তারপরেও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বাবা মায়েরা একটি সুন্দর স্বপ্ন দেখে...।
ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পরে; নিঃসন্দেহে বাবা মায়ের কাছে এটা চরম আনন্দের।
আর ছেলে যদি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পরে তবে আনন্দটা আরও বেশি।
কেন না এদেশে ঝালমুড়ি বিক্রেতা থেকে শুরু করে রীতিমত বুদ্ধিজীবীরাও মনে করে থাকে দেশের সব থেকে ব্রাইট ফিউচার আছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে। তবে এই উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আড়ালে যে কত অন্ধকার তা কেবল তার কাছের মানুষেরাই বুঝতে পারে। যেই ছেলে আগে বাবার সাথে বসে বিরস টক শো দেখতেও মজা পেত সেই ছেলে বদলে যায় দ্রুত। খুব সকালে বাসা থেকে বের হয় আর খুব রাতে ফিরে অফিস থেকে। আবার নাইট ডিউটি থাকলে নাইট ডিউটি থেকে ফেরার পরেও মাঝে মাঝে ছুটে যেতে হয় অফিসে। মেজাজ তার খিটখিটে হয়ে যায়। অল্পতেই রেগে উঠে। অফিসে গিয়ে শুরুর দিকে ফোন করে বাবা মায়ের খোজ খবর নিত কিন্ত আস্তে আস্তে তাও কমে যায়। আর ছেলে খবর নিবেই বা কি করে? কারখানায় থাকাকালীন মনে হয় টয়লেটের ভিতরে ছাড়া শান্তি মত ফোনে কথা বলার জায়গা নেই। কারণ সারাদিন তাকে হাজারটা সমস্যা নিয়ে ছুটতে হয়। চার পাঁচজন লোক পিছে সিরিয়াল দিয়েই থাকে নানা সমস্যা নিয়ে। কিন্তু বাবা মায়ের মনতো আর এসব বুঝতে চায় না। পাশের বাসার রহমান সাহেবের ছেলে ১ ঘণ্টা পর পরেই ফোন করে বাবা মায়ের খবর নেয়, সকাল নয়টায় অফিসে যায় মাগরিবের আগেই বাসায় ফিরে কিন্তু তার ছেলের বেলায় কেন এমন। এই প্রশ্নগুলোর কোন উত্তর তারা পায় না। ধীরে ধীরে তারা একটু হলেও ছেলের কষ্ট বুঝতে পারে। ছেলের চাকুরী যে আর দশটা চাকুরীজীবীর মত না তা বোঝা যায় অল্প দিনেই। মাঝে মাঝে তারা আফসোস করে, ছেলেকে কেন যে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ালাম।
তারপরেও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বাবা মায়েরা একটি সুন্দর স্বপ্ন দেখেঃ "আরেকটু সিনিয়র হলেই হয়ত ছেলের চাকরির কষ্ট, কাজের চাপ একটু কমবে।"
Written By : ফজলে রাব্বি জেমস
ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পরে; নিঃসন্দেহে বাবা মায়ের কাছে এটা চরম আনন্দের।
আর ছেলে যদি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পরে তবে আনন্দটা আরও বেশি।
কেন না এদেশে ঝালমুড়ি বিক্রেতা থেকে শুরু করে রীতিমত বুদ্ধিজীবীরাও মনে করে থাকে দেশের সব থেকে ব্রাইট ফিউচার আছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লে। তবে এই উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আড়ালে যে কত অন্ধকার তা কেবল তার কাছের মানুষেরাই বুঝতে পারে। যেই ছেলে আগে বাবার সাথে বসে বিরস টক শো দেখতেও মজা পেত সেই ছেলে বদলে যায় দ্রুত। খুব সকালে বাসা থেকে বের হয় আর খুব রাতে ফিরে অফিস থেকে। আবার নাইট ডিউটি থাকলে নাইট ডিউটি থেকে ফেরার পরেও মাঝে মাঝে ছুটে যেতে হয় অফিসে। মেজাজ তার খিটখিটে হয়ে যায়। অল্পতেই রেগে উঠে। অফিসে গিয়ে শুরুর দিকে ফোন করে বাবা মায়ের খোজ খবর নিত কিন্ত আস্তে আস্তে তাও কমে যায়। আর ছেলে খবর নিবেই বা কি করে? কারখানায় থাকাকালীন মনে হয় টয়লেটের ভিতরে ছাড়া শান্তি মত ফোনে কথা বলার জায়গা নেই। কারণ সারাদিন তাকে হাজারটা সমস্যা নিয়ে ছুটতে হয়। চার পাঁচজন লোক পিছে সিরিয়াল দিয়েই থাকে নানা সমস্যা নিয়ে। কিন্তু বাবা মায়ের মনতো আর এসব বুঝতে চায় না। পাশের বাসার রহমান সাহেবের ছেলে ১ ঘণ্টা পর পরেই ফোন করে বাবা মায়ের খবর নেয়, সকাল নয়টায় অফিসে যায় মাগরিবের আগেই বাসায় ফিরে কিন্তু তার ছেলের বেলায় কেন এমন। এই প্রশ্নগুলোর কোন উত্তর তারা পায় না। ধীরে ধীরে তারা একটু হলেও ছেলের কষ্ট বুঝতে পারে। ছেলের চাকুরী যে আর দশটা চাকুরীজীবীর মত না তা বোঝা যায় অল্প দিনেই। মাঝে মাঝে তারা আফসোস করে, ছেলেকে কেন যে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ালাম।
তারপরেও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বাবা মায়েরা একটি সুন্দর স্বপ্ন দেখেঃ "আরেকটু সিনিয়র হলেই হয়ত ছেলের চাকরির কষ্ট, কাজের চাপ একটু কমবে।"
Written By : ফজলে রাব্বি জেমস
1 টি মন্তব্য:
"আরেকটু সিনিয়র হলেই হয়ত ছেলের চাকরির কষ্ট, কাজের চাপ একটু কমবে।"???
লুল!!!
উল্টো অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে...।।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন