ক্যাম্পাস রিভিউ: SARSTEC , Barisal
বরিশালের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত 'শহীদ অাবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইন্জ্ঞিনিয়ারিং কলেজ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ২২ নং ওয়ার্ডে সিএন্ডবি রোডে (টিটিসির অপরপাশে) অবস্থিত৷২০১০সালে এতে' বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইন্জ্ঞিনিয়ারিং' বিভাগ চালু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভুক্ত হিসেবে৷২০১৩ সালে এটি 'বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভুক্ত হয়৷এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ টেক্সটাইল ক্যাম্পাস৷SARSTEC ক্যাম্পাস প্রায় ১৩ একর জায়গার উপর অবস্থিত৷
ধরন - সরকারী কলেজ
স্থাপিত - ২০১০
শিক্ষার্থী - প্রতি পর্বে ডিপ্লোমাতে ১২০ জন এবং বি.এস.সি.তে ১২০ জন
ঠিকানা - সি এন্ড বি রোড, বরিশাল, বাংলাদেশ।, বরিশাল, বাংলাদেশ
শিক্ষাঙ্গন- সি এন্ড বি রোড, বরিশাল
অধিভুক্তি- বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েবসাইট - http://www.arstecb.com/
ইতিহাসঃ
১৯৮০ সালে বরিশালের প্রাণকেন্দ্র সি এন্ড বি রোডে জেলা টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট নামে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয়। তখন ২ বছর মেয়াদী সার্টিফিকেট ইন টেক্সটাইল কোর্স চালু ছিল। ১৯৯৪ সালে টেক্সটাইল ডিপ্লোমার ব্যাপকতার কথা বিবেচনা করে বস্ত্র দপ্তর প্রতিষ্ঠানটিতে ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স চালু করে। তখন প্রতিষ্ঠানটির নাম দেওয়া হয়েছিল ইন্সটিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (ITET)। ১৯৯৬ সালে নামকরণ করা হয় টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, বরিশাল । বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির নাম শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশাল। ২০১০ সালে কলেজটিতে বি.এসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করে। বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ কলেজটির শুভ উদ্বোধন করেন।
অবস্থানঃ
বরিশালের সি এন্ড বি রোড সংলগ্ন টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) এর বিপরীত দিকে অবস্থিত । এটি ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক নামেও পরিচিত। এটি বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল (নথুল্লাবাদ) থেকে ০.২ কিমি দক্ষিণে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ কিমি উত্তরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অবস্থান।
এর রয়েছে উন্নত ল্যাবব্যাবস্থা ৷ প্রধান ভবনগুলোর মধ্যে অাছে—
১-একাডেমিক ভবন
২-প্রশাসনিক ভবন
৩-Cotton Shed
৪-Jute Shed
৫-Spining Shed
৬-ডরমিটরি ভবন
৭-অডিটরিয়াম
৮-কম্পিউটার ল্যাব
৯-লাইব্রেরী
১০-ওয়েট ল্যাব ও ফেব্রিক ল্যাব (নির্মানাধীন)
১১-ছাত্রছাত্রীদের পৃথক হল
১২-ক্যান্টিন
১৩-কেমিস্ট্রি ল্যাব
১৪-ফিজিক্স ল্যাব
ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে প্রথমেই চোখে পড়ে একটি মনোরম শহীদমিনার৷এছাড়া রয়েছে একটি সুদৃশ্য মসজিদ অার একটি সুবিশাল পুকুর৷
ক্রমবর্ধমান চাহিদার জন্য SARSTEC এ প্রতিদ্বন্দ্ধিতাপূর্ণ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতিবছর শিক্ষার্থী নির্ধারণ করা হয়৷৪টি ডিপার্টমেন্টের জন্য ৩০টি করে মোট ১২০ টি সীট বরাদ্দ অাছে৷
ডিপার্টমেন্টগুলো হল—
ডিপার্টমেন্টগুলো হল—
1-Yarn Engineering(YE)
2-Febric Engineering(FE)
3-Wet processing Engineering(WPE)
4-Apparel Engineering(AE)
কোর্স
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এই কলেজটিতে যেসব বিষয়ে চার বছর মেয়াদী বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু রয়েছেঃ-
ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং
ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং
ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং
অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং
ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি (প্রক্রিয়াধীন)
ভর্তি প্রক্রিয়া
ডিপ্লোমা কোর্সে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী এবং বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ এসএসসি এবং এইচএসসি এর ফলাফলের ভিত্তিতে ছাত্র ছাত্রী ভর্তির আবেদন করতে হয়। সরকারী বিধি মোতাবেক অনলাইনে শুধুমাত্র টেলিটক মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করতে পারে। ভর্তির ফলাফল প্রার্থীর ব্যবহৃত নম্বরে (মনোনীতদের) এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয। উল্লেখ্য, ডিপ্লোমা কোর্সে শুধুমাত্র জিপিএ এবং বিএসসি তে জিপিএ এর পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়
আসন সংখ্যা
ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ প্রতি পর্বে মোট আসন ১২০ জন করে।
বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে আসন সংখ্যা ১২০ জন
বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের আসন বিন্যাস নিম্নরূপ :
শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশাল এর আসন সংখ্যা
ডিপার্টমেন্টের নাম আসন সংখ্যা
ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ৩০
ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং ৩০
ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং ৩০
অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং ৩০
মোট আসন সংখ্যা ১২০
পাঠ্য বিষয় নির্বাচন
পাঠ্য বিষয়ের ক্ষেত্রে বোর্ড এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের মতামত চূড়ান্ত বলে গণ্য হয়। এক্ষেত্রে সকলের মেধার যোগ্যতাকেই বিবেচনা করা হয়।
শ্রেণিশিক্ষা কার্যক্রম
শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেয়া বাধ্যতামূলক। কোন ছাত্র ছাত্রী ক্লাসে উপস্থিত না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়। শ্রেণীকক্ষে নিয়মিত ফলপ্রসূ পাঠদান, পড়া আদায় এবং নিয়মিত শ্রেণীকুইজ পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারাই এই কলেজের মূল লক্ষ্য। ছাত্র ছাত্রী শিক্ষাবোর্ডের বিধি মোতাবেক শ্রেণী কার্যক্রমে শতকরা ৮০ ভাগের বেশি উপস্থিত না হলে তাকে ডিসকলেজিয়েট ঘোষণা করা হয় এবং পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয় না। এছাড়া শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ব্যবহারিক ক্লাস নেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা পুরো ক্যাম্পাসে ওয়াইফাই সংযোগের সাহায্য উচ্চ গতির ইন্টারনেট বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। আদর্শ পাঠদানে ব্যবহার করা হচ্ছে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন
প্রতি পর্ব এবং বর্ষোন্নয়ন পরীক্ষাতে ৪০ শতাংশ নম্বর পেলে ছাত্রছাত্রীরা পরবর্তী পর্বে বা বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারে। সকল পর্বে শ্রেণিকুইজ এবং বোর্ড নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পরবর্তী পর্বে অংশগ্রহন করার সুযোগ পায়।
SARSTEC এ বর্তমানে ৪র্থ হতে ৭ম চারটি ব্যাচ অধ্যয়ণরত অবস্থায় অাছে৷ইতিমধ্যে বের হওয়া তিনটি ব্যাচ খুব ভালো পজিশনে গিয়ে ক্যাম্পাসের প্রতিনিধিত্ব করছে৷এর সিলেবাস ও পাঠদান বুটেক্স দ্বারা প্রণীত এবং এতে সেশনজটের সুযোগ নেই৷বর্তমানে ক্যাম্পাসটিতে শিক্ষকসংকটও নেই৷এর একাডেমিক রেজাল্টও অন্যান্য টেক্সটাইল ক্যাম্পাসের জন্য ঈর্ষণীয়৷বর্তমানে এটি ATET এর পাশাপাশি ITET এর সদস্যপদ পেয়েছে ৷
আবাসিক ব্যবস্থাঃ
কলেজ সংলগ্ন মেসে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নতমানের আবাসন ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও বর্তমানে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য পৃথক হোস্টেল নির্মানাধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে বি এস সি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্রীদের হোস্টেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, আশা করা যায় খুব শীগ্রই ছাত্ররাও হোস্টেল পেয়ে যাবে। ক্যাম্পাসে সকল উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত চলছে।
পড়াশুনার পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়েও SARSTEC অনন্য৷এতে রয়েছে স্বেচ্ছাসেবামূলক সংস্থা 'প্রয়াস'৷এছাড়া চালু অাছে সাংস্কৃতিক সংস্থা 'উচ্ছ্বাস',যা বিভিন্ন সৃজনশীল প্রোগ্রামে ক্যাম্পাসকে প্রতিনিধিত্ব করে৷এছাড়া ক্যাম্পাসটিতে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷প্রতিবছর দেয়ালপত্রিকা 'সুইসুতা'র মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের লেখনীর দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারে৷ক্যাম্পাসের বিশেষ অাকর্ষণ হিসেবে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় পিঠাউৎসব৷এছাড়া বিভিন্ন খেলাধুলার ইভেন্টে ক্যাম্পাসটি অংশগ্রহণ করে এবং পুরো বরিশালে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করে৷
এছাড়া SARSTEC এ রয়েছে ছাত্রছাত্রীদের অালাদা ও সুসজ্জিত হলব্যাবস্থা৷হলে রয়েছে পর্যাপ্ত থাকা,খাওয়া ও বিশুদ্ধ পানির সুব্যাবস্থা৷
একটি ক্যাম্পাস একজন শিক্ষার্থীর সারাজীবনের স্বপ্নের প্রতিফলন৷SARSTEC এ চান্সপ্রাপ্ত অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা অনেক বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ ফেলে রেখে এখানে ভর্তি হয় উজ্জ্বল ভবিষ্যতের অাশায় ও ক্যাম্পাসটিকে ভালোবেসে৷proud to be a SARSTECIAN
লিখেছেনঃ
Md sayed Tebak
Wet process Engineering (WPE).
Sarstec,7th
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন