পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ PTEC - Textile Lab | Textile Learning Blog
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিল্প তৈরি পোশাক। বর্তমানে এ খাত থেকেই সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। এ শিল্প বিশ্ববাজারে সুনাম অর্জনের পাশাপাশি লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান দিয়েছে। মোট কথা, বাংলাদেশের রফতানি শিল্পে এটি একটি সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বস্ত্র প্রকৌশলবিদ্যার উন্নতি। 






বিশ্ববাজারে প্রকৌশলবিদ্যার কাতারে বস্ত্র প্রকৌশলবিদ্যা এখন একটি উজ্জ্বল নাম। বর্তমান সময়ে এ বিষয়ে শিক্ষা লাভ করে চাকরির ক্ষেত্রে যে কেউ সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছতে পারে। মূলত উন্নতি আর সাফল্য নির্ভর করে কর্মক্ষেত্র নির্বাচন ও যথাযথ প্রয়োগের ওপর। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন মেধা, মনন ও দক্ষতা। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বে যে কয়েকটি শিল্প মাধ্যম দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে, তার মধ্যে টেঙ্টাইল শিল্প অন্যতম। টেঙ্টাইল শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ২০০৬ সালে পাবনা টেঙ্টাইল ইনস্টিটিউটকে বিএসসি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে রূপান্তরিত করা হয়। পাবনা টেঙ্টাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস অনেক সুদীর্ঘ।



 ১৯১৫ সালে উইভিং স্কুল হিসেবে যাত্রা শুরু। পরবর্তীতে এতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কোর্স চালু করা হয় এবং শিক্ষার গুণগত মান উন্ননের লল্যে এর ল্যাব ও অন্যান্য অবকাঠামোর উন্নয়ন চলতে থাকে। আধুনিক জটিল প্রযুক্তির যুগে চাহিদার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সরকার ২০০৬ সালে এখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চার বৎসর মেয়াদি বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি চালু করেন।

 বর্তমানে এটি সাফল্যের সঙ্গে এর শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। বিভিন্ন ল্যাবের উন্নত মেশিনারিজ এবং লাইব্রেরি টেঙ্টাইল সম্পর্কিত আধুনিক বইসমূহ ছাত্রছাত্রীদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে জ্ঞান অর্জনে ব্যাপকভাবে সহায়তা করছে। পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বর্ষভিত্তিকভাবে কোর্স পরিক্রমা চলছে। প্রথম বর্ষে মূলত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর বেসিক ধারণাসহ পিওর সায়েন্সর বিষয়গুলো পড়ান হয়। দ্বিতীয় বর্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীদের বৃহৎ পরিসরে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর তত্ত্বীয় ও ব্যাবহারিক জ্ঞান অর্জন করতে হয় যা ছাত্রছাত্রীদের কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত করতে থাকে। তৃতীয় বর্ষে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর আরও বিশদ পড়াশোনার পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাইকোলজি ও ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে পড়তে হয় এবং চতুর্থ বর্ষে ছাত্রছাত্রীদেরকে মেধার ভিত্তিতে স্পেশালাইজেশনের জন্য বিষয় নির্বাচন করতে হয়। 



বিষয়গুলো হচ্ছে স্পেশালাইজেশন অব ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং, স্পেশালাইজেশন অব ফেব্রিঙ্ ম্যানুফ্যাকচারিং, স্পেশালাইজেশন অব ওয়েট প্রসেসিং, স্পেশালাইজেশন অব গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং। এ ছাড়াও সব বিষয়ের ছাত্রছাত্রীদের প্রোডাকশন প্ল্যানিং বিষয়ে পড়তে হয় এবং পরিশেষে নিজ নিজ বিষয়ের উপর বিভিন্ন টেঙ্টাইল মিলে ইন্টার্নির জন্য পাঠান হয়। টেঙ্টাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মক্ষেত্রও অনেক বৃহৎ। তাদের দক্ষতা ও জ্ঞান বিভিন্ন টেঙ্টাইল ইন্ডাস্ট্রিতে যেমন স্পিনিং, উইভিং, নিটিং, ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং, গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে খুবই মূল্যবান। ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে প্রোডাকশন মানেজমেন্ট, ডিজাইনে, টেক্সটাইল টেস্টিং ও কোয়ালিটি নিরুপণে, বায়িং হাউস ইত্যাদি ক্ষেত্রে একজন সুদক্ষ বস্ত্র প্রকৌশলী তার দক্ষতা ও জ্ঞান কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নে সফলভাবে অংশ নিচ্ছে ।


পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়টুকু কাটে সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান চর্চা নিয়ে। সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান চর্চার জন্য পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আছে সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানভিত্তিক সংগঠন 'অমুকা' ও 'অঙ্কুরিত মুখরিত কাণ্ডারি'। নবীনদের মুখরিত কাণ্ডারি রূপে বিকশিত করাই অমুকার উদ্দেশ্য। কখনো গান, কখনো নাচ, কখনো কাব্যচর্চা, কখনো বা বিতর্ক আবার কখনো বিজ্ঞান প্রজেক্ট এসব নিয়েই চলে আমুকা।
তবে বিভিন্ন সমস্যাও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। কলেজের ছাত্রদের জন্য নিজস্ব আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীরা শহরের বিভিন্ন ছাত্রাবাসে থেকে লেখাপড়া করছেন। প্রায় প্রতিদিনই শিক্ষার্থীদের নানা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিনতাই ও খোয়া যাচ্ছে। 

পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রকল্প পরিচালক মহসিনুল আলম জানান, শিক্ষক কর্মকর্তা নিয়েগের বিষয়টি আমার এখতিয়ার বহির্ভূত। তবে কলেজটির একাডেমিক ভবন, ছাত্রাবাসসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। খুব শীঘ্রই এগুলো ব্যবহার উপযোগী হবে। বাংলাদেশের বস্ত্র আজ বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। বর্তমানে এ শিল্পের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রয়োজনীয় দক্ষ ও শিক্ষিত জনশক্তি জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি সময়ের চাহিদা পূরণ করবে এটিই সকলের আশা।

পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ  বাংলাদেশের পাবনা জেলায় অবস্থিত একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।







পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
PTEC

ধরনঃ সরকারী কলেজ

স্থাপিতঃ ২০০৬

শিক্ষার্থীঃ ৪২০

অবস্থানঃ পাবনা, বাংলাদেশ

শিক্ষাঙ্গনঃ শালগারিয়া, পাবনা

আলাউদ্দিন খলিফা ইঞ্জি: (অধ্যক্ষ)

01715199194

Pabtec2006@gmail.com 




অধিভুক্তিঃ বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়


ITET Accredited 

ওয়েবসাইটঃ

লোকেশন ম্যাপ 



পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইতিহাস 

বাংলাদেশ তথা সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে টেক্সটাইল শিক্ষার জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ । দীর্ঘ একশ বছরের আয়ুতে এই প্রতিষ্ঠান বহু শিক্ষানবিশের জ্ঞানের চাহিদা পুরন করে আসছে ।  ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ ভারতে  পাবনা সরকারি উইভিং বা বুনন  স্কুল নামে সে যাত্রার সূচনা হয়েছিল । ১৯২৬ সালে বাংলার তৎকালীন ব্রিটিশ গভর্নর লর্ড কার্মাইক্যাল প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করেন এবংক্ষু দ্র পরিসরের এই স্কুলের প্রশংসা করেন । স্বাধীনতার পর ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সরকার এখানে ২ বছর মেয়াদি সার্টিফিকেট কোর্স চালু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৪ এ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে ডিপ্লোমা  কোর্স চালু করা হয়  । টেক্সটাইল শিল্পে ক্রমাগত উন্নতি সত্ত্বেও ২০০৫ পর্যন্ত বাংলাদেশে টেক্সটাইল শিক্ষায় গ্রাজুয়েশনের জন্য মাত্র একটিই সরকারি প্রতিষ্ঠান ছিল তা হল ঢাকা কলেজ অফ টেক্সটাইল টেকনোলোজি ( বর্তমানে বুটেক্স ) । এই শুন্যতা পূরণ করতেই ২০০৬ সালে তৎকালীন সরকার ৪ বছর মেয়াদী বি এস সি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করে । রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয় পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ।


 আঞ্চলিক পরিসর পার করে এই প্রথম প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাতারে সামিল হয় । দেশের সব প্রান্ত থেকে মেধাবী ছাত্র ছাত্রী এখানে আসতে শুরু করে । উচ্চ শিক্ষার মান ও পরিবেশের কথা মাথায় রেখে  ২০০৮ এ এখান থেকে ডিপ্লোমা কোর্সটিকে বন্ধ ঘোষণা করে গঠনতান্ত্রিক ভাবে একে টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির আদলে উন্নিত করা হয় ।  কলেজটি বর্তমানে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান।  দেশের সকল ছাত্র ছাত্রীদের কাছে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ একটি স্বপ্নময় প্রতিষ্ঠানের নাম । আক্ষরিক ও বাস্তবিক উভয় দিক দিয়েই টেক্সটাইল টেকনোলোজির মান সম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির পরই পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অবস্থান সর্বজনগ্রাহ্য ।  ছাত্ররা বুটেক্স এর পর যদি দ্বিতীয় কোন টেক্সটাইল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা চিন্তা করে তবে সেটি  পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ।  উন্নতির পরিক্রমায় স্বাভাবিকভাবে ভবিষ্যতে এখানে এম এস সি কোর্স চালু হবে এবং কলেজ থেকে পূর্ণাঙ্গ ইউনিভার্সিটিতে রূপান্তরিত হবে এমনই  সবার প্রত্যাশা.
বিশ্বে টেক্সটাইল পোশাক তৈরিতে বাংলাদেশের ক্ষমতা আজ সুপ্রতিষ্ঠিত । 

প্রতিযোগিতা মুলক বিশ্ববাজারে  বাংলাদেশের  এই অবস্থানকে টিকিয়ে রাখতে যোগ্য টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের কোন বিকল্প নেই । বর্তমান সরকারের বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িক্তপ্রাপ্ত মন্ত্রীমহোদয়গন বিভিন্ন সময়ে  পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার অঙ্গীকার করেছেন । 
পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপদান করার অঙ্গীকারকে বাস্তব রূপদান করা শুধু কলেজের শিক্ষার্থীদেরই নয় সমগ্র পাবনা বাসীর প্রানের দাবী ।



পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ 

পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বাংলাদেশ এর একটি নাম করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা ঢাকা -পাবনা মহাসড়ক এর পাশে অবস্থিত ।

এই প্রতিষ্ঠান এর যাত্রা শুরু হয় ১৯১৫ সালে একটি ওয়েভিং স্কুল এর মাধ্যমে, তারপর এটি ডিপ্লোমা ও ২০০৬ সাল এ বিএসসি কোর্স চালু হয়। প্রতি বছর ভর্তি পরীক্ষর মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয় । ৪টি ডিপার্মেন্টের জন্য ১০০ টি করে সীট বরাদ্দ রয়েছে ।


ডিপার্মেন্টগুলো হল-

(১)ওয়েট প্রোসেসিং ইঞ্জিনিয়ারিং

(২)ফেব্রিক মানুফ্যাচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং

(৩)ইয়ার্ন মানুফ্যাচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং

(৪)গার্মেন্টস মানুফ্যাচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং

এছাড়া আগামী বছর থেকে নতুন বিভাগ খোলার পরিকল্পনা আছে।

টেক্সটাইল খাতে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে এই সীট সংখ্যা দিন দিন বারছে। সুসজ্জিত ভবন ও ল্যাব নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে।








ল্যাব সমূহ হল- 

(১)কটন স্পিনিং

(২)ওয়েট প্রোসেসিং

(৩)উইভিং ল্যাব

(৪)জুট স্পিনিং

(৫)এপারেল ল্যাব

(৬)টেস্টিং ল্যাব

(৭)কম্পিউটার ল্যাব

(৮)মেক্যানিক্যাল ল্যাব

(৯)আইটি ল্যাব

(১০) ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রি ল্যাব

(১১)নিটিং ল্যাব

এছাড়া ও রয়েছে ১০০০০ বই সমৃদ্ধ লাইব্রেরী ।





ভবন সমূহ – 

১. এক্যাডেমীক ভবন,

২. প্রশাসনিক ভবন,

৩. মসজিদ,

৪. ছাত্র হল,

৫. ছাত্রী হোস্টেল

৬. শিক্ষকদের জন্য আবাসিক ভবন ( পদ্মা ও যমুনা)

ছাড়াও কর্মচারিদের জন্য আছে থাকার ব্যবস্থা।

২০১৩ সালে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বুটেক্সের অধিভুক্ত হয়। তবে কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার জন্য কাজ করছে শিক্ষক সহ সকল শিক্ষার্থীরা।

লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ধরন এর প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে প্রতি বছর। অনেক শিক্ষার্থী ভাল ফলাফল করে বের হয়ে বিভিন্ন পদে চাকরী করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বয়ে আনছে।


পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আবেদন যোগ্যতাঃ 

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.৫০ হতে হবে এবং উচ্চমাধ্যমিকের Phy+Chem+H.Math+Eng=১৫ থাকতে হবে এবং প্রত্যেকটিতে আলাদাভাবে প্রাপ্ত জিপিএ কমপক্ষে ৩.০০ থাকতে হবে।


বিভাগ সমূহঃ

১. ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং

২. ফেব্রিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং

৩. ওয়েট প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ারিং

৪. এ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং

মোট আসন সংখ্যা : ৬০০

ভর্তি পরীক্ষার মানবণ্টনঃ 

* পদার্থবিজ্ঞান-৩০

* গণিত- ৩০

* রসায়ন- ৩০

* ইংরেজী- ১০

মোট ১০০ টি প্রশ্ন, প্রতিটি প্রশ্নের মান ২

প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ মার্ক কাটা যাবে

সময়: ৮০ মিনিট ( ক্যালকুলেটর ব্যাবহার করা যাবে না)

মেধাতালিকা নির্ণয়ঃ

ভর্তি পরীক্ষার নম্বর+( SSC*৮+ HSC*১২)

আবেদন ফি: ১০০০ টাকা

ওয়েবসাইট:





তথ্যঃ google , wikipedia, college website থেকে সংগ্রহীত

পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ PTEC

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিল্প তৈরি পোশাক। বর্তমানে এ খাত থেকেই সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। এ শিল্প বিশ্ববাজারে সুনাম অর্জনের পাশাপাশি লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান দিয়েছে। মোট কথা, বাংলাদেশের রফতানি শিল্পে এটি একটি সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বস্ত্র প্রকৌশলবিদ্যার উন্নতি। 






বিশ্ববাজারে প্রকৌশলবিদ্যার কাতারে বস্ত্র প্রকৌশলবিদ্যা এখন একটি উজ্জ্বল নাম। বর্তমান সময়ে এ বিষয়ে শিক্ষা লাভ করে চাকরির ক্ষেত্রে যে কেউ সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছতে পারে। মূলত উন্নতি আর সাফল্য নির্ভর করে কর্মক্ষেত্র নির্বাচন ও যথাযথ প্রয়োগের ওপর। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন মেধা, মনন ও দক্ষতা। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বে যে কয়েকটি শিল্প মাধ্যম দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে, তার মধ্যে টেঙ্টাইল শিল্প অন্যতম। টেঙ্টাইল শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ২০০৬ সালে পাবনা টেঙ্টাইল ইনস্টিটিউটকে বিএসসি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে রূপান্তরিত করা হয়। পাবনা টেঙ্টাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস অনেক সুদীর্ঘ।



 ১৯১৫ সালে উইভিং স্কুল হিসেবে যাত্রা শুরু। পরবর্তীতে এতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কোর্স চালু করা হয় এবং শিক্ষার গুণগত মান উন্ননের লল্যে এর ল্যাব ও অন্যান্য অবকাঠামোর উন্নয়ন চলতে থাকে। আধুনিক জটিল প্রযুক্তির যুগে চাহিদার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সরকার ২০০৬ সালে এখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চার বৎসর মেয়াদি বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি চালু করেন।

 বর্তমানে এটি সাফল্যের সঙ্গে এর শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। বিভিন্ন ল্যাবের উন্নত মেশিনারিজ এবং লাইব্রেরি টেঙ্টাইল সম্পর্কিত আধুনিক বইসমূহ ছাত্রছাত্রীদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে জ্ঞান অর্জনে ব্যাপকভাবে সহায়তা করছে। পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বর্ষভিত্তিকভাবে কোর্স পরিক্রমা চলছে। প্রথম বর্ষে মূলত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর বেসিক ধারণাসহ পিওর সায়েন্সর বিষয়গুলো পড়ান হয়। দ্বিতীয় বর্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীদের বৃহৎ পরিসরে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর তত্ত্বীয় ও ব্যাবহারিক জ্ঞান অর্জন করতে হয় যা ছাত্রছাত্রীদের কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত করতে থাকে। তৃতীয় বর্ষে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর আরও বিশদ পড়াশোনার পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাইকোলজি ও ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে পড়তে হয় এবং চতুর্থ বর্ষে ছাত্রছাত্রীদেরকে মেধার ভিত্তিতে স্পেশালাইজেশনের জন্য বিষয় নির্বাচন করতে হয়। 



বিষয়গুলো হচ্ছে স্পেশালাইজেশন অব ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং, স্পেশালাইজেশন অব ফেব্রিঙ্ ম্যানুফ্যাকচারিং, স্পেশালাইজেশন অব ওয়েট প্রসেসিং, স্পেশালাইজেশন অব গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং। এ ছাড়াও সব বিষয়ের ছাত্রছাত্রীদের প্রোডাকশন প্ল্যানিং বিষয়ে পড়তে হয় এবং পরিশেষে নিজ নিজ বিষয়ের উপর বিভিন্ন টেঙ্টাইল মিলে ইন্টার্নির জন্য পাঠান হয়। টেঙ্টাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মক্ষেত্রও অনেক বৃহৎ। তাদের দক্ষতা ও জ্ঞান বিভিন্ন টেঙ্টাইল ইন্ডাস্ট্রিতে যেমন স্পিনিং, উইভিং, নিটিং, ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং, গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে খুবই মূল্যবান। ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে প্রোডাকশন মানেজমেন্ট, ডিজাইনে, টেক্সটাইল টেস্টিং ও কোয়ালিটি নিরুপণে, বায়িং হাউস ইত্যাদি ক্ষেত্রে একজন সুদক্ষ বস্ত্র প্রকৌশলী তার দক্ষতা ও জ্ঞান কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নে সফলভাবে অংশ নিচ্ছে ।


পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়টুকু কাটে সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান চর্চা নিয়ে। সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান চর্চার জন্য পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আছে সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানভিত্তিক সংগঠন 'অমুকা' ও 'অঙ্কুরিত মুখরিত কাণ্ডারি'। নবীনদের মুখরিত কাণ্ডারি রূপে বিকশিত করাই অমুকার উদ্দেশ্য। কখনো গান, কখনো নাচ, কখনো কাব্যচর্চা, কখনো বা বিতর্ক আবার কখনো বিজ্ঞান প্রজেক্ট এসব নিয়েই চলে আমুকা।
তবে বিভিন্ন সমস্যাও রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। কলেজের ছাত্রদের জন্য নিজস্ব আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীরা শহরের বিভিন্ন ছাত্রাবাসে থেকে লেখাপড়া করছেন। প্রায় প্রতিদিনই শিক্ষার্থীদের নানা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিনতাই ও খোয়া যাচ্ছে। 

পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রকল্প পরিচালক মহসিনুল আলম জানান, শিক্ষক কর্মকর্তা নিয়েগের বিষয়টি আমার এখতিয়ার বহির্ভূত। তবে কলেজটির একাডেমিক ভবন, ছাত্রাবাসসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। খুব শীঘ্রই এগুলো ব্যবহার উপযোগী হবে। বাংলাদেশের বস্ত্র আজ বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। বর্তমানে এ শিল্পের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রয়োজনীয় দক্ষ ও শিক্ষিত জনশক্তি জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি সময়ের চাহিদা পূরণ করবে এটিই সকলের আশা।

পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ  বাংলাদেশের পাবনা জেলায় অবস্থিত একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।







পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
PTEC

ধরনঃ সরকারী কলেজ

স্থাপিতঃ ২০০৬

শিক্ষার্থীঃ ৪২০

অবস্থানঃ পাবনা, বাংলাদেশ

শিক্ষাঙ্গনঃ শালগারিয়া, পাবনা

আলাউদ্দিন খলিফা ইঞ্জি: (অধ্যক্ষ)

01715199194

Pabtec2006@gmail.com 




অধিভুক্তিঃ বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়


ITET Accredited 

ওয়েবসাইটঃ

লোকেশন ম্যাপ 



পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইতিহাস 

বাংলাদেশ তথা সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে টেক্সটাইল শিক্ষার জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ । দীর্ঘ একশ বছরের আয়ুতে এই প্রতিষ্ঠান বহু শিক্ষানবিশের জ্ঞানের চাহিদা পুরন করে আসছে ।  ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ ভারতে  পাবনা সরকারি উইভিং বা বুনন  স্কুল নামে সে যাত্রার সূচনা হয়েছিল । ১৯২৬ সালে বাংলার তৎকালীন ব্রিটিশ গভর্নর লর্ড কার্মাইক্যাল প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করেন এবংক্ষু দ্র পরিসরের এই স্কুলের প্রশংসা করেন । স্বাধীনতার পর ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সরকার এখানে ২ বছর মেয়াদি সার্টিফিকেট কোর্স চালু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৪ এ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে ডিপ্লোমা  কোর্স চালু করা হয়  । টেক্সটাইল শিল্পে ক্রমাগত উন্নতি সত্ত্বেও ২০০৫ পর্যন্ত বাংলাদেশে টেক্সটাইল শিক্ষায় গ্রাজুয়েশনের জন্য মাত্র একটিই সরকারি প্রতিষ্ঠান ছিল তা হল ঢাকা কলেজ অফ টেক্সটাইল টেকনোলোজি ( বর্তমানে বুটেক্স ) । এই শুন্যতা পূরণ করতেই ২০০৬ সালে তৎকালীন সরকার ৪ বছর মেয়াদী বি এস সি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করে । রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করে প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয় পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ।


 আঞ্চলিক পরিসর পার করে এই প্রথম প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাতারে সামিল হয় । দেশের সব প্রান্ত থেকে মেধাবী ছাত্র ছাত্রী এখানে আসতে শুরু করে । উচ্চ শিক্ষার মান ও পরিবেশের কথা মাথায় রেখে  ২০০৮ এ এখান থেকে ডিপ্লোমা কোর্সটিকে বন্ধ ঘোষণা করে গঠনতান্ত্রিক ভাবে একে টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির আদলে উন্নিত করা হয় ।  কলেজটি বর্তমানে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এবং বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান।  দেশের সকল ছাত্র ছাত্রীদের কাছে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ একটি স্বপ্নময় প্রতিষ্ঠানের নাম । আক্ষরিক ও বাস্তবিক উভয় দিক দিয়েই টেক্সটাইল টেকনোলোজির মান সম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির পরই পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অবস্থান সর্বজনগ্রাহ্য ।  ছাত্ররা বুটেক্স এর পর যদি দ্বিতীয় কোন টেক্সটাইল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা চিন্তা করে তবে সেটি  পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ।  উন্নতির পরিক্রমায় স্বাভাবিকভাবে ভবিষ্যতে এখানে এম এস সি কোর্স চালু হবে এবং কলেজ থেকে পূর্ণাঙ্গ ইউনিভার্সিটিতে রূপান্তরিত হবে এমনই  সবার প্রত্যাশা.
বিশ্বে টেক্সটাইল পোশাক তৈরিতে বাংলাদেশের ক্ষমতা আজ সুপ্রতিষ্ঠিত । 

প্রতিযোগিতা মুলক বিশ্ববাজারে  বাংলাদেশের  এই অবস্থানকে টিকিয়ে রাখতে যোগ্য টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের কোন বিকল্প নেই । বর্তমান সরকারের বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িক্তপ্রাপ্ত মন্ত্রীমহোদয়গন বিভিন্ন সময়ে  পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার অঙ্গীকার করেছেন । 
পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপদান করার অঙ্গীকারকে বাস্তব রূপদান করা শুধু কলেজের শিক্ষার্থীদেরই নয় সমগ্র পাবনা বাসীর প্রানের দাবী ।



পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ 

পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বাংলাদেশ এর একটি নাম করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা ঢাকা -পাবনা মহাসড়ক এর পাশে অবস্থিত ।

এই প্রতিষ্ঠান এর যাত্রা শুরু হয় ১৯১৫ সালে একটি ওয়েভিং স্কুল এর মাধ্যমে, তারপর এটি ডিপ্লোমা ও ২০০৬ সাল এ বিএসসি কোর্স চালু হয়। প্রতি বছর ভর্তি পরীক্ষর মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয় । ৪টি ডিপার্মেন্টের জন্য ১০০ টি করে সীট বরাদ্দ রয়েছে ।


ডিপার্মেন্টগুলো হল-

(১)ওয়েট প্রোসেসিং ইঞ্জিনিয়ারিং

(২)ফেব্রিক মানুফ্যাচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং

(৩)ইয়ার্ন মানুফ্যাচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং

(৪)গার্মেন্টস মানুফ্যাচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং

এছাড়া আগামী বছর থেকে নতুন বিভাগ খোলার পরিকল্পনা আছে।

টেক্সটাইল খাতে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে এই সীট সংখ্যা দিন দিন বারছে। সুসজ্জিত ভবন ও ল্যাব নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে।








ল্যাব সমূহ হল- 

(১)কটন স্পিনিং

(২)ওয়েট প্রোসেসিং

(৩)উইভিং ল্যাব

(৪)জুট স্পিনিং

(৫)এপারেল ল্যাব

(৬)টেস্টিং ল্যাব

(৭)কম্পিউটার ল্যাব

(৮)মেক্যানিক্যাল ল্যাব

(৯)আইটি ল্যাব

(১০) ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রি ল্যাব

(১১)নিটিং ল্যাব

এছাড়া ও রয়েছে ১০০০০ বই সমৃদ্ধ লাইব্রেরী ।





ভবন সমূহ – 

১. এক্যাডেমীক ভবন,

২. প্রশাসনিক ভবন,

৩. মসজিদ,

৪. ছাত্র হল,

৫. ছাত্রী হোস্টেল

৬. শিক্ষকদের জন্য আবাসিক ভবন ( পদ্মা ও যমুনা)

ছাড়াও কর্মচারিদের জন্য আছে থাকার ব্যবস্থা।

২০১৩ সালে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বুটেক্সের অধিভুক্ত হয়। তবে কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার জন্য কাজ করছে শিক্ষক সহ সকল শিক্ষার্থীরা।

লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ধরন এর প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে প্রতি বছর। অনেক শিক্ষার্থী ভাল ফলাফল করে বের হয়ে বিভিন্ন পদে চাকরী করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বয়ে আনছে।


পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আবেদন যোগ্যতাঃ 

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৩.৫০ হতে হবে এবং উচ্চমাধ্যমিকের Phy+Chem+H.Math+Eng=১৫ থাকতে হবে এবং প্রত্যেকটিতে আলাদাভাবে প্রাপ্ত জিপিএ কমপক্ষে ৩.০০ থাকতে হবে।


বিভাগ সমূহঃ

১. ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং

২. ফেব্রিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং

৩. ওয়েট প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ারিং

৪. এ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং

মোট আসন সংখ্যা : ৬০০

ভর্তি পরীক্ষার মানবণ্টনঃ 

* পদার্থবিজ্ঞান-৩০

* গণিত- ৩০

* রসায়ন- ৩০

* ইংরেজী- ১০

মোট ১০০ টি প্রশ্ন, প্রতিটি প্রশ্নের মান ২

প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.৫ মার্ক কাটা যাবে

সময়: ৮০ মিনিট ( ক্যালকুলেটর ব্যাবহার করা যাবে না)

মেধাতালিকা নির্ণয়ঃ

ভর্তি পরীক্ষার নম্বর+( SSC*৮+ HSC*১২)

আবেদন ফি: ১০০০ টাকা

ওয়েবসাইট:





তথ্যঃ google , wikipedia, college website থেকে সংগ্রহীত

কোন মন্তব্য নেই: