বিনা-অনুমতিতে অনুপস্থিতি ! লেবার ল কি বলে - Textile Lab | Textile Learning Blog
বিনা-অনুমতিতে অনুপস্থিতি:

আমরা প্রায়শঃ 

দেখি শ্রমিক বা কর্মচারীরা কর্মস্থলে বিনা-অনুমতিতে অনুপস্থিত থেকে থাকেন। অনেক সময় অনুমোদিত ছুটি শেষে তা ঘটে। অনেকে সময় এমন হয় আগের দিন অফিসে এসেছেন, পরের দিন থেকে আসেননি।

এই ক্ষেত্রে কর্মীর জন্য অপশন হ'ল অবিলম্বে তাঁর অনুপস্থিতির বিষয়টি তাঁর সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে জানানো। সম্ভব মতো মেসেস, ই-মেইল কিংবা চিঠি লিখে। এবং যখনই অফিসে আসবেন তখন লিখিতভাবে আবেদন দাখিল করেবেন; দাখিল করার প্রমাণ রেখে। এইক্ষেত্রে তিনি তাঁর পরিস্থিতিমতো চিকিৎসা ছুটি, নৈমিত্তিক ছুটি কিংবা অর্জিত ছুটির জন্য দরখাস্ত করতে পারেন। প্রয়োজনে বিনা-বেতনে (মজুরীতে) ছুটি চাইতে পারেন। কর্তৃপক্ষ কি করবেন সেটি তাঁদের বিবেচ্য।  

কর্তৃপক্ষ যেখানে ভুল করেনঃ

দেখা যায় কর্মস্থলে বিনা-অনুমদিত অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনেক সময় ভুল করেন। তাঁরা উক্ত অনুপস্থিতিকে একই সঙ্গে বিনা-বেতনে ছুটি হিসাবে গণ্য করে সংশ্লিষ্ট অনুপস্থিতির দিনগুলোর জন্য মজুরী কর্তন করেন। আবার একই সঙ্গে উক্ত অনুপস্থিতিকে অসদাচরণ হিসাবে বিবেচনা করে বিভাগীয় তদন্তে যান। যা আইনিভাবে ভুল। একই বিষয়ে (অপরাধে) দ্বৈত শাস্তি হতে পারেনা। যা আমাদের সংবিধানে নিষিদ্ধ।

এর মানে হ'ল বিনা-অনুমতিতে অনুপস্থিতিকে "বিনা-বেতনে ছুটি" বলে বিবেচনা করলে তাকে একইসঙ্গে অসদাচরণ বলে গণ্য করার কোন সুযোগ নেই। 

আর অনুনোমোদিত অনুপস্থিতির জন্য শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট দিনের জন্য প্রাপ্য মূল-মজুরী কর্তন করা যাবে। মোট মজুরী নয়।    

আরেকটি বিষয় উল্লেখ্য, 

কোন শ্রমিক বিনা-অনুমতিতে ১০ দিনের বেশী অনুপস্থিত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬- এর ২৭(৩ক) ধারার বিধান মতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাতে পারে। আর তা অবিলম্বে করা উচিত। শ্রমিক নয় এমন কর্মচারীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিয়োগপত্রের শর্ত কিংবা প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস রুলস অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।


ড. উত্তম কুমার দাস, এডভোকেট, 
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।

বিনা-অনুমতিতে অনুপস্থিতি ! লেবার ল কি বলে

বিনা-অনুমতিতে অনুপস্থিতি:

আমরা প্রায়শঃ 

দেখি শ্রমিক বা কর্মচারীরা কর্মস্থলে বিনা-অনুমতিতে অনুপস্থিত থেকে থাকেন। অনেক সময় অনুমোদিত ছুটি শেষে তা ঘটে। অনেকে সময় এমন হয় আগের দিন অফিসে এসেছেন, পরের দিন থেকে আসেননি।

এই ক্ষেত্রে কর্মীর জন্য অপশন হ'ল অবিলম্বে তাঁর অনুপস্থিতির বিষয়টি তাঁর সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে জানানো। সম্ভব মতো মেসেস, ই-মেইল কিংবা চিঠি লিখে। এবং যখনই অফিসে আসবেন তখন লিখিতভাবে আবেদন দাখিল করেবেন; দাখিল করার প্রমাণ রেখে। এইক্ষেত্রে তিনি তাঁর পরিস্থিতিমতো চিকিৎসা ছুটি, নৈমিত্তিক ছুটি কিংবা অর্জিত ছুটির জন্য দরখাস্ত করতে পারেন। প্রয়োজনে বিনা-বেতনে (মজুরীতে) ছুটি চাইতে পারেন। কর্তৃপক্ষ কি করবেন সেটি তাঁদের বিবেচ্য।  

কর্তৃপক্ষ যেখানে ভুল করেনঃ

দেখা যায় কর্মস্থলে বিনা-অনুমদিত অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনেক সময় ভুল করেন। তাঁরা উক্ত অনুপস্থিতিকে একই সঙ্গে বিনা-বেতনে ছুটি হিসাবে গণ্য করে সংশ্লিষ্ট অনুপস্থিতির দিনগুলোর জন্য মজুরী কর্তন করেন। আবার একই সঙ্গে উক্ত অনুপস্থিতিকে অসদাচরণ হিসাবে বিবেচনা করে বিভাগীয় তদন্তে যান। যা আইনিভাবে ভুল। একই বিষয়ে (অপরাধে) দ্বৈত শাস্তি হতে পারেনা। যা আমাদের সংবিধানে নিষিদ্ধ।

এর মানে হ'ল বিনা-অনুমতিতে অনুপস্থিতিকে "বিনা-বেতনে ছুটি" বলে বিবেচনা করলে তাকে একইসঙ্গে অসদাচরণ বলে গণ্য করার কোন সুযোগ নেই। 

আর অনুনোমোদিত অনুপস্থিতির জন্য শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট দিনের জন্য প্রাপ্য মূল-মজুরী কর্তন করা যাবে। মোট মজুরী নয়।    

আরেকটি বিষয় উল্লেখ্য, 

কোন শ্রমিক বিনা-অনুমতিতে ১০ দিনের বেশী অনুপস্থিত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬- এর ২৭(৩ক) ধারার বিধান মতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাতে পারে। আর তা অবিলম্বে করা উচিত। শ্রমিক নয় এমন কর্মচারীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিয়োগপত্রের শর্ত কিংবা প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস রুলস অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।


ড. উত্তম কুমার দাস, এডভোকেট, 
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।

কোন মন্তব্য নেই: