টেক্সটাইল স্টুডেন্টরা নিজেদের প্রস্তুত করবেন কি ভাবে, জেনে নিন - Textile Lab | Textile Learning Blog
Textile Engineering হচ্ছে মেকানিক্যাল ইঞ্জিঃ এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিঃ এর সমন্বয়ে গঠিত প্রায়োগিক বিজ্ঞানের একটি বিষয়। আমাদের দেশে এই বিষয় এর উপর বি এস সি এবং এম এস সি (নতুন) কোর্স চালু রয়েছে। আমরা এবং আমাদের ভার্সিটি গুলোতে চিরায়ত পদ্ধতিতে পাঠ দান পদ্ধতি চালু রয়েছে কিন্তু আমাদেরকে এর বাইরে বেরিয়ে এসে উন্নত বিশ্বের ভারসিটিগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে পরাশুনা করতে হবে। নীচে একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিঃ স্টুডেন্ট কিভাবে একজন ভাল ইঞ্জিঃ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে তা নিয়ে আলকপাত করার চেষ্টা করা হলঃ

১. প্রথমে নিজেকে প্রশ্ন করুন কেন আপনি এই বিষয়ে পড়তে আগ্রহী হয়েছেন? যথার্থ উত্তর খোঁজার চেষ্টা করুন। যদি আপনার উত্তর হয়- বাবা- মার ইচ্ছায় / কোন যুক্তিহীন চাহিদার কথা ভেবে। তবে ভুলে যান টেক্সটাইল কে। আপনার ক্যারিয়ার আপনার হাতে, আপনার চেষ্টায়, আর কারো নয়।
একজন টেক্সটাইল স্টুডেন্ট হিশেবে আপনাকে জানতে হবে টেক্সটাইল এবং গারমেন্টস কি? ধারনা থাকেতে হবে টেক্সটাইলের লোকাল এবং বিশ্ববাজার সম্পর্কে। একজন বাংলাদেশী টেক্সটাইল স্টুডেন্ট হিসেবে আপনাকে জানতে হবে বাংলাদেশে টেক্সটাইলের ভবিষ্যত কেমন বা এর অতীত ঐতিহ্য ই বা কি ছিল। আর যদি আপনি টেক্সটাইল এ দ্বিধান্বিত হয়ে ভর্তি হয়ে ই থাকেন তবে বলব প্রথমে নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন, টেক্সটাইল সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন, আত্ম বিশ্বাস বাড়ান।

টেক্সটাইল জ্ঞানের পাশাপাশি আপনার যা জানা দরকারঃ

ক.ইংলিশ স্পিকিং এন্ড রাইটিং।

খ. কম্পিউটার স্কিল- এম এস অফিস, ইন্টারনেট ব্রাউসিং।

গ. ফটোশপ, ইলুসট্রেটোর, অটো কেড

প্রথম দুটি তে অবশ্যই আপনাকে পারদর্শী হতে হবে, পরের গুলো জানা থাকলে আপনি কিছু বাড়তি সুবিধা পাবেন।
ইংরেজিতে দক্ষ আপনি একদিনে হতে পারবেন না, এ জন্য সবচেয়ে ভাল হবে বন্ধুরা মিলে ইংলিশ এর চর্চা করা মানে কথা বলা।

২. টেক্সটাইল ইনডাস ট্রিতে  একজন ইঞ্জিঃ এর কাজ কি হবে ? এর সবচেয়ে যথার্থ উত্তরটি দিতে পারবেন আপনার ডিপার্টমেন্ত  ফেকালটি এবং সিনিয়র রা।
জানার  চেষ্টা করুন দেশের মোট টেক্সটাইল ইন্ডঃ- স্পিনিং, ও্যেভিং, গার্মেন্টস এর সংখ্যা, আরও জানতে পারেন প্রান্তিক হ্যান্ডলুম এর ব্যাবহার সম্পর্কে, জানতে পারেন এই সেক্টর এর রপ্তানির পরিমান, রপ্তানিতে বাংলাদেশ কত তম, এই সেক্টর এর কোন দিকটা তে দুরবলতা রয়েছে কোন দিক তা তে শক্তিশালী ইত্তাদি ইত্যাদি। আরও জানতে দৈনিক পত্রিকাগুলর পাতায় চোখ রাখতে পারন, বিশেষজ্ঞদের মতামত গুলো শোনার চেষ্টা করুন।

জানার চেষ্টা করুন ভাল ভাল ইনডাঃ সম্পর্কে, তারা যে সব বায়ার এর জন্য গার্মেন্টস তৈরি করে তাদের সম্পর্কে, প্রয়জনে তাদের ওয়েব সাইট গুলাতে চোখ রাখতে পারেন।
আরও জানার চেষ্টা করুন বিশ্বের নামি-দামি ব্র্যান্ড এবং তাদের অরিজিন সম্পর্কে জানতে, ইউরোপ, আমেরিকা , মদ্ধপ্রাচ্চে বাংলাদেশী পন্নের বাজার সম্পর্কে ।
নিয়মিত চোখ রাখতে পারেন ইন্ডাঃ গুলোর ওয়েবসাইট গুলোতে...
সবচেয়ে ভাল যদি ইন্ডাঃ ভিজিট এ যেতে পারেন, সমন্বয় ঘটাতে পারেন আপনার তাত্তিক জ্ঞান এর সাথে ব্যাবহারিক জ্ঞানের।

বোঝার চেষ্টা করুন কোন দিক গুলো সম্পর্কে ব্যাপক জানা দরকার ।
টেক্সটাইল বিষয়ক সেমিনার এবং এক্সইভিশান গুলোতে অংশগ্রহণ করতে, বন্ধুমহলে আলোচনা করতে পারেন নিজেদের মত করে।



৩. ব্যাবহারিক ক্লাস গুলোতে সর্বাধিক মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করুন। আনন্দের সাথে পড়ার চেষ্টা করুন। শুধুমাত্র রেজাল্ট ভাল করার জন্য না পড়ে জানার জন্য পরুন। পড়ার মাঝে আনন্দ খোঁজার চেষ্টা করুন। একডেমিক সিলেবাস এর উপর নির্ভর না করে এর বাইরে আরও জানার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন আপনার ক্যারিয়ার নির্ভর করে আপনার আহরিত জ্ঞানের উপর সি জি পি এর উপর নয়।

একজন টেক্সটাইল স্টুডেন্ট হিসাবে আপনাকে মনে রাখতে হবে * একতাই বল * নিজেকে পরিচিত করে তুলুন, সিনিয়র দের শ্রদ্ধা করুন- নিয়মিত জগাজগ রাখুন, শিক্ষক দের সাথে শোভনীয় আচরণ করুন, শ্রদ্ধা করুন । ভার্সিটির টেক্সটাইল ক্লাব বা অন্য ক্লাব এ যোগদান করুন। নিজের জড়তা গুলো নিয়ে সহপাঠী বা সিনিয়র দের সাথে আলোচনা করুন।

-  হাতের নাগালে থাকা টেক্সটাইল পন্ন গুলোর গঠন বোঝার চেষ্টা করুন।
- নিজের দেখা বা ল্যাব এ থাকা মেশিন এর গঠন বোঝার চেষ্টা করুন।
- জব মার্কেট মানে আপনি কোন ডিপার্টমেন্ত এ ভাল করবেন তা বোঝার চেষ্টা করুন।
- ক্যারিয়ার গোল অনুযায়ী মেজোর সাবজেক্ট নির্ধারণ করুন।
- ইন্ডাঃ তে কাজের পরিবেশ কেমন হবে জানার চেষ্টা করুন, নিজেকে ওইভাবে তৈরি করুন।

- ধৈর্য ধরুন বিশ্বাস রাখুন, অল্পতেই চাকরি নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন না।


-  নিজের পারসোনালিটির পরিবর্তন করে কাজের উপযোগী হিসেবে নিজেকে গরে তুলুন।
ও আরও একটা কথা- আপনার গ্রাজুএশান এর শেষে্র দিকে আপনি যখন ইন টার্ন শিপ এর জন্য কোন ইন্ডাঃ তে যাবেন সেখানে অবশ্যই শোভনীয় আচরণ, ফরমাল পোশাক, জানার আগ্রহী একজন শিক্ষনবিশ এর মত আচরণ করবেন। মনে রাখবেন আপনি আপনাকে এবং আপনার ভার্সিটিকে রি-প্রেজেন্ত করছেন। আপনার কোন ভুলের কারনে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ওই ইন্ডাঃ তে আপনার ভার্সিটির জুনিওরদের ইন্টার্ন ার সুযোগ।
সকল টেক্সটাইল শিক্ষার্থীদের জন্য রইল শুভ কামনা।

*এগিয়ে যাবে টেক্সটাইল এগিয়ে নেব আমরা এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ*

কার্টেসি - বাবু






টেক্সটাইল স্টুডেন্টরা নিজেদের প্রস্তুত করবেন কি ভাবে, জেনে নিন

Textile Engineering হচ্ছে মেকানিক্যাল ইঞ্জিঃ এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিঃ এর সমন্বয়ে গঠিত প্রায়োগিক বিজ্ঞানের একটি বিষয়। আমাদের দেশে এই বিষয় এর উপর বি এস সি এবং এম এস সি (নতুন) কোর্স চালু রয়েছে। আমরা এবং আমাদের ভার্সিটি গুলোতে চিরায়ত পদ্ধতিতে পাঠ দান পদ্ধতি চালু রয়েছে কিন্তু আমাদেরকে এর বাইরে বেরিয়ে এসে উন্নত বিশ্বের ভারসিটিগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে পরাশুনা করতে হবে। নীচে একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিঃ স্টুডেন্ট কিভাবে একজন ভাল ইঞ্জিঃ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে তা নিয়ে আলকপাত করার চেষ্টা করা হলঃ

১. প্রথমে নিজেকে প্রশ্ন করুন কেন আপনি এই বিষয়ে পড়তে আগ্রহী হয়েছেন? যথার্থ উত্তর খোঁজার চেষ্টা করুন। যদি আপনার উত্তর হয়- বাবা- মার ইচ্ছায় / কোন যুক্তিহীন চাহিদার কথা ভেবে। তবে ভুলে যান টেক্সটাইল কে। আপনার ক্যারিয়ার আপনার হাতে, আপনার চেষ্টায়, আর কারো নয়।
একজন টেক্সটাইল স্টুডেন্ট হিশেবে আপনাকে জানতে হবে টেক্সটাইল এবং গারমেন্টস কি? ধারনা থাকেতে হবে টেক্সটাইলের লোকাল এবং বিশ্ববাজার সম্পর্কে। একজন বাংলাদেশী টেক্সটাইল স্টুডেন্ট হিসেবে আপনাকে জানতে হবে বাংলাদেশে টেক্সটাইলের ভবিষ্যত কেমন বা এর অতীত ঐতিহ্য ই বা কি ছিল। আর যদি আপনি টেক্সটাইল এ দ্বিধান্বিত হয়ে ভর্তি হয়ে ই থাকেন তবে বলব প্রথমে নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন, টেক্সটাইল সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন, আত্ম বিশ্বাস বাড়ান।

টেক্সটাইল জ্ঞানের পাশাপাশি আপনার যা জানা দরকারঃ

ক.ইংলিশ স্পিকিং এন্ড রাইটিং।

খ. কম্পিউটার স্কিল- এম এস অফিস, ইন্টারনেট ব্রাউসিং।

গ. ফটোশপ, ইলুসট্রেটোর, অটো কেড

প্রথম দুটি তে অবশ্যই আপনাকে পারদর্শী হতে হবে, পরের গুলো জানা থাকলে আপনি কিছু বাড়তি সুবিধা পাবেন।
ইংরেজিতে দক্ষ আপনি একদিনে হতে পারবেন না, এ জন্য সবচেয়ে ভাল হবে বন্ধুরা মিলে ইংলিশ এর চর্চা করা মানে কথা বলা।

২. টেক্সটাইল ইনডাস ট্রিতে  একজন ইঞ্জিঃ এর কাজ কি হবে ? এর সবচেয়ে যথার্থ উত্তরটি দিতে পারবেন আপনার ডিপার্টমেন্ত  ফেকালটি এবং সিনিয়র রা।
জানার  চেষ্টা করুন দেশের মোট টেক্সটাইল ইন্ডঃ- স্পিনিং, ও্যেভিং, গার্মেন্টস এর সংখ্যা, আরও জানতে পারেন প্রান্তিক হ্যান্ডলুম এর ব্যাবহার সম্পর্কে, জানতে পারেন এই সেক্টর এর রপ্তানির পরিমান, রপ্তানিতে বাংলাদেশ কত তম, এই সেক্টর এর কোন দিকটা তে দুরবলতা রয়েছে কোন দিক তা তে শক্তিশালী ইত্তাদি ইত্যাদি। আরও জানতে দৈনিক পত্রিকাগুলর পাতায় চোখ রাখতে পারন, বিশেষজ্ঞদের মতামত গুলো শোনার চেষ্টা করুন।

জানার চেষ্টা করুন ভাল ভাল ইনডাঃ সম্পর্কে, তারা যে সব বায়ার এর জন্য গার্মেন্টস তৈরি করে তাদের সম্পর্কে, প্রয়জনে তাদের ওয়েব সাইট গুলাতে চোখ রাখতে পারেন।
আরও জানার চেষ্টা করুন বিশ্বের নামি-দামি ব্র্যান্ড এবং তাদের অরিজিন সম্পর্কে জানতে, ইউরোপ, আমেরিকা , মদ্ধপ্রাচ্চে বাংলাদেশী পন্নের বাজার সম্পর্কে ।
নিয়মিত চোখ রাখতে পারেন ইন্ডাঃ গুলোর ওয়েবসাইট গুলোতে...
সবচেয়ে ভাল যদি ইন্ডাঃ ভিজিট এ যেতে পারেন, সমন্বয় ঘটাতে পারেন আপনার তাত্তিক জ্ঞান এর সাথে ব্যাবহারিক জ্ঞানের।

বোঝার চেষ্টা করুন কোন দিক গুলো সম্পর্কে ব্যাপক জানা দরকার ।
টেক্সটাইল বিষয়ক সেমিনার এবং এক্সইভিশান গুলোতে অংশগ্রহণ করতে, বন্ধুমহলে আলোচনা করতে পারেন নিজেদের মত করে।



৩. ব্যাবহারিক ক্লাস গুলোতে সর্বাধিক মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করুন। আনন্দের সাথে পড়ার চেষ্টা করুন। শুধুমাত্র রেজাল্ট ভাল করার জন্য না পড়ে জানার জন্য পরুন। পড়ার মাঝে আনন্দ খোঁজার চেষ্টা করুন। একডেমিক সিলেবাস এর উপর নির্ভর না করে এর বাইরে আরও জানার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন আপনার ক্যারিয়ার নির্ভর করে আপনার আহরিত জ্ঞানের উপর সি জি পি এর উপর নয়।

একজন টেক্সটাইল স্টুডেন্ট হিসাবে আপনাকে মনে রাখতে হবে * একতাই বল * নিজেকে পরিচিত করে তুলুন, সিনিয়র দের শ্রদ্ধা করুন- নিয়মিত জগাজগ রাখুন, শিক্ষক দের সাথে শোভনীয় আচরণ করুন, শ্রদ্ধা করুন । ভার্সিটির টেক্সটাইল ক্লাব বা অন্য ক্লাব এ যোগদান করুন। নিজের জড়তা গুলো নিয়ে সহপাঠী বা সিনিয়র দের সাথে আলোচনা করুন।

-  হাতের নাগালে থাকা টেক্সটাইল পন্ন গুলোর গঠন বোঝার চেষ্টা করুন।
- নিজের দেখা বা ল্যাব এ থাকা মেশিন এর গঠন বোঝার চেষ্টা করুন।
- জব মার্কেট মানে আপনি কোন ডিপার্টমেন্ত এ ভাল করবেন তা বোঝার চেষ্টা করুন।
- ক্যারিয়ার গোল অনুযায়ী মেজোর সাবজেক্ট নির্ধারণ করুন।
- ইন্ডাঃ তে কাজের পরিবেশ কেমন হবে জানার চেষ্টা করুন, নিজেকে ওইভাবে তৈরি করুন।

- ধৈর্য ধরুন বিশ্বাস রাখুন, অল্পতেই চাকরি নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন না।


-  নিজের পারসোনালিটির পরিবর্তন করে কাজের উপযোগী হিসেবে নিজেকে গরে তুলুন।
ও আরও একটা কথা- আপনার গ্রাজুএশান এর শেষে্র দিকে আপনি যখন ইন টার্ন শিপ এর জন্য কোন ইন্ডাঃ তে যাবেন সেখানে অবশ্যই শোভনীয় আচরণ, ফরমাল পোশাক, জানার আগ্রহী একজন শিক্ষনবিশ এর মত আচরণ করবেন। মনে রাখবেন আপনি আপনাকে এবং আপনার ভার্সিটিকে রি-প্রেজেন্ত করছেন। আপনার কোন ভুলের কারনে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ওই ইন্ডাঃ তে আপনার ভার্সিটির জুনিওরদের ইন্টার্ন ার সুযোগ।
সকল টেক্সটাইল শিক্ষার্থীদের জন্য রইল শুভ কামনা।

*এগিয়ে যাবে টেক্সটাইল এগিয়ে নেব আমরা এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ*

কার্টেসি - বাবু






কোন মন্তব্য নেই: