট, মহিলাদের পোষাকে প্রতিদিন দিনে ডেনিম ব্যবহার করা হয়।  গ্রাহকদের মধ্যে এটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। ডেনিম পণ্য এখন প্রায় সব ধরনের মানুষের মধ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন ডেনিম তাই বহুমুখী। মহিলাদের হ্যান্ডব্যাগ, স্কুল এবং কলেজ ব্যাগ, এবং ভ্রমণ ব্যাগ তৈরীর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ডেনিম । সুতরাং ডেনিম এর পরিসীমা দিন দিন বাড়ছে। সুতরাং ডেনিম জ্যাকেট, প্যান্ট, শর্টস, শার্ট, স্কার্ট, সুট, টুপি, বেল্ট, বুট এবং অ্যাথলেটিক জুতা, ডেনিম ওয়াইন ব্যাগ, ডেনিম পেন্সিল কেস, ডেনিম অ্যাপারন, ডেনিম গিলস, ডেনিম রেজাল্ট, ল্যাম্পশেডস, গৃহসজ্জার সামগ্রী ইত্যাদি। এছাড়াও সানগ্লাস ফ্রেম করতে ব্যবহৃত হয়।

ডেনিম এর সাধারণ ব্যবহার ছাড়া, কিছু খুব আকর্ষণীয় পণ্য আছে। আপনি ডেনিম এর বহুমুখী ব্যবহারে অবাক হতে পারেন।
যেমন :
ডেনিম হেলমেট
ডেনিম শাড়ি
সানগ্লাস ফ্রেম
কুকুর এবং পোষা প্রাণী জন্য ডেনিম কোট
ডেনিম আন্ডারওয়্যার, বিকিনিস এবং ব্রাস।
ডেনিম মুখ মাস্ক।
ডেনিম মোবাইল কেস।


Zobayer Hossain Noyon
Textile blogger
Sheikh kamal Textile Engineering College,Jhenaidah

Reference :
Wikipedia
Chim.bris.com
Textilelearner.com
Fibreproperties.blogspot.com.