ওভেন ডাইং প্লান্ট | Woven Dyeing Plant - Textile Lab | Textile Learning Blog
ওয়েট প্রসেসিং টেকনোলজি:

ওয়েট প্রসেস:

উইভিং থেকে প্রাপ্ত টেক্সটাইল দ্রব্য সামগীর ওপর পানি ও বিভিন্ন কেমিক্যালস্ এর প্রচেষ্টায় পর্যায়ক্রমিক প্রসেসের মাধ্যমে কাপড় ব্যবহার উপযোগী করার পদ্ধতিকে ওয়েট প্রসেস বলা হয়।ওয়েট প্রসেস মূলত সিনজিং, ডিসাইজিং, স্কাওয়ারিং, ব্লিচিং, মার্সেরাইজিং, ডাইং, প্রিন্টিং ও ফিনিশিং ইত্যাদি প্রসেসসমূহ কার্য সম্পাদন করা হয়।




ওয়েট প্রসেসিং পদ্ধতির শ্রেনীবিভাগ:
সম্পূর্ণ ওয়েট প্রসেসিং পদ্ধতিকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে:

১)প্রিট্রিটমেন্ট (Pretreatment)

২)ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং (Dyeing & Printing)

৩)ফিনিশিং (Finishing)

১)প্রিট্রিটমেন্ট (Pretreatment):
 ট্রেক্সটাইল কেমিক্যাল শিল্প কারখানায় কাপড় সুতা অথবা ফাইবার প্রিন্টিং অথবা রং প্রয়োগের পূর্ব পর্যন্ত যে প্রস্তুতিমূলক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় তাকে প্রিট্রিটমেন্ট (Pretreatment) বলে।



নিন্মলিখিত প্রিট্রিটমেন্টসমূহ ওয়েট প্রসেস এ করা হয়ে থাকে:

i)সিনজিং (Singeing)

ii)ডিসাইজিং (De-sizing)

iii)স্কাওয়ারিং (Scouring)

iv)ব্লিচিং (Bleaching)

v)মার্সেরাইজিং (Mercerising)


i)সিনজিং (Singeing): 

যে পদ্ধতির মাধ্যমে কাপড়ের পৃষ্ঠে অবস্হিত প্রজেক্টিং ফাইবার, হেয়ারি ফাইবার, আলগা সুতা ইত্যাদী পুড়িয়ে ফেলে কাপড়কে মসৃন করা হয় তাকে সিনজিং বলা হয়।

সিনজিং এর শ্রেনীবিভাগ:
প্রধানত তিন ধরনের সিনজিং মেশিন ব্যবহত হয়ে থাকে।

১)গ্যাস সিনজিং মেশিন (Gas Singeing Machine)

২)প্লেট সিনজিং মেশিন (Plate Singeing Machine)

৩)রোটারি সিলিন্ডার সিনজিং মেশিন (Rotary Cylender Singeing Machine)

গ্যাস সিনজিং মেশিন (Gas Singeing Machine):

গ্যাস সিনজিং মেশিন অন্যান্য মেশিনের তুলনায় সবচেয়ে সুবিধাজনক ও জনপ্রিয়।এ মেশিনে এক বা একাধিক চুলা বা বার্নার ব্যবহার করা হয়।গাইড রোলারের মাধ্যমে কাপড়কে বার্নারের উপর দিয়ে দ্রুতগতিতে চালানা করা হয়।প্রথমে চলমান কাপড়কে একটি ব্রাশ কাপড়ের সাথে মিশে থাকা আশঁগুলোকে খাড়া করে দেয়, ফলে গ্যাসের সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে আশঁগুলো পুড়ে যায়।




                       চিএ: সিনজিং প্রসেস।

ডিসাইজিং (De-sizing):

উইভিং থেকে প্রাপ্ত কাপড় হতে যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্টার্চ জাতীয় পদার্থ দূর করে কাপড়ে পানি শোষন ক্ষমতা বৃদ্দি করে তাকে ডিসাইজিং বলে।



ডিসাইজিং এর উদ্দেশ্য (Purposes De-sizing):

১)কাপড়ে হতে স্টার্চ দূর করা।

২)কাপড়ের পানি শোষন ক্ষমতা বৃদ্দি করা।

৩)পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য কাপড়ের উপযোগী করে তোলা।

৪)ডাইং ও প্রিন্টিং প্রক্রিয়ায় কাপড়ের চাকচিক্যতা বৃদ্দিতে সহায়তা করা।

ডিসাইজিং পদ্ধতির প্রকারভেদ (Classification of De-sizing):
ডিসাইজিং করার পদ্ধতিকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা:

১)হাইড্রোলাইটিক পদ্ধতি (Hydrolytic Method): হাইড্রোলাইটিক পদ্ধতিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

i)রট স্টিপ (Rot Steep)

ii)এসিড স্টিপ (Acid Steep)

iii)এনজাইমেটিক স্টিপ (Enzymatic Steep)

২)অক্সিডেটিভ পদ্ধতি (Oxidative Method): অক্সিডেটিভ পদ্ধতিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

i)ক্লোরিন ট্রিটমেন্ট (Cholorine Treatment)

ii)ব্রোমাইট ট্রিটমেন্ট (Bromite Treatment)

iii)ক্লোরাইড ট্রিটমেন্ট (Choloride Treatment)

এনজাইম ডিসাইজিং প্রসেস (Enzyme Desizing process): 

ডিসাইজিং পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাজনক ও নিরাপদ পদ্ধতি হল এনজাইম ডিসাইজিং পদ্ধতি।এ পদ্ধতিতে কোন প্রকার মিলডিউ বা হাইড্রোসেলুলোজ গঠিত হওয়ার সম্ভবনা থাকে না।এ পদ্ধতিতে স্টার্চ দূরীকরনে অধিক সফলতা অর্জন করা হয়।এক্ষেত্রে ৩-৪ ঘন্টা সময় লাগে।
                     




                                                            চিএ: ডিসাইজিং মেশিন।

রেসিপি:
এনজাইম- 5 cc g/L
ডায়ানল- 2 g/L


iii)স্কাওয়ারিং (Scouring):

যে পক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যালকালী অথবা ডিটারজেন্ট যোগে টেক্সটাইল দ্রব্যাদি থেকে তেল, চর্বি, মোম এবং অপদ্রব্য দূর করা হয় এবং টেক্সটাইল দ্রব্যাদিকে পরিস্কার  ও পানি শোষন ক্ষমতা বৃদ্দি করা হয় তাকে স্কাওয়ারিং বলে।

স্কাওয়ারিং এর প্রয়োজনীয়তা (Necessity of Scouring):

১)  টেক্সটাইল দ্রব্য হতে প্রাকৃতিক এবং যোগকৃত অপদ্রব্য যেমন-তেল, চর্বি, মোম ও অন্যান্য অপদ্রব্য ইত্যাদি দূর করা হয়।

২)  টেক্সটাইল দ্রব্যের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম অপরিবর্তিত রেখে তার শোষন ক্ষমতা বৃদ্দি পায়।

৩)  অ্যালকালী সহযোগে কাপড়কে পরিস্কার করা।

৪)  সেলুলোজের কোন ক্ষতি না করে নন-সেলুলোজিক পদার্থ দূর করা।

৫)  ব্লিচিং প্রক্রিয়ার সাহায্য প্রাকৃতিক রং দূর করার ক্ষেত্রে কাপড়কে উপযোগী করে তোলা।
     
             
চিএ: স্কায়ারিং মেশিন।

রেসিপি:
Caustic (NaoH) কষ্টিক = 36-40 g/L
Daynol (ডায়ানল)     = 6-7 g/L

iv)ব্লিচিং (Bleaching):
 যে রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেক্সটাইল সামগ্রী হতে প্রাকৃতিক রং জাতীয় পদার্থ দূর করে ধবধবে সাদা করা হয় তাকে ব্লিচিং বলে।

ব্লিচিং এর উদ্দেশ্য (Object of Bleaching):

১)কাপড় হতে প্রাকৃতিক রং দূর করে।

২)কাপড়কে স্হায়ী ধবধবে সাদা করে।

৩)কাপড়ের শোষন ক্ষমতা বৃদ্দি করে।

৪)পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলোকে সময় শ্রম ও কেমিক্যাল সাশ্রয় করা।

৫)কাপড় ব্লিচিং করা হলে ডাইং এ সুষম শেড পাওয়া যায়।

ব্লিচিং এজেন্টের ধরন (Type of Bleaching Agent):

ব্লিচিং এজেন্ট ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে ব্লিচিংকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা:

i)অক্সিডাইজিং ব্লিচিং এজেন্ট (Oxidising bleaching agent)

ii)রিডিউসিং ব্লিচিং এজেন্ট (Reducing bleaching agent)


i)অক্সিডাইজিং ব্লিচিং এজেন্ট (Oxidising bleaching agent):
যে সকল রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় পদার্থের সাখে অক্সিজেনের সংযোগ ঘটায় বা তড়িৎ ঋনাত্নক অংশ বৃদ্দি করে বা অন্য কোন পদার্থ হতে হাইড্রোজেন বিমুক্ত করে বা তড়িৎ ধনাত্নক অংশ হ্রাস করে থাকে সংশ্লিষ্ট মৌলের যোজ্যতার বৃদ্দি ঘটায় তাকে জারক পদার্থ বা অক্সিডাইজিং ব্লিচিং এজেন্ট বলে।

ii)রিডিউসিং ব্লিচিং এজেন্ট (Reducing bleaching agent):
যে সকল রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় পদার্থের সাখে অক্সিজেনের অপসারন করে বা তড়িৎ ঋনাত্নক অংশ হ্রাস করে বা অন্য কোন পদার্থ হতে হাইড্রোজেন সংযোজন করে বা তড়িৎ ধনাত্নক অংশ বৃদ্দি করে থাকে সংশ্লিষ্ট মৌলের যোজ্যতার হ্রাস ঘটায় তাকে বিজারক পদার্থ বা রিডিউসিং ব্লিচিং এজেন্ট বলে।

কেমিক্যাল ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে কটন ব্লিচিংকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা:

১)হাইপো ক্লোরাইট ব্লিচিং (Hypocholorite Bleaching)

২)হাইড্রেজেন পারঅক্সইড ব্লিচিং (Hydrogen peroxide Bleaching)

৩)সোডিয়াম ক্লোরাইট ব্লিচিং (Sodium Chlorite Bleaching)

                         
চিএ: ব্লিচিং মেশিন

রেসিপি:
H2O2   =  20-25 g/L
NaoH  =  9-10 g/L
Stabilizer = 1:4 (হাইড্রেজেন পারঅক্সসাইডের চার ভাগের একভাগ)
Daynol = 3 g/L
Sirrix = 2 g/L

মার্সেরাইজিং (Mercerizing):

যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কটন সুতা বা কাপড়েকে কক্ষ তাপমাএায় ৫°  থেকে ৬৫° টোয়াডেল ঘনত্ব বিশিষ্ট কষ্টিক সোডা দ্বারা টেনশন সহযোগে ক্রিয়া করে সুতা বা কাপড়ে চাকচিক্যতা তথা উজ্জ্বলতা, শক্তি, রং শোষন ক্ষমতা ইত্যাদি বৃদ্দি করা হয় তাকে মার্সেরাইজিং বলা হয়।



মার্সেরাইজিং এর প্রয়োজনীয়তা (Necessity of Mercerizing):

মার্সেরাইজিং টেক্সটাইল ওয়েট প্রসেসিং এর খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া।

১)মার্সেরাইজিং এর ফলে কটন সুতা বা কাপড়ে শতকরা ২০%-৩০% শক্তি বৃদ্দি পায়।

২)চাকচিক্যতা তথা উজ্জ্বলতা বৃদ্দি পায়।

৩)রং শোষন ক্ষমতা বৃদ্দি পায়।

৪)ক্ষয়রোধ শক্তি বৃদ্দি পায়।

৫)অধিক আর্দ্রতা ক্ষমতা বৃদ্দি পায়।

৬)কম তাপমাত্রায় কেমিক্যাল রিঅ্যাকটিভিটি বৃদ্দি পায়।

৭)কাপড়ের মসৃনতা বৃদ্দি পায়।

৮)কাপড়ের নমনীয়তা বৃদ্দি পায়।

৯)সমভাবে ডাইং বা প্রিন্টিং করা হয়।

১০)প্রসারনীয় শক্তি বৃদ্দি পায়।
মার্সেরাইজিং এর জন্য বিবেচ্য বিষয় (Factor to be considered for mercerizing):

ভাল মার্সেরাইজিং এর জন্য নিন্ম লিখিত বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে হবে:

১)সংকোচন (Shrinkage)

২)টেনশন (Tension)

৩)তাপমাএা (Temperature)

৪)সময় (Time)

৫)কষ্টিক সোডার ঘনত্ব (Conc. Of NaOH)

৬)শক্তি (Tensile Strength)

৭)দৈর্ঘ্য (Staple Length)

৮)পাক (Twist)

৯)কাপড়ের গঠন প্রনালী (Fabric Structure)

রেসিপি:
Caustic =
Mercerizing oil =

কি পরিমান সলিট কষ্টিক ব্যবহার করলে আমরা  কত  beaume  এর লিকুইড কষ্টিক পাব তাহা  নিন্মে তালিকা দ্বারা প্রকাশ করা হল:

01 4° Beaume  - 25.7 g/L Caustic
02 5° Beaume-32.6 g/L Caustic
03 6° Beaume -39.6 g/L Caustic
04 7° Beaume-47.3 g/L Caustic
05 8°Beaume -55 g/L Caustic
06 9°Beaume-62.5 g/L Caustic
07 10°Beaume- 70.7 g/L Caustic
08 11° Beaume-79.1g/L Caustic
09 12° Beaume-88 g/L Caustic
10 13° Beaume-96.6 g/L Caustic
11 14° Beaume- 105.3 g/L Caustic
12 15°Beaume -114.3 g/L Caustic
13 16° Beaume -124.4 g/L Caustic
14 17°Beaume- 134 g/L Caustic
15 18° Beaume-145 g/L Caustic
16 19° Beaume 155.5 g/L Caustic
17 20° Beaume- 166.7 g/L Caustic
18 21°Beaume -177.4 g/L Caustic
19 22°Beaume- 188.8 g/L Caustic
20 23°Beaume -201.2 g/L Caustic
21 24° Beaume 213.7 g/L Caustic
22 25°Beaume -226.4 g/L Caustic
23 26° Beaume -239.7 g/L Caustic
24 27°Beaume  -253.6 g/L Caustic
25 28° Beaume -267.4 g/L Caustic
26 29° Beaume -281.7 g/L Caustic
27 30° Beaume -296.8 g/L Caustic
28 31° Beaume- 311.2 g/L Caustic
29 32° Beaume -327.7 g/L Caustic
30 33° Beaume- 344.7 g/L Caustic
31 34° Beaume -361.7 g/L Caustic
32 35° Beaume -380.6 g/L Caustic
33 36° Beaume -399.6 g/L Caustic
34 37° Beaume-419.6 g/L Caustic
35 38° Beaume- 441 g/L Caustic
36 39° Beaume -462.1 g/L Caustic
37 40° Beaume -484.1 g/L Caustic
38 41° Beaume -507.9 g/L Caustic
39 42° Beaume -530.9 g/L Caustic
40 43° Beaume -556.2 g/L Caustic
41 44° Beaume -582 g/L Caustic
42 45° Beaume -610.6 g/L Caustic
43 46° Beaume-639.8 g/L Caustic
44 47° Beaume- 669.7 g/L Caustic
45 48° Beaume- 700g/L Caustic
46 49° Beaume-  732.9g/L Caustic
47 50°Beaume  - 766.5g/L Caustic

ওভেন ডাইং প্লান্ট | Woven Dyeing Plant

ওয়েট প্রসেসিং টেকনোলজি:

ওয়েট প্রসেস:

উইভিং থেকে প্রাপ্ত টেক্সটাইল দ্রব্য সামগীর ওপর পানি ও বিভিন্ন কেমিক্যালস্ এর প্রচেষ্টায় পর্যায়ক্রমিক প্রসেসের মাধ্যমে কাপড় ব্যবহার উপযোগী করার পদ্ধতিকে ওয়েট প্রসেস বলা হয়।ওয়েট প্রসেস মূলত সিনজিং, ডিসাইজিং, স্কাওয়ারিং, ব্লিচিং, মার্সেরাইজিং, ডাইং, প্রিন্টিং ও ফিনিশিং ইত্যাদি প্রসেসসমূহ কার্য সম্পাদন করা হয়।




ওয়েট প্রসেসিং পদ্ধতির শ্রেনীবিভাগ:
সম্পূর্ণ ওয়েট প্রসেসিং পদ্ধতিকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে:

১)প্রিট্রিটমেন্ট (Pretreatment)

২)ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং (Dyeing & Printing)

৩)ফিনিশিং (Finishing)

১)প্রিট্রিটমেন্ট (Pretreatment):
 ট্রেক্সটাইল কেমিক্যাল শিল্প কারখানায় কাপড় সুতা অথবা ফাইবার প্রিন্টিং অথবা রং প্রয়োগের পূর্ব পর্যন্ত যে প্রস্তুতিমূলক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় তাকে প্রিট্রিটমেন্ট (Pretreatment) বলে।



নিন্মলিখিত প্রিট্রিটমেন্টসমূহ ওয়েট প্রসেস এ করা হয়ে থাকে:

i)সিনজিং (Singeing)

ii)ডিসাইজিং (De-sizing)

iii)স্কাওয়ারিং (Scouring)

iv)ব্লিচিং (Bleaching)

v)মার্সেরাইজিং (Mercerising)


i)সিনজিং (Singeing): 

যে পদ্ধতির মাধ্যমে কাপড়ের পৃষ্ঠে অবস্হিত প্রজেক্টিং ফাইবার, হেয়ারি ফাইবার, আলগা সুতা ইত্যাদী পুড়িয়ে ফেলে কাপড়কে মসৃন করা হয় তাকে সিনজিং বলা হয়।

সিনজিং এর শ্রেনীবিভাগ:
প্রধানত তিন ধরনের সিনজিং মেশিন ব্যবহত হয়ে থাকে।

১)গ্যাস সিনজিং মেশিন (Gas Singeing Machine)

২)প্লেট সিনজিং মেশিন (Plate Singeing Machine)

৩)রোটারি সিলিন্ডার সিনজিং মেশিন (Rotary Cylender Singeing Machine)

গ্যাস সিনজিং মেশিন (Gas Singeing Machine):

গ্যাস সিনজিং মেশিন অন্যান্য মেশিনের তুলনায় সবচেয়ে সুবিধাজনক ও জনপ্রিয়।এ মেশিনে এক বা একাধিক চুলা বা বার্নার ব্যবহার করা হয়।গাইড রোলারের মাধ্যমে কাপড়কে বার্নারের উপর দিয়ে দ্রুতগতিতে চালানা করা হয়।প্রথমে চলমান কাপড়কে একটি ব্রাশ কাপড়ের সাথে মিশে থাকা আশঁগুলোকে খাড়া করে দেয়, ফলে গ্যাসের সংস্পর্শে আসার সাথে সাথে আশঁগুলো পুড়ে যায়।




                       চিএ: সিনজিং প্রসেস।

ডিসাইজিং (De-sizing):

উইভিং থেকে প্রাপ্ত কাপড় হতে যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্টার্চ জাতীয় পদার্থ দূর করে কাপড়ে পানি শোষন ক্ষমতা বৃদ্দি করে তাকে ডিসাইজিং বলে।



ডিসাইজিং এর উদ্দেশ্য (Purposes De-sizing):

১)কাপড়ে হতে স্টার্চ দূর করা।

২)কাপড়ের পানি শোষন ক্ষমতা বৃদ্দি করা।

৩)পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য কাপড়ের উপযোগী করে তোলা।

৪)ডাইং ও প্রিন্টিং প্রক্রিয়ায় কাপড়ের চাকচিক্যতা বৃদ্দিতে সহায়তা করা।

ডিসাইজিং পদ্ধতির প্রকারভেদ (Classification of De-sizing):
ডিসাইজিং করার পদ্ধতিকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা:

১)হাইড্রোলাইটিক পদ্ধতি (Hydrolytic Method): হাইড্রোলাইটিক পদ্ধতিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

i)রট স্টিপ (Rot Steep)

ii)এসিড স্টিপ (Acid Steep)

iii)এনজাইমেটিক স্টিপ (Enzymatic Steep)

২)অক্সিডেটিভ পদ্ধতি (Oxidative Method): অক্সিডেটিভ পদ্ধতিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

i)ক্লোরিন ট্রিটমেন্ট (Cholorine Treatment)

ii)ব্রোমাইট ট্রিটমেন্ট (Bromite Treatment)

iii)ক্লোরাইড ট্রিটমেন্ট (Choloride Treatment)

এনজাইম ডিসাইজিং প্রসেস (Enzyme Desizing process): 

ডিসাইজিং পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে সুবিধাজনক ও নিরাপদ পদ্ধতি হল এনজাইম ডিসাইজিং পদ্ধতি।এ পদ্ধতিতে কোন প্রকার মিলডিউ বা হাইড্রোসেলুলোজ গঠিত হওয়ার সম্ভবনা থাকে না।এ পদ্ধতিতে স্টার্চ দূরীকরনে অধিক সফলতা অর্জন করা হয়।এক্ষেত্রে ৩-৪ ঘন্টা সময় লাগে।
                     




                                                            চিএ: ডিসাইজিং মেশিন।

রেসিপি:
এনজাইম- 5 cc g/L
ডায়ানল- 2 g/L


iii)স্কাওয়ারিং (Scouring):

যে পক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যালকালী অথবা ডিটারজেন্ট যোগে টেক্সটাইল দ্রব্যাদি থেকে তেল, চর্বি, মোম এবং অপদ্রব্য দূর করা হয় এবং টেক্সটাইল দ্রব্যাদিকে পরিস্কার  ও পানি শোষন ক্ষমতা বৃদ্দি করা হয় তাকে স্কাওয়ারিং বলে।

স্কাওয়ারিং এর প্রয়োজনীয়তা (Necessity of Scouring):

১)  টেক্সটাইল দ্রব্য হতে প্রাকৃতিক এবং যোগকৃত অপদ্রব্য যেমন-তেল, চর্বি, মোম ও অন্যান্য অপদ্রব্য ইত্যাদি দূর করা হয়।

২)  টেক্সটাইল দ্রব্যের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম অপরিবর্তিত রেখে তার শোষন ক্ষমতা বৃদ্দি পায়।

৩)  অ্যালকালী সহযোগে কাপড়কে পরিস্কার করা।

৪)  সেলুলোজের কোন ক্ষতি না করে নন-সেলুলোজিক পদার্থ দূর করা।

৫)  ব্লিচিং প্রক্রিয়ার সাহায্য প্রাকৃতিক রং দূর করার ক্ষেত্রে কাপড়কে উপযোগী করে তোলা।
     
             
চিএ: স্কায়ারিং মেশিন।

রেসিপি:
Caustic (NaoH) কষ্টিক = 36-40 g/L
Daynol (ডায়ানল)     = 6-7 g/L

iv)ব্লিচিং (Bleaching):
 যে রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেক্সটাইল সামগ্রী হতে প্রাকৃতিক রং জাতীয় পদার্থ দূর করে ধবধবে সাদা করা হয় তাকে ব্লিচিং বলে।

ব্লিচিং এর উদ্দেশ্য (Object of Bleaching):

১)কাপড় হতে প্রাকৃতিক রং দূর করে।

২)কাপড়কে স্হায়ী ধবধবে সাদা করে।

৩)কাপড়ের শোষন ক্ষমতা বৃদ্দি করে।

৪)পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলোকে সময় শ্রম ও কেমিক্যাল সাশ্রয় করা।

৫)কাপড় ব্লিচিং করা হলে ডাইং এ সুষম শেড পাওয়া যায়।

ব্লিচিং এজেন্টের ধরন (Type of Bleaching Agent):

ব্লিচিং এজেন্ট ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে ব্লিচিংকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা:

i)অক্সিডাইজিং ব্লিচিং এজেন্ট (Oxidising bleaching agent)

ii)রিডিউসিং ব্লিচিং এজেন্ট (Reducing bleaching agent)


i)অক্সিডাইজিং ব্লিচিং এজেন্ট (Oxidising bleaching agent):
যে সকল রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় পদার্থের সাখে অক্সিজেনের সংযোগ ঘটায় বা তড়িৎ ঋনাত্নক অংশ বৃদ্দি করে বা অন্য কোন পদার্থ হতে হাইড্রোজেন বিমুক্ত করে বা তড়িৎ ধনাত্নক অংশ হ্রাস করে থাকে সংশ্লিষ্ট মৌলের যোজ্যতার বৃদ্দি ঘটায় তাকে জারক পদার্থ বা অক্সিডাইজিং ব্লিচিং এজেন্ট বলে।

ii)রিডিউসিং ব্লিচিং এজেন্ট (Reducing bleaching agent):
যে সকল রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় পদার্থের সাখে অক্সিজেনের অপসারন করে বা তড়িৎ ঋনাত্নক অংশ হ্রাস করে বা অন্য কোন পদার্থ হতে হাইড্রোজেন সংযোজন করে বা তড়িৎ ধনাত্নক অংশ বৃদ্দি করে থাকে সংশ্লিষ্ট মৌলের যোজ্যতার হ্রাস ঘটায় তাকে বিজারক পদার্থ বা রিডিউসিং ব্লিচিং এজেন্ট বলে।

কেমিক্যাল ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে কটন ব্লিচিংকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা:

১)হাইপো ক্লোরাইট ব্লিচিং (Hypocholorite Bleaching)

২)হাইড্রেজেন পারঅক্সইড ব্লিচিং (Hydrogen peroxide Bleaching)

৩)সোডিয়াম ক্লোরাইট ব্লিচিং (Sodium Chlorite Bleaching)

                         
চিএ: ব্লিচিং মেশিন

রেসিপি:
H2O2   =  20-25 g/L
NaoH  =  9-10 g/L
Stabilizer = 1:4 (হাইড্রেজেন পারঅক্সসাইডের চার ভাগের একভাগ)
Daynol = 3 g/L
Sirrix = 2 g/L

মার্সেরাইজিং (Mercerizing):

যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কটন সুতা বা কাপড়েকে কক্ষ তাপমাএায় ৫°  থেকে ৬৫° টোয়াডেল ঘনত্ব বিশিষ্ট কষ্টিক সোডা দ্বারা টেনশন সহযোগে ক্রিয়া করে সুতা বা কাপড়ে চাকচিক্যতা তথা উজ্জ্বলতা, শক্তি, রং শোষন ক্ষমতা ইত্যাদি বৃদ্দি করা হয় তাকে মার্সেরাইজিং বলা হয়।



মার্সেরাইজিং এর প্রয়োজনীয়তা (Necessity of Mercerizing):

মার্সেরাইজিং টেক্সটাইল ওয়েট প্রসেসিং এর খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া।

১)মার্সেরাইজিং এর ফলে কটন সুতা বা কাপড়ে শতকরা ২০%-৩০% শক্তি বৃদ্দি পায়।

২)চাকচিক্যতা তথা উজ্জ্বলতা বৃদ্দি পায়।

৩)রং শোষন ক্ষমতা বৃদ্দি পায়।

৪)ক্ষয়রোধ শক্তি বৃদ্দি পায়।

৫)অধিক আর্দ্রতা ক্ষমতা বৃদ্দি পায়।

৬)কম তাপমাত্রায় কেমিক্যাল রিঅ্যাকটিভিটি বৃদ্দি পায়।

৭)কাপড়ের মসৃনতা বৃদ্দি পায়।

৮)কাপড়ের নমনীয়তা বৃদ্দি পায়।

৯)সমভাবে ডাইং বা প্রিন্টিং করা হয়।

১০)প্রসারনীয় শক্তি বৃদ্দি পায়।
মার্সেরাইজিং এর জন্য বিবেচ্য বিষয় (Factor to be considered for mercerizing):

ভাল মার্সেরাইজিং এর জন্য নিন্ম লিখিত বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে হবে:

১)সংকোচন (Shrinkage)

২)টেনশন (Tension)

৩)তাপমাএা (Temperature)

৪)সময় (Time)

৫)কষ্টিক সোডার ঘনত্ব (Conc. Of NaOH)

৬)শক্তি (Tensile Strength)

৭)দৈর্ঘ্য (Staple Length)

৮)পাক (Twist)

৯)কাপড়ের গঠন প্রনালী (Fabric Structure)

রেসিপি:
Caustic =
Mercerizing oil =

কি পরিমান সলিট কষ্টিক ব্যবহার করলে আমরা  কত  beaume  এর লিকুইড কষ্টিক পাব তাহা  নিন্মে তালিকা দ্বারা প্রকাশ করা হল:

01 4° Beaume  - 25.7 g/L Caustic
02 5° Beaume-32.6 g/L Caustic
03 6° Beaume -39.6 g/L Caustic
04 7° Beaume-47.3 g/L Caustic
05 8°Beaume -55 g/L Caustic
06 9°Beaume-62.5 g/L Caustic
07 10°Beaume- 70.7 g/L Caustic
08 11° Beaume-79.1g/L Caustic
09 12° Beaume-88 g/L Caustic
10 13° Beaume-96.6 g/L Caustic
11 14° Beaume- 105.3 g/L Caustic
12 15°Beaume -114.3 g/L Caustic
13 16° Beaume -124.4 g/L Caustic
14 17°Beaume- 134 g/L Caustic
15 18° Beaume-145 g/L Caustic
16 19° Beaume 155.5 g/L Caustic
17 20° Beaume- 166.7 g/L Caustic
18 21°Beaume -177.4 g/L Caustic
19 22°Beaume- 188.8 g/L Caustic
20 23°Beaume -201.2 g/L Caustic
21 24° Beaume 213.7 g/L Caustic
22 25°Beaume -226.4 g/L Caustic
23 26° Beaume -239.7 g/L Caustic
24 27°Beaume  -253.6 g/L Caustic
25 28° Beaume -267.4 g/L Caustic
26 29° Beaume -281.7 g/L Caustic
27 30° Beaume -296.8 g/L Caustic
28 31° Beaume- 311.2 g/L Caustic
29 32° Beaume -327.7 g/L Caustic
30 33° Beaume- 344.7 g/L Caustic
31 34° Beaume -361.7 g/L Caustic
32 35° Beaume -380.6 g/L Caustic
33 36° Beaume -399.6 g/L Caustic
34 37° Beaume-419.6 g/L Caustic
35 38° Beaume- 441 g/L Caustic
36 39° Beaume -462.1 g/L Caustic
37 40° Beaume -484.1 g/L Caustic
38 41° Beaume -507.9 g/L Caustic
39 42° Beaume -530.9 g/L Caustic
40 43° Beaume -556.2 g/L Caustic
41 44° Beaume -582 g/L Caustic
42 45° Beaume -610.6 g/L Caustic
43 46° Beaume-639.8 g/L Caustic
44 47° Beaume- 669.7 g/L Caustic
45 48° Beaume- 700g/L Caustic
46 49° Beaume-  732.9g/L Caustic
47 50°Beaume  - 766.5g/L Caustic

কোন মন্তব্য নেই: