ক্যাম্পাস রিভিউঃ
শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বরিশাল।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভূক্ত একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।কলেজটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভাগীয় শহর বরিশালে অবস্থিত। বাংলাদেশের বস্ত্র সম্পর্কিত শিক্ষার একটি অন্যতম বিদ্যাপীঠ এটি।
ইতিহাস:
১৯৮০ সালে বরিশালের প্রাণকেন্দ্র সি এন্ড বি রোডে জেলা টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট নামে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। তখন ২ বছর মেয়াদী সার্টিফিকেট ইন টেক্সটাইল কোর্স চালু ছিল।১৯৯৪ সালে টেক্সটাইল ডিপ্লোমার ব্যাপকতার কথা বিবেচনা করে বস্ত্র দপ্তর প্রতিষ্ঠানটিতে ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স চালু করে। তখন প্রতিষ্ঠানটির নাম দেওয়া হয়েছিল ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (ITET)।১৯৯৬ সালে নামকরণ করা হয় টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, বরিশাল।
১৯৮০ সালে বরিশালের প্রাণকেন্দ্র সি এন্ড বি রোডে জেলা টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট নামে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। তখন ২ বছর মেয়াদী সার্টিফিকেট ইন টেক্সটাইল কোর্স চালু ছিল।১৯৯৪ সালে টেক্সটাইল ডিপ্লোমার ব্যাপকতার কথা বিবেচনা করে বস্ত্র দপ্তর প্রতিষ্ঠানটিতে ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স চালু করে। তখন প্রতিষ্ঠানটির নাম দেওয়া হয়েছিল ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (ITET)।১৯৯৬ সালে নামকরণ করা হয় টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, বরিশাল।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির নাম শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,বরিশাল।২০১০ সালে কলেজটিতে বি.এসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করে।বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ কলেজটির শুভ উদ্বোধন করেন।বর্তমানে এখানে ৪টি ব্যাচ অধ্যয়নরত রয়েছে এবং ৪টি ব্যাচ বের হয়েছে।এছাড়াও IEB এর সদস্য ITET এর অনুমোদন ও রয়েছে অত্র ক্যাম্পাসের।
অবস্থান:
বরিশালের সি এন্ড বি রোড সংলগ্ন টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) এর বিপরীত দিকে অবস্থিত।এটি ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক নামেও পরিচিত।এটি বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল (নথুল্লাবাদ) থেকে ০.২ কিমি দক্ষিণে,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ কিমি উত্তরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অবস্থান।
বরিশালের সি এন্ড বি রোড সংলগ্ন টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) এর বিপরীত দিকে অবস্থিত।এটি ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক নামেও পরিচিত।এটি বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল (নথুল্লাবাদ) থেকে ০.২ কিমি দক্ষিণে,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ কিমি উত্তরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অবস্থান।
আবাসিক ব্যবস্থা:
কলেজ সংলগ্ন মেসে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নতমানের আবাসন ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও বর্তমানে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ৪তলা ভবন বিশিষ্ট পৃথক হোস্টেল নির্মান করা হয়েছে।যেখানে রয়েছে পড়াশোনার জন্য মনোরম পরিবেশ এবং উন্নত সুযোগ-সুবিধা।
কলেজ সংলগ্ন মেসে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নতমানের আবাসন ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও বর্তমানে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য ৪তলা ভবন বিশিষ্ট পৃথক হোস্টেল নির্মান করা হয়েছে।যেখানে রয়েছে পড়াশোনার জন্য মনোরম পরিবেশ এবং উন্নত সুযোগ-সুবিধা।
কোর্স সমূহ:
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এই কলেজটিতে যেসব বিষয়ে চার বছর মেয়াদী বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু রয়েছেঃ-
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এই কলেজটিতে যেসব বিষয়ে চার বছর মেয়াদী বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু রয়েছেঃ-
১.ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং(YE)
২.ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং(FE)
৩.ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং(WPE)
৪.অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং(AE)
৫.ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি(প্রক্রিয়াধীন)
একাডেমিক কার্যক্রম:
ভর্তি প্রক্রিয়া:
বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ এসএসসি এবং এইচএসসি এর ফলাফলের ভিত্তিতে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকে।
বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ এসএসসি এবং এইচএসসি এর ফলাফলের ভিত্তিতে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির সুযোগ পেয়ে থাকে।
বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের আসন বিন্যাস নিম্নরূপ :
১.ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং (৩০)
২.ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং (৩০)
৩.ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (৩০)
৪.অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং (৩০)
মোট আসন সংখ্যা- ১২০
শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন:
প্রতি পর্ব এবং বর্ষোন্নয়ন পরীক্ষাতে ৪০ শতাংশ নম্বর পেলে ছাত্রছাত্রীরা পরবর্তী পর্বে বা বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারে। সকল পর্বে শ্রেণিকুইজ এবং বোর্ড নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পরবর্তী পর্বে অংশগ্রহন করার সুযোগ পায়।
শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশাল এর গ্রেডং পদ্ধতি
নাম্বার শ্রেণী গ্রেড লেটার গ্রেড পয়েন্ট
৮০-১০০ A+ ৪.০০
৭৫-৮৯ A ৩.৭৫
৭০-৭৪ A- ৩.৫০
৬৫-৬৯ B+ ৩.২৫
৬০-৬৪ B ৩.০০
৫৫-৫৯ B- ২.৭৫
৫০-৫৪ C+ ২.৫০
৪৫-৪৯ C ২.২৫
৪০-৪৪ D ২.০০
০০-৩৯ F ০.০০
সহপাঠক্রমিক কর্মকান্ড:
ক্রিড়া প্রতিযোগীতা
প্রতিবছর অক্টোবর-ডিসেম্বর এর মধ্যে কলেজের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত হয়।
ক্রিড়া প্রতিযোগীতা
প্রতিবছর অক্টোবর-ডিসেম্বর এর মধ্যে কলেজের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্টিত হয়।
শিক্ষা সফর:
কলেজ কতৃপক্ষ প্রতি বছরই বাংলাদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গায় শিক্ষা সফর অর্থাৎ ভ্রমনের ব্যবস্থা করে। পাশাপাশি প্রতি পর্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন সুপ্রতিষ্ঠিত টেক্সটাইল মিল গুলোতে ভ্রমনের সুযোগ দেয়।যেখানে যাতায়াতের জন্য রয়েছে ক্যাম্পাসের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা।
কলেজ কতৃপক্ষ প্রতি বছরই বাংলাদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গায় শিক্ষা সফর অর্থাৎ ভ্রমনের ব্যবস্থা করে। পাশাপাশি প্রতি পর্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন সুপ্রতিষ্ঠিত টেক্সটাইল মিল গুলোতে ভ্রমনের সুযোগ দেয়।যেখানে যাতায়াতের জন্য রয়েছে ক্যাম্পাসের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা।
ক্যাম্পাসে একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন সচেতনতা ও সামাজিক সহয়তামূলক সংগঠন।
ছাত্র সংগঠন:
প্রয়াস- সামাজিক সংগঠন
সার্সটেক ক্যারিয়ার ক্লাব-SCC
উচ্ছ্বাস-সাংস্কৃতিক সংগঠন
Campus Radio -SARSTEC RADIO 00.08 FM
দেয়াল পত্রিকা-সুঁই-সুতা
Sarstec Blood Donner's Club-রক্তদাতা সংগঠন
সার্সটেক বিজ্ঞান ক্লাব
Sarstec debating club
Sarstec sports club
সার্সটেকশিয়ান মিডিয়া এন্ড ফটোগ্রাফি সোসাইটি-SMPS
গ্রন্থাগার:
এ কলেজে সুসজ্জিত গ্রন্থাগার আছে। এখানে স্থান পেয়েছে দেশি ও বিদেশী সহস্রাধিক টেক্সটাইল ও সাহিত্য বিষয়ক বই। রয়েছে ধর্মীয় ও অন্যান্য জ্ঞান মূলক বই। লাইব্রেরী কার্ড জমাদান সাপেক্ষে যে কেউ প্রয়োজনীয় বই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইস্যু করে নিতে পারে। লাইব্রেরিতে দৈনিক, সাপ্তাহিক পত্রিকার ব্যবস্থা রয়েছে। লাইব্রেরিতে পৃথক পৃথক টেবিলে বসে পুস্তক এবং পত্র পত্রিকা পাঠ করা যায়।
এছাড়াও ক্যাম্পাসে যা যা রয়েছে:-
১. একটি নতুন একাডেমিক ভবন
২. একটি জুট স্পিনিং শেড
৩.একটি কটন স্পিনিং শেড
৪. একটি পুরাতন একডেমিক ভবন
৫. একটি টিচার্স ডরমিটরি
৬. টিচার্স কোয়াটার
৭. স্টাফ কোয়াটার
৮. ৪তলা বিশিষ্ট ছাত্র হল
৯. ৪ তলা বিশিষ্ট ছাত্রী হল
১০. কম্পিউটার ল্যাব
১১. ফেব্রিক ল্যাব
১২. ওয়েট ল্যাব
১৩. রসায়ন ল্যাব
১৪. পদার্থ ল্যাব
১৫. মেকানিক্যাল মেশিন ল্যাব
১৬. এপ্যারেল ল্যাব
১৭. একটি মসজিদ
১৮. অডিটোরিয়াম
১৯. গেষ্ট ডরমিটরি
২০. একটি শহীদ মিনার
২১. একটি সুবিশাল পুকুর
পরিশেষে,বর্তমানে ৬টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজই পারে একজন ছাত্র/ছাত্রীকে তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার গন্তব্যে পৌছে দিতে।তবে এক্ষেত্রে কিছুটা হলেও এগিয়ে আছে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশাল(SARSTEC)।তাই জীবনের লক্ষে পৌছাতে অন্যদের থেকে একধাপ এগিয়ে রাখতে এই ক্যাম্পাসে জানাই স্বাগতম।
Proud to be an SARSTECian
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন