BUTEX এর অল সাব্জেক্ট রিভিউ
ফ্যাকাল্টি অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ
1. Yarn Engineering
2. Fabric Engineering
ফ্যাকাল্টি অফ টেক্সটাইল ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ
1. Wet Process Engineering
2. Dyes & Chemicals Engineering
ইয়ার্ন,ফেব্রিক আর ওয়েট প্রসেস এই ৩ টি হলো সবচেয়ে পুরনো টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং। বুটেক্স প্রথম খোলা হয় ৫ টি ডিপার্টমেন্ট (ইয়ার্ন, ফেব্রিক, ওয়েট প্রসেস, টেক্সটাইল ম্যানেজমেন্ট এবং এপারেল) নিয়ে।
বর্তমানে বুটেক্সে ১০ টি ডিপার্টমেন্ট আছে।
Review :
Subject : Yarn Engineering-ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং (YE)- (Mother of Textile)
ইয়ার্ন কি??
ইয়ার্ন মানে সুতা। স্বাভাবিক ভাবেই মনে হওয়ার কথা যে “তাইলে সুতারও ইঞ্জিনিয়ারিং আছে??” এটার উত্তর “অবশ্যই”।
ফাইবার বা খাটি বাংলায় বললে আঁশ থেকে কিভাবে সুতা তৈরি হবে সেটা এই ইঞ্জিনিয়ারিং এর মূলমন্ত্র। দুনিয়ায় যত ধরনের ফাইবার আছে তা থেকে ব্যবহারযোগ্য সুতা তৈরির জন্য ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং অত্যাবশ্যক। সবচেয়ে পুরাতন সাব্জেক্ট হিসেবে টেক্সটাইল সেক্টরের যেকোন জবের জন্য ইয়ার্নের বেসিক কোর্স করা সব বুটেক্সিয়ান এর জন্য অনিবার্য।
তুলা থেকে শুরু করে লিনেন, বাস্ট ফাইবার (পাট), ম্যানমেড ফাইবার (কার্বন ফাইবার, নাইলন)- এই সবকিছুর সাথে ইয়ার্ন সম্পর্কিত। ফাইবার হচ্ছে সুতা তৈরির মূল উপাদান। ফাইবার থেকে সুতা তৈরি সংক্রান্ত সকল পড়াশুনা ইয়ার্নের অন্তর্ভুক্ত। কোনও ফাইবার কে আদৌ স্পিনিং এর মাধ্যমে ইয়ার্নে পরিণত করা যাবে কি না, তার কোয়ালিটি কেমন হবে, কোন ক্ষেত্রে সেই ইয়ার্ন ব্যবহৃত হবে, কোন দেশের আবহাওয়ার জন্য তা পারফেক্ট হবে এইসব কিছু ইয়ার্নের রিসার্চ সেক্টরের মধ্যে পড়ে। এছাড়াও কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইন্ডাস্ট্রি, লেভেলের প্রোডাকশন সহ আরও অনেক বিষয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
কি পড়ানো হয় এখানে??
সর্বমোট ১৬৬ ক্রেডিট এর কোর্স।
-Mathematics, Engineering Physics, Chemistry
- Textile Fibres,Textile physics.
-Engineering Materials.
-Weaving technology
-Fundamental of Mechanical Engineering.
-Electrical & Electronic Engineering
-Computer programming
-Automation &Control Engineering
-Statistics.
-Modern yarn & Special yarn manufacturing
-Entrepreneurship & project planning
-Textile Machine Design.
-polymer Science Engineering.
-Marketing,Economics,Accounting and cost
Management.
-Industrial Management.
-Sociology, Environmental Science.
সহ আরো কিছু মেজর এবং মাইনর বিষয়।
বুটেক্সে এই ডিপার্টমেন্ট এর জন্য ৮০ টা সিট বরাদ্দ আছে।
কোন সাব্জেক্টের সাথে মিল বেশি??
আগেই বলছি একটা ব্লেন্ডারে মেক্যানিক্যাল আর টেক্সটাইল কে মিক্স করলে ইয়ার্ন আর ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং উৎপন্ন হয়। স্বাভাবিকভাবেই তাহলে ইয়ার্ন এর জন্য ফিজিক্সের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। ফাইবার থেকে ইয়ার্ন প্রোডাকশনের জন্য মেশিনসমূহের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন থেকে শুরু করে ওয়ার্কিং এবং প্রসেসিং মেথড সহ সবকিছু বুঝার জন্য মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জ্ঞান আবশ্যক। তাই মেক্যানিক্যাল এর সাথেও ভালো মিল আছে ইয়ার্নের।
হায়ার স্টাডিজের সুযোগ কেমন??
টেক্সটাইলে ইয়ার্ন আর ফেব্রিক এই দুটো ডিপার্টমেন্টের রিসার্চের সুযোগ অনেক বেশি। ন্যাচারাল রো ম্যাটেরিয়ালস গুলোকে কিভাবে টেক্সটাইল ফাইবারে পরিণত করা যায়,কিভাবে ফাইবারে স্ট্রেংথ বাড়ানো যায় এসব নিয়েই ইয়ার্ন সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ একটি রিসার্চ অংশ।
হায়ার স্টাডিজের জন্য ইয়ার্ন বেশ ভালো একটি সাব্জেক্ট। ফাইবার বেস লেভেলে চেঞ্জ এনে অনেক কিছুই চেঞ্জ করা সম্ভব। জেনেটিক্যালি মডিফাইড ফাইবার এই মুহূর্তে রিসার্চের জন্য একটি ট্রেন্ডিং সেক্টর। এছাড়াও ফাইবার এর স্ট্রেংথ বা কোয়ালিটি ইম্প্রুভ করার জন্যও প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে বাইরের ভার্সিটিগুলোতে। বুটেক্স থেকেও প্রতিবছর স্কলারশীপের মাধ্যমে জার্মানী, তুরস্কে স্টুডেন্ট পাঠানো হয়।
" কিন্তু ভাই এতো পুরান সাব্জেক্ট। চাকরি আছে?? "
সত্য এটাই যে চাকরী রিজিকের ব্যাপার। যার Capability আছে সে এমনিতেই চাকরী পাবে। এটা সব ডিপার্টমেন্ট এর জন্য সেম। আর হ্যা চাকরি আছে। ইয়ার্ন এর সবচেয়ে পরিচিত চাকরি স্পিনিং। বাংলাদেশের সকল স্পিনিং মিলে বুটেক্সের গ্র্যাজুয়েট আছেন। বাংলাদেশের টেক্সটাইলে প্রথম সাব্জেক্ট ইয়ার্ন তাই স্বাভাবিকভাবেই ইয়ার্নের অ্যালামনাই এর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। শুধু যে স্পিনিং এই চাকরী সীমাবদ্ধ তা নয়। চাইলে ইয়ার্ন থেকে টেক্সটাইলের অন্য সেক্টরেও শিফট করা সম্ভব।
Review
Subject: Fabric Engineering-ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং (FE)
ফেব্রিক কি??
ফেব্রিক মানে কাপড়। বুটেক্সের চালু হওয়া প্রথম তিনটা সাব্জেক্টের একটা এটা। ইয়ার্ন(সুতা) কে ফেব্রিকে(কাপড়ে) রূপান্তর করার ইঞ্জিনিয়ারিং হল ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং। বাংলা ভাষায় বলতে গেলে তাঁতি না মানুষ তাঁতি বলবে না. আসলে তাঁতিদের তাঁত থেকে কাপড় তৈরি করার মত এতটা সহজ না ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং। তবে কন্সেপটা ওইরকমই। জাস্ট তাঁত কে টাইম ট্রাভেলের মাধ্যমে আপডেট করলে ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং আসে।
কি পড়ানো হয় এখানে??
সর্বমোট ১৬৬ ক্রেডিট এর কোর্স।
-Mathematics, Engineering Physics, Chemistry
- Textile Fibres,Textile physics.
-Engineering Materials.
-Knitting and Non-woven technology
-Weaving Technology.
-Fundamental of Mechanical Engineering.
-Electrical & Electronic Engineering
-Computer programming
-Automation &Control Engineering
-Special fabric production, special fabric design
-Textile Machine Design.
-polymer Science Engineering.
-Marketing,Economics,Accounting and cost
Management.
-Industrial Management.
-Sociology, Environmental Science.
এসব সহ আরো মেজর এবং মাইনর বিষয় রয়েছে।
কোথায় কোথায় পড়বে :
BUTEX এ প্রথম থেকেই স্টুডেন্টদের তার রেংক অনুযায়ী ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক ভাগ করে দেয়া হয়। ফেব্রিক ডিপার্টমেন্ট এর জন্য ৮০ টা সিট বরাদ্দ থাকে। PTEC,JTEC,SARSTEC,NTEC,CTEC,BTEC, AUST এছাড়াও পাবলিক কিছু বিশ্ববিদ্যালয় যেমন DUET,KUET,MBSTU,JUST এগুলো প্রথম দিকে সরাসরি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ালেও শেষের দিকে Dept. ভাগ করে দেয়া হয়।
কোন সাব্জেক্টের সাথে মিল বেশি ??
মেক্যানিক্যাল আর টেক্সটাইল কে মিক্স করলে ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং উৎপন্ন হয়।ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিংকে মেক্যানিকাল এর একটা বড় অংশ বলা যেতে পারে। আগেই বলছি একটা ব্লেন্ডারে মেক্যানিক্যাল আর টেক্সটাইল কে মিক্স করলে ইয়ার্ন আর ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং উৎপন্ন হয়। ফেব্রিক প্রোডাকশনে মেশিনারিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই ফেব্রিকে মেক্যানিক্যালের অনেক কিছুই মিল আছে। ফিজিক্সের নলেজ যাদের ভালো তাদের জন্য পারফেক্ট একটা সাব্জেক্ট ফেব্রিক। ফেব্রিকের স্ট্রাকচার ডিজাইন এবং সে ডিজাইন এক্সিকিউট করতে প্রোগ্রামিং ও গুরুত্বপূর্ণ। আর বর্তমানে হাই স্ট্রেংথ সম্পন্ন ন্যানোফাইবার দিয়ে ফেব্রিক, UV লাইট সেনসিটিভ ফেব্রিক (অন্ধকারে এবং আলোতে জামার রং ভিন্ন হবে) তৈরি করতে ইলেক্ট্রিক্যাল সম্পর্কিত জ্ঞান অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
জব সেক্টর কেমন ??
ফেব্রিকের জব সেক্টর সবসময়ই ভালো। বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান যোগান দেয় যেই আরএমজি সেক্টর তার অন্যতম কারণ ডেনিম। খাটি “বাংলা”য় বলতে গেলে জিনস। আর ডেনিম প্রোডাকশন মানেই ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারদের ছড়াছড়ি। আর ডেনিম রপ্তানিতে বাংলাদেশ এখন চীন কে পিছনে ফেলে শীর্ষে রয়েছে। ইউরোপ মহাদেশের ডেনিম বাজারের ২১.১৮% ডেনিম ই বাংলাদেশের। নিটিং ফ্যাক্টরি হোক আর ওভেন ফ্যাক্টরি হোক, ফেব্রিকের ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া আমাদের চলেই না। মানসম্পন্ন ফেব্রিক তৈরির জন্যও (ছেড়া জিন্স প্রতিরোধের আন্দোলন) অনেক ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ার নেওয়া হয় যাতে ফেব্রিকের কোয়ালিটি ঠিক থাকে।
আর বুটেক্সের ফেব্রিকের অ্যালামনাই নাই এরকম কোন ফ্যাক্টরি আমার জানামতে নাই।
হায়ার স্টাডিজের সুযোগ কেমন??
হায়ার স্টাডিজ এর জন্য ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও ইয়ার্নের মতই সুযোগ আছে। মডিফাইড ইয়ার্ন থেকে ওয়্যারেবল ফেব্রিক প্রোডাকশনে বর্তমানে আমাদের দেশ এখনও পিছিয়ে। তাই এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়ে দেশে কিছু করার ভালো স্কোপ আছে এখনও। আর ফেব্রিকে রিসার্চ এর সুযোগ অনেক বেশি। কার্বন ফাইবার দিয়ে বুলেটপ্রফু ফেব্রিক তৈরি এবং ডেভেলপমেন্ট, ন্যানোফাইবার দিয়ে স্পেসস্যুট তৈরি এবং ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে রিসার্চ এর জন্য ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর কোন বিক্লপ নেই। ফেব্রিক ডেভেলপমেন্ট, ফেব্রিক স্ট্রাকচার ইত্যাদি নিয়ে রিসার্চের ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত। শুধু চিন্তা করা আমরা যদি অ্যাভেঞ্জারসের ব্ল্যাক প্যানথার এর মত একটা ভাইব্রেনিয়াম স্যুট বানাইতে পারতাম দেশে কত জোস হইত :3 ওরা টেক্সটাইলে আমাদের থেকে এখনও অনেক এগিয়ে আছে।
Review
Subject: Wet Process Engineering- ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং (WPE) -The Land of Colors
WPE কি??
Wet Process Engineering অর্থাৎ খাটি বাংলায় বলতে গেলে ভেজা প্রক্রিয়া প্রকৌশল। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন ভেজা সংক্রান্ত কিছু। হ্যা, তাই যে প্রসেসগুলো ভেজা অবস্থায় করা সেগুলো নিয়েই মূলত ওয়েট প্রসেস। ওয়েট প্রসেস সেকশনের শতকরা ৮০ ভাগ কাজই ভেজা অবস্থায় করা হয়।
যদি সহজভাবে বলি তাহলে সুতা, কাপড় বা জামায় রঙ সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ওয়েট প্রসেস।
একবার চিন্তা করে দেখুন আপনি অলয়েজ এক কালারের জামা পড়ে আছেন। পুরো জীবনে আর কোন রং নেই। চারদিকে শুধু ধূসর আর ধূসর। জীবন টা তখন একঘেয়েমি হয়ে যেতো না?
আর এই কারণেই ওয়েট প্রসেস ডিপার্টমেন্ট এর উদ্ভব। বুটেক্সে চালু হওয়া প্রথম তিনটা সাব্জেক্টের একটা। আসল কথা জীবনে একটু রং এর দরকার।
কি পড়ানো হয় এখানে??
বুটেক্সে এই ডিপার্টমেন্ট এর জন্য ৮০ টা সিট বরাদ্দ আছে।
সর্বমোট ১৬৪ ক্রেডিট এর কোর্স।
-Mathematics, Engineering Physics, Chemistry
- Textile Fibres,Textile physics.
-Engineering Materials.
-Weaving Technology.
-Fundamental of Mechanical Engineering.
-Electrical & Electronic Engineering
-Computer programming
-Automation &Control Engineering
-Statistics.
-Textile Coloration, Theory of color physics
Special wet processing
-Textile Machine Design.
-polymer Science Engineering.
-Marketing,Economics,Accounting and cost
Management.
-Industrial Management.
-Sociology, Environmental Science.
সহ আরো কিছু মেজর এবং মাইনর বিষয়।
মূলত ইয়ার্ন(সুতা), ফেব্রিক(কাপড়) বা জামা(অ্যাপারেল) এগুলোর ওয়াশিং, প্রিন্টিং(ডিজাইন/ প্যাটার্ন), ডায়িং(রং) ইত্যাদি সংক্রান্ত সকল কিছু এই সাব্জেক্টে পড়ানো হবে। শুধুমাত্র ডায়িং দিয়ে একটি সাব্জেক্ট তৈরি করা সম্ভব সেখানে ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারদের এর সাথে প্রিন্টিং, ওয়াশিং সবই পড়তে হয়। কোনও ইয়ার্ন বা ফেব্রিকে কোন ধরনের ডায়িং করলে সেটা লং লাস্টিং হবে, কোনও অ্যাপারেলের জন্য হাই ডেনসিটি প্রিন্ট ভালো নাকি স্ক্রিন প্রিন্ট ভালো এগুলো সবই এখানে পড়ানো হবে।
কোন সাব্জেক্টের সাথে মিল বেশি এটার??
মূলত কেমিস্ট্রির সাথেই সবচেয়ে বেশি মিল ওয়েট প্রসেসের। রং করার জন্য প্রথমে রং লাগবে এবং কোথায় কি ধরনের রং লাগবে সেটার জন্য ওই পার্টিকুলার ইয়ার্ন বা ফেব্রিকের কেমিক্যাল প্রোপার্টিগুলো জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী ডাই ইউজ করতে হবে। এজন্য কেমিস্ট্রি বিশেষ করে অরগানিক কেমিস্ট্রির ভালো নলেজ থাকা অত্যাবশ্যক।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ কেমন??
ওয়েট প্রসেস থেকে বুটেক্সের অন্যান্য সাব্জেক্টের মতই উচ্চশিক্ষার ভাল সুযোগ আছে। ভার্সিটি থেকে অনেকেই ইউরোপের বিভিন্ন ভার্সিটি থেকে স্নাতোকোত্তর সম্পন্ন করে দেশে এসেছেন।
চাকরীর বাজার কেমন??
বুটেক্সের জন্য চাকরীর বাজার সবসময়ই সুবিধাজনক আর ওয়েট প্রসেস বর্তমানে চাকরির ক্ষেত্রে ভালো একটি জায়গা কারণ বাংলাদেশে এখন এই মুহুর্তে কোয়ালিটিসম্পন্ন ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বেশি। ইদানিং অনেক ছোট থেকে মাঝারি উৎপাদনক্ষম ফ্যাক্টরিগুলোতে ওয়েটের ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বাড়ছে। চাইলে ওয়েট থেকে কেমিক্যাল মার্কেটিং এর মত সম্ভাবনাময় সেক্টরগুলোতেও শিফট করা সম্ভব। দেশের সব বড় ফ্যাক্টরি বা টেক্সটাইল বেসড কোম্পানিগুলোতেই বুটেক্সের ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়াররা রয়েছেন।
Review
Subject: Dyes & Chemical Engineering - ডাইস অ্যান্ড ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (DCE)
ডাইক্যাম আবার কি জিনিস??
ডাই মানে রং। মানে কাপড় চোপড়ের রং করাই মেইন উদ্দেশ্য। ফেব্রিক সেকশন থেকে যে ফেব্রিক আসে তার রঙ হয়ে থাকে গ্রে (ধূসর) কালার। এই গ্রে ফেব্রিক কেই বিভিন্ন ক্যামিক্যাল ইউজ করে কালারড ফেব্রিকে পরিণত করাই এই ডিপার্টমেন্ট এর অন্যতম লক্ষ।
ডাইক্যাম হল ওয়েটের জময ভাই অনেকটা। EEE আর ECE যেমন দুই ভাই, ডাইক্যাম আর ওয়েটও তেমন দুই ভাই। কারণ পূর্বে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে এই অভাব পূরণ করতো বুয়েট সহ অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটি থেকে বের হওয়া ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ার রা। তাই সময়ের চাহিদা মেনে ২০১৭ সাল (৪৩ ব্যাচ থেকে) থেকে বুটেক্সে ডাইস এন্ড ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট চালু করা হয়। সর্বশেষ হলেও গুরুত্ব বিবেচনায় অনেক এগিয়ে।
কি পড়ানো হয় এখানে??
সর্বমোট ১৬৫ ক্রেডিট এর কোর্স।
-Mathematics, Engineering Physics, Chemistry
- Textile Fibres,Textile physics.
-Engineering Materials.
-Fundamental of Mechanical Engineering.
-Electrical & Electronic Engineering
-Computer programming
-Automation &Control Engineering
-Statistics.
-Synthesis of dyes and chemicals
-Biochemical Engineering.
-Chemical reaction engineering
-Application of computer in dyes and chemicals
-Textile Machine Design.
-polymer Science Engineering.
-Marketing,Economics,Accounting and cost
Management.
-Industrial Management.
-Sociology, Environmental Science.
সহ আরো কিছু মেজর এবং মাইনর বিষয়।
ডায়িং বা প্রিন্টিং যাই হোক তার জন্য সবার আগে ডাই মানে রং দরকার। ডাই করা দুইভাবে। ১. ইয়ার্ণ ডাই আর ২. ফেব্রিক বা সলিড ডাই।
কোন ডাই কিভাবে বানাতে হয়, গুণগত মান বজায় রেখে কোন ফেব্রিক কি পরিমাণ ডাই এবসোরভ করবে তারই ইঞ্জিনিয়ারিং হল ডাইক্যাম। প্রত্যেকটা কালার কিভাবে তৈরি করতে হবে জন্য একেকটা বই আছে। সুতরাং কালার তৈরির জন্য ডায়িং যে কতটা ইম্পর্ট্যান্ট তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর কারও যদি মনে হয় যে কয়টাই বা কালার আছে দুনিয়ায়, কি এত কঠিন তাহলে! অনুরোধ থাকবে Pantone এর লেটেস্ট কালার চার্ট টা ডাউনলোড করে একটু দেখার জন্য। তাহলেই সব কনিফিউশন দূর হয়ে যাবে। উল্লেখ্য যে পৃথিবীতে প্রায় ৩৬০০ টারও বেশি কালার আছে।
কোন সাব্জেক্টের সাথে মিল বেশি??
নাম থেকেই বুঝা যায় কেমিস্ট্রি কত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর অনেক কিছুই পড়ানো হবে ডাইক্যামে কারণ কম্পোজিশন ঠিক রেখে একদম পারফেক্ট ডাই তৈরি করার জন্য ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এর নলেজ থাকা খুবই জরুরি।
ওয়েট প্রসেস আর ডাইকেম দুটোর কাজ ই রং নিয়ে। তাহলে ওয়েট প্রসেস এবং ডাইস & ক্যামিক্যালের মধ্যে ডিফারেন্স কী?
পার্থক্য ত অবশ্যই আছে।
ওয়েট প্রসেসের কাজ মূলত ৩ ধরণের। ডাইং, প্রিন্টিং এন্ড ফিনিশিং। ওয়েট প্রসেস এর মূল কাজ হলো নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, চাপ, পিএইচ ইত্যাদি লক্ষ রেখে ফাইবার এবং রং এর ক্যামিক্যাল স্ট্রাকচার জেনে ফেব্রিকের সাথে সেই রং এর স্থায়ী বন্ধন কিভাবে তৈরি করা যায় সেটা নিয়ে পড়াশোনা। কিভাবে অতি সহজে ফেব্রিক কে রং করা যায় সেটা নিয়েই বিভিন্ন প্রসেস।
আর ডাইস & ক্যামিক্যাল হলো যে রঙ টা কালার ফেব্রিক তৈরি করতে ইউজ করা হয় সেটা তৈরি করা। কাপড় কে দৃষ্টিনন্দন করতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরণের ডাইস এন্ড ক্যামিক্যাল প্রয়োজন। ফাইবার স্ট্রাকচার জেনে সেইসব রং তৈরি করাই এদের প্রধান কাজ। গত ৫ বছরে বিদেশ থেকে প্রায় ২৫০০ মিলিয়ন ডলার এর রং বাংলাদেশে এসেছে। একবার ভেবে দেখুন সেসব রং যদি বাংলাদেশে তৈরি করা হতো তাহলে দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঠিক কতটা হতো।
হায়ার স্টাডিজের সুযোগ কেমন??
সাব্জেক্ট যেহেতু নতুন তাই উচ্চশিক্ষার সুযোগও সবচেয়ে বেশি এখানে। কারণ দেশে এখনও কোন ডাইক্যামের গ্র্যাজুয়েট নাই। এই সেক্টরে রিসার্চ এর সুযোগও বেশি কারণ টেক্সটাইল রিসার্চ সবসময়ই চালু থাকবে নতুন এবং ভালো ক্যামিকেল প্রোডিউস করার জন্য। নিত্যনতুন রং তৈরি করে নিজের সৃজনশীল শক্তির পরিচয় দেয়ার জন্য অসাধারণ এক ক্ষেত্র ডাইস এন্ড ক্যাম। এখান থেকে পড়াশুনা করে বাইরে স্কলারশীপ নিয়ে পড়তে যাওয়া সবচেয়ে সহজ হবে।
জব সেক্টর কেমন??
বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত এখন টেক্সটাইল ক্যামিকেল। বাইরে থেকে ক্যামিকেল আনা লাভজনক না তাই দেশেই নতুন ক্যামিকেলের ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে। আর এই ফ্যাক্টরি তে কাদের দরকার?? অবশ্যই ডাইক্যামের ইঞ্জিনিয়ারদের। এই সেক্টর এখন একদমই খালি তাই এখানে অনেক ইঞ্জিনিয়ার দরকার। এটা তো বললাম কয়েক বছর পরের কথা। এই মুহূর্তের কথা বলতে গেলে ক্যামিকেল মার্কেটিং হচ্ছে অন্যতম হট একটা সেক্টর। এখানেও ডাইক্যামের ইঞ্জিনিয়ারদের দরকার। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশে এখনো ১০০০ ডাইস এন্ড ক্যামিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর ঘাটতি রয়েছে। আর যেহেতু ক্যামিক্যাল নিয়ে পড়াশুনা তাই টেক্সটাইল বাদেও অন্য সেক্টরে সহজে শিফট করতে পারবে এই ইঞ্জিনিয়ার রা।
বুটেক্সে এই ডিপার্টমেন্টের জন্য ৪০ টা সিট বরাদ্দ আছে।
Review ::
Subject: Textile Engineering Management - টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট (TEM)
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং মেনেজমেন্ট কি জিনিস? মেনেজমেন্ট সাব্জেক্ট বলতে কমার্সের সাব্জেক্ট বুঝায় তাহলে এটা ইঞ্জিনিয়ারিং এ কেনো?
Textile Engineering Management (TEM) সম্পর্কে জানার আগে ‘ম্যানেজমেন্ট’ এবং ‘ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট’ এর একটা বিশাল পার্থক্য আছে, এইটা আমাদের বুঝতে হবে। আমাদের দেশে ‘ম্যানেজমেন্ট’ শব্দটা কমার্স ফ্যাকাল্টির কল্যাণে বেশ পরিচিত হলেও, ‘ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট’ টার্ম টা একেবারেই অপরিচিত। তাই আমরা বুটেক্সের টিইএমকে সাধারণ ম্যানেজমেন্টের সাথে অনেকেই গুলিয়ে ফেলি।
মূলত প্রকৌশল বিদ্যার বিজ্ঞান ও টেকনিক্যাল নলেজকে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন এবং বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহারের জন্যই এই ‘ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়টির সূত্রপাত ঘটে। ইঞ্জিনিয়ারিং মেনেজমেন্ট পাশ করা একজন ইঞ্জিনিয়ার শুধু ম্যানেজমেন্ট নলেজের অধিকারী নয় বরং একজন টেকনিক্যাল পারসনও বটে। কাজ আমাদের দেশে অজানা হলেও ১৯০৮ সালে স্টিভেন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে সর্বপ্রথম এই ডিপার্টপেন্ট খোলা হয়। এরপর সারা বিশ্বেই এই ধারণা ছড়িয়ে পরে এবং বিশ্বব্যাপী এর চাহিদা প্রতীয়মান হয় ব্যাপকভাবে। বর্তমানে শুধু আমেরিকাতেই ১৪৭ টারও বেশি ইনস্টিটিউশনে ‘ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট’ এর কোর্স করানো হয়। এছাড়া ইংল্যান্ড,জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়াশহ বিশ্বের প্রায় সকল বড় বড় দেশের সেরা সেরা বিশ্ববিদ্যালয়েই এই বিষয়ের ওপর ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স উভয় ডিগ্রীই দেওয়া হয়। টেকনোলজি বা ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই এই ডিগ্রী প্রদান করে থাকে। এই বিষয়ের ওপর গবেষণারও ব্যপক জায়গা রয়েছে সেখানে । ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেনট উইথ কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং, ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট ইন সিভিল, ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট ইন কম্পিউটার সাইন্স ঠিক এরকমভাবে এই ডিপার্টমেন্টের ব্রান্চগুলো প্রচলিত।
কমার্সের স্টুডেন্ট দের শুধু ম্যানেজমেন্ট নলেজ থাকে কিন্তু বিজ্ঞানের নলেজ থাকে না। একটু গুগল করলেই এই বিষয়ে বিস্তর জানতে পারবেন।
বুটেক্সে (TEM) সাব্জেক্ট এর কেনো দরকার?
এতক্ষণে সবার মনের ধোঁয়াশা আশা করি কেটে গেছে। বুটেক্স একটি ইঞ্জিনিয়ািরিং ইউনিভার্সিটি হয়েও ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট কেন খুলেছে সেই প্রশ্নের উত্তরও পেয়ে গেছে সবাই। হ্যাঁ, এটা বাংলাদেশের দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কমার্স ফ্যাকাল্টির ডিপার্টমেন্ট নয়, ইঞ্জিনিয়ারিং এরই আরেকটা ধারা। প্রোকৌশল+ব্যবস্থাপনার সমন্বয়ে এটি গঠিত।
বাংলাদেশে টেক্সটাইল সেক্টর প্রায় পুরোটাই ইন্ডাস্ট্রিয়াল। সুতরাং, টেকনিক্যাল টেক্সটাইল যেমনি গুরত্বপূর্ণ, তেমনি এই টেকনিক্যাল নলেজকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে ইন্ডাস্ট্রি ব্যাবস্থাপনা করতে হবে সেটি আরো গুরুত্বপূর্ণ। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট, ওয়ার্কার হ্যান্ডেলিং সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মেইনটেইন করে বিজনেস পারপোজে টেকনিক্যাল জ্ঞানকে কাজে লাগানোতে এই ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্টের বিকল্প নেই। একটা ইন্ডাস্ট্রিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে, মেনেজমেন্ট নলেজে + বিজ্ঞানের নলেজ কাজে লাগিয়ে ডেভেলপ করতে এই ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই।
প্রতি সেমিস্টারে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুরে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে যাওয়া হয়। গিয়ে দেখি ওখানকার টপ পজিশনে (জিএম, এজিএম) বুটেক্সের কেউই বসে আছে। তারা বারবারই একটা কথা বলেন, বুটেক্সিয়ানরা জবে আসার পর টেকনিক্যাল জায়গা থেকে খুবই ভালো করে; কিন্তু ম্যানেজমেন্ট স্কিলের জায়গা থেকে পিছিয়ে পড়ে। আর একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিননিয়ারের ম্যানেজমেন্ট স্কিল টা ওই ইন্ডাস্ট্রির ডেভেলোপমেন্টের জন্য অপরিহার্য। যতদূর জানি এই বিষয়টাকেই মাথায় রেখে বুটেক্সে এই ডিপার্টমেন্ট টা খোলা হয়েছিল।
কী কী পড়ানো হয়?
সর্বমোট ১৬৫ ক্রেডিট এর কোর্স।
-Mathematics, Engineering Physics, Chemistry
- Textile Fibres,Textile physics.
-Engineering Materials.
-Fundamental of Mechanical Engineering.
-Electrical & Electronic Engineering
-Computer programming
-Statistics.
-Human resource management
-Financial & Quality management
-Market research & Product development
-International Business
-polymer Science Engineering.
-Marketing,Economics,Accounting and cost
Management.
-Industrial Management.
-Sociology, Environmental Science.
সহ আরো কিছু মেজর এবং মাইনর বিষয়।
ক্যারিয়ার বা জব সেক্টর কেমন?
ক্যারিয়ার তৈরীর কথা যদি বলি, এই ডিপার্টমেন্ট অবশ্যই একটি বড় জায়গা ক্যারিয়ারকে সর্বোচ্চতায় নিয়ে যেতে। কারণ একজন জিএম বা এজিএম যে দায়িত্ব পালন করবেন সেটাই শেখানো হয় এই ডিপার্টমেন্টে। ইন্ডাস্ট্রির ম্যানেজারিয়াল সেকশনে ভালো ক্যারিয়ারের এইটাই বেস্ট অপশন। টেকনিক্যাল+ম্যানেজমেন্ট দুই ধরনের নলেজ থাকায় টেক্সটাইলের যেকোন সেক্টর যেমন ওয়াশিং,ডায়িং, নিটিং,উভিং, মার্চেন্ডাইজিং,গার্মেন্টস,প্রোডাকশন সবগুলোতেই দ্রুত বেটার ক্যারিয়ার তৈরী করা সম্ভব।
এর সাথে ইন্ডাস্ট্রির ম্যানেজারিয়াল সেকশনগুলো তো আছেই। আবার টেক্সটাইল বায়িং হাউজগুলোতে মার্কেটিং এর পদগুলোও একজন টিএমিয়ানের পক্ষে সবচেয়ে ভালোভাবে গ্রহণ করা সম্ভব। ভালো ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। বেটার স্যালারী হোল্ড করা সম্ভব। বুটেক্স থেকে এই ডিপার্টমেন্টে পড়ে যারা বের হয়েছে, তারা সবাই ভালো ভালো পজিশনে আছে। টেক্সটাইলের বিভিন্ন সেক্টরে জব করছে। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। কেউ কেউ বাইরের দেশে গিয়ে রিসার্চ রিলেটেড জব করছে। কেউ তো পুরো ট্র্যাক বদলে বিসিএস দিয়ে ক্যাডার হিসেবে সরকারকে সার্ভ করছে। সুতরাং, ভুরিভুরি কর্মক্ষেত্র আপনার জন্য অপেক্ষা করছে এখানে।
হায়ার স্টাডিজ এর সুযোগ কেমন?
চাইলেই ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট এর ওপর উচ্চতর পড়াশোনা ও গবেষনার জন্য বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া যায়। আগেই বলেছি ‘ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট’ নিয়ে বিশ্বে এখন গবেষণার সুযোগ রয়েছে প্রচুর।
আপনি যদি তা ও না চান, টেকনিক্যাল টেক্সটাইল নিয়ে ও রিসার্চের জন্য আমেরিকা, ইংল্যান্ড,জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, চায়নাসহ বিভিন্ন দেশে যেতে পারেন এবিষয়ে পড়ে।
উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিএসসির পর এমএসসিও করতে পারেন।
আবার বিএসসির পর ঢাবির আইবিএ থেকে এমবিএ করে বাণিজ্যিক স্বার্থে টেক্সটাইল টেকনোলজিকে
সবচাইতে সফলভাবে কাজে লাগাতে চাইলে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্টই আপনাকে সর্বাধিক সাহায্য করবে। কিংবা বিএসসি এর পরে এমবিএ করেল মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী এমনকি ব্যাংকে জব করার সুযোগ তো আছেই। তাই জব ফ্যাসিলিটিস এবং স্যালারি এর দিক দিয়ে আপনিও এগিয়ে থাকবেন।
Review
Subject:Apparel Engineering (AE)-এপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং
এপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং কী?
এপারেল বলতে মূলত বুঝায় ফিনিশড ফেব্রিক কে কেটে, সেলাই করে export উপযোগী করা। এছাড়াও এপারেল পন্যসমূহের বিভিন্ন বিচার বিশ্লেষণ করে এর গুণগত মান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা।
পন্যের যথাযথ উৎপাদনের আধুনিক প্রযুক্তিগত বিদ্যাই হচ্ছে Apparel Engineering ।বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্প।এই টেক্সটাইল শিল্পের জন্য প্রয়োজন দক্ষ টেক্সটাইল প্রকৌশলী ও দক্ষ জনশক্তি।
দক্ষ টেক্সটাইল প্রকৌশলী তৈরী করার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ দিন ধরে টেক্সটাইল বিষয়ক বিভিন্ন সাবজেক্টে শিক্ষা দান করে আসছে এবং দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলছে।
Apparel Engineering এর মধ্যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্ট।বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই সাবজেক্ট এর গুরুত্ব অনেক।বাংলাদেশ মূলত রেডিমেন্ট গার্মেন্টস (RMG)বিদেশে রপ্তানি করে থাকে।যে জন্য বাংলাদেশে প্রচুর পরিমানে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে।আর এসব গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে প্রচুর পরিমানে দক্ষ প্রকৌশলীর প্রয়োজন হয়।যার জন্য Apparel Engineering সাবজেক্টটির গুরুত্ব অনেক।
কোথায় কোথায় পড়বেনঃ
BUTEX এ ৮০ টা সিট বরাদ্দ আছে এপারেল ডিপার্টমেন্ট এর জন্য।
এছাড়াই SUTEC,SKTEC,SARSTEC,NTEC,CTEC,BTEC,RTECএছাড়া পাবলিক কিছু বিশ্ববিদ্যালয় যেমন DUET,KUET,MBSTU,JUST এগুলো প্রথম দিকে সরাসরি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ালেও শেষের দিকে Dept. ভাগ করে দেয়া হয়।
কী কী পড়ানো হয়ঃ
সর্বমোট ১৬৪ ক্রেডিট এর কোর্স।
-Mathematics, Engineering Physics, Chemistry
- Textile Fibres,Textile physics.
-Engineering Materials.
Fabric manufacturing
-Fundamental of Mechanical Engineering.
-Electrical & Electronic Engineering
-Computer programming
-Automation &Control Engineering
-Statistics.
-Apparel washing, dyeing, printing, production & control.
-Application of Computer in apparel manufacturing
-Special apparel production
-polymer Science Engineering.
-Marketing,Economics,Accounting and cost
Management.
-Industrial Management.
-Sociology, Environmental Science.
সহ আরো কিছু মেজর এবং মাইনর বিষয়।
এপারেল ইঞ্জিনিয়ার এর কাজঃ
Apparel Engineering পোশাক শিল্পের পুরাতন সব ধারণা পাল্টে দিয়েছে।এনেছে নতুনত্বের ছোয়া।এই নতুনত্বের ছোয়ায় ও আধুনিক প্রযুক্তির অগ্রপথিক হচ্ছে Apparel Engineer রা।একটি Apparel পন্যের উৎপাদন শুরু থেকে শেষ পুরো প্রক্রিয়ায় একজন Apparel Engineer কে জানতে হয়।Apparel Engineer দের মূল কাজ শুরু হয় ফেব্রিক তৈরী হওয়ার পর থেকে Complete Garments তৈরী হয়ে বিপনন হওয়া পর্যন্ত। মূলত sampling,fabric spreading,cutting,sewing,washing(if necessary),finishing করা হয় এবং যেই complete garments আমরা পরিধান করি সেটা কাপড় থেকে পুরো ফিনিশিং প্রসেস পর্যন্ত ধাপগুলো এই গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারারদের কাজ। একটি Apparel ফ্যাক্টরির সকল process পরিচালনার দায়িত্ব বেশির ভাগ সময়ই এই Apparel Engineer রাই নিয়ে থাকে।
ক্যারিয়ার বা জবের সুবিধা কেমন?
Apparel Engineer দের রয়েছে সুবিশাল জব ক্ষেত্র। গার্মেন্টস শিল্পে বায়িং অ্যান্ড মার্চেন্ডাইজিং এ উচ্চ বেতনে জব করার সুযোগ রয়েছে।কোনো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিকদের নজরে প্রথমেই Apparel Engineer রা থাকে। একারণে ইংলিশে তাদের দক্ষতা ভালো হতে হয়। এপারেল ইঞ্জিনিয়ারদের অলয়েজ উঠাবসা ই করতে হয় বায়ার দের সাথে। তাই তাদেরকে অন্য লেভেলের চাপাবাজ হতে হয় বায়ার কে ইম্প্রেস করার জন্য। তারা অনেক উচ্চ বেতনে এদের চাকরি দিয়ে থাকে। Apparel Engineer দের জবগুলো অনেক স্মার্ট হয়ে থাকে। একটু মনোযোগ দিয়ে পরিশ্রম করলে এ সেক্টরে সহজেই পদোন্নতি পাওয়া যায়। Apparel Engineer দের রয়েছে সুন্দর কাজের পরিবেশ ও উচ্চ বেতন। অ্যাপারেলের মার্চেনডাইজার একটি অন্যতম পেশা যা এখান থেকে সহজেই হওয়া যায়।এখান থেকে কোনো ফ্যাক্টরির AGM,GM হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। Apparel Engineer রা কাজে মনোযোগ দিয়ে পরিশ্রম করলে অল্প সময়েই অনেক ভালো করা যায়। দশ-পনের বছরের মধ্যেই AGM,GM ও হওয়া যায়।
Review :
Subject : Textile Fashion Design - টেক্সটাইল ফ্যাশন ডিজাইন (TFD)
ফ্যাশন ডিজাইন কী?
গান, অভিনয়, ছবি আঁকা যেমন একেকটা শিল্প। ফ্যাশন ডিজাইনও একটা শিল্প। আর এই শিল্প আঁকাআঁকির একটি বড় অংশ। এটি এমন একটি শিল্প মাধ্যম যার সাহায্যে একজন ডিজাইনার একটি পোশাককে উপজীব্য করে তার মননশীলতার পরিচয় দেন।ফ্যাশন ডিজাইনাররা বিভিন্নভাবে তাদের কাজগুলো করে থাকেন।কেউ কেউ তাদের আইডিয়াগুলো স্কেচের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন,কেউ সরাসরি ডিজাইনটি পোশাকে ফুটিয়ে তোলেন। যারা ছবি আকঁতে, ডিজাইন করতে ভালো লাগে তাদের জন্য ফ্যাশন ডিজাইন উপযুক্ত একটি সাব্জেক্ট। একজন ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার এর জন্য এর থেকে বেস্ট সাব্জেক্ট আর হতে পারে না।
এখন হয়তো আপনারা বলবেন ভাইয়া আমি ত ক্রিয়েটিভ না কিংবা আমার স্কিল নাই। আমার কি এই সাব্জেক্ট নেয়া ঠিক হবে?
- তাদের জন্য বলছি জন্ম থেকেই কেউ ক্রিয়েটিভ বা স্কিলড হয়ে আসে না। শিখবেন আর অন্যের সৃষ্টি ডিজাইন বেশি বেশি দেখবেন তাহলেই আপনার চিন্তাশীলতার বিকাশ ঘটবে। নতুন কিছু চিন্তা করতে শিখবেন তাহলেই আপনি ক্রিয়েটিভ। আর যত বেশি চেস্টা করবেন তত বেশি স্কিলড। কথায় বলে, "একজন ভালো লেখন তার জীবনে যত লেখা সৃষ্টি করেছেন তার থেকে অনেক বেশি অন্যের লেখা পড়েছেন"। অর্থাৎ অন্যের থেকে জ্ঞান নিয়ে নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করুন।
টেক্সটাইলে ফ্যাশন ডিজাইনঃ
পোশাক শিল্পে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন, উচ্চ আয়ের এবং যুগোপযোগী পেশা হলো বায়িং বা গার্মেন্টস মার্চেন্ডাইজিং, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফ্যাশন ডিজাইনিং প্রভৃতি। গার্মেন্টস পরিচালনার জন্য দক্ষ পেশাদারের প্রয়োজন। আর এসব পেশাদার শ্রেণীর চাহিদা মেটাতে অনেক সময় দেশ ছাড়াও দেশের বাইরে থেকে দক্ষতাসম্পন্নদের আনা হয়। একটি পোশাক তৈরি করতে কি ধরণের সুতা,কাপড়,রং ব্যবহার করতে হবে তা নির্ধারণ করেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা।বুঝতেই পারছ একজন ফ্যাশন ডিজাইনারের গুরুত্ব কত।
টেক্সটাইলে একমাত্র এই সেক্টরেই একজন মানুষের ক্রিয়েটিভিটি এবং পরিবর্তনশীল যুগের সাথে নিত্যনতুন চিন্তাভাবনার পরিচয় পাওয়া যায়। একজন ক্রিয়েটিভ ডিজাইনারের জন্য এর থেকে বেস্ট প্লাটফর্ম আর হতে পারে না।
ট্রেন্ড ফলো করে, ডেফিনিট কালচার ফলো করে ফেব্রিকের উপর দৃষ্টিনন্দন এবং ইনোভেটিভ ডিজাইন করা কোন ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার অল্প দিনেই হতে পারেন বিশ্বখ্যাত। আর সত্য কথা এই যে নিজের সেরাটা দিতে পারলে এই সেক্টরেই আপনি সর্বোচ্চ ইনকাম করতে পারেন।
কি কি পড়ানো হয় এখানে?
সর্বমোট ১৬৫ ক্রেডিট এর কোর্স।
-Mathematics, Engineering Physics, Chemistry
- Textile Fibres,Textile physics.
-Engineering Materials.
-Fashion history and studies
-Fashion Draping, Drafting, Design
-Computer aided design & manufacturing
-Special clothinng & materials
-Textile Machine Design.
-polymer Science Engineering.
-Marketing,Economics,Accounting and cost
Management.
-Industrial Management.
-Sociology, Environmental Science.
সহ আরো কিছু মেজর এবং মাইনর বিষয়।
হায়ার স্টাডিজ এর সুযোগ কেমন?
ফ্যাশন ডিজাইনিং এ পড়া অবস্থায় যোগ্যতা ভেদে পেতে পারেন বিভিন্ন মানের বৃত্তি। প্রায় সবগুলু প্রতিষ্ঠানের সাথেই আছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের চুক্তি। যদি আপনার প্রতিভা থাকে তাহলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়া খুব একটা কঠিন না। বাংলাদেশের অনেক ডিজাইনারই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করছে।উচ্চতর শিক্ষার জন্য Paris,Milan,New York এসব শহরের বিভিন্ন নামিদামী ভার্সিটি তে উচ্চতর ডিগ্রী গ্রহণ করা যায়।আমাদের ভার্সিটির বিগত বছরের অনেক ভাই উচ্চতর শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে রয়েছেন।
ক্যারিয়ার বা জব সেক্টর কেমন?
টেক্সটাইল, গার্মেন্টস, ফ্যাশন ডিজাইনিং বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে রয়েছে চাকরির বিশাল বাজার। সরকারি- বেসরকারি দুটি ক্ষেত্রেই রয়েছে চাকরির বিশাল ক্ষেত্র। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগের পাশ?
BUTEX All subject review
Review :
Subject : Industrial Production Engineering - ইনডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (IPE)
IPE কী?
বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং কর্মক্ষেত্র মানেই প্রোডাকশন। কারণ আমাদের দেশে এখনো উন্নত এবং আধুনিক মেশিন তৈরি করতে ব্যর্থ। তাই প্রোডাকশন এর দিকেই আমরা বেশি জোর দিয়ে থাকি। আর প্রোডাকশন ব্যবহৃত সব বড় বড় মেশিন আমরা বিদেশ থেকে কিনে আনি বিশাল এমাউন্ট (প্রায় ৫ কোটি থেকে ৬০ কোটি টাকা বা তারও বেশি) দিয়ে। কিন্তু সেই মেশিনটি ব্যবহার করে কিভাবে প্রোডাকশন বাড়ানো যায় সেটা আমাদের নিজেদেরই করতে হয়। কী করে একটা ফ্যাক্টরির লে-আউট তৈরি করতে হয়, যাতে সবচেয়ে কম Material Movement দিয়ে কী করে হায়েস্ট প্রোডাকশন করা যায়। ঠিক কতজন লোক ব্যবহারে Optimum খরচ হবে। ঠিক কী করে কাজ করলে, প্রসেসগুলো ঠিক করলে আমরা কোয়ালিটি বাড়িয়ে Product Defect কমাতে পারবো এসব মূলত আইপিই ইঞ্জিনিয়ার দের কাজ। এখানে শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং শেখানো না, শিক্ষাটাকে কী করে আরেকজনের কাছে তুলে ধরতে হবে, কী করে নিজেকে আরেকজনের সামনে প্রেজেন্ট করতে হবে, কী করে তৈরি করতে হবে দুর্ধর্ষ প্ল্যানিং, ইন্ডাস্ট্রির Process, Layout, Manpower আর Limited Resource নিয়ে কী করে দুর্দান্ত সেটাপ দিয়ে একটা অসাধারণ প্ল্যান করে ফেলা যায় সেটাই আইপিই শেখায়। ইঞ্জিনিয়ারিং আর ম্যানেজমেন্ট-এর ব্রিজ হিসেবে কাজ করে আইপিই।
তাই বলা যায়, IPE, I=Innovative, P=Proactive, E=Efficient.
টেক্সটাইল ক্ষেত্রে IPE এর কাজ কী?
বুয়েট,কুয়েট, চুয়েট, রুয়েট এসব ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটিতে ও আইপই সাব্জেক্ট রয়েছে। কিন্তু টেক্সটাইল এর আইপিই তাদের অনেকটাই আলাদা।
পূর্বে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে আইপিই এর অভাব পূরণ করতো বুয়েট কুয়েটের স্টুডেন্টরা। কিন্তু টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে মেক্সিমাম প্রোডাকশনের জন্য টেক্সটাইল আইপিই এর বিকল্প নেই। বাংলাদেশের অর্থনতিক ব্যবস্থার প্রায় ৮০% ই দাঁড়িয়ে আছে টেক্সটাইলকে ভর করে। সুতরাং টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে প্রোডাকশন কতোটা গুরুত্বপূর্ণ বুঝতেই পারছেন। Production Process Control, Lean Sigma, Quality Control, Zero Defect, Just In Time, Time Study, Supply Chain Management, Safety Engineering টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে একজন আইপিই ইঞ্জিনিয়ার এই জিনিস গুলা যত সূক্ষ্মভাবে কাজে লাগাতে পারবেন সে ইন্ডাস্ট্রি এবং ইঞ্জিনিয়ার কাউকেই পিছন ফিরে তাকাতে হবে না।
কী কী পড়ানো হয়?
সর্বমোট ১৬৬ ক্রেডিট এর কোর্স।
-Mathematics, Engineering Physics, Chemistry
- Textile Fibres,Textile physics.
-Engineering Materials.
-Fundamental of Mechanical Engineering.
-Electrical & Electronic Engineering
-Computer programming
-Automation &Control Engineering
-Statistics.
-Quality and Industrial management
-CAD, CAM, Engineering graphics
-Maintenance and Operation management
-Fabric structure Design.
-polymer Science Engineering.
-Marketing,Economics,Accounting and -Marketing,Economics,Accounting and cost
Management.
-Industrial Management.
-Sociology, Environmental Science.
সহ আরো কিছু মেজর এবং মাইনর বিষয়।
জব এর সুবিধা কেমন?
IPE এর প্রধান প্রধান কর্মক্ষেত্র গুলো হলোঃ
Production sectors, Apparel sectors, Management sectors, Maintenance sectors etc. বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি বুঝতে পেরেছে যে তাদের অধিক প্রোডাকশনের জন্য আইপিই ইঞ্জিনিয়ার দরকার। তাই এখন প্রায় স ইন্ডাস্ট্রিতেই IP বা IE নামে আলাদা একটা সেক্টর আছে। বাংলাদেশের ৫৫০০ টেক্সটাইল কোম্পানির মধ্যে ৪০০০+ কোম্পানির আইপিই ইঞ্জিনিয়ার দরকার। একটা ইন্ডাস্ট্রি শুধুমাত্র একটা আইপিই ইঞ্জিনিয়ার এর অভাবে ১০% কম লভ্যাংশ পাচ্ছে। তাই আইপিই থেকে দ্রুত এবং ভালো চাকরি পাবার সম্ভাবনা বেশি। যেহেতু ইঞ্জিনিয়ার কম তাই চাকরির বাজারে ডিমান্ড ভালো।
হায়ার স্টাডিজ এর সুবিধা কেমন?
আইপিই থেকে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করে পিএইচডি করা সহজ। এছাড়াও গ্র্যাজুয়েশন এর পর ঢাবির আইবিএ থেকে এমবিএ করাটাও তাদের পক্ষে সহজ। ফলে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি গুলোতে জব পাবার হার বেড়ে যায়। আইপিই থেকে প্রোডাক্ট ডিজাইন, ক্যাড, ক্যাম ইত্যাদি বিষয় নিয়ে হায়ার স্টাডিজের অনেক সুবিধা রয়েছে।
Review :
Subject : Textile Machinery Design & Maintenance - (টেক্সটাইল মেশিনারি ডিজাইন এন্ড মেইনটেইনেন্স) TMDM
মেশিন ডিজাইন এন্ড মেইনটেইননেন্স কী?
ইঞ্জিনিয়ার মানেই মেশিন আর মেশিন মানেই ইঞ্জিনিয়ার। মেশিনের ডাক্তার হলো ইঞ্জিনিয়ার। আমাদের দেশে প্রতি বছর ই কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বিদেশ থেকে বড় বড় মেশিন আনা হয়। ভেবে দেখুন ত, যদি বিদেশ থেকে আনার কিছুদিন পরে যদি মেশিনটা নষ্ট হয়ে যায় বা কোন ত্রুটি দেখা দেয় তাহলে প্রোডাকশনে কত বড় ক্ষতি হবে। মেশিন আমরা বানাতে নাই বা পারি কিন্তু সেই মেশিনের মেইনটেইননেন্স এবং ত্রুটিপূর্ণ তো করতে পারি আমরা। আর এই কারণেই MDM সাব্জেক্টটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এই সাবজেক্টেই যন্ত্র প্রকৌশলের, পাশাপাশি, মেশিন পার্টস, মেশিন টুলস,ও মেশিন বডির যাবতীয় ডিজাইন, এবং টেক্সটাইলের যাবতীয় বিষয় গুলো রয়েছে। যদি তুৃমি যা পড়ছ, তা চোখের সমানে থেকে সরাসরি দেখতে চাও, যদি মেশিনের রোলারএর ঘুর্ণন এ তোমার অনুসন্ধি চোখে কৌতুহল জাগায়,যদি তোমার মনে নতুনত্বের আবির্ভাব ঘটে, যদি তোমার মনে বৈচিত্রের আনন্দ থাকে, একজন সফল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে চাও, তাহলে MDM আছে তোমারই অপেক্ষায়।
কোন সাব্জেক্ট এর সাথে মিল বেশি?
এটা মুলত একটা মেকানিক্যাল বেজড সাবজেক্ট। টেক্সটাইল এর সাথে মেকানিকাল ও ইলেকট্রিকাল এর কম্বিনেশন একে দিয়েছে নতুন মাত্রা। যেহেতু টেক্সটাইল এর সব মেশিন এর আন্ডারে, তাই অন্যদের থেকে মেশিন নিয়ে পড়তে হবে বেশি এবং জানবে ও বেশি। এক কথায় মেশিনের ডাক্তার হতে হবে। কারণ ম্যাকানিক্যালের পড়াশোনা একটু বেশিই অন্যদের চেয়ে অর্থাৎ একটু পরিশ্রম করতে হবে। ভালো কিছু পেতে হলে কষ্টতো একটু করতেই হবে।
কী কী পড়ানো হয়?
সর্বমোট ১৬৫ ক্রেডিট এর কোর্স।
-Mathematics, Engineering Physics, Chemistry
- Textile Fibres,Textile physics.
-Engineering Materials.
-Fundamental of Mechanical Engineering.
-Electrical & Electronic Engineering
-Computer programming
-Automation &Control Engineering
-Statistics.
-Machine maintenance
-Utility machinery and Machinery production
-Machine control engineering
-Fabric structure and design
-Marketing, Economics,Accounting and cost
Management.
-Industrial Management.
-Sociology, Environmental Science.
সহ আরো কিছু মেজর এবং মাইনর বিষয়।
টেক্সটাইলে এর MDM এর কাজ কাজ কী?
টেক্সটাইল মেইন্টেনেন্স ডিপার্টমেন্ট দুই ভাগে বিভক্ত :
১. মেকানিকাল বিভাগ এবং ২. ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগ
মেকানিকাল বিভাগ এর কাজ :
১।নতুন মেশিন সেট আপ করা, ইরেকশান করা
২।মেশিনের পার্টস (ভালব,গিয়ার,রোলার, চেইন…) দেখাশোনা করা।
৩.মাঝে মাঝে ট্রলি,ব্যাচার ঠিক করা, মেশিন ওয়েলিং করা।
৪.ওয়ার্কশপে মেশিন পার্টস তৈরি করা
৫. মেশিন, ব্রয়লার ক্লিনিং এবং তাদের রেগুলার, সাপ্তাহিক ও মাসিক মেইনটেন্যান্স।
ইলেক্ট্রিকাল বিভাগের কাজ:
১.ওয়ারিং করা
২.জেনারেটর এর কাজ করা
৩.মটর এর কাজ (বাধাই ও ঠিক করা)
৪. ইনভার্টার বা কন্ট্রোল পেনেল ঠিক করা।
৫. এগুলোর রেগুলার মেইনট্যানেন্স করা, মাদারবোর্ড ঠিক করা।
৬. ফেক্টরিতে এবং মেশিনে বৈদ্যুতিক সংযোগ নিশ্চিত করা।
জব সুবিধা কেমন?
টেক্সটাইল মিলে মেইন্টেনেন্স ডিপার্টমেন্ট এ চাকরি করা, আর ফিউচার??? বাস্তব কথা হলো টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে মেইন্টেইনেন্স সেকশনে তেমন বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ার নেই। তাই ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে এই ইঞ্জিনিয়ার এর ঘাটতি বেশি। কারণ ইন্ডাস্ট্রির মালিক কখনোই চাইবে না এত দামি মেশিন এত তাড়াতাড়ি অকেজো হয়ে যাক। এখানে, খুব তারাতারি GM হওয়ার সুযোগ আছে।কারন পদ গুলোতে দক্ষ টেকনিক্যাল লোক নেই। নিশ্চিত করে বলা যায় আগামি ২০ টা ব্যাচ টানা বের হলেও চাকরির অভাব হবে না।
উচ্চ শিক্ষা:
উচ্চ শিক্ষার সুজোগ বেশ ভালো,কেউ চাইলে ম্যাটেরিয়াল সাইন্স & ইঞ্জিনিয়ারিং , মেকানিকাল এ ও এম. এস.সি. করতে পারবে এবং কোর্স ও সেই ভাবে করেই সাজানো হয়েছে। সবশেষে বলব টেক্সটাইল একটা প্রতিযোগিতাপুর্ণ সেক্টর। এখানে টিকে থাকতে হলে জানতে হবে।যে যত বেশি জানবে তার পারফরমেন্স তত ভাল হবে।জবে ফেসিলিটি ও ভাল পাবে। আর এই কাজ সহজ করতে পারে একমাত্র TMDM ডিপার্টমেন্ট/ ( TME ( TEXTILE MACHINE ENGINEERING) ) কারন যেহেতু সব মেশিন সম্পর্কে জানা থাকবে, তাই অন্যের সেক্টরেও শিফট করা যাবে এবং খবরদারি করা যাবে এবং বিদেশিদের সাথেও পাল্লা দেয়া যাবে সমানে সমানে।
বুটেক্সে এই ডিপার্টমেন্ট এর জন্য ৪০ টা সিট বরাদ্দ আছে।
TMDM ডিপার্টমেন্ট এ ৪৬ তম ব্যাচকে স্বাগতম।
Review :
Subject : Environmental Science and Engineering - এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ESE)
সময়ে দাবিতে বুটেক্সে সর্বশেষ খোলা ডিপার্টমেন্ট হলো এটা। ২০১৮ সালেই ৪৫ তম ব্যাচ কে দিয়ে এটি চালু করা হয়। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা খুবই কম।
ESE কী?
আমরা সবাই জানি বর্তমানের বিশ্বের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা পরিবেশ সংরক্ষণে কতোটা জোরালো ভূমিকা
পালন করছে। তার কারণ কী? আশা করি সবার ই জানা। আমাদের দৈনিন্দিন কাজকর্মের ফলে পরিবেশ যেভাবে দূষিত হচ্ছে, বার বার ব্যবহারের ফলে প্রাকৃতিক সম্পদ যেভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে এভাবে চলতে পরবর্তী ৫০ বছরে পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। তাই পৃথিবীকে বসবাসের যোগ্য রাখতে, পরিবেশের দূষণ কমাতে, প্রাকৃতিক সম্পদের উৎসের প্রতি নির্ভরশীল না থেকে অন্য কোন উৎসের অনুসন্ধান করতে, অব্যবহার যোগ্য সম্পদের পারফেক্ট রিসাইক্লিং এর জন্যই এই সাব্জেক্ট এর উদ্ভব।
টেক্সটাইল এ ESE এর ভূমিকা কী?
বর্তমান বিশ্বে পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ এই টেক্সটাইল। ফেব্রিক কালার করার পরেও ডাইং সেকশনে অনেক রং থেকে যায়। যার তাপমাত্রা থাকে ৪০° ডিগ্রী সেলসিয়াস এরও উপরে। এই রং নদীর পানিতে ঢালা হলে পানির তাপ দূষণ হয়। এছাড়াও রং এ উপস্থিত বিষাক্ত ক্যামিকেল মানবজাতির জন্যও হুমকিস্বরূপ। পাশাপাশি ফেব্রিকে ওয়াশিং এর জন্য লাখ লাখ গ্যালন পরিষ্কার পানি ব্যবহৃত হয়। এভাবে চলতে থাকলে পানির উৎসও শেষ হয়ে যাবে।
তাই ESE ইঞ্জিনিয়ার দের মূল কাজ হলো প্রোডাকশন পরবর্তী অব্যবহৃত ম্যাটেরিয়ালস গুলা কিভাবে কাজে লাগিয়ে, রিসাইক্লিং করে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করা যায় তা নিয়ে বিশ্লেষণ করা। প্রতিটা ইন্ডাস্ট্রি তে ETP ( Effluent Treatment Plant) Management, Solar system management, recycling management, Biogas Plant management, water filter management ইত্যাদি এসব নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করাই এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ার দের কাজ।
জব সুবিধা কেমন?
আগেই বলেছি এই সাব্জেক্ট একদম নতুন। তাই জব ডিমান্ড সবচেয়ে বেশিও এই সাব্জেক্ট এ। বর্তমান বিশ্ব পরিবেশ সংরক্ষণে অনেক বেশি সেনসিটিভ। তাই প্রতিটা ইন্ডাস্ট্রির মালিক ই পরিবেশের কথা মাথায় রেখে এই সেক্টরে ইঞ্জিনিয়ার দের অভাব অনুভব করেন। তাই জবের সুবিধাও বেশি। নিজের যোগ্যতা আর বুদ্ধি দিয়ে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে কিভাবে অব্যবহৃত জিনিস কে পুনরায় কাজে লাগাবেন সেটা দেখাতে পারলেই আপনি হয়ে যাবেন মালিকের চোখের মধ্যমণি। এই সেক্টরে অতি দ্রুত AGM / GM হবার সম্ভাবনা বেশি। যেহেতু এটা নতুন সাব্জেক্ট তাই গ্র
্যাজুয়েশন পাশ করার পর ভালো রেজাল্ট কারীরা অতি সহজেই টিচিং প্রফেশনে যেতে পারবে।
এনভায়রনমেনটাল সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এ ৪৬ তম ব্যাচকে স্বাগতম।
সবশেষে যে গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রশ্নই সবার মনে জাগে-
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার কী? টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ কী? কাপড় তো শ্রমিক বা তাতিরা বানায়। তাতি বা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দের ডিফারেন্স কী? কেনো এদের ইন্ডাস্ট্রির মালিকরা উচ্চ বেতনে নিয়োগ দেন?
অনেকেই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার নাম শুনলেই নাক সিটকান, বলেন এইটা কোন ইঞ্জিনিয়ারিং হইল, কাপর-চোপরের আবার কিসের ইঞ্জিনিয়ারিং? শতকরা ৮০ভাগ লোকই জানেন না যে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি মানে কাপড়-চোপরের ইঞ্জিনিয়ারিং না। এটি সম্পূর্ন ম্যানুফ্যাকচারিং বেসড একটি প্রসেস যেখানে একজন ইঞ্জিনিয়ারকে মেশিন সেট আপ থেকে শুরু করে প্রসেস কন্ট্রোল, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, ফেব্রিকের ইপিআই & পিপিআই, গিয়ার মেকানিসম এবং মেইন্টেনেন্স নিয়ে কাজ করতে হয়। স্পিনিং এর ইঞ্জিনিয়ার দের প্রোগ্রাম ইনপুট দেয়া জানতে হয়। ওয়েট প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ার দের প্রথম সারির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হতে হয়। নাসার বিজ্ঞানীরা যারা দীর্ঘদিন যাবত মহাকাশে মানুষ পাঠাতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা অসংখ্য টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দের গবেষনায় নিযুক্ত করে স্পেস স্যুট এবং ন্যানোফাইবার, কার্বন ফাইবারের শিল্ড তৈরীর জন্য। বুলেট প্রুফ ফেব্রিক তৈরি করতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ই গবেষণার প্রয়োজন হয়। টেক্সটাইল এর প্রয়োগ কোথায় নেই?
চিকিৎসা ক্ষেত্রে হার্ট ব্লকেজ হলে হার্টে যে রিং পড়ানো হয় সেটাও প্রোটিন ফাইবার দিয়ে তৈরি। আর্টিফিশিয়াল হার্ট তৈরি করবেন বা এর লাইফ টাইম ডেভেলপ করতে চান? কাকে নিয়োগ দিবেন? সেই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ই লাগবে।
এখন এসব কাজ কী একজন শ্রমিক বা তাতি পারবে? কাপড়ের কোয়ালিটি বাড়ানো, টেকসই করা, নতুন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন ফ্যাশনের কাপড় এর ডিজাইন করা, লোয়েস্ট ম্যান পাওয়ার বা লো একাউন্ট ম্যাটেরিয়ালস দিয়ে হায়েস্ট প্রোডাকশন তৈরি করা এসব শুধু একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ই পারেন। একারণেই একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের বেতন বেশি হয়।
তবে সত্য হলো স্টার্টিং বেতন অধিকাংশেরই বেতন ২০ থেকে ৩০ হাজার এর মধ্যে থাকে (যদি ইন্ডাস্ট্রির মালিক আপনাকে এক্সসেপশন মনে না করে কিংবা আপনি আপনার যোগ্যতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন)। যদি আপনার যোগ্যতা আপনার আপনার ডিপার্টমেন্ট এর অন্যদের চেয়ে বেশি থাকে তাহলে স্টার্টিং ৬০+ হাজার বেতন দিয়েও আপনাকে মালিক হায়ার করবে। এখন আপনি যদি আশেপাশের ১০০ জনের মতই নরমাল ইঞ্জিনিয়ার হন তাহলে মালিক কেনোই বা আপনার পিছে ৫০/৬০ হাজাত টাকা ঢালবে। তাকেও ত লাভ লোকশান এসব নিয়ে বাঁচতে হয় তাই না? সুতরাং চার বছরে নিজেকে যোগ্য করে তুলুন।
এবার আসি ৬/৭ ডিজিট সম্পর্কে। শুরুতে কারো স্যালারি ই এমন থাকে না। কিন্তু টেক্সটাইল ই বাংলাদেশের একমাত্র সেক্টর যেখানে আপনি সৎ থেকে নিজের স্কিল দিয়ে, পরিশ্রম দিয়ে মাত্র ৩/৪ বছর জব করেই নিজেকে ৬ ডিজিট স্যালারির আসনে বসাতে পারবেন। বাংলাদেশের টেক্সটাইল এর আইকন মনোয়ার হোসেন পলাশ ভাই ( বাংলাদেশ সহ আরো ২/৩ টি দেশের কান্ট্রি মেনেজার) যার মান্থলি স্যালারি এট প্রেজেক্ট ৩৬ লক্ষ টাকা।
অতি সম্প্রতি বুয়েট নন-ওভেন জূট টেকনোলজী কে জিও টেক্সটাইল হিসেবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজে ব্যবহার শুরু করেছে,আগামিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়মিত বিষয় হিসেবে যখন জিও-টেক্সটাইল পড়ানো হবে তখন এই কোর্সের জন্য বাংলাদেশের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দেরকেই শিক্ষক হিসেবে পাবেতারা। সত্যি বলতে কী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টের সাথে সব চেয়েবেশি মিল রয়েছে আইপিই ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে।
যাই হোক, পেশা হিসেবে অনেকের অ্যালার্জি থাকলেও বাংলাদেশে একমাত্র টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে “মেইড ইন বাংলাদেশ ” ট্যাগ এ ব্র্যান্ডিং শুরু করেছে। আজকাল অনেক প্রতিষ্ঠান ( যেমন ওয়াল্টন ) দাবি করে তারা নাকি বাংলাদেশকে ব্যান্ডিং করছে, আন্তর্জাতিক হাজার হাজার ব্র্যান্ডের ভিড়ে কয়জন মানুষ ওয়াল্টন ব্যবহার করে কেউ জানে? জেনে রাখুন বিশ্বের ২য় বৃহত্তম জিন্স ব্র্যান্ড এইচ এন্ড এম শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকেই বছরে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার মুল্যের পন্য নিয়ে থাকে, আজ আমরা যারা হলিউডের মুভি দেখে অভ্যস্ত তারা কয়জনে জানি এই সব নামীদামি সেলিব্রেটিরা বাংলাদেশ এর নাম কে এক্টি ব্র্যান্ড হিসেবে জানে? ফুটবল বিশ্বকাপে গ্রেড ওয়ান জার্সি , ন্যাটোরক্যামোফ্ লেজ ড্রেস থেকে শুরু করে ডিজেল, রিবক, নাইকি, পুমা কারা নির্ভর করে না এই দেশের টেক্সটাইল প্রোডাক্ট এর উপর? আর যারা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করেছেন তারা এই দেশের ই টেক্সটইল ইঞ্জিনিয়ার রা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশ কে টেক্সটাইল সেক্টরের পরবর্তি চীন হিসেবে ঘোষনা করেছে।
*****আরো একটি কথা...................
"ভালো জব বা ৬/৭ ডিজিট স্যালারী যেখানে সেখানেই পড়বা এমন চিন্তা বাদ দিয়ে দাও। সেখানে পড়লেই যে লাইফ স্যাটেল তা সম্পূর্ণ ভুল। তোমার সেটাই প্রাপ্য যেটা তুমি ডিসার্ব করো। আর ইঞ্জিনিয়ার মানেই টেকনিক্যাল পারসন। একজন ইঞ্জিনিয়ার এর যদি টেকনিক্যাল নলেজ ভালো থাকে তাহলে তাকে জব নিয়ে টেনশন করতে হয় না। দিনশেষে নিজের সেটিসফেকশন ই মুখ্য। আল্লাহ তা'আলা আপনার জন্য অলয়েজ সেরা জিনিসটাই রাখছেন। সো সন্তুষ্ট থাকুন বিনিময়ে আল্লাহ আরো বেশি কিছু দিবে। অতএব, আলহামদুলিল্লাহ ফর এভ্রিথিং।"
Feel proud to be a টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার
বিল্ডিং তৈরির রডে যেমন "বুয়েট কর্তৃক স্বীকৃত" লেখা থাকে সম্প্রতি এটাও নির্ধারিত হয়েছে যে বিদেশে রপ্তানি করা সকলে
টেক্সটাইল ম্যাটেরিয়ালস এর গায়ে লেখা থাকবে "বুটেক্স কর্তৃক স্বীকৃত"। সেই স্বীকৃতের অংশ হওয়াটা আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার। দেশে থেকে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দেশের কল্যাণেই নিজেকে নিয়োজিত করছেন। এর থেকে ভালো আর কি হতে পারে?
বুটেক্সে টোটাল ১০ টা ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। তার মধ্যে ১২০ ক্রেডিট সব ডিপার্টমেন্ট এই সেইম। বুঝতেই পারছেন ১০ টা ডিপার্টমেন্ট এর পড়াশোনা প্রায় ৭৫% ই সেইম। সুতরাং প্রতিটা ডিপার্টমেন্টই টেক্সটাইলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। সুতরাং প্রতিটা ডিপার্টমেন্ট এর ই ব্রাইট ফিউচার আছে। বাকিটা আপনার চার বছরের চেষ্টার উপর ডিপেন্ড করে।
পরিশেষে, দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র পাবলিক টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৬ তম ব্যাচকে স্বাগতম
(বিঃদ্রঃ) বেশিরভাগ তথ্য গুগুল থেকে নেয়া হয়েছে।
শেখ ইউসুফ আবদুল্লাহ
ফেব্রিক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন