আরএমজি সেক্টর নিয়ে কিছু কথা | RMG Sector Bangladesh - Textile Lab | Textile Learning Blog
আরএমজি সেক্টর নিয়ে কিছু কথাঃ


২০ শতাব্দীর আমাদের দেশে পোশাক শিল্প কোন দিকে এটা নিয়ে আমরা  আলোচনা সমালোচনা করি। কেউ বলে পোশাক শিল্প শেষ হওয়ার পথে কেউ বলে এই শিল্প শেষ। কিন্তু বাস্তবে কি এই শিল্প শেষ হয়ে যাচ্ছে...? বর্তমান বাংলাদেশ পোশাক শিল্প রপ্তানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে যেখানে চীন এর অবস্থান প্রথম গ্লোবাল পয়েন্ট ৩৪.৪ সেখানে বাংলাদেশ এর অবস্থান  ৬.৫ তার নিচের অবস্থান ভিয়েতনাম এর গ্লোবাল পয়েন্ট ৫.৯ । বিজিএমই রিপোর্ট অনুযায়ী ৫০+ ফ্যাক্টরী বন্ধ ঘোষণা করেছে। তাই বলে কি সব ফ্যাক্টরী বন্ধের পথে। আমি নিজেই ৫০ টা বন্ধ ফ্যাক্টরী মধো ২ টা ফ্যাক্টরী বন্ধের সাথে জড়িত কিন্তু ফ্যাক্টরীর নাম বলতে চাই না। তবুও আমার শুভাকাঙ্ক্ষী যারা আছে তারা অবশ্যই অবগত আছে।  বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করবো,  ফ্যাক্টরী কেন বন্ধ হয়েছে এটার দায় কার...?  সরকার নাকি এ্যাকর্ড নাকি বায়ার...?  আমি বলবো এটার দায় সম্পূর্ন মালিকের। কেননা বায়ার এর কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে যে পরিমান এলসি খোলার কথা সেই পরিমান এলসি না খুলে তার থেকে তিনগুন বেশি এলসি খুলে যায় বৎসর এর পর বৎসর। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে জমি, বাড়ী,  ফ্লাট এবং বিলাসিতা করে কাটিয়ে দেই। এর পর ব্যাংক থেকে কোটিকোটি টাকা লোন নিয়ে নিজের নামে গ্রীন ফ্যাক্টরীতে  ব্যয় করে। এ্যাকর্ড এর রেটিং নাম্বার ৮৭ পাওয়া ফ্যাক্টরী শুধু মাত্র পাম্প বসালে ১০০ মার্ক পেয়ে যায়। এ্যর্কড সময় দিয়েছে বায়ার সময় দিয়েছে।  সেটাকে তোয়াক্কা না করে ফ্যাক্টরী বন্ধ করার প্রয়াস চালিয়ে গেলো ১ বৎসর আগে থেকে। ভুয়া এলসি খুলে ব্যাংকের কাছে দেনা হয়ে। ২০১৮ সালে জুন মাসে একটি বন্ধ হয়েছে আরেকটি বন্ধ হয়েছে ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর এর মাসে।  এই বার আপনারা ভাবুন গামের্ন্টস বন্ধ হওয়ার জন্য দায়ি কারা....? এ্যাকর্ড এবং এলাইন্স বাংলাদেশ এ আসার পর কমপ্লাইন্স সেক্টর এর মূল্য বেড়েছে।  কমপ্লাইন্স এর গ্রহনযোগ্যতা বেড়েছে।  চাইনা এবং মায়ানমার থেকে বায়ার বাংলাদেশ আসিতেছে। কাজের গতি বাড়িতেছে। বাংলাদেশের মত সস্তা পন্য পৃথিবীর কোথায় ও নেই। বাংলাদেশ এর মত কোয়ালিটি পন্য এবং নিরাপদ পরিবেশ কেউ দিতে পারবে না। গামেন্টর্স প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ গ্যাস যে পরিমান সাপ্লাই দেওয়া হয় পৃথিবীর অন্যকোন দেশ এভাবে দিতে পারে না। হতাশ না হয়ে আরএমজি কে কিভাবে আলোকিত করা যায় সেটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। মালিক মালিকের কারনে ফ্যাক্টরী বন্ধ হচ্ছে। বায়ার এর কারনে নয়। সকল মালিকদের অনুরোধ করবো ভুয়া এলসি খুলে ফ্যাক্টরী বন্ধ করবেন না। শ্রমিক এবং দেশের কথা চিন্তা করে পোশাক শিল্প কে এগিয়ে নিয়ে যান। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থান এ আছে এই শিল্প কে কিভাবে প্রথম স্থান এ আনা যায় সেই ভাবে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।  আসুন নেগেটিভ চিন্তা না করে পজিটিভ চিন্তা করে এই শিল্প কে এগিয়ে নিয়ে যায়।।


লেখকঃ
ইমরানুল ইসলাম
ম্যানেজার ( এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স) 
লিবাস স্টিচ

আরএমজি সেক্টর নিয়ে কিছু কথা | RMG Sector Bangladesh

আরএমজি সেক্টর নিয়ে কিছু কথাঃ


২০ শতাব্দীর আমাদের দেশে পোশাক শিল্প কোন দিকে এটা নিয়ে আমরা  আলোচনা সমালোচনা করি। কেউ বলে পোশাক শিল্প শেষ হওয়ার পথে কেউ বলে এই শিল্প শেষ। কিন্তু বাস্তবে কি এই শিল্প শেষ হয়ে যাচ্ছে...? বর্তমান বাংলাদেশ পোশাক শিল্প রপ্তানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে যেখানে চীন এর অবস্থান প্রথম গ্লোবাল পয়েন্ট ৩৪.৪ সেখানে বাংলাদেশ এর অবস্থান  ৬.৫ তার নিচের অবস্থান ভিয়েতনাম এর গ্লোবাল পয়েন্ট ৫.৯ । বিজিএমই রিপোর্ট অনুযায়ী ৫০+ ফ্যাক্টরী বন্ধ ঘোষণা করেছে। তাই বলে কি সব ফ্যাক্টরী বন্ধের পথে। আমি নিজেই ৫০ টা বন্ধ ফ্যাক্টরী মধো ২ টা ফ্যাক্টরী বন্ধের সাথে জড়িত কিন্তু ফ্যাক্টরীর নাম বলতে চাই না। তবুও আমার শুভাকাঙ্ক্ষী যারা আছে তারা অবশ্যই অবগত আছে।  বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করবো,  ফ্যাক্টরী কেন বন্ধ হয়েছে এটার দায় কার...?  সরকার নাকি এ্যাকর্ড নাকি বায়ার...?  আমি বলবো এটার দায় সম্পূর্ন মালিকের। কেননা বায়ার এর কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে যে পরিমান এলসি খোলার কথা সেই পরিমান এলসি না খুলে তার থেকে তিনগুন বেশি এলসি খুলে যায় বৎসর এর পর বৎসর। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে জমি, বাড়ী,  ফ্লাট এবং বিলাসিতা করে কাটিয়ে দেই। এর পর ব্যাংক থেকে কোটিকোটি টাকা লোন নিয়ে নিজের নামে গ্রীন ফ্যাক্টরীতে  ব্যয় করে। এ্যাকর্ড এর রেটিং নাম্বার ৮৭ পাওয়া ফ্যাক্টরী শুধু মাত্র পাম্প বসালে ১০০ মার্ক পেয়ে যায়। এ্যর্কড সময় দিয়েছে বায়ার সময় দিয়েছে।  সেটাকে তোয়াক্কা না করে ফ্যাক্টরী বন্ধ করার প্রয়াস চালিয়ে গেলো ১ বৎসর আগে থেকে। ভুয়া এলসি খুলে ব্যাংকের কাছে দেনা হয়ে। ২০১৮ সালে জুন মাসে একটি বন্ধ হয়েছে আরেকটি বন্ধ হয়েছে ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর এর মাসে।  এই বার আপনারা ভাবুন গামের্ন্টস বন্ধ হওয়ার জন্য দায়ি কারা....? এ্যাকর্ড এবং এলাইন্স বাংলাদেশ এ আসার পর কমপ্লাইন্স সেক্টর এর মূল্য বেড়েছে।  কমপ্লাইন্স এর গ্রহনযোগ্যতা বেড়েছে।  চাইনা এবং মায়ানমার থেকে বায়ার বাংলাদেশ আসিতেছে। কাজের গতি বাড়িতেছে। বাংলাদেশের মত সস্তা পন্য পৃথিবীর কোথায় ও নেই। বাংলাদেশ এর মত কোয়ালিটি পন্য এবং নিরাপদ পরিবেশ কেউ দিতে পারবে না। গামেন্টর্স প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ গ্যাস যে পরিমান সাপ্লাই দেওয়া হয় পৃথিবীর অন্যকোন দেশ এভাবে দিতে পারে না। হতাশ না হয়ে আরএমজি কে কিভাবে আলোকিত করা যায় সেটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। মালিক মালিকের কারনে ফ্যাক্টরী বন্ধ হচ্ছে। বায়ার এর কারনে নয়। সকল মালিকদের অনুরোধ করবো ভুয়া এলসি খুলে ফ্যাক্টরী বন্ধ করবেন না। শ্রমিক এবং দেশের কথা চিন্তা করে পোশাক শিল্প কে এগিয়ে নিয়ে যান। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থান এ আছে এই শিল্প কে কিভাবে প্রথম স্থান এ আনা যায় সেই ভাবে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।  আসুন নেগেটিভ চিন্তা না করে পজিটিভ চিন্তা করে এই শিল্প কে এগিয়ে নিয়ে যায়।।


লেখকঃ
ইমরানুল ইসলাম
ম্যানেজার ( এইচ আর এন্ড কমপ্লাইন্স) 
লিবাস স্টিচ