বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পের কিছু স্টেটিকটিক্সঃ
১. তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বায়ারদের আদেশ থেকে শুরু করে পণ্য পৌঁছানো পর্যন্ত সময়কে বলা হয় ‘লিড টাইম’। বাংলাদেশে রপ্তানির লিড টাইমের গড় সময় ৩০ দিন।
২. ২০২০ সালে ভিয়েতনাম ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। আর বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পোশাক।
৩. ২০১৯ বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। তখন ভিয়েতনামের রপ্তানি ছিল ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার ।
৪. ২০১৯ সালে বিশ্বে যত পোশাক রপ্তানি হয়, তার মধ্যে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল বাংলাদেশি। ২০২০ অর্থ বছরে সেটি কমে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে।
৫. ২০২০ সালে চীন সবচেয়ে বেশি ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে।
৬. ডব্লিউটিওর হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশসহ শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারক দেশ ৩৭ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে।
৭. গত বছর সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে ইইউভুক্ত দেশগুলো। দ্বিতীয় শীর্ষ যুক্তরাষ্ট্র আমদানি করেছে ৯ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের পোশাক। তা ছাড়া জাপান ৩ হাজার ও যুক্তরাজ্য ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে।
৮. সারা বছরের মধ্যে জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে সবচেয়ে বেশি পোশাক রপ্তানি হয়। এই সময় শীতের পোশাক বেশি যায়। এসব পোশাকের দাম বেশি এবং কনটেইনারে জায়গাও বেশি নিয়ে থাকে।অর্থবছরের সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়ের ভিত্তিতে এ বছর সেরা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পাচ্ছে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড। পুরস্কারটির নাম ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি’। এই পদক দেয়া হচ্ছে ২০২১ সালে।
১০. ১৭-১৮ অর্থবছরের তৈরি পোশাক (ওভেন) খাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছে রিফাত গার্মেন্টস লিমিটেড। এ ছাড়া রৌপ্যপদক পাচ্ছে এ কে এম নিটওয়্যার লিমিটেড এবং ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছে তারাশিমা অ্যাপারেলস।
১১. ১৭-১৮ অর্থবছরের তৈরি পোশাক (নিটওয়্যার) খাতে স্বর্ণপদক স্কয়ার ফ্যাশনস লিমিটেড। রৌপ্য পাচ্ছে ফোর এইচ ফ্যাশনস এবং ব্রোঞ্জপদক পাচ্ছে জি এম এস কম্পোজিট নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ।
১২. ১৭-১৮ অর্থবছরের সব ধরনের সুতা খাতে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পাচ্ছে যথাক্রমে বাদশা টেক্সটাইল লিমিটেড কামাল ইয়ার্ন লিমিটেড এবং নাইস কটন লিমিটেড।
১৩. ১৭-১৮ অর্থবছরের টেক্সটাইল ফেব্রিকস খাতে স্বর্ণপদক পাচ্ছে এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেড। এ ছাড়া রৌপ্যপদক পাচ্ছে নোমান উইভিং মিলস এবং ফোর এইচ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং।
১৪. ১৭-১৮ অর্থবছরের হোম ও বিশেষায়িত টেক্সটাইল পণ্য খাতে স্বর্ণ ও রৌপ্যপদক পাচ্ছে যথাক্রমে জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড ও এসিএস টেক্সটাইল (বাংলাদেশ) লিমিটেড। টেরিটাওয়েল খাতে একমাত্র স্বর্ণপদক পাচ্ছে নোমান টেরিটাওয়েল মিলস লিমিটেড।
১৫. প্রতি কেজি সুতা উৎপাদনে খরচ পৌনে তিন ডলার হলেও তখন বিক্রি করতে হয়েছে ২ ডলার ২০ সেন্টে । সেই সুতা বর্তমানে ৩ ডলার ১৫ সেন্টে বিক্রি হচ্ছে । তুলার দাম যে হারে বেড়েছে, সেই হারে সুতার দাম বাড়েনি । তিনি বলেন, বস্ত্রকলের মালিকদের কাছে সুতার মজুত নেই। আর্থিক সংকটে অনেকে তুলা কিনতে পারছেন না। অন্যদিকে চাহিদা বেশি।
১৬. বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে দেশে ৮২ লাখ বেল (৪৮০ পাউন্ডে এক বেল) তুলা আমদানি হয়। তা ২০১৯ সালে কমে ৭১ লাখ বেলে দাঁড়ায়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৭ শতাংশ বা ২৬ লাখ ২৭ হাজার বেল তুলা আফ্রিকা থেকে এসেছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ শতাংশ বা ১৮ লাখ ৪৬ হাজার বেল তুলা ভারত থেকে আমদানি করেছেন বস্ত্রকলের মালিকেরা। কমনওয়েলথভুক্ত দেশ অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ থেকে বাকি ৩৭% তুলা এসেছে।
১৭. খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাসখানেক আগে যেখানে প্রতি পাউন্ড তুলা গড়ে ৭৫ সেন্টে বিক্রি হয়েছে, সেখানে বর্তমানে তা বেড়ে ৯০ সেন্টের কাছাকাছি পৌঁছেছে। অন্যদিকে অর্গানিক তুলার দাম ১ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। তাতে দেশে সাধারণ সুতার দাম কেজিতে ২৫-৩০ সেন্ট পর্যন্ত বেড়ে গেছে। আর অর্গানিক সুতার দাম বেড়েছে ৬০-৮০ সেন্ট পর্যন্ত।
১৮. এক দশকের বেশি সময় ধরে আমদানি ব্যয়ে এককভাবে শীর্ষে রয়েছে কাঁচা তুলা। তুলা থেকে সুতা এবং সুতা থেকে কাপড় তৈরি করে রপ্তানিমুখী শিল্প এবং দেশীয় শিল্পের চাহিদার জোগান দেওয়া হচ্ছে। দেশীয় বস্ত্র খাত এবং রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের প্রসার হওয়ায় তুলা আমদানি বাড়ছে। এই কাঁচামালের আমদানি বর্তমানে তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
১৯. বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে তুলা আমদানি হয়েছে ৭৫ লাখ বেল। এর মধ্যে পরিমাণ বিবেচনায় সবচেয়ে বড় উৎস আফ্রিকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, দেশে মোট তুলা আমদানির ১০ শতাংশ আসে আফ্রিকার বেনিন থেকে। বুরকিনা ফাসো ও মালি থেকে আসে যথাক্রমে ৭% ও ৮% শতাংশ। এছাড়া আইভরিকোস্ট ও ক্যামেরুন উভয় দেশেরই অবদান ৪ শতাংশ করে। সব মিলিয়ে দেশে আমদানীকৃত তুলার ৩৩ শতাংশ আসছে আফ্রিকা থেকে।
২০. ২০২১ সালের গত ছয় মাসে ১৬ কাউন্টের সুতার দাম বেড়েছে ৭৮ শতাংশ আর ১০ কাউন্টের ৫৪ শতাংশ। তার অভিযোগ যে হারে তুলার দাম বেড়েছে, স্থানীয় বস্ত্রকল মালিকরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বাড়তি দাম পাওয়া যাচ্ছে না। খাত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ যে ধরণের টাওয়েলসহ হোম টেক্সটাইল সামগ্রী রপ্তানি করে তা তৈরি হয় মূলত ১০ কাউন্ট ও ১৬ কাউন্টের সুতা দিয়ে।
২১. বিশ্বব্যাপী হোম টেক্সটাইলের বাজার ১০০ বিলিয়ন ডলার, গত অর্থবছর বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ১.১৩ বিলিয়ন ডলারখাত সংশ্লিষ্টদের বেশিরভাগই জানিয়েছেন, দেশে রপ্তানিমুখী পোশাক খাতে বড় এবং 'মানসম্পন্ন' ডিজাইন ও ইনোভেশন সেন্টার কমবেশি ২৫টি।
২২. নিজস্ব ডিজাইন ও ইনোভেশন সেন্টার রয়েছে, এমন অন্তত ১০ জন অ্যাপারেল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পাশাপাশি, বড় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট ঘেঁটে এবং ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এপিলিয়ন গ্রুপ, ভিয়েলাটেক্স গ্রুপ, স্নোটেক্স গ্রুপ, অনন্ত গ্রুপ, স্প্যারো গ্রুপ, এসএম নিটওয়্যার, শারমিন গ্রুপ, টিম গ্রুপ, ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেড, প্যাসিফিক জিন্স, কেডিএস গ্রুপ, স্কয়ার ফ্যাশন, ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও, এসকিউ গ্রুপ, টিএডি গ্রুপ, ফকির ফ্যাশন, সোনিয়া গার্মেন্টস, উর্মি গ্রুপ, মেঘনা নিট, ইন্টারস্টফ এ্যাপারেলস লিমিটেড-এর অপেক্ষাকৃত বড় বিনিয়োগের ডিজাইন সেন্টার রয়েছে।
২৩. বিশ্বব্যাপী বর্তমানে হোম টেক্সটাইল মার্কেটের আকার ১০৪ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। আর ২০২৫ সাল নাগাদ তা ১৩৩ বিলিয়ন ডলার হতে পারে। তৈরি পোশাকের মত চীন হোম টেক্সটাইল রপ্তানিতেও ১ নম্বরে রয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানের হোম টেক্সটাইল রপ্তানি ভালো অবস্থানে আছে। কিন্তু বিশ্ববাজারে এই পণ্যে এখনো বাংলাদেশের হিস্যা এক শতাংশের মতো।
২৪. দেশের অন্যতম বড় ওভেন পোশাক রপ্তানিকারক স্প্যারো গ্রুপ বিপুল বিনিয়োগে ২০১৪ সালে নিজস্ব ডিজাইন স্টুডিও তৈরি করেছে। দিনে দিনে এর ব্যপ্তি বেড়েছে। দেশ ছাড়িয়ে ইউরোপেও নিয়োগ দিয়েছে ডিজাইনার। বছরে প্রায় দেড়শ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি করা এই গ্রুপের আরেকটি পোশাক কারখানা রয়েছে জর্ডানে। তিনজন বিদেশিসহ প্রতিষ্ঠানটির এই ডিজাইন স্টুডিওতে কাজ করেন চার শতাধিক লোক। তারা মূলত পরবর্তী এক দুই বছরে ক্রেতার পোশাকের ফ্যাশন চাহিদায় কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তার ভিত্তিতে বায়ারের জন্য ডিজাইন ডেভেলপ করে। ২০২০-২১ অর্থবছরে এ বন্দর দিয়ে ৭৫০ কোটি ৬৫ লাখ টাকার তুলা আমদানি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন বস্ত্রকল ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ভোমরা বন্দর দিয়ে এসব তুলা আমদানি করেন।
২৫. বিদেশে বিনিয়োগের অনুমোদন পেতে যাওয়া ছয় প্রতিষ্ঠান হলো নাসা গ্রুপের এজে সুপার গার্মেন্টস, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রাণ ফুডস লিমিটেড, বিএসআরএম লিমিটেড, এমবিএম গার্মেন্টস, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও রেনাটা লিমিটেড। এদের ভেতর পোশাক কারখানা আছে ২টি ।
২৬. বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জিন্স আমদানি বেড়েছে ৩৫.৬১% । ওটেক্সার তথ্যানুসারে, মে মাস পর্যন্ত ২০২০ সালের একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ডেনিম সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে ব্লু ডেনিম পোশাক শিল্প বিশেষত জিন্সের প্রধান রপ্তানিকারক বাংলাদেশ।
২৭. যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের পোশাক আমদানির তথ্য সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ওটেক্সার তথ্যানুসারে, মে মাস পর্যন্ত ২০২০ সালের একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ডেনিম সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এপ্রিল মাস পর্যন্ত এই হার ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ।
২৮. যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য অধিদপ্তরের টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল কার্যালয়ের (ওটেক্সা) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ১৯০ দশমিক ১৪ মিলিয়ন ডলারের ডেনিম রফতানি করেছে। আর ১৮৪ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন ডলারের ডেনিম পন্য রফতানি করে মেক্সিকো আছে দ্বিতীয় অবস্থানে। চতুর্থ অবস্থানে আছে চীন। এসময়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১২০ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলারের ডেনিম রপ্তানি করেছে দেশটি। এই তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে আছে ভিয়েতনাম। এবছরের প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ১৪৩ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন ডলারের ডেনিম পণ্য রফতানি করেছে দেশটি।
২৯. গত ১০ বছর ধরে নিট এবং ওভেন পোশাকের রপ্তানি ছিল প্রায় সমান। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরেও তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নিটের অংশ ছিল মোট রপ্তানির ৪১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ওভেনের অংশ ছিল ৪২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
৩০. "প্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানিতে ১ শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
৩১. যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শীর্ষ ১০ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, ভারত, মেক্সিকো, হন্ডুরাস, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান এবং কোরিয়া।
৩২. যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ডগুলোর ওপর '২০২১ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি বেঞ্চমার্কিং স্টাডি' নামে একটি জরিপ পরিচালনা করে ইউনাইটেড স্টেটস ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (ইউএসএফআইএ), যা গত জুলাইয়ে প্রকাশ করা হয়।এতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের বিশ্বব্যাপী প্রতি ইউনিট পোশাক ক্রয়ে দর পড়ে গড়ে ২.৬ ডলার, যেখানে বাংলাদেশ থেকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে দাম পড়ে গড়ে ২.৫ ডলার।
৩৩. বিটিএমএ'র সাবেক পরিচালক খোরশেদ বলেন, "কোভিডের আগে বন্দর আব্বাস থেকে ৪০ ফিটের একটি কন্টেইনার আনার ব্যয় ছিলো ১১০০ ডলার, যা এখন ৪ হাজার ডলার হয়ে গেছে, তবুও পাই না।
৩২. "ভারত থেকে সুতা আমদানি করতে হলে সিএন্ডএফ ব্যয়, এলসি ওপেনিং, ইন্স্যুরেন্স ব্যয়ের পাশাপাশি চার শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ মিলবে না। ফলে তা আমদানিকারকদের জন্য সুবিধাজনক হবে না বলে মনে করেন তিনি।
৩৩. স্থানীয় সুতায় তৈরি পোশাক রপ্তানিতে সরকার ৪ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ দিয়ে আসছে। আমদানি করা সুতায় পোশাক রপ্তানি করলে এই সুযোগ হারাবে।
৩৪. গত ১৭ জুলাইয়েও টাওয়েলে ব্যবহার হওয়া ২০ রিং স্পান সুতার দাম ছিলো গত ৩.৯০ ডলার। এই সুতার দাম আগস্টে চাইছে ৪.৩০ ডলার। অথচ একই সুতা ভারতের বাজারে ৩.৪০ ডলার। আগে আমদানিকৃত সুতার চেয়ে স্থানীয় সুতার দাম প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৩০ সেন্টস বেশি থাকতো। এখন তা ১ ডলার পর্যন্ত বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।"
1 টি মন্তব্য:
বাংলা ভাষায় চমৎকার একটি লেখা পড়লাম লেকখকে অসংখ্য ধন্যবাদ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন