FDS বা Fabric Detail Sheet
ফেব্রিক বা কাপড় কত প্রকার কি কি এগুলো নিয়ে বিশদ আলোচনা খুবই সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। যারা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ে এসেছেন বা এই রিলেটেড কোন কোর্স করেছেন বা এই ট্রেডে জব করছেন তারা এই ব্যাপারে কমবেশ ভালো করেই জানেন। আর যারা অন্য ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এই সেক্টরে আসতে চান তারা এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাইলে বেলাল স্যারের Understanding Textiles For A Merchandiser বইটি নীলক্ষেত থেকে কিনতে পারেন অথবা নেটে পিডিএফ কপি সংগ্রহ করতে পারেন। এছাড়া আমরা চেষ্টা করবো অন্য কোন পর্বে ক্ষুদ্রভাবে এগুলো নিয়ে আলোচনা করতে।
আজকের এই পর্বে আমরা Fabric Detail Sheet (FDS) সম্পর্কে কিছু জানবো। আমরা যখন কোন মোবাইল কিনতে যাই তখন তার স্পেসিফিকেশন দেখি যে কোন প্রসেসর, কত বড় স্ক্রিন, র্যাম/রম কত জিবি, ক্যামেরা কত মেগা পিক্সেল ইত্যাদি ইত্যাদি। ঠিক সেরকম বায়ার যখন কোন ফেব্রিক নিয়ে ডেভেলপমেন্ট শুরু করে তখন সে ফেব্রিকের ডিটেইল জানতে চায়। একে সাধারনভাবে Fabric Detail Sheet (FDS) বলে।ব্যাপারটা আমাদের সিভির মতো যাতে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া থাকে।প্রতিটা বায়ারের তাদের চাহিদামতো FDS এর আলাদা একটা ফরম্যাট থাকে যাতে তারা তাদের একটি নির্দিষ্ট ফেব্রিক কোডের প্রয়োজনীয় বৃত্তান্ত একটি কমন পেজে পেতে পারে। আসুন দেখে নেই একটা FDS এ কি কি কমন ইনফরমেশন থাকতে পারে। বুঝার সুবিধার্থে আমি একটি FDS এর ছবি যুক্ত করেছি।
১) কাপড়ের নাম Fabric Code:
একটি FDS এ প্রথমেই যা থাকা লাগবে তা হচ্ছে ফেব্রিকের কোড। একটা মানুষকে যেমন চেনার জন্য তার নাম থাকা লাগে ঠিক তেমনি একটি ফেব্রিককে চিনার জন্য তার একটা স্বতন্ত্র কোড থাকা জরুরী। একেকটা ফেব্রিক মিল তাদের সুবিধা অনুযায়ী একেকটা ফেব্রিকের একেকটা নাম দিয়ে থাকে। যেমন চায়নার Shenzhen Textile তাদের একটা ফেব্রিকের কোড ঠিক করলো E071P আবার বাংলাদেশের Zaber & Zubayer ঠিক একই রকম ফেব্রিকের কোড ঠিক করলো 32459/2017.
২) কাপড়ের কারখানার Fabric Mill এর নাম :
FDS এ ফেব্রিক কোডের পাশাপাশি ফেব্রিক মিলের নাম উল্লেখ থাকে। সেই সাথে সাধারণত কন্টাক্ট পারসনের নাম ও মেইল এড্রেস থাকে।
৩) উৎপাদনের দেশ Country of Origin :
আমাদের সিভিতে যেমন জাতীয়তা কি সেটা লিখি ঠিক তেমনি FDS এ ফেব্রিকের জাতীয়তা অর্থাৎ ফেব্রিকটি কোন কান্ট্রিতে প্রডিউসড তা উল্লেখ করা থাকে। কেননা আপনি যখন TNA নিয়ে কাজ করবেন তখন আপনার মাথায় রাখা লাগবে যে ফেব্রিকটি কোন কান্ট্রি থেকে শিপ হচ্ছে, তার আসতে কতদিন সময় লাগবে পাশাপাশি এখানে কোটাভিত্তিক বায়ারেরও কিছু রিকোয়ারমেন্ট থাকে।
৪) কাপড়ের সুতার উপাদান Fabric Fiber Composition :
FDS এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে এটি। ফেব্রিকটি কোন কোন ফাইবার দিয়ে প্রডিউসড তার তথ্য এখানে দেওয়া থাকে। পাশাপাশি সেখানে ফাইবার অনুযায়ী তাদের পার্সেন্টেজ কত তা দেওয়া থাকে। যেমন ধরুন একটি ফেব্রিকের ফাইবার কম্পোজিশন হচ্ছে 98% Cotton 2% Spandex। একটা ফ্রেব্রিকের দাম কোন কোন ফাইবার ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। পাশাপাশি ফেব্রিকের ক্যারেক্টারিস্টিকস ও কি ধরনের ফাইবার ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে।
৫)বুননের গঠন Weaving Construction :
উইভিং এর উপর ভিত্তি করে ওভেন ফেব্রিক অনেকরকম হতে পারে। যেমন 2/1 Twill , 3/1 Twill, Poplin, Satin ইত্যাদি। একটি ফেব্রিকের উইভিং কিরকম তাও FDS এ দেওয়া থাকে।
৬) সুতার গঠন Yarn Construction :
ফাইবার কম্পোজিশনের মতো এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একটি ওভেন ফেব্রিক সাধারণত দুই সেট ইয়ার্ণ দ্বারা উইভ করা হয়। সেই দুই সেটের ওয়ার্পে এবং ওয়েফট কত কাউন্টের ইয়ার্ন এবং প্রতি ইঞ্চিতে কয়টি করে ইয়ার্ণ আছে তা FDS e উল্লেখ করা থাকে। যেমন 98% Cotton 2% Spandex এর একটি 2/1 Twill ফেব্রিকের ইয়ার্ণ কন্সট্রাকশন হচ্ছে 156X72/32X32+70D। এর মানে হচ্ছে এই ফেব্রিকের EPI (Ends Per Inch) ও PPI (Picks Per Inch) হচ্ছে যথাক্রমে ১৫৬ ও ৭২। অর্থাৎ এই ফেব্রিকের প্রতি ইঞ্চিতে ওয়ার্পে ১৫৬ টি ইয়ার্ন এবং ওয়েফটে ৭২ টি ইয়ার্ন আছে। আর ওয়ার্প ইয়ার্ন হচ্ছে ৩২ কাউন্টের এবং ওয়েফট ও ইয়ার্ন হচ্ছে ৩২ কাউন্টের সাথে ৭০ ডেনিয়ারের স্পান্ডেক্স ইয়ার্ন আছে।
৭) কাপড়ের প্রস্থ Fabric Width :
ফেব্রিকটির রেগুলার উইডথ এবং কাটেবল উইডথ কত সে তথ্যও FDS এ থাকে। রেগুলার উইডথ মানে হচ্ছে দুইপাশের Selvedge সহ উইডথ আর কাটেবল উইডথ মানে হচ্ছে Selvedge ছাড়া যতটুকু ফেব্রিক কাটিং এর সময় কাটা যাবে তার উইডথ। ওভেন ফেব্রিকে সাধারণত এটা ইঞ্চিতে প্রকাশ করা হয়। যেমন দেখা গেলো উপরে যেই ফেব্রিকটির কথা বললাম তার রেগুলার উইডথ 57/58" কিন্তু কাটেবল উইডথ হচ্ছে 56"।
৮) কাপড়ের ওজন Fabric Weight:
একটি ফেব্রিকের Weight কত সেটা জানাও অন্তত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা লিংগ/বয়স/ গার্মেন্টস আইটেমভেদে আলাদা আলাদারকম Fabric Weight সিলেক্ট করা হয়। যেমন সাধারণত Ladies Item এর ক্ষেত্রে যদি ডেনিম আইটেম হয় সেক্ষেত্রে After Wash Fabric weight সাধারণত ম্যাক্সিমাম 8-9.50 Oz এর মাঝে বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে Men's Item এ তা 10+ Oz বিবেচনা করা হয়। এটা একটা ধারণা মাত্র। এক্ষেত্রে Before Wash & After Wash দুই প্রকার Weight ই বিবেচ্য বিষয়। After Wash Fabric Weight সাধারণত Before Wash Fabric Weight এর থেকে বেশি হয়। Fabric Weight সাধারণত GSM (Gram per Square Meter) কিংবা Oz (Ounce) এ প্রকাশ করা হয়।
১২) কাপড় ফিনিশিং Fabric Finishing :
একটি ফেব্রিক শুধু উইভিং করলেই সব কাজ শেষ হয়ে যায় না। এরপর তাকে প্রয়োজন অনুসারে নানারকম Finishing করা হয়। যেমন Singeing, Sanforization, Mercharization, Heat Setting ইত্যাদি। এগুলো নিয়ে অন্য পর্বে আলোচনা করবো।
১৩) কাপড়ের দাম Fabric Price :
সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু ফেব্রিকের প্রাইস যদি বায়ারের যুতসই না হয় তাহলে কিন্তু বায়ার সেই ফেব্রিক নিবে না। তাই ফেব্রিক মিলও সব হিসেব নিকেশ করে সে অনুযায়ী বায়ারকে প্রাইস অফার করে। সাধারণত ফেব্রিক প্রাইস FOB( Free On Board) এ এবং USD ($) তে উল্লেখ করা থাকে।
১৪) নমুনা কাপড়ের উৎপাদনের সময় Sample Fabric Lead Time:
একটা স্যাম্পল ডেভেলপ করার জন্য অর্থাৎ বায়ার যদি নতুন কোন ডেভেলপমেন্ট দেয় সেক্ষেত্রে ফেব্রিক মিল সেটা ডেভেলপ করার জন্য কতটুকু সময় নিবে তাকে স্যাম্পল লিড টাইম বলে।
১৫) বৃহৎ কাপড়ের উৎপাদনের সময় Bulk fabric Lead Time:
যদি বায়ার অর্ডার কনফার্ম করে তাহলে সেই বাল্ক অর্ডারের পরিপ্রেক্ষিতে ফেব্রিক মিলের ফেব্রিক রেডি করতে সময় লাগবে তাকে বাল্ক ফেব্রিক লিড টাইম বলে। ফেব্রিকের উইভিং,ইয়ার্ন কন্সট্রাকশন, মিলের প্রডাকশন ক্যাপাসিটি ইত্যাদি অনুযায়ী একেক ফেব্রিক মিলের একেকরকম সময় লাগে।
১৬) ন্যূনতম আদেশের সংখ্যা [ MOQ (Minimum Order Qty] :
MOQ মানে হচ্ছে মিনিমাম কতটুকু ফেব্রিক বায়ারকে অর্ডার করতে হবে। কেননা একটা ফেব্রিক রেডি করতে মিলের ন্যূনতম কিছু খরচ আছে যা কম বেশ বড় কিংবা ছোট অর্ডারের ক্ষেত্রে একই। সেক্ষেত্রে ফেব্রিক কালার এবং টোটাল অর্ডার অনুযায়ী কতটুকু বাল্ক ফেব্রিক অর্ডার করতে হবে তা FDS এ উল্লেখ করা থাকে এবং তার কম হলে কত Surcharge অথবা Additional Cost দেওয়া লাগবে তা বলা থাকে।
১৭) মূল্য স্থিতিশীলতা Price Validity :
বিশ্ববাজারে ইয়ার্নের দাম স্থিতিশীল নয়। প্রায়ই তা উঠানামা করে। তার উপর ভিত্তি করে FDS এ কতদিন পর্যন্ত একইরকম Fabric Price Stable থাকবে তা উল্লেখ থাকে।
এটা ছাড়াও বায়ারের ফরম্যাটে বায়ারের নাম, সিজনের নাম, গার্মেন্টস স্টাইল নং আরো ইত্যাদি তথ্য FDS এ দেওয়া থাকে।
ফেব্রিক বা কাপড় কত প্রকার কি কি এগুলো নিয়ে বিশদ আলোচনা খুবই সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। যারা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ে এসেছেন বা এই রিলেটেড কোন কোর্স করেছেন বা এই ট্রেডে জব করছেন তারা এই ব্যাপারে কমবেশ ভালো করেই জানেন। আর যারা অন্য ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এই সেক্টরে আসতে চান তারা এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাইলে বেলাল স্যারের Understanding Textiles For A Merchandiser বইটি নীলক্ষেত থেকে কিনতে পারেন অথবা নেটে পিডিএফ কপি সংগ্রহ করতে পারেন। এছাড়া আমরা চেষ্টা করবো অন্য কোন পর্বে ক্ষুদ্রভাবে এগুলো নিয়ে আলোচনা করতে।
আজকের এই পর্বে আমরা Fabric Detail Sheet (FDS) সম্পর্কে কিছু জানবো। আমরা যখন কোন মোবাইল কিনতে যাই তখন তার স্পেসিফিকেশন দেখি যে কোন প্রসেসর, কত বড় স্ক্রিন, র্যাম/রম কত জিবি, ক্যামেরা কত মেগা পিক্সেল ইত্যাদি ইত্যাদি। ঠিক সেরকম বায়ার যখন কোন ফেব্রিক নিয়ে ডেভেলপমেন্ট শুরু করে তখন সে ফেব্রিকের ডিটেইল জানতে চায়। একে সাধারনভাবে Fabric Detail Sheet (FDS) বলে।ব্যাপারটা আমাদের সিভির মতো যাতে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া থাকে।প্রতিটা বায়ারের তাদের চাহিদামতো FDS এর আলাদা একটা ফরম্যাট থাকে যাতে তারা তাদের একটি নির্দিষ্ট ফেব্রিক কোডের প্রয়োজনীয় বৃত্তান্ত একটি কমন পেজে পেতে পারে। আসুন দেখে নেই একটা FDS এ কি কি কমন ইনফরমেশন থাকতে পারে। বুঝার সুবিধার্থে আমি একটি FDS এর ছবি যুক্ত করেছি।
১) কাপড়ের নাম Fabric Code:
একটি FDS এ প্রথমেই যা থাকা লাগবে তা হচ্ছে ফেব্রিকের কোড। একটা মানুষকে যেমন চেনার জন্য তার নাম থাকা লাগে ঠিক তেমনি একটি ফেব্রিককে চিনার জন্য তার একটা স্বতন্ত্র কোড থাকা জরুরী। একেকটা ফেব্রিক মিল তাদের সুবিধা অনুযায়ী একেকটা ফেব্রিকের একেকটা নাম দিয়ে থাকে। যেমন চায়নার Shenzhen Textile তাদের একটা ফেব্রিকের কোড ঠিক করলো E071P আবার বাংলাদেশের Zaber & Zubayer ঠিক একই রকম ফেব্রিকের কোড ঠিক করলো 32459/2017.
২) কাপড়ের কারখানার Fabric Mill এর নাম :
FDS এ ফেব্রিক কোডের পাশাপাশি ফেব্রিক মিলের নাম উল্লেখ থাকে। সেই সাথে সাধারণত কন্টাক্ট পারসনের নাম ও মেইল এড্রেস থাকে।
৩) উৎপাদনের দেশ Country of Origin :
আমাদের সিভিতে যেমন জাতীয়তা কি সেটা লিখি ঠিক তেমনি FDS এ ফেব্রিকের জাতীয়তা অর্থাৎ ফেব্রিকটি কোন কান্ট্রিতে প্রডিউসড তা উল্লেখ করা থাকে। কেননা আপনি যখন TNA নিয়ে কাজ করবেন তখন আপনার মাথায় রাখা লাগবে যে ফেব্রিকটি কোন কান্ট্রি থেকে শিপ হচ্ছে, তার আসতে কতদিন সময় লাগবে পাশাপাশি এখানে কোটাভিত্তিক বায়ারেরও কিছু রিকোয়ারমেন্ট থাকে।
৪) কাপড়ের সুতার উপাদান Fabric Fiber Composition :
FDS এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে এটি। ফেব্রিকটি কোন কোন ফাইবার দিয়ে প্রডিউসড তার তথ্য এখানে দেওয়া থাকে। পাশাপাশি সেখানে ফাইবার অনুযায়ী তাদের পার্সেন্টেজ কত তা দেওয়া থাকে। যেমন ধরুন একটি ফেব্রিকের ফাইবার কম্পোজিশন হচ্ছে 98% Cotton 2% Spandex। একটা ফ্রেব্রিকের দাম কোন কোন ফাইবার ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। পাশাপাশি ফেব্রিকের ক্যারেক্টারিস্টিকস ও কি ধরনের ফাইবার ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে।
৫)বুননের গঠন Weaving Construction :
উইভিং এর উপর ভিত্তি করে ওভেন ফেব্রিক অনেকরকম হতে পারে। যেমন 2/1 Twill , 3/1 Twill, Poplin, Satin ইত্যাদি। একটি ফেব্রিকের উইভিং কিরকম তাও FDS এ দেওয়া থাকে।
৬) সুতার গঠন Yarn Construction :
ফাইবার কম্পোজিশনের মতো এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একটি ওভেন ফেব্রিক সাধারণত দুই সেট ইয়ার্ণ দ্বারা উইভ করা হয়। সেই দুই সেটের ওয়ার্পে এবং ওয়েফট কত কাউন্টের ইয়ার্ন এবং প্রতি ইঞ্চিতে কয়টি করে ইয়ার্ণ আছে তা FDS e উল্লেখ করা থাকে। যেমন 98% Cotton 2% Spandex এর একটি 2/1 Twill ফেব্রিকের ইয়ার্ণ কন্সট্রাকশন হচ্ছে 156X72/32X32+70D। এর মানে হচ্ছে এই ফেব্রিকের EPI (Ends Per Inch) ও PPI (Picks Per Inch) হচ্ছে যথাক্রমে ১৫৬ ও ৭২। অর্থাৎ এই ফেব্রিকের প্রতি ইঞ্চিতে ওয়ার্পে ১৫৬ টি ইয়ার্ন এবং ওয়েফটে ৭২ টি ইয়ার্ন আছে। আর ওয়ার্প ইয়ার্ন হচ্ছে ৩২ কাউন্টের এবং ওয়েফট ও ইয়ার্ন হচ্ছে ৩২ কাউন্টের সাথে ৭০ ডেনিয়ারের স্পান্ডেক্স ইয়ার্ন আছে।
৭) কাপড়ের প্রস্থ Fabric Width :
ফেব্রিকটির রেগুলার উইডথ এবং কাটেবল উইডথ কত সে তথ্যও FDS এ থাকে। রেগুলার উইডথ মানে হচ্ছে দুইপাশের Selvedge সহ উইডথ আর কাটেবল উইডথ মানে হচ্ছে Selvedge ছাড়া যতটুকু ফেব্রিক কাটিং এর সময় কাটা যাবে তার উইডথ। ওভেন ফেব্রিকে সাধারণত এটা ইঞ্চিতে প্রকাশ করা হয়। যেমন দেখা গেলো উপরে যেই ফেব্রিকটির কথা বললাম তার রেগুলার উইডথ 57/58" কিন্তু কাটেবল উইডথ হচ্ছে 56"।
৮) কাপড়ের ওজন Fabric Weight:
একটি ফেব্রিকের Weight কত সেটা জানাও অন্তত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা লিংগ/বয়স/ গার্মেন্টস আইটেমভেদে আলাদা আলাদারকম Fabric Weight সিলেক্ট করা হয়। যেমন সাধারণত Ladies Item এর ক্ষেত্রে যদি ডেনিম আইটেম হয় সেক্ষেত্রে After Wash Fabric weight সাধারণত ম্যাক্সিমাম 8-9.50 Oz এর মাঝে বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে Men's Item এ তা 10+ Oz বিবেচনা করা হয়। এটা একটা ধারণা মাত্র। এক্ষেত্রে Before Wash & After Wash দুই প্রকার Weight ই বিবেচ্য বিষয়। After Wash Fabric Weight সাধারণত Before Wash Fabric Weight এর থেকে বেশি হয়। Fabric Weight সাধারণত GSM (Gram per Square Meter) কিংবা Oz (Ounce) এ প্রকাশ করা হয়।
৯) কাপড়ের সংকোচন/প্রসারন Fabric Shrinkage :
সাধারণত ফেব্রিককে Wash করার পর তা সংকোচিত/প্রসারিত হয়। Fabric Shrinkage বলতে একটি Before Wash Fabric কে Wash করার পর তা কতটুকু সংকোচিত বা প্রসারিত হচ্ছে তাকে বুঝায়। ফেব্রিক সাধারণত ওয়াশ করার পর Warp এবং Weft এ দুই দিকেই Shrink করে। তাই Fabric Shrinkage সেই অনুযায়ীই FDS এ উল্লেখ করা থাকে।
১০) কাপড় রং করার পদ্ধতি Fabric Dyeing Method :
ফেব্রিক PFD (Prepared For Dyeing) নাকি Piece Dyed নাকি Yarn Dyed নাকি অন্য কোন মেথডে ডায়িং করা হয়েছে তা FDS এ উল্লেখ থাকে।
১১) রংয়ের ধরণ Dyes Type:
ফেব্রিক কি ধরনের Dyes দিয়ে ডায়িং করা হয়েছে তাও একটা মুখ্য বিষয়। সেটা কি Direct Dye নাকি Reactive Dye নাকি Vat Dye নাকি অন্য কোন Dye সেটাও উল্লেখ থাকে।
১২) কাপড় ফিনিশিং Fabric Finishing :
একটি ফেব্রিক শুধু উইভিং করলেই সব কাজ শেষ হয়ে যায় না। এরপর তাকে প্রয়োজন অনুসারে নানারকম Finishing করা হয়। যেমন Singeing, Sanforization, Mercharization, Heat Setting ইত্যাদি। এগুলো নিয়ে অন্য পর্বে আলোচনা করবো।
১৩) কাপড়ের দাম Fabric Price :
সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু ফেব্রিকের প্রাইস যদি বায়ারের যুতসই না হয় তাহলে কিন্তু বায়ার সেই ফেব্রিক নিবে না। তাই ফেব্রিক মিলও সব হিসেব নিকেশ করে সে অনুযায়ী বায়ারকে প্রাইস অফার করে। সাধারণত ফেব্রিক প্রাইস FOB( Free On Board) এ এবং USD ($) তে উল্লেখ করা থাকে।
১৪) নমুনা কাপড়ের উৎপাদনের সময় Sample Fabric Lead Time:
একটা স্যাম্পল ডেভেলপ করার জন্য অর্থাৎ বায়ার যদি নতুন কোন ডেভেলপমেন্ট দেয় সেক্ষেত্রে ফেব্রিক মিল সেটা ডেভেলপ করার জন্য কতটুকু সময় নিবে তাকে স্যাম্পল লিড টাইম বলে।
১৫) বৃহৎ কাপড়ের উৎপাদনের সময় Bulk fabric Lead Time:
যদি বায়ার অর্ডার কনফার্ম করে তাহলে সেই বাল্ক অর্ডারের পরিপ্রেক্ষিতে ফেব্রিক মিলের ফেব্রিক রেডি করতে সময় লাগবে তাকে বাল্ক ফেব্রিক লিড টাইম বলে। ফেব্রিকের উইভিং,ইয়ার্ন কন্সট্রাকশন, মিলের প্রডাকশন ক্যাপাসিটি ইত্যাদি অনুযায়ী একেক ফেব্রিক মিলের একেকরকম সময় লাগে।
১৬) ন্যূনতম আদেশের সংখ্যা [ MOQ (Minimum Order Qty] :
MOQ মানে হচ্ছে মিনিমাম কতটুকু ফেব্রিক বায়ারকে অর্ডার করতে হবে। কেননা একটা ফেব্রিক রেডি করতে মিলের ন্যূনতম কিছু খরচ আছে যা কম বেশ বড় কিংবা ছোট অর্ডারের ক্ষেত্রে একই। সেক্ষেত্রে ফেব্রিক কালার এবং টোটাল অর্ডার অনুযায়ী কতটুকু বাল্ক ফেব্রিক অর্ডার করতে হবে তা FDS এ উল্লেখ করা থাকে এবং তার কম হলে কত Surcharge অথবা Additional Cost দেওয়া লাগবে তা বলা থাকে।
১৭) মূল্য স্থিতিশীলতা Price Validity :
বিশ্ববাজারে ইয়ার্নের দাম স্থিতিশীল নয়। প্রায়ই তা উঠানামা করে। তার উপর ভিত্তি করে FDS এ কতদিন পর্যন্ত একইরকম Fabric Price Stable থাকবে তা উল্লেখ থাকে।
এটা ছাড়াও বায়ারের ফরম্যাটে বায়ারের নাম, সিজনের নাম, গার্মেন্টস স্টাইল নং আরো ইত্যাদি তথ্য FDS এ দেওয়া থাকে।
আসিফ বিন আসগর
মার্চেন্ডাইজিং ডিপার্টমেন্ট, হামীম গ্রুপ
এক্স টেক্সটাইল স্টুডেন্ট
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন