দেশের উন্নয়নে টেক্সটাইল ক্যাডার - Textile Lab | Textile Learning Blog
দেশের উন্নয়নে টেক্সটাইল ক্যাডার

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি এখন বস্ত্র খাত। বস্ত্র শিল্পের প্রসারের ফলে বেকার সমস্যার সমাধান ও নারীদের কর্মসংস্থান ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

দেশের জিডিপির সিংহভাগ এই বস্ত্র শিল্প, যা প্রতিবছর বিশাল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসছে। বিশ্বের বুকে "মেড ইন বাংলাদেশ" ট্যাগকে পরিচিত করিয়ে দেওয়া এই বস্ত্র শিল্পের উন্নয়নের জন্য সরকারী বেসরকারী বহু প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে।

টাইল সেক্টরের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক দক্ষ প্রকৌশলী ও কর্মীর দরকার। সেই লক্ষে সরকার তৈরী করেছে বাংলাদেশের একমাত্র সরকারী টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ( বুটেক্স),। এছাড়াও আরো কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্ট থেকে টেক্সটাইল গ্রাজুয়েট হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সরকারী ৬ টি টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজ ও ১৪ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেক্সটাইল গ্রাজুয়েট হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এগুলো থেকে পাশ করে বের হওয়া বস্ত্র প্রকৌশলীরা এ সেক্টরের উন্নয়নে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। অথচ সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কোন টেক্সটাইল প্রকৌশলী না থাকায় সকল সরকারি সুবিধা হতে এ সেক্টরের সাথে জড়িতরা বঞ্চিত হচ্ছে। টেক্সটাইল সেক্টরের উন্নয়রের জন্য যেই বিজনেস পলিসি দরকার, টেক্সটাইল ফ্যাক্টরীগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করে ফ্যাক্টরীর পরিবেশ ও পন্যের উন্নতি সাধন ছাড়াও নানাবিধ উন্নয়নের জন্য টেক্সটাইল গ্রাজুয়েটদের সরকারের উচ্চ পর্যায়ে থাকা দরকার। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) এ ১৩ টি প্রফেশনাল ক্যাডার থাকলেও দেশের অর্থনীতিতে যে সেক্টরটির অবদান ৮৩% এর বেশী অথচ সেই বস্ত্রখাতের প্রকৌশলীদের জন্য কোন ক্যাডার সার্ভিস নেই। বস্ত্র অধিদপ্তরের প্রথম শ্রেনীর গুরুত্বপূর্ণ পদ অভাব বোধ করছে যোগ্য লোকের। সেখানে নেই কোন টেক্সটাইল গ্রাজুয়েট। নেই কোন সঠিক নীতিনির্ধারক।


টেক্সটাইল ক্যাডার হলে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদ গুলোতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের সুযোগ হবে। টেক্সটাইল ক্যাডার হলে বেসরকারী খাতের ইঞ্জিনিয়ারদের ন্যূনতম বেতন কাঠামো নিশ্চিত করা যাবে কেননা সরকারী চাকরিতে প্রারম্ভিক বেতন প্রায় ৩৬,০০০ টাকা। যা বেসরকারী খাতে চাকরি প্রারম্ভিক বেতনের দ্বিগুন। টেক্সটাইল ক্যাডার হলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, কাস্টমস, ইপিবি, পরমাণু শক্তি কমিশন ইত্যাদি) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কারিগরি জ্ঞান কাজে লাগানোর সুযোগ সৃষ্টি হবে। টেক্সটাইল ক্যাডার হলে পাইকারী হারে কথিত বিদেশী বিশেষজ্ঞ আসা ঠেকাতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও কাস্টমসেও টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারদের ব্যাপক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

টেক্সটাইল ক্যাডার না থাকার কারনে টেক্সটাইল গ্রাজুয়েটদের সামাজিক অবহেলার শিকার হতে হয়। যথাযথ সম্মান পাওয়া যায় না। প্রায় ৫.৫ মিলিয়ন লোক কাজ করা এই সেক্টরের উন্নয়নের জন্য টেক্সটাইল ক্যাডার এখন সময়ের দাবী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের পোশাক খাত থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন অর্জনের পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। টেক্সটাইল ক্যাডার চালু না করলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। টেক্সটাইলের উন্নতি তথা দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য টেক্সটাইল ক্যাডার অপরিহার্য।


মবিন রহমান, বাংলাদেশ  টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়
ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকম
প্রকাশিত: ১৯:২৮, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
ডেইলি বাংলাদেশ/এমএইচ

দেশের উন্নয়নে টেক্সটাইল ক্যাডার

দেশের উন্নয়নে টেক্সটাইল ক্যাডার

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি এখন বস্ত্র খাত। বস্ত্র শিল্পের প্রসারের ফলে বেকার সমস্যার সমাধান ও নারীদের কর্মসংস্থান ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

দেশের জিডিপির সিংহভাগ এই বস্ত্র শিল্প, যা প্রতিবছর বিশাল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসছে। বিশ্বের বুকে "মেড ইন বাংলাদেশ" ট্যাগকে পরিচিত করিয়ে দেওয়া এই বস্ত্র শিল্পের উন্নয়নের জন্য সরকারী বেসরকারী বহু প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে।

টাইল সেক্টরের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক দক্ষ প্রকৌশলী ও কর্মীর দরকার। সেই লক্ষে সরকার তৈরী করেছে বাংলাদেশের একমাত্র সরকারী টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ( বুটেক্স),। এছাড়াও আরো কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্ট থেকে টেক্সটাইল গ্রাজুয়েট হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সরকারী ৬ টি টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং কলেজ ও ১৪ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেক্সটাইল গ্রাজুয়েট হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এগুলো থেকে পাশ করে বের হওয়া বস্ত্র প্রকৌশলীরা এ সেক্টরের উন্নয়নে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। অথচ সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কোন টেক্সটাইল প্রকৌশলী না থাকায় সকল সরকারি সুবিধা হতে এ সেক্টরের সাথে জড়িতরা বঞ্চিত হচ্ছে। টেক্সটাইল সেক্টরের উন্নয়রের জন্য যেই বিজনেস পলিসি দরকার, টেক্সটাইল ফ্যাক্টরীগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করে ফ্যাক্টরীর পরিবেশ ও পন্যের উন্নতি সাধন ছাড়াও নানাবিধ উন্নয়নের জন্য টেক্সটাইল গ্রাজুয়েটদের সরকারের উচ্চ পর্যায়ে থাকা দরকার। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) এ ১৩ টি প্রফেশনাল ক্যাডার থাকলেও দেশের অর্থনীতিতে যে সেক্টরটির অবদান ৮৩% এর বেশী অথচ সেই বস্ত্রখাতের প্রকৌশলীদের জন্য কোন ক্যাডার সার্ভিস নেই। বস্ত্র অধিদপ্তরের প্রথম শ্রেনীর গুরুত্বপূর্ণ পদ অভাব বোধ করছে যোগ্য লোকের। সেখানে নেই কোন টেক্সটাইল গ্রাজুয়েট। নেই কোন সঠিক নীতিনির্ধারক।


টেক্সটাইল ক্যাডার হলে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদ গুলোতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের সুযোগ হবে। টেক্সটাইল ক্যাডার হলে বেসরকারী খাতের ইঞ্জিনিয়ারদের ন্যূনতম বেতন কাঠামো নিশ্চিত করা যাবে কেননা সরকারী চাকরিতে প্রারম্ভিক বেতন প্রায় ৩৬,০০০ টাকা। যা বেসরকারী খাতে চাকরি প্রারম্ভিক বেতনের দ্বিগুন। টেক্সটাইল ক্যাডার হলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, কাস্টমস, ইপিবি, পরমাণু শক্তি কমিশন ইত্যাদি) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কারিগরি জ্ঞান কাজে লাগানোর সুযোগ সৃষ্টি হবে। টেক্সটাইল ক্যাডার হলে পাইকারী হারে কথিত বিদেশী বিশেষজ্ঞ আসা ঠেকাতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও কাস্টমসেও টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারদের ব্যাপক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

টেক্সটাইল ক্যাডার না থাকার কারনে টেক্সটাইল গ্রাজুয়েটদের সামাজিক অবহেলার শিকার হতে হয়। যথাযথ সম্মান পাওয়া যায় না। প্রায় ৫.৫ মিলিয়ন লোক কাজ করা এই সেক্টরের উন্নয়নের জন্য টেক্সটাইল ক্যাডার এখন সময়ের দাবী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের পোশাক খাত থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন অর্জনের পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। টেক্সটাইল ক্যাডার চালু না করলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। টেক্সটাইলের উন্নতি তথা দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য টেক্সটাইল ক্যাডার অপরিহার্য।


মবিন রহমান, বাংলাদেশ  টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়
ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকম
প্রকাশিত: ১৯:২৮, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
ডেইলি বাংলাদেশ/এমএইচ

২টি মন্তব্য:

নামহীন বলেছেন...

অবশ্যই টেক্সটাইল ক্যাডার এখন সময়ের দাবি। দ্রুত ক্যাডার চাই।

Unknown বলেছেন...

অামার নামটা ঠিক করেন৷ মাবিন হবে