বাংলাদেশের সেরা ১০ গার্মেন্টস ইন্ড্রাস্ট্রি | Top Ten Garments Exporter in Bangladesh
টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির ফিনিশিং স্টেন্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর - Finishing SOP
জার্মানিতে টেক্সটাইল হায়ার স্টাডির জন্য কিছু ইউনিভার্সিটি | Textile Higher study in Germany
ইলাস্টিক ফেব্রিকের Lycra % বের করার নিয়ম
Colour fastness to washing
Colour fastness to washing হল কোন ফেব্রিক ডিটারজেন্ট দিয়ে ওয়াস করার পর তার কালার আগের মত থাকে কিনা বা Actual Fabric এর সাথে Tested Fabric এর কতটুকু কালার চেন্জ হয়েছে এবং মাল্টিফাইবারে কতটুকু কালার স্টেইনিং হয়েছে তা নির্নয় করার একটি পদ্ধতি।
এই টেস্ট করার ২ টি Method আছে।
1.ISO(International Organisation For Standardization)
2.AATCC(Americal Association Of Textile Chemists and Colorist)
এখন কোন Method এ টেস্ট টি করতে হবে সেটা সম্পর্ন ভাবে Buyer Requirement এর উপর নির্ভর করবে।
বুঝার সুবিধার জন্য আমরা ISO 105 CO6 method অনুযায়ী কিভাবে colorfastness to washing test করা যায় তা দেখব। এই মেথডে A2S(40°C) B2S(50°C) C2s(60°C) টেস্ট গুলো উক্ত তাপমাত্রায় করতে হয়।
✅প্রথমে Colour Fastness To Washing এর জন্য আমাদের Solution তৈরি করে নিতে হবে।
1L পানিতে নিচের কেমিক্যাল দিয়ে সলিউশন তৈরি করতে হবে।
ECE Detergent - 4g/L
Sodium Perborate-1g/L
✅ তারপর আমাদের নিতে হবে Specimen/Sample Fabric।টেস্টের জন্য, স্ট্যান্ডার্ড সাইজ হচ্ছে(10*4 cm) fabric+multi fiber(10*4 cm) নিতে হবে।
( Multi fiber হচ্ছে যে ফাইবার অনেক গুলো ফাইবার দিয়ে তৈরি করা হয়।এই ফাইবারের মধ্যে ৬ ধরনের ফাইবার থাকে Acetate, Cotton, Nylon, Polyster, Acrylic, Wool)
তারপর Fabric+Multi Fiber একসাথে পিন আপ করে নিতে হবে।
✅এখন মাল্টিফাইবার সহ ফেব্রিককে Gyro Wash machine এর যে পট রয়েছে সেখানে রাখতে হবে। তারপর পটগুলার মধ্যে Stell Ball+ Solution দিতে হবে।
A2S:10 steel Ball+150 ml solution(ECE+Na Perborate)+Tem(40°c)+Time 30 min.
B2S:25 Steel Ball+150 ml solution(ECE+Na perborate)+Tem(50°c)+Time 30 min
C2S:25 Stell Ball +50 ml solution+Tem(60°c)+Time 30 min.
Buyer Requirement অনুয়ায়ী আমাদের A2S/B2S/C2S সিলেক্ট করতে হবে।
✅পটগুলাকে Gyro Wash Machine এ Setup করতে হবে এবং Gyro wash Machine এ প্রোগ্রাম সেট করে দিতে হবে(A2S/B2S/C2S).
✅ তারপর নির্দিষ্ট সময় শেষে প্রসেসিং করা ফেব্রিকে Gyro washing machine থেকে বের করে ভালো ভাবে Wash করতে হবে এবং তারপর ড্রাই মেশিনে(60°c এর নিচে) শুকিয়ে নেয়া হয় যাতে কোণ পানি না থাকে।
✅এরপর দেখা হয় যে ফেব্রিক থেকে মাল্টি ফাইবারে কালার কতটুকু ব্লিড করেছে তা গ্রেডিং স্কেলের মাধ্যমে গ্রেডিং করা হয়। তারপর Data Sheet-এর মধ্যে ফেব্রিকের পূর্বের অবস্থা ও এখনকার অবস্থা নমুনা sheet এ লাগাতে হয় এবং মাল্টি ফাইবার ও Sheet-এ লাগাতে হয়।
Colour fastness to washing | কালার ফাস্টনেস টু ওয়াস
PHTest
PH কি?
PH হলো কোনো জলীয় দ্রবণ অম্লীয় , ক্ষারীয় নাকি নিরপেক্ষ তা জানার একক। সহজে বুঝতে গেলে pH হলো কোনো দ্রবণে উপস্থিত হাইড্রোজেন আয়নের (H+) ঘনমাত্রার ঋণাত্মক লগারিদম।
💠ফেব্রিকের Ph টেস্ট কেন করতে হয়?
এসিড/ক্ষার শরীরের জন্য খুব মারাত্মক উপাদান।ফেব্রিকে এর মাত্রা ঠিক আছে কি না তা জানতে এই টেস্ট করা হয়। এসিডিক/ক্ষারীয় মিডিয়া চামড়ার ক্ষতি করে আর ফেব্রিক এর সেড নষ্ট করে তাই ফেব্রিক নিউট্রাল কিনা তার জন্য pH চেক করতে হয়।
সারা বিশ্বে দিন দিন ডেনিম এবং টুইল, নীট ফ্রেবিকের তৈরি পোশাকের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলছে।। এই সমস্ত গার্মেন্টস ওয়াশিং / ডাইং করার সময় বিভিন্ন প্রসেসে আমরা ব্লিচিং,কাস্টিক, সোডা সহ বিভিন্ন ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহার করে থাকি।।
এই প্রসেস গুলার শেষে যদি ph সঠিক ভাবে কন্ট্রোল না করা হয় তাহলে উক্ত কাপড় পরিধানের ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে।কাপড় ঘামে ভিজে শরীরে চুলকানি সহ স্কিনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।। তাই ওয়াশিং অথবা ডাইং এর সর্বশেষ প্রসেসে ph কন্ট্রোল করা জরুরি।
এই টেস্ট করার ২ টি Method আছে।
1.ISO(International Organisation For Standardization)
2.AATCC(Americal Association Of Textile Chemists and Colorist)
এখন কোন Method এ টেস্ট টি করতে হবে সেটা সম্পর্ন ভাবে Buyer Requirement এর উপর নির্ভর করবে।
বুঝার সুবিধার জন্য আমরা ISO method কিভাবে ফেব্রিকের Ph টেস্ট করা যায় তা উপস্থাপন করা হল।
💠Sample preparation
✅প্রথমে আমাদের যে ফেব্রিকের Ph টেস্ট করতে হবে সেই ফেব্রিক থেকে (2.00 ± 0.05)gm ফেব্রিক কেটে নিতে হবে।পরে 2 gm ফেব্রিকটিকে কেটে ছোট ছোট টুকরা করে নিতে হবে এবং প্রত্যেক টুকরোর সাইজ হবে (5mm*5mm).
✅একইভাবে আমাদের আরও ২ টা নমুনা পস্তুত করতে হবে।
💠Solution preparation
Solution তৈরির জন্য আমাদের KCl এর 0.1 mole Solution তৈরি করে নিতে হবে।
KCl এর আনবিক ভর=74.55gm/mole
তাহলে 1 mole KCL=74.55 gm
0.1 mole KCL=7.455gm
সুতরাং 1 L পানিতে 7.45gm KCL নিয়ে আমাদের Solution তৈরি করে নিতে হবে।
✅Solution তৈরি করা হলে একটি কনিক্যাল ফ্লাস্কে
100 ml KCL Solution নিয়ে তাতে ফেব্রিকের টুকরোগুলা দিয়ে দিয়ে দিতে হবে।
✅এখন কনিক্যাল ফ্লাস্কটিকে Automatic shaker machine Adjust করে 60 rpm এ 2 hrs Shaking করতে হবে যাতে Solution এর সাথে ফেব্রিকের টুকরোগুলা ভালে ভাবে মিশে যায়।
✅Ph মিটার দিয়ে Ph মাপার আগে অবশ্যই মেশিনটি Calibration করে নিতে হবে।
✅তারপর কনিক্যাল ফ্লাস্ক থেকে একটি বিকারে সামান্য mixing Solution নিয়ে তার মধ্যে ph মিটারে Electrod টি ডুবাতে হবে এবং মিটারে স্কিনে কত Ph সেটা দেখা যাবে।এভাবে আর ২ টা কনিক্যাল ফ্লাস্কের Ph মাপতে হবে।পরে লাস্টে পাওয়া ২ টা Ph এর Average করলেই আমরা Actual Ph পেয়ে যাব।