ট্রেড লাইসেঞ্চ ফি, বায়িং হাউজ ও তুলনামুলক বাস্তবতা
আমাদের দেশে যদিও বায়িংহাউজ গুলো কমিশন এজেন্ট বা রিপ্রেসেনটটেটিভ হিসেবে কাজ করে থাকে এবং এরা বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত বায়ার এজেন্ট তবুও সুযোগ সুবিধার ক্ষত্রে এদের সাথে অন্য দের মিশিয়ে ফেলা হয় । দেশে বা বিদেশে উৎপাদিত কোন পন্যের পরিবেশক বা কোন কোন ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকের ক্ষেত্রে ও প্রযোজ্য হতে পারে। আর বায়িং হাউজ এদেশে বিদেশি বায়ারদের এজেন্ট ( মুলত পোশাক শিল্পে) হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ বায়ারের ইনকোয়ারী পর্যায়ের সাম্পল ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে শিপমেনট পর্যন্ত সুস্থ ব্যবথাপনা, গুন ও মান সম্পন্ন পন্য এবং নির্দিষ্ট সময়ে শিপমেনট এই বিষয় গুলো দেখা-শোনা করে।
এবার আসি ফি এর কথায়, ইন্ডেন্টর, আমদানিকারক বা রপ্তানিকারকের ফি ২,০০০/১,০০০ টাকা হলেও বায়িং হাউজ এর ফি ৫,০০০ টাকা রাখা হয়েছে তাও আবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপরেশন এর বাইরে। সিটি করপরেশন এর ভিতরে ফি কেমন হবে আল্লাই মালুম। যত দূর জানি ইন্ডেন্টর বা ইনডেনটিং এজেন্ট হচ্ছে যারা এদেশে বসে বিদেশি কোন উৎপাদকের/ বিক্রেতার পন্য এদেশের কোন ক্রেতার কাছে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে দেয়। এর এক অর্থে এরা দেশের মধ্যে বিদেশি পন্যের বাজার সৃষ্টিতে ভুমিকা রাখে। এখন দেখা যাচ্ছে , যারা দেশে বিদেশী পন্যের বাজার সৃষ্টিতে জড়িত তাদের ট্রেড লাইসেঞ্চ ফি হচ্ছে ২০০০ টাকা আর বায়িং হাউজ, যারা এদেশের এক্সপোর্ট প্রমশনে জড়িত তাদের ফি হচ্ছে ৫,০০০ টাকা। এত দিন গ্রুপে দেখতাম কেউ কেউ লিখত "আমরা নিজেদের দিন দিন দোকানদার জাতিতে পরিনত করছি", কোন কমেন্ট না দিলেও এই কথায় আমার আপত্তি ছিল বৈকি, এখন দেখি এদের কথায় ভালই যুক্তি আছে।
আয়-রোজগার এর কথায় যদি আসি, তাহলে বিদেশি বায়িং/ লিয়াজো অফিস ও হাতে গোনা কিছু দেশি কোম্পানি বাদ দিলে বেশির আগ নবিন উদ্যোক্তাদের বায়িং হাউজ গুলোতে "নুন আনতে পান্তা পুরায় অবাস্থা।" হয়ত দেখবেন "বাইরে খুব ফিট ফাট কিন্তু ভিতরে ফেরিঘাট "। ফিটফাট তো রাখতেই হয়, কারন বিদেশ থেকে বায়ার আসলে অফিস বা ব্যবস্থাপনা ভাল না লাগলে কাজ তো দিবে না।কিন্তু বায়িং হাউজ গুলোর আয় বলতে শুধু কমিশন। অন্যদিকে আমদানিকরকদের আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ এমনকি তালগাছ হওয়ার কথা তো অনেকেই জানেন। এই বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, প্রথমে রানা প্লাজা, পরে ৫ই জানুয়ারী এবং তার পরে ২০১৫ এর প্রায় তিন মাসব্যাপী অবরোধে বায়িং হাউজ ব্যবসার যখন রফা-দফা তখন মনে হল সবার মত আমিও কোন আমদানির শর্ট–কাট রাস্তা কেন খুঁজি না। যেই ভাবা সেই কাজ, গার্মেন্টস রিলেটেড কিছু আমদানি পন্য নিয়ে কাজে লেগে গেলাম। নানা তথ্য উপাত্ত সংগ্রহে সুদুর চায়নাতে ও ঘুরে আসলাম। সবশেষে ফলাফল যা পেলাম তা হল, সরকার নির্ধারিত শুল্ক দিয়ে এদেশে পন্য আনলে, আপনার মুল চালানের ৭০% ও ফিরে পাবেন না অর্থাৎ লোকসান অবধারিত। কিন্তু সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও কাস্টমস এর সাথে “নেগশিয়েশান” করে ১০০ টাকার মাল ইনভয়েজ এ ১০ টাকা দেখাবেন এবং সেভাবে শুল্ক দিয়ে মাল ঘরে আনবেন, তাতে আপনার যেমন লাভ হবে, সিঅ্যান্ডএফ এর পোয়া বারো, কাস্টমস অফিসারের ও পকেট ভারী হবে ;)। এদেশে আমদানী ব্যবসায় জড়িত ৯৯% লোকেই এই সিস্টেমে ব্যবসা করে আর আঙ্গুল ফুলে গাছ হতে থাকে।এতক্ষণে সবাই নিশ্চয়ই বুজেছেন কেন আমরা আমদানি ব্যবসায় এত উতসাহী। যাই হোক, এত কিছুর পরে ও ট্রেড লাইসেঞ্চ ফি ও মাত্র ২০০০ টাকা। সুবিধাই সুবিধা!
এবার রপ্তানির কথায় আসি, ধরুন আপনার একটি রপ্তানি লাইসেঞ্চ আছে এবং আপনি ছোট ছোট বায়ারের কিছু পন্য সরাসরি রপ্তানি করে থাকেন, তাহলে আপনি কি আসলে রপ্তানি কারক? আপনি যদি গার্মেন্টস সেক্টরের হন, উত্তর হচ্ছে “না”। কারন এক্সপোর্ট প্রোমোশন ব্যুরো ( ইপিবি) এর নির্দেশনা তাই বলে। অনেকেই জানেন হয়ত, সরকার গার্মেন্টস রপ্তানিকারকদের ৩-৬% নগদ সহায়তা দিয়ে থাকে বা এখনও দিচ্ছে। এই নগদ সহায়তা পেতে হলে আপনাকে বাংলাদেশ ব্যাংক এ আবেদন করতে হবে। আর আবেদন করতে হলে, আপনার এক্সপোর্ট প্রোমোশন ব্যুরো ( ইপিবি) এর রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে। এবার ইপিবি তে যখন রেজিস্ট্রেশন করতে যাবেন, গার্মেন্টস শুনলে বলবে আপনার ফ্যাক্টরি আছে কিনা? থাকলে বিজিএমইএ মেম্বারশিপ, হেন-তেন লাইসেঞ্চ আছে কিনা? না থাকলে আপনি রেজিস্ট্রেশন পাবেন না। অর্থাৎ শুধু এক্সপোর্ট লাইসেঞ্চ আর ভ্যাট দিয়ে আপনি নিজেকে এক্সপোর্টার ভাবার কোন কারন নাই, আর আপনি নগদ সহায়তা পাওয়ার অযোগ্য। এই অদম ও মাঝে মাজে ছোট খাটো এক্সপোর্ট করে থাকি কিন্তু কোথাও নিজেকে এক্সপোর্টার বলতে লজ্জা পাই। আমি বুঝিনা এই এক্সপোর্ট প্রোমোশন ব্যুরো ( ইপিবি) এর নাম কেন প্রোডাক্টশান প্রোমোশন ব্যুরো ( পিপিবি) রাখা হয় না ? মানুষকে বোকা বানিয়ে সরকার কি মজা পায়? যেদেশের আয়ের মুল উৎস হচ্ছে রপ্তানি, সে দেশে নবীন উদ্দেক্তাদের প্রমোশন তো দুরের কথা তাদের নিয়ে তামাশা করা কোন ধরনের প্রোমোশন সরকারই ভাল বলতে পারবে।
আর বায়িং হাউজ ব্যবসা এদেশে এখন মোটামুটি চ্যালাঞ্জের মুখেই বলা চলে। এক সময় ছিল যখন এদেশে গার্মেন্টস গুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষিত লোকের অভাব ছিল। তাই তাদের দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও যোগাযোগের দক্ষতার অভাবে বিদেশী বায়ারদের এদেশে তাদের এজেন্ট রাখতে হত। কিন্তু বর্তমানে সেই দিন আর নেই, অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে এমনকি দেশের সর্বোচ্চ ব্যবসা প্রশাসন শিক্ষার স্কুল আইবিএ স্নাতকদের ও গার্মেন্টস কোম্পানি গুলোতে হর-হামেশাই দেখা যাচ্ছে। তাই বায়াররা যখন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখতে পারে তখন অযথা কমিশন দিয়ে বায়িং এজেন্ট রাখতে চায় না। কিন্তু যারা বাংলাদেশে একেবারে নতুন অথবা ছোট ছোট অর্ডার করে থাকে তারা বা যারা ফ্যাক্টরি কে পুরোপুরি ট্রাস্ট করতে পারে না তারাই বায়িং এজেন্ট রেখে থাকে। বায়িং হাউজ গুলোর কাজের একটি মুল অংশই হচ্ছে, নতুন নতুন বায়ার খোঁজা, বায়ারদের বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা। যেসব বায়ার বাংলাদেশে কাজ না করে চায়না, ইন্ডিয়া, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মরিশাস ইত্যাদি জায়গায় কাজ করিয়ে থাকে তাদের নানা আবে উৎসাহ, উদ্দীপনা দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসা। অর্থাৎ এদেশের পোশাক রপ্তানির উন্নয়নে বায়িং হাউজ গুলোর ভুমিকা থাকলেও সরকারের কোন রকমের প্রণোদনা ধুরে থাকুক, উল্টা যেন শোষণ চলছে।
দেশের ছোট ছোট বায়িং হাউজ গুলোর অনেকেরই এক্সপোর্ট লাইসেঞ্চ আছে এবং ক্ষেত্র বিশেষে তা থাকতে ও হয়। এটা সত্যি নবীন বা ছোট বায়িং হাউজ গুলোকে কোন বড় বায়াররা সহজে কাজ দেয় না। সে ক্ষেত্রে ছোট ছোট বায়াররাই ভরসা। কিন্তু ছোট ছোট বায়ারদের কাজ করতে গেলে দেখা যায় অনেক সময়য়ই তাদের খুব ছোট ছোট অর্ডার থাকে, যেমন ৫০০/১০০০/১৫০০পিস, যেগুলোর এক্সপোর্ট ভ্যালু দাঁড়ায় $২০০০- $১৫০০০। কিন্তু গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করা মানুষ মাত্রেই জানার কথা, এত ছোট ভ্যালুর এলসি আমাদের দেশের ফ্যাক্টরি গুলো গ্রহন করতে চায় না। তখন বায়ারকে খুশি রাখতে লোকাল সোর্স থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে বিভিন্ন ছোট সাব-কন্ট্রাক্ট ফ্যাক্টরিতে কাজ করিয়ে নিজেদেরই শিপমেনট করতে হয়। এ ক্ষেত্রে এক্সপোর্ট লাইসেঞ্চ ও এক্সপোর্ট ভ্যাট থাকলে কাজ হয়ে যায়। এখন দেখুন বছর শেষে সরকার যখন বলে, এবছর আমরা ২৫ বিলিয়ন ডলারের গার্মেন্টস এক্সপোর্ট করেছি তার মধ্যে কিন্তু আপনার ও এই $৫০০-$ ১০০০০ ডলার বা যত টুকু এক্সপোর্ট করেন না কেন তা অন্তর্ভুক্ত আছে কিন্তু নগদ সহায়তা কিন্তু আপনি পাচ্ছেন না, পাচ্ছে বড় বড় গার্মেন্টস মালিকরা শুধু (কেন সেটা আগেই বলেছি)। অনেকটা “তেলা মাথায় ঢাল তেল, শুকনো মাথায় ভাঙ বেল” অবস্থা। আপনি আমদনি ব্যবসা বা আদম ব্যবসা করে বা ঘুষ ভাল খাওয়া যায় এমন কোন চাকুরী বা অন্য ভাবে কারো মাথায় বাড়ি মেরে অনেক টাকা নিয়ে এসে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি করবেন, তখন আপনি নগদ সুবিধা, ব্যাংক লোণ বা আরও যা যা সুবিধা লাগে ( হল মার্ক বা বিসমিল্লার মত) সবই পাবেন। কিন্তু ১০/২০ লাখ টাকা নিয়ে ব্যবসা করতে আসবেন এমন উদ্যোক্তার দিকে তাকানোর টাইম সরকারের নাই।
যাক, এতক্ষণ জানলেন বায়িং হাউজ চালাতে গেলে আপনার এক্সপোর্ট লাইসেঞ্চ ও এক্সপোর্ট ভ্যাট সার্টিফিকেট থাকতে হতে পারে কিন্তু এখন জানলে আবাক হবেন বায়িং হাউজ চালাতে গেলে আপনার ইমপোর্ট লাইসেঞ্চ ও ইমপোর্ট ভ্যাট সার্টিফিকেট ও এখন থাকতে হবে। সরকারের নতুন নিয়ম-কানুন সে অবস্থাই দাড় করিয়েছে। কিন্তু কিভাবে, সেটা এখন বলছি। আপনি যখন কোন বায়ারের সাথে কাজ করবেন তখন আপনাকে বায়াররা ডেভেলপমেন্ট এর জন্য নানা স্যাম্পল এর পার্সেল পাঠাবে। সেই পার্সেল যখন কাস্টম থেকে ছাড়াতে যাবেন তখনি মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়বে যখন জানবেন পার্সেল ছাড়াতে আপনার ইমপোর্ট ভ্যাট সার্টিফিকেট লাগবে। যেহেতু ইমপোর্ট লাইসেঞ্চ ছাড়া ইমপোর্ট ভ্যাট সার্টিফিকেট পাওয়া যায় না তাই আপনার ইমপোর্ট লাইসেঞ্চ ও থাকতে হবে! আজগুবি লাগলে এটাই সত্যি, এটাই এখন নিয়ম। ছয় মাস আগেও এত কিছু ছিল না, ইমপোর্ট ভ্যাট ছাড়াই পার্সেল হাতে পাওয়া যেত কিন্তু এখন তা এর সম্ভব হচ্ছে না। আমার মাথায় ঢুকে না কোন যুক্তিতে শুধু বায়ারদের স্যাম্পল রিসিভ করতে একটি বায়িং হাউজকে ইমপোর্ট লাইসেঞ্চ ও ইমপোর্ট ভ্যাট থাকতে হবে? এমন যদি হয়, সরকার মনে করে থাকে এখন অনেকেই বিদেশের বিভিন্ন সাইট থেকে অনলাইনে কেনা-কাটা করে থাকে এবং বায়িং হাউজের নামে সেই পার্সেল গুলো এনে ট্যাক্স ফাঁকি দেয়, তাহলে সরকার নিয়ম করতে পারে বায়িং হাউজের নামে আসা পার্সেল গুলো ছাড়ানোর সময় কাস্টম অফিসারকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তিক ইস্যু কিত বায়িং হাউজ পারমিশনের কপি দেখাতে হবে। কিন্তু না, যেহেতু বায়িং হাউজ তাই এর রক্ত-মাংস চুষতে হবে, তাই নিয়ম করে দিল স্যাম্পল ছাড়াতে ইমপোর্ট ভ্যাট লাগবে।
যাই হোক, এতক্ষণ ধৈর্য নিয়ে যদি পুরো লেখাটা পড়ে থাকেন, তাহলে জেনে গেছেন বায়িং হাউজ চালাতে হলে আপনার ইমপোর্ট লাইসেঞ্চ ও ইমপোর্ট ভ্যাট সার্টিফিকেট যেমন থাকতে হবে আবার এক্সপোর্ট লাইসেঞ্চ ও এক্সপোর্ট ভ্যাট সার্টিফিকেট ও থাকতে হতে পারে। তাই আপনি যখন বায়িং হাউজের জন্য ট্রেড লাইসেঞ্চ করবেন আপনাকে “এক্সপোর্ট, ইমপোর্ট ও বায়িং হাউজ” এই নামে ট্রেড লাইসেঞ্চ করতে হবে। লাইসেঞ্চ ফি আর ভ্যাট মিলিয়ে মোট কত দাঁড়াবে, অভিজ্ঞতা থাকলে এতক্ষণে নিশ্চয়ই ধারনা করে ফেলেছেন। তার উপর আছে এক্সপোর্ট ও ইমপোর্ট লাইসেঞ্চ এবং তাদের সাথে সম্পকিত ভ্যাট। কুল মিলাকে, ধরে নিন যদি সারা বছর একটা অর্ডার ও না পান তবুও আপনাকে বছর শেষে লাইসেঞ্চ ফি ও ভ্যাট বাবদ অন্তত ৫০,০০০ টাকা সরকারী কোষাগারে দিতে হবে। এতক্ষণে আপনি হইত বুঝেছেন আমার এত বড় লেখাতির কারন ৫,০০০ টাকা না বরং ৫০,০০০ টাকা। আমদানিকারক হলে এ টাকা আপনার কাছে নতস্যি কারন এক কনটেনারের ১/৪ ভাগ আমাদানি করলেও সরকারকে যে পরিমান ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া হয়, ৫০,০০০ টাকা তার কাছে কিছুই না। কিন্তু জেনে রাখুন বায়িং হাউজের কমিশন আপনার ব্যাংক আকাউন্টে আসার আগেই, আপনার থেকে ট্যাক্স কেটে রাখা হয়। একই ভাবে রপ্তানির ক্ষেত্রে ও রপ্তানি পন্যের টাকা আপনার আকাউন্টে আসার আগেই, আপনার ট্যাক্স সরকারী কোষাগারে জমা হয়ে যায়। তাই আমদানিকারকের মত “কই এর তেলে কই ভাজা”র সুযোগ আপনার নেই।
আমার মনে হয় অনেকেরই বায়িং হাউজের প্রতি একটি অজানা আক্রোশ কাজ করে, তাই তারা বায়িং হাউজের উপর নানা অসম নিয়ম ছাপিয়ে দেয়। অনেকেই মনে করে বায়িং হাউজ মানে বসে বসে টাকা গোনা, কিন্তু বাস্তবতা কততা কঠিন সেটা নিয়ে এই গ্রুপ এ আগেও বলেছি তাই এখানে বলে লেখাটা আর বড় করতে চাই না। সম্ভবত গত বছর হবে, প্রথম আলো পত্রিকায় একটি লেখা এসেছিল “ নিজের হবে বায়িং হাউজ” এমন শিরোনামে। তখনই বলেছিলাম, এই লেখার সাথে বাস্তবতার দূরত্ব অনেক। এমন লেখা নতুন ছেলে-মেয়েদের পথে নামিয়ে শেষে হাটে হারিকেন ধরিয়ে ছেড়ে দেবে। তাই যারাই এ পথে নামতে চান “জেনে, শুনে, বুঝে, প্রফেশনাল অভিজ্ঞতা নিয়েই আসবেন”। অন্নুনত বা উন্নত স দেশেই কেউ ব্যবসা শুরু করতে চাইলে সরকার নানা ভাবে আর্থিক বা লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে থাকে কারন একটা ব্যবসা থেকেই কিছু কর্মসংস্থান এর সুযোগ সৃষ্টি হবে আর তাতে বেকারত্ব করবে। কিন্তু বিশ্বে একটি দেশ আছে, যার নাম বাংলাদেশ, যেখানে কেউ ব্যবসা শুরু করতে চাইলে পরিবার থেকে সরকার সবাই নানা ভাবে গলা-টিপে ধরতে চায়। কিন্তু শত প্রতিকুলতা সত্তেও যারা এগিয়ে আসে তাদের সত্যিই স্যালুট জানাতে হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন