টেক্সটাইল মার্কেটিং পলিসিঃ
১. আপনার টেক্সটাইল মার্কেটিং করতে হলে আপনার প্রাইমারি ক্লায়েন্ট বায়িং হাউজ অথবা ফেক্টরি মার্চেন্ডাইজার এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। মুলত তারা অর্ডার গুলি এক্সিকিউট করেন । অনেক সময় মার্কেটিং ম্যানেজার না ডিরেক্টর সরাসরি ওর্ডার দিয়ে থাকেন। টেক্সটাইল মার্কেটিং যে কোন আইটেমের হতে পারবে যেমন ফেব্রিক, একসোসরিস, প্রিন্টিং, ডাইং, ইয়ার্ন ।
2. প্রথমত তাদের মার্কেটিং জব পাওয়ার সাথে সাথে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে তাদের অফিসে গিয়ে এবং তাদের কাছে আপনার ফেক্টরি বিস্তারিত বিষয়ে আপনার প্রোডাকশন ক্যাপাসিটি ওয়ার্ক অর্ডার ফেক্টরি মেশিন প্রসেস গুলি তাদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে ।
3. উপস্থাপন করার পর তাদের কাছ থেকে শুনতে হবে তারা কি কি অর্ডার করে এবং কি কোয়ান্টিটির অর্ডার করে কি কি কোয়ালিটি তারা চায় আর তাদের লিড টাইম কত দিন। লিড টাইম সার্ভিস রিপ্রেজেন্ট করার জন্য বিগফেক্ট । টাকার চেয়ে টাইম মতো ডেলিভারী একটা বড় কাজ।
4. তারা কি কি সার্টিফিকেশন চায় তাদের রিকোয়ারমেন্টস গুলো কি কি এবং অর্ডারটা কার কাছে দিবে সে বিষয়ে তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে। আপনার কম্পলায়েন্স, অকোটেক্স, GOTS সার্টিফিকেট কাজ নিতে প্রয়োজন হতে পারে এগুলি বিষয়ে আপিনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে আপনি তদের সার্টিফিকেট সম্পর্কে বলবেন না এপ্লাই করা থাকলে তা বলবেন কংবা কোন বায়ারের আপনি নমিনেশন আছে তাদের নাম বলবেন ৷ কারন ভালো বায়ারেএ কাজ করলে আপনার জন্য এটা প্লাস পয়েন্ট । আবার UD দেয় কিনা সেটাও দেখে তারা ।
5. প্রয়োজনে তাদেরকে ফেক্টরি ভিজিট এবং অডিট এর সুযোগ দিতে হবে এবং তাদের কাছে ফুল প্রোফাইল আর তুলে ধরতে হবে । তারা এসে নিজেরা ঘুরে দেখে যাবে স্বচোক্ষে । তাতে তারা কোথায় অর্ডার দিচ্ছে তার মান কেমন এটার অন্তত একটা আইডিয়া থাকবে।
6. শুরুতে আমি কতটা ভালো সার্ভিস দিতে পারব সেটা তাদের উপস্থাপন করতে হবে নিজের কোয়ালিটি নো কম্প্রোমাইজ । ক্লায়েন্ট প্রাইস নিয়ে সবাই কমানোর চেস্টা করবে এতে আপনার হতাস হবার কিছু নেই । আপনি আমরার কষ্টিং করা প্রাইস থেকে কমাবেন না, ছোট ফেক্টরি নন কম্পলায়েন্স আর নন সার্টিফাইড ফেক্টরির ১০-২০ সেন্ট প্রাইস কম হয় । এদের অসুবিধা এরা ডেমারেজ দিতে পারে না ক্ষতি হলে । আর বায়ার অডিট করতে চাইলে ওসব ফেক্টরিতে করতে পারে না । আর অনেক ফেক্টরির কথায় বলবে যাদের কস্টিং কম কিন্ত ফেক্টরি ময়মনসিংহ যেখান থেকে আনতে ট্রান্সপোর্ট কস্ট এর জন্য লাভের সেন্ট গুলি চলে যাবে। আপনাকে তাদের উইক পয়েন্ট তুলে ধরতে হবে।
7. তাদের কাছ থেকে ওয়ার্ক অর্ডার কালেকশন করতে হবে উত্তর এক কাজ কোয়ালিটি আমার স্যাম্পল ডেভলপ করার পর তাদের কাছে প্রাইস পি আই ( প্রোফর্মা ইনভয়েস) সাবমিশন করতে হবে ।
8. তাদের কাছে এল সি বা সাইটের সিতে অর্ডার নিতে হবে , এলসি মুলত ৯০, ৬০, ১২০ দিনের ডিউরেশনে LC হবে এবং এর পেমেন্ট হবে ব্যাংক টু ব্যাংক । সাইড এলসি আমরা যা বুঝি সেটা হলে এটার ক্ষত্রে ইন্সটেন্ট ক্যাশ পেমেন্ট করে দিলে মাল ডেলিভারি দিয়ে দিতে হয়।
9 সংশ্লিষ্ট মার্চে মার্চেন্ডাইজার কোয়ালিটি লোকজনকে সবুজ সুযোগ সুবিধা গুলো দিতে হবে প্রয়োজনে ট্রানস্পর্ট ফেসিলিটি দিতে হবে । এর জন্য আপনার ডিরেক্টর এবং MD এর সাপোর্ট লাগে । অনেক সময় সংশ্লিষ্টদের সুবিধা এমন ভাবে দেয়া হয় যেমন আপনার প্রাইস ১.৩০ সেন্ট হলে তাতে বিল বা PI তে ১.৩২ লিখে দেয়া হয় যা বিল জমা হয়ে গেলে MD ২ সেন্ট করে সংশ্লিষ্টের একাউন্টে ট্রান্সফার করে দিতে বলে থাকেন । ( এটা সম্পুর্ণ ক্লাসিফাইড প্রসেস এটা নির্ভর করে সম্পর্কের উপর ফেক্টরির উপর, সাবাই সুবিধা পাবে সবাইকে দিবে এমন নয় বিষয়টা )
10 ডেমারেজ হলে তা কিভাবে রিকোভার করতে হয় সে সকল বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে ভালো করে। যেমন কাপড় নস্ট করলে তার দাম হিসেব করে পরের লট গুলিতে তারা এর বিল কম দিবে ! যেমন ১০০০ হাজার ডলারের ক্লেইম খাইলে তারা পরের বলে ১০০০ কেটে রেখে দিবে আপনি যদি ক্লেইম উইড্রো না করাতে পারেন আপনাকে প্রমান করতে হবে দোষ আপনার না । অনেক সময় ১০০০ কে ৩০০ করে দুই বিলে তিন বিলে ভাগ করে দিয়ে অল্প করে তারা কমিয়ে দেয় । অনেক সময় ৯০০ কেজি ডেলিভারি নিয়ে বিল হয় ৮০০ কেজির এই ভাবে মার্কেটিং এর লোকজন এডজাস্ট করে থাকেন ।
১১. ফেব্রিক নস্ট হলে তারা ক্লেইম করে। ক্লেইম থেকে পরিত্রানের উপায় হচ্ছে তাদের আপনি আগে কি কি উপকার করেছে কি কি বিপদ থেকে বাচিয়ে ছিলেন তার কথা গুলি তুলে ধরা । অনেক সময় অতীত রেকর্ড বিবেচনা করে মাফ করে দেয়া হয় । ক্লেইম মাপ না হলে মালিক ডিরেক্টর কে জানাতে হয় তারা ব্যাবস্থা নেন তারা হয়ত প্রডাকশনের কারো বেতন কাটেন , অনেক সময় নষ্ট ফেব্রিক গুলি বিক্রি কতে টাকা রিকোভার করা হয় ।
১২. মার্কেটিং এর কাজের মুল চাপ হলে পার্টির কাছ থেকে পেমেন্ট গুলি কালেকশন , যেহেতু বিষয় যখন টাকার তাই এটা এতো সহজ না, সাথে প্রডাকশন আর ডেলিভারী খেয়াল রাখতে হয় যে কোন মুহুর্তে একটা সমস্যা হয়ে যেতে পারে । আর সমস্যা হলে তা ম্যাকয়াপ করা অনেক ঝামেলার ।
১৩. টার্গেট এচিভ করার জন্য অনেককে ধরতে হয় ।
ফেক্টরি ঘুরিয়ে এভাবে প্রপোজাল দেয়া যে যদি আপনার সর্ট কোয়ানটিটি করতে হয়, সর্ট অর্ডার হয় তবে করাতে পারবেন আমার কাছে, বলে তাকে কার্ড দিয়ে দেয়া আর সর্ট কোয়ানটিটি সবাই করতে চায় না এটা করে ভরসা জিততে বাকি অর্ডার এমনি পাওয়া যাবে। টার্গেট সব সময় ডলারে দেয়া হয় যেমন ১-৩ লাখ ডলার।
১৪. মার্কেটিং এর মুল টাকার ফাংশন হচ্ছে আপনি কতো করে অর্ডার নিলেন আর কতো করে করালেন। এর লেফট ওভার জমলে তা যদি ডেলিভারি করতে পারে তার একটা % পাবে এর ভেতরে ডাইং প্রিন্টিং, মার্কেটিং, এবং পার্টির রিপ্রেজেন্টেটিভ এর একটা সমন্নয় লাগে, এটা টোটালি ইলিগাল কিন্ত আমাদের দেশে বেশিরভাগ ফেক্টরিতে এটাই চলে । এটা স্টেন্ডার্ড প্রসেস না এটা জানার জন্য দেয়া।
১৫. আপনার পেমেন্ট গ্রে রিসিভ বা ফিনিশ ফেব্রিকের উপর দিতে পারে তবে আপনারা ফিনিশ কোয়ানটিটির উপর বেইজ করে পেমেন্ট নিতে পারেন । বিল অনেক সময় গ্রে জমা থাকলে তার দামের উপর ফিনিশিং করা কাপড় ডেলিভারি দিয়ে দেয়া হয় ।
১৬. আফটার সেল সার্ভিস যার যতো ভালো তার হবে তার ক্লায়েন্ট পাবার ক্লায়েন্ট সাসটেইন করার সম্ভাবনা অনেক বেশি । আপনারা বায়ার এর সমস্যা গুলি আপনাকে দ্রুত কাভার করে দিতে হবে বা কোন ইমার্জেন্সি কোন কাজ হলে তা দ্রুত করে দিতে হবে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন