বাংলাদেশ এর টেক্সটাইল মালিকদের প্রফিট না হওয়ার কিছু কারন | Textile Mills Profit - Textile Lab | Textile Learning Blog
বাংলাদেশ এর টেক্সটাইল মালিকদের প্রফিট না হওয়ার কিছু কারনঃ

১. এরা প্রফিট দেখায় না যদি ৫% প্রফিট বোনাস দেয়া লাগে ।

২. ফেক্টরির ঝুট সারপ্লাস বিক্রিত টাকা  এরা কোম্পানি নীট  ইনকাম এর মধ্যে ধরে না এটি মালিক গন প্রসেস লস ধরেন ।

৩. এদের মেশিন এর ডেপ্রিসিশেন কস্টিং নতুন অবস্থায় যায় পুরাতন অবস্থায় তা ধরে রাখে, দেখা যায় মেশিন এর টাকা পরিশোধ হয়ে গেলেও এরা এই চার্জ কাটা অব্যাহত রাখেন ।

৪. নিজের ফ্লোর এর ভাড়া অনেক হাই ধরে রাখে,  পার স্কয়ার মিটার ফ্লোর এর চার্জ এরা বাজার মুল্যের চেয়ে  অনেক বেশি ধরেন, এর জন্য জবাব দিহিতা করেন ।

৫. নিজে কাজ না বুঝেও কোম্পানির MD পোস্ট ধরে রাখে যার ফলে প্রোডাক্টিভিটি নস্ট হয়, এরা ট্রেইনিং করেন না যার ফলে এরা বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে প্রডাকশন বাড়াতে পারেন না ।

৬. কোম্পানির টাকায় কারনে অকারনে  বিদেশে ভ্রমন  করে টাকা নস্টের বড় কারন, অনেক সময় অকারনে এই ভ্রমণ করা হয়  ।

৭. ভালো ডাইজ ক্যামিকেল না কিনে রিপ্রসেস বাড়ানো ফলে প্রসেস লস হয়।

৮. কোম্পানির প্রফিট এর ইনকাম এর তথ্য কোন কর্মকর্তারা পায় না ।

৯. একই প্রজেক্ট এর উপর বারে বারে অন্য প্রজেক্ট এর জন্য টাকা নেয়া হয় যার ডেমারেজ বা ইন্সটলমেন্ট রানিং প্রজেক্ট থেকে দিতে হয়।

১০. মালিকদের পার্সোনাল রেফারেন্স এর কিছু নন প্রোডাক্টিভ লোক থাকে যাদের প্রোডাক্টিভিটি কম এদের কাছ থেকে আউটপুট কম হয় । এরা লসের মুল কারন।

১১. টেক্সটাইল এর মালিকরা কখনো থার্ড পার্টি অডিট করান না কেনো, যদি এতোই লস হয়।

১২. দিন দিন গ্যাস আর ইলেক্ট্রিসিটি দাম বা ইউটিলিটি চার্জ  বেড়েই চলেছে অই অনুযায়ী প্রডাক্ট রেইট বাড়ে নি, যার ফলে আগের তুলনায় লাভ হচ্ছে না।

১৩. ফেক্টরি বাড়াতে রেইট কমিয়ে দিতে হচ্ছে মার্কেটে টেকার জন্য, যার জন্য প্রফিট মার্জিন কমে যাচ্ছে।

১৪. বায়ারদের নানা রিকোয়ারমেন্ট ফিল করতে অনেক টাকা ইনভেস্ট করতে হচ্ছে যেমন : একর্ড, এলায়েন্স, কম্পলায়েন্স ।

১৫. টেক্সটাইল গার্মেন্টস এর মালিকগন নেগেটিভ এর জন্য লস এর কথা বলে থাকেন।

১৬. প্রপার প্লানিং এর অভাবে শিপমেন্ট কেন্সেল হলে কোম্পানির  লস হয়।

১৭. দক্ষ লোকের অভাবে কোম্পানি প্রফিট হয় না, অনেক ক্ষত্রে দেখা যায় মালিক একাই ১৫-২০ ফেক্টরীতে ডিসিশন মেকার,  তার ফ্যামিলি মেম্বার ডিরেক্টর যাদের টেক্সটাইল পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকে না ।

১৮. পুরাতন মেশিনারির কারনে ইফিসিয়েন্সি ইউটিলাইজ করা যায় না।

১৯. এরা যথেষ্ট সৈরাচারি মনোভাব সম্পন্ন, এরা শুধু বলেই কারো কথা শুনতে চান না কাওকে কিছু বলতে দেয় না ।

নোটঃ
এখন ১৯৮০ সাল বা টেক্সটাইল গার্মেস্টস এ সোনালী যুগ নেই , বায়াররা এখন যথেষ্ট  কোয়ালিটি কন্সার্ন , গভমেন্ট এর প্রনোদনা নেই এখন,  বিশ্বের অনেক দেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শিল্প আয়ত্বে নিয়ে এসেছে, প্রতিযোগিতা বাড়ছে, GSP ফ্যাসিলিটি নেই  তাই মালিক দের এখন ভাগ্যের দোহাই, প্রতিযোগী কম, সরকারি সাহায্যে উপরে ওঠার ফেক্টরি থেকে গ্রুপ করার দিন শেষ  এখন টেক্সটাইল ব্যাবসা করতে যোগ্যতা লাগবে না বুঝে সেলাই মেশিন কিনে টেক্সটাইল গার্মেন্টস ব্যাবসার দিন  শেষ ।







বাংলাদেশ এর টেক্সটাইল মালিকদের প্রফিট না হওয়ার কিছু কারন | Textile Mills Profit

বাংলাদেশ এর টেক্সটাইল মালিকদের প্রফিট না হওয়ার কিছু কারনঃ

১. এরা প্রফিট দেখায় না যদি ৫% প্রফিট বোনাস দেয়া লাগে ।

২. ফেক্টরির ঝুট সারপ্লাস বিক্রিত টাকা  এরা কোম্পানি নীট  ইনকাম এর মধ্যে ধরে না এটি মালিক গন প্রসেস লস ধরেন ।

৩. এদের মেশিন এর ডেপ্রিসিশেন কস্টিং নতুন অবস্থায় যায় পুরাতন অবস্থায় তা ধরে রাখে, দেখা যায় মেশিন এর টাকা পরিশোধ হয়ে গেলেও এরা এই চার্জ কাটা অব্যাহত রাখেন ।

৪. নিজের ফ্লোর এর ভাড়া অনেক হাই ধরে রাখে,  পার স্কয়ার মিটার ফ্লোর এর চার্জ এরা বাজার মুল্যের চেয়ে  অনেক বেশি ধরেন, এর জন্য জবাব দিহিতা করেন ।

৫. নিজে কাজ না বুঝেও কোম্পানির MD পোস্ট ধরে রাখে যার ফলে প্রোডাক্টিভিটি নস্ট হয়, এরা ট্রেইনিং করেন না যার ফলে এরা বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে প্রডাকশন বাড়াতে পারেন না ।

৬. কোম্পানির টাকায় কারনে অকারনে  বিদেশে ভ্রমন  করে টাকা নস্টের বড় কারন, অনেক সময় অকারনে এই ভ্রমণ করা হয়  ।

৭. ভালো ডাইজ ক্যামিকেল না কিনে রিপ্রসেস বাড়ানো ফলে প্রসেস লস হয়।

৮. কোম্পানির প্রফিট এর ইনকাম এর তথ্য কোন কর্মকর্তারা পায় না ।

৯. একই প্রজেক্ট এর উপর বারে বারে অন্য প্রজেক্ট এর জন্য টাকা নেয়া হয় যার ডেমারেজ বা ইন্সটলমেন্ট রানিং প্রজেক্ট থেকে দিতে হয়।

১০. মালিকদের পার্সোনাল রেফারেন্স এর কিছু নন প্রোডাক্টিভ লোক থাকে যাদের প্রোডাক্টিভিটি কম এদের কাছ থেকে আউটপুট কম হয় । এরা লসের মুল কারন।

১১. টেক্সটাইল এর মালিকরা কখনো থার্ড পার্টি অডিট করান না কেনো, যদি এতোই লস হয়।

১২. দিন দিন গ্যাস আর ইলেক্ট্রিসিটি দাম বা ইউটিলিটি চার্জ  বেড়েই চলেছে অই অনুযায়ী প্রডাক্ট রেইট বাড়ে নি, যার ফলে আগের তুলনায় লাভ হচ্ছে না।

১৩. ফেক্টরি বাড়াতে রেইট কমিয়ে দিতে হচ্ছে মার্কেটে টেকার জন্য, যার জন্য প্রফিট মার্জিন কমে যাচ্ছে।

১৪. বায়ারদের নানা রিকোয়ারমেন্ট ফিল করতে অনেক টাকা ইনভেস্ট করতে হচ্ছে যেমন : একর্ড, এলায়েন্স, কম্পলায়েন্স ।

১৫. টেক্সটাইল গার্মেন্টস এর মালিকগন নেগেটিভ এর জন্য লস এর কথা বলে থাকেন।

১৬. প্রপার প্লানিং এর অভাবে শিপমেন্ট কেন্সেল হলে কোম্পানির  লস হয়।

১৭. দক্ষ লোকের অভাবে কোম্পানি প্রফিট হয় না, অনেক ক্ষত্রে দেখা যায় মালিক একাই ১৫-২০ ফেক্টরীতে ডিসিশন মেকার,  তার ফ্যামিলি মেম্বার ডিরেক্টর যাদের টেক্সটাইল পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকে না ।

১৮. পুরাতন মেশিনারির কারনে ইফিসিয়েন্সি ইউটিলাইজ করা যায় না।

১৯. এরা যথেষ্ট সৈরাচারি মনোভাব সম্পন্ন, এরা শুধু বলেই কারো কথা শুনতে চান না কাওকে কিছু বলতে দেয় না ।

নোটঃ
এখন ১৯৮০ সাল বা টেক্সটাইল গার্মেস্টস এ সোনালী যুগ নেই , বায়াররা এখন যথেষ্ট  কোয়ালিটি কন্সার্ন , গভমেন্ট এর প্রনোদনা নেই এখন,  বিশ্বের অনেক দেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শিল্প আয়ত্বে নিয়ে এসেছে, প্রতিযোগিতা বাড়ছে, GSP ফ্যাসিলিটি নেই  তাই মালিক দের এখন ভাগ্যের দোহাই, প্রতিযোগী কম, সরকারি সাহায্যে উপরে ওঠার ফেক্টরি থেকে গ্রুপ করার দিন শেষ  এখন টেক্সটাইল ব্যাবসা করতে যোগ্যতা লাগবে না বুঝে সেলাই মেশিন কিনে টেক্সটাইল গার্মেন্টস ব্যাবসার দিন  শেষ ।







1 টি মন্তব্য:

Unknown বলেছেন...

this is a helpful site,but need more analytical newz