সাপ্লায়ার ফলোআপ কিউসিদের আর্নিং সোর্স
অনেক সময় বায়ারের যারা সাপ্লাইয়ার তারা বিভিন্ন ফেক্টরি উইভিং নীটিং এবং ডাইং করার ফিনিশ ডেলিভারি করার । এর দায়িত্ব যার উপর দেয়া হয় তিনি হচ্ছেন কিউসি বা ফলোয়াপ পার্সন ।
ফেক্টরিতে দেখা যায় ১০০% কটন এ ৫% আর লাইক্রা কটন দিলে ৬-৮% এক্সট্রা ফেব্রিক প্রসেস লস এর জন্য ফেব্রিক দেয়া হয় । ডাইং ফিনিশ কম্পলিট করে ফেলার পর দেখা যায় অনেক কালারের ফেব্রিক এক্সেস হয়ে গেছে । এগুলি নিয়ে মুলত ফেক্টরি ভাবে না যা বাড়বে কমবে সেটা পার্টির । ফেব্রিক বাড়লে এটা মুলত ইন্সপেকশন এ অনেক পার্টি রেখে দেন শুধু মাত্র যা অর্ডার কোয়ানটিটিতে আছে তা ডেলিভারি করা হয় ।
ফেব্রিক এক্সেস দুই ক্যাটাগরিতে হয় একটা ফ্রেশ ফেব্রিক অন্যটা কাটপিস সর্টপিস রিজেক্ট কোয়ালিটির । একটা পার্টির প্রায় ৫o-হাজার থেকে ১লক্ষ মিটার এভারেজে কাজ করায় আপনি যদি ১-২% করেও একসেস জমান তবে আপনার প্রায় ১-২ হাজার মিটার ফেব্রিক জমে । বড় ফেক্টরিতে এগুলি স্যাম্পল ফেব্রিকের সমান এগুলি কেও খুজতে আসে না ।
যারা ফলোয়াপ করেন তারা দেখা যায় এগুলি একটা সময়ে ফেলে রাখেন এবং কোম্পানিতে হিসেব দেয়ার সময় অনেকেই ( সবাইকে নিয়ে বলছিনা, কিছু ফলোয়াপ পার্সনের কেইস স্টাডি করে বলছি ) সঠিক হিসেব দেখান না । অনেকেই যা লট জমে তার অর্ধেক দেখান । এটার সঠিক হিসেব আপনি মালিক নিজে ফ্লোরে না আসলে পাবার সুযোগ নাই । এর জন্য যারা ইন্সপেকশন এ জব করেন তাদের যোগসাজশে এটা করেন তাদের চা নাস্তা বখশিশ দিলে তারা লেফট ওভার গুলি গুছিয়ে রেখে দেন ।
এটার অর্ডার যখন ক্লোজ হয়ে যাবে ৩ মাস পর তখন তারা যোগাযোগ করে ইসলামপুর সদরঘাট বা মিনি গার্মেন্টস পার্টির সাথে যারা এসে ফেক্টরির ভেতরে দেখে যান। তারপর ফেব্রিক কন্সট্রাকশন কালার বুঝে বাইরে প্রাইস নেগোসিয়েশন করেন । তাদের কাছ থেকে বিল নিয়ে সে ফেক্টরির ভেতরে কার্টপিস সর্টপিস এর বিল দিয়ে বের করেন । ফেক্টরি সাধারণত যে ফলোআপ করে তার বিল দিলেই মিটে গেল গেলো, ফেক্টরির হিসেব বিল দিয়ে বের করতে হবে যে করুন যার মাধ্যমে করুক এটা ব্যাপার না ।
আপনার এভেরেজ যদি ১০০০ মিটার করে আপনার লেফট ওভার জমে ।
ধরেন অর্ধেক ৫০০ হিসেবে ধরলে ৫০০ ×৬০ টাকা করে গজ ইসলামপুর বা কোন লোকাল পার্টির কাছে বিক্রি করতে পারলে তাদের লাভ । আর কাটপিস হলে ৩০ টাকা করে গজ নেয়।
ফেব্রিক সাপ্লাইয়ারদের অফিসে একটা রুম থাকে যাতে তারা সব একসেস ফেব্রিক গুলি জমা করে । এরা স্যাম্পল করে বা একটা সময় স্টক আকারে সেলস করে দেয়।
করনীয়ঃ
১. প্রতিটি কালার অনুযায়ী ইন্সপেকশন রিপোর্ট নেয়া, প্রতি মাসের শেষে আপনার রিপোর্ট নেয়া কি বেলেন্সে আছে ।
২. কোম্পানির কাছে মেইল চাওয়া এই মর্মে যে তাদের হাতে কি পরিমান ফেব্রিক আছে । মেইল চলে আসলে এটাতে গোপন করার সুযোগ থাকে না ।
৩. প্রতিদিন চালান চেক করা স্যাম্পল ফরমেটে কি পরিমান ফেব্রিক বের হয়। কি পরিমান ঢুকেছে । আর লেনদেন একাউন্ট এর লোকজন করবে কখনোই করা উচিৎ নয়।
৪. একটা অর্ডার ক্লোজ হলে আপনার এটার কস্টিং করা ফেব্রিক এর স্টেটমেন্ট বের করা কোন কালারে কতো ফেব্রিক লেগেছে, কি পরিমান কনভার্ট করা হয়েছে, কি পরিমান একসেস লেগেছে ।
৫. আপনি অর্ডার ফিলাপ করেছেন এতেই লাভ এটা ভাবলে ভুল আপনার মুল লাভ বের করতে হবে এর একসেস ফেব্রিক থেকে । ফেব্রিক ৫-১০ মিটার বেচে গেলেও এগুলি নিয়ে জমান আপনার বিল ১৫ -২০ টাকা করে দিয়ে এগুলি এক সময় ৬০ টাকা করে লাভ করতে পারবেন ।
৬. আপনার স্টকে ফেব্রিক থাকলে এগুলি দিয়ে অনেক স্যাম্পল সাবমিট করা যাবে কিংবা স্যাম্পল আকারে বিক্রি করতে পারবেন ।
৭. ফলোআপ এ যারা থাকে একটু বাড়তি সুযোগ দিবেন যাতে করে তারা এই বিকল্প ভাবে বেনিফিট নেয়ার চিন্তা না করে তাবে আপনি ১০০০০ বাড়তি ইনভেস্ট করলে তার কাছে থেকে ১ লক্ষের ফিডব্যাক পাবেন বা সেইভ করে দিবে সে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন