এক দিনে ১০০০ টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তত করেছে বুটেক্স - Textile Lab | Textile Learning Blog
'এক দিনে ১০০০ টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তত একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে এবং বিতরণ করা হবে বিনামূল্যে' এই খবরটা সাধারণ না; নিঃসন্দেহে অসাধারণ। অনেক বড় কিছু। মাথা নুয়ানো শ্রদ্ধা তাদের প্রতি।




তিনদিন আগে প্রথম যখন শুনলাম বুটেক্সের 'ডাইস এন্ড কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ' নিজেদের ল্যাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছে এটা সাধারণ লেভেলের ভালো খবর ছিল। এরপর খোঁজ খবর নিয়ে দেখলাম একে একে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট থেকে এটা বানানো হচ্ছে। সুতরাং, তখন বিষয়টা একটি মোটাদাগে বৃহত্তর ভালো লাগায় পরিণত হল। নির্ধারিতভাবে বুটেক্স নিয়ে আলাদাভাবে কিছু অনুভূত হয় নি। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা খাত এর প্রণোদনা এবং বিনিয়োগ ( যেকোনো বিনিয়োগ যেমন- মেধা, পরিশ্রম কিংবা অর্থ) সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে তারা বুঝবেন এই সঙ্কটময় এসময়ে কোনো আনুষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এটা কত বড় পদক্ষেপ।  আমরা হয়ত ভ্যক্সিন নিয়ে কাজ করতে পারি নি; প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণার সামর্থ নেই; টেস্ট পদ্ধতির সময় হয়ত কমাতে পারি নি, কিন্তু কোনোরকম পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া বিভিন্ন  বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু উদ্যমী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের এই উদ্যোগ আমাকে অনেকবেশি আশাবাদী করে। রসায়নের ভাষায় এই  কাজটা হয়ত অনেক জটিল কিছু না; তবে গৎবাঁধা নিয়মে হাত গুটিয়ে বসে না থেকে সঙ্কট মুহূর্তে নিজের অবস্থান থেকে কিছু করার প্রয়াস,   সাধারণ দশজনের জন্য অনেক বড় আশীর্বাদ হয়ে আসে। আমি কিংবা আমরা ছুটি  পেয়ে  নিরাপত্তার খাতিরে ঢাকা ছেড়ে বাড়িতে চলে আসলেও ঝুঁকি নিয়ে  ভার্সিটির হলেই অবস্থান  করে ল্যাবে পড়ে কাজ করছে   আমারই আশেপাশের বন্ধু-বান্ধব,ছোটভাইরা। 









যখন শুনলাম তারা  স্যানিটাইজার এর  এরকম বড় স্কেল এর  প্রোডাকশন দিয়েছে   একদিনে  বুটেক্সিয়ান হিসেবে সেটা আলাদাভাবে গৌরবের বেশ শক্ত কারণই বটে।  যেই গোটাকয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একদম শুরুর দিকে এই উদ্যোগ নিয়েছিল বুটেক্স তার অন্যতম।  এ স্যানিটাইজার টায় এ্যালোভেরাসহ ন্যচারাল উপাদানের ফিচার রয়েছে। আমি নিজে ব্যবহার করেছি ; এর গুণগতমান আসলেই আলাদা করে বলার।  ধন্যবাদ ফরহাদ স্যার এবং 'ডাইস এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং' ডিপার্টমেন্টকে। ৩ বছর আগে খোলা এই ছোট ডিপার্টমেন্টটি সাইজে ছোট হলেও মানে অনেক বড় ; তার প্রমাণ রাখল।  'এলোয়েজেল' নামক এই স্যানিটাইজার  এর বড় ধরণের  সফলতা কামনা করছি। 

একটা কথাই বলার যে বা যারা যেখান থেকেই স্যানিটাইজার তৈরীর এই উদ্যোগটা নিন না কেন বিষয়টা যেন শো-অফ বা রেসে টিকে থাকার তাগিদে না হয়; মানুষের প্রতি ভালোবাসার তাগিদে হয়।  যতটা সম্ভব এরকম বড় স্কেলে কাজ চালিয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত অনুরোধ রইলো। 



কার্টেসিঃ SA Sagor 
 

এক দিনে ১০০০ টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তত করেছে বুটেক্স

'এক দিনে ১০০০ টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তত একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে এবং বিতরণ করা হবে বিনামূল্যে' এই খবরটা সাধারণ না; নিঃসন্দেহে অসাধারণ। অনেক বড় কিছু। মাথা নুয়ানো শ্রদ্ধা তাদের প্রতি।




তিনদিন আগে প্রথম যখন শুনলাম বুটেক্সের 'ডাইস এন্ড কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ' নিজেদের ল্যাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছে এটা সাধারণ লেভেলের ভালো খবর ছিল। এরপর খোঁজ খবর নিয়ে দেখলাম একে একে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট থেকে এটা বানানো হচ্ছে। সুতরাং, তখন বিষয়টা একটি মোটাদাগে বৃহত্তর ভালো লাগায় পরিণত হল। নির্ধারিতভাবে বুটেক্স নিয়ে আলাদাভাবে কিছু অনুভূত হয় নি। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা খাত এর প্রণোদনা এবং বিনিয়োগ ( যেকোনো বিনিয়োগ যেমন- মেধা, পরিশ্রম কিংবা অর্থ) সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে তারা বুঝবেন এই সঙ্কটময় এসময়ে কোনো আনুষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এটা কত বড় পদক্ষেপ।  আমরা হয়ত ভ্যক্সিন নিয়ে কাজ করতে পারি নি; প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণার সামর্থ নেই; টেস্ট পদ্ধতির সময় হয়ত কমাতে পারি নি, কিন্তু কোনোরকম পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া বিভিন্ন  বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু উদ্যমী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের এই উদ্যোগ আমাকে অনেকবেশি আশাবাদী করে। রসায়নের ভাষায় এই  কাজটা হয়ত অনেক জটিল কিছু না; তবে গৎবাঁধা নিয়মে হাত গুটিয়ে বসে না থেকে সঙ্কট মুহূর্তে নিজের অবস্থান থেকে কিছু করার প্রয়াস,   সাধারণ দশজনের জন্য অনেক বড় আশীর্বাদ হয়ে আসে। আমি কিংবা আমরা ছুটি  পেয়ে  নিরাপত্তার খাতিরে ঢাকা ছেড়ে বাড়িতে চলে আসলেও ঝুঁকি নিয়ে  ভার্সিটির হলেই অবস্থান  করে ল্যাবে পড়ে কাজ করছে   আমারই আশেপাশের বন্ধু-বান্ধব,ছোটভাইরা। 









যখন শুনলাম তারা  স্যানিটাইজার এর  এরকম বড় স্কেল এর  প্রোডাকশন দিয়েছে   একদিনে  বুটেক্সিয়ান হিসেবে সেটা আলাদাভাবে গৌরবের বেশ শক্ত কারণই বটে।  যেই গোটাকয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একদম শুরুর দিকে এই উদ্যোগ নিয়েছিল বুটেক্স তার অন্যতম।  এ স্যানিটাইজার টায় এ্যালোভেরাসহ ন্যচারাল উপাদানের ফিচার রয়েছে। আমি নিজে ব্যবহার করেছি ; এর গুণগতমান আসলেই আলাদা করে বলার।  ধন্যবাদ ফরহাদ স্যার এবং 'ডাইস এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং' ডিপার্টমেন্টকে। ৩ বছর আগে খোলা এই ছোট ডিপার্টমেন্টটি সাইজে ছোট হলেও মানে অনেক বড় ; তার প্রমাণ রাখল।  'এলোয়েজেল' নামক এই স্যানিটাইজার  এর বড় ধরণের  সফলতা কামনা করছি। 

একটা কথাই বলার যে বা যারা যেখান থেকেই স্যানিটাইজার তৈরীর এই উদ্যোগটা নিন না কেন বিষয়টা যেন শো-অফ বা রেসে টিকে থাকার তাগিদে না হয়; মানুষের প্রতি ভালোবাসার তাগিদে হয়।  যতটা সম্ভব এরকম বড় স্কেলে কাজ চালিয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত অনুরোধ রইলো। 



কার্টেসিঃ SA Sagor 
 

1 টি মন্তব্য:

মোঃ সবুজ মিয়া বলেছেন...

Vlo ...তবে করোনা যেহেতু ফুসফুসে ঢোকার আগে গলায় থাকে ৩বা৪ দিন ।।।ত এমন কিছু তৈরি করুন যাতে গলায় জমে থাকা ময়লা কোনো ভাবে বের করা যায় ।।।এতে কাজ হতে পারে ।।। আমি মেডিকেলে বিশেষজ্ঞ হলে প্রতিরোধে এই দিক নিয়ে গবেষণা করতাম ।।।কারণ কাসি হলে যদি বের করা যায় তবে এটাও মে বি কোন ঔষুধ এর মাধ্যমে সম্ভব