ক্যাম্পাস ভার্স্কয : "চরকা" | বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ , টাঙ্গাইল - Textile Lab | Textile Learning Blog
ক্যাম্পাস ভার্স্কয


ঐতিহ্যের স্মারক "চরকা" বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ  ,টাঙ্গাইল আবহমানকাল থেকেই বাংলার তাঁতশিল্পের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে চরকা। এই চরকাকে অবলম্বন করেই প্রাচীনকালে তাঁতশিল্পের সাথে জড়িতরা তাদের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতো। অধুনা প্রযুক্তিসমৃদ্ধ মেশিনের কাছে হার মেনে এই যন্ত্রটি বিলুপ্তপ্রায়। শহর থেকে তো বটেই আজকাল গ্রামে-গঞ্জেও এর দেখা মেলা ভার।

বাংলার হারিয়ে যাওয়া এই ঐতিহ্যকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে নির্মিত হয়েছে "চরকা"। এর কারিগর ভাস্কর সৈয়দ সাইফুল কবীর রঞ্জু। প্রতিষ্ঠানের মূল প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবেশ করলে চোখে পড়বে ভাস্কর্যটিকে। শ্বেতবর্ণের ভাস্কর্যটি বেদিসহ ১৭ ফুট বাই ১২ ফুট জায়গার ওপর নির্মিত। চরকার অংশটি মূল ভিত্তি থেকে ৫ ফুট উপরে।

ভাস্কর্যের বিষয়বস্তুতে শাশ্বত বাংলার চরকায় সুতা কাটারত এক রমনী এবং সুতা ভরার নলী দিয়ে সাহায্যকারী বালকের প্রতিকৃতি স্থান পেয়েছে। ২০১৪ সালের মার্চে পূর্ণোদ্যমে ভাস্কর্যটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় একই বছরের অক্টোবর মাসে।

অতীতে তাঁতবস্ত্র তৈরির জন্যে প্রধান এই যন্ত্রটির প্রচলন ছিল। হস্তচালিত তাঁতশিল্পের স্বর্ণযুগে তো বটেই নব্বই দশকের দিকেও বাংলার প্রায় প্রত্যেক ঘরে এই বুনন যন্ত্রটি ছিল। বয়নকারীরা ব্যবহার্য শাড়ি, লুঙ্গিসহ যাবতীয় কাপড় প্রস্তুতে যন্ত্রটি ব্যবহার করতেন। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনের ফলে এটি কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে।

তাঁত শিল্পের ঘাঁটি বলে পরিচিত টাঙ্গাইল। এই শিল্পের সাথে চরকা জড়িয়ে থাকায় এরকম ভাস্কর্য যেমন তাঁতী সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছে তেমনি জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বাহক হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।

News Source : TEXineer

ক্যাম্পাস ভার্স্কয : "চরকা" | বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ , টাঙ্গাইল

ক্যাম্পাস ভার্স্কয


ঐতিহ্যের স্মারক "চরকা" বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ  ,টাঙ্গাইল আবহমানকাল থেকেই বাংলার তাঁতশিল্পের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে চরকা। এই চরকাকে অবলম্বন করেই প্রাচীনকালে তাঁতশিল্পের সাথে জড়িতরা তাদের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতো। অধুনা প্রযুক্তিসমৃদ্ধ মেশিনের কাছে হার মেনে এই যন্ত্রটি বিলুপ্তপ্রায়। শহর থেকে তো বটেই আজকাল গ্রামে-গঞ্জেও এর দেখা মেলা ভার।

বাংলার হারিয়ে যাওয়া এই ঐতিহ্যকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে নির্মিত হয়েছে "চরকা"। এর কারিগর ভাস্কর সৈয়দ সাইফুল কবীর রঞ্জু। প্রতিষ্ঠানের মূল প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবেশ করলে চোখে পড়বে ভাস্কর্যটিকে। শ্বেতবর্ণের ভাস্কর্যটি বেদিসহ ১৭ ফুট বাই ১২ ফুট জায়গার ওপর নির্মিত। চরকার অংশটি মূল ভিত্তি থেকে ৫ ফুট উপরে।

ভাস্কর্যের বিষয়বস্তুতে শাশ্বত বাংলার চরকায় সুতা কাটারত এক রমনী এবং সুতা ভরার নলী দিয়ে সাহায্যকারী বালকের প্রতিকৃতি স্থান পেয়েছে। ২০১৪ সালের মার্চে পূর্ণোদ্যমে ভাস্কর্যটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় একই বছরের অক্টোবর মাসে।

অতীতে তাঁতবস্ত্র তৈরির জন্যে প্রধান এই যন্ত্রটির প্রচলন ছিল। হস্তচালিত তাঁতশিল্পের স্বর্ণযুগে তো বটেই নব্বই দশকের দিকেও বাংলার প্রায় প্রত্যেক ঘরে এই বুনন যন্ত্রটি ছিল। বয়নকারীরা ব্যবহার্য শাড়ি, লুঙ্গিসহ যাবতীয় কাপড় প্রস্তুতে যন্ত্রটি ব্যবহার করতেন। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনের ফলে এটি কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে।

তাঁত শিল্পের ঘাঁটি বলে পরিচিত টাঙ্গাইল। এই শিল্পের সাথে চরকা জড়িয়ে থাকায় এরকম ভাস্কর্য যেমন তাঁতী সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছে তেমনি জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বাহক হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।

News Source : TEXineer

কোন মন্তব্য নেই: