ফেক্টরি পরিচিতি - স্নোটেক্স গ্রুপ | SNOWTEX GROUP | SaRa - Textile Lab | Textile Learning Blog
স্নোটেক্স গ্রুপ 
সঠিক সময়ে তৈরি পোশাক সরবরাহ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। সর্বোচ্চ গুণগত মান নিশ্চিত করার পরই পণ্য রফতানি করে। মানবসম্পদ, যন্ত্রাংশ ও কাঁচামালÑএ তিন বিষয়ের গুণগত মানে কোনো ছাড় দেওয়া হয় না এখানে। প্রতিষ্ঠানটির সব কারখানায় ইউরোপ ও আমেরিকার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। টেকসই ও সুন্দর তাদের সব পণ্য। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই এ মান বজায় রেখে চলেছে স্নোটেক্স।

১৯৯৮ সালে বায়িং হাউজ হিসেবে যাত্রা করে স্নোটেক্স। প্রতিষ্ঠাতা এসএম খালেদ। তার কর্মদক্ষতা, অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের ফসল এ প্রতিষ্ঠান। তিনি বরাবরই সময়ের সঙ্গে এগিয়ে থাকার চেষ্টা করেন। এ চেষ্টা তাকে সফল করে তুলেছে। পরিণত হয়েছেন সফল উদ্যোক্তায়। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন স্নোটেক্স অ্যাপারেলস লি.। ২০১১ সালে কাট এন সিউ নামে আরও একটি কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালে।

সুদক্ষ ও অভিজ্ঞকর্মীদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে স্নোটেক্সের জনবল। প্রতিষ্ঠাতা এসএম খালেদ তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার ও প্রশিক্ষিত জনবলসহ পরিবেশবান্ধব প্রতিষ্ঠান গড়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে এখানে ৯ হাজারের বেশি কর্মী কর্মরত।

কর্মীবান্ধব হিসেবে সুনাম রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। সম্পূর্ণ ধূমপানমুক্ত এ প্রতিষ্ঠান। কর্মস্থলে দুর্ঘটনা এড়াতে বিশ্বমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ঝুঁকি এড়াতে নানা নিয়ম মেনে চলেন তারা। প্রতিষ্ঠানটিতে মেডিক্যাল কেয়ার সেন্টার রয়েছে। সেখানে ইন-হাউস ডাক্তার রয়েছেন। রয়েছে ডে কেয়ার সেন্টার। শিশুদের যথাযথ যতœ ও সেবা প্রদান করা হয় এ সেন্টারে। ব্রেস্ট ফিডিংয়ের জন্য রয়েছে আলাদা কক্ষ। সব কারখানায় কর্মীদের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে ভাতা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। স্নোটেক্স সব সময় এর কর্মীদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে তৎপর। বেতনভাতা প্রদানে কখনও বিলম্ব হয় না। শুধু তা-ই নয়, অ্যাটেন্ডেন্স বোনাসও চালু রয়েছে এখানে। প্রডাকশন ইনসেনটিভ বোনাস দেয় তারা। সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় কর্মীদের দিনটি। কর্মীদের দক্ষ করে তুলতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে কর্তৃপক্ষ। এমনকি খেলাধুলারও আয়োজন করে থাকে। এখানে আরামপ্রদ ও নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করা হয়েছে। স্নোটেক্সে সমঅধিকারের ওপর গুরুত্ব
সেরা ব্যবসায় উদ্যোক্তা হয় ‘স্নোটেক্স গ্রুপ’

 আন্তর্জাতিক লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ এ ‘বছরের সেরা ব্যবসায় উদ্যোক্তা’ শ্রেণিতে পুরস্কার পেয়েছে রপ্তানিমুখি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান ‘স্নোটেক্স গ্রূপ’।

করোনাকালীন সময়ে এবার ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।



ভার্চ্যুয়াল এই কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ডিএইচএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়ারুল হক, ডেইল স্টারের প্রকাশক এবং সম্পাদক মাহফুজ আনামসহ প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেপালের বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী, সিজি ক্রপ গ্লোবালের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার চৌধুরী।
 
স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে আমরা ব্যবসা করে আসছি যেখানে আমরা আমাদের কমিটমেন্ট এবং সততাকে সব সময় বজায় রেখেছি। আমরা আমাদের বায়ারদের সঙ্গে কমিটমেন্ট রক্ষা করেছি শুরু থেকেই।

এছাড়াও প্রতি সেক্টরে আমরা আমাদের সততা এবং কমিটমেন্টকে প্রাধাণ্য দিয়েছি। সর্বোচ্চ কোয়ালিটি বজায় রেখেই আমাদের প্রডাক্ট ডেলিভারি দিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও আমরা আমাদেরকে একইভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
 

‘স্নোটেক্স’ ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে।  ২০০৫ সালে নিজেদের প্রথম কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে স্নোটেক্স অ্যাপারেলস। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’, ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার’ এবং ২০১৯ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। আজকের ‘স্নোটেক্স’ হয়ে উঠেছে চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান রূপে। ‘‘সারা’’ তাদের বাংলাদেশের প্রথম লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড। স্নোটেক্স আউটারওয়্যার গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে ইউএসজিবিসির লিড গোল্ড সার্টিফিকেটে। এছাড়াও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে “হেলথ অ্যান্ড সেফটি” অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে স্নোটেক্স। প্রতিষ্ঠানটি এখন ১৬ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান করে যাচ্ছে।  

দেওয়া হয়। সঙ্গত কারণে কর্মপরিবেশ নিয়ে কর্মীরা সন্তুষ্ট।

পরিবেশবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবেও সুনাম রয়েছে স্নোটেক্সের। ন্যায্য বাণিজ্য প্রচলন ও পরিচ্ছন্ন প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবস্থা প্রণয়নে বেশ আন্তরিক সংশ্লিষ্টরা। সুপরিকল্পিতভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সব কারখানা। বৃষ্টি ও ভূগর্ভস্থ পানি সংরক্ষণ এবং রিসাইক্লিং সুবিধা রয়েছে এখানে। সব কারখানায় ক্লোরোফ্লোরো কার্বনমুক্ত শীতলীকরণ ব্যবস্থা, এলইডি লাইটিং সিস্টেম, কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য এনার্জি প্লান্ট ও সৌরশক্তি কাজে লাগাচ্ছে স্নোটেক্স।

সব ধরনের ডাউন ও প্যাডেড জ্যাকেট তৈরি করে স্নোটেক্স। নানা ধরনের ক্যাজুয়াল ও ফরমাল পোশাকের পাশাপাশি এখানে খেলাধুলার পরিধেয় প্রস্তুত করা হয়। তাছাড়া সব ধরনের জ্যাকেট তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের কারখানাগুলোয় চার হাজার ৬০০ মেশিন রয়েছে। বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ১২ কোটি ডলার (১২০ মিলিয়ন ডলার।)

সঙ্গত কারণে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ওভেন গার্মেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে স্নোটেক্স। শতভাগ রফতানিমুখী গার্মেন্ট এটি। বিশ্বের নামকরা ও বৃহৎ ফ্যাশন ব্র্যান্ড তাদের ক্রেতা। সুনামের সঙ্গে বিশ্বের নানা দেশে চাহিদামতো পণ্য সরবরাহ করছে তারা। তবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জাপান ও রাশিয়ায় রফতানির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। 

বায়ারঃ 

প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বার্নি অ্যাপারেল, অ্যালফাব্রোডার, হ্যাগার ক্লদিং, ভিএফ, কলম্বিয়া স্পোর্টসওয়্যার, কানাডার রিচলু, কানাডা স্পোর্টসওয়্যার, ফ্রান্সের ক্যামাই ইউ, ডিক্যাথলন, ইংল্যান্ডের মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার, ডেভেনহ্যামস, বেলজিয়ামের সিঅ্যান্ডএ, স্পেনের ম্যাঙ্গো, ডেনমার্কের বেস্টসেলার প্রভৃতি।

নানা অর্জন ও পুরস্কারে পূর্ণ তাদের ঝুলি। র‌্যাপ, বিএসসিআই, সেডেক্স, সি-টিপ্যাট, অ্যালায়েন্স, অ্যাকর্ড ও জিএসভি সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান স্নোটেক্স। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এক নাগারে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ব্র্যান্ড বার্নের ‘ফ্যাক্টরি অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়। সাউথইস্ট ব্যাংক, দি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস ও পলিসি রিসার্চ প্রবর্তিত ‘গ্রিন অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে এ প্রতিষ্ঠান। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালফাব্রোডার ‘মোস্ট ইম্প্রুভড’ ক্যাটাগরিতে স্নোটেক্স আউটারওয়্যারকে পুরস্কৃত করে।

সেরা ব্যবসায় উদ্যোক্তা হয় ‘স্নোটেক্স গ্রুপ’

 আন্তর্জাতিক লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ এ ‘বছরের সেরা ব্যবসায় উদ্যোক্তা’ শ্রেণিতে পুরস্কার পেয়েছে রপ্তানিমুখি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান ‘স্নোটেক্স গ্রূপ’।

করোনাকালীন সময়ে এবার ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

ভার্চ্যুয়াল এই কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ডিএইচএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়ারুল হক, ডেইল স্টারের প্রকাশক এবং সম্পাদক মাহফুজ আনামসহ প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেপালের বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী, সিজি ক্রপ গ্লোবালের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার চৌধুরী।

স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে আমরা ব্যবসা করে আসছি যেখানে আমরা আমাদের কমিটমেন্ট এবং সততাকে সব সময় বজায় রেখেছি। আমরা আমাদের বায়ারদের সঙ্গে কমিটমেন্ট রক্ষা করেছি শুরু থেকেই।

এছাড়াও প্রতি সেক্টরে আমরা আমাদের সততা এবং কমিটমেন্টকে প্রাধাণ্য দিয়েছি। সর্বোচ্চ কোয়ালিটি বজায় রেখেই আমাদের প্রডাক্ট ডেলিভারি দিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও আমরা আমাদেরকে একইভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

‘স্নোটেক্স’ ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে।  ২০০৫ সালে নিজেদের প্রথম কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে স্নোটেক্স অ্যাপারেলস। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’, ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার’ এবং ২০১৯ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। আজকের ‘স্নোটেক্স’ হয়ে উঠেছে চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান রূপে। ‘‘সারা’’ তাদের বাংলাদেশের প্রথম লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড। স্নোটেক্স আউটারওয়্যার গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে ইউএসজিবিসির লিড গোল্ড সার্টিফিকেটে। এছাড়াও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে “হেলথ অ্যান্ড সেফটি” অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে স্নোটেক্স। প্রতিষ্ঠানটি এখন ১৬ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান করে যাচ্ছে।  




সেরা ব্যবসায় উদ্যোক্তা হয় ‘স্নোটেক্স গ্রুপ’

 আন্তর্জাতিক লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ এ ‘বছরের সেরা ব্যবসায় উদ্যোক্তা’ শ্রেণিতে পুরস্কার পেয়েছে রপ্তানিমুখি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান ‘স্নোটেক্স গ্রূপ’।

করোনাকালীন সময়ে এবার ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।


ভার্চ্যুয়াল এই কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ডিএইচএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়ারুল হক, ডেইল স্টারের প্রকাশক এবং সম্পাদক মাহফুজ আনামসহ প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেপালের বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী, সিজি ক্রপ গ্লোবালের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার চৌধুরী।
 

স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে আমরা ব্যবসা করে আসছি যেখানে আমরা আমাদের কমিটমেন্ট এবং সততাকে সব সময় বজায় রেখেছি। আমরা আমাদের বায়ারদের সঙ্গে কমিটমেন্ট রক্ষা করেছি শুরু থেকেই।

এছাড়াও প্রতি সেক্টরে আমরা আমাদের সততা এবং কমিটমেন্টকে প্রাধাণ্য দিয়েছি। সর্বোচ্চ কোয়ালিটি বজায় রেখেই আমাদের প্রডাক্ট ডেলিভারি দিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও আমরা আমাদেরকে একইভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
 

‘স্নোটেক্স’ ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে।  ২০০৫ সালে নিজেদের প্রথম কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে স্নোটেক্স অ্যাপারেলস। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’, ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার’ এবং ২০১৯ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। আজকের ‘স্নোটেক্স’ হয়ে উঠেছে চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান রূপে। ‘‘সারা’’ তাদের বাংলাদেশের প্রথম লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড। স্নোটেক্স আউটারওয়্যার গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে ইউএসজিবিসির লিড গোল্ড সার্টিফিকেটে। এছাড়াও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে “হেলথ অ্যান্ড সেফটি” অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে স্নোটেক্স। প্রতিষ্ঠানটি এখন ১৬ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান করে যাচ্ছে।  

স্নোটেক্স ও সারা প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যাচ্ছে বিনামূল্যে খাবার ও ঘুমের সময়

 দেশের ফ্যাশন সচেতন মানুষদের বর্তমানে পছন্দের নাম ‘সারা লাইফস্টাইল’। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা চিন্তা করে ‘স্নোটেক্স গ্রুপ’ নিয়ে এসেছে তাদের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান। কম দামে ভালো মূল্যে বিভিন্ন ধরনের পোশাক দিচ্ছে সারা। দেশিয়-আন্তর্জাতিকের মিশেলে স্বল্প মূল্যে ফ্যাশন হাউজটি থেকে নিজেদের পছন্দের পোশাক কিনছেন সব বয়সের মানুষ।

সম্প্রতি সারা লাইফস্টাইল ও তাদের প্রধান কোম্পানি স্নোটেক্স গ্রুপের কার্যালয় ও ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করতে যাই। মিরপুর ডিওএইচএসে প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধান কার্যালয়। সারা’র কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানালেন প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান ও সহকারী ব্যবস্থাপক শেখ রাহাত অয়ন। তিনি জানালেন, সারার মূল লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের মুখে হাসি ফোটানো। কম মূল্যে ভালো মানের পণ্য গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়াসহ একটা আস্থার জায়গা তৈরি করা। বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশি পণ্যগুলোও সমাজের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে দিতে চান তারা।

স্নোটেক্স ও সারা লাইফস্টাইলের এমডি এমসএম খালেদ (বাঁয়ে), উপর থেকে- সারা লাইফস্টাইলের এমডি শরীফুন্নেসা, স্নোটেক্সের পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেইন, সারার সহকারী পরিচালক মো. মতিউর রহমান। নিচ থেকে- সারার সহকারী ব্যবস্থাপক প্রিয়ম ইবনে আমিন, প্রধান ফ্যাশন ডিজাইনার সিলভিয়া স্বর্ণা ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান শেখ রাহাত অয়ন

সারার কার্যালয়ের প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শরীফুন্নেসা একজন নারী উদ্যোগতাও। তিনি সারা ও স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম খালেদের স্ত্রী। নিজ কর্মে সফল এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘সমাজের সকল শ্রেণির মানুষ যাতে আমাদের পণ্য কিনতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি। একজন নারী যখন মা হন, সন্তানের খেয়াল যেভাবে রাখেন- ঠিক সেভাবেই সারাকে বড় করছি আমরা। সারার পোশাকের মান নিয়ে আমরা কোনো ছাড় রাখতে চাই না। গাছ বড় করতে যেমন মাটি, পানি, সার দরকার হয়, ক্রেতারাও আমাদের কাছে তা-ই। গ্রাহকরা খুশি হলে আমরা আরও বড় হতে পারবো। আর দামের ক্ষেত্রে- সবার আগে আমাদের চিন্তা আসে সমাজের শ্রেণিগুলো। কারণ, পোশাকগুলো তো তাদের জন্যই।’



সারার সহকারী পরিচালক (অপারেশন) মো. মতিউর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তার টিমের সকলেই তরূণ ও উদ্যমী। ২০১৮ সাল থেকে তাদের সঙ্গে নিয়েই কাজ করছে সারা। তারাই নিজ নিজ কর্মদক্ষতায় সারাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। মতিউর বলেন,‘আমরা যতদূর এখন পর্যন্ত আসতে পেরেছি, এতে সন্তুষ্ট। আমরা ভালো করছি, ভবিষ্যতে আরও ভালো করবো।’

সারার বিজনেস পলিসি সম্পর্কে জানতে চাইলে মতিউর বলেন, ‘আমরা সবসময় মার্কেট অ্যানালাইজ করি। এতে গ্রাহকদের ভালো সাড়া পাচ্ছি। বন্ধুত্বপূর্ণভাবে মার্চেন্ডাইজার ও ডিজাইনার টিম মিলে কাজ করছি। আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো ভালো মানের পণ্য ক্রেতাদের হাতে পৌঁছানো। তা ছাড়া নতুন কোম্পানির অনেক চ্যালেঞ্জ, তবে সেগুলো বড় কোনো বাধা নয়। সবাই মিলেই আমরা বাধাগুলো ওভারকাম করছি।’

সারার সহকারী ব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রিয়ম ইবনে আমিন। বর্তমান বাজার নিয়ে কাজ তরুণ এই কর্মকর্তার। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের যে অভিজ্ঞতা আছে সে অনুযায়ী টিম মেম্বারদের নিয়ে আমরা সারা ফ্যাশনকে এগিয়ে নিতে পারবো। এখন বাজারে সবকিছু উন্মুক্ত। কোনো কিছুই লুকিয়ে রাখা যায় না। আমরা কোথা থেকে ফেব্রিক্স কিনছি, কোন দেশ থেকে আনছি, সবাই জানে। আমরা সবসময় চাই বাজেটের মধ্যে ক্রেতারা যেন আমাদের পণ্য কিনতে পারেন। সারা ক্রেতাদের কাছ থেকে স্বল্প লাভ করতে চায়। অন্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় আমরা কম লাভে আমাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করছি।’

সারার প্রধান ফ্যাশন ডিজাইনার ও বিভাগীয় সহকারী ব্যবস্থাপক সিলভিয়া স্বর্ণা বলেন, ‘ট্রেন্ড অনুযায়ী পোশাকগুলো আমরা বাজারে ছাড়ার চেষ্টা করছি। আন্তর্জাতিক ফ্যাশন হাউজগুলো যে ধরনের পোশাকগুলো তৈরি করছে আমারও সেগুলোকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। বিশ্বমানের ও দক্ষিণ এশিয়ার পোশাকের ডিজাইন অনুযায়ী আমাদের পোশাক তৈরি করা হয়। ক্রেতারা কোন ট্রেন্ডের পোশাক চাইছেন এগুলো মাথায় রেখে বিভিন্ন ডিজাইন, রং, প্যাটেন্ট অ্যানালাইজ করে কাজ করছি।’


স্বর্ণা আরও বলেন, ‘সিজন অ্যানালাইজ করে সামার, স্প্রিং, উইন্টারের ক্রেতারা কী চাচ্ছে তা ধারণা নিয়ে কাজ করছি। সিজনের পাশাপাশি অকেশন নিয়েও কাজ করছি। অকেশন অনুসারে ক্রেতাদের পোশাক দেওয়ার চেষ্টা করি। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোকে সামনে রেখেই ফিউশন করে পোশাকগুলো তৈরি করা হয়।’

প্রতিষ্ঠানটির ই-কমার্স প্রধান অসীম সাহা। রাজধানীসহ প্রায় সারা দেশের মানুষ ঝুঁকে পড়ছেন ই-কমার্স সাইটগুলোতে। চ্যালেঞ্জও অনেক বেশি। তারা কীভাবে সবার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছেন, জানতে চাইলে অসীম বলেন, তাদের চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়। তারা কিছু ক্যাম্পেইন করেন। অনলাইনে পণ্য কিনতে ছাড় না দিলেও গ্রাহকের ঠিকানায় বিনামূল্যে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে সারা। বৈশ্বিক ই-কমার্স সাইট আমাজনের সঙ্গেও তারা কাজ করছেন।


সারার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে গেলাম ধামরাইয়ের লাকুরিয়াপাড়ার ধুলাভিটায় অবস্থিত স্নোটেক্স গ্রুপের ফ্যাক্টরিতে। মূল সড়ক থেকে স্নোটেক্স ফ্যাক্টরিটি দেখা যায়। আমাকে অভ্যর্থনা জানালেন স্নোটেক্সের সহকারী ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. জয়দুল হোসেন। জানা গেল, কর্মীদের উন্নয়ন, কাজের উন্নয়ন নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন কর্মশালা করে থাকে। সারা ও স্নোটেক্সের কর্মীদের জন্য রয়েছে দুপুরে ফ্রি খাবার। মাসের শেষ কর্ম দিবসে বেতন ও ওভারটাইম ভাতা, সেরা লাইন পুরষ্কার, সাপ্তাহিক বোনাস, প্রভিডেন্ট ফান্ড, খেলাধুলার জন্য আলাদা সময়, হাজিরা বোনাস, লিফটসহ নানা সুবিধা। সবচেয়ে বড় কথা হলো প্রতিবন্ধীদের জন্য সবুজ কর্ম পরিবেশ তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ফ্যাক্টরির সাততলায় স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম খালেদের কার্যালয়। জানালেন কীভাবে তিনি ব্যবসায় এলেন। কীভাবে স্নোটেক্স ও সারাকে তৈরি করলেন। জানালেন তার নানা অর্জনের কথা। তার পরিচালনায় স্নোটেক্স ২০১১-১২ সালে সারা বাংলাদেশে বেস্ট ফ্যাক্টরি অব দ্য ইয়ার অর্জন করে। এ ছাড়া অর্জনের তালিকায় রয়েছে বেস্ট গ্রিন ফ্যাক্টরি সার্টিফিকেট, গোল্ড সার্টিফিকেট ফর কমপ্লায়েন্স। সম্প্রতি কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে পেয়েছেন সেডেক্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯।


২০০৫ সালে এস এম খালেদ প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন মিরপুরের ‘স্নোটেক্স অ্যাপিয়ারেলস’ লিমিটেড। এরপর মালিবাগে ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’। সেখান থেকে ২০১৪ সালে চলে আসেন ধামরাইয়ের ধুলিভিটার লাকুরিয়া পাড়ায়। নিজ অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা করেন ‘স্নোটেক্স আউটার অয়্যার’ লিমিটেড কোম্পানি। নির্মানাধীণ আছে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টস অয়্যার’ লিমিডেট কোম্পানির ভবন।

তার সান্নিধ্যে এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করছেন ১১ হাজার কর্মী। খালেদ জানালেন, স্পোর্টস অয়্যার নির্মাণ হয়ে গেলে কর্মী সংখ্যা ১৮ হাজারে উন্নীত হবে তাদের। স্নোটেক্স আউটার অয়্যারে তারা তৈরি করছেন ওয়ার্ক অয়্যার, সেফটি অয়্যার, ফ্যাশন অয়্যার, স্পোর্টস অয়্যার ও বটম অয়্যার।

একটা সময় সংগঠনমনা ছিলেন এস এম খালেদ। কিন্তু আজ তিনি ব্যবসায়ী। সততা, নিষ্ঠা ও পাকা কথার অধিকারী এই ব্যক্তি গত ১৯ বছরে নিজের জীবনের সবটুকু দিয়ে স্বপগুলোতে বাস্তবে রুপ দিয়েছেন। স্নোটেক্স গ্রুপের প্রথম তিনটি গার্মেন্টস মিলিয়ে ১০৬টি লাইন আছে। নতুন গার্মেন্টসটি তৈরি হলে সেটি গিয়ে দাঁড়াবে ১৮৫তে। ব্যবসায় হবে প্রায় ২৫০ মিলিয়নের।

খালেদ বলেন, ‘এই সফর সফল হয়েছে আমার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যারা কাজ করেছেন। আমার কর্মীরাও এই সফলতার পেছনে কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। আমার দুটি প্রতিষ্ঠানই কর্মীবান্ধব। তাদের সুবিধা না দিলে তো প্রতিষ্ঠান চলবে না। এখানে যা কিছু দেখতে পাছেন সবকিছুই আমার কর্মীদের মেহনতের ফসল। স্নোটেক্স ও সারা দুটিই আমার দুই সন্তানের মতো। আমি চাই দেশ-বিদেশের মানুষ আমার এই সন্তান দুটিকে ভালোবাসুক।’

স্নোটেক্সের অপর পরিচালক (অপারেশন) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেইন বলেন, ‘২০ বছর ধরে আমরা গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করছি, স্নোটেক্স আউটারঅয়্যারে আমাদের অনেক কিছুই ডেভেলপ করা আছে। সেখান থেকেই চিন্তা করলাম আমাদের সোর্সিং, ডিজাইন, ফ্রেব্রিকগুলো ব্যবহার করে নতুন কিছু করা যায় কি না। আমাদের যারা অভিজ্ঞ কর্মকর্তা-কর্মীরা আছেন তাদের সমন্বয়ে কিছু করা। সেখান থেকেই আসলে সারাকে প্রতিষ্ঠা করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে আমরা এই প্রতিষ্ঠানটিকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। এর পর অন্যান্য বড় প্রতিষ্ঠানের মতো বিশ্ব বাজারেও সারাকে ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড় করানোর পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে সারা বিশ্ব বাজারেও ভালো ব্যবসা করবে।’

ক্রেতা সাধারণের জন্য তার বার্তা- ‘যেহেতু সারা বাংলাদেশের ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছে, আপনাদের কথা মাথায় রেখেই। দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা চিন্তা করেই সারা কাজ করবে। আমরা অর্থের চেয়ে আতিথেয়তায় বিশ্বাসী। এও বিশ্বাস করি ক্রেতা সাধারণ আমাদের পাশে থাকবেন।’

দুপুরের খাবারের সময় দেখা গেল কর্মীরা লাইন বেধে ডাইনিং রুমে যাচ্ছেন। ডাইনিংয়ে একই সময় প্রায় ১৫০০শ কর্মী এক সঙ্গে বসে খেতে পারেন। খাবারের সময় এখানে কর্মকর্তা-কর্মীতে নেই কোনো ভেদাভেদ। কর্মীরা যে খাবার খান, কর্মকর্তা-মালিকও সেই খাবার খাচ্ছেন।

খাবারের পর কর্মীদের রয়েছে ৪০ মিনিট ঘুমের সময়। এ সময় পুরো প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। বন্ধ হয়ে যায় লাইনগুলোও। ঠিক ৪০ মিনিট পর আবার কাজ শুরু হয়।

ফ্যাক্টরির ভেতর রয়েছে বিশাল বাগান। ৬০ বিঘা জমির অংশের দুই বিঘায় সবজির চাষ হয়। বাগানের মাঝে রয়েছে ছোট ফাঁকা মাঠ। ছোট প্রজাতির গুল্ম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন প্রাণির অবয়ব। বাগানের মাঝে গড়া হয়েছে একটি ঘর যাকে বলা হয় ‘গ্রিন হাউস’। ঘরটি আদতে একটি ট্রেনিং সেন্টার। কর্মীদের বিভিন্নরকম ট্রেনিং দেওয়া হয় এখানে। ফায়ার ডিফেন্স, নিরাপত্তাজনিত বা চিকিৎসাজনিত ট্রেনিং দেওয়া হয় কর্মীদের। এ ঘরটিতে বিদেশি মেহমানদের সঙ্গেও বিভিন্নরকম মিটিং করা হয়ে থাকে।

এই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের খাবারের মেন্যুতে থাকে সবজি, মুরগি, ডিম, মসলা, দুধ, মাংস। এগুলো বিভিন্ন সার্টিফায়েড ফিড মিল থেকে সংগ্রহ করা হয়। রান্নার জন্য রয়েছে আলাদা বিল্ডিং। প্রায় ২০ টি বড় চুলায় রান্না হয়। তাদের নিজস্ব মাইক্রো বায়োলজিস্ট রাকিবুর রহমান প্রতিনিয়ত খাদ্যপণ্যগুলো পরীক্ষা নিরিক্ষা করেন। প্রতিটি খাবার লেভেলিং করা থাকে। লেভেল নম্বর অনুযায়ী পাত্র থেকে খাবার গুলো এখানে এনে পরীক্ষা করা হয়। সস-প্যানগুলোতে থাকে ট্র্যাকিং ডিভাইস।

একটি স্ট্রিপের মাধ্যমে পরীক্ষাটি করা হয়। যদি কোনো খাবারে কোনো কারণে বিক্রিয়া দেখায় দেয় সাদা স্ট্রিপটি নীল রঙ ধারণ করে ১৫ মিনিটের মধ্যে ফলাফল দিয়ে দিতে সক্ষম।


আগুন নির্বাপনেও সারা তথা স্নোটেক্সে রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ফায়ার সেফটির জন্য তাদের রিজার্ভে দুটি প্যানেল মিলিয়ে ১১ লাখ টন পানির মজুদ রয়েছে। একটি পুকুর রয়েছে, প্রয়োজনে যাতে সেখান থেকে পানি ব্যবহার করা যায়। পুকুরে দেশিয় মাছও চাষ করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের রুল ও ফায়ার সার্ভিসের সেফটি কোড অনুযায়ী যা যা রাখা প্রয়োজন প্রতিষ্ঠানটিতে সবই আছে। সেফটি প্যানেল-ফায়ার ডিটেকটর আছে, অ্যালার্মিং ব্যবস্থা আছে।

৬০ বিঘা জমিতে সারা বা স্নোটেক্সের আউটার অয়্যার ভবন দাঁড়িয়ে আছে সাড়ে চার লাখ স্কয়ার ফিটের উপর। স্পোর্টস ওয়্যার নির্মাণ হচ্ছে ৬ লাখ স্কয়ার ফিটের উপর। এ ছাড়া আছে কর্মীদের জন্য নিজস্ব হাসপাতাল, মাতৃসেবাকেন্দ্র, ডে কেয়ার, নিরাপত্তা কর্মীদের থাকার ঘর ও বিশাল পার্কিং।



বিশেষ সাক্ষাৎকারঃ

শূন্য থেকে এসে আস্তে আস্তে গড়ে তুলেছি স্নোটেক্স গ্রুপ: এস এম খালেদ

উত্তরায় নিজ আউটলেটে অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার সাথে কথা বলছেন স্নোটেক্স আউটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ।

হঠাৎ করেই গার্মেস ব্যবসায়ে আসা। কারণ ২০ বছর আগে আমাদের সেক্টর বলতে এই একটাকেই বুঝাত। এখন কিন্তু না। তখন আর তো কিছুই ছিল না, তাই আমাদের আসতেই হয়েছে। সংসার চালানোর তাগিদে এসেছি। একদম শূন্য থেকে এসে আস্তে আস্তে গড়ে তুলেছি স্নোটেক্স আউটওয়্যার লিমিটেডে। কথা গুলো বলছিলেন রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের সঙ্গে জড়িত স্নোটেক্স আউটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ। যিনি তৈরি পোশাকশিল্পে দুই যুগ ধরে কাজ করছেন। নিজস্ব ব্র্যান্ড হিসেবে ‘সারা’ লাইফস্টাইল লিমিটেডে যাত্রা শরু করেছে।

ব্র্যান্ড হিসেবে ‘সারা’র যাত্রা এবং এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন সারাদিন ডট কম-এর সঙ্গে। সেখানেই অকপটে নিজের উঠে আসার গল্পগুলো বলছিলেন।


খালেদ বলছিলেন, শুরুটা প্রায় এখন থেকে বিশ বছর আগে। ছোট সাপ্লাইয়ের ব্যবসা। তারপর ছোট বায়িং হাউস। এরপর ছোট একটা ফ্যাক্টরি ১২-১৩ বছর আগে। পর্যায়ক্রমে আরো একটা ফ্যাক্টরি। গত ৫-৬ বছর আগে মোটামুটি একটা ফ্যাক্টরি ধামরাইয়ে। এখন আমরা প্রায় ১১ হাজার ফ্যামিলি মেম্বার। আগামী বছর শেষে এটা প্রায় ১৮ হাজার হবে। এটা অব্যহত থাকবে।

গার্মেন্ট ব্যবসা ও সারা ব্র্যান্ড নিয়ে তরুণ এ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলছিলেন, আমরা গার্মেন্ট সেক্টরে দেখতে দেখতে ২০ বছর কাটালাম। এখন আমরা মাঝেমধ্যে প্রতিযোগিতায় পড়ি। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আমরা ডিফিকাল্ট সময়ের মধ্যে যাব। কারণ কোনো এক সময় আমেরিকাতে অনেক গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি ছিল। কানাডাতেও ছিল। এখন থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে কোরিয়াতেও ছিল। এগুলো এখন শিফট হয়ে চায়না থেকে বাংলাদেশে আসে। কোনো এক সময় হয়তো অন্য কোনো দেশে যাবে, কারণ আমাদের পার্সেজ পাওয়ার বাড়ছে সবার।



গার্মেটস সেক্টরকে একটা সেনসেটিভ সেক্টর জানিয়ে এস এম খালেদ বলেন, গার্মেন্ট বায়াররা যেখানে কম দাম পাওয়া যায় সেখানেই চলে যায়। আর ওই রকম থেকেই একটা ইকোনমি বড় হয়। ইকোনমিটা একটু বড় হলে যখন সবার সামর্থ্য হয় ইনভেস্টমেন্টটা তখন ডিফারেন্ট ক্যাটাগরিতে চলে যায়। আমাদেরটাও এক সময় যাবে। আমরা ২০ বছর ধরে যে সেক্টরটা শিখলাম, এটাকে আমরা কেন কন্টিনিউ করব না। শুধুমাত্র আমরা ব্র্যান্ডিংটা জানতাম না, সেটা যোগ করলাম। আমাদের এক্সপার্টদের আমরা কাজে লাগাব যাদের কারণে আমরা একটু বড় পর্যায়ে পৌঁছেছি। তাহলে আমরা সারাকেও একটা বড় পর্যায়ে নিতে পারব। সেই জন্যই আমরা ব্র্যান্ডিং করছি।

ঢাকায় সারার কয়টি শোরুম ও অনলাইন নিয়ে কী পরিকল্পনা রয়েছে এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, স্নোটেক্সের লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’র কাজ শুরু ২০১৮ সালের মে থেকে। ঢাকার মিরপুর ‘সারা’র প্রথম আউটলেট। এরপর চালু হয় বসুন্ধরা সিটিতে। তৃতীয় আউটলেটটি মোহাম্মদপুরে। চতুর্থটি সম্প্রতি উত্তরায় চালু হয়। এর পরেরটি শিগগিরই বারিধারায় উদ্বোধন হবে। শুধু তাই নয়, আমরা আগামী বছর আরো পাঁচটি শোরুম করব ঢাকাতে। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় শহর, জেলা শহর এবং বিদেশেও আউটলেট করার পরিকল্পনা রয়েছে। অফলাইনের পাশাপাশি আমাদের আমরা আমাদের ডিজাইনিং টিম, অনলাইন টিম, সফটওয়্যার টিমগুলো ডেভেলপ করছি। এখনো আমরা ব্র্যান্ডটা শিখছি, এটাকে যখন আমরা অর্গনাইজ করব তখন বিভাগীয় শহরে যাব। যখন আমরা আরেকটু অর্গানাইজড হব তখন আমরা বাংলাদেশের বাইরে যাব। সুতরাং এখন আমরা কাছাকাছি থেকে নিজেদের স্ট্রং করার চেষ্টা করছি।

অনলাইনে আমাদের খুব স্ট্রং একটা টিম কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এগুলোকে ঠিক করা আমরা কাজ করছি। আমরা অফলাইন এবং অনলাইন দুটোতেই প্রাধান্য দিয়েছি।

ডিজাইন নিয়ে আমরা পুরো ফ্যামিলির ডিজাইন নিয়ে কাজ করছি জনিয়ে খালেদ বলেন, কত কম দামে একটা ভালো কোয়ালিটি দেওয়া যায় সেই চেষ্টা করছি। মার্কেটের রিকোয়ারমেন্টের ওপর আমরা ডিজাইন করি। আমাদের খুব স্ট্রং একটা ডিজাইন টিম রয়েছে। দলে ১২ জন ফ্যাশন ডিজাইনার আছেন। মার্কেটের চাহিদা অনুযায়ী তারা ডিজাইন তৈরি করে যাচ্ছে।

ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, গত দেড় বছরে আমাদের পাঁচটা শো-রুম হয়েছে। নতুন বছর ২০২০-এ আমাদের টার্গেট আরো পাঁচটা করব। তারপর ধীরে ধীরে আরো বড় করব সেটাই আমাদের পরিকল্পনা। ‘সারা’কে বিশ্ববাজারে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।



ব্র্যান্ড হিসেবে ‘সারা’কে বিশ্ববাজারে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই

দেশের পোশাকশিল্পের নিজস্ব ব্র্যান্ড ‘সারা’ লাইফস্টাইল লিমিটেড। এটি রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের সঙ্গে জড়িত স্নোটেক্স আউটওয়্যার লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ‘সারা’ লাইফস্টাইল লিমিটেড ও স্নোটেক্স আউটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ। যিনি তৈরি পোশাকশিল্পে দুই যুগ ধরে কাজ করছেন। ব্র্যান্ড হিসেবে ‘সারা’র যাত্রা এবং এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা টাইমসের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আসাদুজ্জামান

✅ সারার মূল প্রতিষ্ঠান স্নোটেক্সের যাত্রা শুরু কীভাবে?

শুরুটা প্রায় এখন থেকে বিশ বছর আগে। ছোট সাপ্লাইয়ের ব্যবসা। তারপর ছোট বায়িং হাউস। এরপর ছোট একটা ফ্যাক্টরি ১২-১৩ বছর আগে। পর্যায়ক্রমে আরো একটা ফ্যাক্টরি। গত ৫-৬ বছর আগে মোটামুটি একটা ফ্যাক্টরি ধামরাইয়ে। এখন আমরা প্রায় ১১ হাজার ফ্যামিলি মেম্বার। আগামী বছর শেষে এটা প্রায় ১৮ হাজার হবে।

✅ গার্মেন্ট ব্যবসায় কেন আসলেন? হঠাৎ করেই আসা। ২০ বছর আগে আমাদের সেক্টর বলতে এই একটাকেই বুঝাত। আর তো কিছুই ছিল না, তাই আমাদের আসতেই হয়েছে। সংসার চালানোর তাগিদে এসেছি। একদম শূন্য থেকে এসে আস্তে আস্তে আমরা এই পর্যায়ে।


✅ আপনি গার্মেন্ট ব্যবসায় আছেন দীর্ঘদিন। সেখান থেকে ফ্যাশন হাউস সারা লাইফস্টাইলের শুরুটা কীভাবে হলো?

আমরা গার্মেন্ট সেক্টরে দেখতে দেখতে ২০ বছর কাটালাম। এখন আমরা মাঝেমধ্যে প্রতিযোগিতায় পড়ি। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আমরা ডিফিকাল্ট সময়ের মধ্যে যাব। কারণ কোনো এক সময় আমেরিকাতে অনেক গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি ছিল। কানাডাতেও ছিল। এখন থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে কোরিয়াতেও ছিল। এগুলো এখন শিফট হয়ে চায়না থেকে বাংলাদেশে আসে। কোনো এক সময় হয়তো অন্য কোনো দেশে যাবে, কারণ আমাদের পার্সেজ পাওয়ার বাড়ছে সবার। এটা একটা সেনসেটিভ সেক্টর, যেখানে কম দাম পাওয়া যায় সেখানেই চলে যায়। আর ওই রকম থেকেই একটা ইকোনমি বড় হয়। ইকোনমিটা একটু বড় হলে যখন সবার সামর্থ্য হয় ইনভেস্টমেন্টটা তখন ডিফারেন্ট ক্যাটাগরিতে চলে যায়। আমাদেরটাও এক সময় যাবে। আমরা ২০ বছর ধরে যে সেক্টরটা শিখলাম, এটাকে আমরা কেন কন্টিনিউ করব না। শুধুমাত্র আমরা ব্র্যান্ডিংটা জানতাম না, সেটা যোগ করলাম। আমাদের এক্সপার্টদের আমরা কাজে লাগাব যাদের কারণে আমরা একটু বড় পর্যায়ে পৌঁছেছি। তাহলে আমরা সারাকেও একটা বড় পর্যায়ে নিতে পারব। সেই জন্যই আমরা ব্র্যান্ডিং করছি।

✅ ঢাকায় সারার কয়টি শোরুম রয়েছে?

স্নোটেক্সের লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’র কাজ শুরু ২০১৮ সালের মে থেকে। ঢাকার মিরপুর ‘সারা’র প্রথম আউটলেট। এরপর চালু হয় বসুন্ধরা সিটিতে। তৃতীয় আউটলেটটি মোহাম্মদপুরে। চতুর্থটি সম্প্রতি উত্তরায় চালু হয়। এর পরেরটি শিগগিরই বারিধারায় উদ্বোধন হবে।



✅আগামীতে শোরুমের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে কি না?

আমরা আগামী বছর আরো পাঁচটি শোরুম করব ঢাকাতে। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় শহর, জেলা শহর এবং বিদেশেও আউটলেট করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সারাকে ব্র্যান্ড হিসেবে জনপ্রিয় করার প্রচেষ্টা সম্পর্কে বলুন। আমরা আমাদের ডিজাইনিং টিম, অনলাইন টিম, সফটওয়্যার টিমগুলো ডেভেলপ করছি। এখনো আমরা ব্র্যান্ডটা শিখছি, এটাকে যখন আমরা অর্গনাইজ করব তখন বিভাগীয় শহরে যাব। যখন আমরা আরেকটু অর্গানাইজড হব তখন আমরা বাংলাদেশের বাইরে যাব। সুতরাং এখন আমরা কাছাকাছি থেকে নিজেদের স্ট্রং করার চেষ্টা করছি।

অফলাইনের দিকে জোর দেবেন নাকি অনলাইনের দিকে? অনলাইনে আমাদের খুব স্ট্রং একটা টিম কাজ করছে। এগুলোকে ঠিক করতে আমরা কাজ করছি। আমরা অফলাইন এবং অনলাইন দুটোতেই প্রাধান্য দিয়েছি।

✅ পোশাকে বৈচিত্র্য আনতে কোন ধরনের ডিজাইন নিয়ে আপনারা কাজ করছেন?

আমরা পুরো ফ্যামিলির ডিজাইন নিয়ে কাজ করছি। কত কম দামে একটা ভালো কোয়ালিটি দেওয়া যায় সেই চেষ্টা করছি। মার্কেটের রিকোয়ারমেন্টের ওপর আমরা ডিজাইন করি। আমাদের খুব স্ট্রং একটা ডিজাইন টিম রয়েছে। দলে ১২ জন ফ্যাশন ডিজাইনার আছেন। মার্কেটের চাহিদা অনুযায়ী তারা ডিজাইন তৈরি করে যাচ্ছে।

✅ পোশাকের মান ধরে রাখতে কী করছেন?

গত ২০ বছরে আমরা এটাই শিখে আসছি। ইন্টারন্যাশনাল কাস্টমারদের আমরা কম দামে কোয়ালিটি জিনিস দেওয়ার চেষ্টা করছি।

✅আগামীর পরিকল্পনা কী আপনাদের?

গত দেড় বছরে আমাদের পাঁচটা শো-রুম হয়েছে। আগামী বছর আরো পাঁচটা করব। তারপর ধীরে ধীরে আরো বড় করব সেটাই আমাদের পরিকল্পনা। ‘সারা’কে বিশ্ববাজারে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

Contact info
Address: SNOWTEX (Corporate Office), Avenue#02, Road#13, House#1322,
Mirpur DOHS, Dhaka-1216, Bangladesh.
Mobile: 
01819871680,
01777335242
 Email: info@snowtex.org




ফেক্টরি পরিচিতি - স্নোটেক্স গ্রুপ | SNOWTEX GROUP | SaRa

স্নোটেক্স গ্রুপ 
সঠিক সময়ে তৈরি পোশাক সরবরাহ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। সর্বোচ্চ গুণগত মান নিশ্চিত করার পরই পণ্য রফতানি করে। মানবসম্পদ, যন্ত্রাংশ ও কাঁচামালÑএ তিন বিষয়ের গুণগত মানে কোনো ছাড় দেওয়া হয় না এখানে। প্রতিষ্ঠানটির সব কারখানায় ইউরোপ ও আমেরিকার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। টেকসই ও সুন্দর তাদের সব পণ্য। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই এ মান বজায় রেখে চলেছে স্নোটেক্স।

১৯৯৮ সালে বায়িং হাউজ হিসেবে যাত্রা করে স্নোটেক্স। প্রতিষ্ঠাতা এসএম খালেদ। তার কর্মদক্ষতা, অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের ফসল এ প্রতিষ্ঠান। তিনি বরাবরই সময়ের সঙ্গে এগিয়ে থাকার চেষ্টা করেন। এ চেষ্টা তাকে সফল করে তুলেছে। পরিণত হয়েছেন সফল উদ্যোক্তায়। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন স্নোটেক্স অ্যাপারেলস লি.। ২০১১ সালে কাট এন সিউ নামে আরও একটি কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালে।

সুদক্ষ ও অভিজ্ঞকর্মীদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে স্নোটেক্সের জনবল। প্রতিষ্ঠাতা এসএম খালেদ তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার ও প্রশিক্ষিত জনবলসহ পরিবেশবান্ধব প্রতিষ্ঠান গড়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে এখানে ৯ হাজারের বেশি কর্মী কর্মরত।

কর্মীবান্ধব হিসেবে সুনাম রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। সম্পূর্ণ ধূমপানমুক্ত এ প্রতিষ্ঠান। কর্মস্থলে দুর্ঘটনা এড়াতে বিশ্বমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ঝুঁকি এড়াতে নানা নিয়ম মেনে চলেন তারা। প্রতিষ্ঠানটিতে মেডিক্যাল কেয়ার সেন্টার রয়েছে। সেখানে ইন-হাউস ডাক্তার রয়েছেন। রয়েছে ডে কেয়ার সেন্টার। শিশুদের যথাযথ যতœ ও সেবা প্রদান করা হয় এ সেন্টারে। ব্রেস্ট ফিডিংয়ের জন্য রয়েছে আলাদা কক্ষ। সব কারখানায় কর্মীদের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে ভাতা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। স্নোটেক্স সব সময় এর কর্মীদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে তৎপর। বেতনভাতা প্রদানে কখনও বিলম্ব হয় না। শুধু তা-ই নয়, অ্যাটেন্ডেন্স বোনাসও চালু রয়েছে এখানে। প্রডাকশন ইনসেনটিভ বোনাস দেয় তারা। সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় কর্মীদের দিনটি। কর্মীদের দক্ষ করে তুলতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে কর্তৃপক্ষ। এমনকি খেলাধুলারও আয়োজন করে থাকে। এখানে আরামপ্রদ ও নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করা হয়েছে। স্নোটেক্সে সমঅধিকারের ওপর গুরুত্ব
সেরা ব্যবসায় উদ্যোক্তা হয় ‘স্নোটেক্স গ্রুপ’

 আন্তর্জাতিক লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ এ ‘বছরের সেরা ব্যবসায় উদ্যোক্তা’ শ্রেণিতে পুরস্কার পেয়েছে রপ্তানিমুখি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান ‘স্নোটেক্স গ্রূপ’।

করোনাকালীন সময়ে এবার ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।



ভার্চ্যুয়াল এই কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ডিএইচএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়ারুল হক, ডেইল স্টারের প্রকাশক এবং সম্পাদক মাহফুজ আনামসহ প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেপালের বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী, সিজি ক্রপ গ্লোবালের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার চৌধুরী।
 
স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে আমরা ব্যবসা করে আসছি যেখানে আমরা আমাদের কমিটমেন্ট এবং সততাকে সব সময় বজায় রেখেছি। আমরা আমাদের বায়ারদের সঙ্গে কমিটমেন্ট রক্ষা করেছি শুরু থেকেই।

এছাড়াও প্রতি সেক্টরে আমরা আমাদের সততা এবং কমিটমেন্টকে প্রাধাণ্য দিয়েছি। সর্বোচ্চ কোয়ালিটি বজায় রেখেই আমাদের প্রডাক্ট ডেলিভারি দিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও আমরা আমাদেরকে একইভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
 

‘স্নোটেক্স’ ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে।  ২০০৫ সালে নিজেদের প্রথম কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে স্নোটেক্স অ্যাপারেলস। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’, ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার’ এবং ২০১৯ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। আজকের ‘স্নোটেক্স’ হয়ে উঠেছে চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান রূপে। ‘‘সারা’’ তাদের বাংলাদেশের প্রথম লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড। স্নোটেক্স আউটারওয়্যার গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে ইউএসজিবিসির লিড গোল্ড সার্টিফিকেটে। এছাড়াও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে “হেলথ অ্যান্ড সেফটি” অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে স্নোটেক্স। প্রতিষ্ঠানটি এখন ১৬ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান করে যাচ্ছে।  

দেওয়া হয়। সঙ্গত কারণে কর্মপরিবেশ নিয়ে কর্মীরা সন্তুষ্ট।

পরিবেশবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবেও সুনাম রয়েছে স্নোটেক্সের। ন্যায্য বাণিজ্য প্রচলন ও পরিচ্ছন্ন প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবস্থা প্রণয়নে বেশ আন্তরিক সংশ্লিষ্টরা। সুপরিকল্পিতভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সব কারখানা। বৃষ্টি ও ভূগর্ভস্থ পানি সংরক্ষণ এবং রিসাইক্লিং সুবিধা রয়েছে এখানে। সব কারখানায় ক্লোরোফ্লোরো কার্বনমুক্ত শীতলীকরণ ব্যবস্থা, এলইডি লাইটিং সিস্টেম, কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য এনার্জি প্লান্ট ও সৌরশক্তি কাজে লাগাচ্ছে স্নোটেক্স।

সব ধরনের ডাউন ও প্যাডেড জ্যাকেট তৈরি করে স্নোটেক্স। নানা ধরনের ক্যাজুয়াল ও ফরমাল পোশাকের পাশাপাশি এখানে খেলাধুলার পরিধেয় প্রস্তুত করা হয়। তাছাড়া সব ধরনের জ্যাকেট তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের কারখানাগুলোয় চার হাজার ৬০০ মেশিন রয়েছে। বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ১২ কোটি ডলার (১২০ মিলিয়ন ডলার।)

সঙ্গত কারণে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ওভেন গার্মেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে স্নোটেক্স। শতভাগ রফতানিমুখী গার্মেন্ট এটি। বিশ্বের নামকরা ও বৃহৎ ফ্যাশন ব্র্যান্ড তাদের ক্রেতা। সুনামের সঙ্গে বিশ্বের নানা দেশে চাহিদামতো পণ্য সরবরাহ করছে তারা। তবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জাপান ও রাশিয়ায় রফতানির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। 

বায়ারঃ 

প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বার্নি অ্যাপারেল, অ্যালফাব্রোডার, হ্যাগার ক্লদিং, ভিএফ, কলম্বিয়া স্পোর্টসওয়্যার, কানাডার রিচলু, কানাডা স্পোর্টসওয়্যার, ফ্রান্সের ক্যামাই ইউ, ডিক্যাথলন, ইংল্যান্ডের মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার, ডেভেনহ্যামস, বেলজিয়ামের সিঅ্যান্ডএ, স্পেনের ম্যাঙ্গো, ডেনমার্কের বেস্টসেলার প্রভৃতি।

নানা অর্জন ও পুরস্কারে পূর্ণ তাদের ঝুলি। র‌্যাপ, বিএসসিআই, সেডেক্স, সি-টিপ্যাট, অ্যালায়েন্স, অ্যাকর্ড ও জিএসভি সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান স্নোটেক্স। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এক নাগারে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ব্র্যান্ড বার্নের ‘ফ্যাক্টরি অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়। সাউথইস্ট ব্যাংক, দি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস ও পলিসি রিসার্চ প্রবর্তিত ‘গ্রিন অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে এ প্রতিষ্ঠান। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালফাব্রোডার ‘মোস্ট ইম্প্রুভড’ ক্যাটাগরিতে স্নোটেক্স আউটারওয়্যারকে পুরস্কৃত করে।

সেরা ব্যবসায় উদ্যোক্তা হয় ‘স্নোটেক্স গ্রুপ’

 আন্তর্জাতিক লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ এ ‘বছরের সেরা ব্যবসায় উদ্যোক্তা’ শ্রেণিতে পুরস্কার পেয়েছে রপ্তানিমুখি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান ‘স্নোটেক্স গ্রূপ’।

করোনাকালীন সময়ে এবার ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

ভার্চ্যুয়াল এই কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ডিএইচএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়ারুল হক, ডেইল স্টারের প্রকাশক এবং সম্পাদক মাহফুজ আনামসহ প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেপালের বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী, সিজি ক্রপ গ্লোবালের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার চৌধুরী।

স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে আমরা ব্যবসা করে আসছি যেখানে আমরা আমাদের কমিটমেন্ট এবং সততাকে সব সময় বজায় রেখেছি। আমরা আমাদের বায়ারদের সঙ্গে কমিটমেন্ট রক্ষা করেছি শুরু থেকেই।

এছাড়াও প্রতি সেক্টরে আমরা আমাদের সততা এবং কমিটমেন্টকে প্রাধাণ্য দিয়েছি। সর্বোচ্চ কোয়ালিটি বজায় রেখেই আমাদের প্রডাক্ট ডেলিভারি দিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও আমরা আমাদেরকে একইভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

‘স্নোটেক্স’ ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে।  ২০০৫ সালে নিজেদের প্রথম কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে স্নোটেক্স অ্যাপারেলস। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’, ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার’ এবং ২০১৯ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। আজকের ‘স্নোটেক্স’ হয়ে উঠেছে চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান রূপে। ‘‘সারা’’ তাদের বাংলাদেশের প্রথম লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড। স্নোটেক্স আউটারওয়্যার গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে ইউএসজিবিসির লিড গোল্ড সার্টিফিকেটে। এছাড়াও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে “হেলথ অ্যান্ড সেফটি” অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে স্নোটেক্স। প্রতিষ্ঠানটি এখন ১৬ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান করে যাচ্ছে।  




সেরা ব্যবসায় উদ্যোক্তা হয় ‘স্নোটেক্স গ্রুপ’

 আন্তর্জাতিক লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ এ ‘বছরের সেরা ব্যবসায় উদ্যোক্তা’ শ্রেণিতে পুরস্কার পেয়েছে রপ্তানিমুখি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান ‘স্নোটেক্স গ্রূপ’।

করোনাকালীন সময়ে এবার ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।


ভার্চ্যুয়াল এই কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ডিএইচএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়ারুল হক, ডেইল স্টারের প্রকাশক এবং সম্পাদক মাহফুজ আনামসহ প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেপালের বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী, সিজি ক্রপ গ্লোবালের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার চৌধুরী।
 

স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে আমরা ব্যবসা করে আসছি যেখানে আমরা আমাদের কমিটমেন্ট এবং সততাকে সব সময় বজায় রেখেছি। আমরা আমাদের বায়ারদের সঙ্গে কমিটমেন্ট রক্ষা করেছি শুরু থেকেই।

এছাড়াও প্রতি সেক্টরে আমরা আমাদের সততা এবং কমিটমেন্টকে প্রাধাণ্য দিয়েছি। সর্বোচ্চ কোয়ালিটি বজায় রেখেই আমাদের প্রডাক্ট ডেলিভারি দিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও আমরা আমাদেরকে একইভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
 

‘স্নোটেক্স’ ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে।  ২০০৫ সালে নিজেদের প্রথম কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে স্নোটেক্স অ্যাপারেলস। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’, ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার’ এবং ২০১৯ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। আজকের ‘স্নোটেক্স’ হয়ে উঠেছে চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান রূপে। ‘‘সারা’’ তাদের বাংলাদেশের প্রথম লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড। স্নোটেক্স আউটারওয়্যার গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে ইউএসজিবিসির লিড গোল্ড সার্টিফিকেটে। এছাড়াও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে “হেলথ অ্যান্ড সেফটি” অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে স্নোটেক্স। প্রতিষ্ঠানটি এখন ১৬ হাজারের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান করে যাচ্ছে।  

স্নোটেক্স ও সারা প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যাচ্ছে বিনামূল্যে খাবার ও ঘুমের সময়

 দেশের ফ্যাশন সচেতন মানুষদের বর্তমানে পছন্দের নাম ‘সারা লাইফস্টাইল’। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা চিন্তা করে ‘স্নোটেক্স গ্রুপ’ নিয়ে এসেছে তাদের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান। কম দামে ভালো মূল্যে বিভিন্ন ধরনের পোশাক দিচ্ছে সারা। দেশিয়-আন্তর্জাতিকের মিশেলে স্বল্প মূল্যে ফ্যাশন হাউজটি থেকে নিজেদের পছন্দের পোশাক কিনছেন সব বয়সের মানুষ।

সম্প্রতি সারা লাইফস্টাইল ও তাদের প্রধান কোম্পানি স্নোটেক্স গ্রুপের কার্যালয় ও ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করতে যাই। মিরপুর ডিওএইচএসে প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধান কার্যালয়। সারা’র কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানালেন প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ বিভাগের প্রধান ও সহকারী ব্যবস্থাপক শেখ রাহাত অয়ন। তিনি জানালেন, সারার মূল লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের মুখে হাসি ফোটানো। কম মূল্যে ভালো মানের পণ্য গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়াসহ একটা আস্থার জায়গা তৈরি করা। বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশি পণ্যগুলোও সমাজের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে দিতে চান তারা।

স্নোটেক্স ও সারা লাইফস্টাইলের এমডি এমসএম খালেদ (বাঁয়ে), উপর থেকে- সারা লাইফস্টাইলের এমডি শরীফুন্নেসা, স্নোটেক্সের পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেইন, সারার সহকারী পরিচালক মো. মতিউর রহমান। নিচ থেকে- সারার সহকারী ব্যবস্থাপক প্রিয়ম ইবনে আমিন, প্রধান ফ্যাশন ডিজাইনার সিলভিয়া স্বর্ণা ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান শেখ রাহাত অয়ন

সারার কার্যালয়ের প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শরীফুন্নেসা একজন নারী উদ্যোগতাও। তিনি সারা ও স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম খালেদের স্ত্রী। নিজ কর্মে সফল এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘সমাজের সকল শ্রেণির মানুষ যাতে আমাদের পণ্য কিনতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি। একজন নারী যখন মা হন, সন্তানের খেয়াল যেভাবে রাখেন- ঠিক সেভাবেই সারাকে বড় করছি আমরা। সারার পোশাকের মান নিয়ে আমরা কোনো ছাড় রাখতে চাই না। গাছ বড় করতে যেমন মাটি, পানি, সার দরকার হয়, ক্রেতারাও আমাদের কাছে তা-ই। গ্রাহকরা খুশি হলে আমরা আরও বড় হতে পারবো। আর দামের ক্ষেত্রে- সবার আগে আমাদের চিন্তা আসে সমাজের শ্রেণিগুলো। কারণ, পোশাকগুলো তো তাদের জন্যই।’



সারার সহকারী পরিচালক (অপারেশন) মো. মতিউর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তার টিমের সকলেই তরূণ ও উদ্যমী। ২০১৮ সাল থেকে তাদের সঙ্গে নিয়েই কাজ করছে সারা। তারাই নিজ নিজ কর্মদক্ষতায় সারাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। মতিউর বলেন,‘আমরা যতদূর এখন পর্যন্ত আসতে পেরেছি, এতে সন্তুষ্ট। আমরা ভালো করছি, ভবিষ্যতে আরও ভালো করবো।’

সারার বিজনেস পলিসি সম্পর্কে জানতে চাইলে মতিউর বলেন, ‘আমরা সবসময় মার্কেট অ্যানালাইজ করি। এতে গ্রাহকদের ভালো সাড়া পাচ্ছি। বন্ধুত্বপূর্ণভাবে মার্চেন্ডাইজার ও ডিজাইনার টিম মিলে কাজ করছি। আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো ভালো মানের পণ্য ক্রেতাদের হাতে পৌঁছানো। তা ছাড়া নতুন কোম্পানির অনেক চ্যালেঞ্জ, তবে সেগুলো বড় কোনো বাধা নয়। সবাই মিলেই আমরা বাধাগুলো ওভারকাম করছি।’

সারার সহকারী ব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রিয়ম ইবনে আমিন। বর্তমান বাজার নিয়ে কাজ তরুণ এই কর্মকর্তার। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের যে অভিজ্ঞতা আছে সে অনুযায়ী টিম মেম্বারদের নিয়ে আমরা সারা ফ্যাশনকে এগিয়ে নিতে পারবো। এখন বাজারে সবকিছু উন্মুক্ত। কোনো কিছুই লুকিয়ে রাখা যায় না। আমরা কোথা থেকে ফেব্রিক্স কিনছি, কোন দেশ থেকে আনছি, সবাই জানে। আমরা সবসময় চাই বাজেটের মধ্যে ক্রেতারা যেন আমাদের পণ্য কিনতে পারেন। সারা ক্রেতাদের কাছ থেকে স্বল্প লাভ করতে চায়। অন্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় আমরা কম লাভে আমাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করছি।’

সারার প্রধান ফ্যাশন ডিজাইনার ও বিভাগীয় সহকারী ব্যবস্থাপক সিলভিয়া স্বর্ণা বলেন, ‘ট্রেন্ড অনুযায়ী পোশাকগুলো আমরা বাজারে ছাড়ার চেষ্টা করছি। আন্তর্জাতিক ফ্যাশন হাউজগুলো যে ধরনের পোশাকগুলো তৈরি করছে আমারও সেগুলোকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। বিশ্বমানের ও দক্ষিণ এশিয়ার পোশাকের ডিজাইন অনুযায়ী আমাদের পোশাক তৈরি করা হয়। ক্রেতারা কোন ট্রেন্ডের পোশাক চাইছেন এগুলো মাথায় রেখে বিভিন্ন ডিজাইন, রং, প্যাটেন্ট অ্যানালাইজ করে কাজ করছি।’


স্বর্ণা আরও বলেন, ‘সিজন অ্যানালাইজ করে সামার, স্প্রিং, উইন্টারের ক্রেতারা কী চাচ্ছে তা ধারণা নিয়ে কাজ করছি। সিজনের পাশাপাশি অকেশন নিয়েও কাজ করছি। অকেশন অনুসারে ক্রেতাদের পোশাক দেওয়ার চেষ্টা করি। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোকে সামনে রেখেই ফিউশন করে পোশাকগুলো তৈরি করা হয়।’

প্রতিষ্ঠানটির ই-কমার্স প্রধান অসীম সাহা। রাজধানীসহ প্রায় সারা দেশের মানুষ ঝুঁকে পড়ছেন ই-কমার্স সাইটগুলোতে। চ্যালেঞ্জও অনেক বেশি। তারা কীভাবে সবার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছেন, জানতে চাইলে অসীম বলেন, তাদের চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়। তারা কিছু ক্যাম্পেইন করেন। অনলাইনে পণ্য কিনতে ছাড় না দিলেও গ্রাহকের ঠিকানায় বিনামূল্যে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে সারা। বৈশ্বিক ই-কমার্স সাইট আমাজনের সঙ্গেও তারা কাজ করছেন।


সারার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে গেলাম ধামরাইয়ের লাকুরিয়াপাড়ার ধুলাভিটায় অবস্থিত স্নোটেক্স গ্রুপের ফ্যাক্টরিতে। মূল সড়ক থেকে স্নোটেক্স ফ্যাক্টরিটি দেখা যায়। আমাকে অভ্যর্থনা জানালেন স্নোটেক্সের সহকারী ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. জয়দুল হোসেন। জানা গেল, কর্মীদের উন্নয়ন, কাজের উন্নয়ন নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন কর্মশালা করে থাকে। সারা ও স্নোটেক্সের কর্মীদের জন্য রয়েছে দুপুরে ফ্রি খাবার। মাসের শেষ কর্ম দিবসে বেতন ও ওভারটাইম ভাতা, সেরা লাইন পুরষ্কার, সাপ্তাহিক বোনাস, প্রভিডেন্ট ফান্ড, খেলাধুলার জন্য আলাদা সময়, হাজিরা বোনাস, লিফটসহ নানা সুবিধা। সবচেয়ে বড় কথা হলো প্রতিবন্ধীদের জন্য সবুজ কর্ম পরিবেশ তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ফ্যাক্টরির সাততলায় স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম খালেদের কার্যালয়। জানালেন কীভাবে তিনি ব্যবসায় এলেন। কীভাবে স্নোটেক্স ও সারাকে তৈরি করলেন। জানালেন তার নানা অর্জনের কথা। তার পরিচালনায় স্নোটেক্স ২০১১-১২ সালে সারা বাংলাদেশে বেস্ট ফ্যাক্টরি অব দ্য ইয়ার অর্জন করে। এ ছাড়া অর্জনের তালিকায় রয়েছে বেস্ট গ্রিন ফ্যাক্টরি সার্টিফিকেট, গোল্ড সার্টিফিকেট ফর কমপ্লায়েন্স। সম্প্রতি কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে পেয়েছেন সেডেক্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯।


২০০৫ সালে এস এম খালেদ প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন মিরপুরের ‘স্নোটেক্স অ্যাপিয়ারেলস’ লিমিটেড। এরপর মালিবাগে ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’। সেখান থেকে ২০১৪ সালে চলে আসেন ধামরাইয়ের ধুলিভিটার লাকুরিয়া পাড়ায়। নিজ অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা করেন ‘স্নোটেক্স আউটার অয়্যার’ লিমিটেড কোম্পানি। নির্মানাধীণ আছে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টস অয়্যার’ লিমিডেট কোম্পানির ভবন।

তার সান্নিধ্যে এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করছেন ১১ হাজার কর্মী। খালেদ জানালেন, স্পোর্টস অয়্যার নির্মাণ হয়ে গেলে কর্মী সংখ্যা ১৮ হাজারে উন্নীত হবে তাদের। স্নোটেক্স আউটার অয়্যারে তারা তৈরি করছেন ওয়ার্ক অয়্যার, সেফটি অয়্যার, ফ্যাশন অয়্যার, স্পোর্টস অয়্যার ও বটম অয়্যার।

একটা সময় সংগঠনমনা ছিলেন এস এম খালেদ। কিন্তু আজ তিনি ব্যবসায়ী। সততা, নিষ্ঠা ও পাকা কথার অধিকারী এই ব্যক্তি গত ১৯ বছরে নিজের জীবনের সবটুকু দিয়ে স্বপগুলোতে বাস্তবে রুপ দিয়েছেন। স্নোটেক্স গ্রুপের প্রথম তিনটি গার্মেন্টস মিলিয়ে ১০৬টি লাইন আছে। নতুন গার্মেন্টসটি তৈরি হলে সেটি গিয়ে দাঁড়াবে ১৮৫তে। ব্যবসায় হবে প্রায় ২৫০ মিলিয়নের।

খালেদ বলেন, ‘এই সফর সফল হয়েছে আমার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যারা কাজ করেছেন। আমার কর্মীরাও এই সফলতার পেছনে কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। আমার দুটি প্রতিষ্ঠানই কর্মীবান্ধব। তাদের সুবিধা না দিলে তো প্রতিষ্ঠান চলবে না। এখানে যা কিছু দেখতে পাছেন সবকিছুই আমার কর্মীদের মেহনতের ফসল। স্নোটেক্স ও সারা দুটিই আমার দুই সন্তানের মতো। আমি চাই দেশ-বিদেশের মানুষ আমার এই সন্তান দুটিকে ভালোবাসুক।’

স্নোটেক্সের অপর পরিচালক (অপারেশন) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেইন বলেন, ‘২০ বছর ধরে আমরা গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করছি, স্নোটেক্স আউটারঅয়্যারে আমাদের অনেক কিছুই ডেভেলপ করা আছে। সেখান থেকেই চিন্তা করলাম আমাদের সোর্সিং, ডিজাইন, ফ্রেব্রিকগুলো ব্যবহার করে নতুন কিছু করা যায় কি না। আমাদের যারা অভিজ্ঞ কর্মকর্তা-কর্মীরা আছেন তাদের সমন্বয়ে কিছু করা। সেখান থেকেই আসলে সারাকে প্রতিষ্ঠা করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে আমরা এই প্রতিষ্ঠানটিকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। এর পর অন্যান্য বড় প্রতিষ্ঠানের মতো বিশ্ব বাজারেও সারাকে ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড় করানোর পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে সারা বিশ্ব বাজারেও ভালো ব্যবসা করবে।’

ক্রেতা সাধারণের জন্য তার বার্তা- ‘যেহেতু সারা বাংলাদেশের ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করছে, আপনাদের কথা মাথায় রেখেই। দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা চিন্তা করেই সারা কাজ করবে। আমরা অর্থের চেয়ে আতিথেয়তায় বিশ্বাসী। এও বিশ্বাস করি ক্রেতা সাধারণ আমাদের পাশে থাকবেন।’

দুপুরের খাবারের সময় দেখা গেল কর্মীরা লাইন বেধে ডাইনিং রুমে যাচ্ছেন। ডাইনিংয়ে একই সময় প্রায় ১৫০০শ কর্মী এক সঙ্গে বসে খেতে পারেন। খাবারের সময় এখানে কর্মকর্তা-কর্মীতে নেই কোনো ভেদাভেদ। কর্মীরা যে খাবার খান, কর্মকর্তা-মালিকও সেই খাবার খাচ্ছেন।

খাবারের পর কর্মীদের রয়েছে ৪০ মিনিট ঘুমের সময়। এ সময় পুরো প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। বন্ধ হয়ে যায় লাইনগুলোও। ঠিক ৪০ মিনিট পর আবার কাজ শুরু হয়।

ফ্যাক্টরির ভেতর রয়েছে বিশাল বাগান। ৬০ বিঘা জমির অংশের দুই বিঘায় সবজির চাষ হয়। বাগানের মাঝে রয়েছে ছোট ফাঁকা মাঠ। ছোট প্রজাতির গুল্ম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন প্রাণির অবয়ব। বাগানের মাঝে গড়া হয়েছে একটি ঘর যাকে বলা হয় ‘গ্রিন হাউস’। ঘরটি আদতে একটি ট্রেনিং সেন্টার। কর্মীদের বিভিন্নরকম ট্রেনিং দেওয়া হয় এখানে। ফায়ার ডিফেন্স, নিরাপত্তাজনিত বা চিকিৎসাজনিত ট্রেনিং দেওয়া হয় কর্মীদের। এ ঘরটিতে বিদেশি মেহমানদের সঙ্গেও বিভিন্নরকম মিটিং করা হয়ে থাকে।

এই প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের খাবারের মেন্যুতে থাকে সবজি, মুরগি, ডিম, মসলা, দুধ, মাংস। এগুলো বিভিন্ন সার্টিফায়েড ফিড মিল থেকে সংগ্রহ করা হয়। রান্নার জন্য রয়েছে আলাদা বিল্ডিং। প্রায় ২০ টি বড় চুলায় রান্না হয়। তাদের নিজস্ব মাইক্রো বায়োলজিস্ট রাকিবুর রহমান প্রতিনিয়ত খাদ্যপণ্যগুলো পরীক্ষা নিরিক্ষা করেন। প্রতিটি খাবার লেভেলিং করা থাকে। লেভেল নম্বর অনুযায়ী পাত্র থেকে খাবার গুলো এখানে এনে পরীক্ষা করা হয়। সস-প্যানগুলোতে থাকে ট্র্যাকিং ডিভাইস।

একটি স্ট্রিপের মাধ্যমে পরীক্ষাটি করা হয়। যদি কোনো খাবারে কোনো কারণে বিক্রিয়া দেখায় দেয় সাদা স্ট্রিপটি নীল রঙ ধারণ করে ১৫ মিনিটের মধ্যে ফলাফল দিয়ে দিতে সক্ষম।


আগুন নির্বাপনেও সারা তথা স্নোটেক্সে রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ফায়ার সেফটির জন্য তাদের রিজার্ভে দুটি প্যানেল মিলিয়ে ১১ লাখ টন পানির মজুদ রয়েছে। একটি পুকুর রয়েছে, প্রয়োজনে যাতে সেখান থেকে পানি ব্যবহার করা যায়। পুকুরে দেশিয় মাছও চাষ করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের রুল ও ফায়ার সার্ভিসের সেফটি কোড অনুযায়ী যা যা রাখা প্রয়োজন প্রতিষ্ঠানটিতে সবই আছে। সেফটি প্যানেল-ফায়ার ডিটেকটর আছে, অ্যালার্মিং ব্যবস্থা আছে।

৬০ বিঘা জমিতে সারা বা স্নোটেক্সের আউটার অয়্যার ভবন দাঁড়িয়ে আছে সাড়ে চার লাখ স্কয়ার ফিটের উপর। স্পোর্টস ওয়্যার নির্মাণ হচ্ছে ৬ লাখ স্কয়ার ফিটের উপর। এ ছাড়া আছে কর্মীদের জন্য নিজস্ব হাসপাতাল, মাতৃসেবাকেন্দ্র, ডে কেয়ার, নিরাপত্তা কর্মীদের থাকার ঘর ও বিশাল পার্কিং।



বিশেষ সাক্ষাৎকারঃ

শূন্য থেকে এসে আস্তে আস্তে গড়ে তুলেছি স্নোটেক্স গ্রুপ: এস এম খালেদ

উত্তরায় নিজ আউটলেটে অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার সাথে কথা বলছেন স্নোটেক্স আউটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ।

হঠাৎ করেই গার্মেস ব্যবসায়ে আসা। কারণ ২০ বছর আগে আমাদের সেক্টর বলতে এই একটাকেই বুঝাত। এখন কিন্তু না। তখন আর তো কিছুই ছিল না, তাই আমাদের আসতেই হয়েছে। সংসার চালানোর তাগিদে এসেছি। একদম শূন্য থেকে এসে আস্তে আস্তে গড়ে তুলেছি স্নোটেক্স আউটওয়্যার লিমিটেডে। কথা গুলো বলছিলেন রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের সঙ্গে জড়িত স্নোটেক্স আউটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ। যিনি তৈরি পোশাকশিল্পে দুই যুগ ধরে কাজ করছেন। নিজস্ব ব্র্যান্ড হিসেবে ‘সারা’ লাইফস্টাইল লিমিটেডে যাত্রা শরু করেছে।

ব্র্যান্ড হিসেবে ‘সারা’র যাত্রা এবং এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন সারাদিন ডট কম-এর সঙ্গে। সেখানেই অকপটে নিজের উঠে আসার গল্পগুলো বলছিলেন।


খালেদ বলছিলেন, শুরুটা প্রায় এখন থেকে বিশ বছর আগে। ছোট সাপ্লাইয়ের ব্যবসা। তারপর ছোট বায়িং হাউস। এরপর ছোট একটা ফ্যাক্টরি ১২-১৩ বছর আগে। পর্যায়ক্রমে আরো একটা ফ্যাক্টরি। গত ৫-৬ বছর আগে মোটামুটি একটা ফ্যাক্টরি ধামরাইয়ে। এখন আমরা প্রায় ১১ হাজার ফ্যামিলি মেম্বার। আগামী বছর শেষে এটা প্রায় ১৮ হাজার হবে। এটা অব্যহত থাকবে।

গার্মেন্ট ব্যবসা ও সারা ব্র্যান্ড নিয়ে তরুণ এ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলছিলেন, আমরা গার্মেন্ট সেক্টরে দেখতে দেখতে ২০ বছর কাটালাম। এখন আমরা মাঝেমধ্যে প্রতিযোগিতায় পড়ি। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আমরা ডিফিকাল্ট সময়ের মধ্যে যাব। কারণ কোনো এক সময় আমেরিকাতে অনেক গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি ছিল। কানাডাতেও ছিল। এখন থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে কোরিয়াতেও ছিল। এগুলো এখন শিফট হয়ে চায়না থেকে বাংলাদেশে আসে। কোনো এক সময় হয়তো অন্য কোনো দেশে যাবে, কারণ আমাদের পার্সেজ পাওয়ার বাড়ছে সবার।



গার্মেটস সেক্টরকে একটা সেনসেটিভ সেক্টর জানিয়ে এস এম খালেদ বলেন, গার্মেন্ট বায়াররা যেখানে কম দাম পাওয়া যায় সেখানেই চলে যায়। আর ওই রকম থেকেই একটা ইকোনমি বড় হয়। ইকোনমিটা একটু বড় হলে যখন সবার সামর্থ্য হয় ইনভেস্টমেন্টটা তখন ডিফারেন্ট ক্যাটাগরিতে চলে যায়। আমাদেরটাও এক সময় যাবে। আমরা ২০ বছর ধরে যে সেক্টরটা শিখলাম, এটাকে আমরা কেন কন্টিনিউ করব না। শুধুমাত্র আমরা ব্র্যান্ডিংটা জানতাম না, সেটা যোগ করলাম। আমাদের এক্সপার্টদের আমরা কাজে লাগাব যাদের কারণে আমরা একটু বড় পর্যায়ে পৌঁছেছি। তাহলে আমরা সারাকেও একটা বড় পর্যায়ে নিতে পারব। সেই জন্যই আমরা ব্র্যান্ডিং করছি।

ঢাকায় সারার কয়টি শোরুম ও অনলাইন নিয়ে কী পরিকল্পনা রয়েছে এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, স্নোটেক্সের লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’র কাজ শুরু ২০১৮ সালের মে থেকে। ঢাকার মিরপুর ‘সারা’র প্রথম আউটলেট। এরপর চালু হয় বসুন্ধরা সিটিতে। তৃতীয় আউটলেটটি মোহাম্মদপুরে। চতুর্থটি সম্প্রতি উত্তরায় চালু হয়। এর পরেরটি শিগগিরই বারিধারায় উদ্বোধন হবে। শুধু তাই নয়, আমরা আগামী বছর আরো পাঁচটি শোরুম করব ঢাকাতে। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় শহর, জেলা শহর এবং বিদেশেও আউটলেট করার পরিকল্পনা রয়েছে। অফলাইনের পাশাপাশি আমাদের আমরা আমাদের ডিজাইনিং টিম, অনলাইন টিম, সফটওয়্যার টিমগুলো ডেভেলপ করছি। এখনো আমরা ব্র্যান্ডটা শিখছি, এটাকে যখন আমরা অর্গনাইজ করব তখন বিভাগীয় শহরে যাব। যখন আমরা আরেকটু অর্গানাইজড হব তখন আমরা বাংলাদেশের বাইরে যাব। সুতরাং এখন আমরা কাছাকাছি থেকে নিজেদের স্ট্রং করার চেষ্টা করছি।

অনলাইনে আমাদের খুব স্ট্রং একটা টিম কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এগুলোকে ঠিক করা আমরা কাজ করছি। আমরা অফলাইন এবং অনলাইন দুটোতেই প্রাধান্য দিয়েছি।

ডিজাইন নিয়ে আমরা পুরো ফ্যামিলির ডিজাইন নিয়ে কাজ করছি জনিয়ে খালেদ বলেন, কত কম দামে একটা ভালো কোয়ালিটি দেওয়া যায় সেই চেষ্টা করছি। মার্কেটের রিকোয়ারমেন্টের ওপর আমরা ডিজাইন করি। আমাদের খুব স্ট্রং একটা ডিজাইন টিম রয়েছে। দলে ১২ জন ফ্যাশন ডিজাইনার আছেন। মার্কেটের চাহিদা অনুযায়ী তারা ডিজাইন তৈরি করে যাচ্ছে।

ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, গত দেড় বছরে আমাদের পাঁচটা শো-রুম হয়েছে। নতুন বছর ২০২০-এ আমাদের টার্গেট আরো পাঁচটা করব। তারপর ধীরে ধীরে আরো বড় করব সেটাই আমাদের পরিকল্পনা। ‘সারা’কে বিশ্ববাজারে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।



ব্র্যান্ড হিসেবে ‘সারা’কে বিশ্ববাজারে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই

দেশের পোশাকশিল্পের নিজস্ব ব্র্যান্ড ‘সারা’ লাইফস্টাইল লিমিটেড। এটি রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের সঙ্গে জড়িত স্নোটেক্স আউটওয়্যার লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ‘সারা’ লাইফস্টাইল লিমিটেড ও স্নোটেক্স আউটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ। যিনি তৈরি পোশাকশিল্পে দুই যুগ ধরে কাজ করছেন। ব্র্যান্ড হিসেবে ‘সারা’র যাত্রা এবং এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা টাইমসের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আসাদুজ্জামান

✅ সারার মূল প্রতিষ্ঠান স্নোটেক্সের যাত্রা শুরু কীভাবে?

শুরুটা প্রায় এখন থেকে বিশ বছর আগে। ছোট সাপ্লাইয়ের ব্যবসা। তারপর ছোট বায়িং হাউস। এরপর ছোট একটা ফ্যাক্টরি ১২-১৩ বছর আগে। পর্যায়ক্রমে আরো একটা ফ্যাক্টরি। গত ৫-৬ বছর আগে মোটামুটি একটা ফ্যাক্টরি ধামরাইয়ে। এখন আমরা প্রায় ১১ হাজার ফ্যামিলি মেম্বার। আগামী বছর শেষে এটা প্রায় ১৮ হাজার হবে।

✅ গার্মেন্ট ব্যবসায় কেন আসলেন? হঠাৎ করেই আসা। ২০ বছর আগে আমাদের সেক্টর বলতে এই একটাকেই বুঝাত। আর তো কিছুই ছিল না, তাই আমাদের আসতেই হয়েছে। সংসার চালানোর তাগিদে এসেছি। একদম শূন্য থেকে এসে আস্তে আস্তে আমরা এই পর্যায়ে।


✅ আপনি গার্মেন্ট ব্যবসায় আছেন দীর্ঘদিন। সেখান থেকে ফ্যাশন হাউস সারা লাইফস্টাইলের শুরুটা কীভাবে হলো?

আমরা গার্মেন্ট সেক্টরে দেখতে দেখতে ২০ বছর কাটালাম। এখন আমরা মাঝেমধ্যে প্রতিযোগিতায় পড়ি। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আমরা ডিফিকাল্ট সময়ের মধ্যে যাব। কারণ কোনো এক সময় আমেরিকাতে অনেক গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি ছিল। কানাডাতেও ছিল। এখন থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে কোরিয়াতেও ছিল। এগুলো এখন শিফট হয়ে চায়না থেকে বাংলাদেশে আসে। কোনো এক সময় হয়তো অন্য কোনো দেশে যাবে, কারণ আমাদের পার্সেজ পাওয়ার বাড়ছে সবার। এটা একটা সেনসেটিভ সেক্টর, যেখানে কম দাম পাওয়া যায় সেখানেই চলে যায়। আর ওই রকম থেকেই একটা ইকোনমি বড় হয়। ইকোনমিটা একটু বড় হলে যখন সবার সামর্থ্য হয় ইনভেস্টমেন্টটা তখন ডিফারেন্ট ক্যাটাগরিতে চলে যায়। আমাদেরটাও এক সময় যাবে। আমরা ২০ বছর ধরে যে সেক্টরটা শিখলাম, এটাকে আমরা কেন কন্টিনিউ করব না। শুধুমাত্র আমরা ব্র্যান্ডিংটা জানতাম না, সেটা যোগ করলাম। আমাদের এক্সপার্টদের আমরা কাজে লাগাব যাদের কারণে আমরা একটু বড় পর্যায়ে পৌঁছেছি। তাহলে আমরা সারাকেও একটা বড় পর্যায়ে নিতে পারব। সেই জন্যই আমরা ব্র্যান্ডিং করছি।

✅ ঢাকায় সারার কয়টি শোরুম রয়েছে?

স্নোটেক্সের লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’র কাজ শুরু ২০১৮ সালের মে থেকে। ঢাকার মিরপুর ‘সারা’র প্রথম আউটলেট। এরপর চালু হয় বসুন্ধরা সিটিতে। তৃতীয় আউটলেটটি মোহাম্মদপুরে। চতুর্থটি সম্প্রতি উত্তরায় চালু হয়। এর পরেরটি শিগগিরই বারিধারায় উদ্বোধন হবে।



✅আগামীতে শোরুমের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে কি না?

আমরা আগামী বছর আরো পাঁচটি শোরুম করব ঢাকাতে। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় শহর, জেলা শহর এবং বিদেশেও আউটলেট করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সারাকে ব্র্যান্ড হিসেবে জনপ্রিয় করার প্রচেষ্টা সম্পর্কে বলুন। আমরা আমাদের ডিজাইনিং টিম, অনলাইন টিম, সফটওয়্যার টিমগুলো ডেভেলপ করছি। এখনো আমরা ব্র্যান্ডটা শিখছি, এটাকে যখন আমরা অর্গনাইজ করব তখন বিভাগীয় শহরে যাব। যখন আমরা আরেকটু অর্গানাইজড হব তখন আমরা বাংলাদেশের বাইরে যাব। সুতরাং এখন আমরা কাছাকাছি থেকে নিজেদের স্ট্রং করার চেষ্টা করছি।

অফলাইনের দিকে জোর দেবেন নাকি অনলাইনের দিকে? অনলাইনে আমাদের খুব স্ট্রং একটা টিম কাজ করছে। এগুলোকে ঠিক করতে আমরা কাজ করছি। আমরা অফলাইন এবং অনলাইন দুটোতেই প্রাধান্য দিয়েছি।

✅ পোশাকে বৈচিত্র্য আনতে কোন ধরনের ডিজাইন নিয়ে আপনারা কাজ করছেন?

আমরা পুরো ফ্যামিলির ডিজাইন নিয়ে কাজ করছি। কত কম দামে একটা ভালো কোয়ালিটি দেওয়া যায় সেই চেষ্টা করছি। মার্কেটের রিকোয়ারমেন্টের ওপর আমরা ডিজাইন করি। আমাদের খুব স্ট্রং একটা ডিজাইন টিম রয়েছে। দলে ১২ জন ফ্যাশন ডিজাইনার আছেন। মার্কেটের চাহিদা অনুযায়ী তারা ডিজাইন তৈরি করে যাচ্ছে।

✅ পোশাকের মান ধরে রাখতে কী করছেন?

গত ২০ বছরে আমরা এটাই শিখে আসছি। ইন্টারন্যাশনাল কাস্টমারদের আমরা কম দামে কোয়ালিটি জিনিস দেওয়ার চেষ্টা করছি।

✅আগামীর পরিকল্পনা কী আপনাদের?

গত দেড় বছরে আমাদের পাঁচটা শো-রুম হয়েছে। আগামী বছর আরো পাঁচটা করব। তারপর ধীরে ধীরে আরো বড় করব সেটাই আমাদের পরিকল্পনা। ‘সারা’কে বিশ্ববাজারে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

Contact info
Address: SNOWTEX (Corporate Office), Avenue#02, Road#13, House#1322,
Mirpur DOHS, Dhaka-1216, Bangladesh.
Mobile: 
01819871680,
01777335242
 Email: info@snowtex.org




1 টি মন্তব্য:

Unknown বলেছেন...

খুব ভালো লাগলো