জিও টেক্সটাইল | Geo Fabrics - Textile Lab | Textile Learning Blog
মৌখিক পরীক্ষা হোক কিংবা লিখিত পরীক্ষা, আশা করি জিওটেক্সটাইল ফেব্রিক নিয়ে আর কোন সমস্যা থাকবে না ইনশাআল্লাহ।


জিওটেক্সটাইল মানে কিঃ

জিও অর্থ হলো "ভূ" এবং টেক্সটাইল অর্থ হলো "বোনা কাপড়" অর্থাৎ মাটির স্থায়িত্ব বৃদ্ধি, ক্ষয় রোধ, তরল পদার্থের ফিল্টারেশনের জন্য ব্যবহৃত বিশেষ ধরনের কাপড়।

জিওটেক্সটাইল কাকে বলেঃ

পলিয়েস্টার এবং পলিপ্রোপিলিন সহ বিভিন্ন ধরনের সিনথেটিক সামগ্রী দ্বারা তৈরি খুব ক্ষুদ্র ছিদ্রবিশিষ্ট বিশেষ ধরনের কাপড়কেই জিওটেক্সটাইল ফেব্রিক বলে।


ইতিহাসঃ
প্রকৌশল ক্ষেত্রে প্রাচীন মিসরীয়দের অবদান অনস্বীকার্য। প্রাচীন মিশরীয়রায় প্রথম প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তু গুলিকে মাটির সাথে মিশ্রিত করে মাটির শক্তিবৃদ্ধি করত। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫০ সালে সিনথেটিক পলিমার ব্যবহার করে বিশেষ ধরনের কাপড় তৈরি করা হয় এবং ১৯৭৭ সালে প্যারিসের ইঞ্জিনিয়ারিং সম্মেলনে এই বিশেষ ধরনের কাপড় কে জিওটেক্সটাইল নামে অভিহিত করা হয়।


প্রকারভেদঃ
ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে জিওটেক্সটাইল কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ-

(ক) Woven Geotextile Fabric (বুনন যুক্ত জিও টেক্সটাইল ফেব্রিক)ঃ জিও টেক্সটাইল ফেব্রিক গুলোর ভিতর ওভেন টাইপ গুলোর ব্যবহার বেশি লক্ষ্য করা যায়। এদের warf এবং weft এতটাই মজবুত এবং নিছিদ্র হয় যে, এর ভিতর দিয়ে ইনফিল্ট্রেশন হয় না বললেই চলে। এবং এর warf টা এতটাই মজবুত যে, এটির টেনসাইল স্ট্রেন্হ অনেক বেশি পাওয়া যায়।

ব্যবহারঃ উপরিউক্ত গুণাবলীর কারণে ওভেন টাইপ জিওটেক্সটাইল ফেব্রিক গুলো দীর্ঘমেয়াদি নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ

1. একটি নতুন রোড বেড তৈরীর জন্য।

2. বিমানবন্দরের রানেরওয়ে তৈরীর জন্য।

3. নদীর তীরে কংক্রিট ব্লক এর নিচে ব্যবহার করার জন্য।

4. নদী সমুদ্র সৈকতের তীরে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ওভেন জিও টেক্সটাইল ফেব্রিকের বস্তার ভিতর বালুভর্তি করে ব্যবহার করা হয়। যেটা অনেকটা ডাইকের মত কাজ করে।

5. ড্যাম প্রুফিং বা আদ্রতা নিরসনে বেসমেন্টে পলিথিন পেপার এর বিপরীতে ব্যবহার করা যায়।

সর্বোপরি মাটির শক্তি বৃদ্ধি ক্ষয় রোধ ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়

(খ) Non-Woven Geotextile Fabric (অ-বোনা জিও টেক্সটাইল ফেব্রিক)ঃ এই ধরনের কাপড় গুলো সুইং-পাঞ্চিং নামে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা হয়। ফলস্বরূপ এই ধরনের ফেব্রিক এর মধ্য দিয়ে পানি ফিল্ট্রেশনের ব্যবস্থা থাকে। মূলত যে সমস্ত স্থানে ওয়াটার ফিল্টার এর প্রয়োজন হয় ঐ সমস্ত জায়গায় non-woven জিওটেক্সটাইল ফেব্রিক ব্যবহৃত হয়। তবে এই ধরনের ফেব্রিক গুলাও নদীর তীরে মাটি ক্ষয় রোধে ব্যবহার করা হয়।

এমন একটি প্রাকৃতিক জিনিসের নাম বলুন যেটা অনেকটা জিওটেক্সটাইলের ন্যায় কাজ করেঃ

দুর্বা ঘাসের চাপড়া। কারণ এর শিকড় গুলো তুলনামূলকভাবে লম্বা হয়ে থাকে এবং মাটিকে আঁকড়ে ধরে রাখে। এতে করে মাটির ক্ষয়রোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

আচ্ছা বাংলাদেশে কি এটি তৈরি হয়ঃ 

বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি কোম্পানি এটি তৈরি করে থাকে।

1.BST Engineering & Galvanizing

2.M/s. Knit Sew Combination

3.Xtra Power Bangladesh

4.Seconds Industries Limited

5.Traditional Bangladesh

6.Rohani Fabrics

7.Al Salam Fabrics (Pvt.) Ltd.

8.United Tex (BD) Int’l Ltd

মজার ব্যাপার হলো, এই বাংলাদেশী সংস্থাগুলি বিশ্বের বিভিন্ন স্থান যেমন উত্তর আমেরিকা, পূর্ব ইউরোপ, পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ ইউরোপ, দক্ষিণ এশিয়া,মধ্য আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ এবং মধ্য প্রাচ্যে জিওটেক্সটাইল সরবরাহ করছে।

জিও টেক্সটাইল | Geo Fabrics

মৌখিক পরীক্ষা হোক কিংবা লিখিত পরীক্ষা, আশা করি জিওটেক্সটাইল ফেব্রিক নিয়ে আর কোন সমস্যা থাকবে না ইনশাআল্লাহ।


জিওটেক্সটাইল মানে কিঃ

জিও অর্থ হলো "ভূ" এবং টেক্সটাইল অর্থ হলো "বোনা কাপড়" অর্থাৎ মাটির স্থায়িত্ব বৃদ্ধি, ক্ষয় রোধ, তরল পদার্থের ফিল্টারেশনের জন্য ব্যবহৃত বিশেষ ধরনের কাপড়।

জিওটেক্সটাইল কাকে বলেঃ

পলিয়েস্টার এবং পলিপ্রোপিলিন সহ বিভিন্ন ধরনের সিনথেটিক সামগ্রী দ্বারা তৈরি খুব ক্ষুদ্র ছিদ্রবিশিষ্ট বিশেষ ধরনের কাপড়কেই জিওটেক্সটাইল ফেব্রিক বলে।


ইতিহাসঃ
প্রকৌশল ক্ষেত্রে প্রাচীন মিসরীয়দের অবদান অনস্বীকার্য। প্রাচীন মিশরীয়রায় প্রথম প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তু গুলিকে মাটির সাথে মিশ্রিত করে মাটির শক্তিবৃদ্ধি করত। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫০ সালে সিনথেটিক পলিমার ব্যবহার করে বিশেষ ধরনের কাপড় তৈরি করা হয় এবং ১৯৭৭ সালে প্যারিসের ইঞ্জিনিয়ারিং সম্মেলনে এই বিশেষ ধরনের কাপড় কে জিওটেক্সটাইল নামে অভিহিত করা হয়।


প্রকারভেদঃ
ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে জিওটেক্সটাইল কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ-

(ক) Woven Geotextile Fabric (বুনন যুক্ত জিও টেক্সটাইল ফেব্রিক)ঃ জিও টেক্সটাইল ফেব্রিক গুলোর ভিতর ওভেন টাইপ গুলোর ব্যবহার বেশি লক্ষ্য করা যায়। এদের warf এবং weft এতটাই মজবুত এবং নিছিদ্র হয় যে, এর ভিতর দিয়ে ইনফিল্ট্রেশন হয় না বললেই চলে। এবং এর warf টা এতটাই মজবুত যে, এটির টেনসাইল স্ট্রেন্হ অনেক বেশি পাওয়া যায়।

ব্যবহারঃ উপরিউক্ত গুণাবলীর কারণে ওভেন টাইপ জিওটেক্সটাইল ফেব্রিক গুলো দীর্ঘমেয়াদি নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ

1. একটি নতুন রোড বেড তৈরীর জন্য।

2. বিমানবন্দরের রানেরওয়ে তৈরীর জন্য।

3. নদীর তীরে কংক্রিট ব্লক এর নিচে ব্যবহার করার জন্য।

4. নদী সমুদ্র সৈকতের তীরে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ওভেন জিও টেক্সটাইল ফেব্রিকের বস্তার ভিতর বালুভর্তি করে ব্যবহার করা হয়। যেটা অনেকটা ডাইকের মত কাজ করে।

5. ড্যাম প্রুফিং বা আদ্রতা নিরসনে বেসমেন্টে পলিথিন পেপার এর বিপরীতে ব্যবহার করা যায়।

সর্বোপরি মাটির শক্তি বৃদ্ধি ক্ষয় রোধ ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়

(খ) Non-Woven Geotextile Fabric (অ-বোনা জিও টেক্সটাইল ফেব্রিক)ঃ এই ধরনের কাপড় গুলো সুইং-পাঞ্চিং নামে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা হয়। ফলস্বরূপ এই ধরনের ফেব্রিক এর মধ্য দিয়ে পানি ফিল্ট্রেশনের ব্যবস্থা থাকে। মূলত যে সমস্ত স্থানে ওয়াটার ফিল্টার এর প্রয়োজন হয় ঐ সমস্ত জায়গায় non-woven জিওটেক্সটাইল ফেব্রিক ব্যবহৃত হয়। তবে এই ধরনের ফেব্রিক গুলাও নদীর তীরে মাটি ক্ষয় রোধে ব্যবহার করা হয়।

এমন একটি প্রাকৃতিক জিনিসের নাম বলুন যেটা অনেকটা জিওটেক্সটাইলের ন্যায় কাজ করেঃ

দুর্বা ঘাসের চাপড়া। কারণ এর শিকড় গুলো তুলনামূলকভাবে লম্বা হয়ে থাকে এবং মাটিকে আঁকড়ে ধরে রাখে। এতে করে মাটির ক্ষয়রোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

আচ্ছা বাংলাদেশে কি এটি তৈরি হয়ঃ 

বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি কোম্পানি এটি তৈরি করে থাকে।

1.BST Engineering & Galvanizing

2.M/s. Knit Sew Combination

3.Xtra Power Bangladesh

4.Seconds Industries Limited

5.Traditional Bangladesh

6.Rohani Fabrics

7.Al Salam Fabrics (Pvt.) Ltd.

8.United Tex (BD) Int’l Ltd

মজার ব্যাপার হলো, এই বাংলাদেশী সংস্থাগুলি বিশ্বের বিভিন্ন স্থান যেমন উত্তর আমেরিকা, পূর্ব ইউরোপ, পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ ইউরোপ, দক্ষিণ এশিয়া,মধ্য আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ এবং মধ্য প্রাচ্যে জিওটেক্সটাইল সরবরাহ করছে।

কোন মন্তব্য নেই: