বর্তমানে গার্মেন্টসের সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় - Textile Lab | Textile Learning Blog
🔖 বর্তমানে গার্মেন্টসের সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায়:


আমি যে কথাটা শেয়ার করছি হোয়ত এটা কারো কাছে ভাল মনে হতে পারে আবার নাও হতে পারে। কিন্তু বর্তমানে গার্মেন্টসের সংকট নিরসনে এটা এক মাত্র কার্যকারী উপায় হতে পারে।


একটু মনোযোগ দিয়ে আমার লেখাটা পড়ুন আর ভাল মনে হলে প্রস্তাবনা রাখতে পারেন।

বর্তমানে এই করোনা পদূর্ভাবে আমাদের গার্মেন্টস সেকশন একটা অনিশ্চয়তার মধ্য যাচ্ছে। মালিদের লস হবে বলে অনেক জায়গায় লে অফ আর কর্মী ছাঁটাই চলছে। এখন প্রশ্ন আমরা এই ক্ষতি কিভাবে কাটিয়ে উঠব। আমি মনে করি এখান থেকে উত্তরণের অনেক উপায় আছে শুধু সবার সমন্বয়ের দরকার। যেমন মালিক শ্রমিকদের দিকটা দেখতে হবে আবার শ্রমিকদের মালিকের দিকটা দেখতে হবে। তাই আমাদের মাঝে সমন্বয় থাকতে হবে। মালিক কোন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় আবার আমরা শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হই। তাহলে উত্তরণের উপাই কি। আমি যে উপায় নিয়ে কথা বলব তা আমার সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত মত।

আমরা সবাই জানি সরকার একটি প্রণোদনা ঘোষনা দিয়েছে শুধু শ্রমিকদের বেতন দেবার জন্য। কিন্তু সরকার এইটা লোন হিসেবে দিচ্ছে যেটা পরে মালিকদের পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ এই সম্পূর্ণ
টাকাটা মালিকের লস। কিন্তু মালিকের এই লস আমরা শ্রমিকরা অন্য ভাবে পুষিয়ে দিতে পারি কিন্তু কিভাবে। হ্যা অবশ্যই সম্বভ।

ধরে নিয়া যাক একটি কোম্পানিতে শ্রমিক কর্মচারী আর কর্মকর্তা মিলে ১০০০জন আছে। ধরা হলো প্রত্যেক এভারেজ প্রতি ঘণ্টায় ৫০টাকা করে পায়। ধরা হলো উক্ত কোম্পানিতে একমাসে ৯৬লাখ টাকা বেতন আসে। যদি উক্ত কোম্পানি ২মাসের বেতন দেবার জন্য ১কোটি ৯২লাখ টাকা লোন করে ২বছর মেয়াদের জন্য তাহলে ২%সুদে পরিশোধ করা লাগতে পারে প্রায় ২কোটি টাকা। এখন মালিক আমাদের জন্য লোনের ব্যবস্থা করল। কিন্তু আমরা শ্রমিকরা মালিকের জন্য করতে পারি, যতো দিন মালিকের লোন শোধ না হবে ততদিন আমাদের ফ্যাক্টরি কাজের টাইম পালন করব সকাল ৭.৩০ থেকে বিকাল ৫.৩০ মি পর্যন্ত অর্থাৎ ১ঘণ্টা বেশি কাজ করে দিব কোন প্রাপ্য ছাড়া। যদি একদিনে ১হাজার শ্রমিক ১ঘণ্টা অতিরিক্ত কাজ করলে কোম্পানির অতিরিক্ত প্রফিট হবে ৫০হাজার টাকা। অর্থাৎ ১মাসে কোম্পানির অতিরিক্ত আয় হবে ১২লাখ টাকা। এই ১২লাখ টাকা দিয়ে মালিক খুব সহজে লোনের কিস্তি চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। আশা করি ১৬ বা ১৭মাসের মধ্যেই লোনের টাকা পরিশোধ হয়ে যাবে। তাহলে বাঁচবে শ্রমিক বাঁচবে মালিক।

হয়ত আমার কথার কেউ বিরোধিতা করবে কিন্তু বর্তমানে এই সংকট নিরসনে এইটা হতে পারে একটা কার্যকারী উপায়। আমরা কারো ভিক্ষা বা করোনা চাইনা।


আপনার কাছে আমার এইকথা কার্যকারী মনে হলে, এটা প্রস্তাবনা রাখতে পারেন।

লেখাটি লিখেছেনঃ আনিসুজ্জামান টিপু
Email: tipu015@gmail.com

বর্তমানে গার্মেন্টসের সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায়

🔖 বর্তমানে গার্মেন্টসের সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায়:


আমি যে কথাটা শেয়ার করছি হোয়ত এটা কারো কাছে ভাল মনে হতে পারে আবার নাও হতে পারে। কিন্তু বর্তমানে গার্মেন্টসের সংকট নিরসনে এটা এক মাত্র কার্যকারী উপায় হতে পারে।


একটু মনোযোগ দিয়ে আমার লেখাটা পড়ুন আর ভাল মনে হলে প্রস্তাবনা রাখতে পারেন।

বর্তমানে এই করোনা পদূর্ভাবে আমাদের গার্মেন্টস সেকশন একটা অনিশ্চয়তার মধ্য যাচ্ছে। মালিদের লস হবে বলে অনেক জায়গায় লে অফ আর কর্মী ছাঁটাই চলছে। এখন প্রশ্ন আমরা এই ক্ষতি কিভাবে কাটিয়ে উঠব। আমি মনে করি এখান থেকে উত্তরণের অনেক উপায় আছে শুধু সবার সমন্বয়ের দরকার। যেমন মালিক শ্রমিকদের দিকটা দেখতে হবে আবার শ্রমিকদের মালিকের দিকটা দেখতে হবে। তাই আমাদের মাঝে সমন্বয় থাকতে হবে। মালিক কোন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় আবার আমরা শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হই। তাহলে উত্তরণের উপাই কি। আমি যে উপায় নিয়ে কথা বলব তা আমার সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত মত।

আমরা সবাই জানি সরকার একটি প্রণোদনা ঘোষনা দিয়েছে শুধু শ্রমিকদের বেতন দেবার জন্য। কিন্তু সরকার এইটা লোন হিসেবে দিচ্ছে যেটা পরে মালিকদের পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ এই সম্পূর্ণ
টাকাটা মালিকের লস। কিন্তু মালিকের এই লস আমরা শ্রমিকরা অন্য ভাবে পুষিয়ে দিতে পারি কিন্তু কিভাবে। হ্যা অবশ্যই সম্বভ।

ধরে নিয়া যাক একটি কোম্পানিতে শ্রমিক কর্মচারী আর কর্মকর্তা মিলে ১০০০জন আছে। ধরা হলো প্রত্যেক এভারেজ প্রতি ঘণ্টায় ৫০টাকা করে পায়। ধরা হলো উক্ত কোম্পানিতে একমাসে ৯৬লাখ টাকা বেতন আসে। যদি উক্ত কোম্পানি ২মাসের বেতন দেবার জন্য ১কোটি ৯২লাখ টাকা লোন করে ২বছর মেয়াদের জন্য তাহলে ২%সুদে পরিশোধ করা লাগতে পারে প্রায় ২কোটি টাকা। এখন মালিক আমাদের জন্য লোনের ব্যবস্থা করল। কিন্তু আমরা শ্রমিকরা মালিকের জন্য করতে পারি, যতো দিন মালিকের লোন শোধ না হবে ততদিন আমাদের ফ্যাক্টরি কাজের টাইম পালন করব সকাল ৭.৩০ থেকে বিকাল ৫.৩০ মি পর্যন্ত অর্থাৎ ১ঘণ্টা বেশি কাজ করে দিব কোন প্রাপ্য ছাড়া। যদি একদিনে ১হাজার শ্রমিক ১ঘণ্টা অতিরিক্ত কাজ করলে কোম্পানির অতিরিক্ত প্রফিট হবে ৫০হাজার টাকা। অর্থাৎ ১মাসে কোম্পানির অতিরিক্ত আয় হবে ১২লাখ টাকা। এই ১২লাখ টাকা দিয়ে মালিক খুব সহজে লোনের কিস্তি চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। আশা করি ১৬ বা ১৭মাসের মধ্যেই লোনের টাকা পরিশোধ হয়ে যাবে। তাহলে বাঁচবে শ্রমিক বাঁচবে মালিক।

হয়ত আমার কথার কেউ বিরোধিতা করবে কিন্তু বর্তমানে এই সংকট নিরসনে এইটা হতে পারে একটা কার্যকারী উপায়। আমরা কারো ভিক্ষা বা করোনা চাইনা।


আপনার কাছে আমার এইকথা কার্যকারী মনে হলে, এটা প্রস্তাবনা রাখতে পারেন।

লেখাটি লিখেছেনঃ আনিসুজ্জামান টিপু
Email: tipu015@gmail.com

কোন মন্তব্য নেই: