পোশাক শিল্পের COVID-19 থেকে সুরক্ষার জন্য কিছু পরামর্শ
১. পোশাক শিল্প একটি শ্রমঘন এবং প্যানিক প্রবন একটা শিল্প বর্তমানে এমনি আমাদের পোশাক শিল্প রুগ্ন অবস্থায় আছে । মালিক শ্রমিক সবাই চেস্টা করে যাচ্ছে আমাদের এই শিল্প রক্ষায় ।
২. পোশাক শিল্প অর্ডার ক্রাইসিস এ এমন কোন সমস্যা হলে বেতন ভাতার সমস্যা হতে পারে । কানাডার গভমেন্ট এর অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ইমার্জেন্সি ক্ষত্রে ব্যাংক লোন, তিতাস এবং ইলেক্ট্রিসিটি বিল এবং টেক্স অন্তত ২ মাসের জন্য অন্তত হোন্ড করা যেতে পারে ।
৩. ফেক্টরিতে সকালে ঢুকার সময় সবার আইডেন্টিটি কার্ডের সাথে সাথে মাস্ক থাকা বাধ্যতামুলক করা উচিৎ থার্মাল থার্মোমিটার রাখা উচিৎ যারা আসুস্থ বোধ করেন তাদের আলাদা করে তাদের হালকা মেডিকেল চেক করে পরে ঢুকাতে হবে ।
৪. যারা কমল্পায়েন্সের এডমিন, প্রডাকশন অফিসার,সুপারভাইজার আছেন তাদের ট্রেইন আপ করা যাতে করে তারা উপসর্গ গুলি যাতে তারা বুঝতে পারে ।
৫. উপসর্গ গুলি বুঝার জন্য অফিশিয়াল নোটিশ আকারে সবাইকে সতর্কীকরণ নোটিশ দেয়া যেতে পারে।
৬. অফিশিয়াল ভাবে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি থেকে হ্যান্ড সেনিটাইজার আর মাস্ক এবং সাবার কনে এনে ওয়ার্কারদের জন্য নেয্য মুল্যা বিক্রির ব্যাবস্থা করতে হবে । মাস্কের ক্ষত্রে প্রয়োজনে ফেক্টরি ভর্তুকি দিতে পারে ফ্যামিলি মেম্বারের রেশিও অনুযায়ী ডিস্ট্রিবিউট করা যেতে পারে ।
৭.আইইডিসিআর এর হেল্প লাইন লাম্বার ফ্লোরে ফ্লোরে লাগিয়ে রাখেন।
৮. ফ্লোরে ফ্লোরে একটা করে ইনফারেড থার্মোমিটার রাখা । এডমিন গন যাতে জ্বর চেক করতে পারেন।
৯. বায়ারদের জন্য প্রোটেকটিভ ক্লোদিং রাখা যা তারা ভিজিটের সময় ব্যাবহার করতে পারে। কিংবা তাদের জন্য VR রাখা যাতে ভার্চুয়ালি ফেক্টরি একটিভিটি চেক করতে পারে ।
১০. যারা গুডস ট্রান্সপোর্ট এর সাথে জড়িত তাদের হেন্ড গোলভ প্রোভাইড করা।
১১. ফেক্টরির যারা কেমিস্ট আছেন তাদের দিয়ে হোম মেইড সেনিটাইজার সলিউশন বানিয়ে নেয়া । যেমন হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ৩% সলিউশন । আইসোপ্রোপাইল এলকহোল, গ্লিসারিন দিয়ে । কয়েক ড্রামে সলিউশন করে রাখা । এবং এগুলি স্প্রে সহ ফ্লোরে ফ্লোরে দেয়া যাতে করে অপারেটর গন এটা দিয়ে মেশিনের মনিটর , কন্ট্রোল প্যানেল, মেশিন পার্টস, মোবাইল, লিফট বাটন সহ হাতের সংস্পর্শে আসা সব কিছু মুছতে পারে । অফিসের ফাইল ডেক্স গুলি মুছা ।
১২. ফ্লোরে মাইকে বারে বারে সতর্কবার্তা দেয়া, যাতে সবাই অভ্যাস্ত হয়ে যায় আপদকালীন সময়ে করনীয় বিষয়ে ।
১৩. ডাইং ফ্লোর গুলিতে ভিম পাউডার দেয়া হয় মেশিন ক্লিনের জন্য সেগুলি দিয়ে হেন্ড ওয়াস করা ।
১৪. ফ্লোর ডাস্ট ফ্রি করা এবং বারে বারে পানি ছিটানো যাতে করে ডাস্ট এলার্জির জন্য কেও হাচি না দেয়। এতে ফ্লোরে প্যানিক সৃস্টি হয়।
১৫. কারো শরীর খারাপ মনে হলে তাদের মেডিকেল সেণ্টারে পাঠিয়ে দেয়া, তাকে মেডিকেল চেকয়াপ না করে ফ্লোরে না রাখা ।
১৬. ইমার্জিন্সি মেডিক্যাল সাপোর্ট এর জন্য এম্বুলেন্স বা গাড়ি একটা রিজার্ভ রেখে দেয়া ।
১৭. পলিয়েস্টার ফেব্রিক কে PU ( রেজিন কোর্টিং, পলি ইউরিথেন কোর্টিং ) দিয়ে ফিনিশ করে এটাকে সেলাই করে প্রটেকটিভ ক্লোথ বানিয়ে রাখা । মাস্ক বানিয়ে রেখে দেয়া এগুলি ডিস্ট্রিবিউট করা ।
১৮. অফিস ট্রান্সপোর্ট গুলিকে ( বাস, ভ্যান, মাইক্রো, কোচ) এন্টসেফটিক দিয়ে ক্লিন করানো ।
১৯. অফিসে এক যায়গায় বেশি লোকজড়ো হতে না দেয়া । বিশেষ করে ৩ মিটার ডিস্টেন্সে যতো থাকা যায় ততোই ভালো ।
২০. ইমার্জেন্সি মেডিকেল ফান্ড রাখা স্টাফ ওয়ার্কারদের জন্য ।
২১. অপ্রয়োজনীয় মিটিং এরেঞ্জ না করা ।
২২. যারা ফেক্টরির কমার্শিয়াল ব্যাংক ইপিবি বিজিএমইএ বিটিএমইএ অর্থাৎ আউটডোর কাজে বাইরে থাকবে ফেক্টরি তে আসলে তারা যাতে পরিছন্ন হয়ে আসতে পারে এর জন্য গেইটে তাদের জন্য ক্লিনিং এর সুব্যবস্থা রাখা।
২৩. ফেক্টরির গেইটে ঢোকার স্পেস ৭-৮ টা বেসিন সাবান রেখে দেয়া যায় যাতে হাত ধুয়ে সবাই ঢুকতে পারে।
২৪. চায়ের দোজানে আড্ডা যারা টেক্সটাইল গার্মেন্টস এ জব করেন তাদের কমন অভ্যাস তাদের এটা কিছু দিন পরিহার করতে বলতে হবে । ফেক্টরির আশেপাশের মেস খুবি ঘিঞ্জি যারা এতে থাকে তাদের নিরাপদে থাকার জন্য টিপস দিতে হবে ।
২৫. আপাতত যে যেখানে আছে সেখানে থাকতে বলা , কারনে শহর গুলিতে জিবানুর আক্রমনের ভয় বেশি । শরীরখারাপ হলে গ্রামে গিয়ে তাদের জীবনের জন্য হুমকি যাতে কেও না হন।
সবার সুস্বাস্থ্য কামনায়
মাজেদুল হাসান শিশির
mazadulhasan@yahoo.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন