স্টেনটার মেশিন চালানোর নিয়মঃ
১. কন্ট্রোল প্যানেলের হাতলের মত একটা পার্টস ১৮০ ডিগ্রী থাকলে মেশিন অন করা হয়, এটা টোটাল প্যানেল মটরের পাওয়ার দেয়।
২. মেশিনের পাওয়ার দেয়া হয়ে গেলে চাবি দিয়ে মেশিন রান দেয়ার জন্য রেডি করা হয়, চাবি দিলে মনিটরের প্রোগাম চালু হবে ।
৩. প্রথমে মেশিনের এক্সোস্ট মটর চালু হবে
৪. বার্নার সেটিং দিতে হবে ১০ টা
৩. আপনার ব্রুকনার স্টেনটার হলে তার এক্সোস্ট মটর চালু করা লাগবে শুরুতে এক্সোস্ট মটর চালু না করলে বার্নার বা ব্লোয়ার কোনটাই চলবে না , এক্সোস্ট মটর দুটা এটা রেসিডিউয়াল ময়েসচার দূর করে দেয় । এর এয়ার ফ্লো ৫০-৬০% করে রাখতে হয় । তবে হটি সেটের সময় টেম্পারেচার বেশি হলে ধোয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তখন একে ৮০% ফ্লো দেয়া হয় । এর সেটিং মনিটরে দেয়া হয়।
৪. এক্সোস্ট চালু দেয়ার পরে চালু দিতে হবে ব্লোয়ার ভেতরের এয়ার ফ্লো না হলে বার্নার চালু হবে না , ব্লোয়ারের এয়ার ফ্লো ওভেন ক্লিপ স্টেনটার হলে ৭৫-৮০% ফ্লো দেয়া যাবে নীটের জন্য ৫০% এর বেশি হলে ফেব্রিক পিন থেকে খুলে যাবে এর উপরের নজেলের ফ্লো ৫০% আর নিচের নজেলের ফ্লো ৪০% করে দিতে হবে না হয় নিচে বেশি হলে ফেব্রিক খুলে যাবে।
৫. এখন কাজ হচ্ছে বার্নারের টেম্পারেচার সেটিং দেয়া সিংগেল বার্নার হলে আপনার ৭ চেম্বারে ১৪ টি বার্নার থাকবে আপনি প্রসেস অনুযায়ী আপনার টেম্পারেচার সেট করে নিতে পারেন প্রতিটা চেম্বার এবং বার্নারে।
ইউটিলিটি এয়ার ৩ কেজি
স্টেনটার মেশিন পরিচালনার জন্য কিছু সেটিং জেনে রাখা জরুরী :
১. ওভেন কাপড় এর জন্য ব্লোয়ার % রাখতে হবে ৭৫% উপরে এবং নিচে।
২. নীট কাপড় এর জন্য ব্লোয়ার % উপরে ৭৫% নিচে ৬০%।
৩. বার্নার আর ব্লোয়ার আর এক্সজোস্ট একে অন্যের সাথে সম্পর্কিত, মেশিন অফ এর সময় আগে অফ করতে হবে বার্নার পরে ব্লোয়ার তার পর এক্সজস্ট। চালু করার সময় আগে এক্সজোস্ট, পরে বার্নার তার পর ব্লোয়ার।
৪. প্রতিবার মেশিন এর ওয়েলিং করার জন্য ১৫ মিনিট করে সময় লাগে, প্রতি সকালে বা মনিটরে নোটিফিকেশন শো করলে মেশিন চেইন ওয়েলিং করে নিতে হয়।
৫. স্টেনটার কে দুই ভাগে ভাগ করা হয় এক ফ্রন্ট জোন (ওভারফিড রোলার থেকে ডেলিভারি প্লেটার পর্যন্ত) আর ব্যাক জোন হলো টেক আর রোলার থেকে ওয়েফট স্ট্রেইটেনার পর্যন্ত। দুই জোন আলাদা ভাবে কোন্ট্রোল করা যায়।
৬. প্যাডার প্রেশার এর মিটারে দেখবেন ১-৬ পর্যন্ত কাটা আছে আমরা সাধারনত ব্যাবহার করি ৩ আর কমানো লাগলে ২.৫ ব্যাবহার করি। এটাই কমন সেটিং।
৭. প্রতিটা ফেব্রিক এর বোইং ঠিক করার জন্য ওয়েফট স্ট্রেইটেনার ব্যাবহার হয়, তবে ইয়ার্ন ডাইড ফেব্রিক এর জন্য এর ব্যাবহার ক্রা মাস্ট।
৮. টেম্পারেচার নির্ভর করে ফেব্রিক টাইপ আর কালার এর উপর যেমন হোয়াইট, ডার্ক, ফ্লোরোসেন্ট, হিট সেটিং।
৯. টেম্পারেচার আর ময়েসচার ডিটেকশন এর জন্য পেলিভা ডিভাইস এবং সেন্সর থাকে।
১০. চেম্বার থাকে জোড় সংখক ১ আর ৮ এর তাপমাত্রা থাকে তুলনামূলক কম।
১১. প্রতিটা চেম্বার এর লেন্থ ৩ মিটার করে হয়।
১২. স্টেনটার এর হিটসোর্স গ্যাস বার্নার, বা থার্মাল ওয়েল বেইজইড হয়।
১৩. এর ডায়া সেটিং দিয়ে হয় মিলি মিটারে ইনপুট দিতে হয় কিন্তু আমরা মুখে ইঞ্চি বলি মেশিনে এই ভাবে সেটিং দেয়া হয় যেমন ১৫০০ এখানে প্রতি ১০০ কে ৪ ইঞ্চি করে ভাগ করে নিতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন