গার্মেন্টস  ওয়াস ওজোন ফেডিং | Garments Wash | Ozone Fading - Textile Lab | Textile Learning Blog
গার্মেন্টস  ওয়াস ওজোন ফেডিং

আমার জানি, আমাদের এই পৃথিবী ৭টি বায়ুমন্ডলের স্তর দ্বারা বেষ্টিত। এই সাতটির মধ্যে তিন নম্বর স্তরের নাম হলো ওজোন স্তর। এই ওজোন (O3) স্তর ভূপৃষ্ঠ হতে ঘনমন্ডল (প্রথম স্তর) ও শান্তমন্ডল (দ্বিতীয়) এর পর থেকে ৫০ কিলোমিটার থেকে ৮০ কিলোমিটার মোট ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই স্তরের প্রধান কাজ হলো সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক অতিবেগুণী রশ্মিকে পৃথিবীর বুকে আসতে বাধা প্রদান করা। এই ওজোন স্তর ক্ষতিকারক আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি শোষণ করে বিধায় আমরা পৃথিবীতে সুন্দর ভাবে বেঁচে আছি।




ওজোন স্তর এই ক্ষতিকারক রশ্মিকে শোষণ না করলে পৃথিবীর কি ক্ষতি হত?

১। সরাসরি এই রশ্মি আমাদের ত্বকে পরলে ত্বকে ক্যান্সার হয়ে যেত।

২। পৃথিবীর তাপমাত্রা কয়েকগুন বেড়ে যেত ফলে আমাদের পৃথিবীতে বসবাস করা খুব কঠিন হয়ে যেত।

৩। ইকো সিষ্টেম ধ্বংস হয়ে যেত। উদ্ভিদ বা প্রাণী বেঁচে থাকতে পারতো না।
যেহেতু এই ওজোন স্তর বা ওজোন গ্যাস আমাদের জন্য ভাল তাই পরিবেশ বিজ্ঞানীর এটার নাম দিয়েছে ভাল ওজোন ।

অথচ অত্যান্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, আমাদের দৈনন্দিন কিছু কার্যকলাপের কারণে এই ওজোন স্তর দিন দিন ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পরেছে।





ইতিমধ্যে আমাদের অসাবধানতার কারনে ওজোন স্তরের ২৭ মিলিয়ন স্কয়ার কিলোমিটার এরিয়ায়তে ওজোনের গর্ত সৃষ্টি হয়েছে  । ফলে এই সমস্ত এরিয়া দিয়ে সরাসরি সূর্যের ক্ষতিকর UV রশ্মি পৃথিবীর বুকে এসেছে পড়ছে। মূলত কলকারখানা থেকে ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন (সংক্ষেপে CFC) নামে এক ধরনের ক্ষতিকারক গ্যাস রিলিজ হয় যা ধীরে উপরে দিকে উঠে ওজোন স্তরে ধাক্কা খায় । ধাক্কা খাওয়ার পর সূর্যের আলোতে উপস্থিত UV রশ্মির বিক্রিয়ায় CFC গ্যাসে উপস্থিত ক্লোরিন আলাদা হয়ে যায় । আর এই মুক্ত ক্লোরিন ওজোন গ্যাসের সাথে বিক্রিয়া করে ওজোন গ্যাস কে ভেংগে অক্সিজেনে রুপান্তরিত করে। আর এভাবে ওজোন স্তর ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে যা আমাদের জন্য অশনি সংকেত।



ওজোন কি ?

ওজোন হলো অক্সিজেনের তিনটি পরমাণু দিয়ে গঠিত একটি প্রাকৃতিক গ্যাস। এটি রাসায়নিক প্রতীক O3 হয়। এটির রং নীল এবং এর শক্তিশালী গন্ধ আছে। আর O2 হলো স্বাভাবিক অক্সিজেন, যা আমরা শ্বাসকার্যে ব্যবহার করি এবং এটি রঙহীন ও গন্ধহীন।

আমরা উপরে ভাল ওজোন কি পড়লাম এবার আমরা জানবো "খারাপ ওজোন" কি?


খারাপ ওজোনঃ

 ভূগর্ভস্থ ওজোন বা আমরা যে স্তরে বসবাস করি সেখানে তৈরীকৃত ওজোন কে খারাপ ওজোন বলা হয়। এটি স্বাভাবিকভাবে এই স্তরে থাকে না। মানুষ দ্বারা সৃষ্ট নাইট্রোজেন অক্সাইড (NOx) এবং VOC (Volatile Organic Compound) এর রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার কারণে সৃষ্টি হয়। গাড়ি থেকে কালো ধোঁয়া, পাওয়ার প্লান্ট, কারখানার দূষিত বাতাস সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে খারাপ ওজোন তৈরী হয়। খারাপ ওজোন বিশুদ্ধ বাতাসের সংমিশ্রণে বায়ুকে দূষিত করে যা আমরা ধোঁয়া বা স্মগ রুপেই দেখতে পাই। এখান থেকে আমরা বুঝলাম ওজোন গ্যাস আমাদের আশে পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ।







গার্মেন্টসে ওজোন ফেডিং-

বায়ুমন্ডলে উপস্থিত থাকা ওজোন গ্যাস গার্মেন্টসগুলির সংস্পর্শে এসে ধীরে ধীরে ইনডিগো ডাই নষ্ট করে ফেলে এবং শেড হলুদ হয়ে যায়। ওজোন গ্যাসের কারণে শেডের এ ধরনের পরিবর্তনকে ওজোন ফেডিং বলে। মিড ও লাইট ওয়াশ গার্মেন্টেসের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, মাত্র ১ গ্রাম ওজোন গ্যাস প্রায় এগার গ্রাম (১০.৯গ্রাম) ইনডিগো ডাই নষ্ট করে ফেলতে পারে।






গার্মেন্টসে ওজোন ফেডিং হলে কি হয় ?

1. গার্মেন্টস হলুদ এবং দুর্গন্ধ হয়ে যায় যা পড়ার অযোগ্য হয়ে যায়।

2. ওজোন ফেডিংকৃত গার্মেন্টস পড়ার কারণে চুলকানী বা এলার্জি বা স্কীন ক্যান্সার হতে পারে।

3. কাষ্টমার ক্লেইম হতে পারে

4. বায়ার দ্বারা ক্লেইম হতে পারে

5. অর্ডার বন্ধ হয়ে যেতে পারে

6. কোম্পানীর বদনাম ও অনেক টাকা লস হতে পারে

7. যার কারনে সমস্যা তার চাকুরীটা চলে যেতে পারে 






















যে কারনে ওজোন ফেডিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে-

প্রসেস জনিত সমস্যাঃ

1. খারাপ ডাই ব্যবহার করা হলে

2. OBA Treatment করা হলে

3. ব্লিচ নিউট্রাল সঠিক ভাবে না হলে

4. pH ঠিকমত কন্ট্রোল করা না হলে 

5. এন্টি ওজোন সফটনার ব্যবহার না করা হলে





গার্মেন্টস সংরক্ষণ জনিত সমস্যাঃ

গার্মেন্টেসের উপর সরাসরি আলো পড়লে

সংরক্ষিত স্থানের তাপমাত্রা কম বা বেশি হলে


বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান কম বা বেশি হলে













গার্মেন্টসে ওজোন ফেডিং নিয়ন্ত্রন করার কিছু কৌশল-

প্রসেসের মাধ্যমেঃ

1. ভাল মানের ডাইস ব্যবহার করতে হবে।

2. সঠিক ভাবে ব্লিচ নিউট্রাল করতে হবে।

3. OBA ব্যবহার কমাতে হবে।

4. pH ঠিকমত কন্ট্রোল করতে হবে।

5. প্রয়োজন অনুযায়ী এন্টি-ওজোন সফটনার ব্যবহার করতে হবে।



গার্মেন্টস সংরক্ষণ জনিত সমস্যাঃ

1. গার্মেন্টেসের উপর সরাসরি আলো পড়তে দেয়া যাবে না।

2. এক্ষেত্রে কালো ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে।

3. সংরক্ষিত স্থানের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে।   (27°C±2)

4. বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। (65%±2)


ল্যাবে যেভাবে ওজোন ফেডিং পরীক্ষা করা হয়ঃ
ল্যাবে গার্মেন্টসের ওজোন ফেডিং চেক করতে তিন ধরনে পদ্ধতি রয়েছে



পদ্ধতির নামঃ 

১। AATCC 109: 2005 (2 cycles) নিম্ন তাপমাত্রা ও নিম্ন আদ্রতা

২। AATCC 129:2005 (2 cycles) উচ্চ তাপমাত্রা ও উচ্চ আদ্রতা

৩। ISO 105 G03 সাধারণ বায়ুমন্ডল (উচ্চ ও নিম্ন তাপমাত্রা, আদ্রতা)


পদ্ধতিঃ-১ এর মাধ্যমে বেশির ভাগ বায়ার ওজোন ফেডিং চেক করেন।
উপকরণঃ ওজোন উৎপাদক চেম্বার যা ppm পরিমাণ ওজোন নির্গমন
নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

স্পেসিমেন সাইজঃ ১০ সেঃ মিঃ * ৬ সেঃ মিঃ

তাপমাত্রাঃ ২১°সেঃ±১°সেঃ

আদ্রতাঃ ৬৫±২% (সর্বোচ্চ ৬৭%)

সময়ঃ ১.৫ ঘন্টা থেকে ৬ ঘন্টা (প্রতি Cycles)

Cycles সংখ্যাঃ স্পেসিমেন এর চেহারার উপর নির্ভর করে। তবে নন-ডেনিম একবার আর ডেনিম মিনিমাম দুইবার।

Ozone লেভেলঃ 5 ppm

রিপোর্টঃ গ্রে স্কেলের সাহায্যে মান নির্ণয় । (নূন্যতম মান ৩)

AATCC= American Association of Textile Chemists and Colorists.


সম্পাদনায়ঃ
মোঃ ইবনে রেজওয়ান
কেমিষ্ট অব স্টারলিং গ্রুপ
তথ্য সংগ্রহেঃ ইন্টারনেট




গার্মেন্টস  ওয়াস ওজোন ফেডিং | Garments Wash | Ozone Fading

গার্মেন্টস  ওয়াস ওজোন ফেডিং

আমার জানি, আমাদের এই পৃথিবী ৭টি বায়ুমন্ডলের স্তর দ্বারা বেষ্টিত। এই সাতটির মধ্যে তিন নম্বর স্তরের নাম হলো ওজোন স্তর। এই ওজোন (O3) স্তর ভূপৃষ্ঠ হতে ঘনমন্ডল (প্রথম স্তর) ও শান্তমন্ডল (দ্বিতীয়) এর পর থেকে ৫০ কিলোমিটার থেকে ৮০ কিলোমিটার মোট ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই স্তরের প্রধান কাজ হলো সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক অতিবেগুণী রশ্মিকে পৃথিবীর বুকে আসতে বাধা প্রদান করা। এই ওজোন স্তর ক্ষতিকারক আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি শোষণ করে বিধায় আমরা পৃথিবীতে সুন্দর ভাবে বেঁচে আছি।




ওজোন স্তর এই ক্ষতিকারক রশ্মিকে শোষণ না করলে পৃথিবীর কি ক্ষতি হত?

১। সরাসরি এই রশ্মি আমাদের ত্বকে পরলে ত্বকে ক্যান্সার হয়ে যেত।

২। পৃথিবীর তাপমাত্রা কয়েকগুন বেড়ে যেত ফলে আমাদের পৃথিবীতে বসবাস করা খুব কঠিন হয়ে যেত।

৩। ইকো সিষ্টেম ধ্বংস হয়ে যেত। উদ্ভিদ বা প্রাণী বেঁচে থাকতে পারতো না।
যেহেতু এই ওজোন স্তর বা ওজোন গ্যাস আমাদের জন্য ভাল তাই পরিবেশ বিজ্ঞানীর এটার নাম দিয়েছে ভাল ওজোন ।

অথচ অত্যান্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, আমাদের দৈনন্দিন কিছু কার্যকলাপের কারণে এই ওজোন স্তর দিন দিন ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পরেছে।





ইতিমধ্যে আমাদের অসাবধানতার কারনে ওজোন স্তরের ২৭ মিলিয়ন স্কয়ার কিলোমিটার এরিয়ায়তে ওজোনের গর্ত সৃষ্টি হয়েছে  । ফলে এই সমস্ত এরিয়া দিয়ে সরাসরি সূর্যের ক্ষতিকর UV রশ্মি পৃথিবীর বুকে এসেছে পড়ছে। মূলত কলকারখানা থেকে ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন (সংক্ষেপে CFC) নামে এক ধরনের ক্ষতিকারক গ্যাস রিলিজ হয় যা ধীরে উপরে দিকে উঠে ওজোন স্তরে ধাক্কা খায় । ধাক্কা খাওয়ার পর সূর্যের আলোতে উপস্থিত UV রশ্মির বিক্রিয়ায় CFC গ্যাসে উপস্থিত ক্লোরিন আলাদা হয়ে যায় । আর এই মুক্ত ক্লোরিন ওজোন গ্যাসের সাথে বিক্রিয়া করে ওজোন গ্যাস কে ভেংগে অক্সিজেনে রুপান্তরিত করে। আর এভাবে ওজোন স্তর ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে যা আমাদের জন্য অশনি সংকেত।



ওজোন কি ?

ওজোন হলো অক্সিজেনের তিনটি পরমাণু দিয়ে গঠিত একটি প্রাকৃতিক গ্যাস। এটি রাসায়নিক প্রতীক O3 হয়। এটির রং নীল এবং এর শক্তিশালী গন্ধ আছে। আর O2 হলো স্বাভাবিক অক্সিজেন, যা আমরা শ্বাসকার্যে ব্যবহার করি এবং এটি রঙহীন ও গন্ধহীন।

আমরা উপরে ভাল ওজোন কি পড়লাম এবার আমরা জানবো "খারাপ ওজোন" কি?


খারাপ ওজোনঃ

 ভূগর্ভস্থ ওজোন বা আমরা যে স্তরে বসবাস করি সেখানে তৈরীকৃত ওজোন কে খারাপ ওজোন বলা হয়। এটি স্বাভাবিকভাবে এই স্তরে থাকে না। মানুষ দ্বারা সৃষ্ট নাইট্রোজেন অক্সাইড (NOx) এবং VOC (Volatile Organic Compound) এর রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার কারণে সৃষ্টি হয়। গাড়ি থেকে কালো ধোঁয়া, পাওয়ার প্লান্ট, কারখানার দূষিত বাতাস সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে খারাপ ওজোন তৈরী হয়। খারাপ ওজোন বিশুদ্ধ বাতাসের সংমিশ্রণে বায়ুকে দূষিত করে যা আমরা ধোঁয়া বা স্মগ রুপেই দেখতে পাই। এখান থেকে আমরা বুঝলাম ওজোন গ্যাস আমাদের আশে পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ।







গার্মেন্টসে ওজোন ফেডিং-

বায়ুমন্ডলে উপস্থিত থাকা ওজোন গ্যাস গার্মেন্টসগুলির সংস্পর্শে এসে ধীরে ধীরে ইনডিগো ডাই নষ্ট করে ফেলে এবং শেড হলুদ হয়ে যায়। ওজোন গ্যাসের কারণে শেডের এ ধরনের পরিবর্তনকে ওজোন ফেডিং বলে। মিড ও লাইট ওয়াশ গার্মেন্টেসের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, মাত্র ১ গ্রাম ওজোন গ্যাস প্রায় এগার গ্রাম (১০.৯গ্রাম) ইনডিগো ডাই নষ্ট করে ফেলতে পারে।






গার্মেন্টসে ওজোন ফেডিং হলে কি হয় ?

1. গার্মেন্টস হলুদ এবং দুর্গন্ধ হয়ে যায় যা পড়ার অযোগ্য হয়ে যায়।

2. ওজোন ফেডিংকৃত গার্মেন্টস পড়ার কারণে চুলকানী বা এলার্জি বা স্কীন ক্যান্সার হতে পারে।

3. কাষ্টমার ক্লেইম হতে পারে

4. বায়ার দ্বারা ক্লেইম হতে পারে

5. অর্ডার বন্ধ হয়ে যেতে পারে

6. কোম্পানীর বদনাম ও অনেক টাকা লস হতে পারে

7. যার কারনে সমস্যা তার চাকুরীটা চলে যেতে পারে 






















যে কারনে ওজোন ফেডিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে-

প্রসেস জনিত সমস্যাঃ

1. খারাপ ডাই ব্যবহার করা হলে

2. OBA Treatment করা হলে

3. ব্লিচ নিউট্রাল সঠিক ভাবে না হলে

4. pH ঠিকমত কন্ট্রোল করা না হলে 

5. এন্টি ওজোন সফটনার ব্যবহার না করা হলে





গার্মেন্টস সংরক্ষণ জনিত সমস্যাঃ

গার্মেন্টেসের উপর সরাসরি আলো পড়লে

সংরক্ষিত স্থানের তাপমাত্রা কম বা বেশি হলে


বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান কম বা বেশি হলে













গার্মেন্টসে ওজোন ফেডিং নিয়ন্ত্রন করার কিছু কৌশল-

প্রসেসের মাধ্যমেঃ

1. ভাল মানের ডাইস ব্যবহার করতে হবে।

2. সঠিক ভাবে ব্লিচ নিউট্রাল করতে হবে।

3. OBA ব্যবহার কমাতে হবে।

4. pH ঠিকমত কন্ট্রোল করতে হবে।

5. প্রয়োজন অনুযায়ী এন্টি-ওজোন সফটনার ব্যবহার করতে হবে।



গার্মেন্টস সংরক্ষণ জনিত সমস্যাঃ

1. গার্মেন্টেসের উপর সরাসরি আলো পড়তে দেয়া যাবে না।

2. এক্ষেত্রে কালো ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে।

3. সংরক্ষিত স্থানের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে।   (27°C±2)

4. বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। (65%±2)


ল্যাবে যেভাবে ওজোন ফেডিং পরীক্ষা করা হয়ঃ
ল্যাবে গার্মেন্টসের ওজোন ফেডিং চেক করতে তিন ধরনে পদ্ধতি রয়েছে



পদ্ধতির নামঃ 

১। AATCC 109: 2005 (2 cycles) নিম্ন তাপমাত্রা ও নিম্ন আদ্রতা

২। AATCC 129:2005 (2 cycles) উচ্চ তাপমাত্রা ও উচ্চ আদ্রতা

৩। ISO 105 G03 সাধারণ বায়ুমন্ডল (উচ্চ ও নিম্ন তাপমাত্রা, আদ্রতা)


পদ্ধতিঃ-১ এর মাধ্যমে বেশির ভাগ বায়ার ওজোন ফেডিং চেক করেন।
উপকরণঃ ওজোন উৎপাদক চেম্বার যা ppm পরিমাণ ওজোন নির্গমন
নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

স্পেসিমেন সাইজঃ ১০ সেঃ মিঃ * ৬ সেঃ মিঃ

তাপমাত্রাঃ ২১°সেঃ±১°সেঃ

আদ্রতাঃ ৬৫±২% (সর্বোচ্চ ৬৭%)

সময়ঃ ১.৫ ঘন্টা থেকে ৬ ঘন্টা (প্রতি Cycles)

Cycles সংখ্যাঃ স্পেসিমেন এর চেহারার উপর নির্ভর করে। তবে নন-ডেনিম একবার আর ডেনিম মিনিমাম দুইবার।

Ozone লেভেলঃ 5 ppm

রিপোর্টঃ গ্রে স্কেলের সাহায্যে মান নির্ণয় । (নূন্যতম মান ৩)

AATCC= American Association of Textile Chemists and Colorists.


সম্পাদনায়ঃ
মোঃ ইবনে রেজওয়ান
কেমিষ্ট অব স্টারলিং গ্রুপ
তথ্য সংগ্রহেঃ ইন্টারনেট




1 টি মন্তব্য:

Unknown বলেছেন...

ধন্যবাদ ক্রেডিট দেবার জন্য :)