ভুট্টার সাথে আমরা প্রত্যেকেই পরিচিত। ভুট্টা থেকে তৈরি কর্ণফ্লেক্স-কর্ণফ্লাওয়ার-কর্ণঅয়েল এগুলোর ব্যবহার আমাদের দেশের রান্নাঘর গুলোতে অহরহই দেখা যায়। তাছাড়া পপকর্ণ আর রাস্তার পাশের পোড়ানো ভুট্টাতো আছেই। যদিও উপাদেয় খাদ্য হিসেবেই আমরা এতদিন ধরে ভুট্টাকে চিনে এসেছি- এই ভুট্টাও হতে পারে তুলা, রেশম কিংবা লিনেনের অবিশ্বাস্য প্রতিদ্বন্দ্বী!
ভুট্টাতে রয়েছে পলি ল্যাকটিক এসিড(Poly Lactic Acid), কর্ণ ফাইবারকে তাই PLA fiber ও বলা হয়। এটি শতভাগ নবায়নযোগ্য এবং সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব একটি টেক্সটাইল ফাইবার।
সিনথেটিক ফাইবারের গুণগত মান আর নেচারাল ফাইবারের সুবিধা- উভয়ের এক অসাধারণ সমন্বয় এই কর্ণফাইবার। অন্যান্য পলিএস্টার ফাইবারের তুলনায় এর পানি শোষণ ক্ষমতাও অত্যধিক। কটন আর কর্ণ ব্লেন্ডের মাধ্যমে তৈরি করা পোশাক হয় খুবই হালকা এবং উন্নতমানের।
সিনথেটিক ফাইবারের গুণগত মান আর নেচারাল ফাইবারের সুবিধা- উভয়ের এক অসাধারণ সমন্বয় এই কর্ণফাইবার। অন্যান্য পলিএস্টার ফাইবারের তুলনায় এর পানি শোষণ ক্ষমতাও অত্যধিক। কটন আর কর্ণ ব্লেন্ডের মাধ্যমে তৈরি করা পোশাক হয় খুবই হালকা এবং উন্নতমানের।
প্লেইন ফেব্রিক, ওয়েফট নিট ফেব্রিক, ওভেন ফেব্রিক তৈরিতে কর্ণফাইবারের জুড়ি নেই। এগুলো থেকে তৈরি করা হচ্ছে টি-শার্ট, শার্ট, জার্সি, ডুভেট জ্যাকেট থেকে শুরু করে নানা ধরণের টেক্সটাইল প্রোডাক্ট। এছাড়া, প্লাস্টিক আর প্যাকিং ইন্ডাস্ট্রিতে কর্ণফাইবারের ব্যবহার অনন্য। বিশ্বের প্রথম তিনটি ভুট্টা উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চায়না এবং ব্রাজিল। আমাদের অতিপরিচিত জনপ্রিয় ব্র্যান্ড Armani-এর অনেক পোশাক তৈরি হয় PLA fiber থেকে। এছাড়া, ইটালিয়ান ফ্যাশন ব্র্যান্ড Diesel, Versace, Franco Francesca, যুক্তরাষ্ট্রের Kei Kagami, REI-এরা কর্ণফাইবার ব্যবহার করে অনেক পোশাক তৈরি করছে। ইউএস, জাপান, ইউরোপের মার্কেটগুলোতে এসব পোশাকের ব্যবসা এখন চোখে পড়বার মত। অর্থাৎ, কর্ণফাইবারের পোশাকগুলো ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক সাফল্যের দেখা পেয়েছে।
কর্ণফাইবারের তৈরি পোশাকের গ্রহণযোগ্যতা এত বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে যে কারণ গুলো রয়েছে:
-সহজেই যত্ন নেয়া যায়, তাড়াতাড়ি শুকায় এবং আয়রনিং এর দরকার হয়না।
-কাপড়ে সহজে ভাঁজ পড়েনা, shrink resistance অত্যধিক।
-ময়েশ্চার শোষণ ক্ষমতা চমৎকার।
-ফাইবারগুলো খুব চকচকে এবং উজ্জ্বল হয়।
-আলট্রা ভায়োলেট রে থেকে রক্ষা করতে সক্ষম।
-ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকের আক্রমণ প্রতিহত করে, ফলে কাপড় দীর্ঘদিন ভালো থাকে এবং ঘামের দুর্গন্ধও প্রতিরোধ হয়।
-dyeability ভালো, ডিসপার্স ডায়িং এর মাধ্যমে হালকা ও গাঢ়ো রঙের শেড দিয়ে আকর্ষণীয় কাপড় তৈরি করা যায়।
-জুট ফাইবারের মত কর্ণফাইবারও সম্পূর্ণ রূপে ডিগ্রেডেবল।
-বার্ষিক ভাবে পুরোপুরি নবায়নযোগ্য।
এই ফাইবারের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে এটির উৎপাদন প্রক্রিয়া খনিজ সম্পদের উপর খুব একটা নির্ভরশীল নয়। পাশাপাশি, অন্যান্য ফাইবার প্রোডাকশনের তুলনায় ৬০-৮০% কম গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমন করে।
কর্ণফাইবারের তৈরি পোশাকের গ্রহণযোগ্যতা এত বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে যে কারণ গুলো রয়েছে:
-সহজেই যত্ন নেয়া যায়, তাড়াতাড়ি শুকায় এবং আয়রনিং এর দরকার হয়না।
-কাপড়ে সহজে ভাঁজ পড়েনা, shrink resistance অত্যধিক।
-ময়েশ্চার শোষণ ক্ষমতা চমৎকার।
-ফাইবারগুলো খুব চকচকে এবং উজ্জ্বল হয়।
-আলট্রা ভায়োলেট রে থেকে রক্ষা করতে সক্ষম।
-ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকের আক্রমণ প্রতিহত করে, ফলে কাপড় দীর্ঘদিন ভালো থাকে এবং ঘামের দুর্গন্ধও প্রতিরোধ হয়।
-dyeability ভালো, ডিসপার্স ডায়িং এর মাধ্যমে হালকা ও গাঢ়ো রঙের শেড দিয়ে আকর্ষণীয় কাপড় তৈরি করা যায়।
-জুট ফাইবারের মত কর্ণফাইবারও সম্পূর্ণ রূপে ডিগ্রেডেবল।
-বার্ষিক ভাবে পুরোপুরি নবায়নযোগ্য।
এই ফাইবারের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে এটির উৎপাদন প্রক্রিয়া খনিজ সম্পদের উপর খুব একটা নির্ভরশীল নয়। পাশাপাশি, অন্যান্য ফাইবার প্রোডাকশনের তুলনায় ৬০-৮০% কম গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমন করে।
কর্ণফাইবারের এতসব অসাধারণ বৈশিষ্ট্য থাকা সত্বেও এর কিছু ড্র-ব্যাক রয়েছে। এর abrasion resistance(ঘষা লেগে ছিড়ে যাওয়া প্রতিরোধ করবার ক্ষমতা) কম বলে দড়ি কিংবা কার্পেট তৈরিতে কর্ণফাইবার ব্যবহার হয়না। আরেকটি ড্র-ব্যাক হল এই ফাইবার তুলনামূলকভাবে কম তাপমাত্রায় গলে যায়।
কর্ণফাইবারের যতসব গুণাবলি রয়েছে তার হাতেগোনা মাত্র কয়েকটির প্রয়োগ টেক্সটাইল সেক্টরে ঘটানো হয়েছে। তার মানে, কর্ণফাইবার থেকে নতুন আরো অনেক কিছু করা যেতে পারে। উন্নত দেশগুলোতে জেনেটিকালি মোডিফাইড কর্ণ নিয়ে গবেষণা চলছে। সুতরাং হলফ করেই বলা যায়, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই কর্ণফাইবার টেক্সটাইল ইন্ড্রাস্টির বিশাল একটা জায়গা দখল করে নেবে। টেক্সটাইল বিশ্বের এক নতুন বিবর্তন এই কর্ণফাইবার। বাংলাদেশেও এখন ভুট্টার চাষ হচ্ছে উল্লেখযোগ্য ভাবে, তবে তা শুধুমাত্রই ফুড পারপাসে। আমাদের দেশে কাঁচামালের সহজলভ্যতা যেহেতু দিনকে দিন কমেই চলেছে, তাই একটিবারের জন্য হলেও বিকল্প হিসেবে কর্ণফাইবারের কথা ভেবে দেখা যেতে পারে।
কর্ণফাইবারের যতসব গুণাবলি রয়েছে তার হাতেগোনা মাত্র কয়েকটির প্রয়োগ টেক্সটাইল সেক্টরে ঘটানো হয়েছে। তার মানে, কর্ণফাইবার থেকে নতুন আরো অনেক কিছু করা যেতে পারে। উন্নত দেশগুলোতে জেনেটিকালি মোডিফাইড কর্ণ নিয়ে গবেষণা চলছে। সুতরাং হলফ করেই বলা যায়, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই কর্ণফাইবার টেক্সটাইল ইন্ড্রাস্টির বিশাল একটা জায়গা দখল করে নেবে। টেক্সটাইল বিশ্বের এক নতুন বিবর্তন এই কর্ণফাইবার। বাংলাদেশেও এখন ভুট্টার চাষ হচ্ছে উল্লেখযোগ্য ভাবে, তবে তা শুধুমাত্রই ফুড পারপাসে। আমাদের দেশে কাঁচামালের সহজলভ্যতা যেহেতু দিনকে দিন কমেই চলেছে, তাই একটিবারের জন্য হলেও বিকল্প হিসেবে কর্ণফাইবারের কথা ভেবে দেখা যেতে পারে।
কালেক্টেড পোষ্ট
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন