টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চট্টগ্রাম CTEC - Textile Lab | Textile Learning Blog
বস্ত্র মন্ত্রণালয় পরিচালিত বুটেক্স এর অধীনে বাংলাদেশে ৫ টি সরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে যারা বি.এস.সি ডিগ্রি প্রদান করে থাকে।


সরকারি টেক্সটাইল গুলা হলোঃ 

১) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, জোরারগঞ্জ , মিরসরাই, চট্টগ্রাম।

২) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বেগমগঞ্জ , নোয়াখালী।

৩) পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, শালগাড়িয়া, পাবনা ।

৪) শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সি.এন্ড.বি রোড, বরিশাল।

৫) ঝিনাইদহ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, আড়ুয়াকান্দি, মধুপুর বাজার, সদর, ঝিনাইদহ ।

ধারাবাহিকভাবে ৫ টি টেক্সাটাইল কলেজের পরিচয় এবং ইতিহাস তুলে ধরা হবে। আজকে আমরা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, জোরারগঞ্জ , মিরসরাই, চট্টগ্রাম সম্পর্কে জানবো।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চট্টগ্রাম CTEC

ধরনঃ সরকারী কলেজ

স্থাপিতঃ ২০০৬

শিক্ষার্থীঃ ৩০০

ঠিকানাঃ জোরাগঞ্জ, মিরসরাই, চট্টগ্রাম।, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ

শিক্ষাঙ্গনঃ মিরসরাই, চট্টগ্রাম


ওয়েবসাইটঃ www.ctec.gov.bd






অধিভুক্তিঃ  বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়



ITET Accredited 



ইতিহাসঃ

চট্টগ্রাম জেলার ভিতর অবস্থিত জোরাগঞ্জ হচ্ছে এমন একটি গ্রাম, যা বিস্ময়কর সব প্রাকৃতিক দৃশ্যে পরিপূর্ণ। চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটি জোরাগঞ্জ বাজারের মধ্য দিয়ে অতিক্রমকারী পুরাতন ঢাকা ট্র্যাঙ্ক রোড এর পাশে অবস্থিত। এটি প্রথমে ১৯১১ সালে পেরি প্যাটেটিক বুনন স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। যা ব্রিটিশ রাজত্বকালে স্বদেশী আন্দোলনের ফসল ছিল। একে তারপর ১৯৬০ সালে দেওয়ানপুরের নিকটে অবস্থিত মহুরী প্রোজেক্ট রোডে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৮০ সালে পেরি প্যাটেটিক বুনন স্কুলে টেক্সটাইল প্রযুক্তিতে ২ বছর মেয়াদী সার্টিফিকেট কোর্স চালু করা হয়।




তখন একে বিভাগীয় টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট বলা হত। সময়ের চাহিদা মেটানোর তাগিদে ১৯৯৩ সালে এই ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা হয়। ২০০১ সাল থেকে একে চার বছর মেয়াদী করা হয়। টেক্সটাইল প্রকৌশলীদের উচ্চ চাহিদার কথা বিবেচনা করে ২০০৬-২০০৭ সেশনে টেক্সটাইল ডিপ্লোমা কোর্স বাতিল করে সরকার একে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এর আওতায় নিয়ে টেক্সটাইল প্রকৌশলে চার বছর মেয়াদী বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করে।



চট্টগ্রাম জেলার ভিতর অবস্থিত জোরারগঞ্জ হচ্ছে এমন একটি গ্রাম, যা বিস্ময়কর সব প্রাকৃতিক দৃশ্যে পরিপূর্ণ। চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটি জোরারগঞ্জ বাজারের মধ্য দিয়ে অতিক্রমকারী পুরাতন ঢাকা ট্র্যাঙ্ক রোড এর পাশে অবস্থিত। এটি প্রথমে ১৯১১ সালে পেরি প্যাটেটিক বুনন স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। যা ব্রিটিশ রাজত্বকালে স্বদেশী আন্দোলনের ফসল ছিল।




একে তারপর ১৯৬০ সালে দেওয়ানপুরের নিকটে অবস্থিত মুহুরী প্রোজেক্ট রোডে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৮০ সালে পেরি প্যাটেটিক বুনন স্কুলে টেক্সটাইল প্রযুক্তিতে ২ বছর মেয়াদী সার্টিফিকেট কোর্স চালু করা হয়। তখন একে বিভাগীয় টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট বলা হত। সময়ের চাহিদা মেটানোর তাগিদে ১৯৯৩ সালে এই ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা হয়। ২০০১ সাল থেকে একে চার বছর মেয়াদী করা হয়। টেক্সটাইল প্রকৌশলীদের উচ্চ চাহিদার কথা বিবেচনা করে ২০০৬-২০০৭ সেশনে টেক্সটাইল ডিপ্লোমা কোর্স বাতিল করে সরকার একে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিয়ে আসা হয়। পরে তা টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যায়। ১ম ব্যাচ থেকে ৬ষ্ঠ ব্যাচ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল।




৭ম ব্যাচ থেকে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এর আওতায় নিয়ে টেক্সটাইল প্রকৌশলে চার বছর মেয়াদী বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ৪ টি বিষয়ের উপর বি.এস.সি ডিগ্রি প্রদান করে থাকে। বর্তমানে ক্যাম্পাসটিতে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত বি.এস.সি ১২তম ব্যাচ পর্যন্ত চলমান রয়েছে।  জোরারগঞ্জে ১৭ একর জায়গা জুড়ে ক্যাম্পাসটি বিদ্যমান । গত ১৮ই মে ২০১৮ ইং, BUTEX এ "ITET Membership Accreditation Committee"এর এক জরুরী সভায়   Textile Engineering College হতে পাশকৃত BSc.Textile Engineers গন ITET এর Member হবার যোগ্যতা অর্জন করেন।









ডিপার্টমেন্ট  সমূহ ও সীট সংখ্যাঃ


বর্তমানে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এই কলেজটিতে যেসব বিষয়ে চার বছর মেয়াদী বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু রয়েছেঃ-

১) ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং (YME) - ৩০ টি

২) ফেব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং (FME)- ৩০ টি

৩) ওয়েট প্রোসেসিং ইঞ্জিনিয়ারিং (WPE) -৩০ টি

৪) অ্যাপারেল  ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং (AME ) - ৩০ টি








আবাসিক সুবিধা ও হলঃ

বর্তমানে এই কলেজটিতে ছেলেদের জন্য ২ টি আবাসিক সুবিধা সম্বলিত হল  এবং মেয়েদের জন্য ১ টি আবাসিক সুবিধা সম্বলিত হল রয়েছে।





গ্রন্থাগারঃ

এ কলেজে সুসজ্জিত গ্রন্থাগার আছে। এখানে স্থান পেয়েছে দেশি ও বিদেশী সহস্রাধিক টেক্সটাইল ও সাহিত্য বিষয়ক বই। রয়েছে ধর্মীয়, সায়েন্স ফিকশন ও অন্যান্য জ্ঞান মূলক বই। লাইব্রেরী কার্ড জমাদান সাপেক্ষে যে কেউ প্রয়োজনীয় বই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইস্যু করে নিতে পারে। লাইব্রেরিতে দৈনিক, সাপ্তাহিক পত্রিকার ব্যবস্থা রয়েছে। লাইব্রেরিতে পৃথক পৃথক টেবিলে বসে পুস্তক এবং পত্র পত্রিকা পাঠ করা যায়।



ক্লাব ও সংগঠনঃ
ক্যাম্পাসে একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন সচেতনতা ও সামাজিক সহয়তামূলক সংগঠন রয়েছে ।




সংগঠন গুলো হলোঃ

১) অনিবার্ন -আত্ম-মানবতার সেবাই নিয়োজিত একটি অরাজনৈতিক  সংগঠন যা শিক্ষার্থদের এবং ক্যাম্পাস থেকে অনুদানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। এই সংগঠনটি বিনামূল্যে রক্তদান কর্মসূচীও পালন করে থাকে।

২) ঘাসফড়িং

৩)  ঐকতান (কালচারাল ক্লাব)

৪) সিটেক ক্যারিয়ার ক্লাব

৫) সিটেক ডিবেটিং ক্লাব

৬) সিটেক ইংলিশ ক্লাব

৭)  সিটেক স্পোর্টস ক্লাব



ল্যাব সুবিধাঃ

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, জোরারগঞ্জ ল্যাবের দিক দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ । এইখানে রয়েছে-

১) কটন স্পিনিং শেড

২) জুট স্পিনিং শেড

৩) ইয়ার্ন ম্যানুফেকচারিং ল্যাবরেটরি

৩) ফেব্রিক ম্যানুফেকচারিং ল্যাবরেটরি

৪) ওয়েট প্রসেসিং ল্যাবরেটরি

৪) গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারিং ল্যাবরেটরি

৫) টেস্টিং এন্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবরেটরি

৬) নিটিং ল্যাবরেটরি

৭) ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ

৮) কম্পিউটার ল্যাব

৯) ফিজিক্স এন্ড ক্যামিস্ট্রি ল্যাব










চিটাগাং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আবেদন যোগ্যতাঃ

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.৫০ হতে হবে এবং উচ্চমাধ্যমিকের Phy+Chem+H.Math+Eng=১৫ থাকতে হবে এবং প্রত্যেকটিতে আলাদাভাবে প্রাপ্ত জিপিএ কমপক্ষে ৩.০০ থাকতে হবে।

বিভাগ সমূহঃ

১. ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং

২. ফেব্রিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং

৩. ওয়েট প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ারিং

৪. এ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং

মোট আসন সংখ্যা : ৬০০

ভর্তি পরীক্ষার মানবণ্টনঃ
* পদার্থবিজ্ঞান-৩০
* গণিত- ৩০
* রসায়ন- ৩০
* ইংরেজী- ১০

মোট ১০০ টি প্রশ্ন, প্রতিটি প্রশ্নের মান ২

প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ মার্ক কাটা যাবে

সময়: ৮০ মিনিট ( ক্যালকুলেটর ব্যাবহার করা যাবে না)

মেধাতালিকা নির্ণয়ঃ
ভর্তি পরীক্ষার নম্বর+( SSC*৮+ HSC*১২)
আবেদন ফি: ১০০০ টাকা

ওয়েবসাইট:www.ctec.gov.bd


আগত পরীক্ষার্থীদের যাতায়াত সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য নিম্নে দেওয়া হল:-

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,জোরারগঞ্জ, মিরসরাই ,চট্টগ্রামএ  আসার উপায়:

চট্টগ্রামের বাইরের জেলা থেকেঃ

চট্টগ্রামগামী যেকোন বাস এ উঠলেই হবে, শুধু সুপারভাইজারকে বলতে হবে বারৈয়ারহাট নামিয়ে দিতে,বারৈয়ারহাট থেকে জোরারগঞ্জগামী লোকাল সি,এন,জি অটোরিক্সা পাওয়া যায়,ভাড়া ১০ টাকা, জোরারগঞ্জ নেমে যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই দেখিয়ে দিবে টেক্সটাইলের পথ। তবে বাইরের জেলার শিক্ষার্থীরা আগের দিন থেকেই এখানে অবস্থান করা শ্রেয়।

চট্টগ্রাম শহর থেকে:

চয়েস নামের জোরারগঞ্জগামী ডিরেক্ট বাস মাদারবাড়ী থেকে ছেড়ে অলংকার, এ.কে.খান মোড় হয়ে জোরারগঞ্জ আসে। ভাড়া ৮০ টাকা। সুপারভাইজার কে বলতে হবে জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল কলেজে নামিয়ে দিতে। জোরারগঞ্জ নেমে যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই চিনিয়ে দিবে। যারা চট্টগ্রাম থেকে আসবে ৭টার মধ্যেই যাত্রা শুরুর চেষ্টা করবে।







তথ্যঃ google , wikipedia, college website থেকে সংগ্রহীত

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চট্টগ্রাম CTEC

বস্ত্র মন্ত্রণালয় পরিচালিত বুটেক্স এর অধীনে বাংলাদেশে ৫ টি সরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে যারা বি.এস.সি ডিগ্রি প্রদান করে থাকে।


সরকারি টেক্সটাইল গুলা হলোঃ 

১) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, জোরারগঞ্জ , মিরসরাই, চট্টগ্রাম।

২) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বেগমগঞ্জ , নোয়াখালী।

৩) পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, শালগাড়িয়া, পাবনা ।

৪) শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সি.এন্ড.বি রোড, বরিশাল।

৫) ঝিনাইদহ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, আড়ুয়াকান্দি, মধুপুর বাজার, সদর, ঝিনাইদহ ।

ধারাবাহিকভাবে ৫ টি টেক্সাটাইল কলেজের পরিচয় এবং ইতিহাস তুলে ধরা হবে। আজকে আমরা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, জোরারগঞ্জ , মিরসরাই, চট্টগ্রাম সম্পর্কে জানবো।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চট্টগ্রাম CTEC

ধরনঃ সরকারী কলেজ

স্থাপিতঃ ২০০৬

শিক্ষার্থীঃ ৩০০

ঠিকানাঃ জোরাগঞ্জ, মিরসরাই, চট্টগ্রাম।, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ

শিক্ষাঙ্গনঃ মিরসরাই, চট্টগ্রাম


ওয়েবসাইটঃ www.ctec.gov.bd






অধিভুক্তিঃ  বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়



ITET Accredited 



ইতিহাসঃ

চট্টগ্রাম জেলার ভিতর অবস্থিত জোরাগঞ্জ হচ্ছে এমন একটি গ্রাম, যা বিস্ময়কর সব প্রাকৃতিক দৃশ্যে পরিপূর্ণ। চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটি জোরাগঞ্জ বাজারের মধ্য দিয়ে অতিক্রমকারী পুরাতন ঢাকা ট্র্যাঙ্ক রোড এর পাশে অবস্থিত। এটি প্রথমে ১৯১১ সালে পেরি প্যাটেটিক বুনন স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। যা ব্রিটিশ রাজত্বকালে স্বদেশী আন্দোলনের ফসল ছিল। একে তারপর ১৯৬০ সালে দেওয়ানপুরের নিকটে অবস্থিত মহুরী প্রোজেক্ট রোডে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৮০ সালে পেরি প্যাটেটিক বুনন স্কুলে টেক্সটাইল প্রযুক্তিতে ২ বছর মেয়াদী সার্টিফিকেট কোর্স চালু করা হয়।




তখন একে বিভাগীয় টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট বলা হত। সময়ের চাহিদা মেটানোর তাগিদে ১৯৯৩ সালে এই ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা হয়। ২০০১ সাল থেকে একে চার বছর মেয়াদী করা হয়। টেক্সটাইল প্রকৌশলীদের উচ্চ চাহিদার কথা বিবেচনা করে ২০০৬-২০০৭ সেশনে টেক্সটাইল ডিপ্লোমা কোর্স বাতিল করে সরকার একে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এর আওতায় নিয়ে টেক্সটাইল প্রকৌশলে চার বছর মেয়াদী বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করে।



চট্টগ্রাম জেলার ভিতর অবস্থিত জোরারগঞ্জ হচ্ছে এমন একটি গ্রাম, যা বিস্ময়কর সব প্রাকৃতিক দৃশ্যে পরিপূর্ণ। চট্টগ্রাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটি জোরারগঞ্জ বাজারের মধ্য দিয়ে অতিক্রমকারী পুরাতন ঢাকা ট্র্যাঙ্ক রোড এর পাশে অবস্থিত। এটি প্রথমে ১৯১১ সালে পেরি প্যাটেটিক বুনন স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। যা ব্রিটিশ রাজত্বকালে স্বদেশী আন্দোলনের ফসল ছিল।




একে তারপর ১৯৬০ সালে দেওয়ানপুরের নিকটে অবস্থিত মুহুরী প্রোজেক্ট রোডে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৮০ সালে পেরি প্যাটেটিক বুনন স্কুলে টেক্সটাইল প্রযুক্তিতে ২ বছর মেয়াদী সার্টিফিকেট কোর্স চালু করা হয়। তখন একে বিভাগীয় টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট বলা হত। সময়ের চাহিদা মেটানোর তাগিদে ১৯৯৩ সালে এই ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা হয়। ২০০১ সাল থেকে একে চার বছর মেয়াদী করা হয়। টেক্সটাইল প্রকৌশলীদের উচ্চ চাহিদার কথা বিবেচনা করে ২০০৬-২০০৭ সেশনে টেক্সটাইল ডিপ্লোমা কোর্স বাতিল করে সরকার একে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিয়ে আসা হয়। পরে তা টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যায়। ১ম ব্যাচ থেকে ৬ষ্ঠ ব্যাচ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল।




৭ম ব্যাচ থেকে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এর আওতায় নিয়ে টেক্সটাইল প্রকৌশলে চার বছর মেয়াদী বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ৪ টি বিষয়ের উপর বি.এস.সি ডিগ্রি প্রদান করে থাকে। বর্তমানে ক্যাম্পাসটিতে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত বি.এস.সি ১২তম ব্যাচ পর্যন্ত চলমান রয়েছে।  জোরারগঞ্জে ১৭ একর জায়গা জুড়ে ক্যাম্পাসটি বিদ্যমান । গত ১৮ই মে ২০১৮ ইং, BUTEX এ "ITET Membership Accreditation Committee"এর এক জরুরী সভায়   Textile Engineering College হতে পাশকৃত BSc.Textile Engineers গন ITET এর Member হবার যোগ্যতা অর্জন করেন।









ডিপার্টমেন্ট  সমূহ ও সীট সংখ্যাঃ


বর্তমানে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এই কলেজটিতে যেসব বিষয়ে চার বছর মেয়াদী বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু রয়েছেঃ-

১) ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং (YME) - ৩০ টি

২) ফেব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং (FME)- ৩০ টি

৩) ওয়েট প্রোসেসিং ইঞ্জিনিয়ারিং (WPE) -৩০ টি

৪) অ্যাপারেল  ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং (AME ) - ৩০ টি








আবাসিক সুবিধা ও হলঃ

বর্তমানে এই কলেজটিতে ছেলেদের জন্য ২ টি আবাসিক সুবিধা সম্বলিত হল  এবং মেয়েদের জন্য ১ টি আবাসিক সুবিধা সম্বলিত হল রয়েছে।





গ্রন্থাগারঃ

এ কলেজে সুসজ্জিত গ্রন্থাগার আছে। এখানে স্থান পেয়েছে দেশি ও বিদেশী সহস্রাধিক টেক্সটাইল ও সাহিত্য বিষয়ক বই। রয়েছে ধর্মীয়, সায়েন্স ফিকশন ও অন্যান্য জ্ঞান মূলক বই। লাইব্রেরী কার্ড জমাদান সাপেক্ষে যে কেউ প্রয়োজনীয় বই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইস্যু করে নিতে পারে। লাইব্রেরিতে দৈনিক, সাপ্তাহিক পত্রিকার ব্যবস্থা রয়েছে। লাইব্রেরিতে পৃথক পৃথক টেবিলে বসে পুস্তক এবং পত্র পত্রিকা পাঠ করা যায়।



ক্লাব ও সংগঠনঃ
ক্যাম্পাসে একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন সচেতনতা ও সামাজিক সহয়তামূলক সংগঠন রয়েছে ।




সংগঠন গুলো হলোঃ

১) অনিবার্ন -আত্ম-মানবতার সেবাই নিয়োজিত একটি অরাজনৈতিক  সংগঠন যা শিক্ষার্থদের এবং ক্যাম্পাস থেকে অনুদানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। এই সংগঠনটি বিনামূল্যে রক্তদান কর্মসূচীও পালন করে থাকে।

২) ঘাসফড়িং

৩)  ঐকতান (কালচারাল ক্লাব)

৪) সিটেক ক্যারিয়ার ক্লাব

৫) সিটেক ডিবেটিং ক্লাব

৬) সিটেক ইংলিশ ক্লাব

৭)  সিটেক স্পোর্টস ক্লাব



ল্যাব সুবিধাঃ

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, জোরারগঞ্জ ল্যাবের দিক দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ । এইখানে রয়েছে-

১) কটন স্পিনিং শেড

২) জুট স্পিনিং শেড

৩) ইয়ার্ন ম্যানুফেকচারিং ল্যাবরেটরি

৩) ফেব্রিক ম্যানুফেকচারিং ল্যাবরেটরি

৪) ওয়েট প্রসেসিং ল্যাবরেটরি

৪) গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারিং ল্যাবরেটরি

৫) টেস্টিং এন্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবরেটরি

৬) নিটিং ল্যাবরেটরি

৭) ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ

৮) কম্পিউটার ল্যাব

৯) ফিজিক্স এন্ড ক্যামিস্ট্রি ল্যাব










চিটাগাং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আবেদন যোগ্যতাঃ

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.৫০ হতে হবে এবং উচ্চমাধ্যমিকের Phy+Chem+H.Math+Eng=১৫ থাকতে হবে এবং প্রত্যেকটিতে আলাদাভাবে প্রাপ্ত জিপিএ কমপক্ষে ৩.০০ থাকতে হবে।

বিভাগ সমূহঃ

১. ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং

২. ফেব্রিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং

৩. ওয়েট প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ারিং

৪. এ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং

মোট আসন সংখ্যা : ৬০০

ভর্তি পরীক্ষার মানবণ্টনঃ
* পদার্থবিজ্ঞান-৩০
* গণিত- ৩০
* রসায়ন- ৩০
* ইংরেজী- ১০

মোট ১০০ টি প্রশ্ন, প্রতিটি প্রশ্নের মান ২

প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ মার্ক কাটা যাবে

সময়: ৮০ মিনিট ( ক্যালকুলেটর ব্যাবহার করা যাবে না)

মেধাতালিকা নির্ণয়ঃ
ভর্তি পরীক্ষার নম্বর+( SSC*৮+ HSC*১২)
আবেদন ফি: ১০০০ টাকা

ওয়েবসাইট:www.ctec.gov.bd


আগত পরীক্ষার্থীদের যাতায়াত সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য নিম্নে দেওয়া হল:-

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,জোরারগঞ্জ, মিরসরাই ,চট্টগ্রামএ  আসার উপায়:

চট্টগ্রামের বাইরের জেলা থেকেঃ

চট্টগ্রামগামী যেকোন বাস এ উঠলেই হবে, শুধু সুপারভাইজারকে বলতে হবে বারৈয়ারহাট নামিয়ে দিতে,বারৈয়ারহাট থেকে জোরারগঞ্জগামী লোকাল সি,এন,জি অটোরিক্সা পাওয়া যায়,ভাড়া ১০ টাকা, জোরারগঞ্জ নেমে যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই দেখিয়ে দিবে টেক্সটাইলের পথ। তবে বাইরের জেলার শিক্ষার্থীরা আগের দিন থেকেই এখানে অবস্থান করা শ্রেয়।

চট্টগ্রাম শহর থেকে:

চয়েস নামের জোরারগঞ্জগামী ডিরেক্ট বাস মাদারবাড়ী থেকে ছেড়ে অলংকার, এ.কে.খান মোড় হয়ে জোরারগঞ্জ আসে। ভাড়া ৮০ টাকা। সুপারভাইজার কে বলতে হবে জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল কলেজে নামিয়ে দিতে। জোরারগঞ্জ নেমে যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই চিনিয়ে দিবে। যারা চট্টগ্রাম থেকে আসবে ৭টার মধ্যেই যাত্রা শুরুর চেষ্টা করবে।







তথ্যঃ google , wikipedia, college website থেকে সংগ্রহীত

কোন মন্তব্য নেই: