মার্কেটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ডিমান্ড কেমন - Textile Lab | Textile Learning Blog

  • টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের মার্কেট ডিমান্ডঃ ডিপ্লোমা Vs  BSc এর বাস্তব চিত্র

আমরা দেখতে পাচ্ছি যে টেক্সটাইলে লেখাপড়া করলে এখন না খেয়ে থাকতে হবে। জব মার্কেটে ডিমান্ড প্রায় নেই বললেই চলে । এর সাথে অনেকেই দ্বিমত অনেকেই একমত পোশন করবেন করবেন।  বাংলাদেশ এর প্রজেন্ট কন্ডিশন বিবেচনায় জব এর কন্ডিশন খারাপ না হলেও বেশি ভালো না ।  সহসা ভালো হওয়ার লক্ষন নেই।  গতো ৩-৪ বছরে ফেক্টরি একটা চালু হয়েছে তো ২০ টা বন্ধ হয়েছে আর ১০ টার মালিকানা বিদেশীরা নিয়েছে আর তারা নিজ দেশে এক্সপার্ট নিয়েই ফেক্টরি চালাচ্ছে, আসুন এমতাবস্থায় যদি আপনারা জানতে চান আমাদের মার্কেট ডিমান্ড কেমন আমরা বলবো ভালো না



আর ডিমান্ড থাকবেই বা কীভাবে ?

নয়টি সরকারী টেক্সটাইল কলেজ (Approximately)  , ২১টি বেসরকারী বিশ্বাবিদ্যালয়ে ( Approximately ) টেক্সটাইলে গ্র্যাজুয়েশন করা যায়  ৬টি  টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটি পোস্ট গ্রেজুয়েট / MSc এবং ১ টি তে Phd  চালু আছে টেক্সটাইল ভোকেশনাল ৪০ টি, বেসরকারি ভোকেশনাল তো অহরহ  এছাড়াও ৮-১০ টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট প্রস্তাবিত । এছাড়া টেক্সটাইলে ডিপ্লোমা কোর্স তো আছেই ২০০-৩০০ ইন্সটিটিউশনে, গার্হস্থ্য এর টেক্সটাইল এবং হোম ইকোনমিকস এ আরো কিছু ইন্সটিটিউশন ।

একেক কলেজ ইউনিভার্সিটি থেকে যদি বছরে ৫০ জন বের হয় তাহলে প্রতি বছরে টেক্সটাইল গ্র্যাজুয়েট বের হবে কম পক্ষে ১৫০০ জন। বেসরকারী বিশ্ববদ্যালয়ে আবার সেমিস্টার সিস্টেম, বছরে ৩টি ব্যাচ বের হয়। সুতরাং প্রতি বছর প্রায় ২ হাজার টেক্সটাইল গ্র্যাজুয়েট বের হয় ! মার্কেটে এখন চাহিদার চেয়ে গ্রেজুয়েটদের যোগান  অনেক বেশি ।  এমনটা হতো না যদি আমাদের সেক্টর টা স্থবির থাকতো এখন অনেকটা থমথমে ভাব এই সেক্টরে ।

Phd যারা করেছেন তাদের জব বাংলাদেশে নাই আছে গুটি কয়েক টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট এবং ইউনিভার্সিটি কিন্তু তারা phd এর কাজ BSc লেকচাররার দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছেন।



MSc in textile এদের অবস্থা অনেকটাই phd হোল্ডার  দের মতোই, যারা করেছেন তাদের জব বাংলাদেশে নাই আছে গুটি কয়েক টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট এবং ইউনিভার্সিটি কিন্তু তারা phd এর কাজ BSc লেকচাররার দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছেন। ফেক্টরিতে এদের মন অনুযায়ী ডেজিগনেশন এবং স্যালারি নেই।

BSc যারা করেছেন তাদের জব বাংলাদেশে নাই প্রডাকশন জবব গুলি পুরো স্যাচুরেটেড তাই BSc রা  নন টেকনিকাল পোস্ট গুলিতে ঢুকছেন   আছে গুটি কয়েক টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট এবং ইউনিভার্সিটি কিন্তু তারা  BSc লেকচাররার দিয়ে চালান।

Dipoloma ইঞ্জিনিয়ার দের ল্যাব এর জন এর করার কিছুটা  স্কোপ আছে বর্তমানে Diploma মুল্য দিয়ে BSc পাওয়া যাচ্ছে বিধায় ফেক্টরীতে বর্তমানে ল্যাব, সুপারভাইজার পোস্টে !


                                                   রুপক ছবি : সাঈদ রিমন ভাই 

বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ডিমান্ড কমে যাওয়ার কারন ?

উত্তর : বর্তমানে আমাদের টেক্সটাইল চলছে কনভেনশনাল প্রসেস এর উপর ভিত্তি করে যেখানে ইনোভেটিব কিছু করার সুযোগ নেই, টেক্সটাইল এর ইঞ্জিনিয়ারিং তখনি কাজে লাগবে যখন কিছু প্রসেস ডেভলপ, মিনিমাইজ, মেক্সিমাইজ,ডেভলপ করা লাগবে তখন যেহেতু আমাদের কনভেনশনাল প্রসেস তাই যে কেও এই প্রসেস সহজেই আয়ত্বে নিয়ে আসছে  তাই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা কর্তিপক্ষ ফিল করছে না। GSP, পাওয়ার ক্রাইসিস এর কারনে ফেক্টরি গুলি ফুল ক্যাপাসিটি ব্যাবহার করতে পারছে না,  সেক্টর এর গ্রোথ না বাড়লেও গ্রেজুয়েট বের হওয়া কিন্ত থেমে নেই।

প্রশ্ন  : আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার কম রিক্রুটমেন্ট এর কারন কি ?

উত্তর :
ফেক্টরি গুলিতে এখনো স্পেসিফিক ভাবে বলা না কোথায় কোথায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার রিক্রুট করার প্রয়োজন ,  যেমন মার্চেন্ডাজিং, মার্কেটিং এর BBA দখল করছে।  IE Planning দখল করছে  IP এর স্টুডেন্ট রা,  Dyeing, Lab দখল করছে ক্যামিকেল  ইঞ্জিনিয়ার রা তাই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের এরিয়া দিন দিন ছোট ছোট হয়ে যাচ্ছে । আমাদের দেশের ফেক্টরি গুলিতে কি ভাবে ইঞ্জিনিয়ার দের মেধা ইউটিলাইজ করতে হয় তা তাদের জানা নাই ।  রেগুলার প্রসেস আর কোয়ালিটির বালাই না থাকায় ইঞ্জিনিয়ার টেকনোলজিস্ট এর ডিমান্ড কমে গেসে।
এখন বলতে পারেন, এই দুই হাজার টেক্সটাইল গ্র্যাজুয়েট কী করে ? অর্থাৎ তারা কীভাবে চলে ?  যারা বেকার পড়ে থাকে তারা সারা বছর চাকরি খুঁজে বেড়ায় ।

না এই বিষয়ে আমরা বলবো ইন্সটিটিউশন গুলির গ্রেজুয়েট এনরোলমেন্ট এবং ফেক্টরির ম্যানপাওয়ার রিক্রুটমেন্ট প্রসেস স্টাডি করলে মার্কেট সম্পর্কে ভালো আইডিয়া পাওয়া যাবে।
এটি সম্পুর্ন এনালিটিক্যাল পোস্ট এর সাথে ডিমটিভেশন কিংবা ইন্সপাইরেশন দেয়ার কোন সম্পর্ক নেই ।  আমাদের সুন্দর ক্যারিয়ার প্লানিং এর জন্য আমাদের  রিয়েল মার্কেট রিসার্চ থাকা জরুরী এর ক্যারিয়ার প্লানিং এবং কোয়ালিটি বিল্ডাপ এর ক্ষত্রে সুবিধা হয়।  আর মার্কেট ডিমান্ড এটা জাতীয় সমস্যা ব্যাক্তিগত কোন সমস্যা না।









job

মার্কেটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ডিমান্ড কেমন


  • টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের মার্কেট ডিমান্ডঃ ডিপ্লোমা Vs  BSc এর বাস্তব চিত্র

আমরা দেখতে পাচ্ছি যে টেক্সটাইলে লেখাপড়া করলে এখন না খেয়ে থাকতে হবে। জব মার্কেটে ডিমান্ড প্রায় নেই বললেই চলে । এর সাথে অনেকেই দ্বিমত অনেকেই একমত পোশন করবেন করবেন।  বাংলাদেশ এর প্রজেন্ট কন্ডিশন বিবেচনায় জব এর কন্ডিশন খারাপ না হলেও বেশি ভালো না ।  সহসা ভালো হওয়ার লক্ষন নেই।  গতো ৩-৪ বছরে ফেক্টরি একটা চালু হয়েছে তো ২০ টা বন্ধ হয়েছে আর ১০ টার মালিকানা বিদেশীরা নিয়েছে আর তারা নিজ দেশে এক্সপার্ট নিয়েই ফেক্টরি চালাচ্ছে, আসুন এমতাবস্থায় যদি আপনারা জানতে চান আমাদের মার্কেট ডিমান্ড কেমন আমরা বলবো ভালো না



আর ডিমান্ড থাকবেই বা কীভাবে ?

নয়টি সরকারী টেক্সটাইল কলেজ (Approximately)  , ২১টি বেসরকারী বিশ্বাবিদ্যালয়ে ( Approximately ) টেক্সটাইলে গ্র্যাজুয়েশন করা যায়  ৬টি  টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটি পোস্ট গ্রেজুয়েট / MSc এবং ১ টি তে Phd  চালু আছে টেক্সটাইল ভোকেশনাল ৪০ টি, বেসরকারি ভোকেশনাল তো অহরহ  এছাড়াও ৮-১০ টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট প্রস্তাবিত । এছাড়া টেক্সটাইলে ডিপ্লোমা কোর্স তো আছেই ২০০-৩০০ ইন্সটিটিউশনে, গার্হস্থ্য এর টেক্সটাইল এবং হোম ইকোনমিকস এ আরো কিছু ইন্সটিটিউশন ।

একেক কলেজ ইউনিভার্সিটি থেকে যদি বছরে ৫০ জন বের হয় তাহলে প্রতি বছরে টেক্সটাইল গ্র্যাজুয়েট বের হবে কম পক্ষে ১৫০০ জন। বেসরকারী বিশ্ববদ্যালয়ে আবার সেমিস্টার সিস্টেম, বছরে ৩টি ব্যাচ বের হয়। সুতরাং প্রতি বছর প্রায় ২ হাজার টেক্সটাইল গ্র্যাজুয়েট বের হয় ! মার্কেটে এখন চাহিদার চেয়ে গ্রেজুয়েটদের যোগান  অনেক বেশি ।  এমনটা হতো না যদি আমাদের সেক্টর টা স্থবির থাকতো এখন অনেকটা থমথমে ভাব এই সেক্টরে ।

Phd যারা করেছেন তাদের জব বাংলাদেশে নাই আছে গুটি কয়েক টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট এবং ইউনিভার্সিটি কিন্তু তারা phd এর কাজ BSc লেকচাররার দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছেন।



MSc in textile এদের অবস্থা অনেকটাই phd হোল্ডার  দের মতোই, যারা করেছেন তাদের জব বাংলাদেশে নাই আছে গুটি কয়েক টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট এবং ইউনিভার্সিটি কিন্তু তারা phd এর কাজ BSc লেকচাররার দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছেন। ফেক্টরিতে এদের মন অনুযায়ী ডেজিগনেশন এবং স্যালারি নেই।

BSc যারা করেছেন তাদের জব বাংলাদেশে নাই প্রডাকশন জবব গুলি পুরো স্যাচুরেটেড তাই BSc রা  নন টেকনিকাল পোস্ট গুলিতে ঢুকছেন   আছে গুটি কয়েক টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট এবং ইউনিভার্সিটি কিন্তু তারা  BSc লেকচাররার দিয়ে চালান।

Dipoloma ইঞ্জিনিয়ার দের ল্যাব এর জন এর করার কিছুটা  স্কোপ আছে বর্তমানে Diploma মুল্য দিয়ে BSc পাওয়া যাচ্ছে বিধায় ফেক্টরীতে বর্তমানে ল্যাব, সুপারভাইজার পোস্টে !


                                                   রুপক ছবি : সাঈদ রিমন ভাই 

বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ডিমান্ড কমে যাওয়ার কারন ?

উত্তর : বর্তমানে আমাদের টেক্সটাইল চলছে কনভেনশনাল প্রসেস এর উপর ভিত্তি করে যেখানে ইনোভেটিব কিছু করার সুযোগ নেই, টেক্সটাইল এর ইঞ্জিনিয়ারিং তখনি কাজে লাগবে যখন কিছু প্রসেস ডেভলপ, মিনিমাইজ, মেক্সিমাইজ,ডেভলপ করা লাগবে তখন যেহেতু আমাদের কনভেনশনাল প্রসেস তাই যে কেও এই প্রসেস সহজেই আয়ত্বে নিয়ে আসছে  তাই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা কর্তিপক্ষ ফিল করছে না। GSP, পাওয়ার ক্রাইসিস এর কারনে ফেক্টরি গুলি ফুল ক্যাপাসিটি ব্যাবহার করতে পারছে না,  সেক্টর এর গ্রোথ না বাড়লেও গ্রেজুয়েট বের হওয়া কিন্ত থেমে নেই।

প্রশ্ন  : আমাদের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার কম রিক্রুটমেন্ট এর কারন কি ?

উত্তর :
ফেক্টরি গুলিতে এখনো স্পেসিফিক ভাবে বলা না কোথায় কোথায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার রিক্রুট করার প্রয়োজন ,  যেমন মার্চেন্ডাজিং, মার্কেটিং এর BBA দখল করছে।  IE Planning দখল করছে  IP এর স্টুডেন্ট রা,  Dyeing, Lab দখল করছে ক্যামিকেল  ইঞ্জিনিয়ার রা তাই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের এরিয়া দিন দিন ছোট ছোট হয়ে যাচ্ছে । আমাদের দেশের ফেক্টরি গুলিতে কি ভাবে ইঞ্জিনিয়ার দের মেধা ইউটিলাইজ করতে হয় তা তাদের জানা নাই ।  রেগুলার প্রসেস আর কোয়ালিটির বালাই না থাকায় ইঞ্জিনিয়ার টেকনোলজিস্ট এর ডিমান্ড কমে গেসে।
এখন বলতে পারেন, এই দুই হাজার টেক্সটাইল গ্র্যাজুয়েট কী করে ? অর্থাৎ তারা কীভাবে চলে ?  যারা বেকার পড়ে থাকে তারা সারা বছর চাকরি খুঁজে বেড়ায় ।

না এই বিষয়ে আমরা বলবো ইন্সটিটিউশন গুলির গ্রেজুয়েট এনরোলমেন্ট এবং ফেক্টরির ম্যানপাওয়ার রিক্রুটমেন্ট প্রসেস স্টাডি করলে মার্কেট সম্পর্কে ভালো আইডিয়া পাওয়া যাবে।
এটি সম্পুর্ন এনালিটিক্যাল পোস্ট এর সাথে ডিমটিভেশন কিংবা ইন্সপাইরেশন দেয়ার কোন সম্পর্ক নেই ।  আমাদের সুন্দর ক্যারিয়ার প্লানিং এর জন্য আমাদের  রিয়েল মার্কেট রিসার্চ থাকা জরুরী এর ক্যারিয়ার প্লানিং এবং কোয়ালিটি বিল্ডাপ এর ক্ষত্রে সুবিধা হয়।  আর মার্কেট ডিমান্ড এটা জাতীয় সমস্যা ব্যাক্তিগত কোন সমস্যা না।









কোন মন্তব্য নেই: