ল্যাব ডিপ বার বার রিজেক্ট হচ্ছে ? সমাধানের জন্য কয়েকটি টিপস ফলো করতে পারেন। - Textile Lab | Textile Learning Blog
ল্যাব ডিপ বার বার রিজেক্ট হচ্ছে? সমাধানের জন্য কয়েকটি টিপস ফলো করতে পারেন।



ইস্যু: লাইট

১. বায়ার এবং আপনার স্ট্যান্ডার্ড লাইট সোর্স ফিক্সড করুন। যেমন: D-65, TL-84, CWF ইত্যাদি। 

২. ভালো মানের লাইট কেবিনেট এ কালার এসেসমেন্ট করুন।

৩. লাইট কেবিনেট ডার্ক রুমে রাখুন।

৪. লাইট সোর্স নিয়মিত ক্যালিব্রেশন করুন। 

৫. লাইট সোর্সের কালার টেম্পারেচার, লাক্স, কালার রেন্ডারিং ইনডেক্স নিশ্চিত হয়ে নিন।

 ইস্যু:  অবজেক্ট

১. ষ্ট্যাণ্ডার্ড এবং ল্যাব ডিপ অবজেক্ট এর Construction একই রাখুন। (যেমনঃ ষ্ট্যাণ্ডার্ড যদি ১৪০ GSM Single Jersey ফেব্রিক হয় তবে ল্যাব ডিপও সেইম ফেব্রিক রাখুন)

২. খুব পাতলা ফেব্রিক হলে (যার মধ্যে দিয়ে আলো পাস হয়) কয়েকটি ভাঁজ করে তারপর কালার দেখুন।

৩. কালার দেখার সময় ফেব্রিক বা ইয়ার্ন এর স্যাম্পল allignment একই দিকে রাখুন।

৪.  স্যাম্পল এর সারফেস মসৃণ না হলে আলোর রিফ্লেকশান সঠিক ভাবে হয় না যা কালার দেখার সময় এফেক্ট করে। বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।

৫. ব্রাশ করা সহ ফ্লুরোসেন্ট কালার দেখার সময় চকচকে ভাব (Glossy ) avoid করতে হবে।

৬. পাশ থেকে কোন সহকারীর কমেন্ট করা থেকে বিরত রাখবেন। যিনি ডিরেক্ট চোখের সামনে রেখে কালার দেখছেন শুধুমাত্র তার কমেন্ট বিবেচনায় রাখতে হবে।

৭. পেপার, থ্রেড, বাটন, লেদার, মেটাল, প্ল্যাস্টিক ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন ম্যাটেরিয়ালস এর সাথে কালার ম্যাচ করা সহজ নয়। তবে চেষ্টা করতে হবে এগুলোর অ্যাপ্লিকেশান কন্সিডার করে ম্যাচিং করা। তবে সবাইকে এর লিমিটেশন মেনে নিতে হবে। 



ইস্যু:  অবজারভার 

১. ৪৫° এঙ্গেল এ কালার দেখার প্রাকটিস করুন। প্রয়োজনে লাইট বক্সের সাইজের একটি এঙ্গেল বোর্ড বানিয়ে নিতে পারেন। 

২. লাইট সোর্সের আলোর তীব্রতা - লাক্স সম্পর্কে সচেতন থাকুন। মিনিমাম ১০০০ রাখুন। 

৩. ডার্ক কালার দেখার জন্য অধিক লাক্স সম্পন্ন লাইটের নিচে কালার দেখুন। ২০০০ লাক্স হলে ভালো হয়। 

৪. লাইট কালার গুলো কম লাক্স এ দেখলেও অসুবিধা নেই। 

৫. ১০০০ ঘণ্টার বেশি কোন লাইট ব্যবহার করবেন না।
৬. চারপাশে কোন উজ্জ্বল আলো রেখে কালার দেখবেন না।

৭. ব্রাইট কালার যেমন রেড, ফ্লোরোসেন্ট কালার দেখার সাথে সাথে অন্য কালার দেখবেন না। কিছুক্ষণ পরে দেখুন।

৮. একটানা ১০-১২ টির বেশি কালার দেখবেন না। এতে করে চোখ ক্লান্ত হয়ে যায়।

৯. রাতের শিফটে কাজ করলে ভোরের দিকে কালার ভুল দেখার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সাবধানে থাকবেন। ঘনগণ চোখে মুখে পানি দিবেন।

১০. হিউ টেস্ট করে আপনার দুর্বল জোন সম্পর্কে জেনে নিন। এতে করে ওই জোনের কালার পাশ দেয়ার সময় অধিক সতর্ক থাকতে পারবেন।

১১. যদি লাইট বক্সে কালার না দেখেন তবে আপনার চারপাশের কালার (যেমন দেয়াল) গ্রে কালার (মুনসেল N8, N7) করে রাখুন। 



ইস্যু:  ম্যাটামেরীজম

এককভাবে ৫০% এর উপর ল্যাব ডিপ রিজেক্ট হয়  ম্যাটামেরীজম সমস্যার কারণে। এই সমস্যাটা কালার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন সকলকেই প্রতিনিয়ত কমবেশি ফেস করতে হয়। ম্যাটামেরীজম সমস্যার সমাধান করা আর চার পাঁচটা সাধারণ সমস্যার মত সহজ কাজ নয়। এই সমস্যা কখনই সম্পূর্ণ সমাধান যেমন সম্ভব নয়, তেমনি এই সমস্যাটাকে এড়িয়ে যাওয়া ও অসম্ভব। তবে, সঠিক কালার নলেজ জানলে এই সমস্যাকে কিছুটা হলেও কমিয়ে আনা সম্ভব। চলুন, এই সমস্যা সমাধানের কিছু টিপস দেখে নেয়া যাক।

১. কম ম্যাটামেরীজম সম্পন্ন ডাইস ব্যবহার করতে হবে।

২. ট্রাইএঙ্গেল সিলেকশন করার সময় (যে তিনটি ডাইস দিয়ে ডাইং রেসিপি করা হয়) কম ম্যাটা আছে এমন ট্রাইএঙ্গেল সিলেকশন করতে হবে।

৩. কালার স্পেস এ ছোট এরিয়া সম্পন্ন গামাট সিলেকশন করতে হবে।

৪. বায়ার এবং সফ্লাইয়ারকে স্ট্যান্ডার্ড লাইট সোর্স ব্যবহার করতে হবে।

৫. স্ট্যান্ডার্ড সোয়াচ এবং স্যাম্পল, উভয়ের কনস্ট্রাকশন, ফাইবার কনটেন্ট, টাইপ ইত্যাদি একই হতে হবে।

৬. ফিনিশিং এজেন্ট কিংবা ওয়াশিং এফেক্ট এর ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।


ইস্যু:  CMC Report

ল্যাব ডিপ রিজেক্ট হওয়ার কারণ হিসাবে আমরা আগের পর্বগুলোতে ম্যানুয়াল বা হিউম্যান এর ভূমিকা গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। 

আজ আমরা ডিজিটাল কালার রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। ডিজিটাল কালার রিপোর্ট বলতে সাধারণত একটি স্পেক্ট্রোফটোমিটার এর মাধ্যমে কালার মিজার্মেন্ট করে স্ট্যান্ডার্ড এবং স্যাম্পল কালারের মধ্যকার পার্থক্যকে নিউম্যারিক ভ্যালুতে রিপোর্টের মাধ্যমে প্রকাশ করাকে বুঝায়। আমাদের দেশে এই রিপোর্টকে এককথায় CMC রিপোর্ট বলা হয়। 

আপনি যদি ল্যাব ডিপ রিজেক্ট বন্ধ করতে চান, তবে আপনাকে ম্যানুয়াল শেড ডিসিশন নেয়ার পাশাপাশি সিএমসি রিপোর্ট এর হেল্প নিতে হবে। এক্ষেত্রে CMC রিপোর্ট এর ভ্যালুগুলো আপনার এসেসমেন্ট করার দক্ষতাকে আরও নিখুঁত করবে। 

এবার চলুন CMC রিপোর্টের ভেলুগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।


DL: 
একটি স্যাম্পল, স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে কতটুকু Lighter বা Darker তা DL দ্বারা প্রকাশ করা হয়। DL এর মান (-) হলে স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে স্যাম্পল Darker হবে এবং DL এর মান (+) হলে স্যাম্পল Lighter হবে।

Da: 
একটি স্যাম্পল, স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে কতটুকু Reddee কিংবা Greener তা Da দ্বারা প্রকাশ করা হয়। Da এর মান (-) হলে স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে স্যাম্পল Greener হবে এবং Da এর মান (+) হলে স্যাম্পল Redder হবে।

Db: 
একটি স্যাম্পল, স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে কতটুকু Yellower অথবা Bluer তা Db দ্বারা প্রকাশ করা হয়। Db এর মান (-) হলে স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে স্যাম্পল Bluer হবে এবং Db এর মান (+) হলে স্যাম্পল Yellower হবে।

DC: 
একটি স্যাম্পল, স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে কতটুকু Brighter কিংবা Duller তা DC দ্বারা প্রকাশ করা হয়। DC এর মান (-) হলে স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে স্যাম্পল Duller হবে এবং DC এর মান (+) হলে স্যাম্পল Brighter হবে।

DH: 
DH বুঝতে পারাটা কিছুটা ট্রিকি। তবে, সহজভাবে বলতে গেলে, Da এবং Db এই দুটি ভ্যালু থেকে DH জেনারেটেড হয়। যা কিনা হিউ বা টোন বুঝতে সাহায্য করে। 

CMC DE: 
এটি হলো দুটি কালারের মধ্যকার সম্পূর্ন কালার ডিসটেন্স। DL, Da, Db বা DL, DC, DH, ইত্যাদি আলাদা আলাদা ভ্যালু ক্যালকুলেশন করে CMC DE বের করা হয়। 

সাধারণত টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে CMC DE <1.0, এবং DH < 0.7 হলেই একটি কালার আপনি চোখ বন্ধ করে পাশ দিতে পারবেন। কারণ এতটুকু ডিফারেন্স খালি চোখে আইডেন্টিফাই করা খুবই কঠিন।

CMC DE Acceptable Limit

ল্যাব ডিপ বার বার রিজেক্ট হচ্ছে? সমাধানের জন্য কয়েকটি টিপস ফলো করতে পারেন। (পর্ব-০৬, CMC acceptable limit) 

ডিজিটাল পদ্ধতিতে একটি কালার পাশ দেয়ার জন্য CMC acceptable লিমিট নির্ধারণ করা জরুরি। অর্থাৎ, একটি কালার পাশ দেয়ার জন্য স্ট্যান্ডার্ড এবং স্যাম্পল এর কালার ডিসটেন্স CMC DE ভ্যালু সর্বোচ্চ কত পর্যন্ত একসেপ্ট করা হবে তাই হল CMC acceptable লিমিট। 

এই লিমিট, ভিন্ন ভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যেমন প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি, কোটিং বা পেইন্টিং ইন্ডাস্ট্রি, ফুড ইন্ডাস্ট্রি, লেদার ইন্ডাস্ট্রি, কসমেটিক ইন্ডাস্ট্রি ইত্যাদি ইন্ডাস্ট্রি ভেদে CMC DE acceptable লিমিট 0.5-5.0 পর্যন্ত হতে পারে । 

তবে, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে CMC DE লিমিট 1.0 পর্যন্ত একসেপ্ট করা হয়। সাধারণত, CMC DE 1.0 এর কম হলে দুটি কালারের মধ্যকার ডিসটেন্স খালি চোখে খুব একটা বুঝা যায় না।
 

ইস্যু:  সকল ডেল্টা ভ্যালু সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখা 

🔺️L,🔺️C,🔺️H  নাকি🔺️L,🔺️a,🔺️b;  কোনটি অধিকতর গ্রহণযোগ্য ?

 

🔺️LAB কিংবা 🔺️LCH, কালার এসেসমেন্ট এর ক্ষেত্রে কোনটি বেশি কার্যকরী ফলাফল দিয়ে থাকে?
প্রথমে বুঝতে হবে শুধুমাত্র 🔺️LAB আমরা কি কি বিষয় জানতে পারি। 

১. 🔺️L দিয়ে আমরা দুটি কালারের মধ্যকার darkneas কিংবা lightness বুঝতে পারি।

২. 🔺️a এবং 🔺️b দিয়ে দুটি কালারের মধ্যকার hue কিংবা tone (যেমন Redder/Greener কিংবা Yellower/Bluer) বুঝতে পারি।

কিন্তু, 🔺️LAB এর কোনোটাই দিয়ে brightness কিংবা dullness অর্থাৎ Chroma বুঝা যায় না। Chroma বুঝতে গেলে অবশ্যই 🔺️C বুঝতে হবে।

একটি কালার ডিজিটাল রিপোর্টের ভিত্তিতে পাশ দিতে হলে 🔺️LAB এর পাশাপাশি 🔺️LCH বুঝা জরুরি। কারণ, অনেক সময় কালারের Lightness এবং Hue ভালো থাকলেও Chroma খারাপ থাকার কারণে একটি কালার fail হতে পারে।

🔺️H (কালারের হিউ কিংবা টোন এর ডিফারেন্স) কন্ট্রোল করার মাধ্যমে কালার কিংবা ল্যাব ডিপ Rejection অনেকটাই কমানো সম্ভব। পর্ব - ৮ 

DL, Da, Db, DC এবং DH এই পাঁচটি কালার ডিফারেন্স ভ্যালু নিয়ে আমরা আগের বিভিন্ন পর্বে আলোচনা করলেও, গুরুত্ব বিবেচনা করে এই পর্ব আমরা শুধুমাত্র DH এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। 

সাধারণত, CMC DE<1.0 হলে, স্যাম্পল এবং স্ট্যান্ডার্ড কালারের মধ্যকার পার্থক্য খালি চোখে খুব একটা ধরা পড়ে না। কিন্তু, অনেকসময় CMC DE<1.0 হলেও খালি চোখে অনেক পার্থক্য মনে হয়। এর কারন হল DH বা দুটি কালার মধ্যকার হিউ এর ডিফারেন্স!! 

আমরা জানি, CMC DE ক্যালকুলেশন করার জন্য স্যাম্পল এবং স্ট্যান্ডার্ড কালারের মধ্যকার DL (ডার্কনেস এর পার্থক্য), DC (ক্রোমার পার্থক্য) এবং DH (হিউ এর পার্থক্য) ভ্যালুর প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হলো, DH। কেননা, DL, DC কম এবং DH একটু বেশি থাকলেই CMC DE <1.0 থাকা সত্বেও একটি কালার আমাদের চোখে অনেক ডিফারেন্স দেখায়। 

যেমন ধরুন, DL= 0.2, DC= 0.3, DH= 0.8, এবং CMC DE<0.95 । এখানে CMC DE 1.0 এর কম হলেও DH খুব বেশি হওয়ার কারণে এই কলারটি খালি চোখে খুব একটা ভালো মনে হবে না। ঠিক তেমনি, যদি DL= 0.9, DC= 0.6, DH= 0.3, এবং CMC DE<0.95 হয়। তবে একটি কালার আমাদের চোখে খুব ভালো ভাবে পাশ কিংবা ওকে মনে হবে। 

তাই, কোন কালার CMC রিপোর্ট দেখে পাশ দিতে চাইলে অবশ্যই DH এর মানকে খুবই গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। 
  


ইস্যু:  কালার স্পেস
টেক্সটাইল এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হল L*A*B* কালার স্পেস। এই কালার স্পেস ৩৬০ ডিগ্রি হিসাবে ধরে নিলে এই স্পেসকে ৯০ ডিগ্রি করে সমান ৪ টি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রতিটি ভাগকে এক একটি Quadrant বলে।


 যেমন:

🔸১. +a, +b Quadrant, (Red এবং Yellow zone)

🔸২. -a, +b Quadrant, (Green এবং Yellow zone)

🔸৩. +a, -b Quadrant, (Red এবং Blue zone)

🔸৪. -a, -b Quadrant, (Green এবং Blue zone)


একটি স্যাম্পলকে ষ্ট্যাণ্ডার্ড এর সাথে যে ভাবেই পাশ দেয়া হোক না কেন তা এই ৪ টি Quadrant এর যে কোন একটি Quadrant এ নিশ্চিত ভাবে পড়বেই। 

ছবিতে দেখানো ব্যাচের মত যদি এমন হয়, ষ্ট্যাণ্ডার্ড এর সাথে ১ম এবং ৩য় স্যাম্পল +a,+b Quadrant এ পাশ দেয়া হয় এবং ২য় স্যাম্পল -a,-b Quadrant এ পাশ দেয়া হয়, তাহলে বায়ারের কাছে ১ম এবং ৩য় ব্যাচ এর সাথে ২য় ব্যাচ এর কালার খুবই পার্থক্য মনে হতে পারে। প্রতিটি ব্যাচ আলাদা আলাদা ভাবে ষ্ট্যাণ্ডার্ড এর সাথে CMC DE 1.0 এর চেয়ে কম থাকলেও, বায়ার থেকে কালার রিজেকশান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই, ব্যাচ টু ব্যাচ একই Quadrant এ পাশ দেয়া অবশ্যই জরুরী। 



ইস্যু:  বায়ার এসেসমেন্ট বা ম্যাচিং লিমিটেশন


যখন কোনো বায়ার বা কাস্টমার কালার এসেসমেন্ট করে এবং যদি কোন কালার রিজেক্ট করে, তবে শুধুমাত্র আমরা সফ্লাইয়ারের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন করি। কিন্তু, কালার এসেসমেন্ট এর ফান্ডামেন্টাল নলেজ না থাকার কারণে অনেকসময় কালার এপ্রুভাল দেয়ার সময় বায়ারের QC কর্তৃক মেজর মিসটেক হতে পারে। যেমন: ওকে কালার রিজেক্ট করা হয় কিংবা রিজেক্ট কালার অ্যাপ্রুভ দেয়া হয়। 

আজ আমরা বায়ারের এসেসমেন্ট লিমিটেশন নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

১. দীর্ঘদিন লাইটবক্সের লাইটগুলো ক্যালিব্রেশন করা হয় না। প্রতি ৩ মাস পর পর লাইট সোর্সের লাক্স মেপে ক্যালিব্রেশন করা জরুরি। যেমন: 2000 লাক্স স্ট্যান্ডার্ড হলেও দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর লাক্স অনেক কমে যেতে পারে।

২. লাইটবক্সের লাইটগুলোর কালার টেম্পারেচার এর একুরিসি ঠিক নেই। যেমন: কালার টেম্পারেচার 6500 কেলভিন স্ট্যান্ডার্ড থাকলেও বাস্তবে 6300-6600 পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে। 

৩. কালার এপ্রুভাল দেয়ার জন্য সকলেরই প্রথম পছন্দ নিজের ডেস্ক কিংবা টেবিল। অথচ, এখানে LED, CFL, ডে-লাইট সহ বিভিন্ন ডেকরেটিভ লাইটের মিশ্রণ থাকতে পারে। যা কিনা কালার এসেসমেন্ট এর জন্য স্ট্যান্ডার্ড ভায়োলেশন করে। 

৪. যে স্ট্যান্ডার্ড বা swatch এর সাথে কালার ম্যাচিং করা হচ্ছে, এর ম্যাটেরিয়ালস, কনস্ট্রাকশন, ফাইবার টাইপ ইত্যাদি বিষয় প্রোপার কালার ম্যাচিং করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই লিমিটেশন এর ব্যাপারে সচেতন থাকা জরুরি। যেমন: লেদার এর সাথে ফেব্রিক, পলিয়েস্টার এর সাথে কটন ইত্যাদি 

৫. কখনও কখনও হিউম্যান অবজারভার লিমিটেশন এর কারণে কালার বার বার রিজেক্ট হতে পারে। যেমন: কোন একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির কোন একটি নির্দিষ্ট গ্রুপ অফ কালারের প্রতি স্ট্রং কিংবা উইক পর্সেপটিবিলিটি থাকার কারণে একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্নে কালার বার বার রিজেক্ট হয়। 

মনে রাখতে হবে, কালার একটি পর্সিবিলিটি ইস্যু, এটা অসংখ্য ফ্যাক্টর দ্বারা প্রভাবিত হয়। তাই, কোন কালার রিজেক্ট কিংবা অ্যাপ্রুভ করার পূর্বে সঠিক কলার নলেজ থাকাটা জরুরি। 


লেখা:  Color Science Academy 
বিস্তারিত জানার জন্য Color Science Academy  এর ট্রেনিং কোর্সে এনরোল করুন। যোগাযোগের প্রয়োজনে WhatsApp +01914272333

ল্যাব ডিপ বার বার রিজেক্ট হচ্ছে ? সমাধানের জন্য কয়েকটি টিপস ফলো করতে পারেন।

ল্যাব ডিপ বার বার রিজেক্ট হচ্ছে? সমাধানের জন্য কয়েকটি টিপস ফলো করতে পারেন।



ইস্যু: লাইট

১. বায়ার এবং আপনার স্ট্যান্ডার্ড লাইট সোর্স ফিক্সড করুন। যেমন: D-65, TL-84, CWF ইত্যাদি। 

২. ভালো মানের লাইট কেবিনেট এ কালার এসেসমেন্ট করুন।

৩. লাইট কেবিনেট ডার্ক রুমে রাখুন।

৪. লাইট সোর্স নিয়মিত ক্যালিব্রেশন করুন। 

৫. লাইট সোর্সের কালার টেম্পারেচার, লাক্স, কালার রেন্ডারিং ইনডেক্স নিশ্চিত হয়ে নিন।

 ইস্যু:  অবজেক্ট

১. ষ্ট্যাণ্ডার্ড এবং ল্যাব ডিপ অবজেক্ট এর Construction একই রাখুন। (যেমনঃ ষ্ট্যাণ্ডার্ড যদি ১৪০ GSM Single Jersey ফেব্রিক হয় তবে ল্যাব ডিপও সেইম ফেব্রিক রাখুন)

২. খুব পাতলা ফেব্রিক হলে (যার মধ্যে দিয়ে আলো পাস হয়) কয়েকটি ভাঁজ করে তারপর কালার দেখুন।

৩. কালার দেখার সময় ফেব্রিক বা ইয়ার্ন এর স্যাম্পল allignment একই দিকে রাখুন।

৪.  স্যাম্পল এর সারফেস মসৃণ না হলে আলোর রিফ্লেকশান সঠিক ভাবে হয় না যা কালার দেখার সময় এফেক্ট করে। বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।

৫. ব্রাশ করা সহ ফ্লুরোসেন্ট কালার দেখার সময় চকচকে ভাব (Glossy ) avoid করতে হবে।

৬. পাশ থেকে কোন সহকারীর কমেন্ট করা থেকে বিরত রাখবেন। যিনি ডিরেক্ট চোখের সামনে রেখে কালার দেখছেন শুধুমাত্র তার কমেন্ট বিবেচনায় রাখতে হবে।

৭. পেপার, থ্রেড, বাটন, লেদার, মেটাল, প্ল্যাস্টিক ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন ম্যাটেরিয়ালস এর সাথে কালার ম্যাচ করা সহজ নয়। তবে চেষ্টা করতে হবে এগুলোর অ্যাপ্লিকেশান কন্সিডার করে ম্যাচিং করা। তবে সবাইকে এর লিমিটেশন মেনে নিতে হবে। 



ইস্যু:  অবজারভার 

১. ৪৫° এঙ্গেল এ কালার দেখার প্রাকটিস করুন। প্রয়োজনে লাইট বক্সের সাইজের একটি এঙ্গেল বোর্ড বানিয়ে নিতে পারেন। 

২. লাইট সোর্সের আলোর তীব্রতা - লাক্স সম্পর্কে সচেতন থাকুন। মিনিমাম ১০০০ রাখুন। 

৩. ডার্ক কালার দেখার জন্য অধিক লাক্স সম্পন্ন লাইটের নিচে কালার দেখুন। ২০০০ লাক্স হলে ভালো হয়। 

৪. লাইট কালার গুলো কম লাক্স এ দেখলেও অসুবিধা নেই। 

৫. ১০০০ ঘণ্টার বেশি কোন লাইট ব্যবহার করবেন না।
৬. চারপাশে কোন উজ্জ্বল আলো রেখে কালার দেখবেন না।

৭. ব্রাইট কালার যেমন রেড, ফ্লোরোসেন্ট কালার দেখার সাথে সাথে অন্য কালার দেখবেন না। কিছুক্ষণ পরে দেখুন।

৮. একটানা ১০-১২ টির বেশি কালার দেখবেন না। এতে করে চোখ ক্লান্ত হয়ে যায়।

৯. রাতের শিফটে কাজ করলে ভোরের দিকে কালার ভুল দেখার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সাবধানে থাকবেন। ঘনগণ চোখে মুখে পানি দিবেন।

১০. হিউ টেস্ট করে আপনার দুর্বল জোন সম্পর্কে জেনে নিন। এতে করে ওই জোনের কালার পাশ দেয়ার সময় অধিক সতর্ক থাকতে পারবেন।

১১. যদি লাইট বক্সে কালার না দেখেন তবে আপনার চারপাশের কালার (যেমন দেয়াল) গ্রে কালার (মুনসেল N8, N7) করে রাখুন। 



ইস্যু:  ম্যাটামেরীজম

এককভাবে ৫০% এর উপর ল্যাব ডিপ রিজেক্ট হয়  ম্যাটামেরীজম সমস্যার কারণে। এই সমস্যাটা কালার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন সকলকেই প্রতিনিয়ত কমবেশি ফেস করতে হয়। ম্যাটামেরীজম সমস্যার সমাধান করা আর চার পাঁচটা সাধারণ সমস্যার মত সহজ কাজ নয়। এই সমস্যা কখনই সম্পূর্ণ সমাধান যেমন সম্ভব নয়, তেমনি এই সমস্যাটাকে এড়িয়ে যাওয়া ও অসম্ভব। তবে, সঠিক কালার নলেজ জানলে এই সমস্যাকে কিছুটা হলেও কমিয়ে আনা সম্ভব। চলুন, এই সমস্যা সমাধানের কিছু টিপস দেখে নেয়া যাক।

১. কম ম্যাটামেরীজম সম্পন্ন ডাইস ব্যবহার করতে হবে।

২. ট্রাইএঙ্গেল সিলেকশন করার সময় (যে তিনটি ডাইস দিয়ে ডাইং রেসিপি করা হয়) কম ম্যাটা আছে এমন ট্রাইএঙ্গেল সিলেকশন করতে হবে।

৩. কালার স্পেস এ ছোট এরিয়া সম্পন্ন গামাট সিলেকশন করতে হবে।

৪. বায়ার এবং সফ্লাইয়ারকে স্ট্যান্ডার্ড লাইট সোর্স ব্যবহার করতে হবে।

৫. স্ট্যান্ডার্ড সোয়াচ এবং স্যাম্পল, উভয়ের কনস্ট্রাকশন, ফাইবার কনটেন্ট, টাইপ ইত্যাদি একই হতে হবে।

৬. ফিনিশিং এজেন্ট কিংবা ওয়াশিং এফেক্ট এর ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।


ইস্যু:  CMC Report

ল্যাব ডিপ রিজেক্ট হওয়ার কারণ হিসাবে আমরা আগের পর্বগুলোতে ম্যানুয়াল বা হিউম্যান এর ভূমিকা গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। 

আজ আমরা ডিজিটাল কালার রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। ডিজিটাল কালার রিপোর্ট বলতে সাধারণত একটি স্পেক্ট্রোফটোমিটার এর মাধ্যমে কালার মিজার্মেন্ট করে স্ট্যান্ডার্ড এবং স্যাম্পল কালারের মধ্যকার পার্থক্যকে নিউম্যারিক ভ্যালুতে রিপোর্টের মাধ্যমে প্রকাশ করাকে বুঝায়। আমাদের দেশে এই রিপোর্টকে এককথায় CMC রিপোর্ট বলা হয়। 

আপনি যদি ল্যাব ডিপ রিজেক্ট বন্ধ করতে চান, তবে আপনাকে ম্যানুয়াল শেড ডিসিশন নেয়ার পাশাপাশি সিএমসি রিপোর্ট এর হেল্প নিতে হবে। এক্ষেত্রে CMC রিপোর্ট এর ভ্যালুগুলো আপনার এসেসমেন্ট করার দক্ষতাকে আরও নিখুঁত করবে। 

এবার চলুন CMC রিপোর্টের ভেলুগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।


DL: 
একটি স্যাম্পল, স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে কতটুকু Lighter বা Darker তা DL দ্বারা প্রকাশ করা হয়। DL এর মান (-) হলে স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে স্যাম্পল Darker হবে এবং DL এর মান (+) হলে স্যাম্পল Lighter হবে।

Da: 
একটি স্যাম্পল, স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে কতটুকু Reddee কিংবা Greener তা Da দ্বারা প্রকাশ করা হয়। Da এর মান (-) হলে স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে স্যাম্পল Greener হবে এবং Da এর মান (+) হলে স্যাম্পল Redder হবে।

Db: 
একটি স্যাম্পল, স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে কতটুকু Yellower অথবা Bluer তা Db দ্বারা প্রকাশ করা হয়। Db এর মান (-) হলে স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে স্যাম্পল Bluer হবে এবং Db এর মান (+) হলে স্যাম্পল Yellower হবে।

DC: 
একটি স্যাম্পল, স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে কতটুকু Brighter কিংবা Duller তা DC দ্বারা প্রকাশ করা হয়। DC এর মান (-) হলে স্ট্যান্ডার্ড এর চেয়ে স্যাম্পল Duller হবে এবং DC এর মান (+) হলে স্যাম্পল Brighter হবে।

DH: 
DH বুঝতে পারাটা কিছুটা ট্রিকি। তবে, সহজভাবে বলতে গেলে, Da এবং Db এই দুটি ভ্যালু থেকে DH জেনারেটেড হয়। যা কিনা হিউ বা টোন বুঝতে সাহায্য করে। 

CMC DE: 
এটি হলো দুটি কালারের মধ্যকার সম্পূর্ন কালার ডিসটেন্স। DL, Da, Db বা DL, DC, DH, ইত্যাদি আলাদা আলাদা ভ্যালু ক্যালকুলেশন করে CMC DE বের করা হয়। 

সাধারণত টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে CMC DE <1.0, এবং DH < 0.7 হলেই একটি কালার আপনি চোখ বন্ধ করে পাশ দিতে পারবেন। কারণ এতটুকু ডিফারেন্স খালি চোখে আইডেন্টিফাই করা খুবই কঠিন।

CMC DE Acceptable Limit

ল্যাব ডিপ বার বার রিজেক্ট হচ্ছে? সমাধানের জন্য কয়েকটি টিপস ফলো করতে পারেন। (পর্ব-০৬, CMC acceptable limit) 

ডিজিটাল পদ্ধতিতে একটি কালার পাশ দেয়ার জন্য CMC acceptable লিমিট নির্ধারণ করা জরুরি। অর্থাৎ, একটি কালার পাশ দেয়ার জন্য স্ট্যান্ডার্ড এবং স্যাম্পল এর কালার ডিসটেন্স CMC DE ভ্যালু সর্বোচ্চ কত পর্যন্ত একসেপ্ট করা হবে তাই হল CMC acceptable লিমিট। 

এই লিমিট, ভিন্ন ভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যেমন প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি, কোটিং বা পেইন্টিং ইন্ডাস্ট্রি, ফুড ইন্ডাস্ট্রি, লেদার ইন্ডাস্ট্রি, কসমেটিক ইন্ডাস্ট্রি ইত্যাদি ইন্ডাস্ট্রি ভেদে CMC DE acceptable লিমিট 0.5-5.0 পর্যন্ত হতে পারে । 

তবে, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে CMC DE লিমিট 1.0 পর্যন্ত একসেপ্ট করা হয়। সাধারণত, CMC DE 1.0 এর কম হলে দুটি কালারের মধ্যকার ডিসটেন্স খালি চোখে খুব একটা বুঝা যায় না।
 

ইস্যু:  সকল ডেল্টা ভ্যালু সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখা 

🔺️L,🔺️C,🔺️H  নাকি🔺️L,🔺️a,🔺️b;  কোনটি অধিকতর গ্রহণযোগ্য ?

 

🔺️LAB কিংবা 🔺️LCH, কালার এসেসমেন্ট এর ক্ষেত্রে কোনটি বেশি কার্যকরী ফলাফল দিয়ে থাকে?
প্রথমে বুঝতে হবে শুধুমাত্র 🔺️LAB আমরা কি কি বিষয় জানতে পারি। 

১. 🔺️L দিয়ে আমরা দুটি কালারের মধ্যকার darkneas কিংবা lightness বুঝতে পারি।

২. 🔺️a এবং 🔺️b দিয়ে দুটি কালারের মধ্যকার hue কিংবা tone (যেমন Redder/Greener কিংবা Yellower/Bluer) বুঝতে পারি।

কিন্তু, 🔺️LAB এর কোনোটাই দিয়ে brightness কিংবা dullness অর্থাৎ Chroma বুঝা যায় না। Chroma বুঝতে গেলে অবশ্যই 🔺️C বুঝতে হবে।

একটি কালার ডিজিটাল রিপোর্টের ভিত্তিতে পাশ দিতে হলে 🔺️LAB এর পাশাপাশি 🔺️LCH বুঝা জরুরি। কারণ, অনেক সময় কালারের Lightness এবং Hue ভালো থাকলেও Chroma খারাপ থাকার কারণে একটি কালার fail হতে পারে।

🔺️H (কালারের হিউ কিংবা টোন এর ডিফারেন্স) কন্ট্রোল করার মাধ্যমে কালার কিংবা ল্যাব ডিপ Rejection অনেকটাই কমানো সম্ভব। পর্ব - ৮ 

DL, Da, Db, DC এবং DH এই পাঁচটি কালার ডিফারেন্স ভ্যালু নিয়ে আমরা আগের বিভিন্ন পর্বে আলোচনা করলেও, গুরুত্ব বিবেচনা করে এই পর্ব আমরা শুধুমাত্র DH এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। 

সাধারণত, CMC DE<1.0 হলে, স্যাম্পল এবং স্ট্যান্ডার্ড কালারের মধ্যকার পার্থক্য খালি চোখে খুব একটা ধরা পড়ে না। কিন্তু, অনেকসময় CMC DE<1.0 হলেও খালি চোখে অনেক পার্থক্য মনে হয়। এর কারন হল DH বা দুটি কালার মধ্যকার হিউ এর ডিফারেন্স!! 

আমরা জানি, CMC DE ক্যালকুলেশন করার জন্য স্যাম্পল এবং স্ট্যান্ডার্ড কালারের মধ্যকার DL (ডার্কনেস এর পার্থক্য), DC (ক্রোমার পার্থক্য) এবং DH (হিউ এর পার্থক্য) ভ্যালুর প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হলো, DH। কেননা, DL, DC কম এবং DH একটু বেশি থাকলেই CMC DE <1.0 থাকা সত্বেও একটি কালার আমাদের চোখে অনেক ডিফারেন্স দেখায়। 

যেমন ধরুন, DL= 0.2, DC= 0.3, DH= 0.8, এবং CMC DE<0.95 । এখানে CMC DE 1.0 এর কম হলেও DH খুব বেশি হওয়ার কারণে এই কলারটি খালি চোখে খুব একটা ভালো মনে হবে না। ঠিক তেমনি, যদি DL= 0.9, DC= 0.6, DH= 0.3, এবং CMC DE<0.95 হয়। তবে একটি কালার আমাদের চোখে খুব ভালো ভাবে পাশ কিংবা ওকে মনে হবে। 

তাই, কোন কালার CMC রিপোর্ট দেখে পাশ দিতে চাইলে অবশ্যই DH এর মানকে খুবই গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। 
  


ইস্যু:  কালার স্পেস
টেক্সটাইল এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হল L*A*B* কালার স্পেস। এই কালার স্পেস ৩৬০ ডিগ্রি হিসাবে ধরে নিলে এই স্পেসকে ৯০ ডিগ্রি করে সমান ৪ টি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রতিটি ভাগকে এক একটি Quadrant বলে।


 যেমন:

🔸১. +a, +b Quadrant, (Red এবং Yellow zone)

🔸২. -a, +b Quadrant, (Green এবং Yellow zone)

🔸৩. +a, -b Quadrant, (Red এবং Blue zone)

🔸৪. -a, -b Quadrant, (Green এবং Blue zone)


একটি স্যাম্পলকে ষ্ট্যাণ্ডার্ড এর সাথে যে ভাবেই পাশ দেয়া হোক না কেন তা এই ৪ টি Quadrant এর যে কোন একটি Quadrant এ নিশ্চিত ভাবে পড়বেই। 

ছবিতে দেখানো ব্যাচের মত যদি এমন হয়, ষ্ট্যাণ্ডার্ড এর সাথে ১ম এবং ৩য় স্যাম্পল +a,+b Quadrant এ পাশ দেয়া হয় এবং ২য় স্যাম্পল -a,-b Quadrant এ পাশ দেয়া হয়, তাহলে বায়ারের কাছে ১ম এবং ৩য় ব্যাচ এর সাথে ২য় ব্যাচ এর কালার খুবই পার্থক্য মনে হতে পারে। প্রতিটি ব্যাচ আলাদা আলাদা ভাবে ষ্ট্যাণ্ডার্ড এর সাথে CMC DE 1.0 এর চেয়ে কম থাকলেও, বায়ার থেকে কালার রিজেকশান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই, ব্যাচ টু ব্যাচ একই Quadrant এ পাশ দেয়া অবশ্যই জরুরী। 



ইস্যু:  বায়ার এসেসমেন্ট বা ম্যাচিং লিমিটেশন


যখন কোনো বায়ার বা কাস্টমার কালার এসেসমেন্ট করে এবং যদি কোন কালার রিজেক্ট করে, তবে শুধুমাত্র আমরা সফ্লাইয়ারের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন করি। কিন্তু, কালার এসেসমেন্ট এর ফান্ডামেন্টাল নলেজ না থাকার কারণে অনেকসময় কালার এপ্রুভাল দেয়ার সময় বায়ারের QC কর্তৃক মেজর মিসটেক হতে পারে। যেমন: ওকে কালার রিজেক্ট করা হয় কিংবা রিজেক্ট কালার অ্যাপ্রুভ দেয়া হয়। 

আজ আমরা বায়ারের এসেসমেন্ট লিমিটেশন নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

১. দীর্ঘদিন লাইটবক্সের লাইটগুলো ক্যালিব্রেশন করা হয় না। প্রতি ৩ মাস পর পর লাইট সোর্সের লাক্স মেপে ক্যালিব্রেশন করা জরুরি। যেমন: 2000 লাক্স স্ট্যান্ডার্ড হলেও দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর লাক্স অনেক কমে যেতে পারে।

২. লাইটবক্সের লাইটগুলোর কালার টেম্পারেচার এর একুরিসি ঠিক নেই। যেমন: কালার টেম্পারেচার 6500 কেলভিন স্ট্যান্ডার্ড থাকলেও বাস্তবে 6300-6600 পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে। 

৩. কালার এপ্রুভাল দেয়ার জন্য সকলেরই প্রথম পছন্দ নিজের ডেস্ক কিংবা টেবিল। অথচ, এখানে LED, CFL, ডে-লাইট সহ বিভিন্ন ডেকরেটিভ লাইটের মিশ্রণ থাকতে পারে। যা কিনা কালার এসেসমেন্ট এর জন্য স্ট্যান্ডার্ড ভায়োলেশন করে। 

৪. যে স্ট্যান্ডার্ড বা swatch এর সাথে কালার ম্যাচিং করা হচ্ছে, এর ম্যাটেরিয়ালস, কনস্ট্রাকশন, ফাইবার টাইপ ইত্যাদি বিষয় প্রোপার কালার ম্যাচিং করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই লিমিটেশন এর ব্যাপারে সচেতন থাকা জরুরি। যেমন: লেদার এর সাথে ফেব্রিক, পলিয়েস্টার এর সাথে কটন ইত্যাদি 

৫. কখনও কখনও হিউম্যান অবজারভার লিমিটেশন এর কারণে কালার বার বার রিজেক্ট হতে পারে। যেমন: কোন একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির কোন একটি নির্দিষ্ট গ্রুপ অফ কালারের প্রতি স্ট্রং কিংবা উইক পর্সেপটিবিলিটি থাকার কারণে একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্নে কালার বার বার রিজেক্ট হয়। 

মনে রাখতে হবে, কালার একটি পর্সিবিলিটি ইস্যু, এটা অসংখ্য ফ্যাক্টর দ্বারা প্রভাবিত হয়। তাই, কোন কালার রিজেক্ট কিংবা অ্যাপ্রুভ করার পূর্বে সঠিক কলার নলেজ থাকাটা জরুরি। 


লেখা:  Color Science Academy 
বিস্তারিত জানার জন্য Color Science Academy  এর ট্রেনিং কোর্সে এনরোল করুন। যোগাযোগের প্রয়োজনে WhatsApp +01914272333

কোন মন্তব্য নেই: