শ্রম আইনের আওতায় অসদাচরণ ও বরখাস্ত | Textile Labour Law - Textile Lab | Textile Learning Blog
শ্রম আইনের আওতায় অসদাচরণ ও বরখাস্ত 



কোন শ্রমিক (বা কর্মীকে) বরখাস্ত করতে হলে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ আনতে হবে এবং নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হতে হবে। তা না করে কাউকে বরখাস্ত  করা হলে তা সংশ্লিষ্ট আইনে চ্যালেঞ্জযোগ্য।

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ২৪(১)(ঘ) ধারার বিধান মোতাবেক মালিক-শ্রমিকের সমসংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে কমিটি গঠন করে অভিযোগের তদন্ত করতে হবে। আর অভিযোগ আনয়নের (শো-কজ) দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে।

কিন্তু এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর বিধি ২৯ এর বিধান কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। ঐ বিধি অনুসারে, “...  মালিক শাস্তি প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য ব্যবস্থাপক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত কমিটি গঠনপূর্বক তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করিয়া ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করিতে নির্দেশ প্রদান করিবেন”।

এতে মনে হতে পারে- তদন্ত কমিটি গঠনের দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। আসলে তা নয়।

যেহেতু শ্রম আইন অভিযোগ উত্থাপনের (শো-কজ) দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের কথা বলেছে, তাই অগ্রগন্য হবে। কোন আইন ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালার কোন বিষয়ে সংঘর্ষ হলে আইনের বিধান প্রাধান্য পাবে।

তাই, কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনার পর অভিযোগ তোলার (শো-কজ) দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ না হলে তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগই আনা হয়নি বলে গণ্য হবে- অভিযুক্ত এমন দাবী করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট মালিকের কাছে প্রতিকার চাইতে পারেন; আর ব্যর্থতায় মাননীয় শ্রম আদালতের দারস্থ হওয়া যাবে।

মতামত দিয়েছেন:
- ড. উত্তম কুমার দাস, এডভোকেট, 
হাই কোর্ট বিভাগ, সুপ্রীম কোর্ট অব বাংলাদেশ,
 ই-মেইল: advocateudas@gmail.com



শ্রম আইনের আওতায় অসদাচরণ ও বরখাস্ত | Textile Labour Law

শ্রম আইনের আওতায় অসদাচরণ ও বরখাস্ত 



কোন শ্রমিক (বা কর্মীকে) বরখাস্ত করতে হলে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ আনতে হবে এবং নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হতে হবে। তা না করে কাউকে বরখাস্ত  করা হলে তা সংশ্লিষ্ট আইনে চ্যালেঞ্জযোগ্য।

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ২৪(১)(ঘ) ধারার বিধান মোতাবেক মালিক-শ্রমিকের সমসংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে কমিটি গঠন করে অভিযোগের তদন্ত করতে হবে। আর অভিযোগ আনয়নের (শো-কজ) দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে।

কিন্তু এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর বিধি ২৯ এর বিধান কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। ঐ বিধি অনুসারে, “...  মালিক শাস্তি প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য ব্যবস্থাপক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত কমিটি গঠনপূর্বক তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করিয়া ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করিতে নির্দেশ প্রদান করিবেন”।

এতে মনে হতে পারে- তদন্ত কমিটি গঠনের দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। আসলে তা নয়।

যেহেতু শ্রম আইন অভিযোগ উত্থাপনের (শো-কজ) দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের কথা বলেছে, তাই অগ্রগন্য হবে। কোন আইন ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালার কোন বিষয়ে সংঘর্ষ হলে আইনের বিধান প্রাধান্য পাবে।

তাই, কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনার পর অভিযোগ তোলার (শো-কজ) দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ না হলে তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগই আনা হয়নি বলে গণ্য হবে- অভিযুক্ত এমন দাবী করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট মালিকের কাছে প্রতিকার চাইতে পারেন; আর ব্যর্থতায় মাননীয় শ্রম আদালতের দারস্থ হওয়া যাবে।

মতামত দিয়েছেন:
- ড. উত্তম কুমার দাস, এডভোকেট, 
হাই কোর্ট বিভাগ, সুপ্রীম কোর্ট অব বাংলাদেশ,
 ই-মেইল: advocateudas@gmail.com



কোন মন্তব্য নেই: