Wants to be a merchandiser???
মার্চেন্ডাইজার , একটা পদবী, একটা স্বপ্নময় চাকরি, একটা নিশ্চিত ভবিষ্যৎ। এই শব্দ টা শুনলেই সমস্ত চিন্তা শক্তি দিয়ে ভাবতে ইচ্ছা করে “ আহা, কত শান্তির কর্পোরেট জব, অফিস এর খরচে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমনের সুযোগ, বিদেশি বায়ারদের সাথে মিটিং, কমিশন, অনেক অনেক টাকা ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি”।
যারা এসব চিন্তা করতে করতে নিজেদের ভবিষ্যৎ টা ভেবে ফেলেছেন তাদের জন্য বলছি, ভবিষ্যৎ থেকে এবার এক্টু অতীতের দিকে আসুন ।
আপনার কোম্পানি তে কোন কারণে একদিন উৎপাদন কম হল। কোম্পানি এর কর্মকর্তা গন সকল সেকশন বিভাগের প্রধান কে নিয়ে জরুরী মিটিং এ বসলেন। স্বাভাবিকভাবেই কোম্পানি এর উৎপাদন বলতে বুঝানো হয় সুইং এর প্রোডাকশন কে। তাই কর্মকর্তা গন প্রথমেই প্রশ্ন করবেন সুইং এর প্রধান কে। সুইং এর প্রধান এর কাছে যদি প্রোডাকশন কম হবার যথাযথ কারণ না থাকে তবে তিনি চাইবেন নিজেকে বাঁচানোর জন্য অন্য কারো উপর দোষ চাপিয়ে দিতে। ধরা যাক তিনি বললেন “ কাটিং থেকে পর্যাপ্ত ইনপুট পাই নাই” ।
কর্মকর্তাগণ তখন তাকেই প্রশ্ন করবেন যার উপরে সুইং এর প্রধান দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ কাটিং এর প্রধান কে প্রশ্ন করা হবে সুইং প্রধান এর বক্তব্য যাচাই করার জন্য। একইভাবে কাটিং প্রধানের কাছেও যদি কোন যথাযথ উত্তর না থাকে তবে তিনিও চাইবেন বাঁচার জন্য দোষটা অন্য কারো উপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য। এভাবে ( সংযুক্ত ছবি টি দেখুন) একজন একজন করতে করতে সবার শেষে প্রশ্ন করা হবে দায়িত্তপ্রাপ্ত মার্চেন্ডাইজারকে। এতক্ষণ যাবত সবাই না হয় একজন একজন করে দোষ গুলো অন্যজনের উপর চাপিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বেঁচে গেলেন।
মার্চেন্ডাইজারের উপর যখন আঙ্গুল তোলা হবে তখন তার আর কোন সুযোগ থাকবেনা অন্য কাউকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার মত। কারণ এতক্ষণ বিভাগীয় প্রধানরা যা কিছুই বলেছেন তার সম্পূর্ণ সত্যি না হলেও সকলের চোখে তখন তিনিই দোষী। কেননা উনার নিজেরই দায়িত্ব সকল কিছুর সার্বিক তত্ত্বাবধান করা। এখন কর্মকর্তাগণ যখন তাকে প্রশ্ন করবেন তখন তাকে তো কিছু না কিছু বলতে হবে। ধরা যাক তখন তিনি জানালেন যে সুতা বুকিং দিতে ১ দিন বিলম্ব হয়েছিল। হ্যাঁ, আর এই একদিনের বিলম্ব হবার কারনেই সকল দোষ এখন তার উপর। আর এই দায়ভার কাঁধে নিয়েই তাকে চলতে হবে যতদিন না পর্যন্ত ঐ অর্ডার টা সম্পন্ন না হচ্ছে। সুতরাং এই দায়ভার বহন করার মানসিকতা, দক্ষতা যাদের আছে তারাই হতে পারেন একজন সফল মার্চেন্ডাইজার।
এখন একটু অন্যভাবে চিন্তা করা যাক। মনে করেন ঐ মার্চেন্ডাইজার ঐ মিটিং থেকে শিক্ষা পেয়ে ভাবল যে “কোনকিছুতে আর বিলম্ব করা যাবে না এবং সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে” । এই শিক্ষা নিয়ে তিনি পরের অর্ডার গুলো তে সব কিছু সময় মত করতে থাকলেন। তারপর ও আবার মিটিং এ বসতে হলো ঐ একই কারণে, অর্থাৎ উৎপাদন কম হবার কারণে। এবারও সেই একই উত্তর পাওয়া গেলো যে “ কোন কিছুই সময় মত পাচ্ছি না।“ এবার মার্চেন্ডাইজার ও বলল “ না, আমি তো সব কিছুই সময় মত বুকিং দিয়ে দিয়েছি” । তখন জানা গেলো যে সময় মত বুকিং দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু যথাযথ তত্ত্বাবধান না করার কারণে কোন কিছুই সময়মত হয় নাই। তারমানে আবার সেই দায়ভার, আবার সেই চিন্তা। আর এই মিটিং থেকে তার শিক্ষা হল যে “ সময় মত বুকিং দিলেই দায় শেষ হয়ে যায় না, বরং যথাযথ তত্ত্বাবধান ও করতে হবে” ।
একজন মার্চেন্ডাইজারের জীবনে প্রতিদিনই এইরকম অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর এই সব সমস্যা যিনি যত তাড়াতাড়ি সমাধান করে নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারেন তিনিই হতে পারেন একজন সফল মার্চেন্ডাইজার। আর সফল মার্চেন্ডাইজার হবার পর ই তিনি ঐসব সুবিধা ভোগ করতে পারেন যেই গুলোর চিন্তা আপনি “মার্চেন্ডাইজার” শব্দ টা শোনার পরই এর ভবিষ্যৎ ভেবে ফেলেছেন।
Thanks & Best regards
Md. Faridul Islam Rumman
Former IE Executive
Turag Garments & Hosiery Mills Ltd.
M.Sc in Technical Research & Engineering
Wuhan Textile University, Hubei, Wuhan, China.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন