টেক্সটাইল মিলে ফায়ার এলার্ম বাজলে বা দূর্ঘটনার সময়ে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য - Textile Lab | Textile Learning Blog
⛔♦⛔ ফায়ার এলার্ম বাজলে বা দূর্ঘটনার সময়ে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য




ফায়ার এলার্ম বাজলে বা দূর্ঘটনার সময়ে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য ঃ

 বাংলাদেশ শ্রমনিবিড় শিল্পগুলোর মধ্যে ১০০% রপ্তানীমুখী তৈরি পোশাক শিল্প অন্যতম। দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এ দেশের প্রচুর মানুষ সরাসরি সম্পৃক্ত, যাদের ৯০%  নারী শ্রমিক। ফ্যাক্টরীর বিভিন্ন স্থানে লাগানো স্মোক ডিটেক্টর ও হিট ডিটেক্টরের মাধ্যমে কোন স্থানে অগ্নি-কান্ডের ঘটনা ঘটলে তা কন্ট্রোল প্যানেলে প্রদশর্ন করবে সয়ংক্রিয় ভাবে বেল বাজবে। এই বেলের শব্দ শুনে সকলে অগ্নি-কান্ড স¤পর্কে অবহিত হবে। এবং কন্ট্রোল প্যানেলের রিপোর্ট দেখে কোন স্থানে অগ্নি-কান্ড ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ছাড়াও দেয়ালের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো গং বেল (ঘন্টা) বাজিয়ে ফায়ার এলার্ম দেয়া যাবে যাহা বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর ব্যবহার করার জন্য রাখা হয়েছে। পোশাক শিল্পের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে সদা সচেষ্ট এই বিপুল শ্রম-শক্তির সার্বিক কল্যাণে, কর্মক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তা বিধানে সকলের সু-দৃষ্টি, সম্মিলিত উদ্যোগ ও সচেতনতা অত্যাবশ্যক। তৈরি পোশাক শিল্প কারখানা এবং এ শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক/কর্মচারীদের উন্নয়নে অটো নীটওয়্যার লিঃ সদা জাগ্রত ও সচেষ্ট এবং এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।

◾একটি ইলেকট্রিক মটর ও একটি ইঞ্জিন চালিত ফায়ার পা¤প পানি সরবরাহের জন্য লাগানো আছে। যখন অগ্নি-কান্ডে ব্যবহৃত হবে তখন মোটর চালিত পা¤প ষ্ট্যান্ড বাই হিসাবে ও ইঞ্জিন চালিত পা¤প প্রধান ভুমিকা পালন করবে। ইঞ্জিন চালিত পা¤পটি পূর্ব নির্ধারিত চাপ (প্রেসার) কমা/বৃদ্ধির কারনে চালু/বন্ধ হয়। যদি কোন কারনে হাইড্রেন্ট চালু করা হয় তাহলে পা¤প সয়ংক্রিয় ভাবে চালু হয়ে যায়। এ কারনে বিদ্যুৎ সরবরাহ সব সময় চালু রাখা প্রয়োজন। তাই বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য একটি ষ্ট্যান্ড-বাই জেনারেটর লাগানো আছে যা গভীর নলকুপ মোটর পা¤েপর জন্য। পোশাক শিল্পে কর্মরত সকল প্রিয় শ্রমিক/কর্মচারী/কর্মকর্তাদের জরুরী পরিস্থিতি  নিয়ন্ত্রন, অগ্নি প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা বৃদ্ধিকল্পে প্রচার পত্রটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

◾স¤পুর্ন হাইড্রেন্ট পদ্ধতিতে সচল রাখা তথা পানির চাপ বজায় রাখার জন্য জকি পা¤প বসানো আছে। যদি কোন কারনে পানির চাপ কমে যায় তাহলে জকি পা¤প চালু হয়ে পানি পূর্ণ করে দেয়। এই পা¤পটিও পূর্ব নির্ধারিত চাপ (প্রেসার) কমা/বৃদ্ধির কারনে চালু/বন্ধ হয়। বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প একটি অনন্য রপ্তানীমুখী প্রতিষ্ঠান। গুনগত মানের জন্য বিশ্বজুড়ে  যার সুনাম রয়েছে। প্রতি বৎসর গার্মেন্টস শিল্পখাত থেকে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা অজির্ত হয়ে থাকে। ঊনবিংশ শতাব্দীর নব্বই দশক থেকে বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের প্রসার খুবই ব্যাপক ও উৎসাহব্যঞ্জক। সম্প্রতি কিছু গামের্ন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে সংঘটিত অগ্নিকান্ড ও দূর্ঘটনা দেশবাসীকে বিচলিত করেছে। এ প্রসংগে অগ্নিকান্ড ও দূর্ঘটনা প্রতিরোধ একান্ত জরুরী।



কমপ্লায়েন্স বিভাগের দায়িত্ব ও কর্তব্য ঃ

সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী/শ্রমিকগণকে নিয়মিত বিভিন্ন ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল অগ্নি নিরাপত্তামূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা এবং তার রেকর্ড রাখা কমপ্লায়েন্স বিভাগের দায়িত্ব। নির্ধারিত সময়সূচি অনুসারে কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার / কমপ্লায়েন্স অফিসার / ওয়েলফেয়ার অফিসার কারখানায় কর্মরত ব্যক্তিদের বিষয়ভিত্তিক   প্রশিক্ষণ প্রদান করেন এবং এ সংক্রান্ত রেকর্ড সংরক্ষণ করেন। প্রশিক্ষণের বিষয়সমূহ নি¤œরূপ। যথা,

◾অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক ইন্টারনাল প্রশিক্ষণ প্রতি মাসে অন্তত এক বার।

◾অগ্নি মহড়া প্রতিমাসে অন্তত এক বার।

◾অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ প্রতিমাসে এক বার।

◾অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র এবং সরঞ্জামাদীর পরীক্ষা প্রতিমাসে এক বার।

◾অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রিফিল রেজিষ্টার সংরক্ষণ।

অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক এক্সটারনাল প্রশিক্ষণ (বিজিএমইএ, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর মাধ্যমে) প্রতি বছর অন্তত দুই  বার।

◾ চিকিৎসক দলের সদস্যদের প্রশিক্ষণ।
মুক্ত দরজা নীতি।

◾ক্যমিকেলের যথাযথ ব্যবহার ও প্রশিক্ষন।

◾নিয়োমিত ইলেক্ট্রিক লাইন পরীক্ষা ও রেজিঃ সংরক্ষন।

উদ্দেশ্য

গার্মেন্টস শিল্পে অগ্নিকান্ড বা দূর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং প্রতিকার প্রসংগে কিকি করনীয় তার সমক্য ধারনা দেয়া।



ফার্ষ্ট এইড টিম এর দায়িত্ব ও কর্তব্য ঃ

এই দলের সদস্যবৃন্দ আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর আহত ব্যক্তিদের শ্রেনীবিন্যাস করে প্রয়োজন অনুযায়ী এম্বুলেন্স কিংবা উপস্থিত গাড়িতে করে হাসপাতালে/নার্সিংহোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।

আগুন লাগার সাইরেন শোনামাত্র দ্রুত ফার্ষ্ট এইড বক্সের কাছে গিয়ে নিরাপদ অবস্থান নিবে।

আহত বা অসুস্থ রোগীকে দ্রুততার সাথে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করবে।
প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ না হওয়ার মত অবস্থা হলে উদ্ধারকারী দলের সদস্যদেরকে দিয়ে দ্রুত এম আই রুমে প্রেরণ করবে।
কেবল মাত্র জরুরী অবস্থা ছাড়া, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ব্যতিরেকে স্থান ত্যাগ করবেনা।



ফায়ার এলার্ম বাজলে বা দূর্ঘটনার সময়ে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য ঃ-

আগুন লেগেছে দেখা মাত্র যে কেউ ফ্লোরে স্থাপিত ফায়ার এলার্ম সুইচ টিপে এলার্ম বাজাবে।

ফায়ার এলার্ম বা হুইসেল শোনা মাত্র ফায়ার ফাইটার ব্যতীরেকে ফ্লোরের সমস্ত লোকজন যত দ্রুত সম্ভব মেশিনের সুইচ অফ করে অথবা হাতের কাজ ফেলে ইভাকুয়েশন প্লান অনুযায়ী প্রত্যেকে সিঁিড় দিয়ে নেমে যাবে।

ফায়ার এলার্ম বা হুইসেল শোনা মাত্র ইলেকট্রিশিয়ান বা ফায়ার ফাইটিং দলের সদস্য ইলেকট্রিক মেইন  সুইচ অফ করবে এবং সাবষ্টেশন থেকেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্যাক্টরীর মেইন  সুইচ অফ করবে।

লোকজন সিঁিড় দিয়ে দ্রুত নামার সময় কোনভাবেই ধাক্কাধাক্কি এবং বিশৃংখলার সৃষ্টি করবেনা।

দ্রুত নামার সময়ে কেউ আতংক সৃষ্টি এবং হৈ-চৈ বা কান্নাকাটি করবেন না।

দ্রুত নামার সুবিধার্থে  নিজের জুতা বা টিফিন ক্যারিয়ার বা অন্য কিছু সঙ্গে নেয়ার চেষ্টা করবেন না।

ফ্যাক্টরী থেকে বের হয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে গাড়ী চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবেন না।

কারো গায়ের কাপড়ে আগুন ধরে গেলে তৎক্ষনাত ফ্লোরে শুয়ে গড়াগড়ি দিতে হবে। কোনক্রমেই দৌড়ানো যাবেনা।

ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে বাহির হওয়ার দেখতে না পেলে দ্রুত ফ্লোরে বসে হামাগুড়ি দিয়ে বাহির হয়ে আসতে হবে।

এছাড়া ফায়ার ফাইটিং, রেসকিউ, ফাস্ট এইড এবং অন্যান্য সকলে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব ও কতর্ব্য বিশ্বস্ততা এবং সাহসিকতার সাথে অবশ্যই পালন করবে।


অগ্নি  নির্বাপক দলের দায়িত্ব ও কতর্ব্য ঃ-
ফায়ার বেলের শব্দ শুনার সাথে সাথে এই দলের সদস্য বৃন্দ কন্ট্রোল প্যানেল কিংবা অন্য কারো মাধ্যমে অগ্নি-কান্ডের ঘটনাস্থল জেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদী সহ তথায় উপস্থিত হবেন এবং আগুন নিভানোর ব্যবস্থা করবেন। এই দলের নির্ধাতি ব্যক্তি ষ্ট্যান্ডবাই জেনারেটরের মাধ্যমে ফায়ার পা¤প চালু রেখে হাইড্রেন্ট পয়েন্টে যাতে সার্বক্ষনিক পানি সরবরাহ বজায় থাকে তা নিশ্চিত করবেন। আগুন যাতে অন্য এলাকায় ছড়াতে না পারে সে জন্য প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা করা এই দলের মুল দায়িত্ব।


SYEDUL ZANNAT...........................

টেক্সটাইল মিলে ফায়ার এলার্ম বাজলে বা দূর্ঘটনার সময়ে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য

⛔♦⛔ ফায়ার এলার্ম বাজলে বা দূর্ঘটনার সময়ে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য




ফায়ার এলার্ম বাজলে বা দূর্ঘটনার সময়ে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য ঃ

 বাংলাদেশ শ্রমনিবিড় শিল্পগুলোর মধ্যে ১০০% রপ্তানীমুখী তৈরি পোশাক শিল্প অন্যতম। দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী এ দেশের প্রচুর মানুষ সরাসরি সম্পৃক্ত, যাদের ৯০%  নারী শ্রমিক। ফ্যাক্টরীর বিভিন্ন স্থানে লাগানো স্মোক ডিটেক্টর ও হিট ডিটেক্টরের মাধ্যমে কোন স্থানে অগ্নি-কান্ডের ঘটনা ঘটলে তা কন্ট্রোল প্যানেলে প্রদশর্ন করবে সয়ংক্রিয় ভাবে বেল বাজবে। এই বেলের শব্দ শুনে সকলে অগ্নি-কান্ড স¤পর্কে অবহিত হবে। এবং কন্ট্রোল প্যানেলের রিপোর্ট দেখে কোন স্থানে অগ্নি-কান্ড ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ছাড়াও দেয়ালের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো গং বেল (ঘন্টা) বাজিয়ে ফায়ার এলার্ম দেয়া যাবে যাহা বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর ব্যবহার করার জন্য রাখা হয়েছে। পোশাক শিল্পের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে সদা সচেষ্ট এই বিপুল শ্রম-শক্তির সার্বিক কল্যাণে, কর্মক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তা বিধানে সকলের সু-দৃষ্টি, সম্মিলিত উদ্যোগ ও সচেতনতা অত্যাবশ্যক। তৈরি পোশাক শিল্প কারখানা এবং এ শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক/কর্মচারীদের উন্নয়নে অটো নীটওয়্যার লিঃ সদা জাগ্রত ও সচেষ্ট এবং এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।

◾একটি ইলেকট্রিক মটর ও একটি ইঞ্জিন চালিত ফায়ার পা¤প পানি সরবরাহের জন্য লাগানো আছে। যখন অগ্নি-কান্ডে ব্যবহৃত হবে তখন মোটর চালিত পা¤প ষ্ট্যান্ড বাই হিসাবে ও ইঞ্জিন চালিত পা¤প প্রধান ভুমিকা পালন করবে। ইঞ্জিন চালিত পা¤পটি পূর্ব নির্ধারিত চাপ (প্রেসার) কমা/বৃদ্ধির কারনে চালু/বন্ধ হয়। যদি কোন কারনে হাইড্রেন্ট চালু করা হয় তাহলে পা¤প সয়ংক্রিয় ভাবে চালু হয়ে যায়। এ কারনে বিদ্যুৎ সরবরাহ সব সময় চালু রাখা প্রয়োজন। তাই বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য একটি ষ্ট্যান্ড-বাই জেনারেটর লাগানো আছে যা গভীর নলকুপ মোটর পা¤েপর জন্য। পোশাক শিল্পে কর্মরত সকল প্রিয় শ্রমিক/কর্মচারী/কর্মকর্তাদের জরুরী পরিস্থিতি  নিয়ন্ত্রন, অগ্নি প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা বৃদ্ধিকল্পে প্রচার পত্রটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

◾স¤পুর্ন হাইড্রেন্ট পদ্ধতিতে সচল রাখা তথা পানির চাপ বজায় রাখার জন্য জকি পা¤প বসানো আছে। যদি কোন কারনে পানির চাপ কমে যায় তাহলে জকি পা¤প চালু হয়ে পানি পূর্ণ করে দেয়। এই পা¤পটিও পূর্ব নির্ধারিত চাপ (প্রেসার) কমা/বৃদ্ধির কারনে চালু/বন্ধ হয়। বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প একটি অনন্য রপ্তানীমুখী প্রতিষ্ঠান। গুনগত মানের জন্য বিশ্বজুড়ে  যার সুনাম রয়েছে। প্রতি বৎসর গার্মেন্টস শিল্পখাত থেকে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা অজির্ত হয়ে থাকে। ঊনবিংশ শতাব্দীর নব্বই দশক থেকে বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের প্রসার খুবই ব্যাপক ও উৎসাহব্যঞ্জক। সম্প্রতি কিছু গামের্ন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে সংঘটিত অগ্নিকান্ড ও দূর্ঘটনা দেশবাসীকে বিচলিত করেছে। এ প্রসংগে অগ্নিকান্ড ও দূর্ঘটনা প্রতিরোধ একান্ত জরুরী।



কমপ্লায়েন্স বিভাগের দায়িত্ব ও কর্তব্য ঃ

সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী/শ্রমিকগণকে নিয়মিত বিভিন্ন ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল অগ্নি নিরাপত্তামূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা এবং তার রেকর্ড রাখা কমপ্লায়েন্স বিভাগের দায়িত্ব। নির্ধারিত সময়সূচি অনুসারে কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার / কমপ্লায়েন্স অফিসার / ওয়েলফেয়ার অফিসার কারখানায় কর্মরত ব্যক্তিদের বিষয়ভিত্তিক   প্রশিক্ষণ প্রদান করেন এবং এ সংক্রান্ত রেকর্ড সংরক্ষণ করেন। প্রশিক্ষণের বিষয়সমূহ নি¤œরূপ। যথা,

◾অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক ইন্টারনাল প্রশিক্ষণ প্রতি মাসে অন্তত এক বার।

◾অগ্নি মহড়া প্রতিমাসে অন্তত এক বার।

◾অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ প্রতিমাসে এক বার।

◾অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র এবং সরঞ্জামাদীর পরীক্ষা প্রতিমাসে এক বার।

◾অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রিফিল রেজিষ্টার সংরক্ষণ।

অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক এক্সটারনাল প্রশিক্ষণ (বিজিএমইএ, ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর মাধ্যমে) প্রতি বছর অন্তত দুই  বার।

◾ চিকিৎসক দলের সদস্যদের প্রশিক্ষণ।
মুক্ত দরজা নীতি।

◾ক্যমিকেলের যথাযথ ব্যবহার ও প্রশিক্ষন।

◾নিয়োমিত ইলেক্ট্রিক লাইন পরীক্ষা ও রেজিঃ সংরক্ষন।

উদ্দেশ্য

গার্মেন্টস শিল্পে অগ্নিকান্ড বা দূর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং প্রতিকার প্রসংগে কিকি করনীয় তার সমক্য ধারনা দেয়া।



ফার্ষ্ট এইড টিম এর দায়িত্ব ও কর্তব্য ঃ

এই দলের সদস্যবৃন্দ আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর আহত ব্যক্তিদের শ্রেনীবিন্যাস করে প্রয়োজন অনুযায়ী এম্বুলেন্স কিংবা উপস্থিত গাড়িতে করে হাসপাতালে/নার্সিংহোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।

আগুন লাগার সাইরেন শোনামাত্র দ্রুত ফার্ষ্ট এইড বক্সের কাছে গিয়ে নিরাপদ অবস্থান নিবে।

আহত বা অসুস্থ রোগীকে দ্রুততার সাথে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করবে।
প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ না হওয়ার মত অবস্থা হলে উদ্ধারকারী দলের সদস্যদেরকে দিয়ে দ্রুত এম আই রুমে প্রেরণ করবে।
কেবল মাত্র জরুরী অবস্থা ছাড়া, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ব্যতিরেকে স্থান ত্যাগ করবেনা।



ফায়ার এলার্ম বাজলে বা দূর্ঘটনার সময়ে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য ঃ-

আগুন লেগেছে দেখা মাত্র যে কেউ ফ্লোরে স্থাপিত ফায়ার এলার্ম সুইচ টিপে এলার্ম বাজাবে।

ফায়ার এলার্ম বা হুইসেল শোনা মাত্র ফায়ার ফাইটার ব্যতীরেকে ফ্লোরের সমস্ত লোকজন যত দ্রুত সম্ভব মেশিনের সুইচ অফ করে অথবা হাতের কাজ ফেলে ইভাকুয়েশন প্লান অনুযায়ী প্রত্যেকে সিঁিড় দিয়ে নেমে যাবে।

ফায়ার এলার্ম বা হুইসেল শোনা মাত্র ইলেকট্রিশিয়ান বা ফায়ার ফাইটিং দলের সদস্য ইলেকট্রিক মেইন  সুইচ অফ করবে এবং সাবষ্টেশন থেকেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্যাক্টরীর মেইন  সুইচ অফ করবে।

লোকজন সিঁিড় দিয়ে দ্রুত নামার সময় কোনভাবেই ধাক্কাধাক্কি এবং বিশৃংখলার সৃষ্টি করবেনা।

দ্রুত নামার সময়ে কেউ আতংক সৃষ্টি এবং হৈ-চৈ বা কান্নাকাটি করবেন না।

দ্রুত নামার সুবিধার্থে  নিজের জুতা বা টিফিন ক্যারিয়ার বা অন্য কিছু সঙ্গে নেয়ার চেষ্টা করবেন না।

ফ্যাক্টরী থেকে বের হয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে গাড়ী চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবেন না।

কারো গায়ের কাপড়ে আগুন ধরে গেলে তৎক্ষনাত ফ্লোরে শুয়ে গড়াগড়ি দিতে হবে। কোনক্রমেই দৌড়ানো যাবেনা।

ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে বাহির হওয়ার দেখতে না পেলে দ্রুত ফ্লোরে বসে হামাগুড়ি দিয়ে বাহির হয়ে আসতে হবে।

এছাড়া ফায়ার ফাইটিং, রেসকিউ, ফাস্ট এইড এবং অন্যান্য সকলে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব ও কতর্ব্য বিশ্বস্ততা এবং সাহসিকতার সাথে অবশ্যই পালন করবে।


অগ্নি  নির্বাপক দলের দায়িত্ব ও কতর্ব্য ঃ-
ফায়ার বেলের শব্দ শুনার সাথে সাথে এই দলের সদস্য বৃন্দ কন্ট্রোল প্যানেল কিংবা অন্য কারো মাধ্যমে অগ্নি-কান্ডের ঘটনাস্থল জেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদী সহ তথায় উপস্থিত হবেন এবং আগুন নিভানোর ব্যবস্থা করবেন। এই দলের নির্ধাতি ব্যক্তি ষ্ট্যান্ডবাই জেনারেটরের মাধ্যমে ফায়ার পা¤প চালু রেখে হাইড্রেন্ট পয়েন্টে যাতে সার্বক্ষনিক পানি সরবরাহ বজায় থাকে তা নিশ্চিত করবেন। আগুন যাতে অন্য এলাকায় ছড়াতে না পারে সে জন্য প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা করা এই দলের মুল দায়িত্ব।


SYEDUL ZANNAT...........................

কোন মন্তব্য নেই: