টেক্সটাইলীয় কৌতুক সমগ্র | Funny Textile Joke's - Textile Lab | Textile Learning Blog
ডকুমেন্ট মেইন্টেইন করার উপকারীতা

এক তরুণ Textile Engineer ট্রেনের এসি কামরায় ভ্রমন করছিলেন ৷ ভদ্রলোকের পাশের সিট খালি। আশে পাশেও কেউ নেই। ট্রেন মোটাুমুটি খালিই বলা চলে।

একটু পরে, একজন সুন্দরী মেয়ে উঠে ভদ্রলোকের পাশের সিটটাতে বসলেন ৷ Textile Engineer বেশ খুশি হলেন এই ভেবে যে, যাক জার্নিটা বোধহয় বোরিং হবে না!

ভদ্রমহিলা Textile Engineer দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছিলেন । এতে Textile Engineer ভদ্রলোকের মনের ভেতর খুশির জোয়ার বইতে শুরু করলো। মেয়েটি Textile Engineer তরুনের আরও ঘনিষ্ট হয়ে বসলেন । তরুন আনন্দে আত্মহারা হয়ে কি করবেন আর কি না করবেন বুঝে ওঠার আগেই মেয়েটি ওই তরুনের কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললেন 'সঙ্গে যা আছে ঘড়ি, টাকা, পার্স সব বের করুন, নয়তো চিৎকার করে পুলিশ ডেকে বলব যে, আমাকে একলা পেয়ে, আপনি আমার সঙ্গে খারাপ ব্যাবহার করার চেষ্টা করছিলেন।'

Textile Engineer তরুনটি যেন কিছুই হয়নি এইরকম ভাবে তাকালেন মেয়েটির দিকে। তারপর পকেট থেকে একটা কাগজ আর কলম বের করে ওটাতে লিখলেন, 'আমি বোবা এবং কালা। তাই যা বলার দয়া করে এই কাগজে লিখে দিন।

মেয়েটি যা যা বলেছিলেন সেগুলো কাগজে লিখে ভদ্রলোকের হাতে দিলেন ৷

তরুন কাগজটা নিয়ে বেশ যত্ন সহকারে পকেটে রাখলেন। তারপর ইস্পাত কঠিন গলায় বললেন, 'নিন এইবার চিৎকার করে যত ইচ্ছা পুলিশ ডাকুন।'

গল্পের শিক্ষা:
Textile Engineer সবসময় ডকুমেন্টসহ যে কোন জিনিস ডিল করে ঠিক যেমনটি করে একজন উকিল । আমাদের টেক্সটাইল জবের কালচার নিজের অন্যের উপর চাপিয়ে নিজে বাচা আর টেক্সটাইল জবে দাঁড়ানো অবস্থায় জবান পরিবর্তন করে ফেলা আহামরি কোন বিষয় নয় তাই নিজে বাচার জন্য যে কোন সিনিয়র এর নির্দেশনা আব আদেশ গুলি লিখিত আকারে বা লিখে রাখতে হবে কি কি বলেছে । ব্যাচ কার্ডে, রেসিপি, প্রগ্রাম খাতায় লিখে রাখতে পারেন আর ফল্ট যুক্ত কাপড় প্রডাক্ট ডেলিভারির সময় সিনিয়র এর স্বাক্ষর নিয়ে নেবেন।

বিশ্বাস অবিশ্বাস এর কথা আসলে বলবের আমি স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড কথা কাজ পছন্দ করি, এতে অন্তত অন্যের দোষ নিজের কাধে নেয়া লাগবে না ।




Merchandising Love

প্রেমিকা: বাবু তুমি আজকে কি ড্রেস পরেছো ?

প্রেমিক: ৯৫% কটন ৫% স্পান্ডেক্স ২৬/সিংগেল ফেব্রিকে ২/১ রিবের কলার। মাঝখানে সাচেট পিংক কালারের ৮*৬ সাইজের পিগমেন্ট প্রিন্ট। আর বডি কালার ইনফিনিটি ১৯-৩৯০৭ TCX।
নিচে এস টুইলের ৪০ কাউন্টের ইন্ডিগো কালারের স্টোন ওয়াশ করা এবং লেফট পকেটের নিচে গ্রাইন্ডিং করা ডেনিম প্যান্ট

তার নিচে ৩৫ এম এম জ্যাকার্ড ইলাস্টিকের আর লাইট গ্রে মিলাঞ্জ কালারের ১৬০ GSM ৯৩% কটন ৫% ইলাস্টেন ২% ভিস্কোস এর সলিড ফেব্রিকের বক্সার। গাসেট ১৩০ GSM ১০০% কটন সিংঙেল জার্সি। ওয়াস লেবেলে ৪০ ডিগ্রি টেম্পারেচার নন ক্লোরিন ব্লিচ মিডিয়াম টাম্বল ড্রাই আর মিডিয়াম আয়রন ইন্সট্রাকশন দেয়া

প্রেমিকা: হাসপাতালে ভর্তি।


টেক্সটাইলীয় চিন্তা:

প্রথম বর্ষ : একটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিক হইতে হইবো।

দ্বিতীয় বর্ষ: আরে জিএম হইলেই হয়।জিএম হইলেই ফ্যাক্টরির শেয়ার হোল্ডার হওয়া যায়।

তৃতীয় বর্ষ : একটা এমএনসিতে ঢুকতে পারলেই খুশি।

চতুর্থ বর্ষ : ভাই, ১৫k এর একটা চাকরি পাওয়াইয়া দেন প্লিজ।

পাশ করার পর : একটা চাকুরী পাইলেই হইলো ।

জবের পর:  ......... ?????

কার্টেসি : মুহাইমিনুল ইসলাম অভী 


প্রেমে ব্যর্থ প্রেমিকার কাছে লেখা একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার প্রেমিকের চিঠি-

প্রিয় রেমি,

পত্রের প্রথমে তোমার প্রতি রইল একগুচ্ছ কার্পাস ফুলের শুভেচ্ছা। আশা করি ভালোই
আছো। কিন্ত ইদানীং মনে হচ্ছে তোমার মনটা সিল্কের মত অনেক অহংকারী আর লিগনিন এর
মত শক্ত হয়ে গেছে। বেসিক ডাই এর মত তুমি উজ্জল হলেও ভেবো না তুমি অনেক বড় হয়ে গেছো। অ্যাসিড ডাই এর পাল্লায় পড়ে সামান্যতম অবশেষ না থেকে যখন সব নিঃশেষিত হয়ে যাবে তখন হয়তো আমার কথা মনে পড়বে। তুমি লিন্ট নয় লিন্টার্স নিয়ে পড়ে আছো। মার্সেরাইজড করা কটনের মত শুভ্র আর নম্র আমাকে ছেড়ে কৃত্রিম ফাইবারের মত ছেলেদের থেকে তুমি যতই সুখ খুঁজো পাবে না কারণ ওদের মাঝে অ্যামোরফাজ রিজিয়ন (ভালবাসা) অনেক কম। তুমি যতই ওদেরকে নিজের রং-এ রাঙাতে চাও না কেন ওরা রঙিন হতে চাইবে না।

চেইন স্টিচ মেশিনের মত তুমি যতই দ্রুতগামী হও না কেন আমার মত লক স্টিচ ছাড়া তুমি কখনই নিরপত্তা খুঁজে পাবে না। কিন্তু আমার হৃদয়টা সফেনিং আর ব্রাইটেনিং এজেন্ট দ্বারা এতোই
ট্রিটমেন্ট করা আছে যে সেখানে শুধু কোমলতা আর শুভ্রতাই আছে কোন কাঠ্যিনতা নেই। তারপরও যদি বিশ্বাস না হয় তবে উস্টার ক্লাসিমেট দ্বারা আমার মনের ভ্যারিয়েশন পরিমাপ করে দেখতে পারো। অবশেষে বলতে চাই্ স্কাওয়ারিং এবং সাওয়ারিং করে যতই দূরে সরিয়ে রাখতে
চাও, আমি ততই ফিনিশিং ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে তোমার নিকট উপস্থিত হবো।
-
ইতি তোমার,
রোভিং

(collected)


"একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের প্রেমপত্র..."
লেখাঃ নাদিম ইবনে সাঈদ

প্রিয়তমা বিউটি কুইন,

আশা করি ভালোই আছ। জানো কি? যেদিন তোমায় প্রথম দেখয়েছিলাম, সেদিনই তুমি আমার মন রাঙিয়ে দিয়েছিলে... যেমনিভাবে ডিরেক্ট ডাই রাঙায় নিট ফেব্রিককে... বিশ্বাস কর... সেদিন থেকেই বাংলাদেশের গার্মেন্টস্ ইন্ড্রাসট্রির মত অস্থির আমার এ মন...

তুমি কেন বোঝ না... আমার ভালোবাসার জোর নগন্য টিস্যু পেপারের মত নয়... এয়ার জেট মেশিনে তৈরি এক টুকরো ওভেন ফেব্রিকের মতই শক্তিশালী...

তুমি কি বুঝবে না এ ভালোবাসা...? তবে কেন এক পুরনো হ্যান্ড লুমের মত আমায় এত অবহেলা...? প্রতি মুহুর্ত, প্রতিক্ষণ... আমার স্বপ্নে ভেসে ওঠ তুমি।কটন ফাইবারের মত স্নিগ্ধ, শুভ্র তোমার ঐ হাসি... হাই কোয়ালিটি সিল্ক ফাইবারের মত তোমার ঝলমলে চুল যেন আমায় স্বপ্নে আচ্ছন্ন করে রাখে... সেই আবেশ পৌঁছায় আমার অনুভবে...

কি দোষ ছিল আমার? মাইনর কিছু ডিফেক্ট তো সব কিছুর মধ্যেইথাকে। তাই বলে কি তোমার মনের টেস্টিং ডিপার্টমেন্ট আমাকে রিজেক্ট ঘোষনা করবে...? এ কেমন বিচার বল...?
কম্পিউটারাইজড্কাটিং মেশিনের মত তুমি আমার হৃদয়টাকে কেটে ফালা-ফালা করে দিলে।
তুমি প্রমান করে দিলে... কনভেনশনাল কম্বিং মেশিনের চেয়েও তুমি ভয়াবহ... অটো বেল ওপেনারের স্পাইক গুলোর চেয়েও তুমি নির্মম...

জানো কি...? হতাশায় ডুবলেও আমি এখনও আশা ছাড়িনি। এত সহজে হেরে যাওয়ার পাত্র আমি নই। আমি পণ করেছি, মসলিন-জামদানির মত হারিয়ে যেতে দেব না তোমাকে...আমার জীবনে যে তুমি বেসিক টেক্সটাইলের মতই অপরিহার্য...

চলো না... সব ভেদাভেদ, সব জেদ ভুলে যাই। চলো না... দুজনে মিলে ডেনিম ফেব্রিকের মত হয়ে যাই। যার একপাশ তুমি, আর আরেকপাশ আমি...

তুমি হবে ওয়ার্প, আর আমি হব ওয়েফট্...দুজনে মিলে সৃষ্টি করব শক্তিশালী ভালোবাসার ইন্টারলেসমেন্ট...


ইতি, তোমারই 'অমুক'



পাত্রের বাজারে Textile ইঞ্জিনিয়ার 

একটা সময় ছিল যখন পাত্রের বাজারে Textile ইঞ্জিনিয়ার পাত্রের সেইরাম ডিমান্ড ছিল। কিন্ত কালের পরিক্রমায় আজ ইঞ্জিনিয়ারদের সেইরাম দাম নাই। আগে : - " কি করো তুমি? " -- " 

জ্বি, আমি একজন Textile ইঞ্জিনিয়ার " - " আরে আমার মেয়ে কত ভাগ্যবতী তোমার মত একজন ছেলে পাইলো !! "

 অতঃপর পাত্রের বত্রিশ পাটি দন্ত প্রদরশন।। আর এখন : - " কি করো তুমি? " -- " জ্বি, আমি একজন Textile ইঞ্জিনিয়ার " - "ইঞ্জিনিয়ার তো আজকাল ঘাটে পথে মেলা দেখা যায় !

 নতুন কিছু কর !!! " অতঃপর পাত্র নিরব ।।

 আসলে এমনই হয়, অর্থনীতিবিদেরা তো বলেই গেছেন, Supply যত বেশি ডিমান্ড তত কম। 


বিদ্র : কিছুদিন পর মেয়েদের বাবারা এমন ও বলতে পারে,Textile ইঞ্জিনিয়ার পাত্রের কাছে মেয়ে দিবো না!! কারণ খুব বেশি Supply হলে তা Demand ই হারিয়ে ফেলে একসময়!! Share this post


টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার পাত্র টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার পাত্রী

: " ভাইয়া, কি শুনলাম? হুট করে বিয়ে করে ফেললেন যে? "

: " আর বলিস না। বাসা থেকে জোর করে বিয়ে করায়ে দিলো! "

:" ঘটনা বলেন ভাই! শুনি! কেমনে কি হইলো? "

:" তাইলে শোন ......

ওইদিনও প্রতিদিনের মত সকাল আটটায় ঘুম ভাঙে আম্মাজানের ঘ্যানর ঘ্যানর শুনে! "ঘরে বউ নাই, ঘরে লক্ষী নাই, তাই আমার এমন দশা, কেন বিয়া করি না, হ্যান ত্যান " শুনতে শুনতে কোনরকম হাতমুখ ধুয়ে নাস্তার টেবিলে দৌড়াই! নয়টার সময় আমার অফিস। তো খাবার টেবিলে এবার আম্মা কড়া করে বলে দিলেন, পৃথিবীর যত কাজ থাক, আজকে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে বাড়ি আসতে হবে! আজ নাকি আমার জন্য মেয়ে দেখা হবে!!

"ও দেখা যাবে " বলে কোনরকমে কাপে শেষ চুমুক দিয়ে একটা উবার ডাকি! উবার আসতে আসতে শেষবারের মত কথা আসতে থাকে, "আজ কোন গরিমসি করলে তোর সাথে আমার কথা নাই। "

আরে ভাই, বুঝি না! দুনিয়ায় কোন পুরুষ খাল কেটে কুমির আনতে চায়?  একেতে আমার নতুন চাকরি, স্যাটেল তো হওয়া চাই রে ভাই!!!

প্রোডাকশনের গরমিল মেলাতে মেলাতে কখন যে রাত আটটা বেজে গেছে, খেয়াল ই ছিলো না! যখন বাসা পৌছাই, তখন রাত সাড়ে আটটা!! গেট খোলার পর আমি আমার চব্বিশ খান দাত বের করে হাসি! আমার চুলে তখন ফাইবার ভর্তি, শার্ট ঘামে ভেজা! আমি হাসতে হাসতে বলি, "আম্মাজান চলেন। " 🙊🙊

"এখন কি কারো বাসায় মেয়ে দেখতে যাওয়ার সময়? আর মাথায় কি এসব **** নিয়ে যাবি? শিগগির বাচতে চাইলে দুই মিনিটে গোসল করে আয়। " 

বুঝলাম, অবস্থা বেগতিক!!

রাত যখন সাড়ে নয়টা, আমার চোখভর্তি ঘুম! ঘুমে টলতে টলতে বুঝলাম প্রচুর হাসাহাসি হচ্ছে! একবার মনে হচ্ছিলো যে মেয়ে না দেখেই দাড়িয়ে বলে দেই যে মেয়ে আমার পছন্দ না! পরে ভাবলাম, চাইলেই এটা করা যায়, তবে ঘুমটা আর বাসায় হবে না!! 🙈🙈

মেয়েকে আনা হলো! টানা একটা ঘোমটা দিয়ে মেয়ে আসলো! আমার বোন আমাকে গুতা দেয়, আর আমি কোয়েশ্চেন করি!  হুট করে কোয়েশ্চেন করে বসি, "গতকালের শিফটে প্রোডাকশন কত ছিলো!? " 🙈

সবাই হা হয়ে তাকিয়ে আছে! পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে আম্মা বললো, "ভাইজান, ওরা পাচ মিনিট আলাদা কথা বলুক। আমরা বরং অন্যরুমে .... "

আমি, আর মেয়ে মুখোমুখি! আমি কথা বলতে যাবো, হটাৎ বসের ফোন! দিলাম কেটে! তিন নম্বরের সময় ফোন ধরে বললাম, " স্যার, রিমান্ডে আছি! ঠিক স্বীকারোক্তি না দিলে সারাজীবনের জেল। দয়া করে আপনাকে রাতে মেইইল করে সব জানাবো। "

ভাগ্য ভালো, বসের সাথে আমার সম্পর্ক বন্ধুর মত ছিলো! এবার আর ভনিতা না করে বলে ফেললাম :

"দেখুন, আমি একজন প্রোডাকশন অফিসার। একটা স্পিনিং ফ্যাক্টরিতে আছি। দিনশেষে বাসায় আসলে মাথাভর্তি ফাইবার থাকে, দেখতে বাজে লাগে! মদ্দাকথা, আমি এখন বিয়ে করবো না! প্লিজ আপনিও বলেন, আমিও বলি, কাওকে কারো পছন্দ হয় নি! ঠিকাছে?? "

"আপনার কথা শেষ? "

"ইয়ে মানে... হ্যা!! " 🙊

"আচ্ছা, আমি যদি কম্বার মেশিন হয়ে আপনার চুল আচড়ে দেই? যদি আপনাকে আচড়ে আপনার সব ফল্ট গুলো রিমুভ করি? তবুও না করবেন? দেবেন না, আপনার স্পিনিং মেশিনে একটু ঠাই? "

আমি আকাশ থেকে পরলাম! মেয়ে বলে কি!! 😲

"ইয়ে, মানে আপনি.... "

"জ্বী, আমি আপনার ভার্সিটিতেই থার্ড ইয়ারে আছি! আমি ফেব্রিক ডিপার্টমেন্ট এ। "

"ওও ... ফেব্রিক!! আমার অপছন্দের সাবজেক্ট! "🙊

"ভালোই হয়েছে! আপনি অফিস থেকে দেরী করে আসলে আপনাকে ফেব্রিক স্ট্রাকচার করতে দিবো! না পারলে আমি নিচে ঘুমাবেন!  ও মা, আপনি হাসছেন যে? "

"ভাবছি.... "

"কি ভাবছেন? "

"আপনি যদি তরকারীতে লবণ কম দেন, কিংবা চায়ে চিনি কম দেন, আপনাকে এমন ড্রাফট ক্যালকুলেশন করতে দিবো, আপনি হতবাক হয়ে যাবেন। প্রোডাকশন পার শিফট বের করবেন, বলবো গ্রাম পার ডে বের করতে! বুঝবেন ঠ্যালা। " 🤣🤣

"তবুও আপনার স্পিনিং মেশিনে ঠাই চাই! " 

মেয়েটি আর অপেক্ষা করলো না! বুকে ঝাপিয়ে পরলো!!

আমি জড়িয়ে নিলাম! বুঝলাম, এই ফেব্রিকটাই আমার!!

আমি না হয় ইয়ার্ন হয়ে এই ফেব্রিকের পার্ট হয়ে থাকবো। 

আজীবনের জন্য...... ☺☺☺

#চশমিশ_বান্দর 

নিটারিয়ান পেইজ থেকে সংগ্রহ করা




টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য মেয়ে দেখে আসার পর ছেলে কি ধরনের প্রশ্ন(টেক্সটাইলের ভাষায়) করতে পারে আসুন জেনে নেয়া যাক:

১। মেয়ে কোন Belt -এর? (মেয়ে কোন এলাকার)

২। মেয়ের luster কেমন? (মেয়ের উজ্জ্বলতা কেমন)

৩। Maturity Co-efficient কত? (মেয়ের বয়স কত)

৪। Staple length কেমন? (মেয়ের উচ্চতা কত)

৫। মেয়ে কত Count -এর? (মেয়ে মোটা না চিকন)

৬। Neps কেমন? (মেয়ের figure কেমন)

৭। Hairiness কেমন? length কত? (মেয়ের চুল কেমন? লম্বা কিনা)

৮। মেয়ে কি Grey অবস্থায় দেখছেন নাকি Dyed? (মেয়ে কি মেকাপ ছাড়া দেখছেন নাকি মেকাপ সহ)

এরপর যদি সব ঠিকঠাক থাকে তবে বরপক্ষ এবং কনে পক্ষের মধ্যে Merchandising
চলবে, সাথে Price Negotiation (যেমন-মোহরানা) চলবে। সবকিছু fixed হলে বরপক্ষ
Purchase Order Sheet (বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করবে) দিবে। এবং সেই
অনুযায়ী কনেপক্ষ Production -এ যাবে(বিয়ের আয়োজন করবে)।
বিয়ের দিন Buyer (বরপক্ষ), Seller (কনেপক্ষ), Bank (স্বাক্ষী) এর উপস্থিতিতে একটা L/C
(কাবিননামা) করা হবে এবং মেয়ে Delivery করা হবে। এইভাবেই একটা অর্ডার(বিয়ে) Shipment (সম্পন্ন) করা হবে।

বি.দ্র: এই সিষ্টেমে Sample develop করার কোন সিষ্টেম নাই!


(Dedicated to all Textile Engineers....)



টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার & ডাক্তার এর মধ্যে পার্থক্য হল :

 ডাক্তার রা বায়োলজি পড়ে আর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার রা কেমিস্ট্রি, মেকানিকেল & মেথ এর মত সাবজেক্ট গুলা পড়ে।

ডাক্তার পড়ে রোগীর রোগ নিয়া কেন এইরোগ হইল কিভাবে প্রতিকার করা যায়  &
 টে.ইঞ্জিনিয়ার পড়ে কাপড়ের ফল্ট নিয়া কেন শেড মিলে নাই & কি করলে মিলবে ।
ট্রেটমেন্ট : ডাক্তার ট্রেটমেন্ট করে রোগের ধরন বুজে  আর টে.ইঞ্জি রা ট্রেটমেন্ট করে কাপড়ের ধরন বুজে।  

বি:দ্র: ডাক্তার  যেমন বলতে পারে না রোগি (মানুস) ভাল হবে কি না, ঠিক টে.ইঞ্জিনিয়ার ও বলতে পারে না শেড মিলবে কি না একুরেটলী। 

ইনকাম : ইনকাম ডিপেন্ড করে অভিগতার উপর যা  মানথলী ইনকাম ৫/১৫লাখ টাকা হতে পারে
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এর অভিগতার উপর নিরভর করে মানথলী ইনকাম ৩/১৫লাখ (কান্ট্রি মেনেজার ১০/১৫ লাখ)

ফেসিলিটিজ : সরকারি ডাক্তার ছারা গাড়ি, ফ্লাট, ফোন বিল দেওয়া হয় না কিন্তু
 অফিসার লেবেলের পুস্টের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের গাড়ি, ফ্লাট, ফোন বিল কম্পানি হইতে দেওয়া হয়।


......ফিলিংস @ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ শান্তি নাই :-) টাকা আছে।

টেক্সটাইলীয় কৌতুক সমগ্র | Funny Textile Joke's

ডকুমেন্ট মেইন্টেইন করার উপকারীতা

এক তরুণ Textile Engineer ট্রেনের এসি কামরায় ভ্রমন করছিলেন ৷ ভদ্রলোকের পাশের সিট খালি। আশে পাশেও কেউ নেই। ট্রেন মোটাুমুটি খালিই বলা চলে।

একটু পরে, একজন সুন্দরী মেয়ে উঠে ভদ্রলোকের পাশের সিটটাতে বসলেন ৷ Textile Engineer বেশ খুশি হলেন এই ভেবে যে, যাক জার্নিটা বোধহয় বোরিং হবে না!

ভদ্রমহিলা Textile Engineer দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছিলেন । এতে Textile Engineer ভদ্রলোকের মনের ভেতর খুশির জোয়ার বইতে শুরু করলো। মেয়েটি Textile Engineer তরুনের আরও ঘনিষ্ট হয়ে বসলেন । তরুন আনন্দে আত্মহারা হয়ে কি করবেন আর কি না করবেন বুঝে ওঠার আগেই মেয়েটি ওই তরুনের কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললেন 'সঙ্গে যা আছে ঘড়ি, টাকা, পার্স সব বের করুন, নয়তো চিৎকার করে পুলিশ ডেকে বলব যে, আমাকে একলা পেয়ে, আপনি আমার সঙ্গে খারাপ ব্যাবহার করার চেষ্টা করছিলেন।'

Textile Engineer তরুনটি যেন কিছুই হয়নি এইরকম ভাবে তাকালেন মেয়েটির দিকে। তারপর পকেট থেকে একটা কাগজ আর কলম বের করে ওটাতে লিখলেন, 'আমি বোবা এবং কালা। তাই যা বলার দয়া করে এই কাগজে লিখে দিন।

মেয়েটি যা যা বলেছিলেন সেগুলো কাগজে লিখে ভদ্রলোকের হাতে দিলেন ৷

তরুন কাগজটা নিয়ে বেশ যত্ন সহকারে পকেটে রাখলেন। তারপর ইস্পাত কঠিন গলায় বললেন, 'নিন এইবার চিৎকার করে যত ইচ্ছা পুলিশ ডাকুন।'

গল্পের শিক্ষা:
Textile Engineer সবসময় ডকুমেন্টসহ যে কোন জিনিস ডিল করে ঠিক যেমনটি করে একজন উকিল । আমাদের টেক্সটাইল জবের কালচার নিজের অন্যের উপর চাপিয়ে নিজে বাচা আর টেক্সটাইল জবে দাঁড়ানো অবস্থায় জবান পরিবর্তন করে ফেলা আহামরি কোন বিষয় নয় তাই নিজে বাচার জন্য যে কোন সিনিয়র এর নির্দেশনা আব আদেশ গুলি লিখিত আকারে বা লিখে রাখতে হবে কি কি বলেছে । ব্যাচ কার্ডে, রেসিপি, প্রগ্রাম খাতায় লিখে রাখতে পারেন আর ফল্ট যুক্ত কাপড় প্রডাক্ট ডেলিভারির সময় সিনিয়র এর স্বাক্ষর নিয়ে নেবেন।

বিশ্বাস অবিশ্বাস এর কথা আসলে বলবের আমি স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড কথা কাজ পছন্দ করি, এতে অন্তত অন্যের দোষ নিজের কাধে নেয়া লাগবে না ।




Merchandising Love

প্রেমিকা: বাবু তুমি আজকে কি ড্রেস পরেছো ?

প্রেমিক: ৯৫% কটন ৫% স্পান্ডেক্স ২৬/সিংগেল ফেব্রিকে ২/১ রিবের কলার। মাঝখানে সাচেট পিংক কালারের ৮*৬ সাইজের পিগমেন্ট প্রিন্ট। আর বডি কালার ইনফিনিটি ১৯-৩৯০৭ TCX।
নিচে এস টুইলের ৪০ কাউন্টের ইন্ডিগো কালারের স্টোন ওয়াশ করা এবং লেফট পকেটের নিচে গ্রাইন্ডিং করা ডেনিম প্যান্ট

তার নিচে ৩৫ এম এম জ্যাকার্ড ইলাস্টিকের আর লাইট গ্রে মিলাঞ্জ কালারের ১৬০ GSM ৯৩% কটন ৫% ইলাস্টেন ২% ভিস্কোস এর সলিড ফেব্রিকের বক্সার। গাসেট ১৩০ GSM ১০০% কটন সিংঙেল জার্সি। ওয়াস লেবেলে ৪০ ডিগ্রি টেম্পারেচার নন ক্লোরিন ব্লিচ মিডিয়াম টাম্বল ড্রাই আর মিডিয়াম আয়রন ইন্সট্রাকশন দেয়া

প্রেমিকা: হাসপাতালে ভর্তি।


টেক্সটাইলীয় চিন্তা:

প্রথম বর্ষ : একটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিক হইতে হইবো।

দ্বিতীয় বর্ষ: আরে জিএম হইলেই হয়।জিএম হইলেই ফ্যাক্টরির শেয়ার হোল্ডার হওয়া যায়।

তৃতীয় বর্ষ : একটা এমএনসিতে ঢুকতে পারলেই খুশি।

চতুর্থ বর্ষ : ভাই, ১৫k এর একটা চাকরি পাওয়াইয়া দেন প্লিজ।

পাশ করার পর : একটা চাকুরী পাইলেই হইলো ।

জবের পর:  ......... ?????

কার্টেসি : মুহাইমিনুল ইসলাম অভী 


প্রেমে ব্যর্থ প্রেমিকার কাছে লেখা একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার প্রেমিকের চিঠি-

প্রিয় রেমি,

পত্রের প্রথমে তোমার প্রতি রইল একগুচ্ছ কার্পাস ফুলের শুভেচ্ছা। আশা করি ভালোই
আছো। কিন্ত ইদানীং মনে হচ্ছে তোমার মনটা সিল্কের মত অনেক অহংকারী আর লিগনিন এর
মত শক্ত হয়ে গেছে। বেসিক ডাই এর মত তুমি উজ্জল হলেও ভেবো না তুমি অনেক বড় হয়ে গেছো। অ্যাসিড ডাই এর পাল্লায় পড়ে সামান্যতম অবশেষ না থেকে যখন সব নিঃশেষিত হয়ে যাবে তখন হয়তো আমার কথা মনে পড়বে। তুমি লিন্ট নয় লিন্টার্স নিয়ে পড়ে আছো। মার্সেরাইজড করা কটনের মত শুভ্র আর নম্র আমাকে ছেড়ে কৃত্রিম ফাইবারের মত ছেলেদের থেকে তুমি যতই সুখ খুঁজো পাবে না কারণ ওদের মাঝে অ্যামোরফাজ রিজিয়ন (ভালবাসা) অনেক কম। তুমি যতই ওদেরকে নিজের রং-এ রাঙাতে চাও না কেন ওরা রঙিন হতে চাইবে না।

চেইন স্টিচ মেশিনের মত তুমি যতই দ্রুতগামী হও না কেন আমার মত লক স্টিচ ছাড়া তুমি কখনই নিরপত্তা খুঁজে পাবে না। কিন্তু আমার হৃদয়টা সফেনিং আর ব্রাইটেনিং এজেন্ট দ্বারা এতোই
ট্রিটমেন্ট করা আছে যে সেখানে শুধু কোমলতা আর শুভ্রতাই আছে কোন কাঠ্যিনতা নেই। তারপরও যদি বিশ্বাস না হয় তবে উস্টার ক্লাসিমেট দ্বারা আমার মনের ভ্যারিয়েশন পরিমাপ করে দেখতে পারো। অবশেষে বলতে চাই্ স্কাওয়ারিং এবং সাওয়ারিং করে যতই দূরে সরিয়ে রাখতে
চাও, আমি ততই ফিনিশিং ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে তোমার নিকট উপস্থিত হবো।
-
ইতি তোমার,
রোভিং

(collected)


"একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের প্রেমপত্র..."
লেখাঃ নাদিম ইবনে সাঈদ

প্রিয়তমা বিউটি কুইন,

আশা করি ভালোই আছ। জানো কি? যেদিন তোমায় প্রথম দেখয়েছিলাম, সেদিনই তুমি আমার মন রাঙিয়ে দিয়েছিলে... যেমনিভাবে ডিরেক্ট ডাই রাঙায় নিট ফেব্রিককে... বিশ্বাস কর... সেদিন থেকেই বাংলাদেশের গার্মেন্টস্ ইন্ড্রাসট্রির মত অস্থির আমার এ মন...

তুমি কেন বোঝ না... আমার ভালোবাসার জোর নগন্য টিস্যু পেপারের মত নয়... এয়ার জেট মেশিনে তৈরি এক টুকরো ওভেন ফেব্রিকের মতই শক্তিশালী...

তুমি কি বুঝবে না এ ভালোবাসা...? তবে কেন এক পুরনো হ্যান্ড লুমের মত আমায় এত অবহেলা...? প্রতি মুহুর্ত, প্রতিক্ষণ... আমার স্বপ্নে ভেসে ওঠ তুমি।কটন ফাইবারের মত স্নিগ্ধ, শুভ্র তোমার ঐ হাসি... হাই কোয়ালিটি সিল্ক ফাইবারের মত তোমার ঝলমলে চুল যেন আমায় স্বপ্নে আচ্ছন্ন করে রাখে... সেই আবেশ পৌঁছায় আমার অনুভবে...

কি দোষ ছিল আমার? মাইনর কিছু ডিফেক্ট তো সব কিছুর মধ্যেইথাকে। তাই বলে কি তোমার মনের টেস্টিং ডিপার্টমেন্ট আমাকে রিজেক্ট ঘোষনা করবে...? এ কেমন বিচার বল...?
কম্পিউটারাইজড্কাটিং মেশিনের মত তুমি আমার হৃদয়টাকে কেটে ফালা-ফালা করে দিলে।
তুমি প্রমান করে দিলে... কনভেনশনাল কম্বিং মেশিনের চেয়েও তুমি ভয়াবহ... অটো বেল ওপেনারের স্পাইক গুলোর চেয়েও তুমি নির্মম...

জানো কি...? হতাশায় ডুবলেও আমি এখনও আশা ছাড়িনি। এত সহজে হেরে যাওয়ার পাত্র আমি নই। আমি পণ করেছি, মসলিন-জামদানির মত হারিয়ে যেতে দেব না তোমাকে...আমার জীবনে যে তুমি বেসিক টেক্সটাইলের মতই অপরিহার্য...

চলো না... সব ভেদাভেদ, সব জেদ ভুলে যাই। চলো না... দুজনে মিলে ডেনিম ফেব্রিকের মত হয়ে যাই। যার একপাশ তুমি, আর আরেকপাশ আমি...

তুমি হবে ওয়ার্প, আর আমি হব ওয়েফট্...দুজনে মিলে সৃষ্টি করব শক্তিশালী ভালোবাসার ইন্টারলেসমেন্ট...


ইতি, তোমারই 'অমুক'



পাত্রের বাজারে Textile ইঞ্জিনিয়ার 

একটা সময় ছিল যখন পাত্রের বাজারে Textile ইঞ্জিনিয়ার পাত্রের সেইরাম ডিমান্ড ছিল। কিন্ত কালের পরিক্রমায় আজ ইঞ্জিনিয়ারদের সেইরাম দাম নাই। আগে : - " কি করো তুমি? " -- " 

জ্বি, আমি একজন Textile ইঞ্জিনিয়ার " - " আরে আমার মেয়ে কত ভাগ্যবতী তোমার মত একজন ছেলে পাইলো !! "

 অতঃপর পাত্রের বত্রিশ পাটি দন্ত প্রদরশন।। আর এখন : - " কি করো তুমি? " -- " জ্বি, আমি একজন Textile ইঞ্জিনিয়ার " - "ইঞ্জিনিয়ার তো আজকাল ঘাটে পথে মেলা দেখা যায় !

 নতুন কিছু কর !!! " অতঃপর পাত্র নিরব ।।

 আসলে এমনই হয়, অর্থনীতিবিদেরা তো বলেই গেছেন, Supply যত বেশি ডিমান্ড তত কম। 


বিদ্র : কিছুদিন পর মেয়েদের বাবারা এমন ও বলতে পারে,Textile ইঞ্জিনিয়ার পাত্রের কাছে মেয়ে দিবো না!! কারণ খুব বেশি Supply হলে তা Demand ই হারিয়ে ফেলে একসময়!! Share this post


টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার পাত্র টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার পাত্রী

: " ভাইয়া, কি শুনলাম? হুট করে বিয়ে করে ফেললেন যে? "

: " আর বলিস না। বাসা থেকে জোর করে বিয়ে করায়ে দিলো! "

:" ঘটনা বলেন ভাই! শুনি! কেমনে কি হইলো? "

:" তাইলে শোন ......

ওইদিনও প্রতিদিনের মত সকাল আটটায় ঘুম ভাঙে আম্মাজানের ঘ্যানর ঘ্যানর শুনে! "ঘরে বউ নাই, ঘরে লক্ষী নাই, তাই আমার এমন দশা, কেন বিয়া করি না, হ্যান ত্যান " শুনতে শুনতে কোনরকম হাতমুখ ধুয়ে নাস্তার টেবিলে দৌড়াই! নয়টার সময় আমার অফিস। তো খাবার টেবিলে এবার আম্মা কড়া করে বলে দিলেন, পৃথিবীর যত কাজ থাক, আজকে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে বাড়ি আসতে হবে! আজ নাকি আমার জন্য মেয়ে দেখা হবে!!

"ও দেখা যাবে " বলে কোনরকমে কাপে শেষ চুমুক দিয়ে একটা উবার ডাকি! উবার আসতে আসতে শেষবারের মত কথা আসতে থাকে, "আজ কোন গরিমসি করলে তোর সাথে আমার কথা নাই। "

আরে ভাই, বুঝি না! দুনিয়ায় কোন পুরুষ খাল কেটে কুমির আনতে চায়?  একেতে আমার নতুন চাকরি, স্যাটেল তো হওয়া চাই রে ভাই!!!

প্রোডাকশনের গরমিল মেলাতে মেলাতে কখন যে রাত আটটা বেজে গেছে, খেয়াল ই ছিলো না! যখন বাসা পৌছাই, তখন রাত সাড়ে আটটা!! গেট খোলার পর আমি আমার চব্বিশ খান দাত বের করে হাসি! আমার চুলে তখন ফাইবার ভর্তি, শার্ট ঘামে ভেজা! আমি হাসতে হাসতে বলি, "আম্মাজান চলেন। " 🙊🙊

"এখন কি কারো বাসায় মেয়ে দেখতে যাওয়ার সময়? আর মাথায় কি এসব **** নিয়ে যাবি? শিগগির বাচতে চাইলে দুই মিনিটে গোসল করে আয়। " 

বুঝলাম, অবস্থা বেগতিক!!

রাত যখন সাড়ে নয়টা, আমার চোখভর্তি ঘুম! ঘুমে টলতে টলতে বুঝলাম প্রচুর হাসাহাসি হচ্ছে! একবার মনে হচ্ছিলো যে মেয়ে না দেখেই দাড়িয়ে বলে দেই যে মেয়ে আমার পছন্দ না! পরে ভাবলাম, চাইলেই এটা করা যায়, তবে ঘুমটা আর বাসায় হবে না!! 🙈🙈

মেয়েকে আনা হলো! টানা একটা ঘোমটা দিয়ে মেয়ে আসলো! আমার বোন আমাকে গুতা দেয়, আর আমি কোয়েশ্চেন করি!  হুট করে কোয়েশ্চেন করে বসি, "গতকালের শিফটে প্রোডাকশন কত ছিলো!? " 🙈

সবাই হা হয়ে তাকিয়ে আছে! পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে আম্মা বললো, "ভাইজান, ওরা পাচ মিনিট আলাদা কথা বলুক। আমরা বরং অন্যরুমে .... "

আমি, আর মেয়ে মুখোমুখি! আমি কথা বলতে যাবো, হটাৎ বসের ফোন! দিলাম কেটে! তিন নম্বরের সময় ফোন ধরে বললাম, " স্যার, রিমান্ডে আছি! ঠিক স্বীকারোক্তি না দিলে সারাজীবনের জেল। দয়া করে আপনাকে রাতে মেইইল করে সব জানাবো। "

ভাগ্য ভালো, বসের সাথে আমার সম্পর্ক বন্ধুর মত ছিলো! এবার আর ভনিতা না করে বলে ফেললাম :

"দেখুন, আমি একজন প্রোডাকশন অফিসার। একটা স্পিনিং ফ্যাক্টরিতে আছি। দিনশেষে বাসায় আসলে মাথাভর্তি ফাইবার থাকে, দেখতে বাজে লাগে! মদ্দাকথা, আমি এখন বিয়ে করবো না! প্লিজ আপনিও বলেন, আমিও বলি, কাওকে কারো পছন্দ হয় নি! ঠিকাছে?? "

"আপনার কথা শেষ? "

"ইয়ে মানে... হ্যা!! " 🙊

"আচ্ছা, আমি যদি কম্বার মেশিন হয়ে আপনার চুল আচড়ে দেই? যদি আপনাকে আচড়ে আপনার সব ফল্ট গুলো রিমুভ করি? তবুও না করবেন? দেবেন না, আপনার স্পিনিং মেশিনে একটু ঠাই? "

আমি আকাশ থেকে পরলাম! মেয়ে বলে কি!! 😲

"ইয়ে, মানে আপনি.... "

"জ্বী, আমি আপনার ভার্সিটিতেই থার্ড ইয়ারে আছি! আমি ফেব্রিক ডিপার্টমেন্ট এ। "

"ওও ... ফেব্রিক!! আমার অপছন্দের সাবজেক্ট! "🙊

"ভালোই হয়েছে! আপনি অফিস থেকে দেরী করে আসলে আপনাকে ফেব্রিক স্ট্রাকচার করতে দিবো! না পারলে আমি নিচে ঘুমাবেন!  ও মা, আপনি হাসছেন যে? "

"ভাবছি.... "

"কি ভাবছেন? "

"আপনি যদি তরকারীতে লবণ কম দেন, কিংবা চায়ে চিনি কম দেন, আপনাকে এমন ড্রাফট ক্যালকুলেশন করতে দিবো, আপনি হতবাক হয়ে যাবেন। প্রোডাকশন পার শিফট বের করবেন, বলবো গ্রাম পার ডে বের করতে! বুঝবেন ঠ্যালা। " 🤣🤣

"তবুও আপনার স্পিনিং মেশিনে ঠাই চাই! " 

মেয়েটি আর অপেক্ষা করলো না! বুকে ঝাপিয়ে পরলো!!

আমি জড়িয়ে নিলাম! বুঝলাম, এই ফেব্রিকটাই আমার!!

আমি না হয় ইয়ার্ন হয়ে এই ফেব্রিকের পার্ট হয়ে থাকবো। 

আজীবনের জন্য...... ☺☺☺

#চশমিশ_বান্দর 

নিটারিয়ান পেইজ থেকে সংগ্রহ করা




টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য মেয়ে দেখে আসার পর ছেলে কি ধরনের প্রশ্ন(টেক্সটাইলের ভাষায়) করতে পারে আসুন জেনে নেয়া যাক:

১। মেয়ে কোন Belt -এর? (মেয়ে কোন এলাকার)

২। মেয়ের luster কেমন? (মেয়ের উজ্জ্বলতা কেমন)

৩। Maturity Co-efficient কত? (মেয়ের বয়স কত)

৪। Staple length কেমন? (মেয়ের উচ্চতা কত)

৫। মেয়ে কত Count -এর? (মেয়ে মোটা না চিকন)

৬। Neps কেমন? (মেয়ের figure কেমন)

৭। Hairiness কেমন? length কত? (মেয়ের চুল কেমন? লম্বা কিনা)

৮। মেয়ে কি Grey অবস্থায় দেখছেন নাকি Dyed? (মেয়ে কি মেকাপ ছাড়া দেখছেন নাকি মেকাপ সহ)

এরপর যদি সব ঠিকঠাক থাকে তবে বরপক্ষ এবং কনে পক্ষের মধ্যে Merchandising
চলবে, সাথে Price Negotiation (যেমন-মোহরানা) চলবে। সবকিছু fixed হলে বরপক্ষ
Purchase Order Sheet (বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করবে) দিবে। এবং সেই
অনুযায়ী কনেপক্ষ Production -এ যাবে(বিয়ের আয়োজন করবে)।
বিয়ের দিন Buyer (বরপক্ষ), Seller (কনেপক্ষ), Bank (স্বাক্ষী) এর উপস্থিতিতে একটা L/C
(কাবিননামা) করা হবে এবং মেয়ে Delivery করা হবে। এইভাবেই একটা অর্ডার(বিয়ে) Shipment (সম্পন্ন) করা হবে।

বি.দ্র: এই সিষ্টেমে Sample develop করার কোন সিষ্টেম নাই!


(Dedicated to all Textile Engineers....)



টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার & ডাক্তার এর মধ্যে পার্থক্য হল :

 ডাক্তার রা বায়োলজি পড়ে আর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার রা কেমিস্ট্রি, মেকানিকেল & মেথ এর মত সাবজেক্ট গুলা পড়ে।

ডাক্তার পড়ে রোগীর রোগ নিয়া কেন এইরোগ হইল কিভাবে প্রতিকার করা যায়  &
 টে.ইঞ্জিনিয়ার পড়ে কাপড়ের ফল্ট নিয়া কেন শেড মিলে নাই & কি করলে মিলবে ।
ট্রেটমেন্ট : ডাক্তার ট্রেটমেন্ট করে রোগের ধরন বুজে  আর টে.ইঞ্জি রা ট্রেটমেন্ট করে কাপড়ের ধরন বুজে।  

বি:দ্র: ডাক্তার  যেমন বলতে পারে না রোগি (মানুস) ভাল হবে কি না, ঠিক টে.ইঞ্জিনিয়ার ও বলতে পারে না শেড মিলবে কি না একুরেটলী। 

ইনকাম : ইনকাম ডিপেন্ড করে অভিগতার উপর যা  মানথলী ইনকাম ৫/১৫লাখ টাকা হতে পারে
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এর অভিগতার উপর নিরভর করে মানথলী ইনকাম ৩/১৫লাখ (কান্ট্রি মেনেজার ১০/১৫ লাখ)

ফেসিলিটিজ : সরকারি ডাক্তার ছারা গাড়ি, ফ্লাট, ফোন বিল দেওয়া হয় না কিন্তু
 অফিসার লেবেলের পুস্টের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের গাড়ি, ফ্লাট, ফোন বিল কম্পানি হইতে দেওয়া হয়।


......ফিলিংস @ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ শান্তি নাই :-) টাকা আছে।

কোন মন্তব্য নেই: