Earn Leave/অর্জিত ছুটি কিভাবে নির্ণয় করা হয় ??
প্রত্যেক শ্রমিক বাৎসরিক ছুটির হিসেবের ক্ষেত্রে দুটি হিসেব রয়েছে। নিন্মে নিয়ম দুটি আলোচনা করা হল:-
১) একজন শ্রমিকের বাৎসরিক ছুটি ভোগের অধিকার অর্জনের হিসেব:-
যখন একজন শ্রমিক অবিচ্ছিন্নভাবে কোন প্রতিষ্ঠানে এক বৎসর চাকুরি করেন তখন সংশ্লিষ্ট শ্রমিক উক্ত প্রতিষ্ঠানে বাৎসরিক ছুটি ভোগের অধিকারী হন।
এই এক বৎসর (বার মাস) চাকুরির অবিচ্ছিন্নতা হিসেবের ক্ষেত্রে উক্ত শ্রমিক নিন্মলিখিত কারনে প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলেও তার চাকুরির কোন বিচ্ছিন্নতা গঠিবে না অর্থাৎ তিনি অবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছেন বলে গন্য হবেন।
(ক) কোন বন্ধের দিন;
(খ) কোন মজুরীসহ ছুটি;
(গ) পীড়া বা দূর্ঘটনার কারণে মজুরীসহ বাদ মজুরী ছাড়া কোন ছুটি;
(ঘ) অনধিক ষোল সপ্তাহ পর্যন্ত প্রসূতি ছুটি;
(ঙ) কোন লে-অফ;
(চ) আইনসম্মত কোন ধর্মঘট বা বে-আইনী কোন লক- আউট;
অর্থাৎ কোন শ্রমিক উপরোল্লিখিত দিনগুলো এবং কাজে উপস্থিতি সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে এক বৎসর চাকুরি করলে তিনি অবিচ্ছিন্নভাবে এক বৎসর চাকুরি সম্পূর্ন করেছেন বলে গন্য হবেন এবং তিনি অর্জিত ছুটি ভোগের অধিকারী হবেন।
[তথ্যসূত্র:- বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা- ১১৭ (১),(২) ও (৮)]
২) বাৎসরিক ছুটি ভোগের অধিকারী একজন শ্রমিক পরবর্তী বারো মাস সময়ে পূর্ববর্তী বারো মাসে কাজের জন্য কতদিন ছুটি পাবেন তার হিসেব:-
কোন প্রতিষ্ঠানে একজন শ্রমিক বাৎসরিক ছুটি পাওয়ার অধিকারী হলে তিনি উক্ত ছুটি পরবর্তী বারো মাসে পূর্ববর্তী বারো মাসে কাজের জন্য কতদিন পাবেন, তা উক্ত শ্রমিকের বয়স এবং কর্মরত প্রতিষ্ঠানের ধরনের উপর ভিত্তি করে এর অনুপাত নির্ধারিত হয়।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এ শ্রমিকের বয়সের ভিত্তিতে সকল শ্রমিককে দুই শ্রেনীতে বিন্যাস করেছে। এ দুটি শ্রেনী হল
(ক) প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিক এবং
(খ) অপ্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিক।
নিন্মে এই দুই শ্রেনীর শ্রমিকদের বাৎসরিক ছুটির প্রাপ্যতার হার বিন্যাস দেখানো হলঃ
(ক) প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক:
প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক বাৎসরিক ছুটি প্রাপ্যর অধিকারী হলে পরবর্তী বারো মাস সময়ে তাহার পূর্ববর্তী বারো মাসের কাজের জন্য মজুরীসহ নিন্মবর্ণিত হারে গণনার ভিত্তিতে ছুটি মঞ্জুর করিতে হইবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন