জেনে রাখুন পোশাক কারখানার কিছু কমপ্লায়েন্স ইস্যু - Textile Lab | Textile Learning Blog

জেনে রাখুন পোশাক কারখানার কিছু কমপ্লায়েন্স ইস্যু

পোশাক কারখানার কিছু কমপ্লায়েন্স ইস্যু 

1.কারখানার বহির্গমন পথের দুরত্ব শ্রমিকের কাজের স্থান হইতে সর্বোচ্চ 50 মিটার। বিধি-54(2)

2. কোন স্থানে 20 জনের অধিক লোক কাজ করিলে দুইটি করিয়া বহির্গমন পথ থাকিতে হইবে। বিধি-54(1)

3.বহির্গমন পথের প্রস্থ 1.15মিটার এবং উচ্চতা 2.00 মিটারের কম হইতে পারবে না। বিধি-54(2)

4.কারখানার বহির্গমন সিড়ি হ্যান্ড রেইল যুক্ত হবে এবং হ্যান্ড রেইল তাপ অপরিবাহী এবং অগ্নিপ্রতিরোধক পদার্থ দ্বারা তৈরী করতে হবে। বিধি-54(4)

5. ছয় তলা বিশিষ্ট কোন ভবনের কোন সিড়ি 1.15 মিটারের কম প্রশস্থ হইবে না। বিধি-54(7)

6.ছয় তলার অধিক উচ্চতাসম্পন্ন ভবনের সিড়ি 2.00 মিটারের কম প্রশস্থ হইবে না। বিধি-54(7)

7.বহুতল বিশিষ্ট কারখানা ভবনের ক্ষেত্রে বি. এন. বি.সি নীতিমালা অনুনরন করতে হইবে। বিধি-54(7)

8.বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা 2015 জারির আগে যে সকল বহুতল বিশিষ্ট কারখানা ভবন নির্মিত হইয়াছে সেসব কারখানার সিড়ির প্রশস্থতা কোনক্রমেই 1.15 মিটারের কম হইবে না। বিধি-54(7)

9.পুরাতন অবকাঠামোজনিত কারনে যেখানে সিড়ির প্রশস্থতা বাড়ানোর সুযোগ নেই সেই ক্ষেত্রে সিড়ির প্রশস্থতা 0.82মিটারের কম হইবে না। বিধি-(54(7)

10) কোন সিড়ি সমতল হইতে 45 ডিগ্রি কোনের অধিক কৌনিক দুরত্বে নির্মান করা যাইবে না।বিধি-54(6)

11) প্রতি 100 জন শ্রমিকের জন্য একটি করে পৃথক আবর্জনা ও পিকদানি বাকস রাখতে হবে। বিধি-52(1) এর ক

12.পিকদানি গুলো প্রতি 7দিনে একবার খালি করে পরিষ্কার করতে হবে। বিধি-52 (1) এর গ

13.) কোন প্রতিষ্ঠানে 250 জনের অধিক শ্রমিক কাজ করিলে প্রতি বৎসর 1লা এপ্রিল হইতে 30 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্যান্টিন, খাবারঘর ও বিশ্রামঘরে পান করার পানি ঠান্ডা করে সরবরাহ করতে হবে। বিধি-50(6)

14) বহির্গমন সিড়িতে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল ও আলোর ব্যবস্থা থাকতে হইবে এবং কাজ চলাকালীন সময়ে বন্ধ বা তালাবদ্ধ রাখা যাবে না। বিধি-54(9)

15) প্রত্যক ফ্লোরে নুন্যতম একটি গ্রীল বিহীন জানালা থাকতে হবে। বিধি-54(10)

16) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের প্রতি তলায় প্রতি 1000 বর্গমিটার এলাকার জন্য 200 লিটার ধারন ক্ষমতাসম্পন্ন পানি ভর্তি একটি ড্রাম এবং 10 লিটার ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন চারটি করে ধাতব পদার্থ দ্বারা নির্মিত লাল রঙের খালি বালতি ঝুলন্ত অবস্থায় রাখতে হবে। বিধি- 55(1)

17) কোন প্রতিষ্ঠানে যদি হাইড্রেন্ট বা স্পিংলার থাকে তাহলে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। বিধি-55(1) এর গ

18) প্রত্যেক ভবনের প্রতি 850 বর্গমিটার স্থানের জন্য প্রতি তলায় হোজ রিল স্থাপন করতে হবে। বিধি-55(1) এর ঘ

19) প্রতি 90 বর্গমিটার স্থানের জন্য একটি করিয়া ড্রাই ক্যামিকেল পাউডার অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন করতে হবে। বিধি- 55 (2)

20) অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের তলদেশ ফ্লোর হইতে 1000 মিলিমিটার উপরে স্থাপন করতে হবে। বিধি-55(7) এর ঘ

21) ভবনের প্রত্যেক ফ্লোরে সহজে দেখা যায় এমন স্থানে ইভাকুয়েশন প্ল্যান স্থাপন করতে হবে। বিধি-55(8)

22) প্রতিষ্ঠানের প্রত্যক বিভাগে কর্মরত শ্রমিকদের কমপক্ষে 18% শ্রমিককে অগ্নিনির্বাপন, জরুরি উদ্ধার, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং বহনযোগ্য অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষন প্রদান করতে হবে। বিধি-55(10)

23) (ক)- অগ্নিনির্বাপক দল: হলুদ রঙের এপ্রোন পিছনে লাল রঙে ’আগুন’ লেখা থাকবে। বিধি 55(11)

(খ) উদ্ধারকারী দল:- হলুদ রঙের এপ্রোন পিছনে লাল রঙে উদ্ধার লেখা থাকবে। বিধি 55(11)

(গ) প্রাথমিক চিকিৎসাদল :-সাদা রঙের এপ্রোন পিছনে লাল রঙ এ প্রাথমিক চিকিৎসা লেখা থাকবে। বিধি-55(11)

24) কমপক্ষে 500 জন শ্রমিক থাকিলে কোন কারখানায় ফায়ার সেফটি অফিসার লাগবে। বিধি-55(12)

25) প্রতি ছয় মাসে অন্তত একবার অগ্নিনির্বাপন ও অগ্নিমহড়ার আয়োজন করতে হবে। বিধি-55(14)

26) অগ্নি মহড়া আয়োজনের কমপক্ষে 15 দিন আগে যেই এলাকায় কারখানা বা প্রতিষ্ঠান অবস্থিত সেই এলাকার পরিদর্শক ও নিকটবর্তী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। বিধি-55(14)

27) প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে আগুন নেভানোর জন্য 5000 লিটার ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি জলাধার এর ব্যবস্থা করতে হবে। বিধি-55(15)

⛔ বহিরাগমন পথের সংখ্যা:

শ্রম আইন অনুযায়ী যদি কোন কক্ষে ২০ এর বেশি ব্যক্তি এক সাথে কাজ করেন তবে দুটি বহিরাগমন পথ থাকতে হবে।

তবে দুটি বহিরাগমন পথের মধ্যে ৫০ মিটারের বেশি দূরত্ব থাকবে না।

একটি ভবনে মোট কতগুলো বহিরাগমন পথ থাকবে সে বিষয়ে সুনিদিষ্ট কোন নিদেশনা নেই শ্রম আইনে তবে বাংলাদেশে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোডে সুনিদিষ্ট ভাবে বলা হয়েছে।

কোন ভবনে ৫০০ বা তার কম লোক থাকলে ২ টি বহিরাগমন পথ থাকতে হবে।

৫০১ থেকে ১০০০ থাকলে ৩ টি বহিরাগমন পথ থাকতে হবে।

১০০০ এর বেশি থাকলে ৪ টি বহিরাগমন থাকতে হবে।


⛔ কিভাবে শিল্পে পয়ঃ নিস্কাশন / ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করতে হয়?

শিল্পে পয়ঃ নিস্কাশন / ওয়াশরুমের ব্যবস্থা
বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে পুরুষ এবং নারীর অবদান প্রায় সমতুল্য। সেক্ষেত্রে টয়লেট একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার বিষয়। অনেক ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত টয়লেটের অভাবে পুরুষ এবং নারী শ্রমিককে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে পরিবেশ বান্ধব টয়লেটের অভাব থাকে । অনেক ফ্যাক্টরীতে থাকে না নারী ও পুরুষের আলাদা টয়লেট ব্যবস্থা। বাধাগ্রস্থ হয় কাজের গতি এবং মান, বৃদ্ধি পায় শারীরিক ও মানষিক কষ্ট।


শিল্পে টয়লেট ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিৎ:
অকুপেশনাল সেফটি এন্ড হেলথ এডমিনিস্ট্রেশন অনুযায়ী টয়লেট ব্যবস্থা (পুরুষ শ্রমিকের জন্য) নি¤œরূপ (টোবল নং ১০.২.১) হতে হবে,

পুরুষ শ্রমিক সংখ্যার সাথে টয়লেটে সংখ্যার সম্পর্ক
ব্যক্তি/ শ্রমিক সংখ্যা টয়লেট সুবিধা (সংখ্যা)
১-১৫ জন হলে ১ টি টয়লেট
১৬-৩৫ জন হলে ২ টি টয়লেট
৩৬-৫৫ জন হলে ৩ টি টয়লেট
৫৬-৮০ জন হলে ৪ টি টয়লেট
৮১-১১০ জন হলে ৫ টি টয়লেট
১১১-১৫০ জন হলে ৬ টি টয়লেট যথেষ্ট
১৫০ জনের অতিরিক্ত এবং প্রতি ৪০ জনের জন্য
অতিরিক্ত ১টি করে টয়লেট

অকুপেশনাল সেফটি এন্ড হেলথ এডমিনিস্ট্রেশন অনুযায়ী টয়লেট ব্যবস্থা (মহিলা শ্রমিকের জন্য) নিম্নরূপ (টেবিল নং ১০.২.২) হতে হবে,

মহিলা শ্রমিক সংখ্যার সাথে টয়লেটে সংখ্যার সম্পর্ক
ব্যক্তি/ শ্রমিক সংখ্যা টয়লেট সুবিধা (সংখ্যা)
১-৫ জন হলে ১ টি টয়লেট
৬-২৫ জন হলে ২ টি টয়লেট
২৬-৫০ জন হলে ৩ টি টয়লেট
৫১-৭৫ জন হলে ৪ টি টয়লেট
৭৬-১০০ জন হলে ৫ টি টয়লেট
১০১-১৫০ জন হলে ৬ টি টয়লেট যথেষ্ট
১৫০ জনের অতিরিক্ত এবং প্রতি ৪০ জনের জন্য
অতিরিক্ত ১টি করে টয়লেট

পুরুষ এবং মহিলা শ্রমিকদের আলাদা আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
কর্মস্থল হতে টয়লেটে সুবিধার দুরত্ব যথাযথ কাছাকাছি হতে হবে যেন শ্রমিকেরা তাৎক্ষণিক টয়লেটে যেতে পারে।
পুরুষ এবং মহিলা শ্রমিকদের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রতিটি টয়লেটের প্রকষ্ঠ আলাদাভাবে দরজা, পানি, পর্যাপ্ত উচ্চতা সম্পন্ন পার্টিশনের নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
প্রতিটি টয়লেট বা শৌচাগারে ঠান্ডা, গরম বা ঈষৎ গরম পনির অবিরাম প্রবাহ নিশ্চিৎ করতে হবে।
প্রতিটি টয়লেট বা শৌচাগারে অবশ্যই টয়লেট টিস্যু থাকতে হবে।
প্রতিটি টয়লেট বা শৌচাগারে হাত ধোয়ার সাবান বা সাবান সমতুল্য জিন।
collected.

কোন মন্তব্য নেই: