পোশক শিল্পের পেশাগত সম-সাময়িক ভাবনা | RMG sectorof Bangladesh - Textile Lab | Textile Learning Blog
পেশাগত সম-সাময়িক ভাবনা

এই বছর অনেক দেশ ঘুরে নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে যা দেখছি ,২০১৯ শুরু থেকেই গার্মেন্স শিল্পে কেমন যেন একটা স্থবির অবস্হা শুরু হয়েছে যা অনেকটা slow recession আর এখন তা আসল দানব  রুপ ধারন করতে যাচ্ছে , শত শত ফ্যক্টরি কাজের অভাবে line gape যাচ্ছে, বেতন দেয়া যাচ্ছে না আবার প্রাইজ না থাকার কারনে এমন কোন saving ও হাতে নেই যে লম্বা সময় চালিয়ে যাবে। এখন ব্যংকের loan ছাড়া বাঁচা বা বাচানোর কোন উপায় নেই । কিন্তু ব্যাংক ও এখন বলছে আগের টাকা ফেরত দেন নাই তাই আমি ও পারব না, তাহলে মালিকের যাবার জায়গা কই ? 

আমাদেরও লোভ কম না, বেশী লাভের আশায় ব্যংকের টাকা দিয়ে ১০ লাইন কে ২০/৩০/৪০ লাইন করেছি কিন্তু একবারও ভাবিনি কাজ না থাকলে কি হবে । 

আপনি হয়ত বলবেন export value ত বাড়ছে ! তাহলে কমল কি ? 
Quantity আর value এক না । আমরা গত কয়েক বছরে অনেক high value product শুরু করেছি যেমন হেভি জ্যাকেট , high value sportswear, outwear, সু্ট্য আরো অনেক কিছু যার একটার দাম ১০০ টা টি-শার্টের সমান । 

So , export value figure দেখে আপনি order Volume চিন্তা করতে পারবেন না ।কাজ থাকলে আজ শত ফ্যক্টরি লাইল খালি থাকার কথা না । 

তার মধ্য আরো প্রবলেম , 

1. অর্ডার কমে যাওয়া , স্টাইল বেড়ে যাওয়া
2. প্রাইজ কম দেয়া তার উপর ডিসকাউন্ট প্রবনতা 

3. Deferred ব্যবসা বা L/C না দিয়ে ব্যবসা করার প্রবনতা 

4. খুব ছোট খাট বা অপ্রয়োজনীয় কমপ্লায়েন্সের বিষয় নিয়ে ফ্যক্টরি গুলিকে অযথা খরচ করানো 

5. Cost of production ত চিন্তাই করা যায় না । 

উপরের বিষয় গুলি কখনো বায়ার নিজে করে আবার কিছু তার কন্ট্রোলের বাইরে। যেমন -

১. মাল বিক্রি করতে না পারলে সে অর্ডার কম দেবে এটাই স্বাভাবিক । মানুষ স্টোরে গেলে অনেক বৈচিত্র খুঁজে এমনকি এই মাসে শপিং এসে গত মাসের মাল দেখতে চায় না। যেহেতু তাকে কাস্টমার ধরে রাখতে হবে তাই তার একই quantity তে অনেক style ছাড়া উপায় নেই । তারা মুখে ethical business এর কথা বল্লেও বেশী  লাভের আশায় deferred বা বাকী ব্যবসার offer করে সাথে আছে discount . 

বাজারের হিসাবে যদি বলি, 

২. USA - ২০১৯ তাদের ইকোনমি যদিও তেমন খারাপ যায়নি তবুও তারা আফ্রিকান দেশ গুলিকে Duty free সুবিধা দিয়ে encourage করছে। অনেক পকেট manufacturing country তৈরি করেছে, Maximum buyer landed goods চায় যা আমাদের মত exporter দের দ্বারা এই risky and high cost business সম্ভব না ,তাই এই বাজার নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে !

৩.England -  গত কয়েক বছর তাদের অবস্হা দিনের পর দিন খারাপ অবস্হার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে । গত মাসে যখন UK ছিলাম যত buyer দের সাথে কথা বলেছি তারা বলেছে আমরা স্টক ক্লিয়ার করেছি নতুন তেমন কোন মাল কিনব না কারন আমাদের duty এবং আমাদের selling forecast ভাল না।

৪. Europe এর মধ্যে জার্মান, ফ্রান্স উল্লেখযোগ্য কিন্তু তাদের মধ্য Germany GDP growth down almost 0.5% আর France slow , আমার ধারনা UK ব্রেকজিট এরপর পুরা ইউরোপ একটা বিশাল ধাক্কা খাবে, যা আমাদেরকে এখনই ভাবতে হবে । 

৫. India - গত কয়েক বছরে ঐ দেশে আমাদের গার্মেন্স export অনেক গুন বেড়েছে যা সত্যিই আমাদের জন্য সুখকর কিন্ত হটাৎ তাদের economy u turn করাতে তাদের sale কমে যাচ্ছে অন্য দিকে রুপি আর টাকার পার্থক্য কমাতে export slow down হতে যাচ্ছে । তাছাড়া direct sea shipment না থাকা ও একটা বিষয় । 

তাই আবারো বলছি , 

১. লাভের আশায় ফ্যক্টরি বড় না করে মধ্যম ই উত্তম। 

২. High tac আর High efficiency ছাড়া এই ইন্ডাট্রি বাঁচানো সম্ভব না । 

৩. High Value product আর multi product skill বাড়াতেই হবে। 

৪. Small cut efficiency with no MOQ। 

5. সর্বাপরি buyer , মালিক , শ্রমিক আর শ্রমিক ইউনিয়নের অনেক ধৈর্য শীল, দায়িত্বশীল আর মানবিক হতে হবে । price নাই , কথায় কথায় বন্দ্ব আর ভাংচুর কখনো সমাধান নয় । রুটি রিজিক কে সন্মান দিতে হবে । 

না হলে ,কোটি মানুষের garment industry যা কিনা back bone of our economy তা একটা অভিশাপ হিসেবে দেখা দেবে। সকল সেক্টরে তা ছড়াবে ব্যংক, বীমা, শিপিং, কুরিয়ার ,সি এন্জএফ  , গার্মেন্স এক্সেসোরিজ কেউ এর বাইরে নয় ।

মনে রাখতে হবে একটা গার্মেন্স ফ্যক্টরি দেয়া যত সহজ তার চেয়ে শত কঠিন তা বন্দ্ব করা because there is no safe exit plan or way out  from any organisation!

From 
AKM Saifur Rahaman Farhad Sir  

পোশক শিল্পের পেশাগত সম-সাময়িক ভাবনা | RMG sectorof Bangladesh

পেশাগত সম-সাময়িক ভাবনা

এই বছর অনেক দেশ ঘুরে নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে যা দেখছি ,২০১৯ শুরু থেকেই গার্মেন্স শিল্পে কেমন যেন একটা স্থবির অবস্হা শুরু হয়েছে যা অনেকটা slow recession আর এখন তা আসল দানব  রুপ ধারন করতে যাচ্ছে , শত শত ফ্যক্টরি কাজের অভাবে line gape যাচ্ছে, বেতন দেয়া যাচ্ছে না আবার প্রাইজ না থাকার কারনে এমন কোন saving ও হাতে নেই যে লম্বা সময় চালিয়ে যাবে। এখন ব্যংকের loan ছাড়া বাঁচা বা বাচানোর কোন উপায় নেই । কিন্তু ব্যাংক ও এখন বলছে আগের টাকা ফেরত দেন নাই তাই আমি ও পারব না, তাহলে মালিকের যাবার জায়গা কই ? 

আমাদেরও লোভ কম না, বেশী লাভের আশায় ব্যংকের টাকা দিয়ে ১০ লাইন কে ২০/৩০/৪০ লাইন করেছি কিন্তু একবারও ভাবিনি কাজ না থাকলে কি হবে । 

আপনি হয়ত বলবেন export value ত বাড়ছে ! তাহলে কমল কি ? 
Quantity আর value এক না । আমরা গত কয়েক বছরে অনেক high value product শুরু করেছি যেমন হেভি জ্যাকেট , high value sportswear, outwear, সু্ট্য আরো অনেক কিছু যার একটার দাম ১০০ টা টি-শার্টের সমান । 

So , export value figure দেখে আপনি order Volume চিন্তা করতে পারবেন না ।কাজ থাকলে আজ শত ফ্যক্টরি লাইল খালি থাকার কথা না । 

তার মধ্য আরো প্রবলেম , 

1. অর্ডার কমে যাওয়া , স্টাইল বেড়ে যাওয়া
2. প্রাইজ কম দেয়া তার উপর ডিসকাউন্ট প্রবনতা 

3. Deferred ব্যবসা বা L/C না দিয়ে ব্যবসা করার প্রবনতা 

4. খুব ছোট খাট বা অপ্রয়োজনীয় কমপ্লায়েন্সের বিষয় নিয়ে ফ্যক্টরি গুলিকে অযথা খরচ করানো 

5. Cost of production ত চিন্তাই করা যায় না । 

উপরের বিষয় গুলি কখনো বায়ার নিজে করে আবার কিছু তার কন্ট্রোলের বাইরে। যেমন -

১. মাল বিক্রি করতে না পারলে সে অর্ডার কম দেবে এটাই স্বাভাবিক । মানুষ স্টোরে গেলে অনেক বৈচিত্র খুঁজে এমনকি এই মাসে শপিং এসে গত মাসের মাল দেখতে চায় না। যেহেতু তাকে কাস্টমার ধরে রাখতে হবে তাই তার একই quantity তে অনেক style ছাড়া উপায় নেই । তারা মুখে ethical business এর কথা বল্লেও বেশী  লাভের আশায় deferred বা বাকী ব্যবসার offer করে সাথে আছে discount . 

বাজারের হিসাবে যদি বলি, 

২. USA - ২০১৯ তাদের ইকোনমি যদিও তেমন খারাপ যায়নি তবুও তারা আফ্রিকান দেশ গুলিকে Duty free সুবিধা দিয়ে encourage করছে। অনেক পকেট manufacturing country তৈরি করেছে, Maximum buyer landed goods চায় যা আমাদের মত exporter দের দ্বারা এই risky and high cost business সম্ভব না ,তাই এই বাজার নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে !

৩.England -  গত কয়েক বছর তাদের অবস্হা দিনের পর দিন খারাপ অবস্হার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে । গত মাসে যখন UK ছিলাম যত buyer দের সাথে কথা বলেছি তারা বলেছে আমরা স্টক ক্লিয়ার করেছি নতুন তেমন কোন মাল কিনব না কারন আমাদের duty এবং আমাদের selling forecast ভাল না।

৪. Europe এর মধ্যে জার্মান, ফ্রান্স উল্লেখযোগ্য কিন্তু তাদের মধ্য Germany GDP growth down almost 0.5% আর France slow , আমার ধারনা UK ব্রেকজিট এরপর পুরা ইউরোপ একটা বিশাল ধাক্কা খাবে, যা আমাদেরকে এখনই ভাবতে হবে । 

৫. India - গত কয়েক বছরে ঐ দেশে আমাদের গার্মেন্স export অনেক গুন বেড়েছে যা সত্যিই আমাদের জন্য সুখকর কিন্ত হটাৎ তাদের economy u turn করাতে তাদের sale কমে যাচ্ছে অন্য দিকে রুপি আর টাকার পার্থক্য কমাতে export slow down হতে যাচ্ছে । তাছাড়া direct sea shipment না থাকা ও একটা বিষয় । 

তাই আবারো বলছি , 

১. লাভের আশায় ফ্যক্টরি বড় না করে মধ্যম ই উত্তম। 

২. High tac আর High efficiency ছাড়া এই ইন্ডাট্রি বাঁচানো সম্ভব না । 

৩. High Value product আর multi product skill বাড়াতেই হবে। 

৪. Small cut efficiency with no MOQ। 

5. সর্বাপরি buyer , মালিক , শ্রমিক আর শ্রমিক ইউনিয়নের অনেক ধৈর্য শীল, দায়িত্বশীল আর মানবিক হতে হবে । price নাই , কথায় কথায় বন্দ্ব আর ভাংচুর কখনো সমাধান নয় । রুটি রিজিক কে সন্মান দিতে হবে । 

না হলে ,কোটি মানুষের garment industry যা কিনা back bone of our economy তা একটা অভিশাপ হিসেবে দেখা দেবে। সকল সেক্টরে তা ছড়াবে ব্যংক, বীমা, শিপিং, কুরিয়ার ,সি এন্জএফ  , গার্মেন্স এক্সেসোরিজ কেউ এর বাইরে নয় ।

মনে রাখতে হবে একটা গার্মেন্স ফ্যক্টরি দেয়া যত সহজ তার চেয়ে শত কঠিন তা বন্দ্ব করা because there is no safe exit plan or way out  from any organisation!

From 
AKM Saifur Rahaman Farhad Sir  

কোন মন্তব্য নেই: