টেক্সটাইল মিলের সেফটি রেকর্ড বুকের গুরুত্ব | Safety-Committee - Textile Lab | Textile Learning Blog
সেফটি রেকর্ড বুকঃ


Safety Record Book - সেফটি রেকর্ড বুক
ধারা ৯০ মোতাবেক অত্র প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত সেফটি রেকর্ড বুকে নিম্ন বর্ণিত তথ্য সমূহ লিপিবদ্ধ করা হইল-


(ক) বিপদ বা ঝুঁকির কারণ হইতে পারে প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান ও ব্যবহৃত এমন যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক দ্রব্যাদির তালিকা;
যন্ত্রপাতি বা মেশিন সমূহঃ
ওভারলক মেশিন,
সুইং মেশিন,
বারটেক মেশিন,
ওয়াশিং মেশিন,
আয়রন মেশিন,
জেনারেটর,
বয়লার।
ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যাদির নামঃ


ডিটারজেন্ট,
মেশিন ওয়েল,
ডিজেল।
(খ) ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যাদির বিষয়ে গৃহীত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা, শ্রমিকের স্বাস্থ্যে ইহার সম্ভাব্য প্রভাব ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা;


নামঃ ডিটারজেন্ট


ক্ষতিকারক বৈশিষ্ট্যঃ


দীর্ঘক্ষণ ধরে চামড়া এবং চোখের সংস্পর্শ ক্ষতিকর।
ব্যবহারকালে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থাঃ


দৈহিক/শারীরিক সতর্কতাঃ হাত মোজা, পোষাক, পা প্রতিরোধক সু / গাম বুট ব্যবহার করা।
চোখ/নাক প্রতিরোধঃ মুখাবরন (মুখোশ), চশমা ইত্যাদি ব্যবহার করা।
সংরক্ষনঃ ডিটারজেন্ট প্লাষ্টিক ড্রামে রাখুন। ড্রামের নিচে ট্রে/পাটাতন ব্যবহার করুন। ফ্লোরে ড্রাম রাখা নিষেধ। ব্যবহারের পূর্বে সতর্ক ও যত্নবান হউন। প্রতিদিন কর্মস্থল পরিস্কার রাখা।
তাৎক্ষনিক প্রাথমিক চিকিৎসাঃ


শরীরে লাগলে সাবান ও পানি দ্বারা ভালো করে ধৌত করুন এবং হাত পা ধৌত করার পূর্বে কিছু খাবেন না। চোখে পড়লে ঠান্ডা পানি দিয়ে বেশি সময় (১০/১৫ মিঃ) পর্যন্ত চোখ ধৌত করুন এবং প্রয়োজনে ডাক্তার দেখান।
নামঃ মেশিন ওয়েল


ক্ষতিকারক বৈশিষ্ট্যঃ ইহা শ্বাস গ্রহনে জ্বালাতন করে।কোন ভাবে চোখ ও ত্বকের সংম্পর্শে এলে ক্ষতি করে।
ব্যবহারকালে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থাঃ


দৈহিক/শারীরিক সতর্কতাঃ হাত মোজা, পোষাক, পা প্রতিরোধক সু / গাম বুট ব্যবহার করা।
চোখ/নাক প্রতিরোধঃ মুখাবরন (মুখোশ), চশমা ইত্যাদি ব্যবহার করা।
সংরক্ষনঃ মেশিন ওয়েল প্লাষ্টিক ড্রামে রাখুন। ড্রামের নিচে ওয়েল ট্রে/পাটাতন ব্যবহার করুন। ফ্লোরে ড্রাম রাখা নিষেধ। ব্যবহারের পূর্বে সতর্ক ও যত্নবান হউন। প্রতিদিন কর্মস্থল পরিস্কার রাখা।
তাৎক্ষনিক প্রাথমিক চিকিৎসাঃ


শরীরে তৈল পড়লে সাবান ও পানি দ্বারা ভালো করে ধৌত করুন এবং হাত পা ধৌত করার পূর্বে কিছু খাবেন না। তৈল চোখে পড়লে ঠান্ডা পানি দিয়ে বেশি সময় (১০/১৫ মিঃ) পর্যন্ত চোখ ধৌত করুন এবং সাথে সাথে ডাক্তার দেখান।
নামঃ ডিজেল


ক্ষতিকারক বৈশিষ্ট্যঃ ইহা শ্বাস গ্রহনে জ্বালাতন করে। কোন ভাবে চোখ ও ত্বকের সংম্পর্শে এলে ক্ষতি করে।


ব্যবহারকালে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থাঃ


দৈহিক/শারীরিক সতর্কতাঃ হাত মোজা, পোষাক, পা প্রতিরোধক সু / গাম বুট ব্যবহার করা।
চোখ/নাক প্রতিরোধঃ মুখাবরন (মুখোশ), চশমা ইত্যাদি ব্যবহার করা।
সংরক্ষনঃ নির্দিষ্ট ড্রামে রাখুন। ড্রামের নিচে ওয়েল ট্রে/পাটাতন ব্যবহার করুন। ফ্লোরে ড্রাম রাখা নিষেধ। ব্যবহারের পূর্বে সতর্ক ও যত্নবান হউন। প্রতিদিন কর্মস্থল পরিস্কার রাখা।
তাৎক্ষনিক প্রাথমিক চিকিৎসাঃ


শরীরে পড়লে সাবান ও পানি দ্বারা ভালো করে ধৌত করুন এবং হাত পা ধৌত করার পূর্বে কিছু খাবেন না। তৈল চোখে পড়লে ঠান্ডা পানি দিয়ে বেশি সময় (১০/১৫মিঃ) পর্যন্ত চোখ ধৌত করুন এবং সাথে সাথে ডাক্তার দেখান।
(গ) কোন শ্রমিককে কি ধরনের ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করিতে হয় তাহার বিবরণ;


ট্রিমিং /মেন্ডিংঃ


ট্রিমিং মেন্ডিং এ কর্মরত সকল শ্রমিকদের যে সমস্ত পিপিএ গুলো ব্যবহার করতে হবে সেগুলো নিম্নরুপ;


মাস্কঃ কাজ করার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, কারণ সুতা উইন্ডিং এর সময় সুতার সু² কনা আমাদের নাক ও মুখ দিয়ে প্রবেশ করতে পারে এবং নানা ধরনের রোগ হতে পারে ।
নিডেল বক্সঃ ট্রিমিং মেন্ডিং এ কর্মরত সকল কর্মীগন নির্দিষ্ট নিডেল বক্স ব্যবহার করবে যাতে নিডেল দিয়ে কোন প্রকার দূর্ঘটনা না ঘটে।
ওয়াশঃ


ওয়াশ এ কর্মরত সকল শ্রমিকদের যে সমস্ত পিপিএ গুলো ব্যবহার করতে হবে সেগুলো নিম্নরুপ;


মাস্কঃ কাজ করার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
হ্যান্ড গ্লোভসঃ যারা ওয়াস সেকশনে কাজ করেন তাদের হাতে পানি এবং ক্যামিকেল না লাগে সেজন্য তাদের হ্যান্ড গ্লোভস ব্যবহার করতে হবে। যারা স্পট ক্লিনিং এ কাজ করে স্পট রিমোভ করার সময় যাতে হাতের ক্ষতি না হয় সেজন্য হ্যান্ড গ্লোভস ব্যবহার করবেন।
গামবুটঃ ওয়াশ সেকশনে সকল আপারেটরগন গামবুট ব্যবহার করবেন।
গগলসঃ ওয়াশ কাজ করার সময় গগলস ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
সুইং/ওভারলক/বারটেকঃ


সুইং, ওভারলক ও বারটেক কর্মরত সকল শ্রমিকদের যে সমস্ত পিপিএ গুলো ব্যবহার করতে হবে সেগুলো নিম্নরুপ;


মাস্কঃ কাজ করার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
আই গার্ডঃ মেশিনে বসলে আই গার্ড নামিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ সুই ভেঙ্গে যেন তা চোঁখে লাগতে না পারে।
পুলি গার্ডঃ পুলি গার্ড ঠিক আছে কিনা বা পুলি গার্ড আদৌ আছে কিনা তা ভাল করে পরীক্ষা করে মেশিনে বসতে হবে নতুবা কাপড় পেঁচিয়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
নিডেল গার্ডঃ নিডল গার্ড না থাকলে সুচ ভেঙ্গে আঙ্গুলে ঢুকতে পারে। তাই নিডল গার্ড ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে।
রাবার ম্যাটঃ সুইং সেকশনের সকল মেশিনের সাথে রাবার ম্যাটথাকা জরুরি এতে বৈদ্যুতিক শক থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
জেনারেটর অপারেটরঃ


মেইনটেন্যান্স সেকশনে কর্মরত জেনারেটর অপারেটকে যে সমস্ত পিপিএ গুলো ব্যবহার করতে হবে সেগুলো নিম্নরুপ;


মাস্কঃ কাজ করার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।

এয়ারমাফঃ 
জেনারেটর রুমের শব্দের পরিমান অন্যান্য স্থানের তুলনায় অনেক বেশী। তাই জেনারেটর রুমে অবস্থানকালীন সময়ে অথবা কর্মকালীন সময়ে অবশ্যই এয়ারমাফ ব্যবহার করতে হবে।

বয়লার অপারেটরঃ
মেইনটেন্যান্স সেকশনে কর্মরত বয়লার অপারেটকে যে সমস্ত পিপিএ গুলো ব্যবহার করতে হবে সেগুলো নিম্নরুপ;


মাস্কঃ কাজ করার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।

এয়ারমাফঃ 
বয়লার রুমে শব্দের পরিমান অন্যান্য স্থানের তুলনায় অনেক বেশী। তাই বয়লার রুমে অবস্থানকালীন সময়ে অথবা কর্মকালীন সময়ে অবশ্যই এয়ারমাফ ব্যবহার করতে হবে।


এছাড়াও আয়রন, ফিনিশিং ও মেইনটেন্যান্স সেকশনের সকল শ্রমিকদের জন্য, রাবার ম্যাট, মাস্ক ও


প্রয়োজনীয় পিপিএ ব্যবহার করতে হবে। যাতে কোন প্রকার দূর্ঘটনা না ঘটে।


(ঘ) যন্ত্রপাতির পূর্ণাঙ্গ তালিকাঃ

সুইং মেশিন

ফ্লাটলক মেশিন

বারটেক মেশিন

ওভারলক মেশিন

বাটন হোল মেশিন

বাটন স্টিচ মেশিন

স্ন্যাপ বাটন মেশিন

অটো প্লাকেট মেশিন

লাইটচেক মেশিন

ওয়াশিং মেশিন

হাইড্রো মেশিন

ড্রায়ার মেশিন

আয়রন টেবিল

মেটাল ডিটেকটর

জেনারেটর

বয়লার


(ঙ) অগ্নি নির্বাপণ মহড়ার তারিখ ও অংশগ্রহণকৃত শ্রমিকের সংখ্যাঃ


(চ) অগ্নি নির্বাপন উপকরণসমূহের পুনঃভর্তিকরণের তারিখঃ


(ছ) বৈদ্যুতিক ওয়ারিং ও যন্ত্রপাতির পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্যঃ

বৈদ্যুতিক ওয়ারিং ও যন্ত্রপাতির পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মেইটেন্যান্স বিভাগে সংরক্ষিত। যা দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, ষন্মাসিক ও বাৎসরিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়ে থাকে।


(জ) সেইফটি কমিটির সদস্যদের তালিকা ও এতদ্সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের তারিখ ও প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীর সংখ্যাঃ


সেফটি কমিটির সদস্যদের তালিকাঃ



ঝ) সেইফটি সংক্রান্ত মালিক কর্তৃক গৃহীত অন্যান্য তথ্যঃ

(১) সেইফটি কমিটির কার্যপরিধি :

কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠান এবং উহাতে নিয়োজিত শ্রমিকসহ সকলের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে আইন ও প্রচলিত অন্যান্য বিধি-বিধানের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট মালিক বা কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা;

এই তফসিল অনুয়ায়ী প্রণীত চেক-লিস্ট অনুসারে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি বা ঘাটতিসমূহ চিহ্নিত করা এবং উহা দূরীকরণে মালিক বা কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা;

কর্মস্থল ও কর্মরত শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধানে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি পর্যালোচনা, মালিক বা কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ প্রদান এবং শ্রমিক-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণকে এতদবিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরা;

এই বিধিমালার ষষ্ঠ অধ্যায়ে বর্ণিত অগিড়বনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা দল গঠন এবং প্রশিক্ষণ ও মহড়া পরিচালনা করা;

আইনের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধান ও কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও মনিটর বা নিরীক্ষণ, রিপোর্ট সংরক্ষণ ও প্রয়োজনে সময়ে সময়ে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কর্তৃক পরিদর্শনের জন্য প্রস্তত রাখা;

ধারা ৩২৩ অনুযায়ী গঠিত ‘জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেইফটি কাউন্সিল’ কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা ও দিক-নির্দেশনার আলোকে যথাযথ ভূমিকা পালন ও নীতিমালা বাস্তবায়নে মালিক কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা;

পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে প্রাপ্ত প্রশিক্ষণের বাস্তবায়ন করা;

কোন শিল্প বিরোধ উত্থাপন না করা এবং শিল্প বিরোধ সংক্রান্ত কোন বিষয়ে পক্ষ না হওয়া।


(২) সেইফটি কমিটির কার্যাবলি ও দায়-দায়িত্ব:

কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠানে আইনের ষষ্ঠ অধ্যায়ে বর্ণিত নিরাপত্তা এবং সপ্তম অধ্যায়ে বর্ণিত নিরাপত্তা সম্পর্কে বিশেষ বিধান ও সংশ্লিষ্ট বিধিসমূহের যথাযথ প্রতিপালন নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে স্বীয় দায়িত্বের বর্ণনাসহ একটি গাইডলাইন বা নির্দেশনা বহি প্রস্তত করিবে;

দফা (ক) এর অধীন প্রণীত গাইড লাইনে নি¤ড়ববর্ণিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে, যথা:


1. প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনাঃ

ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ (যেমন-ভবনের অংশবিশেষ, সিঁড়ি, প্রাঙ্গণ, বৈদ্যুতিক লাইন, মেশিনপত্র, ইত্যাদি);

ঝুঁকির প্রকৃতি (যেমন-ফাটল, কর্মকালীন সময়ে তালাবদ্ধ গেইট, বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক সংযোগ, ইত্যাদি);

ঝুঁকির মাত্রা বা স্তর (যেমন-উচ্চ/মধ্যম/সাধারণ/সন্তোষজনক নয়);

আশু করণীয় নির্ধারণ (যেমন-ব্যবহার নিষিদ্ধ, তাৎক্ষণিকভাবে মেরামত-সংস্কার, বন্ধকরণ);

ঝুঁকির প্রকৃতি ও স্তরভেদে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পদ্ধতি নির্ধারণ; এবং
কারিগরি ও প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা নিরূপণ।


2. যন্ত্রপাতি ও কর্মপ্রক্রিয়া সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনাঃ

যন্ত্রপাতি স্থাপনা সংক্রান্ত দিকসমূহ পরীক্ষা;

যন্ত্রপাতি পরিচালনা পদ্ধতি যাচাই;

ত্রুটিপূর্ণ পরিচালনার ক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণ;

শ্রমিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী ও সুরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা; এবং
ত্রুটিপূর্ণ পরিচালনার দায়-দায়িত্ব নিরূপণ ও প্রস্তাবনা বা সুপারিশ।


3. বিপজ্জনক ধোঁয়া, বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থের ব্যবস্থাপনাঃ

বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থের প্রকৃতি নিরূপণ;

রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা;

ব্যবহারিক ও প্রক্রিয়াগত ত্রুটি নিরূপণ;

ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা;

পরিবেশগত ঝুঁকি বিবেচনা; এবং

নির্দেশনা ও পরামর্শ।


4. অগ্নিজনিত ব্যবস্থাপনাঃ

অগ্নিকান্ডের সম্ভাব্য উৎস নির্ণয়;

প্রতিরোধ ব্যবস্থা;

অগ্নি মোকবিলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের তালিকা প্রণয়ন ও দক্ষতার মান যাচাই;

জরুরি বহির্গমন ব্যবস্থাবলী পরীক্ষা ও বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরূপণ;

তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবন্ধকতা দূর করিবার ক্ষেত্রে গৃহিত পদক্ষেপ;

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামাদির মান পরীক্ষা;

প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা বা মহড়া; এবং

প্রস্তাব বা পরামর্শ।


5. দুর্ঘটনা বিষয়ক ব্যবস্থাপনাঃ

সামগ্রিক পরিবেশ ও প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য আপদকালীন অবস্থা পর্যালোচনা;

ব্যক্তি পর্যায়ের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা যাচাই বা বিবেচনা;

ব্যাপকহারে সম্ভাব্য দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে উদ্ধার তৎপরতার কর্মপরিকল্পনা;

দায়িত্ব বন্টন;

উদ্ধার কাজে প্রয়োজনীয় উপকরণ বা সরঞ্জামাদি সংরক্ষণ এবং তাৎক্ষণিকভাবে সংগ্রহের উপায় নিরূপণ;

বিভিন্ন সংস্থার সহিত যোগাযোগ ও সমন্বয় পরিকল্পনা;

সংঘটিত দুর্ঘটনার তদন্ত পরিচালনা ও কারণ নির্ণয়;

দায়-দায়িত্ব নিরূপণ;

পুন:দুূর্ঘটনারোধে প্রদেয় সুপারিশ ও নির্দেশনা; এবং

দুর্ঘটনা কবলিত শ্রমিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ প্রদান।

6. বিপজ্জনক চালনা, পেশাগত ব্যধি ও বিষক্রিয়াজনিত অসুস্থতার ব্যবস্থাপনাঃ

প্রতিষ্ঠানে বিধি ৬৮ এর অধীন তালিকাভুক্ত বিপজ্জনক চালনাযুক্ত পেশাসমূহ নির্ধারণ;

প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত তফসিলভুক্ত ও তালিকাভুক্ত রাসায়নিক পদার্থের তালিকা প্রণয়ন;

বিপজ্জনক পেশা ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে কর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা নিশ্চিতকরণ;

সংশ্লিষ্ট পেশায় নিয়োজিত শ্রমিকদের নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে চিকিৎসকদের সহিত মতবিনিময়;

সংশ্লিষ্ট পেশাসমূহে কর্মরত শ্রমিকদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থাপনার মূল্যায়ন; 

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সুপারিশ ও নির্দেশনা প্রদান।


(৩) সভা আয়োজনঃ

সেইফটি কমিটির সভা প্রতি তিন মাসে ন্যূনতম একবার অনুষ্ঠিত হইবে, তবে জরুরি প্রয়োজনে যে কোন সময়ে সভা আহবান করিতে পারিবে;

সভায় নিরাপত্তা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বা সার্ভে রিপোর্ট, নিরাপত্তা ও ঝুঁকি সম্পর্কিত পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন প্রতিবেদন, জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা এবং সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি, ইত্যাদিসহ প্রয়োজনীয় বিষয় আলোচনা করিতে হইবে;

সভার কার্যবিবরণী লিখিতভাবে সংরক্ষণ করিতে হইবে এবং প্রতিষ্ঠান বা কারখানা কর্তৃপক্ষ ও পরিদর্শকের চাহিদা অনুযায়ী উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুত রাখিতে হইবে।


(৪) অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত চেক লিস্ট, প্রতিবেদন ফরম প্রণয়ন:

পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা গাইডলাইন বা নির্দেশনা বহিতে নির্দেশিত বিষয়সমূহের বাস্ত বায়ন নিশ্চিত করিবার জন্য এবং কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন প্রক্রিয়া, ভৌত কাঠামো, কর্মের প্রকৃতি ও ধরন, মালামাল সংরক্ষণ ও পরিবহন, কাঁচামাল-কেমিকেলের ধরন ও ব্যবহার এবং সেবার ধরন অনুযায়ী শ্রমিকদের জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ঝুঁকিসমূহ চিহ্নিত করিবার লক্ষ্যে সেইফটি কমিটি চেক-লিস্ট প্রণয়ন করিবে;

সেইফটি কমিটি মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে মালিক বা ব্যবস্থাপক বরাবরে নির্ধারিত চেকলিস্ট ও ফরমে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করিবে: তবে শর্ত থাকে যে, কোন সময় কোনরূপ ত্রæটি-বিচ্যূতি বা আইন বা এই বিধিমালার কোন বিধানের লংঘন প্রতীয়মান হইলে, উহা সমাধানের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে মালিক বা কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আকারে সুপারিশ পেশ করিবে।


(৫) শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের আয়োজনঃ

কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকসহ সকল কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য সেইফটি কমিটি নিরাপত্তা ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করিবে;
প্রশিক্ষণে কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সকল বিভাগ, কর্মকর্তা ও শ্রমিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করিতে মালিক পক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে;

সব প্রশিক্ষণ ও রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হইবে এবং অফিসের কর্মসময়ের মধ্যে আয়োজন করিতে হইবে।


(৬) মহড়া আয়োজনঃ

ভুমিকম্প, অগ্নিকান্ড এবং অন্যান্য দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধ বিষয়ে সেইফটি কমিটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও মহড়ার আয়োজন করিবে।


(৭) তথ্য বা ডাটাবেজ সংরক্ষণঃ

সেইফটি কমিটি দেশের সেইফটি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহের সহিত দ্রæততম সময়ে যোগাযোগের সুবিধার্থে ফোন, ই-মেইল, ফ্যাক্স, বিস্তারিত ঠিকানা সম্বলিত তথ্য বা ডাটাবেজ সংরক্ষণ করিবে;

পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, বিল্ডিং কোড, বিদ্যুৎ, অগিড়বনির্বাপণ, পরিবেশ আইনসহ সেইফটি সংশ্লিষ্ট যাবতীয় আইন-কানুন ও বিধি-বিধান হালনাগাদ অবস্থায় সংরক্ষণ করিবে।


(৮) চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ আদায়ে সুপারিশ পেশঃ

আইনের দ্বাদশ অধ্যায়ে বর্ণিত দুর্ঘটনার কারণে চিকিৎসা পাইবার ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিষয়ে সমাধানের জন্য মালিক বা কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আকারে সুপারিশ পেশ করিতে পারিবেন।


(৯) নিরাপদ কর্মস্থল দিবস পালনঃ

জাতীয় বা আন্ত র্জাতিকভাবে ঘোষিত ‘নিরাপদ কর্মস্থল’ দিবস কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে বা এলাকাভিত্তিক কর্মসূচি পালন করিবার উদ্যোগ গ্রহণকরিবে।


(১০) জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেইফটি কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত নীতিমালাঃ

জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেইফটি কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত জাতীয় নীতিমালা এবং সময়ে সময়ে জারিকৃত গাইডলাইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ের সেইফটি কমিটি কাজ করিবে।



(১১) সেইফটি কমিটির এখতিয়ার, ইত্যাদিঃ

সেইফটি কমিটির এখতিয়ার হইবে নিম্নরুপ, যথা:


সংশ্লিষ্ট কারখানা বা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে পরিদর্শককর্তৃক প্রস্তুতকৃত পরিদর্শন প্রতিবেদনে কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের সেইফটি সংক্রান্ত বিষয়ে কোন মতামত থাকলে উক্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি প্রতিবেদন প্রস্তুতের একমাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং সেইফটি কমিটির নিকট প্রেরণ করিবে;

কোন বিশেষ প্রয়োজনে বা কোন জরুরি পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সভা ব্যতীত সেইফটি কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যগণ নিজেদের স্বাক্ষরে মালিকবা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নিকট যে কোন সময় বিশেষ প্রতিবেদন দাখিল করিতে পারিবে ;

সেইফটি কমিটির সুপারিশ মোতাবেক কোন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের মালিক বা কর্তৃপক্ষ সুপারিশ পাইবার পরবর্তী ৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে কোনরূপ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ না করিলে সেইফটি কমিটি মহাপরিদর্শক বা পরিদর্শকের নিকট লিখিত আকারে অনুযোগ পেশ করিতে পারিবেন এবং মহাপরিদর্শক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত পরিদর্শক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন;

সেইফটি কমিটি স্বাতন্ত্র্যবোধ বজায় রাখিয়া আইন ও এইবিধিমালা দ্বারা অর্পিত দায়িত্ব পালন করিবে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক বিভাগসমূহ সেইফটি কমিটিকে দায়িত্ব প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করিবে;

সেইফটি কমিটির সদস্যগণ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধ থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কারখানা বা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করিবেন;

সেইফটি কমিটির সদস্যদের অধীন গঠিত কমিটি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা বা প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য প্রতিষ্ঠান বা কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্মসময়ের মধ্যে যুক্তিসঙ্গত ও পর্যাপ্ত সময় প্রদান করিবে।



(১২) সেইফটি কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতি ও উহার বাস্তবায়নঃ

সেইফটি কমিটি কর্তৃক সেইফটি বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কমিটির সভায় সর্বসম্মত অথবা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে হইবে;

সেইফটি কমিটির সিদ্ধান্ত প্রতিপালন বা বাস্ত বায়ন করিবার জন্য মালিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন;

সেইফটি কমিটি কর্তৃক সরল বিশ্বাসে গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত বা সম্পাদিত কোন কাজের জন্য অথবা সভায় কোন বিষয়ে মত বা দ্বিমত পোষণের জন্য কমিটির কোন সদস্যকে ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ করা যাইবে না।



(১৩) সেইফটি কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণঃ

কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এবং কর্মপরিবেশ সম্পর্কিত বিষয়ে মালিক বা কর্তৃপক্ষ সেইফটি কমিটির সদস্যদের মালিকের খরচে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করিবেন;

এইরূপ প্রশিক্ষণ কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণে অথবা কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজন করা যাইবে;

প্রশিক্ষণ চলাকালীন সদস্যগণ কর্মরত ছিলেন বলিয়া গণ্য হইবেন;

সেইফটি কমিটির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্যদের মাধ্যমে যতদূর সম্ভব সকল শ্রমিককে নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত থাকিবার বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের আয়োজন করিতে হইবে।

পরিশেষঃ
উপরোক্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য সেফটি কমিটিকে পালন করতে হবে। প্রতি তিন মাসে একবার কমিটির সভা
অনুষ্ঠিত হবে।

টেক্সটাইল মিলের সেফটি রেকর্ড বুকের গুরুত্ব | Safety-Committee

সেফটি রেকর্ড বুকঃ


Safety Record Book - সেফটি রেকর্ড বুক
ধারা ৯০ মোতাবেক অত্র প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত সেফটি রেকর্ড বুকে নিম্ন বর্ণিত তথ্য সমূহ লিপিবদ্ধ করা হইল-


(ক) বিপদ বা ঝুঁকির কারণ হইতে পারে প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান ও ব্যবহৃত এমন যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিক দ্রব্যাদির তালিকা;
যন্ত্রপাতি বা মেশিন সমূহঃ
ওভারলক মেশিন,
সুইং মেশিন,
বারটেক মেশিন,
ওয়াশিং মেশিন,
আয়রন মেশিন,
জেনারেটর,
বয়লার।
ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যাদির নামঃ


ডিটারজেন্ট,
মেশিন ওয়েল,
ডিজেল।
(খ) ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যাদির বিষয়ে গৃহীত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা, শ্রমিকের স্বাস্থ্যে ইহার সম্ভাব্য প্রভাব ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা;


নামঃ ডিটারজেন্ট


ক্ষতিকারক বৈশিষ্ট্যঃ


দীর্ঘক্ষণ ধরে চামড়া এবং চোখের সংস্পর্শ ক্ষতিকর।
ব্যবহারকালে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থাঃ


দৈহিক/শারীরিক সতর্কতাঃ হাত মোজা, পোষাক, পা প্রতিরোধক সু / গাম বুট ব্যবহার করা।
চোখ/নাক প্রতিরোধঃ মুখাবরন (মুখোশ), চশমা ইত্যাদি ব্যবহার করা।
সংরক্ষনঃ ডিটারজেন্ট প্লাষ্টিক ড্রামে রাখুন। ড্রামের নিচে ট্রে/পাটাতন ব্যবহার করুন। ফ্লোরে ড্রাম রাখা নিষেধ। ব্যবহারের পূর্বে সতর্ক ও যত্নবান হউন। প্রতিদিন কর্মস্থল পরিস্কার রাখা।
তাৎক্ষনিক প্রাথমিক চিকিৎসাঃ


শরীরে লাগলে সাবান ও পানি দ্বারা ভালো করে ধৌত করুন এবং হাত পা ধৌত করার পূর্বে কিছু খাবেন না। চোখে পড়লে ঠান্ডা পানি দিয়ে বেশি সময় (১০/১৫ মিঃ) পর্যন্ত চোখ ধৌত করুন এবং প্রয়োজনে ডাক্তার দেখান।
নামঃ মেশিন ওয়েল


ক্ষতিকারক বৈশিষ্ট্যঃ ইহা শ্বাস গ্রহনে জ্বালাতন করে।কোন ভাবে চোখ ও ত্বকের সংম্পর্শে এলে ক্ষতি করে।
ব্যবহারকালে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থাঃ


দৈহিক/শারীরিক সতর্কতাঃ হাত মোজা, পোষাক, পা প্রতিরোধক সু / গাম বুট ব্যবহার করা।
চোখ/নাক প্রতিরোধঃ মুখাবরন (মুখোশ), চশমা ইত্যাদি ব্যবহার করা।
সংরক্ষনঃ মেশিন ওয়েল প্লাষ্টিক ড্রামে রাখুন। ড্রামের নিচে ওয়েল ট্রে/পাটাতন ব্যবহার করুন। ফ্লোরে ড্রাম রাখা নিষেধ। ব্যবহারের পূর্বে সতর্ক ও যত্নবান হউন। প্রতিদিন কর্মস্থল পরিস্কার রাখা।
তাৎক্ষনিক প্রাথমিক চিকিৎসাঃ


শরীরে তৈল পড়লে সাবান ও পানি দ্বারা ভালো করে ধৌত করুন এবং হাত পা ধৌত করার পূর্বে কিছু খাবেন না। তৈল চোখে পড়লে ঠান্ডা পানি দিয়ে বেশি সময় (১০/১৫ মিঃ) পর্যন্ত চোখ ধৌত করুন এবং সাথে সাথে ডাক্তার দেখান।
নামঃ ডিজেল


ক্ষতিকারক বৈশিষ্ট্যঃ ইহা শ্বাস গ্রহনে জ্বালাতন করে। কোন ভাবে চোখ ও ত্বকের সংম্পর্শে এলে ক্ষতি করে।


ব্যবহারকালে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থাঃ


দৈহিক/শারীরিক সতর্কতাঃ হাত মোজা, পোষাক, পা প্রতিরোধক সু / গাম বুট ব্যবহার করা।
চোখ/নাক প্রতিরোধঃ মুখাবরন (মুখোশ), চশমা ইত্যাদি ব্যবহার করা।
সংরক্ষনঃ নির্দিষ্ট ড্রামে রাখুন। ড্রামের নিচে ওয়েল ট্রে/পাটাতন ব্যবহার করুন। ফ্লোরে ড্রাম রাখা নিষেধ। ব্যবহারের পূর্বে সতর্ক ও যত্নবান হউন। প্রতিদিন কর্মস্থল পরিস্কার রাখা।
তাৎক্ষনিক প্রাথমিক চিকিৎসাঃ


শরীরে পড়লে সাবান ও পানি দ্বারা ভালো করে ধৌত করুন এবং হাত পা ধৌত করার পূর্বে কিছু খাবেন না। তৈল চোখে পড়লে ঠান্ডা পানি দিয়ে বেশি সময় (১০/১৫মিঃ) পর্যন্ত চোখ ধৌত করুন এবং সাথে সাথে ডাক্তার দেখান।
(গ) কোন শ্রমিককে কি ধরনের ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণ বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করিতে হয় তাহার বিবরণ;


ট্রিমিং /মেন্ডিংঃ


ট্রিমিং মেন্ডিং এ কর্মরত সকল শ্রমিকদের যে সমস্ত পিপিএ গুলো ব্যবহার করতে হবে সেগুলো নিম্নরুপ;


মাস্কঃ কাজ করার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, কারণ সুতা উইন্ডিং এর সময় সুতার সু² কনা আমাদের নাক ও মুখ দিয়ে প্রবেশ করতে পারে এবং নানা ধরনের রোগ হতে পারে ।
নিডেল বক্সঃ ট্রিমিং মেন্ডিং এ কর্মরত সকল কর্মীগন নির্দিষ্ট নিডেল বক্স ব্যবহার করবে যাতে নিডেল দিয়ে কোন প্রকার দূর্ঘটনা না ঘটে।
ওয়াশঃ


ওয়াশ এ কর্মরত সকল শ্রমিকদের যে সমস্ত পিপিএ গুলো ব্যবহার করতে হবে সেগুলো নিম্নরুপ;


মাস্কঃ কাজ করার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
হ্যান্ড গ্লোভসঃ যারা ওয়াস সেকশনে কাজ করেন তাদের হাতে পানি এবং ক্যামিকেল না লাগে সেজন্য তাদের হ্যান্ড গ্লোভস ব্যবহার করতে হবে। যারা স্পট ক্লিনিং এ কাজ করে স্পট রিমোভ করার সময় যাতে হাতের ক্ষতি না হয় সেজন্য হ্যান্ড গ্লোভস ব্যবহার করবেন।
গামবুটঃ ওয়াশ সেকশনে সকল আপারেটরগন গামবুট ব্যবহার করবেন।
গগলসঃ ওয়াশ কাজ করার সময় গগলস ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
সুইং/ওভারলক/বারটেকঃ


সুইং, ওভারলক ও বারটেক কর্মরত সকল শ্রমিকদের যে সমস্ত পিপিএ গুলো ব্যবহার করতে হবে সেগুলো নিম্নরুপ;


মাস্কঃ কাজ করার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
আই গার্ডঃ মেশিনে বসলে আই গার্ড নামিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ সুই ভেঙ্গে যেন তা চোঁখে লাগতে না পারে।
পুলি গার্ডঃ পুলি গার্ড ঠিক আছে কিনা বা পুলি গার্ড আদৌ আছে কিনা তা ভাল করে পরীক্ষা করে মেশিনে বসতে হবে নতুবা কাপড় পেঁচিয়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
নিডেল গার্ডঃ নিডল গার্ড না থাকলে সুচ ভেঙ্গে আঙ্গুলে ঢুকতে পারে। তাই নিডল গার্ড ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে।
রাবার ম্যাটঃ সুইং সেকশনের সকল মেশিনের সাথে রাবার ম্যাটথাকা জরুরি এতে বৈদ্যুতিক শক থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
জেনারেটর অপারেটরঃ


মেইনটেন্যান্স সেকশনে কর্মরত জেনারেটর অপারেটকে যে সমস্ত পিপিএ গুলো ব্যবহার করতে হবে সেগুলো নিম্নরুপ;


মাস্কঃ কাজ করার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।

এয়ারমাফঃ 
জেনারেটর রুমের শব্দের পরিমান অন্যান্য স্থানের তুলনায় অনেক বেশী। তাই জেনারেটর রুমে অবস্থানকালীন সময়ে অথবা কর্মকালীন সময়ে অবশ্যই এয়ারমাফ ব্যবহার করতে হবে।

বয়লার অপারেটরঃ
মেইনটেন্যান্স সেকশনে কর্মরত বয়লার অপারেটকে যে সমস্ত পিপিএ গুলো ব্যবহার করতে হবে সেগুলো নিম্নরুপ;


মাস্কঃ কাজ করার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।

এয়ারমাফঃ 
বয়লার রুমে শব্দের পরিমান অন্যান্য স্থানের তুলনায় অনেক বেশী। তাই বয়লার রুমে অবস্থানকালীন সময়ে অথবা কর্মকালীন সময়ে অবশ্যই এয়ারমাফ ব্যবহার করতে হবে।


এছাড়াও আয়রন, ফিনিশিং ও মেইনটেন্যান্স সেকশনের সকল শ্রমিকদের জন্য, রাবার ম্যাট, মাস্ক ও


প্রয়োজনীয় পিপিএ ব্যবহার করতে হবে। যাতে কোন প্রকার দূর্ঘটনা না ঘটে।


(ঘ) যন্ত্রপাতির পূর্ণাঙ্গ তালিকাঃ

সুইং মেশিন

ফ্লাটলক মেশিন

বারটেক মেশিন

ওভারলক মেশিন

বাটন হোল মেশিন

বাটন স্টিচ মেশিন

স্ন্যাপ বাটন মেশিন

অটো প্লাকেট মেশিন

লাইটচেক মেশিন

ওয়াশিং মেশিন

হাইড্রো মেশিন

ড্রায়ার মেশিন

আয়রন টেবিল

মেটাল ডিটেকটর

জেনারেটর

বয়লার


(ঙ) অগ্নি নির্বাপণ মহড়ার তারিখ ও অংশগ্রহণকৃত শ্রমিকের সংখ্যাঃ


(চ) অগ্নি নির্বাপন উপকরণসমূহের পুনঃভর্তিকরণের তারিখঃ


(ছ) বৈদ্যুতিক ওয়ারিং ও যন্ত্রপাতির পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্যঃ

বৈদ্যুতিক ওয়ারিং ও যন্ত্রপাতির পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মেইটেন্যান্স বিভাগে সংরক্ষিত। যা দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, ষন্মাসিক ও বাৎসরিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়ে থাকে।


(জ) সেইফটি কমিটির সদস্যদের তালিকা ও এতদ্সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের তারিখ ও প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীর সংখ্যাঃ


সেফটি কমিটির সদস্যদের তালিকাঃ



ঝ) সেইফটি সংক্রান্ত মালিক কর্তৃক গৃহীত অন্যান্য তথ্যঃ

(১) সেইফটি কমিটির কার্যপরিধি :

কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠান এবং উহাতে নিয়োজিত শ্রমিকসহ সকলের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে আইন ও প্রচলিত অন্যান্য বিধি-বিধানের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট মালিক বা কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা;

এই তফসিল অনুয়ায়ী প্রণীত চেক-লিস্ট অনুসারে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি বা ঘাটতিসমূহ চিহ্নিত করা এবং উহা দূরীকরণে মালিক বা কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা;

কর্মস্থল ও কর্মরত শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধানে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি পর্যালোচনা, মালিক বা কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ প্রদান এবং শ্রমিক-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণকে এতদবিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরা;

এই বিধিমালার ষষ্ঠ অধ্যায়ে বর্ণিত অগিড়বনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা দল গঠন এবং প্রশিক্ষণ ও মহড়া পরিচালনা করা;

আইনের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধান ও কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও মনিটর বা নিরীক্ষণ, রিপোর্ট সংরক্ষণ ও প্রয়োজনে সময়ে সময়ে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কর্তৃক পরিদর্শনের জন্য প্রস্তত রাখা;

ধারা ৩২৩ অনুযায়ী গঠিত ‘জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেইফটি কাউন্সিল’ কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা ও দিক-নির্দেশনার আলোকে যথাযথ ভূমিকা পালন ও নীতিমালা বাস্তবায়নে মালিক কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করা;

পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে প্রাপ্ত প্রশিক্ষণের বাস্তবায়ন করা;

কোন শিল্প বিরোধ উত্থাপন না করা এবং শিল্প বিরোধ সংক্রান্ত কোন বিষয়ে পক্ষ না হওয়া।


(২) সেইফটি কমিটির কার্যাবলি ও দায়-দায়িত্ব:

কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠানে আইনের ষষ্ঠ অধ্যায়ে বর্ণিত নিরাপত্তা এবং সপ্তম অধ্যায়ে বর্ণিত নিরাপত্তা সম্পর্কে বিশেষ বিধান ও সংশ্লিষ্ট বিধিসমূহের যথাযথ প্রতিপালন নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে স্বীয় দায়িত্বের বর্ণনাসহ একটি গাইডলাইন বা নির্দেশনা বহি প্রস্তত করিবে;

দফা (ক) এর অধীন প্রণীত গাইড লাইনে নি¤ড়ববর্ণিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে, যথা:


1. প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনাঃ

ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ (যেমন-ভবনের অংশবিশেষ, সিঁড়ি, প্রাঙ্গণ, বৈদ্যুতিক লাইন, মেশিনপত্র, ইত্যাদি);

ঝুঁকির প্রকৃতি (যেমন-ফাটল, কর্মকালীন সময়ে তালাবদ্ধ গেইট, বিপজ্জনক বৈদ্যুতিক সংযোগ, ইত্যাদি);

ঝুঁকির মাত্রা বা স্তর (যেমন-উচ্চ/মধ্যম/সাধারণ/সন্তোষজনক নয়);

আশু করণীয় নির্ধারণ (যেমন-ব্যবহার নিষিদ্ধ, তাৎক্ষণিকভাবে মেরামত-সংস্কার, বন্ধকরণ);

ঝুঁকির প্রকৃতি ও স্তরভেদে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পদ্ধতি নির্ধারণ; এবং
কারিগরি ও প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা নিরূপণ।


2. যন্ত্রপাতি ও কর্মপ্রক্রিয়া সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনাঃ

যন্ত্রপাতি স্থাপনা সংক্রান্ত দিকসমূহ পরীক্ষা;

যন্ত্রপাতি পরিচালনা পদ্ধতি যাচাই;

ত্রুটিপূর্ণ পরিচালনার ক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণ;

শ্রমিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী ও সুরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা; এবং
ত্রুটিপূর্ণ পরিচালনার দায়-দায়িত্ব নিরূপণ ও প্রস্তাবনা বা সুপারিশ।


3. বিপজ্জনক ধোঁয়া, বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থের ব্যবস্থাপনাঃ

বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থের প্রকৃতি নিরূপণ;

রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা;

ব্যবহারিক ও প্রক্রিয়াগত ত্রুটি নিরূপণ;

ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা;

পরিবেশগত ঝুঁকি বিবেচনা; এবং

নির্দেশনা ও পরামর্শ।


4. অগ্নিজনিত ব্যবস্থাপনাঃ

অগ্নিকান্ডের সম্ভাব্য উৎস নির্ণয়;

প্রতিরোধ ব্যবস্থা;

অগ্নি মোকবিলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের তালিকা প্রণয়ন ও দক্ষতার মান যাচাই;

জরুরি বহির্গমন ব্যবস্থাবলী পরীক্ষা ও বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরূপণ;

তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবন্ধকতা দূর করিবার ক্ষেত্রে গৃহিত পদক্ষেপ;

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামাদির মান পরীক্ষা;

প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা বা মহড়া; এবং

প্রস্তাব বা পরামর্শ।


5. দুর্ঘটনা বিষয়ক ব্যবস্থাপনাঃ

সামগ্রিক পরিবেশ ও প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য আপদকালীন অবস্থা পর্যালোচনা;

ব্যক্তি পর্যায়ের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা যাচাই বা বিবেচনা;

ব্যাপকহারে সম্ভাব্য দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে উদ্ধার তৎপরতার কর্মপরিকল্পনা;

দায়িত্ব বন্টন;

উদ্ধার কাজে প্রয়োজনীয় উপকরণ বা সরঞ্জামাদি সংরক্ষণ এবং তাৎক্ষণিকভাবে সংগ্রহের উপায় নিরূপণ;

বিভিন্ন সংস্থার সহিত যোগাযোগ ও সমন্বয় পরিকল্পনা;

সংঘটিত দুর্ঘটনার তদন্ত পরিচালনা ও কারণ নির্ণয়;

দায়-দায়িত্ব নিরূপণ;

পুন:দুূর্ঘটনারোধে প্রদেয় সুপারিশ ও নির্দেশনা; এবং

দুর্ঘটনা কবলিত শ্রমিকদের চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ প্রদান।

6. বিপজ্জনক চালনা, পেশাগত ব্যধি ও বিষক্রিয়াজনিত অসুস্থতার ব্যবস্থাপনাঃ

প্রতিষ্ঠানে বিধি ৬৮ এর অধীন তালিকাভুক্ত বিপজ্জনক চালনাযুক্ত পেশাসমূহ নির্ধারণ;

প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত তফসিলভুক্ত ও তালিকাভুক্ত রাসায়নিক পদার্থের তালিকা প্রণয়ন;

বিপজ্জনক পেশা ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে কর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা নিশ্চিতকরণ;

সংশ্লিষ্ট পেশায় নিয়োজিত শ্রমিকদের নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত শারীরিক অসুস্থতার বিষয়ে চিকিৎসকদের সহিত মতবিনিময়;

সংশ্লিষ্ট পেশাসমূহে কর্মরত শ্রমিকদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থাপনার মূল্যায়ন; 

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সুপারিশ ও নির্দেশনা প্রদান।


(৩) সভা আয়োজনঃ

সেইফটি কমিটির সভা প্রতি তিন মাসে ন্যূনতম একবার অনুষ্ঠিত হইবে, তবে জরুরি প্রয়োজনে যে কোন সময়ে সভা আহবান করিতে পারিবে;

সভায় নিরাপত্তা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বা সার্ভে রিপোর্ট, নিরাপত্তা ও ঝুঁকি সম্পর্কিত পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন প্রতিবেদন, জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা এবং সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি, ইত্যাদিসহ প্রয়োজনীয় বিষয় আলোচনা করিতে হইবে;

সভার কার্যবিবরণী লিখিতভাবে সংরক্ষণ করিতে হইবে এবং প্রতিষ্ঠান বা কারখানা কর্তৃপক্ষ ও পরিদর্শকের চাহিদা অনুযায়ী উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুত রাখিতে হইবে।


(৪) অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত চেক লিস্ট, প্রতিবেদন ফরম প্রণয়ন:

পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা গাইডলাইন বা নির্দেশনা বহিতে নির্দেশিত বিষয়সমূহের বাস্ত বায়ন নিশ্চিত করিবার জন্য এবং কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন প্রক্রিয়া, ভৌত কাঠামো, কর্মের প্রকৃতি ও ধরন, মালামাল সংরক্ষণ ও পরিবহন, কাঁচামাল-কেমিকেলের ধরন ও ব্যবহার এবং সেবার ধরন অনুযায়ী শ্রমিকদের জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ঝুঁকিসমূহ চিহ্নিত করিবার লক্ষ্যে সেইফটি কমিটি চেক-লিস্ট প্রণয়ন করিবে;

সেইফটি কমিটি মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে মালিক বা ব্যবস্থাপক বরাবরে নির্ধারিত চেকলিস্ট ও ফরমে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করিবে: তবে শর্ত থাকে যে, কোন সময় কোনরূপ ত্রæটি-বিচ্যূতি বা আইন বা এই বিধিমালার কোন বিধানের লংঘন প্রতীয়মান হইলে, উহা সমাধানের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে মালিক বা কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আকারে সুপারিশ পেশ করিবে।


(৫) শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের আয়োজনঃ

কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকসহ সকল কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য সেইফটি কমিটি নিরাপত্তা ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করিবে;
প্রশিক্ষণে কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সকল বিভাগ, কর্মকর্তা ও শ্রমিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করিতে মালিক পক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে;

সব প্রশিক্ষণ ও রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হইবে এবং অফিসের কর্মসময়ের মধ্যে আয়োজন করিতে হইবে।


(৬) মহড়া আয়োজনঃ

ভুমিকম্প, অগ্নিকান্ড এবং অন্যান্য দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধ বিষয়ে সেইফটি কমিটি নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও মহড়ার আয়োজন করিবে।


(৭) তথ্য বা ডাটাবেজ সংরক্ষণঃ

সেইফটি কমিটি দেশের সেইফটি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহের সহিত দ্রæততম সময়ে যোগাযোগের সুবিধার্থে ফোন, ই-মেইল, ফ্যাক্স, বিস্তারিত ঠিকানা সম্বলিত তথ্য বা ডাটাবেজ সংরক্ষণ করিবে;

পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, বিল্ডিং কোড, বিদ্যুৎ, অগিড়বনির্বাপণ, পরিবেশ আইনসহ সেইফটি সংশ্লিষ্ট যাবতীয় আইন-কানুন ও বিধি-বিধান হালনাগাদ অবস্থায় সংরক্ষণ করিবে।


(৮) চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ আদায়ে সুপারিশ পেশঃ

আইনের দ্বাদশ অধ্যায়ে বর্ণিত দুর্ঘটনার কারণে চিকিৎসা পাইবার ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিষয়ে সমাধানের জন্য মালিক বা কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আকারে সুপারিশ পেশ করিতে পারিবেন।


(৯) নিরাপদ কর্মস্থল দিবস পালনঃ

জাতীয় বা আন্ত র্জাতিকভাবে ঘোষিত ‘নিরাপদ কর্মস্থল’ দিবস কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে বা এলাকাভিত্তিক কর্মসূচি পালন করিবার উদ্যোগ গ্রহণকরিবে।


(১০) জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেইফটি কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত নীতিমালাঃ

জাতীয় শিল্প, স্বাস্থ্য ও সেইফটি কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত জাতীয় নীতিমালা এবং সময়ে সময়ে জারিকৃত গাইডলাইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ের সেইফটি কমিটি কাজ করিবে।



(১১) সেইফটি কমিটির এখতিয়ার, ইত্যাদিঃ

সেইফটি কমিটির এখতিয়ার হইবে নিম্নরুপ, যথা:


সংশ্লিষ্ট কারখানা বা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে পরিদর্শককর্তৃক প্রস্তুতকৃত পরিদর্শন প্রতিবেদনে কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের সেইফটি সংক্রান্ত বিষয়ে কোন মতামত থাকলে উক্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি প্রতিবেদন প্রস্তুতের একমাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং সেইফটি কমিটির নিকট প্রেরণ করিবে;

কোন বিশেষ প্রয়োজনে বা কোন জরুরি পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সভা ব্যতীত সেইফটি কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যগণ নিজেদের স্বাক্ষরে মালিকবা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নিকট যে কোন সময় বিশেষ প্রতিবেদন দাখিল করিতে পারিবে ;

সেইফটি কমিটির সুপারিশ মোতাবেক কোন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের মালিক বা কর্তৃপক্ষ সুপারিশ পাইবার পরবর্তী ৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে কোনরূপ উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ না করিলে সেইফটি কমিটি মহাপরিদর্শক বা পরিদর্শকের নিকট লিখিত আকারে অনুযোগ পেশ করিতে পারিবেন এবং মহাপরিদর্শক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত পরিদর্শক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন;

সেইফটি কমিটি স্বাতন্ত্র্যবোধ বজায় রাখিয়া আইন ও এইবিধিমালা দ্বারা অর্পিত দায়িত্ব পালন করিবে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক বিভাগসমূহ সেইফটি কমিটিকে দায়িত্ব প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করিবে;

সেইফটি কমিটির সদস্যগণ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধ থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কারখানা বা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং মালিক বা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করিবেন;

সেইফটি কমিটির সদস্যদের অধীন গঠিত কমিটি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা বা প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য প্রতিষ্ঠান বা কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্মসময়ের মধ্যে যুক্তিসঙ্গত ও পর্যাপ্ত সময় প্রদান করিবে।



(১২) সেইফটি কমিটির সিদ্ধান্ত গ্রহণ পদ্ধতি ও উহার বাস্তবায়নঃ

সেইফটি কমিটি কর্তৃক সেইফটি বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কমিটির সভায় সর্বসম্মত অথবা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে হইবে;

সেইফটি কমিটির সিদ্ধান্ত প্রতিপালন বা বাস্ত বায়ন করিবার জন্য মালিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন;

সেইফটি কমিটি কর্তৃক সরল বিশ্বাসে গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত বা সম্পাদিত কোন কাজের জন্য অথবা সভায় কোন বিষয়ে মত বা দ্বিমত পোষণের জন্য কমিটির কোন সদস্যকে ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ করা যাইবে না।



(১৩) সেইফটি কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণঃ

কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এবং কর্মপরিবেশ সম্পর্কিত বিষয়ে মালিক বা কর্তৃপক্ষ সেইফটি কমিটির সদস্যদের মালিকের খরচে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করিবেন;

এইরূপ প্রশিক্ষণ কারখানা বা শিল্প-প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণে অথবা কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজন করা যাইবে;

প্রশিক্ষণ চলাকালীন সদস্যগণ কর্মরত ছিলেন বলিয়া গণ্য হইবেন;

সেইফটি কমিটির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্যদের মাধ্যমে যতদূর সম্ভব সকল শ্রমিককে নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত থাকিবার বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের আয়োজন করিতে হইবে।

পরিশেষঃ
উপরোক্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য সেফটি কমিটিকে পালন করতে হবে। প্রতি তিন মাসে একবার কমিটির সভা
অনুষ্ঠিত হবে।

কোন মন্তব্য নেই: