গার্মেন্টস আইটেম বাংলাদেশের বাহিরে পাঠানোর কুরিয়ার কস্ট এবং নিয়ম
ইন্টারন্যাশনাল কুরিয়ার সার্ভিস:
ধরি আপনি কিছু গার্মেন্টস আইটেম অথবা গিফট আইটেম বাংলাদেশের বাহিরে পাঠাবেন। সেটার ভলিউমেট্রিক ওয়েট হচ্ছে ১০০ কেজির মধ্যে।
ভলিউমেট্রিক ওয়েট হচ্ছে পার্সেলের দৈর্ঘ্য গুন প্রস্থ গুন উচ্চতা ভাগ ৫০০০।
যেমন ধরি যে কোন একটা পার্সেল যেটার
দৈর্ঘ্য ২০ সেন্টিমিটার,
প্রস্থ ২৫ সেন্টিমিটার,
উচ্চতা ৩০ সেন্টি মিটার।
তাহলে ওটার ভলিউমেট্রিক ওয়েট হচ্ছে ২০ X ২৫ X ৩০ = ১৫০০০ / ৫০০০ = পার্সেলটার ওজন হবে ৩.০ কেজি।
এখানে আরও উল্লেখ্য যে ভলিউমেট্রিক ওয়েট ও একচুয়াল ওয়েট (যেটা ওজন দিয়ে মাপা হয়) এর মধ্যে যেটা বেশি হবে, কুরিয়ার সার্ভিস সেটাকেই কাউন্ট করবে।
এখন ধরি আপনি বাংলাদেশের বাহিরে ফ্রান্সে একটা পার্সেল অথবা কোন গিফট আইটেম অথবা কোন ডকুমেন্ট পাঠাবেন। ওয়েট ০.৫ কেজি থেকে ১০০.০ কেজির মধ্যে যে কোন একটা। আপনি যারা ইন্টারন্যাশনাল ডিল করে তাদের মাধ্যমে সহজে পাঠাতে পারবেন। যেমন DHL, FedEx, TNT, Aramex, OCS, UPS আরও অনেক কোম্পানি আছে।
এই সব কোম্পানি ওয়ার্ল্ডের যে কোন প্রান্তে সর্বোচ্চ ৪ বিসনেজ ডে এর মধ্যে আপনার পার্সেল ডেলিভারি করবে। খুব দ্রুত পণ্য পাঠানোর জন্য এই কুরিয়ার সার্ভিসই বেষ্ট ওয়ে। আর এদের রেটও সেই রকম হয়। জাস্ট ধারনা দেয়ার জন্য বলছি, আপনার ১০ কেজি পার্সেল ইউরোপের যে কোন দেশে পাঠাতে সর্বনিম্ন ১২০.০০ ডলার লাগবে। ওরা আপনার দরজা থেকে পার্সেল কালেক্ট করে ফ্রান্সে কনসাইনির দরজায় গিয়ে ডেলিভারি করবে। তাই এটাকে বলে ডোর-টু-ডোর সার্ভিস।
এয়ার ফ্রেইট সার্ভিস:
এখন ধরি আপনার পার্সেলের ওয়েট +১০০.০ থেকে ৫০০.০ কেজি। এই ক্ষেত্রে পণ্য পাঠানোর ভালো মাধ্যম হল ফ্রেইট সার্ভিস। ধরি আপনি ৩০০০ পিস টী-শার্ট যার ওয়েট হল ৫০০ কেজি এবং আপনি ফ্রান্স, প্যারিসে পাঠাবেন।
আপনার নমিনেট ফ্রেইট ফরওয়ার্ডর আপনার পয়েন্ট থেকে পণ্য নিয়ে প্যারিস এয়ারপোর্ট যার কোড নেম হচ্ছে ‘সিডিজি’ সেখানে পাঠাবে। সেখান থেকে কনসাইনি তার পণ্য নিয়ে নিবে। এই সার্ভিসটা হচ্ছে ডোর-টু-এয়ারপোর্ট সার্ভিস বা এয়ারপোর্ট-টু-এয়ারপোর্ট সার্ভিস। সময় ৪-৫ বিসনেস ডে লাগে। ঢাকা টু প্যারিস রেট পরে কেজি প্রতি প্রায় ৩.০০ ডলার এর মত। নিচে এয়ার ফ্রেইট বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের মেম্বার লিস্ট দেয়া হল।
ওশান ফ্রেইট:
মানে সমুদ্র পথে পণ্য পাঠানো। আপনি মিনিমাম ৫০০ কেজি থেকে টন টন কেজি পর্যন্ত পণ্য যে কোন প্রান্তে পাঠাতে পারবেন। এর দুইটি প্রডাক্ট লাইন আছে।
১) এল.সি.এল, মানে হল লেস কন্টেইনার লোড। আপনরা কাছে পাঠানোর জন্য যতটুকু ওয়েটের প্রডাক্ট আছে সেটা দিয়ে পুরা ১ কন্টেইনার ভরবে না। কিন্তু পাঠাতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি এল.সি.এল ফরমেট ব্যবহার করবেন।
২) এফ.সি.এল, মানে ফুল কন্টেইনার লোড। এই ক্ষেত্রে আপনার যত কন্টেইনার লাগে ততটা নিবেন। এই ওশান ফ্রেইটে আমি ডোর-টু-ডোর, ডোর-ট-পোর্ট ও পোর্ট-টু-পোর্ট ৩ ফরমেটের যেটা আপনার জন্য ভালো সেটা ব্যবহার করতে পারবে। আমি দুঃখিত, এটার রেট নিয়ে আমার কোন ধারনা নেই তবে সেটা প্রডাক্ট ওয়েট অনুযায়ী অনেক কম বাই এয়ার এর চেয়ে।
আশা করি উপরের লেখাটা আপনাদের কোন উপকারে আসবে। এই নিয়ে আরো কিছু জানতে চাইলে বা প্রশ্ন থাকলে নিঃসংকোচে কমেন্টে জানাতে পারেন।
লেখক। রউফ উল আলম।
২টি মন্তব্য:
বাই সি রেট টা জানতে পারলে ভাল হইত
আসসালামু আলাইকুম। ভাই আমি বাংলাদেশ থেকে মালামাল বাহিরে পাঠাতে চাই এবং বাহির থেকেও কিছু পণ্য আনতে চাই তারজন্য আমাকে কি করতে হবে? বিষয়টা জানালে বড়ই উপকৃত হবে।
জীবন
০১৫৭১৪১৪৪৯৩
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন