ফ্যাশন ডিজাইনিং
ফ্যাশন ডিজাইন:
ফ্যাশন ডিজাইন ফ্যাশন ডিজাইন হচ্ছে একটি শৃজনশীল পেশা। একে আবার এক প্রকার আর্টও বলা হয়ে থাকে। একটি পোষাকের সাইজ থেকে শুরু করে তার কালার, নকশা, প্রিন্ট, সেলাইয়ের ধরণ ইত্যাদি করেন একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। সৃজনশীলতা একজন ফ্যাশন ডিজাইনারের প্রথম ও প্রধান শর্ত। একটি সমাজের চলমান ধারার উপর নির্ভর করে যে ট্রেন্ড দাঁড়িয়ে যায় সেটাই ফ্যাশন ডিজাইন। আর ফ্যাশন ডিজাইনাররা মূলত এটাকে কাপড়ে কিংবা বিভিন্ন এক্সেসরিজে ফুটিয়ে তোলেন। ফ্যাশন ডিজাইন বলতে শুধু পোষাকই নয়, এর সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন অনুসঙ্গ যেমন: ব্যাগ, জুতা, জুয়েলারী ইত্যাদিও জড়িত থাকে।
একজন ফ্যাশন ডিজাইনারের যে সকল গুন বা দক্ষতা থাকতে হবো:
একজন ফ্যাশন ডিজাইনারের প্রথম যে গুনটি থাকতে হবে তা হলো ড্রইং। ড্রইং এর দক্ষতা হবে নিজের আইডিয়া ভিজুয়ালাইজ করার জন্য।
১. তাকে এই কাজটি ম্যানুয়াল এবং ডিজিটালাইজ উভয় মাধ্যমেই।
২. তাকে টেক্সটাইল ফাইবার এবং ফেব্রিক সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।
৩. প্যাটার্ন মেকিং, কাটিং এবং স্টিচিং সম্পর্কে দক্ষতা থাকতে হবে।
৪. পোষাকের ইতিহাস, ডিজাইনের বিভিন্ন স্টাইল ও প্রবণতা সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।
৫. গ্রাহকের অভিরুচি বোঝার দক্ষতা থাকতে হবে।
৬. পোষাকের নকশায় ব্যবহৃত বিভিন্ন এক্সেসরিজ সম্পর্কে সম্যক ধারনা থাকতে হবে।
এই বিষয়গুলি ছাড়াও একজন ফ্যাশন ডিজাইনারের আরও অনেক দক্ষতা বা গুনের প্রয়োজন হয়, যেমন: ব্যক্তিগত গুনাবলী, তাৎক্ষনিক চিন্তাশক্তির উপস্থিতি, সামাজিকতা, যে কোন পরিস্থিতিতে যে কোন কাজ করার মানসিকতা, ধৈর্যশীলতা ইত্যাাদি। তাকে অবশ্যই রং ভালোবাসতে হবে। একটি বস্তুর উপর আলো পড়লে বা ছায়া পড়লে সেটা কেমন দেখায় সেটা খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করতে হবে। তাকে বেশি বেশি চর্চা করতে হবে। প্রখর ইচ্ছাশক্তি আর কাজের প্রতি ভালোবাসার সাথে সাথে নিত্য নতুন আইডয়া বের করতে হবে এবং এক্সপেরিমেন্ট করতে হবে। এভাবেই ধীরে ধীরে ফ্যাশন ডিজাইনার তার কাজে দক্ষ হয়ে উঠবেন।
ফ্যাশন ডিজাইনিং কেন পড়বেন:
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা স্কুল বা কলেজ কমপ্লিট করেছেন, বা এসএসসি/এইচএসসি শেষ করে বসে আছেন বা যা গৃহিণী বাসা/বাড়ির কাজের পর কিছু একটা করতে চাচ্ছেন। যারা এমন ভাবছেন তাদের জন্য বলে রাখি ফ্যাশন ডিজাইনিং একটি অন্যতম অপশন। আমাদের দেশের বর্তমানে অনেক তরুণ-তরুণী প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রফেশনারল কোর্স করছেন। ফ্যাশন ডিজাইনিং তাদের মধ্যে একটি। এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে শুধু নিজের চাকরিই নয়, গড়ে তুলতে পারেন নিজের একটি প্রতিষ্ঠান এবং সুযোগ তৈরি করে দিতে পারেন অন্যের কর্মসংস্থান।
এছাড়াও ঘরে বসে অনলাইন বিজনেসের মাধ্যমে আয় করতে পারেন নিজের অর্থ। বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্যাশন ডিজাইনাদের রয়েছে চাকুরির বিশাল বাজার। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ তৈরি পোষাক শিল্প রপ্তানিতে প্রথম সারিতে রয়েছে। সেই জন্য বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে বৃহদাকার গার্মেন্টস ইন্ডাষ্ট্রিজ, বায়িং হাউজ, ফ্যাশন হাউজ, বুটিক শিল্প। কিন্তু যে পরিমাণ কাজের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে, সেই অনুপাতে তৈরি হয়নি দক্ষ জনবল। যার ফলে বাহির থেকে আনতে হচ্ছে এই দক্ষ জনবল।
কিন্তু আমাদের দেশ জনসংখায় বহুল। এই বিশাল জনসংখাকে যদি দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরিত করা যায় তাহলে এই কাজের যে শূন্যস্থান তা পূরণ করা যায় এবং দেশের অর্থ দেশেই রয়ে যায়। এর ফলে দেশ সনির্ভরশীল হয়। দেশের বেকার নারী/পুরুষ নিজেদেরকে সাবলম্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। নিজের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি সমাজের বেকার নারী/পুরুষদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।
প্রকারভেদ:
ফ্যাশন ডিজাইনের বিভন্ন প্রকার ফর্ম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত ফর্ম হচ্ছে অ্যাপারেল যার অন্যান্য নামের মধ্যে রয়েছে ক্লথিং ও গার্মেন্টস। আর এই ফর্মেও দুটি প্রধান বিভাগ আছে।
১. হিউট কৌচার
২. প্রিট-এ-পর্টার বা রেডি টু ওয়ার
হিউট কৌচার:
এই দুটি বিভাগের মধ্যে প্রথম ও প্রধান বা সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ হচ্ছে হিউট কৌচার। এই শব্দটি একটি ফ্রেঞ্চ শব্দ যা বিশে^র নামী দামী ফ্যাশন দৃশ্যের সাথে সম্পৃক্ত। এই পোষাকগুলো নির্দিষ্ট ধনী ব্যক্তিদের জন্য তৈরি এক ধরনের দামী পোষাক। এই পোষাকগুলো ডিজাইন করা হয় নির্দিষ্ট কাস্টমারের জন্য এবং পোষাকগুলো শুধুমাত্র তার মাপ অনুযায়ীই তৈরি করা হয়ে থাকে। হিউট কৌচার নিয়ে কাজ করেন এমন ফ্যাশন ডিজাইনদের প্যারিসে ওয়ার্কশপ আছে। প্রতি বছর তাদের ডিজাইন করা এই পোষাকগুলো যখন প্রদর্শিত হয় তাখন তাকে ফ্যাশন উইক বলে। এই ডিজাইনাররা তাদের ডিজাইন কারা ড্রেস তাদের মডেলদের মাধ্যমে দুটি রানওয়েতে শো করে থাকেন।
প্রিট-এ-পর্টার বা রেডি টু ওয়ার:
এটিও একটি ফ্রেঞ্চ শব্দ। পাশ্চাত্যে যাকে রেডি টু ওয়ার বলে থাকে। এ ধরণের পোষাকগুলো তৈরি করা হয় সব ধরণের মানুষের কথা চিন্তা করে। আর তাদের ফ্যাশন হাউজগুলোতে সাধারণত প্রতি সিজনে এই ধরণের পোষাক প্রদর্শিত হয়। সাধারণত দুটি উইকের আয়োজন থাকে প্রতিটি ব্র্র্র্যান্ডেড ফ্যাশন হাউজে। রেডি টু ওয়ার মূলত কোয়ালিটি ক্লথিং কিন্তু এটির ডিজাইন ফ্যাক্টরিতে হয়ে থাকে এবং এটি স্ট্যান্ডার্ড সাইজ থাকে।
এছাড়া অন্যান্য ফ্যাশন ডিজাইনের মধ্যে রয়েছে- সু, স্কার্প, জুয়েলারি ও বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ডব্যাগ ডিজাইন করা।
যে বিষয়গুলো থাকছে ফ্যাশন ডিজাইনিং-এ:
ফ্যাশন ডিজাইনিং এ বিষয়গুলো থেকে থাকে তার মধ্যে ৫টি বিষয়ের উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে।
2. Pattern Making
3. Fabric Texturing
4. Cutting
5. Stitching
1. Illustration/ Sketching
ফ্যাশন ডিজাইনিং এর প্রথম স্টেপ হচ্ছে ইলাস্ট্রেশন, অর্থাৎ যে গার্মেন্টটি তৈরি হবে সেটি ড্রইং করা। এই ড্রইং এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি পোষাকটি কেমন হবে। ইলাস্টেশন যার যত সুন্দর বা নিখুঁত হবে সে তার ক্লাইন্টকে পোষাকের ডিটেইল সম্পর্কে বোঝাতে সক্ষম হবে।
ফ্যাশন ইলাস্ট্রেশন ফ্যাশন ডিজাইনারদের জন্যে ইন্ডাষ্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড অনুয়াযী একটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। এই দক্ষতা পেশাদার কাজে বাড়তি সুবিধা দেয়া ছাড়াও ডিজাইনারের একটি পার্সোনাল ব্রান্ড তৈরিতেও সহায়তা করে।
ফ্যাশন ডিজাইনিং এর দিত্বীয় ধাপটি হচ্ছে প্যাটার্ন মেকিং। এটি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক গার্মেন্টের বøুপ্রিন্টও বলা হয়ে থাকে। উপযুক্ত সাইজ, মাপ ও কাটিং এর সমন্বয়ে যে ডাইমেনশনাল অবয়ব তৈরি করা হয় তাকে প্যাটার্ন মেকিং বলে। আর এই কাজটি কাগজে এঁকে এবং কেটে করতে হয় বলে একে পেপার প্যাটার্ন বলে। পেপার প্যাটার্ন করার কারণ হলো এতে করে আমাদের ভুলগুলো শুধরে নেয়ার অনেক অপশন থাকে।
Pattern দুই প্রকারের হয়ে থাকে:
2. Custom Made
Commercial Pattern:
এটি মার্কেটে সচারচর কিনতে পাওয়া যায়। এটি আপনি কিনে এনে সরাসরি কাপড়ে বসিয়ে কেটে ফেলতে পারবেন। তবে এটি নির্দিষ্ট সাইজের থাকে, সব বডির জন্য নয়। এই পেপার প্যাটার্নগুলোতে অনেক সিম্বল দিয়ে বোঝানো থাকে কোন লেখা থাকে না। সুতরাং এই সিম্বলগুলো বুঝতে হলে আপনার পেপার প্যাটার্ন সম্পর্কে বেসিক নলেজ থাকতে হবে।
এটি পৃথক পৃথক বডির জন্য পৃথক পৃথক সাইজের হয়ে থাকে। যেমন গার্মেন্টে বিভিন্ন সাইজ থাকে: ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজ সেই রকম। এর ফলে পোষাকে পারফেক্ট সেপ ও ফিটিং পাওয়া যায়। এটি এক এক ধরনের বডি সেপের জন্য এক এক রকম প্যাটার্ন হয়ে থাকে। তাই নির্দিষ্ট কোন ক্লাইন্টের পোষাক তৈরি করার পূর্বে তার প্যাটার্ন তৈরি করে নিতে হবে।
Pattern Making এর ক্ষেত্রে কিছু Terminology ব্যবহার করা হয়ে থকে। সেক্ষেত্রে প্রথমেই আসে-
Grain:
যার অর্থ হলো Direction। অর্থাৎ যখন আপনি পেপার প্যাটার্নটি কাপড়ের ওপর ফেলে কাটবেন তখন সঠিক দিক ধরে বসিয়ে কাটতে হবে।
Grain Line:
অথাৎ সুতার লম্বা টান যে দিকে থকে । কাপড়ে সুতার লম্ব টান ও বুননির দিক দেখে প্যোটার্ন ফেলতে হবে। তাহলে কাপড়ে সোজা ভাব থাকবে কাপড় এবড়ো থেবড়ো হয়ে যাবে না।
Notch:
যার অর্থ হলো কাপড়ে “ ” মার্ক করা। যখন আমরা একটি কাপড় অন্য আরেকটি কাপড়ের সাথে জোড়া লাগাই তখন কাপড় দুটি যাতে প্রোপার ওয়েতে সমানভাবে জোড়া লাগে সেই জন্য জোড়া লাগানো অংশের মাঝখানে একটি ভি চিহ্ন কাটিং করতে হয় যাকে প্যাটার্ন মেকিং এ Notch বলে। পারফেক্ট ম্যাচ এর জন্য একে Identification Mark ও বলে।
Symbol:
প্যাটার্ন মের্কি এর ক্ষেত্রে অনেক সময় অনেক গুলো সিম্বল যেমন: ডট বা ছোট গোল সার্কেল (. /০) চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এর অর্থ হলো কোন পোষাকের নির্দিষ্ট স্থনে পকেট বা লোগো বা পার্টিকুলার এমব্রয়ডারি বসানো হবে বোঝাতে এই সিম্বলগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
Basic Pattern Set:
বেসিক প্যাটার্ন সেট বলতে একটি প্যাটার্ন এর বা বডির যে নির্ধারিত ভাগ থাকে তাকে বেসিক সেট বলে।
1 Front Bodice Block Upper Torso
2 Back Bodice Block
3 Skirt Pattern Lower Torso
4 Sleeve Pattern
এই Terminology গুলো খুবই কমন আমাদের বডি শেপের ক্ষেত্রে আবার Pattern Making ক্ষেত্রেও।
Body Part:
আমরা যে মাপ অনুযায়ী প্যাটার্ন তৈরি করবো, সেই মাপ নিতে হলে বডির কোন অংশের কি নাম তা জানতে হবে।
Shoulder
Across Front/Back
Chest Measurement
Waist Line/Circumference
Measurement:
এবার আমরা Measurement সম্পর্কে জানবো। Measurementহঃ পেপার প্যাটার্ন মেকিং-এর ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। বডির এই মাপ নেয়ার পদ্ধতিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।
1. Vertical measurement
2. Horizenontal Measurement
3. Garth Circumference
1. Vertical measurement:
Vertical শব্দের অর্থ হলো ভ‚মি থেকে উপরের দিকে। প্যাটার্ন মেকিং এর ক্ষেত্রে পেপারের বা গার্মেন্ট এর লম্বাকে বোঝায়। এটা সব সময় বডির বা প্যাটার্নের লম্বা দিককে নির্দেশ করে।
2. Horizenontal Measurement:
এটি সব সময় বডির বা প্যাটার্নের কাঁধ, বুকের অংশ, কোমর ও হিপের মাপকে বোঝায়।
3. Garth Circumference:
এটি বুকের অংশ, কোমর ও হিপের পুরো মাপকে বোঝায়। যেমন: একটি ফিতা দিয়ে পুরো বডি ঘুরে মাপ দেয়াকে বোঝায়।
Ease:
আমরা যখন প্যাটার্ন তৈরি করবো তখন সেলাইয়ের জন্য সব সময় বাড়তি অংশ ধরে প্যাটার্ন তৈরি করতে হয় একে প্যাটার্ন মেকিং এর ক্ষেত্রে ঊধংব বলে। এর ফলে জামা পড়তে বা খুলতে সুবিধা হয়। বাড়তি কাপড় না রেখে প্যাটার্ন তৈরি করলে যখন সেটা কাপড়ে ফেলে কাটা হয় তখন সেই অনুপাতেই কাটা হয়। পরে সেলাই করতে গেলে তখন নির্ধারিত মাপ থেকে সেলাইয়ের জন্য কাপড় চলে যায়। ফলে পোষাকটি তখন সঠিক মাপ মতো হয় না, ছোট হয়ে যায়। তাই সঠিক সেপ ও আরামের কথা চিন্তা কওে বাড়তি অংশ ধরে নিতে হয়।
Dart: দুই ধরনে হয়।
১. Dart, ২. Fish Dart
Dart:
স্কার্ট বা ট্রাউজারের ক্ষেত্রে কোমরের ফিটিং এর জন্য এই ধরনের ডার্ট দেয়া হয়ে থাকে।
Fish Dart:
এই ডার্টটি দেখতে অনেকটা মাছের মতো বলে একে বলে। মেয়েদের জামাতে প্রোপার ফিটিং আনতে সামনে বা পেছনে এই ধরনে ডার্ট দিতে হয়।
এখানে ছবিতে Fish Dart দেখানো হলো।
Fabric Texturing:
ফ্যাশন ডিজাইনিং এর তৃতীয় ধাপ হলো Fabric Texturing। Texturing বলতে মূলত ডাইং, প্রিন্টিং এবং এমব্রয়ডারি ইত্যাদিকে বোঝায়। একজন ডিজাইনার স্কেচ করার সময় কল্পনা করেন ড্রেসটি কোন কালারের হবে। কোন কালার দিয়ে পেইন্ট বা বøক করা হবে।
কোন কালারের সুতা দিয়ে কাজ বা এমব্রয়ডারি করা হবে। কোন ফেব্রিকের উপর কোন রং ভালো লাগবে তা কিভাবে ডাইং করতে হবে এই সব কিছুই থাকে ঋধনৎরপ ঞবীঃঁৎরহম। এখানে ডাইং বলতে বিভিন্ন পদ্ধতিতে কাপড় রং করা। প্রিন্টিং হলো বিভিন্ন কেমিক্যালের মাধ্যমে কাপড়ে বিভিন্ন ডিজাইনের ছাপ দেয়া। এটা মেশিনের মাধ্যমেও দেয়া যায় আবার হাতের সাহাযেও দেয়া যায়। আর এমব্রয়ডারি হলো হাতে বা মেশিনের মাধ্যমে কাপড়ের উপর বিভিন্ন রংয়ের সুতা দিয়ে বা বিভিন্ন মেটেরিয়াল দিয়ে ডিজাইন করা। Fabric Texturing এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো Color Theory।
Color Theory:
Color Theory শুধু ফ্যাশন ডিজাইনিং এ ব্যবহার করা হয় না, এটা এক ধরনের আর্টও। কালার থিওরিতে রং চেনা মানে এই নয় যে আপনি রং পেন্সিল বা স্বেচ এর রং সম্পর্কে জানেন। কালার থিওরির মূল বিষয় হলো রং কত ধরণের, কোন রং এর সাথে কোন রং মেশালে কোন রং হয়, কোন রং কোন ড্রেসের সাথে মানায় কোন রং গরম বা ঠান্ডা অনুভব করায় ইত্যাদি। এই বিষয়গুলো অবশ্যই একজন ডিজাইনাকে জানতে হবে। কালার থিওরি সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের প্রথমে জানতে হবে Color Wheel সম্পর্কে। কালার হুইলকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।
১. Primary Color,
২. Secondary Color
Primary Color:
প্রাথমিক স্তরের রং হলো, যে রংগুলি অন্য রংয়ের মিশ্রন ছাড়া আমরা পেয়ে থাকি বা সাধারন চোখে প্রতক্ষ্য করি সেগুলোই হলো চৎরসধৎু ঈড়ষড়ৎ। এই স্তরে আছে লাল, নীল ও হলুদ রং।
Secondary Color:
প্রাইমারি কালার থেকে যে কোন দুটি কালার মেশালে আমরা পাই সেকেন্ডারি কালার। এখানে আমরা পাই বেগুনী, কমলা ও সবুজ। যেমন: নীল আর হলুদ মেশালে হয় সবুজ।
Tertiary Color:
এবার একটি প্রাইমারি কালার ও একটি সেকেন্ডারি কালার মেশালে আমরা পাই Tertiary Color, যেমন: লাল আর কমলা মেশালে পাই লালচে কমলা, হলুদ আর সবুজ মেশালে পাই হলদেটে সবুজ ইত্যাদি।
কালার হুইলকে আমরা আবার দুই ভাগে ভাগ করতে পারি। একটি ওয়ার্ম কালার এবং অন্যটি হচ্ছে কুল কালার।
ওয়ার্ম কালার এর মধ্যে আছে কমলা, বসন্তী, হলুদ। এই রংগুলো দেখলে আমাদের গরম অনুভ‚ত হয়। এর মধ্যে কমলাকে সবচেয়ে বেশি গরম রং বলে ধরা হয়। কুল কালার এর মধ্যে আছে সবুজ, নীল, আকাশী। এই রংগুলো দেখলে আমাদের ঠান্ডা অনুভ‚ত হয়। এর মধ্যে নীলকে সবচেয়ে বেশি শীতল রং বলে ধরা হয়।
এবার আমরা জানবো রংয়ের বিভিন্ন সংঙ্গা সম্পর্কে।
১. হিউ: যে কোন রংয়ের নিজস্ব উজ্জলতাকে হিউ বলে।
২. টিন্ট: যে কোন রংয়ের সাথে সাদা মেশালে যে রং পাওয়া যায় তাকে টিন্ট বলে। টিন্ট সব সময় অরজিনালার রং থেকে হালকা হয়ে থাকে।
৩. শেড: যে কোন রংয়ের সাথে কালো মেশালে যে রং পাওয়া যায় তাকে শেড বলে। শেড সব সময় অরজিনালার রং থেকে ডার্ক হয়ে থাকে।
৪. টোন: যে কোন রংয়ের সাথে ধুসর মেশালে যে রং পাওয়া যায় তাকে টোন বলে।
Cutting and Stitching:
প্যাটার্ন মেকিং এর শেষ দুটি ধাপ হলো Cutting and Stitching । পেপার প্যাটার্ন তৈরি করার পর সেটা মাপ অনুযায়ী কেটে নিতে হবে। তাহলে পেপার প্যাটার্ন তৈরি হয়ে যাবে। এই পেপার প্যাটার্ন অনুযায়ী কাপড় কাটাই হলো কাটিং সেকশনের কাজ। এর পরের ধাপ হলো স্টিচিং। আগের সব স্টেপ কমপ্লিট হবার পর সেলাই সেকশনের কাজ। সঠিক মাপ অনুযায়ী সেলাই হবার পর আমরা ফাইনাল গার্মেন্টটি দেখতে পাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন