Textile Lab | Textile Learning Blog
জার্মানিতে টেক্সটাইল নিয়ে উচ্চশিক্ষা, যা যা করতে হবে

টেক্সটাইল বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানিপ্রধান একটি খাত। হাজারো শিক্ষার্থী প্রতিবছরের স্নাতক শেষে এ খাতে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান। ক্যারিয়ার গঠনের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও আবদান রাখেন তাঁরা। এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী বিদেশে পাড়ি দেন। ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আছে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ। বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় জার্মানি টেক্সটাইল উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে। টেক্সটাইল বিষয়ে জার্মানিতে সরকারি বা বেসরকারিভাবে গবেষণাও হয়। তাই পড়াশোনা শেষে জার্মানিতে এ খাতে কাজ করার ও ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। এখন জার্মানিতে টেক্সটাইল উচ্চশিক্ষা বিষয়ে খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া যাক।

টেক্সটাইলে মাস্টার্স: 

টিউশন ফি ছাড়া আন্তর্জাতিক মানের পড়াশোনার জন্য চাইলে আপনিও জার্মানিকে বেছে নিতে পারেন। অন্য বিষয়ের মতো জার্মানিতে টেক্সটাইলে মাস্টার্স করার করার মতো খুব বেশি অপশন না থাকলেও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব কম খরচে মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ আছে।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য জার্মানির বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ইউনিএসিস্ট নামের একটা প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নেয়, যারা আবেদনপ্রক্রিয়ার সব বিষয় যাচাই-বাছাই করে বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা সম্পর্কে প্রতিবেদনে দাখিল করে। বিশ্ববিদ্যালয় সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের অফার লেটার দেয়।

1.Hochschule Niederrhein University of applied science: 

এটি জার্মানির মুনশেনগ্লাডবাগ শহরে অবস্থিত।
বিষয়: ম্যানেজমেন্ট অব টেক্সটাইল ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজি।

আইইএলটিএসে ৭/এমওআই (MOI-মিডিয়াম অব ইন্সট্র্যাকশন) প্রয়োজন। যাঁরা ৪ বছরমেয়াদি স্নাতকে ইংরেজি মাধ্যমে পড়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে এমওআই দিলেও চলবে।

এগুলোর সঙ্গে মোটিভিশন লেটার, সিভি, রিকমেন্ডেশন লেটার, চাকরির অভিজ্ঞতা (অপশনাল)।

প্রতি সেমিস্টারের শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ৫টি বিষয় দেওয়া থাকবে, সেখান থেকে যেকোনো একটি বিষয়ে ২ পৃষ্ঠার Research and development (R&D) লিখতে হবে। এখানে মূলত R&D আর ভালো ফলাফলের ওপর অফার লেটার পাওয়া নির্ভর করে।

আবেদনের সময়: 
এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সামার সেমিস্টারের জন্য ১৫ জুন এবং উইন্টার সেমিস্টারের জন্য ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউনিএসিস্টের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।



2.Hof University of applied science: 

যাঁরা টেক্সটাইলে স্নাতক করেছেন এবং জার্মান এআই সার্টিফিকেট আছে, তাঁরা এখানে আবেদন করতে পারবেন।
বিষয়: Sustainable Textile (M.Eng)।

ভাষা: আইইএলটিএসে ৬ দশমিক ৫/এমওআই/টোয়েফেল-৯০ (মিনিমাম) প্রয়োজন।

এগুলোর সঙ্গে মোটিভেশন লেটার, চাকরির অভিজ্ঞতা, রিকমেন্ডেশন লেটার, সিভি।
আবেদনের সময়: Sustainable Textile (M.Eng) এ সামার সেমিস্টারে ভর্তির জন্য ৫-৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যায়। উইন্টার সেমিস্টারের জন্য ১৫ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ইউনিএসিস্টের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।



3.TU Dresden: 

জার্মান ভাষা বি টু (B2) পর্যন্ত করা থাকলে এখানে আবেদন করা যাবে। এ বিষয়ে স্কলারশিপ পাওয়া যায়।
বিষয়: Textile Machinery and High Performance Material Technology।

মোটিভেশন লেটার, চাকরি অভিজ্ঞতা, রিকমেন্ডেশন লেটার ও সিভি লাগবে।

প্রতিবছর ৩১ মে পর্যন্ত ইউনিএসিস্টের মাধ্যমে এই বিষয়ে আবেদন করা যাবে।

আবেদনের সময়: স্কলারশিপের জন্য প্রতিবছর ১ অক্টোবর থেকে আবেদন করা যাবে।

4.RWTH Aachen University: 
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইলে টিউশন ফি লাগবে। প্রতি সেমিস্টার ৫ হাজার ৫০০ ইউরো লাগবে টিউশন ফি। তবে যাঁরা রিসার্চ করতে চান, তাঁদের জন্য ভালো অপশন আছে এখানে। প্রতিবছর ২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ১ মার্চ পর্যন্ত সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করা যাবে। মোটিভেশন লেটার, রিকমেন্ডেশন লেটার ও সিভি লাগবে।

5.Martin Luther university:

 টেক্সটাইলে পড়াশোনা করে যাঁরা পলিমার নিয়ে আরও পড়তে চান, তাঁরা এখানে আবেদন করতে পারেন।


বিষয়: Polymer Material Science.

ভাষা: আইইএলটিএসে ৬/টোয়েফেল ২১৩ (কম্পিউটার বেজড, ৫৫০ পেপার বেজড) প্রয়োজন।


মোটিভেশন লেটার, রিকমেন্ডেশন লেটার ও সিভি লাগবে।

প্রতিবছর ১৫ জুন পর্যন্ত উইন্টার সেমিস্টারের জন্য ইউনিএসিস্টের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।

6.Kaiserslautern University of applied Science, Pirmasens.

বিষয়: Refinement of Polymer and composite products
ভাষা: আইইএলটিএসে ৬ দশমিক ৫/জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ বিওয়ান (German language B1)

মোটিভেশন লেটার, রিকমেন্ডেশন লেটার ও সিভিও লাগবে।

আবেদনের সময়: সামার সেমিস্টারে জন্য ১৫ নভেম্বর এবং উইন্টার সেমিস্টারের জন্য ৩১ মে থেকে ইউনিএসিস্টের (Uniassist) মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।

7.Hochschule Fresenius University of applied science, Berlin.
বিষয়: Master’s of Arts in Sustainability in Fashion and creative Industries.

ভাষা: আইইএলটিএসে ৬ দশমিক ৫

যাঁরা ফ্যাশন নিয়ে পড়তে চান, তাঁরা এখানে আবেদন করতে পারেন। আইইএলটিএসে ৬ দশমিক ৫ এর সঙ্গে মোটিভেশন লেটার, রিকমেন্ডেশন লেটার, সিভি থাকলে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের সময়: প্রতিবছর ৩১ মে থেকে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আবেদন করা যাবে।

এর বাইরে আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য আবেদন করা যায়।



লেখক: 
শরীয়ত উল্লাহ টিটু, শিক্ষার্থী, ম্যানেজমেন্ট অব টেক্সটাইল ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজি, Hochschule Niederrhein University of Applied Science, জার্মানি

জার্মানিতে টেক্সটাইল হায়ার স্টাডির জন্য কিছু ইউনিভার্সিটি | Textile Higher study in Germany

Lycra  % বের করার নিয়ম -
মনেকরি,
মেশিন ডায়া  = ৩০
মেশিন গেজ  =২৪
সুতার কাউন্ট=৩৪/s + ২০ D.ly
মেশিন S.L    =২.৮৫
Lycra C.M   =২০৫ cm

তাহলে, প্রথমে নিডেল সংখ্যা বের করতে হবে
নিডেল= মেশিন ডায়াxমেশিন গেজx৩.১৪১৬
 =৩০x২৪x৩.১৪১৬
= ২২৬৪ pcs


*** Lycra ডেনিয়ার থেকে কাউন্ট করতে হবে
Lyc কাউন্ট= ৫৩১৫÷ ডেনিয়ার
                  =৫৩১৫÷২০
                  =২৬৫ /s

সুতা
 = কাপড়ের S.L÷ সুতার কাউন্ট
 =২.৮৫÷৩৪
 =০.০৮৩৮২

Lycra S.L
=Lycra সে.মি. x ১০÷ নিডেল সংখ্যা
 =২০৫ x ১০ ÷ ২২৬৪
 =০.৯০৫৪
আবার,
Lycra 
      = ০.৯০৫৪÷Lycra কাউন্ট
      =০.৯০৫৪÷২৬৫
      =০.০০৩৪
মোট     =  সুতা+Lycra 
             =০.০৮৩৮২+০.০০৩৪
            =০.০৮৭২২
এখন,
Lycra %
   =lycra x১০০ ÷মোট যোগফল
   =০.০০৩৪ x ১০০÷ ০.০৮৭২২
   =৩.৮৭% 

সুতরাং এই কাপড়ে ৩.৮৭% Lycra আছে। এবং ৯৬.১৩% সুতা আছে।

ইলাস্টিক ফেব্রিকের Lycra % বের করার নিয়ম

Colour fastness to washing


Colour fastness to washing হল কোন ফেব্রিক ডিটারজেন্ট দিয়ে ওয়াস করার পর তার কালার আগের মত থাকে কিনা বা Actual Fabric এর সাথে Tested Fabric এর কতটুকু কালার চেন্জ হয়েছে এবং মাল্টিফাইবারে কতটুকু কালার স্টেইনিং হয়েছে তা নির্নয় করার একটি পদ্ধতি।

 


এই টেস্ট করার ২ টি Method আছে।

1.ISO(International Organisation For Standardization)

2.AATCC(Americal Association Of Textile Chemists and Colorist)

 
এখন কোন Method এ টেস্ট টি করতে হবে সেটা সম্পর্ন ভাবে Buyer Requirement এর উপর নির্ভর করবে।

বুঝার সুবিধার জন্য আমরা ISO 105 CO6 method অনুযায়ী কিভাবে colorfastness to washing test করা যায় তা দেখব। এই মেথডে A2S(40°C) B2S(50°C) C2s(60°C) টেস্ট গুলো উক্ত তাপমাত্রায় করতে হয়।

✅প্রথমে Colour Fastness To Washing এর জন্য আমাদের Solution তৈরি করে নিতে হবে।
1L পানিতে নিচের কেমিক্যাল দিয়ে সলিউশন তৈরি করতে হবে।

ECE Detergent      - 4g/L
Sodium Perborate-1g/L


✅ তারপর আমাদের নিতে হবে Specimen/Sample Fabric।টেস্টের জন্য, স্ট্যান্ডার্ড সাইজ হচ্ছে(10*4 cm) fabric+multi fiber(10*4 cm) নিতে হবে।

( Multi fiber হচ্ছে যে ফাইবার অনেক গুলো ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হয়।এই ফাইবারের মধ্যে ৬ ধরনের ফাইবার থাকে Acetate, Cotton, Nylon, Polyster, Acrylic, Wool)
তারপর Fabric+Multi Fiber একসাথে পিন আপ করে নিতে হবে।

✅এখন মাল্টিফাইবার সহ ফেব্রিককে Gyro Wash machine এর যে পট রয়েছে সেখানে রাখতে হবে। তারপর পটগুলার মধ্যে Stell Ball+ Solution দিতে হবে।

A2S:10 steel Ball+150 ml solution(ECE+Na Perborate)+Tem(40°c)+Time 30 min.

B2S:25 Steel Ball+150 ml solution(ECE+Na perborate)+Tem(50°c)+Time 30 min

C2S:25 Stell Ball +50 ml solution+Tem(60°c)+Time 30 min.
Buyer Requirement অনুয়ায়ী আমাদের A2S/B2S/C2S সিলেক্ট করতে হবে।

✅পটগুলাকে Gyro Wash Machine এ Setup করতে হবে এবং Gyro wash Machine এ প্রোগ্রাম সেট করে দিতে হবে(A2S/B2S/C2S).

✅ তারপর নির্দিষ্ট সময় শেষে প্রসেসিং করা ফেব্রিকে Gyro washing machine থেকে বের করে ভালো ভাবে Wash করতে হবে এবং তারপর ড্রাই মেশিনে(60°c এর নিচে) শুকিয়ে নেয়া হয় যাতে কোণ পানি না থাকে।



✅এরপর দেখা হয় যে ফেব্রিক থেকে মাল্টি ফাইবারে কালার কতটুকু ব্লিড করেছে তা গ্রেডিং স্কেলের মাধ্যমে গ্রেডিং করা হয়। তারপর  Data Sheet-এর মধ্যে ফেব্রিকের পূর্বের অবস্থা ও এখনকার অবস্থা নমুনা sheet এ লাগাতে হয় এবং মাল্টি ফাইবার ও Sheet-এ লাগাতে হয়।

 

    









Colour fastness to washing | কালার ফাস্টনেস টু ওয়াস

PHTest


PH কি?


PH  হলো কোনো জলীয় দ্রবণ অম্লীয় , ক্ষারীয় নাকি নিরপেক্ষ তা জানার একক। সহজে বুঝতে গেলে pH হলো কোনো দ্রবণে উপস্থিত হাইড্রোজেন আয়নের (H+) ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদম।



💠ফেব্রিকের Ph টেস্ট কেন করতে হয়?


এসিড/ক্ষার শরীরের জন্য খুব মারাত্মক উপাদান।ফেব্রিকে এর মাত্রা ঠিক আছে কি না তা জানতে এই টেস্ট করা হয়। এসিডিক/ক্ষারীয়  মিডিয়া চামড়ার ক্ষতি করে আর ফেব্রিক এর সেড নষ্ট করে তাই ফেব্রিক নিউট্রাল কিনা তার জন্য pH চেক করতে হয়।

সারা বিশ্বে দিন দিন ডেনিম এবং টুইল, নীট ফ্রেবিকের তৈরি পোশাকের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলছে।। এই সমস্ত গার্মেন্টস ওয়াশিং / ডাইং করার সময় বিভিন্ন প্রসেসে আমরা ব্লিচিং,কাস্টিক, সোডা সহ বিভিন্ন ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহার করে থাকি।।
এই প্রসেস গুলার শেষে যদি ph সঠিক ভাবে কন্ট্রোল না করা হয় তাহলে উক্ত কাপড় পরিধানের ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে।কাপড় ঘামে ভিজে শরীরে চুলকানি সহ স্কিনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা  হতে পারে।। তাই ওয়াশিং অথবা ডাইং এর সর্বশেষ প্রসেসে ph কন্ট্রোল করা জরুরি।


এই টেস্ট করার ২ টি Method আছে।

1.ISO(International Organisation For Standardization)

2.AATCC(Americal Association Of Textile Chemists and Colorist)
এখন কোন Method এ টেস্ট টি করতে হবে সেটা সম্পর্ন ভাবে Buyer Requirement এর উপর নির্ভর করবে।

বুঝার সুবিধার জন্য আমরা ISO method কিভাবে ফেব্রিকের Ph টেস্ট করা যায় তা উপস্থাপন করা হল।

💠Sample preparation

✅প্রথমে আমাদের যে ফেব্রিকের Ph টেস্ট করতে হবে সেই ফেব্রিক থেকে (2.00 ± 0.05)gm ফেব্রিক কেটে নিতে হবে।পরে 2 gm ফেব্রিকটিকে কেটে ছোট ছোট টুকরা করে নিতে হবে এবং প্রত্যেক টুকরোর সাইজ হবে  (5mm*5mm).



✅একইভাবে আমাদের আরও ২ টা নমুনা পস্তুত করতে হবে।


💠Solution preparation

Solution তৈরির জন্য আমাদের KCl এর 0.1 mole Solution তৈরি করে নিতে হবে।
KCl এর আনবিক ভর=74.55gm/mole
তাহলে 1 mole KCL=74.55 gm
            0.1 mole KCL=7.455gm
সুতরাং 1 L পানিতে 7.45gm KCL নিয়ে আমাদের Solution তৈরি করে নিতে হবে।





Solution তৈরি করা হলে একটি কনিক্যাল ফ্লাস্কে

100 ml KCL Solution নিয়ে তাতে ফেব্রিকের টুকরোগুলা দিয়ে দিয়ে দিতে হবে।


✅এখন কনিক্যাল ফ্লাস্কটিকে Automatic shaker machine Adjust করে 60 rpm এ 2 hrs Shaking করতে হবে যাতে Solution এর সাথে ফেব্রিকের টুকরোগুলা ভালে ভাবে মিশে যায়।



✅Ph মিটার দিয়ে Ph মাপার আগে অবশ্যই মেশিনটি Calibration করে নিতে হবে।


✅তারপর কনিক্যাল ফ্লাস্ক থেকে একটি বিকারে সামান্য mixing Solution নিয়ে তার মধ্যে ph মিটারে Electrod টি ডুবাতে হবে এবং মিটারে স্কিনে কত Ph সেটা দেখা যাবে।এভাবে আর ২ টা কনিক্যাল ফ্লাস্কের Ph মাপতে হবে।পরে লাস্টে পাওয়া ২ টা Ph এর Average করলেই আমরা Actual Ph পেয়ে যাব।



Priyal Debnath  
Textile Engineer

ফেব্রিক pH টেস্ট প্রসেস এবং টেস্টিং প্রসিডিওর

মেইনটেন্যান্স কি? মেইন্টেন্যান্স কত প্রকার ও কি কি?  


মেইনটেন্যান্স কি ?

মেইনটেন্যান্স হল, দীর্ঘকাল ব্যবহারের ফলে মেশিন, ইকুইপমেন্ট বা সিস্টেমের ক্ষয়ের কারণে ফাংশন, ব্যবহার কাল ও  কার্যক্ষমতা হ্রাস পাওয়াকে প্রতিরোধ করতে চালানো পরীক্ষণ ও মেরামত কার্যক্রম। মেশিনে বিভিন্ন কারণে ক্ষয় হয়, যেমনঃ ঘর্ষণ, ক্যাভিটেশন, বাহ্যিক আঘাত, ইন্টারনাল ইমপ্যাক্ট, মেকানিক্যাল পার্ট (যেমনঃ নাট, বোলট, চেইন, বেল্ট) ঢিলা হয়ে যাওয়া, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্টারফিয়ারেন্স,  দূষণ ইত্যাদি।  বিভিন্ন উদ্দেশ্যে মেইনটেন্যান্স করা হয়।

১. মেশিন বা ইকুইপমেন্ট ব্যাবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ

২. পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ

৩. মেশিন বা ইকুইপমেন্টের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিতকরণ

৪. মেশিন বা ইকুইপমেন্টের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি

মেইনটেন্যান্স বিভিন্ন ধরনের হয়


(১) কারেক্টিভ মেইনটেন্যান্স

যখন কোন মেশিন বা ইকুইপমেন্ট নষ্ট হয়ে যায় বা কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তখন যেই মেইনটেন্যান্স করা হয় তাকে কারেক্টিভ মেইনটেন্যান্স বলে। সাধারণত যে সব যন্ত্রাংশ মাইন্টেন্যান্সে থাকলে প্রডাকশন হ্রাস পায় না বা প্ল্যান্ট এর অপারেশনে কোন বিঘ্ন ঘটে না বা রিপ্লেস করা ব্যয়বহুল নয় (রেগুলার মেইনটেন্যান্স ব্যয় রিপ্লেসের খরচের থেকে বেশি হয়, যেমনঃ বাল্ব), তাদের ক্ষেত্রে এই মাইন্টেন্যান্স ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের মাইন্টেন্যান্সে রিপেয়ার বা রিপ্লেস যে কোনটিই করা যেতে পারে।

উপকারিতাঃ

১. কম জনবল প্রয়োজন

২. স্বল্পমেয়াদি মেইনটেন্যান্স খরচ কমে

অপকারিতাঃ

১. শ্রমিক ও মেশিনের জন্য অসুরক্ষিত

২. মেশিনের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারযোগ্যতা হ্রাস পায়

৩. যে কোন সময়ে ফেইলিউরের সম্ভাবনা থাকে।




(২) পিরিওডিক মেইনটেন্যান্স/টাইম বেস্ড মেইনটেন্যান্স (টি বি এম)

প্রতিটি মেশিন, ডিভাইস বা ইকুইপমেনটের ১টি আনুমানিক ব্যবহার কাল থাকে। এটি এক্সপেরিমেন্ট, প্রোডাক্টের ইউসার ম্যানুয়াল, পূর্বে ব্যবহারের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়। এই ব্যবহার কালের ডাটার উপর ভিত্তি করে যেই মেইনটেন্যান্স করা হয় তাকে পিরিওডিক মেইনটেন্যান্স বলে। যেই সব যন্ত্রাংশ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে আনুমানিক ব্যবহার কাল ও প্রকৃত ব্যবহার কাল বেশ কাছাকাছি হয়। লুব্রিকেন্ট পরিবর্তন করা, ফিলার এলিমেন্ট পরিবর্তন করা, তাপমাত্রা ও প্রেশার গেজ চেক করা এগুলো পিরিওডিক মেইনটেন্যান্সের অন্তর্ভুক্ত।


(৩) প্রেডিক্টিভ মেইনটেন্যান্স

বর্তমানে, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে আমরা যে কোন মেশিনের বিভিন্ন প্যারামিটার (তাপমাত্রা, চাপ, ভাইব্রেশন, পাওয়ার কনসাম্পশন ইত্যাদি) গেজ এবং সেন্সরের সাহায্যে পরিমাপ করতে পারি। কোন ১টি প্যারামিটার  এর মান নির্দিষ্ট সীমার থেকে বেশি ফ্রাকচুয়েট করলে অনুমান করা হয় মেশিনে কোন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী মেইনটেন্যান্স করা হয়। এই ধরনের মেইনটেন্যান্সকে প্রেডিক্টিভ মেইনটেন্যান্স বলে।

পিরিওডিক মেইন্টেন্যান্সের সাথে প্রেডিক্টিভ মেইন্টেন্যান্সের পার্থক্য হল, পিরিওডিক মেইন্টেন্যান্সের ক্ষেত্রে রুটিন মেনে, নির্দিষ্ট সময় পর পর মেইনটেন্যান্স করা হয়, কিন্তু প্রেডিক্টিভ মেইন্টেন্যান্সের ক্ষেত্রে কোন মেজারেবল প্যারামিটার অ্যাবনরমাল ভ্যালিউ প্রদর্শন করলেই কেবলমাত্র মেইনটেন্যান্স করা হয়। মেইন্টেন্যান্সের এই পদ্ধতি টেকনিক্যাল রিসোর্স এবং জ্ঞানের উপর অধিকতর নির্ভরশীল।

মেইনটেন্যান্স কি? মেইন্টেন্যান্স কত প্রকার ও কি কি?

ইন্ডাস্ট্রিতে মেশিন কমিশন শেষে কি কি টেস্ট করা হয় ?

ইন্ডাস্ট্রিতে মেশিন কমিশন শেষে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট সম্পাদন করা হয়, যেগুলি নিম্নলিখিত সাধারণভাবে প্রয়োজ্য হতে পারে:

1. কার্যকরীতা টেস্ট: মেশিনটি কাজ করে সেই কাজের দ্রুততা, সঠিকতা, এবং কাজের পারফরমেন্স, ইনপুট ভোল্টেজ, এম্পিয়ার চেক করা হয়।

2. সুরক্ষা টেস্ট: মেশিনের ব্যবহারের সময় সুরক্ষা পরীক্ষা করা হয়, এমনি এসিডেন্ট প্রিভেনশন এবং আত্মা-রক্ষা ব্যবস্থা যেগুলি প্রয়োজন।

3. মেশিনের পারফরমেন্স মনিটরিং: মেশিনের প্রদর্শন নির্ধারণ করতে মনিটরিং টেস্ট করা হয়, যেমন তাপমাত্রা, চাপ, স্পীড, ইনপুট-আউটপুট মাপসমূহ চেক করা।

4. সেন্সর টেস্ট: মেশিনে ইনস্টল সেন্সরগুলির প্রদর্শন এবং কাজের পরফরমেন্স পরীক্ষা করা হয়।

5. স্ক্যালিং টেস্ট: মেশিনের যত্নের সাথে স্কেল করতে এবং বিভিন্ন দরণের লোডে পরীক্ষা করা হয়।

6. অটোমেশন টেস্ট: মেশিনের অটোমেশন প্রক্রিয়াগুলির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়, যেমন স্বয়ংক্রিয় সংগ্রহ, সংকেত প্রস্তুতি, এবং স্বয়ংক্রিয় শ্রমিকতা।

7. এনভায়রনমেন্টাল পরীক্ষা: মেশিনটির পরিবেশে কোনো অতিরিক্ত প্রভাবের সাথে প্রয়োগ করার সাথে সাথে পরিবেশের পর্যায়ক্রম পরীক্ষা করা হয়, যেমন শব্দ, গাড়ির নির্মাণ শোভার্সন, এবং অন্যান্য।

এই টেস্টগুলি মেশিনের সঠিক পারফরমেন্স এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে এবং ইন্ডাস্ট্রি মেশিনের উন্নতিতে সাহায্য করে।


ইন্ডাস্ট্রিতে মেশিন কমিশন শেষে কি কি টেস্ট করা হয়?

Requirements of Electrical Safety Audit গার্মেন্টস বা অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইলেক্ট্রিক্যাল সেফটি সংক্রন্ত অডিট এ কি কি প্রয়োজন ?

গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইলেক্ট্রিক্যাল সেফটি সংক্রন্ত অডিট এ কি কি প্রয়োজন তা নিচে লিস্ট আকারে দেওয়া হলঃ

প্রয়োজনীয় লিস্টঃ

০১. সাব-ষ্টেশন এল.টি প্যানেলে বিপদজনক চিহ্ন থাকতে হবে। 

০২. আউটডোর এইচ.টি ক্যাবল সাপোর্ট এর মাধ্যমে বিল্ডিং এ নিতে হবে।

০৩. এল.টি প্যানেল এবং প্রতিটি এস.ডি.বি এর সামনে ৩-৫ মি.লি রাবার ম্যাট থাকতে হবে।

০৪. জেনারেটরের বডিতে অন্তত ২টি আর্থিং থাকতে হবে।

০৫. এল.টি প্যানেল এবং জেনারেটর এর আর্থিং আলাদা হতে হবে।

০৬. বি.বি.টি রাইজার থেকে এস.ডি.বি পর্যন্ত ক্যাবল ট্রেতে অবশ্যই আর্থিং থাকতে হবে।

০৭. প্রতিটি এস.ডি.বি রুম এ লাইটিং এর ব্যবস্থা থাকতে হবে।

০৮. ডি.বি বোর্ডের ভিতরে কোন অতিরিক্ত ক্যাবল থাকবেনা।

০৯. ক্যাবল লাক্স ছাড়া কোন ক্যাবল বাসবারে লাগানো যাবে না।

১০. সার্কিট ব্রেকারে অবশ্যই ফেজ সেপারেটর থাকতে হবে।

১১. প্রতিটি এস.ডি.বি বোর্ডের মিটর সচল থাকতে হবে।

১২. পাওয়ার ক্যাবল এবং টেবিল কমিউনিকেশন ক্যাবল এর মাঝে অন্তত ৩ ইঞ্চি গ্যাপ থাকতে হবে।

১৩. প্রতিটি এস.ডি.বি এর পাশে বৈদ্যুতিক আঘাত পেলে এর ব্যবহার বিধি লাগাতে হবে।

১৪. এস.ডি.বি তে বিপদজনক চিহ্ন লাগাতে হবে।

১৫. এস.ডি.বি তে কোন ক্যাবল এলোমেলো রাখা যাবে না।

১৬. ফ্লোরের মেশিনের ক্যাবল এর জন্য কাঠের চ্যানেল চলবে না।

১৭. মেশিনের পাওয়ার সকেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল সকেট হতে হবে।

১৮. কাটিং সেকশন এর কাঠের সুইচ বোর্ড চলবে না।

১৯. ইলেকট্রিক্যাল মেশিন লে-আউট থাকতে হবে।

২০. SLD As build Drawing লাগবে।

২১. কোন ক্যাবল ঝুলন্ত অবস্থায় থাকবে না।

২২. প্রতিটি মেশিনের জন্য ELCB লাগাতে হবে।

২৩. এগজাস্ট ফ্যান এর কানেকশনের জায়গায় স্টার্টার লাগাতে হবে।

২৪. একটি ক্যাবল লাগ এর ভিতর একের অধিক ক্যাবল লাগানো যাবে না।

২৬. এস.ডি.বিতে প্রতিটি ক্যাবল এর ফেজ মার্কিন করতে হবে।

২৭. প্রতিটি ব্রেকার এর জন্য নাম্বারিং করতে হবে।

২৮. ক্যাবল কানেকশন এর ক্ষেত্রে অবশ্যই কানেকটর লাগাতে হবে।

২৯. ইলেকট্রিক্যাল ড্রয়িং অনুসারে এস.ডি.বি সাজাতে হবে।

৩০. এস.ডি.বি এর বডি অবশ্যই আর্থিং করতে হবে।

গার্মেন্টস বা অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানে ইলেক্ট্রিক্যাল সেফটি সংক্রন্ত অডিট এ কি কি প্রয়োজন ?

LAB আমরা কি কি বিষয় জানতে পারি।


১. 🔺️L দিয়ে আমরা দুটি কালারের মধ্যকার darkness কিংবা lightness বুঝতে পারি।


২. 🔺️a এবং 🔺️b দিয়ে দুটি কালারের মধ্যকার hue কিংবা tone (যেমন Redder/Greener কিংবা Yellower/Bluer) বুঝতে পারি।


কিন্তু, 🔺️LAB এর কোনোটাই দিয়ে brightness কিংবা dullness অর্থাৎ Chroma বুঝা যায় না। Chroma বুঝতে গেলে অবশ্যই 🔺️C বুঝতে হবে।


একটি কালার ডিজিটাল রিপোর্টের ভিত্তিতে পাশ দিতে হলে 🔺️LAB এর পাশাপাশি 🔺️LCH বুঝা জরুরি। কারণ, অনেক সময় কালারের Lightness এবং Hue ভালো থাকলেও Chroma খারাপ থাকার কারণে একটি কালার fail হতে পারে।

🔺️H (কালারের হিউ কিংবা টোন এর ডিফারেন্স) কন্ট্রোল করার মাধ্যমে কালার কিংবা ল্যাব ডিপ Rejection অনেকটাই কমানো সম্ভব। পর্ব - ৮

DL, Da, Db, DC এবং DH এই পাঁচটি কালার ডিফারেন্স ভ্যালু নিয়ে আমরা আগের বিভিন্ন পর্বে আলোচনা করলেও, গুরুত্ব বিবেচনা করে এই পর্ব আমরা শুধুমাত্র DH এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।

সাধারণত, CMC DE<1.0 হলে, স্যাম্পল এবং স্ট্যান্ডার্ড কালারের মধ্যকার পার্থক্য খালি চোখে খুব একটা ধরা পড়ে না। কিন্তু, অনেকসময় CMC DE<1.0 হলেও খালি চোখে অনেক পার্থক্য মনে হয়। এর কারন হল DH বা দুটি কালার মধ্যকার হিউ এর ডিফারেন্স!!

আমরা জানি, 

CMC DE ক্যালকুলেশন করার জন্য স্যাম্পল এবং স্ট্যান্ডার্ড কালারের মধ্যকার DL (ডার্কনেস এর পার্থক্য), DC (ক্রোমার পার্থক্য) এবং DH (হিউ এর পার্থক্য) ভ্যালুর প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হলো, DH। কেননা, DL, DC কম এবং DH একটু বেশি থাকলেই CMC DE <1.0 থাকা সত্বেও একটি কালার আমাদের চোখে অনেক ডিফারেন্স দেখায়।

যেমন ধরুন, 

DL= 0.2, 

DC= 0.3, 

DH= 0.8, 

 CMC DE<0.95

এখানে CMC DE 1.0 এর কম হলেও DH খুব বেশি হওয়ার কারণে এই কলারটি খালি চোখে খুব একটা ভালো মনে হবে না। ঠিক তেমনি, যদি DL= 0.9, DC= 0.6, DH= 0.3, এবং CMC DE<0.95 হয়। তবে একটি কালার আমাদের চোখে খুব ভালো ভাবে পাশ কিংবা ওকে মনে হবে।

তাই, কোন কালার CMC রিপোর্ট দেখে পাশ দিতে চাইলে অবশ্যই DH এর মানকে খুবই গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। 

Spectrophotometer - Data Color LAB আমরা কি কি বিষয় জানতে পারি

 CMC Report
ল্যাব ডিপ রিজেক্ট হওয়ার কারণ হিসাবে আমরা আগের পর্বগুলোতে ম্যানুয়াল বা হিউম্যান এর ভূমিকা গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। 

আজ আমরা ডিজিটাল কালার রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। ডিজিটাল কালার রিপোর্ট বলতে সাধারণত একটি স্পেক্ট্রোফটোমিটার এর মাধ্যমে কালার মিজার্মেন্ট করে স্ট্যান্ডার্ড এবং স্যাম্পল কালারের মধ্যকার পার্থক্যকে নিউম্যারিক ভ্যালুতে রিপোর্টের মাধ্যমে প্রকাশ করাকে বুঝায়। আমাদের দেশে এই রিপোর্টকে এককথায় CMC রিপোর্ট বলা হয়। 

আপনি যদি ল্যাব ডিপ রিজেক্ট বন্ধ করতে চান, তবে আপনাকে ম্যানুয়াল শেড ডিসিশন নেয়ার পাশাপাশি সিএমসি রিপোর্ট এর হেল্প নিতে হবে। এক্ষেত্রে CMC রিপোর্ট এর ভ্যালুগুলো আপনার এসেসমেন্ট করার দক্ষতাকে আরও নিখুঁত করবে। 

এবার চলুন CMC রিপোর্টের ভেলুগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।


DL: 
একটি স্যাম্পল, স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে কতটুকু Lighter বা Darker তা DL দ্বারা প্রকাশ করা হয়। DL এর মান (-) হলে স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে স্যাম্পল Darker হবে এবং DL এর মান (+) হলে স্যাম্পল Lighter হবে।


Da: 
একটি স্যাম্পল, স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে কতটুকু Reddee কিংবা Greener তা Da দ্বারা প্রকাশ করা হয়। Da এর মান (-) হলে স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে স্যাম্পল Greener হবে এবং Da এর মান (+) হলে স্যাম্পল Redder হবে।


Db: 
একটি স্যাম্পল, স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে কতটুকু Yellower অথবা Bluer তা Db দ্বারা প্রকাশ করা হয়। Db এর মান (-) হলে স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে স্যাম্পল Bluer হবে এবং Db এর মান (+) হলে স্যাম্পল Yellower হবে।


DC: 
একটি স্যাম্পল, স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে কতটুকু Brighter কিংবা Duller তা DC দ্বারা প্রকাশ করা হয়। DC এর মান (-) হলে স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে স্যাম্পল Duller হবে এবং DC এর মান (+) হলে স্যাম্পল Brighter হবে।


DH: 
DH বুঝতে পারাটা কিছুটা ট্রিকি। তবে, সহজভাবে বলতে গেলে, Da এবং Db এই দুটি ভ্যালু থেকে DH জেনারেটেড হয়। যা কিনা হিউ বা টোন বুঝতে সাহায্য করে। 


CMC DE: 
এটি হলো দুটি কালারের মধ্যকার সম্পূর্ন কালার ডিসটেন্স। DL, Da, Db বা DL, DC, DH, ইত্যাদি আলাদা আলাদা ভ্যালু ক্যালকুলেশন করে CMC DE বের করা হয়। 

সাধারণত টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে CMC DE <1.0, এবং DH < 0.7 হলেই একটি কালার আপনি চোখ বন্ধ করে পাশ দিতে পারবেন। কারণ এতটুকু ডিফারেন্স খালি চোখে আইডেন্টিফাই করা খুবই কঠিন।



CMC DE Acceptable Limit

ল্যাব ডিপ বার বার রিজেক্ট হচ্ছে? সমাধানের জন্য কয়েকটি টিপস ফলো করতে পারেন। (পর্ব-০৬, CMC acceptable limit) 

ডিজিটাল পদ্ধতিতে একটি কালার পাশ দেয়ার জন্য CMC acceptable লিমিট নির্ধারণ করা জরুরি। অর্থাৎ, একটি কালার পাশ দেয়ার জন্য স্ট্যান্ডার্ড এবং স্যাম্পল এর কালার ডিসটেন্স CMC DE ভ্যালু সর্বোচ্চ কত পর্যন্ত একসেপ্ট করা হবে তাই হল CMC acceptable লিমিট। 

এই লিমিট, ভিন্ন ভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যেমন প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি, কোটিং বা পেইন্টিং ইন্ডাস্ট্রি, ফুড ইন্ডাস্ট্রি, লেদার ইন্ডাস্ট্রি, কসমেটিক ইন্ডাস্ট্রি ইত্যাদি ইন্ডাস্ট্রি ভেদে CMC DE acceptable লিমিট 0.5-5.0 পর্যন্ত হতে পারে । 

তবে, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে CMC DE লিমিট 1.0 পর্যন্ত একসেপ্ট করা হয়। সাধারণত, CMC DE 1.0 এর কম হলে দুটি কালারের মধ্যকার ডিসটেন্স খালি চোখে খুব একটা বুঝা যায় না।
 


লেখা:  Color Science Academy 
বিস্তারিত জানার জন্য Color Science Academy  এর ট্রেনিং কোর্সে এনরোল করুন। যোগাযোগের প্রয়োজনে WhatsApp +01914272333


Data Color CMC Report I CMC রিপোর্টের ভেলুগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক

ল্যাব ডিপ বার বার রিজেক্ট হচ্ছে? সমাধানের জন্য কয়েকটি টিপস ফলো করতে পারেন।



ইস্যু: লাইট

১. বায়ার এবং আপনার স্ট্যান্ডার্ড লাইট সোর্স ফিক্সড করুন। যেমন: D-65, TL-84, CWF ইত্যাদি। 

২. ভালো মানের লাইট কেবিনেট এ কালার এসেসমেন্ট করুন।

৩. লাইট কেবিনেট ডার্ক রুমে রাখুন।

৪. লাইট সোর্স নিয়মিত ক্যালিব্রেশন করুন। 

৫. লাইট সোর্সের কালার টেম্পারেচার, লাক্স, কালার রেন্ডারিং ইনডেক্স নিশ্চিত হয়ে নিন।

 ইস্যু:  অবজেক্ট

১. ষ্ট্যাণ্ডার্ড এবং ল্যাব ডিপ অবজেক্ট এর Construction একই রাখুন। (যেমনঃ ষ্ট্যাণ্ডার্ড যদি ১৪০ GSM Single Jersey ফেব্রিক হয় তবে ল্যাব ডিপও সেইম ফেব্রিক রাখুন)

২. খুব পাতলা ফেব্রিক হলে (যার মধ্যে দিয়ে আলো পাস হয়) কয়েকটি ভাঁজ করে তারপর কালার দেখুন।

৩. কালার দেখার সময় ফেব্রিক বা ইয়ার্ন এর স্যাম্পল allignment একই দিকে রাখুন।

৪.  স্যাম্পল এর সারফেস মসৃণ না হলে আলোর রিফ্লেকশান সঠিক ভাবে হয় না যা কালার দেখার সময় এফেক্ট করে। বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।

৫. ব্রাশ করা সহ ফ্লুরোসেন্ট কালার দেখার সময় চকচকে ভাব (Glossy ) avoid করতে হবে।

৬. পাশ থেকে কোন সহকারীর কমেন্ট করা থেকে বিরত রাখবেন। যিনি ডিরেক্ট চোখের সামনে রেখে কালার দেখছেন শুধুমাত্র তার কমেন্ট বিবেচনায় রাখতে হবে।

৭. পেপার, থ্রেড, বাটন, লেদার, মেটাল, প্ল্যাস্টিক ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন ম্যাটেরিয়ালস এর সাথে কালার ম্যাচ করা সহজ নয়। তবে চেষ্টা করতে হবে এগুলোর অ্যাপ্লিকেশান কন্সিডার করে ম্যাচিং করা। তবে সবাইকে এর লিমিটেশন মেনে নিতে হবে। 



ইস্যু:  অবজারভার 

১. ৪৫° এঙ্গেল এ কালার দেখার প্রাকটিস করুন। প্রয়োজনে লাইট বক্সের সাইজের একটি এঙ্গেল বোর্ড বানিয়ে নিতে পারেন। 

২. লাইট সোর্সের আলোর তীব্রতা - লাক্স সম্পর্কে সচেতন থাকুন। মিনিমাম ১০০০ রাখুন। 

৩. ডার্ক কালার দেখার জন্য অধিক লাক্স সম্পন্ন লাইটের নিচে কালার দেখুন। ২০০০ লাক্স হলে ভালো হয়। 

৪. লাইট কালার গুলো কম লাক্স এ দেখলেও অসুবিধা নেই। 

৫. ১০০০ ঘণ্টার বেশি কোন লাইট ব্যবহার করবেন না।
৬. চারপাশে কোন উজ্জ্বল আলো রেখে কালার দেখবেন না।

৭. ব্রাইট কালার যেমন রেড, ফ্লোরোসেন্ট কালার দেখার সাথে সাথে অন্য কালার দেখবেন না। কিছুক্ষণ পরে দেখুন।

৮. একটানা ১০-১২ টির বেশি কালার দেখবেন না। এতে করে চোখ ক্লান্ত হয়ে যায়।

৯. রাতের শিফটে কাজ করলে ভোরের দিকে কালার ভুল দেখার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সাবধানে থাকবেন। ঘনগণ চোখে মুখে পানি দিবেন।

১০. হিউ টেস্ট করে আপনার দুর্বল জোন সম্পর্কে জেনে নিন। এতে করে ওই জোনের কালার পাশ দেয়ার সময় অধিক সতর্ক থাকতে পারবেন।

১১. যদি লাইট বক্সে কালার না দেখেন তবে আপনার চারপাশের কালার (যেমন দেয়াল) গ্রে কালার (মুনসেল N8, N7) করে রাখুন। 



ইস্যু:  ম্যাটামেরীজম

এককভাবে ৫০% এর উপর ল্যাব ডিপ রিজেক্ট হয়  ম্যাটামেরীজম সমস্যার কারণে। এই সমস্যাটা কালার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন সকলকেই প্রতিনিয়ত কমবেশি ফেস করতে হয়। ম্যাটামেরীজম সমস্যার সমাধান করা আর চার পাঁচটা সাধারণ সমস্যার মত সহজ কাজ নয়। এই সমস্যা কখনই সম্পূর্ণ সমাধান যেমন সম্ভব নয়, তেমনি এই সমস্যাটাকে এড়িয়ে যাওয়া ও অসম্ভব। তবে, সঠিক কালার নলেজ জানলে এই সমস্যাকে কিছুটা হলেও কমিয়ে আনা সম্ভব। চলুন, এই সমস্যা সমাধানের কিছু টিপস দেখে নেয়া যাক।

১. কম ম্যাটামেরীজম সম্পন্ন ডাইস ব্যবহার করতে হবে।

২. ট্রাইএঙ্গেল সিলেকশন করার সময় (যে তিনটি ডাইস দিয়ে ডাইং রেসিপি করা হয়) কম ম্যাটা আছে এমন ট্রাইএঙ্গেল সিলেকশন করতে হবে।

৩. কালার স্পেস এ ছোট এরিয়া সম্পন্ন গামাট সিলেকশন করতে হবে।

৪. বায়ার এবং সফ্লাইয়ারকে স্ট্যান্ডার্ড লাইট সোর্স ব্যবহার করতে হবে।

৫. স্ট্যান্ডার্ড সোয়াচ এবং স্যাম্পল, উভয়ের কনস্ট্রাকশন, ফাইবার কনটেন্ট, টাইপ ইত্যাদি একই হতে হবে।

৬. ফিনিশিং এজেন্ট কিংবা ওয়াশিং এফেক্ট এর ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।


ইস্যু:  CMC Report

ল্যাব ডিপ রিজেক্ট হওয়ার কারণ হিসাবে আমরা আগের পর্বগুলোতে ম্যানুয়াল বা হিউম্যান এর ভূমিকা গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। 

আজ আমরা ডিজিটাল কালার রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। ডিজিটাল কালার রিপোর্ট বলতে সাধারণত একটি স্পেক্ট্রোফটোমিটার এর মাধ্যমে কালার মিজার্মেন্ট করে স্ট্যান্ডার্ড এবং স্যাম্পল কালারের মধ্যকার পার্থক্যকে নিউম্যারিক ভ্যালুতে রিপোর্টের মাধ্যমে প্রকাশ করাকে বুঝায়। আমাদের দেশে এই রিপোর্টকে এককথায় CMC রিপোর্ট বলা হয়। 

আপনি যদি ল্যাব ডিপ রিজেক্ট বন্ধ করতে চান, তবে আপনাকে ম্যানুয়াল শেড ডিসিশন নেয়ার পাশাপাশি সিএমসি রিপোর্ট এর হেল্প নিতে হবে। এক্ষেত্রে CMC রিপোর্ট এর ভ্যালুগুলো আপনার এসেসমেন্ট করার দক্ষতাকে আরও নিখুঁত করবে। 

এবার চলুন CMC রিপোর্টের ভেলুগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।


DL: 
একটি স্যাম্পল, স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে কতটুকু Lighter বা Darker তা DL দ্বারা প্রকাশ করা হয়। DL এর মান (-) হলে স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে স্যাম্পল Darker হবে এবং DL এর মান (+) হলে স্যাম্পল Lighter হবে।

Da: 
একটি স্যাম্পল, স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে কতটুকু Reddee কিংবা Greener তা Da দ্বারা প্রকাশ করা হয়। Da এর মান (-) হলে স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে স্যাম্পল Greener হবে এবং Da এর মান (+) হলে স্যাম্পল Redder হবে।

Db: 
একটি স্যাম্পল, স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে কতটুকু Yellower অথবা Bluer তা Db দ্বারা প্রকাশ করা হয়। Db এর মান (-) হলে স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে স্যাম্পল Bluer হবে এবং Db এর মান (+) হলে স্যাম্পল Yellower হবে।

DC: 
একটি স্যাম্পল, স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে কতটুকু Brighter কিংবা Duller তা DC দ্বারা প্রকাশ করা হয়। DC এর মান (-) হলে স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে স্যাম্পল Duller হবে এবং DC এর মান (+) হলে স্যাম্পল Brighter হবে।

DH: 
DH বুঝতে পারাটা কিছুটা ট্রিকি। তবে, সহজভাবে বলতে গেলে, Da এবং Db এই দুটি ভ্যালু থেকে DH জেনারেটেড হয়। যা কিনা হিউ বা টোন বুঝতে সাহায্য করে। 

CMC DE: 
এটি হলো দুটি কালারের মধ্যকার সম্পূর্ন কালার ডিসটেন্স। DL, Da, Db বা DL, DC, DH, ইত্যাদি আলাদা আলাদা ভ্যালু ক্যালকুলেশন করে CMC DE বের করা হয়। 

সাধারণত টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে CMC DE <1.0, এবং DH < 0.7 হলেই একটি কালার আপনি চোখ বন্ধ করে পাশ দিতে পারবেন। কারণ এতটুকু ডিফারেন্স খালি চোখে আইডেন্টিফাই করা খুবই কঠিন।

CMC DE Acceptable Limit

ল্যাব ডিপ বার বার রিজেক্ট হচ্ছে? সমাধানের জন্য কয়েকটি টিপস ফলো করতে পারেন। (পর্ব-০৬, CMC acceptable limit) 

ডিজিটাল পদ্ধতিতে একটি কালার পাশ দেয়ার জন্য CMC acceptable লিমিট নির্ধারণ করা জরুরি। অর্থাৎ, একটি কালার পাশ দেয়ার জন্য স্ট্যান্ডার্ড এবং স্যাম্পল এর কালার ডিসটেন্স CMC DE ভ্যালু সর্বোচ্চ কত পর্যন্ত একসেপ্ট করা হবে তাই হল CMC acceptable লিমিট। 

এই লিমিট, ভিন্ন ভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যেমন প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি, কোটিং বা পেইন্টিং ইন্ডাস্ট্রি, ফুড ইন্ডাস্ট্রি, লেদার ইন্ডাস্ট্রি, কসমেটিক ইন্ডাস্ট্রি ইত্যাদি ইন্ডাস্ট্রি ভেদে CMC DE acceptable লিমিট 0.5-5.0 পর্যন্ত হতে পারে । 

তবে, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে CMC DE লিমিট 1.0 পর্যন্ত একসেপ্ট করা হয়। সাধারণত, CMC DE 1.0 এর কম হলে দুটি কালারের মধ্যকার ডিসটেন্স খালি চোখে খুব একটা বুঝা যায় না।
 

ইস্যু:  সকল ডেল্টা ভ্যালু সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখা 

🔺️L,🔺️C,🔺️H  নাকি🔺️L,🔺️a,🔺️b;  কোনটি অধিকতর গ্রহণযোগ্য ?

 

🔺️LAB কিংবা 🔺️LCH, কালার এসেসমেন্ট এর ক্ষেত্রে কোনটি বেশি কার্যকরী ফলাফল দিয়ে থাকে?
প্রথমে বুঝতে হবে শুধুমাত্র 🔺️LAB আমরা কি কি বিষয় জানতে পারি। 

১. 🔺️L দিয়ে আমরা দুটি কালারের মধ্যকার darkneas কিংবা lightness বুঝতে পারি।

২. 🔺️a এবং 🔺️b দিয়ে দুটি কালারের মধ্যকার hue কিংবা tone (যেমন Redder/Greener কিংবা Yellower/Bluer) বুঝতে পারি।

কিন্তু, 🔺️LAB এর কোনোটাই দিয়ে brightness কিংবা dullness অর্থাৎ Chroma বুঝা যায় না। Chroma বুঝতে গেলে অবশ্যই 🔺️C বুঝতে হবে।

একটি কালার ডিজিটাল রিপোর্টের ভিত্তিতে পাশ দিতে হলে 🔺️LAB এর পাশাপাশি 🔺️LCH বুঝা জরুরি। কারণ, অনেক সময় কালারের Lightness এবং Hue ভালো থাকলেও Chroma খারাপ থাকার কারণে একটি কালার fail হতে পারে।

🔺️H (কালারের হিউ কিংবা টোন এর ডিফারেন্স) কন্ট্রোল করার মাধ্যমে কালার কিংবা ল্যাব ডিপ Rejection অনেকটাই কমানো সম্ভব। পর্ব - ৮ 

DL, Da, Db, DC এবং DH এই পাঁচটি কালার ডিফারেন্স ভ্যালু নিয়ে আমরা আগের বিভিন্ন পর্বে আলোচনা করলেও, গুরুত্ব বিবেচনা করে এই পর্ব আমরা শুধুমাত্র DH এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। 

সাধারণত, CMC DE<1.0 হলে, স্যাম্পল এবং স্ট্যান্ডার্ড কালারের মধ্যকার পার্থক্য খালি চোখে খুব একটা ধরা পড়ে না। কিন্তু, অনেকসময় CMC DE<1.0 হলেও খালি চোখে অনেক পার্থক্য মনে হয়। এর কারন হল DH বা দুটি কালার মধ্যকার হিউ এর ডিফারেন্স!! 

আমরা জানি, CMC DE ক্যালকুলেশন করার জন্য স্যাম্পল এবং স্ট্যান্ডার্ড কালারের মধ্যকার DL (ডার্কনেস এর পার্থক্য), DC (ক্রোমার পার্থক্য) এবং DH (হিউ এর পার্থক্য) ভ্যালুর প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হলো, DH। কেননা, DL, DC কম এবং DH একটু বেশি থাকলেই CMC DE <1.0 থাকা সত্বেও একটি কালার আমাদের চোখে অনেক ডিফারেন্স দেখায়। 

যেমন ধরুন, DL= 0.2, DC= 0.3, DH= 0.8, এবং CMC DE<0.95 । এখানে CMC DE 1.0 এর কম হলেও DH খুব বেশি হওয়ার কারণে এই কলারটি খালি চোখে খুব একটা ভালো মনে হবে না। ঠিক তেমনি, যদি DL= 0.9, DC= 0.6, DH= 0.3, এবং CMC DE<0.95 হয়। তবে একটি কালার আমাদের চোখে খুব ভালো ভাবে পাশ কিংবা ওকে মনে হবে। 

তাই, কোন কালার CMC রিপোর্ট দেখে পাশ দিতে চাইলে অবশ্যই DH এর মানকে খুবই গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। 
  


ইস্যু:  কালার স্পেস
টেক্সটাইল এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হল L*A*B* কালার স্পেস। এই কালার স্পেস ৩৬০ ডিগ্রি হিসাবে ধরে নিলে এই স্পেসকে ৯০ ডিগ্রি করে সমান ৪ টি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রতিটি ভাগকে এক একটি Quadrant বলে।


 যেমন:

🔸১. +a, +b Quadrant, (Red এবং Yellow zone)

🔸২. -a, +b Quadrant, (Green এবং Yellow zone)

🔸৩. +a, -b Quadrant, (Red এবং Blue zone)

🔸৪. -a, -b Quadrant, (Green এবং Blue zone)


একটি স্যাম্পলকে ষ্ট্যাণ্ডার্ড এর সাথে যে ভাবেই পাশ দেয়া হোক না কেন তা এই ৪ টি Quadrant এর যে কোন একটি Quadrant এ নিশ্চিত ভাবে পড়বেই। 

ছবিতে দেখানো ব্যাচের মত যদি এমন হয়, ষ্ট্যাণ্ডার্ড এর সাথে ১ম এবং ৩য় স্যাম্পল +a,+b Quadrant এ পাশ দেয়া হয় এবং ২য় স্যাম্পল -a,-b Quadrant এ পাশ দেয়া হয়, তাহলে বায়ারের কাছে ১ম এবং ৩য় ব্যাচ এর সাথে ২য় ব্যাচ এর কালার খুবই পার্থক্য মনে হতে পারে। প্রতিটি ব্যাচ আলাদা আলাদা ভাবে ষ্ট্যাণ্ডার্ড এর সাথে CMC DE 1.0 এর চেয়ে কম থাকলেও, বায়ার থেকে কালার রিজেকশান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই, ব্যাচ টু ব্যাচ একই Quadrant এ পাশ দেয়া অবশ্যই জরুরী। 



ইস্যু:  বায়ার এসেসমেন্ট বা ম্যাচিং লিমিটেশন


যখন কোনো বায়ার বা কাস্টমার কালার এসেসমেন্ট করে এবং যদি কোন কালার রিজেক্ট করে, তবে শুধুমাত্র আমরা সফ্লাইয়ারের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন করি। কিন্তু, কালার এসেসমেন্ট এর ফান্ডামেন্টাল নলেজ না থাকার কারণে অনেকসময় কালার এপ্রুভাল দেয়ার সময় বায়ারের QC কর্তৃক মেজর মিসটেক হতে পারে। যেমন: ওকে কালার রিজেক্ট করা হয় কিংবা রিজেক্ট কালার অ্যাপ্রুভ দেয়া হয়। 

আজ আমরা বায়ারের এসেসমেন্ট লিমিটেশন নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

১. দীর্ঘদিন লাইটবক্সের লাইটগুলো ক্যালিব্রেশন করা হয় না। প্রতি ৩ মাস পর পর লাইট সোর্সের লাক্স মেপে ক্যালিব্রেশন করা জরুরি। যেমন: 2000 লাক্স স্ট্যান্ডার্ড হলেও দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর লাক্স অনেক কমে যেতে পারে।

২. লাইটবক্সের লাইটগুলোর কালার টেম্পারেচার এর একুরিসি ঠিক নেই। যেমন: কালার টেম্পারেচার 6500 কেলভিন স্ট্যান্ডার্ড থাকলেও বাস্তবে 6300-6600 পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে। 

৩. কালার এপ্রুভাল দেয়ার জন্য সকলেরই প্রথম পছন্দ নিজের ডেস্ক কিংবা টেবিল। অথচ, এখানে LED, CFL, ডে-লাইট সহ বিভিন্ন ডেকরেটিভ লাইটের মিশ্রণ থাকতে পারে। যা কিনা কালার এসেসমেন্ট এর জন্য স্ট্যান্ডার্ড ভায়োলেশন করে। 

৪. যে স্ট্যান্ডার্ড বা swatch এর সাথে কালার ম্যাচিং করা হচ্ছে, এর ম্যাটেরিয়ালস, কনস্ট্রাকশন, ফাইবার টাইপ ইত্যাদি বিষয় প্রোপার কালার ম্যাচিং করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই লিমিটেশন এর ব্যাপারে সচেতন থাকা জরুরি। যেমন: লেদার এর সাথে ফেব্রিক, পলিয়েস্টার এর সাথে কটন ইত্যাদি 

৫. কখনও কখনও হিউম্যান অবজারভার লিমিটেশন এর কারণে কালার বার বার রিজেক্ট হতে পারে। যেমন: কোন একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির কোন একটি নির্দিষ্ট গ্রুপ অফ কালারের প্রতি স্ট্রং কিংবা উইক পর্সেপটিবিলিটি থাকার কারণে একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্নে কালার বার বার রিজেক্ট হয়। 

মনে রাখতে হবে, কালার একটি পর্সিবিলিটি ইস্যু, এটা অসংখ্য ফ্যাক্টর দ্বারা প্রভাবিত হয়। তাই, কোন কালার রিজেক্ট কিংবা অ্যাপ্রুভ করার পূর্বে সঠিক কলার নলেজ থাকাটা জরুরি। 


লেখা:  Color Science Academy 
বিস্তারিত জানার জন্য Color Science Academy  এর ট্রেনিং কোর্সে এনরোল করুন। যোগাযোগের প্রয়োজনে WhatsApp +01914272333

ল্যাব ডিপ বার বার রিজেক্ট হচ্ছে ? সমাধানের জন্য কয়েকটি টিপস ফলো করতে পারেন।