ফেব্রিক কনজাম্পশনঃ-
একটি গার্মেন্টস তৈরী করতে যে পরিমান ফেব্রিকের প্রয়োজন হয় তাকেই ফেব্রিক কনজাম্পশন বলে। একটি গার্মেন্টসের শ্যাম্পল তৈরী করার পর এর মুল্য নির্ধারন করতে গেলে অবশ্যই ফেব্রিক কনজাম্পশন জানতে হবে। যেকোন নির্দিষ্ট একটি গার্মেন্টসের জন্য কতটুকু ফেব্রিক লাগবে তা মার্কার প্ল্যানিং না করা পর্যন্ত বলা বেশ কঠিন। তবুও শ্যাম্পল গার্মেন্টস তৈরী করার পরেও কিছুটা ধারনা করা যায় যে, এই শ্যাম্পল অনুসারে গার্মেন্টস তৈরী করতে চাইলে কতটুকু ফেব্রিক লাগবে। তবে মনে রাখতে হবে শ্যাম্পলের সাহায্যে যে ফেব্রিক কনজাম্পশন বের করা হয় তা একটি আনুমানিক পদ্ধতি। নিখুঁত পরিমাপ পেতে চাইলে অবশ্যই মার্কার প্ল্যানিং সম্পন্ন করে করতে হবে।
আমরা একটি প্যান্ট তৈরীতে কি পরিমান ফেব্রিক লাগবে তার একটি হিসাব নিচে বর্ণনা করা হল।
ধরি,
একটি প্যান্টের ফেব্রিক কনজাম্পশন = P
তবে সুত্রানুসারে প্যান্টের জন্য ফেব্রিক কনজাম্পশন, P = (H + ৪’’) * (J + ২’’) * ৪
(পকেটিং এর ফেব্রিক ছাড়া)
এখানে,
P = প্যান্টের ফেব্রিক কনলাম্পশন
H = প্যান্টের হেইট ( উচ্চতা)
J = কর্চ লাইন বরাবর প্রস্থ ( চিত্র-২ দ্রষ্টব্য)
P = প্যান্টের ফেব্রিক কনলাম্পশন
H = প্যান্টের হেইট ( উচ্চতা)
J = কর্চ লাইন বরাবর প্রস্থ ( চিত্র-২ দ্রষ্টব্য)
উপরের সুত্র ব্যবহার করে একটি প্যান্ট তৈরীতে কি পরিমান ফেব্রিক প্রয়োজন হবে তা সহজেই বের করা যায়। ফেব্রিকের প্রস্থ জানা থাকলে কতটুকু দৈর্ঘ্যের ফেব্রিক লাগবে তাও বের করা যায়। নিম্নে একটি উদাহরনের সাহায্যে বিষয়টি আরও ভালভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করা হলঃ-
উদাহরনঃ-
একটি প্যান্টের শ্যাম্পলের সাহায্যে এর উচ্চতা যদি ৪০’’ এবং কর্চ লাইন বরাবর প্রস্থ (১/২) যদি ১৩’’ পাওয়া যায় তবে উক্ত প্যান্ট তৈরী করতে কি পরিমান ফেব্রিক দরকার তা নির্ণয় করতে হবে।সেই সাথে যদি ফেব্রিকের প্রস্থ ৬০’’ হয় তবে উক্ত ফেব্রিকের দৈর্ঘ্য কত হবে তাও নির্ণয় করতে হবে।
একটি প্যান্টের শ্যাম্পলের সাহায্যে এর উচ্চতা যদি ৪০’’ এবং কর্চ লাইন বরাবর প্রস্থ (১/২) যদি ১৩’’ পাওয়া যায় তবে উক্ত প্যান্ট তৈরী করতে কি পরিমান ফেব্রিক দরকার তা নির্ণয় করতে হবে।সেই সাথে যদি ফেব্রিকের প্রস্থ ৬০’’ হয় তবে উক্ত ফেব্রিকের দৈর্ঘ্য কত হবে তাও নির্ণয় করতে হবে।
সমাধানঃ-
প্রশ্নমতে,
H = ৪০’’
J = ১৩’’
সুতরাং,
ফেব্রিক কনজাম্পশন, P = (H + ৪’’) * (J + ২’’) * ৪
= ( ৪০’’ + ৪’’) * (১৩’’ + ২’’) * ৪
= ৪৪’’ * ১৫’’ * ৪’’
= ৬৬০ * ৪ বর্গ ইঞ্চি
= ২৬৪০ বর্গ ইঞ্চি -------------- (i)
ফেব্রিক কনজাম্পশন, P = (H + ৪’’) * (J + ২’’) * ৪
= ( ৪০’’ + ৪’’) * (১৩’’ + ২’’) * ৪
= ৪৪’’ * ১৫’’ * ৪’’
= ৬৬০ * ৪ বর্গ ইঞ্চি
= ২৬৪০ বর্গ ইঞ্চি -------------- (i)
এখন, প্যান্টের ফেব্রিকের প্রস্থ যদি ৬০’’ হয়।
তবে ফেব্রিকের দৈর্ঘ্য = ২৬৪০/৬০ ইঞ্চি
= ৪৪’’ -------------- (ii)
= ৪৪’’ -------------- (ii)
উপরের (i) নং সমীকরন মোট ফেব্রিকের পরিমান এবং (ii) নং সমীকরন উক্ত ফেব্রিকের দৈর্ঘ্য নির্দেশ করে।
বিঃদ্রঃ-
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, প্যান্টের ফেব্রিকের কনজাম্পশন বের করার জন্য পকেটিং এর ফেব্রিক এবং লাইনিং এর ফেব্রিক হিসাবে ধরা হয়নি। পকেটের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে আলাদাভাবে প্রয়োজনীয় পকেটিং এর ফেব্রিক বের করতে হবে।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, প্যান্টের ফেব্রিকের কনজাম্পশন বের করার জন্য পকেটিং এর ফেব্রিক এবং লাইনিং এর ফেব্রিক হিসাবে ধরা হয়নি। পকেটের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে আলাদাভাবে প্রয়োজনীয় পকেটিং এর ফেব্রিক বের করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন