কি ভাবে পোশাক রপ্তানি শুরু করবেন এ টু জেড ।। How to start export business - Textile Lab | Textile Learning Blog
কি ভাবে পোশাক  রপ্তানি শুরু করবেন এ টু জেড ।। How to start export business
আমদানি ব্যবসার চেয়ে রপ্তানি ব্যবসা করা সবচেয়ে লাভজনক। অনেকেই আছেন যারা আমাকে জিজ্ঞাসা করে থাকেন কিভাবে রপ্তানি করতে হবে।

কোথায় থেকে রপ্তানি ব্যবসা শুরু করবেন। আজকের পোষ্টে আপনাদের আমি বিস্তারিত বলার চেষ্টা করবো। তবে এর আগে রপ্তানি ব্যবসা আপনাদের কিছু সাধারণ ধরনা নিয়ে নিতে হবে। যেমন কিভাবে রপ্তানি লাইচেঞ্চ করতে হবে। কিভাবে টিন, ভ্যাট , ট্রেড লাইচেঞ্চ করতে হবে। আসা করি এই বিষয়টা নতুন করে বলতে হবেনা।

রপ্তানি করার প্রথম ধাপ

রপ্তানি করার প্রথম ধাপে আপনি একটি রপ্তানি লাইসেন্স  করতে হবে। কিভাবে রপ্তানি লাইসেন্স  করতে হবে তা নিয়ে আমাদের বিস্তারিত পোষ্ট আছে দেখে নিতে পারেন।


রপ্তানি লাইসেন্স ফি কত টাকা ??

সরকার রপ্তানি করার জন্য রপ্তানিকারকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে থাকে। কারন রপ্তানি কারীরা দেশের জন্য প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে থাকেন।

এজন্য  সরকার রপ্তানী লাইসেন্স ফি করা বাবদ আপনার থেকে মাত্র ৮০০০/- টাকা নিবে।  * ১৫% ভ্যাট চালান প্রযোজ্য।

কতদিন লাগবে আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স করতে?
আমি আগের পোস্টে বলেছিলাম যদি দ্রুত করতে চান তবে কাউকে দিয়ে আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স করিয়ে নিতে। কারন আপনি নিজে আমদানি
রপ্তানি লাইসেন্স করতে গেলে অনেক সময় লাগবে। তবে কাউকে দিয়ে করালে ৩ থেকে ৫ দিন সময় লাগতে পারে। বা বেশীও লাগতে পারে।
এক্ষেত্রে আপনি যাকে দিয়ে কাজটি করাবেন তার সাথে ভালো ভাবে কথা বলে নিবেন। 

 
দ্বিতীয় ধাপ

আসা করি রপ্তানি লাইসেন্স করা শেষ। এবারের কাজ হল পি আই প্রদান করা। আপনার থেকে বায়ার যে পণ্য আমদানি করতে চায় তার একটা পি আই তৈরি করে নিন।

পি আই কি কিভাবে পি আই করতে হবে এসব নিয়ে বিস্তারিত আমাদের ওয়েবসাইটে দেয়া আছে দেখে নিতে পারেন।

পি আইতে  সাধারনত প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা থাকে, পন্যের বিবরণ ইত্যাদি থাকে। সেলারের ঠিকানা এবং তাদের ইনভয়েস নাম্বার পি আই তে খুবই জরুরি ৷
কেননা আপনি যখন এলসি করবেন তখন ইনবয়েস নাম্বারটি দিতে হবে। পি আই এর তারিখ  অর্থাৎ, কোন তারিখে PI ( Proforma Invoice )
টি ইস্যু করা হয়েছিলো । তবে বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন ফরমেটে PI ( Proforma Invoice ) টি তৈরি করে

থাকে ।  কিন্তু তথ্য মোটামুটি একই রকম  ।

পি আই তে আপনি আপনার কোম্পানির সিল দিয়ে সাইন করে দিবেন। এই পি আই নিয়ে বায়ার যখন তার ব্যাংক এ যাবেন তখন তারা এল সি ওপেন করতে পারবে।


তৃতীয় ধাপ

এবারের কাজ হল আপনি যে ব্যাংকের সুইফট কোড দিয়ে পি আই বানিয়েছিলেন সেই ব্যাংক এ গিয়ে যোগাযোগ করা। তাদের বলতে হবে যে আপনার বায়ার আপনার কোম্পানির নামে একটি এলসি ইস্যু করেছে।

 
ওরা আপনাকে একটি এল সি কপি দিবে। আর একটা EXP ফর্ম দিবে। এই  EXP ফর্ম এ আপনি যে
পণ্য রপ্তানি করবেন তার বিস্তারিত থাকবে। ব্যাংক আপনাকে এলসির টাকা দিয়ে দিবে। ডলার কনভার্ট করতে কিছু খরচ নিবে।

চতুর্থ

এবারের কাজ হল পণ্য রপ্তানি করা। ঢাকা এয়ারপোর্ট অথবা চট্টগ্রাম বন্দর যেকোনো পোর্ট দিয়েই পণ্য রপ্তানি করেন না কেন আপনাকে সি এন্ড এফ নিজুক্ত করতে হবে। C&F মানে Custom clearing and forwarding agent. এই প্রতিষ্ঠান গুলি রপ্তানি পন্যের কাষ্টমস প্রসিডিউর সম্পন্য করে সরকারী
ট্যাক্স প্রদানে রপ্তানীকারককে সহযোগীতা করে ৷ এরা সরকার কতৃক বিশেষ লাইসেন্স প্রাপ্ত ৷
আরও পড়ুন

কত টাকা ট্রান্সপোর্ট ফিঃ 

সাধারণত রপ্তানি করতে খরচ একটু কম আমদানির চেয়ে। একটা ২০ ফিট ফুল কন্টেনার ভাড়া করতে আপনাকে ৮০০ থেকে ৯০০ ডলার লাগবে। আর বিমানে প্রতি কেজি ৪-৫ ডলার লাগবে। 

সরকারকে কত ট্যাক্স দিতে হবে
রপ্তানি করতে সরকারকে কোন ট্যাক্স দিতে হয়না। উপরন্তু কিছু পণ্য আছে জেগুলো রপ্তানি করতে পারলে সরকার আপনাকে ভর্তুকি দিবে। ১০০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করতে আপনাকে ৪-৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।

পঞ্চম ধাপ

এবারের কাজ হল আপনার সকল কাগজ পত্র যেমন ইনভয়েস, পি আই, প্যাকিং লিস্ট, বি এল ইত্যাদি ব্যাংক এ জমা দেয়া। ব্যাংক থেকে এসব কাগজ পত্র বিদেশে
আপনার বায়ারের কাছে পাঠিয়ে দিবে। তারা এসব কাগজ পত্র দিয়ে পণ্য বন্দর থেকে ছাড়িয়ে নিবে।

আপাদত সংক্ষিপ্ত ভাবে এটাই হল রপ্তানি প্রক্রিয়া। আপনার যদি আরও বেশী কিছু জানার থাকে তবে কমেন্ট করতে পারেন। আমারা প্রত্যেকটি কমেন্ট এর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।

কি ভাবে পোশাক রপ্তানি শুরু করবেন এ টু জেড ।। How to start export business

কি ভাবে পোশাক  রপ্তানি শুরু করবেন এ টু জেড ।। How to start export business
আমদানি ব্যবসার চেয়ে রপ্তানি ব্যবসা করা সবচেয়ে লাভজনক। অনেকেই আছেন যারা আমাকে জিজ্ঞাসা করে থাকেন কিভাবে রপ্তানি করতে হবে।

কোথায় থেকে রপ্তানি ব্যবসা শুরু করবেন। আজকের পোষ্টে আপনাদের আমি বিস্তারিত বলার চেষ্টা করবো। তবে এর আগে রপ্তানি ব্যবসা আপনাদের কিছু সাধারণ ধরনা নিয়ে নিতে হবে। যেমন কিভাবে রপ্তানি লাইচেঞ্চ করতে হবে। কিভাবে টিন, ভ্যাট , ট্রেড লাইচেঞ্চ করতে হবে। আসা করি এই বিষয়টা নতুন করে বলতে হবেনা।

রপ্তানি করার প্রথম ধাপ

রপ্তানি করার প্রথম ধাপে আপনি একটি রপ্তানি লাইসেন্স  করতে হবে। কিভাবে রপ্তানি লাইসেন্স  করতে হবে তা নিয়ে আমাদের বিস্তারিত পোষ্ট আছে দেখে নিতে পারেন।


রপ্তানি লাইসেন্স ফি কত টাকা ??

সরকার রপ্তানি করার জন্য রপ্তানিকারকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে থাকে। কারন রপ্তানি কারীরা দেশের জন্য প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে থাকেন।

এজন্য  সরকার রপ্তানী লাইসেন্স ফি করা বাবদ আপনার থেকে মাত্র ৮০০০/- টাকা নিবে।  * ১৫% ভ্যাট চালান প্রযোজ্য।

কতদিন লাগবে আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স করতে?
আমি আগের পোস্টে বলেছিলাম যদি দ্রুত করতে চান তবে কাউকে দিয়ে আমদানি রপ্তানি লাইসেন্স করিয়ে নিতে। কারন আপনি নিজে আমদানি
রপ্তানি লাইসেন্স করতে গেলে অনেক সময় লাগবে। তবে কাউকে দিয়ে করালে ৩ থেকে ৫ দিন সময় লাগতে পারে। বা বেশীও লাগতে পারে।
এক্ষেত্রে আপনি যাকে দিয়ে কাজটি করাবেন তার সাথে ভালো ভাবে কথা বলে নিবেন। 

 
দ্বিতীয় ধাপ

আসা করি রপ্তানি লাইসেন্স করা শেষ। এবারের কাজ হল পি আই প্রদান করা। আপনার থেকে বায়ার যে পণ্য আমদানি করতে চায় তার একটা পি আই তৈরি করে নিন।

পি আই কি কিভাবে পি আই করতে হবে এসব নিয়ে বিস্তারিত আমাদের ওয়েবসাইটে দেয়া আছে দেখে নিতে পারেন।

পি আইতে  সাধারনত প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা থাকে, পন্যের বিবরণ ইত্যাদি থাকে। সেলারের ঠিকানা এবং তাদের ইনভয়েস নাম্বার পি আই তে খুবই জরুরি ৷
কেননা আপনি যখন এলসি করবেন তখন ইনবয়েস নাম্বারটি দিতে হবে। পি আই এর তারিখ  অর্থাৎ, কোন তারিখে PI ( Proforma Invoice )
টি ইস্যু করা হয়েছিলো । তবে বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন ফরমেটে PI ( Proforma Invoice ) টি তৈরি করে

থাকে ।  কিন্তু তথ্য মোটামুটি একই রকম  ।

পি আই তে আপনি আপনার কোম্পানির সিল দিয়ে সাইন করে দিবেন। এই পি আই নিয়ে বায়ার যখন তার ব্যাংক এ যাবেন তখন তারা এল সি ওপেন করতে পারবে।


তৃতীয় ধাপ

এবারের কাজ হল আপনি যে ব্যাংকের সুইফট কোড দিয়ে পি আই বানিয়েছিলেন সেই ব্যাংক এ গিয়ে যোগাযোগ করা। তাদের বলতে হবে যে আপনার বায়ার আপনার কোম্পানির নামে একটি এলসি ইস্যু করেছে।

 
ওরা আপনাকে একটি এল সি কপি দিবে। আর একটা EXP ফর্ম দিবে। এই  EXP ফর্ম এ আপনি যে
পণ্য রপ্তানি করবেন তার বিস্তারিত থাকবে। ব্যাংক আপনাকে এলসির টাকা দিয়ে দিবে। ডলার কনভার্ট করতে কিছু খরচ নিবে।

চতুর্থ

এবারের কাজ হল পণ্য রপ্তানি করা। ঢাকা এয়ারপোর্ট অথবা চট্টগ্রাম বন্দর যেকোনো পোর্ট দিয়েই পণ্য রপ্তানি করেন না কেন আপনাকে সি এন্ড এফ নিজুক্ত করতে হবে। C&F মানে Custom clearing and forwarding agent. এই প্রতিষ্ঠান গুলি রপ্তানি পন্যের কাষ্টমস প্রসিডিউর সম্পন্য করে সরকারী
ট্যাক্স প্রদানে রপ্তানীকারককে সহযোগীতা করে ৷ এরা সরকার কতৃক বিশেষ লাইসেন্স প্রাপ্ত ৷
আরও পড়ুন

কত টাকা ট্রান্সপোর্ট ফিঃ 

সাধারণত রপ্তানি করতে খরচ একটু কম আমদানির চেয়ে। একটা ২০ ফিট ফুল কন্টেনার ভাড়া করতে আপনাকে ৮০০ থেকে ৯০০ ডলার লাগবে। আর বিমানে প্রতি কেজি ৪-৫ ডলার লাগবে। 

সরকারকে কত ট্যাক্স দিতে হবে
রপ্তানি করতে সরকারকে কোন ট্যাক্স দিতে হয়না। উপরন্তু কিছু পণ্য আছে জেগুলো রপ্তানি করতে পারলে সরকার আপনাকে ভর্তুকি দিবে। ১০০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করতে আপনাকে ৪-৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।

পঞ্চম ধাপ

এবারের কাজ হল আপনার সকল কাগজ পত্র যেমন ইনভয়েস, পি আই, প্যাকিং লিস্ট, বি এল ইত্যাদি ব্যাংক এ জমা দেয়া। ব্যাংক থেকে এসব কাগজ পত্র বিদেশে
আপনার বায়ারের কাছে পাঠিয়ে দিবে। তারা এসব কাগজ পত্র দিয়ে পণ্য বন্দর থেকে ছাড়িয়ে নিবে।

আপাদত সংক্ষিপ্ত ভাবে এটাই হল রপ্তানি প্রক্রিয়া। আপনার যদি আরও বেশী কিছু জানার থাকে তবে কমেন্ট করতে পারেন। আমারা প্রত্যেকটি কমেন্ট এর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো।

কোন মন্তব্য নেই: