গার্মেন্টস প্রোডাকশন প্ল্যানিং
এই নোটটি ছোট বা বড় গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রির জন্য যাদের আই.ই.(IE=Industrial Engineering) ডিপার্টমেন্ট নেই (তবে অবশ্যই সবাইকেই সাহায্য করবে নিঃসন্দেহে) এবং যারা তাদের ক্যাপাসিটি নির্ধারণ করতে হিমশিম খাচ্ছেন এবং ফলাফলে ওভারটাইম বাড়ছে কিংবা এয়ার শিপিং এর চার্জ গুনতে হচ্ছে তাদের জন্য (নোটে দাড়ি কমা ব্র্যাকেটের ভেতর যা আছে সব পড়ুন নতুবা বুঝতে কষ্ট হবে)
আমাদের দেশে মোটামুটি সব গার্মেন্টের কর্তাব্যক্তিদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় আপনাদের ফ্যাক্টরীর ক্যাপাসিটি কত? উত্তর হবে কোন একটি সংখ্যা (যেমন ১ লক্ষ পিস বা ২.৫ লক্ষ পিস বা ৩০ লক্ষ পিস ইত্যাদি) ধরাযাক আমরা যেই ফ্যাক্টরি নিয়ে আলোচনা করব তার
বিস্তারিতঃ
বিস্তারিতঃ
কোন একটি প্রোডাক্ট ধরা যাক বেসিক টি-শার্ট দিয়ে যদি বলা হয় এর প্রোডাকশন কেমন হবে ?
প্রোডাকশন কর্তাব্যক্তির উত্তর হবে হয়ত ৩০ জন ম্যান (শ্রমিক)(২৫ মেশিন-আলোচনায় মেশিনের গুরুত্ব নাই) এ ২০০ পিস প্রতি ঘন্টায় উৎপাদন করতে পারব (অভিজ্ঞতাই হচ্ছে একমাত্র উপায়, স্ট্যান্ডার্ড টাইম বা এফিশিয়েন্সি এক্ষেত্রে কোন প্রভাব ফেলে না! স্ট্যান্ডার্ড টাইম যেমন শেষ পর্যন্ত আই.ই. উপর নির্ভরশিল তেমন এক্ষেত্রে প্রোডাকটিভিটি প্রোডাকশন ম্যানেজারের উপর নির্ভরশিল তাই আমরা আজকের আলোচনায় প্রোডাকশন ম্যানেজারের অভিজ্ঞতাকেই মান হিসেবে ধরে এগুবো)।
এবার আসল আলোচনায় আসা যাক! নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুনঃ
ছবি-০২ঃ অর্ডার
আমাদের আলোচ্য সুদক্ষ গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রির শ্রমিক সংখ্যা ১০০০(এবসেন্টিজম বাদ দিয়ে) ও ক্যাপাসিটি ১৫৬০০০০পিস (ছবি-০১ দ্রষ্টব্য) এবং আমাদের জুন, জুলাই ও অগাস্টের অর্ডারের সংখ্যাও ১৫৬০০০০ পিস (ছবি-০২ দ্রষ্টব্য)
এখন প্রশ্ন হচ্ছে তিন মাসের কোন মাস (বা কোন কোন মাস) সুদক্ষ টার্গেট ১৫৬০০০০ পিস উৎপাদন এ ব্যর্থ হবে এবং কেন হবে ?
এখন প্রশ্ন হচ্ছে তিন মাসের কোন মাস (বা কোন কোন মাস) সুদক্ষ টার্গেট ১৫৬০০০০ পিস উৎপাদন এ ব্যর্থ হবে এবং কেন হবে ?
সুতরাং জুন মাসের অর্ডারের মোট মানবঘন্টা = ৩০০০০ + ২৮০০০০ + ২৯৪৫৫ = ৩,৩৯,৪৫৫ ঘন্টা যা ২,৪০,০০০ ঘন্টা (ক্যাপাসিটি) এর চাইতে বেশি অতএব জুন মাসে সুদক্ষ গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি ১৫,৬০,০০০ পিস গার্মেন্ট উৎপাদনে ব্যর্থ হবে একইভাবে অন্যান্য মাস দেখুন (ছবি-০৩)।
গার্মেন্টে ক্যাপাসিটি প্ল্যানিং এর জন্য সব কিছু মানব ঘন্টায় রূপান্তর করিঃ
ছবি-০৩ঃ বিস্তারিত ব্যাখ্যা
মানবঘন্টার হিসেবে ফ্যাক্টরি ক্যাপাসিটিঃ
১০০০ X ২৪ X ১০= ২,৪০,০০০ ঘন্টা অর্থাৎ
১০০০ X ২৪ X ১০= ২,৪০,০০০ ঘন্টা অর্থাৎ
আমরা প্রতিমাসে দুই লক্ষ্য চল্লিশ হাজার মানব ঘন্টা ব্যয় করতে পারব।
জুনঃ
ট-শার্টঃ ৩০ জন শ্রমিক প্রতি ঘন্টায় ২০০ পিস প্রোডাকশন করতে পারে তার মানে,
ট-শার্টঃ ৩০ জন শ্রমিক প্রতি ঘন্টায় ২০০ পিস প্রোডাকশন করতে পারে তার মানে,
= ২০০ পিস প্রোডাকশন করতে সময় লাগে ৩০ ঘন্টা
= ১ পিস প্রোডাকশন করতে সময় লাগে ৩০/২০০=০.১৫ ঘন্টা
= ২০০০০০ পিস প্রোডাকশন করতে সময় লাগে ৩০/২০০ x ২০০০০০=০.১৫ x ২০০০০০=৩০০০০ ঘন্টা
একইভাবে পোলো শার্টের জন্য সময় লাগবে ২,৮০,০০০ ঘন্টা এবং ট্যাংটপের জন্য লাগবে ২৯৪৫৫ ঘন্টা।
একইভাবে পোলো শার্টের জন্য সময় লাগবে ২,৮০,০০০ ঘন্টা এবং ট্যাংটপের জন্য লাগবে ২৯৪৫৫ ঘন্টা।
আপনাদের জন্য প্রশ্ন (না বুঝলে কমেন্ট করুন)ঃ
ছবি-০৪ঃ প্রশ্ন
তাহলে উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝলাম ক্যাপাসিটি মানব ঘন্টায় প্রকাশ করতে হয়ে তবে পিসেও প্রকাশ করা যায় প্রোডাক্ট ক্যাটাগরি উল্লেখ করে যেমন ১,০০,০০০ পিস পোলো শার্ট বা ২,০০,০০০ পিস ট্যাংটপ ইত্যাদি।
তাহলে উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝলাম ক্যাপাসিটি মানব ঘন্টায় প্রকাশ করতে হয়ে তবে পিসেও প্রকাশ করা যায় প্রোডাক্ট ক্যাটাগরি উল্লেখ করে যেমন ১,০০,০০০ পিস পোলো শার্ট বা ২,০০,০০০ পিস ট্যাংটপ ইত্যাদি।
তবে অধিক সঠিকভাবে ক্যাপাসিটি নির্ধারণ করতে গেলে (অন্য নোটে হবে) যেসব বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হয়ঃ
১) শ্রমিকের অনুপস্থিতির হার
২)প্রোডাক্টের জন্য শ্রমিকের লার্ণিং /বিল্ড-আপ কার্ভ
৩)মাসিক কার্যদিবস এবং ছুটি
৪)টাইম এন্ড একশন ফর অর্ডার এক্সিকিউশন
৫)কাচামালের প্রাপ্যতা
৬) মেশিনের প্রাপ্যতা
৭) স্টাইলের সংখ্যা/ চেঞ্জওভার টাইম
Written By
S M Rajibul Huda
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন