Woven Dyeing Procedure - ওভেন ডাইংয়ের কাজের নিয়মঃ
১. ওভেন ডাইং এর নন টেকনিক্যাল কাজ শুরু হয় প্লানিং ডিপার্টমেন্ট থেকে এখানে ডাইং এর বুকিং সিট বা ওয়ার্ক ওর্ডার দেয়া হয় আর এই ডিপার্টমেন্ট ওয়ার্ক ওর্ডার দেয়া ছাড়াও এর ফেব্রিক প্লান এবং ফেব্রিকের হিসেব করে থাকে । এরা গার্মেন্টস আর মার্চেন্ডাইজারের সাথে ডাইং এর কোর্ডিনেট করে থাকে।
২. ফেব্রিক এর প্লান যখন GM এর কাছে আসে তখন তিনি একে ডাইং এবং প্রিট্রিটমেন্ট ইন্সপেশন তিন ডিপার্টমেন্ট এ এর কপি পাঠিয়ে দেন, রেফারেন্স হিসেবে কপি রাখার জন্য যাতে এটা দেখে সবাই প্লান এবং কাজ করতে পারে ।
৩. যখন ফেব্রিকের অর্ডার হয় তখন প্লনিং ডিপার্টমেন্ট উইভিং থেকে গ্রে ফেব্রিক উইভিং করিয়ে আনিয়ে দেন সাথে সাথে বুকিং দেন ডাইং ডিপার্টমেন্টে ।
৪. প্রিট্রিটমেন্ট ডিপার্টমেন্ট তারা গ্রে ফেব্রিক রিসিভ করে রাখানে এবং গ্রে ফেব্রিক স্টক রিপোর্ট বানান । গ্রে কাপড় এর ভেতরে ইয়ার্ন ডাইড, সিটিং, টুইল, ডবি, সাটিন, পপলিন, ক্যানভাস থাকে।
৫. প্রিট্রিটমেন্ট এর ম্যানাজার এবং ইঞ্চার্জ GM স্যারদের সাথে কথা বলে ডিসাইজিং এর প্রগ্রাম নেন, GM স্যার প্লানিং এর সাথে কথা বলেন এবং ডেলিভারি টাইম এর উপর নির্ভর করে উনি প্রোগ্রাম সাজান যে কোন কাপড়ের জরুরী কোন কাপড় জরুরী না আর সে অনুযায়ী কাপড় চালাতে বলেন।
৬. প্রিট্রিটমেন্ট এর ম্যানাজার এবং ইঞ্চার্জ প্রোগ্রাম অনুযায়ী লট দিয়ে রাখে পরে একে একের পর এক সিঞ্জিং ডিসাইজিং করা করেন । এই প্রসেস জন্য ১২ ঘন্টা সময় লাগে।
৭. ডিসাইজ ব্যাচার গুলি ১২ ঘন্টা রোটেশনে থাকে এর পর একে ব্লিচ এর জন্য নেয়া হয় ব্লিচ এর পর মার্সারাইজ করা হয়। হোয়াইট করার অর্ডার থাকলে ব্লিচ এর পর জিগারে দিয়ে দিতে হবে হোয়াইট করার জন্য ।
৮. মার্সারাইজ এর পর শুরু হয়ে যায় ডাইং এর কাজ তারা মার্সারাইজ ফেব্রিক থেকে, আর প্রিট্রিটমেন্ট এর ম্যানাজার এবং ইঞ্চার্জ RFD বা ব্লিচ মার্সারাইজ কম্পলিট ফেব্রিকে এ লিস্ট ডাইং ডিপার্টমেন্টে কে বুঝিয়ে দেয়। লাইক্রা ফেব্রিক হিটসেট করা লাগলে মার্সারাইজ এর আগে হিট সেট করা লাগে এর জন্য স্টেনটারে পাঠাতে হিটসেট করার জন্য ।
৯. ডাইং ডিপার্টমেন্টে এর ম্যানেজার তাদের ফ্লোর স্টেটাস দেখে অর্ডার সিট দেখেন কোন ফেব্রিক ডাইং হবে কি কি কালার হবে কোয়ানটিটি কি, এর আইডিয়া নিয়ে হেড অফ ডাইং এর অর্ডার এবং পরামর্শ নিয়ে আসেন তার পর প্রোগ্রাম এবং ডাইং এর সিরিয়াল প্রোগ্রাম খাতায় লিখা হয়।
১০. ডাইং শিফটে দায়িত্বে থাকা PO, SPO, APO, Asst Maneger রা প্রোগ্রাম পড়েন সেখানে ফেব্রিক এর পিচ আছে কিনা দেখেন, পিচ থাকলে তাকে পিচে পাঠান। প্রোগ্রাম অনু্যায়ী RFD ফেব্রিক গুলি ওয়াস করিয়ে নেন ডাইং এর জন্য ।
১১. শিফটে দায়িত্বে থাকা PO, SPO, APO, Asst Maneger রা দেখেন যে এটা কি ল্যাব ডিপ ফলো করে ডাইং হবে নাকি আগের করা স্যাম্পল রেসিপি দেখে ডাইং হবে । তারা অর্ডারশিট দেখে ল্যাবডিপ এবং এপ্রুভ অপশন ফলো করে ডাইং এর রেসিপি দেন।
১২. ডাইং এর রেসিপি CPB মেশিনের অপারেটর নিয়ে যান এবং কালার ক্যামিকেল নিয়ে আসেন এবং কালার ক্যামিকেল আলাদা বানান।
১৩. কালার ক্যামিকেল বানানো হয়ে গেলে তা থেকে একটু কালার ক্যামিকেল ল্যাবে দিয়ে এডভান্সড স্যাম্পল ডাইং বা রেপিড দেখার জন্য পাঠানো হয়।
১৪. প্রতি রেপিড আনুমানিক ১ ঘন্টা স্টিম আয়রন করা হয় এর পর এটা এনে প্রডাকশনে ল্যাবডিপের সাথে দেখা হয় যদি কালার লাগে আরো কালার % আকারে এডিশন দেয়া হয় আর যদি ডিপ হয় কালার তবে ওয়াটার এড করে লাইট করে ফেলা হয়। এভাবে কালার ওকে না হওয়া পর্যন্ত রেপিড করা লাগে।
১৫. সেড ওকে হয়ে গেলে মেশিন চালানোর পারমিশন দেয়া হয় এবং CPB চালু করা হয়, ডাইং প্যাডিং হয়ে গেলে ফেব্রিক কে পলি দিয়ে পেছিয়ে ১২ ঘন্টা রোটেশনে রাখা হয়।
১৬. ১২ ঘন্টা হয়ে গেলে একে কন্টিনিউয়াস ওয়াসে ওয়াস করে ফেলা হয়।
১৭. হোয়াইট কালার হলে তাকে জিগারে ডাইং করার প্রোগ্রাম দেয়া হয় এর জন্য রেসিপি লাগেনা অপারেটর নিয়ে ডাইং করতে পারে। হোয়াইট করার দরকার হলে এটা মার্সারাইজ করার দরকার হয় না ডিরেক্ট হোয়াইট করা হয়।
১৮. ইয়ার্ন ডাইং ফেব্রিক গুলি ১২ ঘন্টা ডিসাইজ রোটেশনের পর এদের কন্টিনিউয়াস ওয়াসে হট ওয়াস করে নেয়া হয়।
১৯. ডাইং ওয়াসের পর ডাইং ডিপার্টমেন্ট এর কাজ শেষ হয়ে যায় এর ফিনিশ ডিপার্টমেন্ট কাজ শুরু হয়।
২০. ফিনিশ ডিপার্টমেন্ট প্রথমে ফ্লোরে স্টেটাস করে তারা ডাইং ওয়াস করা ফেব্রিক থেকে স্যাম্পল কেটে নেয় তারপর এই স্যাপল কে ল্যাবিডিপ বা স্টেন্ডার্ড এর সাথে মিলায়।
২১. সেড ভালো হলে ওয়াটার ফিনিশ, সফট ফিনিশ করা হলে ক্যাটায়নিক সফেনার, সিলিকন সফেনার দিয়ে ফিনিশ করা হয়।
২২. ইয়ার্ন ডাইড হলে সেড চেক করা লাগে না ডিরেক্ট সফট ফিনিশ করা হয়। স্কিউ বায়াস ঠিক করে চালাতে হবে।
২৩. ফেব্রিক লাইক্রা হলে ব্লিচ এর পর মার্সারাইজ এর আগে হিটসেট করে নিতে হয় তাই ফিনিশ এর মাঝে হিট সেটের প্রোগ্রাম নিতে হয়।
২৪. কখনো যদি ফ্লোরোসেন্ট ডাইং পিগমেন্ট ডাইং হলে তাকে স্টেনিটারে ডাইং করা লাগে । ডাইং এর পর আবার কিউরিং করানো লাগে।
২৫. RFD ফিনিশ এর প্রোগ্রাম থাকলে ড়ফড ওয়াস করে স্টেনটারে ডিরেক্ট ফিনিশ করতে হবে।
২৬. ফিনিশ করা ফেব্রিক গুলি সব সানফোরাইজ করে নিতে হবে।
২৭. সানফোরাইজ করার পর ডিরেক্ট ইন্সপেকশন এর জন্য পাঠাতে হবে।
২৮. ব্রাশ করা, রেইজিং করা ফেব্রিক, ভয়েল ব্যাতিত সব ফেব্রিক সানফোরাইজ করা লাগবে।
২৯. ইন্সপেকশন এর সময় ৪ পয়েন্ট ফলো চেক করা হয়, এবং প্রতি রোল থেকে রোল কাটিং রাখা হয় । এবং প্রতি ব্যাচ থেকে ১-২ মিটার ফেব্রিক কেটে রাখা হয়।
৩০. কেটে নেয়া রোল কাটিং এবং ফোর পয়েন্ট রিপিট থেকে ইন্সপেকশন ইঞ্চার্চ প্যাকিং লিস্ট করে, সেড গ্রুপ করে, সেড ব্লাংকেট বানায়, লিস্টিং সেলায়, GSM মাপে, স্রিংকেজ মিজার করতে দেয় ল্যাবে, টিয়ার টেনসাইল , রাবিং টেস্ট করতে দেয়, CMC টেস্ট করা হয় গ্রেড গুলির স্টেন্ডার্ড এর সাথে।
৩১. যে রোল গুলি ইন্সপেকশন ফেইল করে তা হোল্ড করে রাখা হয় যে রোল পাস করে তা ডেলিভারী জন্য লিস্টেড করা হয় আর যার সেড ওকে নাই তা অফসেড আকারে ডাইং রিটার্ন করা হয়।
৩২. সেড চেক হলে রিপোর্ট পাস হলে সব গুলি রিপোর্ট সেড এক করে সেড ব্যাড বানানো হয় যার ভেতর থাকে সেড গ্রেড, GSM, লিস্টিং, CMC রিপোর্ট, রোল সাইজ কোয়ানিটিটি ইত্যাদি দিয়ে মাল গুলি ডেলিভারি স্টোরে জমা দেয়া হয়।
৩৩. ইন্সপেকশন ম্যানেজার নিজের অর্ডার সিট দেখে কতো ছিলো অর্ডার কোয়ানন্টিটি কতো ফিনিশ করা হয়েছে কতো ভালো পেয়েছে কতো ডেলিভারি পেয়েছে তা থেকে বাকি লাগলে তা ডাইং এ জানানো হয় আর কতো হলে ওর্ডার কোয়ানটিটি মেক আপ হবে।
৩৪. ল্যাবের কাজ হচ্ছে ভ্যারাইটিস এরা ডাইং এর ল্যাব ডিপ, প্রডাকশন ম্যাচিং করে এছাড়া ক্যামিকেল টেস্টিং করে থাকেন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন