বাংলাদেশে গার্মেন্টেস শিল্পের বর্তমান অবস্থা - Textile Lab | Textile Learning Blog
বাংলাদেশে গার্মেন্টেস শিল্পের বর্তমান অবস্থাঃ

শিল্পায়ন কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান কারন। এটি উন্নয়নশীল দেশের আর্থিক কাঠামো রূপান্তরের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তৈয়ারী পোশাক রপ্তানীতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় এবং প্রায় ৪০ লক্ষ শ্রমিক এর সাথে জড়িত এবং এই শিল্প থেকে প্রতিবছর ২১০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করে থাকে । Made in Bangladesh পোশাকে লেখা ট্যাগ বিশ্ব বাজারে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে এবং এর জন্য আমরা গর্ববোধ ও করি।
দেশের মোট রপ্তানীর ৮০% পোশাক শিল্প থেকে আসে। তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকান্ড ও রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক শিল্প কারখানার নিরাপত্তা বিষয় সামনে চলে আসে এবং ইউরোপিয়ান বায়ার এবং নর্থ আমেরিকান বায়ার এর জোট যথাক্রমে Accord ও Alliance গঠিত হয়। শিল্প মালিকগন উভয় জোটের নির্দেশনা মোতাবেক ফ্যাক্টরীর ওয়ার্ক সেইফটি নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় এবং এর পিছনে বাড়তি অনেক টাকা খরচ করতে বাধ্য হয়। Accord ও Alliance এর কাজ করতে গিয়ে প্রচুর টাকা পয়সা খরচ হলেও বায়াররা পোষাক তৈয়ারী জন্য বাড়তি পয়সা দেয় নাই।

এদিকে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির সরকারী আদেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মালিকপক্ষ আবার ও অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে।

এইসব কারনে বর্তমানে গার্মেন্টেন্স শিল্পের অনেক ক্ষতি হয়েছে এবং ব্যাংক গুলোর আর্থিক সাপোর্ট না দেওয়ায় ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। আমার জানা মতে বন্ধ হওয়া ফ্যাক্টরী গুলো- টোপাজ গার্মেন্টেন্স , ইউনিটেক্স এ্যাপারেল্স লিঃ, স্টাইলো ফ্যাশন লিঃ, আয়মন টেক্সটাইল, জয়েন্টটেক্স, আয়েশা এ্যাপারেল্স লি:, ডানা বটম লিঃ, ইহসান ফ্যাশন লিঃ, মার্কমুড গার্মেন্টেস লিঃ, সিনকি গার্মেন্টেস লিঃ, ফেলটেক্স কম্পোজিট লিঃ, রবা ফ্যাশন লিঃ, স্পেস গার্মেন্টেস লিঃ, ওয়াসফি নীট কম্পোজিট লিঃ, এ্যাননটেক্স লিঃ, ওয়ার্কফিল্ড লিঃ ও ইন্টারম্যাক্স গ্রুপ ।
ইহা ছাড়াও বড় বড় গ্রুপের অনেক ফ্যাক্টরী যথাসময়ে শ্রমিকদের মজুরী প্রদানে ব্যর্থ হয়েছেন এবং ষ্টাফদের বেতন ও কয়েক মাসের বাকি পড়ে আছে।

সামনে ঈদ এবং চলতি মাসের বেতন-বোনাস সবকিছু মিলে অনেক টাকা প্রদান করতে হবে এদিকে সরকারী নির্দেশ না থাকার কারনে ব্যাংক গুলো লোন রি-সিডিউল এর বিষয়টি বন্ধ রেখেছেন।

বিষয়টি আসলেই খুবই স্পর্শকাতর সুতরাং সরকার ও ব্যাংক কতৃপক্ষ যদি অতিসত্ত্বর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয় তাহলে আগামী ঈদের আগেই আরো অনেক ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে যাবে এবং অনেক শ্রমিক তাদের চাকরী হারায়ে বেকার হয়ে যাবে।

২০২১ সালে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে নিয়ে যেতে হলে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হবে এবং এ ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নাই।

সুতরাং আমাদের এই শিল্পের উন্নয়ন তথা বিশ্ববাজারে আমাদের অবস্থানকে দৃঢ় করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের আশুদৃষ্টি কামনা করছি।

(সংগৃহীত)

বাংলাদেশে গার্মেন্টেস শিল্পের বর্তমান অবস্থা

বাংলাদেশে গার্মেন্টেস শিল্পের বর্তমান অবস্থাঃ

শিল্পায়ন কোন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান কারন। এটি উন্নয়নশীল দেশের আর্থিক কাঠামো রূপান্তরের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তৈয়ারী পোশাক রপ্তানীতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় এবং প্রায় ৪০ লক্ষ শ্রমিক এর সাথে জড়িত এবং এই শিল্প থেকে প্রতিবছর ২১০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করে থাকে । Made in Bangladesh পোশাকে লেখা ট্যাগ বিশ্ব বাজারে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে এবং এর জন্য আমরা গর্ববোধ ও করি।
দেশের মোট রপ্তানীর ৮০% পোশাক শিল্প থেকে আসে। তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকান্ড ও রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক শিল্প কারখানার নিরাপত্তা বিষয় সামনে চলে আসে এবং ইউরোপিয়ান বায়ার এবং নর্থ আমেরিকান বায়ার এর জোট যথাক্রমে Accord ও Alliance গঠিত হয়। শিল্প মালিকগন উভয় জোটের নির্দেশনা মোতাবেক ফ্যাক্টরীর ওয়ার্ক সেইফটি নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় এবং এর পিছনে বাড়তি অনেক টাকা খরচ করতে বাধ্য হয়। Accord ও Alliance এর কাজ করতে গিয়ে প্রচুর টাকা পয়সা খরচ হলেও বায়াররা পোষাক তৈয়ারী জন্য বাড়তি পয়সা দেয় নাই।

এদিকে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির সরকারী আদেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মালিকপক্ষ আবার ও অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে।

এইসব কারনে বর্তমানে গার্মেন্টেন্স শিল্পের অনেক ক্ষতি হয়েছে এবং ব্যাংক গুলোর আর্থিক সাপোর্ট না দেওয়ায় ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। আমার জানা মতে বন্ধ হওয়া ফ্যাক্টরী গুলো- টোপাজ গার্মেন্টেন্স , ইউনিটেক্স এ্যাপারেল্স লিঃ, স্টাইলো ফ্যাশন লিঃ, আয়মন টেক্সটাইল, জয়েন্টটেক্স, আয়েশা এ্যাপারেল্স লি:, ডানা বটম লিঃ, ইহসান ফ্যাশন লিঃ, মার্কমুড গার্মেন্টেস লিঃ, সিনকি গার্মেন্টেস লিঃ, ফেলটেক্স কম্পোজিট লিঃ, রবা ফ্যাশন লিঃ, স্পেস গার্মেন্টেস লিঃ, ওয়াসফি নীট কম্পোজিট লিঃ, এ্যাননটেক্স লিঃ, ওয়ার্কফিল্ড লিঃ ও ইন্টারম্যাক্স গ্রুপ ।
ইহা ছাড়াও বড় বড় গ্রুপের অনেক ফ্যাক্টরী যথাসময়ে শ্রমিকদের মজুরী প্রদানে ব্যর্থ হয়েছেন এবং ষ্টাফদের বেতন ও কয়েক মাসের বাকি পড়ে আছে।

সামনে ঈদ এবং চলতি মাসের বেতন-বোনাস সবকিছু মিলে অনেক টাকা প্রদান করতে হবে এদিকে সরকারী নির্দেশ না থাকার কারনে ব্যাংক গুলো লোন রি-সিডিউল এর বিষয়টি বন্ধ রেখেছেন।

বিষয়টি আসলেই খুবই স্পর্শকাতর সুতরাং সরকার ও ব্যাংক কতৃপক্ষ যদি অতিসত্ত্বর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয় তাহলে আগামী ঈদের আগেই আরো অনেক ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে যাবে এবং অনেক শ্রমিক তাদের চাকরী হারায়ে বেকার হয়ে যাবে।

২০২১ সালে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে নিয়ে যেতে হলে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হবে এবং এ ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নাই।

সুতরাং আমাদের এই শিল্পের উন্নয়ন তথা বিশ্ববাজারে আমাদের অবস্থানকে দৃঢ় করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের আশুদৃষ্টি কামনা করছি।

(সংগৃহীত)

কোন মন্তব্য নেই: