BUTex Admission নিয়ে কিছু কথা - BSc in Textile Engineering - Textile Lab | Textile Learning Blog
Admission নিয়ে কিছু কথা:


বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, সংক্ষেপ এ বলতে গেলে বুটেক্স।বুটেক্স নামে ই সবার কাছে পরিচিত।যা কিনা বাংলাদেশে একমাত্র পূর্ণাঙ্গ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়।এখান থেকে Bsc in Textile Engineering degree দেওয়া হয় এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় IEB সনদপ্রাপ্ত।হিসাবের দিক দিয়ে মাত্র ১২একরের একটা বিশ্ববিদ্যালয়। আপাত দৃষ্টিতে খুব ছোট।কিন্তু এর মধ্যে ই রয়েছে ভ্রাতৃত্ব এবং বন্ধুত্ব।ভার্সিটি নিয়ে অনেক কিছু ই বলা যায়।ভূমিকাতে ই যদি সব কথা বলে ফেলি তাহলে বাকি কথা কিভাবে বলব?


টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং  ( বুটেক্স ) 

আমাদের দেশের চাকরির বাজারে বর্তমানে যে কয়টি বিষয়ের গ্রাজুয়েটদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম শীর্ষে অবস্থান করছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং।দেশে টেক্সটাইল শিল্পের দ্রুত বিকাশ ঘটে চলেছে। বিশ্বমানের টেক্সটাইল শিল্পের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশের এ শিল্পও দ্রুত অগ্রসরমান। যার ফলে এই শিল্পে প্রয়োজন হচ্ছে দক্ষ প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের।টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা এতটাই বেশি যে, অনেক সময় স্নাতক করার আগেই এ বিষয়ের শিক্ষার্থীদের চাকরি হয়ে যায়।

আমাদের দেশে ৫টি ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটির মধ্যে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়(BUTEX) অন্যতম।এটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর জন্যে উপমহাদেশে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়।

বুটেক্সে বর্তমানে ১০ টি বিষয়ে B.Sc in Textile Engineering ডিগ্রী।

১। ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং(YE)

২। ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং(FE)

৩। ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং(WPE)

৪। অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং(AE)

৫। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট(TEM)

৬। টেক্সটাইল ফ্যাশন এন্ড ডিজাইন(TFD)

৭। ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং(IPE)

৮। টেক্সটাইল মেশিনারী ডিজাইন এন্ড মেইন্টেন্যান্স(TMDM)

৯। ডাইস এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং(DCE)

১০।এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং(ESE)

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে শুধু তৈরি পোশাক খাত থেকে। বুটেক্স শুধুমাত্র “মেড ইন বাংলাদেশ” ট্যাগলাইনের পথিকৃৎ না। RMG সেক্টর ছাড়াও স্পিনিং(তুলা/ ফাইবার থেকে সুতা), নিটিং ও উইভিং(সুতা থেকে ফেব্রিক), ডায়িং(সুতা বা কাপড়ে রঙ) সহ অনেক সেক্টরে বুটেক্সের অবদান অপরিসীম।

মিলিটারি গ্রেড স্পেসস্যুট, ফায়ার এন্ড ওয়াটারপ্রুফ ফেব্রিক, ফাইবার রিসার্চ(কার্বন ও ন্যানো ফাইবার) ক্ষেত্রসমূহেও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক দাপট।

সব জব বিবেচনায় বুটেক্সের স্টুডেন্টদের জব সেক্টর তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

১। প্রোডাকশন

ফাইবার থেকে পরিধানযোগ্য কাপড় বা অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং এর সবকিছু এই ধরনের জবের মধ্যে পড়ে। এই সেক্টরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে স্পিনিং, নিটিং, উইভিং, ডায়িং, প্ল্যানিং, R & D, গার্মেন্টস প্রোডাকশন, প্রিন্টিং, ওয়াশিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, হিউম্যান রিসোর্স ইত্যাদি।
বুটেক্সিয়ানদের পছন্দের তালিকায় সবচেয়ে প্রিয় এই সেক্টর।

২। মার্কেটিং এন্ড মার্চেন্ডাইজিং
সব ধরনের টেক্সটাইল(ফাইবার, সুতা, ফেব্রিক, ডাইস, অ্যাপারেল) ইত্যাদির বিপণন সংক্রান্ত সকল কিছু এই ক্ষেত্রের অন্তর্গত। টেক্সটাইলের কোয়ালিটি টেস্টিং, মার্চেন্ডাইজিং এই সেক্টরের অন্যতম আকর্ষণ।

বর্তমানে আমাদের দেশে এই সেক্টরের চাকরী ইঞ্জিনিয়ারদের খুবই পছন্দের একটি জায়গা। আর সেখানেও আধিপত্য বুটেক্সের।

৩।অন্যান্য জব

~বুটেক্সে শিক্ষকতা
~বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট 
~বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন
~বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন
~বস্ত্র পরিদপ্তর
~পাট অধিদপ্তর
~বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড
~বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন
~বিভিন্ন ব্যাংক (অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, টেক্সটাইল)
~জুট ডাইভারসিফিকেশন এন্ড প্রমোশন সেন্টার
~তুলা উন্নয়ন বোর্ড
~কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর
~অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়
~বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড
~সরকারি টেক্সটাইল কলেজ ইত্যাদি।

পরিশেষে, যারা বুটেক্সে পড়ার স্বপ্ন নিজের মধ্যে লালন করছো তাদের জন্যে শুভ কামনা রইলো।🙂

Mahbub Alam Riaz
Textile Engineering Management
45th Batch




ADMISSION Tips For Biggainer :

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে Bsc in Textile Engineering এর ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ইতিমধ্যে ই নির্ধারণ করা হয়ে গেছে।১৫ই নভেম্বর।আসলে আমরাই গত বছর তোমাদের জায়গায় ছিলাম।এডমিশন এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।বেশি দিন আগের কথা নয়।আমরা এখন ও ভুলিনি সেই দিনগুলোকে।কত রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিয়েছিলাম হিসাব রাখেনি কেউ।তোমাদের ও ভর্তি পরীক্ষা খুব ই সন্নিকটে।এই সময়ে একজন পরীক্ষার্থী কতটা একাকিত্বের ভিতর দিয়ে যায় তা শুধু যারা সেই সময় পার করে এসেছে শুধু তারাই জানে।এসময় ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ,ভর্তি পরীক্ষা দিতে যাওয়া,যাতায়াত,থাকা,খাওয়া,নিজের সিট খুজে পাওয়া সহ অনেক জিনিস এক সাথে জড়িয়ে আছে।সেই নিয়ে কিছু কথা আগে ই বলে রাখি:

১/ বিভিন্ন ভার্সিটির এডমিশন হেল্প ডেস্ক গ্রুপ গুলার মেম্বার হয়ে যাও।কবে সার্কুলার দিচ্ছে তার খেয়াল রাখো। আপডেট রাখো।

২/ ডেডলাইনের অপেক্ষায় থেকো না।এমন কিছু ই নাই যে একসাথে ফর্ম ফিলাপ করলে এক সাথে সিট পড়বে বা দেড়িতে করলে সুবিধা এরকম কিছু ই নাই। তাই সার্কুলার দেওয়ার পর পর ই ফর্ম ফিলাপ করে দেওয়া ভালো।

৩/ ছবি,ছবি হতে হবে ফর্মাল পাসপোর্ট সাইজ ছবি।কোনো একটা ভার্সিটি তে দেখলাম এক পরীক্ষার্থী নিজের ফেসবুক প্রোফাইল এ থাকা ছবি দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করেছে।এগুলা স্মার্টনেস না।আর ছবি গুলা যা ইউজ করবা তা সদ্য তোলা ছবি ইউজ করো।কারন প্রতি পরীক্ষায় এই ছবি মিলিয়ে তোমাকে বিচার করা হবে।

৪। নিজের সিগনেচার।চেষ্টা করবে সব ভার্সিটি তে একই রকম সহজ সরল সিগনেচার ইউজ করতে।কারন এই সিগনেচার ও মিলিয়ে দেখা হবে।

৫/ অতি গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াত।এডমিশন টাইমে বাস,ট্রেন,প্লেন কোনো কিছুর টিকিট পাওয়া যায় না।তাই এই জায়গায় অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।আর চেষ্টা করবে পরীক্ষার আগের দিন রাতে জার্নি না করার। কারন ক্লান্তি অনেক বড় একটা বিষয় হয়ে দাঁড়ায় পরীক্ষার সময়।

৬/ থাকার জায়গা,থাকার জায়গা থেকে তোমার পরীক্ষার হল কত দূরে তাও মাথায় রাখতে হবে।সময় হাতে রাখতে হবে কারন পরীক্ষার সময় মানুষ থাকে যে রিক্সা ও চলতে পারে না।তাই হাতে টাইম নিয়ে বের হতে হবে।

৭/হলে যে স্যাররা গার্ড দিবে তাদের কথা গুলো মন দিয়ে শুনবে।কি কি ইন্সট্রাকশন দিচ্ছে আর অবশ্যই বেয়াদবি করা যাবে না।

ভালো ভাবে প্রিপারেশন নেও।এই সময় টা অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু চেষ্টা করো এই সময়টাকে ই জীবনের টার্নিং পয়েন্ট বানানোর।

আর তোমাদের বুটেক্স এডমিশন নিয়ে যেকোনো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারো।আমরা বুটেক্সিয়ানরা সবাই হেল্প করার চেষ্টা করব।

আর সার্কুলার এখন ও দেয় নি।সার্কুলার দেওয়া হলে এই নিয়ে বিস্তারিত বলা হবে।

Rumman Ahmed
Butex
IPE




Hello Admission Seekers 

কি খবর তোমাদের সবার!? আজ অর্থাৎ ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০:০০টা থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে বুটেক্সের প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া 📣 তোমরা ঘরে বসে খুব সহজেই টেলিটক প্রিপেইড সিমের মাধ্যমে প্রাথমিক আবেদন সম্পন্ন করে ফেলতে পারো 💯
এজন্য যেকোনো টেলিটক সিম হতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে 👉

BUTHSC শিক্ষাবোর্ডের প্রথম তিন অক্ষরHSC পরীক্ষার রোলHSC পাশের সালSSC শিক্ষাবোর্ডের প্রথম তিন অক্ষরSSC পরীক্ষার রোলSSC পাশের সাল 

টাইপ করে সেন্ড করে দিতে হবে 16222 নম্বরে

ফিরতি মেসেজে তোমাদের একটি PIN নম্বর প্রদান করা হবে এবং আবেদন কনফার্ম করতে বলা হবে। কনফার্ম করতে পুনরায় মেসেজ অপশনে গিয়ে 👉

BUTYESPIN নম্বর আবেদন কারীর মোবাইল নম্বর 

টাইপ করে সেন্ড করে দিতে হবে 16222 নম্বরে এর মাধ্যমে টেলিটক সিম থেকে ২০০৳ কেটে নেয়া হবে এবং ফিরতি মেসেজে তোমাদের আবেদন সম্পর্কে কনফার্ম করা হবে। ব্যাস, হয়ে গেলো প্রাথমিক আবেদন!! 

আবেদনের ন্যুনতম যোগ্যতাঃ

>এসএসসি/এইচএসসি জিপিএ ন্যুনতম ৪.৫০

>এইচএসসিতে পদার্থ, রসায়ন, গনিত, ইংরেজী বিষয়ে প্রাপ্ত জিপিএ ন্যুনতম ১৮/২০(কোনো বিষয়ে ৪ এর নিচে নয়)]
★কোটায় আবেদনের জন্য প্রথম এসএমএসে SSC পাশের সালের পর স্পেস দিয়ে কোটা উল্লেখ করতে হবে (e.g. FFQ)।

★প্রাথমিক আবেদন করা যাবে আগামী ৪ অক্টোবর রাত ১১:৫৯ পর্যন্ত।

★প্রাথমিক আবেদনের ফলাফল আগামী ১৫ অক্টোবর প্রকাশ করা হবে।


-আসিফ রায়হান তপু 
এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, 
বুটেক্স, ব্যাচ-৪৫


Subject Review : Textile Engineering
Written by : Sourav Paul



সাবজেক্ট রিভিউ 

১. Yarn Engineering : টেক্সটাইলের মাদার সাবজেক্ট এটি। এদের কাজ হলো প্রোডাকশন সেক্টরে।  তুলা থেকে সুতা তৈরীর কাজ এদের সেক্টরে। বিভিন্ন ধরণের কাপড়ের জন্য বিভিন্ন রকম সুতা তৈরীর দিকনির্দেশনা দেওয়াই এদের কাজ।।

২. Fabric Engineering : এদের কাজ হলো তৈরিকৃত সুতা থেকে কাপড় তৈরী করা। কাপড়ের বুনন কেমন হবে, পাতলা হবে নাকি পুরু হবে সেটার দিকনির্দেশনা দেওয়াই এদের কাজ। অর্থাৎ এদের জবও প্রোডাকশন সাইডে।

৩. WET Engineering : এদের কাজ হল তৈরিকৃত পোষাকে রং করা। মানুষের চোখে পোশাককে দৃষ্টিনন্দন করে তোলাই এদের কাজ। এদের কাজও প্রোডাকশন বেজড।

৪. Apparel Engineering : কাপড়কে কাটিং,সুইং করে ব্যবহারযোগ্য ফর্মে নেওয়ার দায়িত্ব নির্ভর করে এদের উপরেই।  এদের জব কর্পোরেট টাইপের।  বিদেশি ক্রেতাদের কাছে নিজেদের তৈরী পোশাককে সুন্দরভাবে কথার মাধ্যমে উপস্থাপন করাই এদের কাজ। এদের জব মার্চেনডাইজিং বেজড। 

৫.Textile Engineering Management : এদের কাজও মার্চেনডাইজিং ও মার্কেটিং সেক্টরে। একটি কোম্পানির ওভার অল ম্যানেজমেন্ট ,অপারেশন এদের দিকনির্দেশনাতেই চলে। এদের দক্ষ নেতৃত্বেই কোম্পানির উন্নতি নির্ভর করে।

6.Textile Fashion Designes : একটা কাপড় কিভাবে কি করলে সেটা সকলের কাছে খুবই প্রিয় হবে তা এদের উপরেই নির্ভর করে। এটা খুব ক্রিয়েটিভ জব। পাখি ড্রেস,  কিরণমালা ড্রেসের ডিজাইন এদের মাথাতেই আসে। ( 😛 ) তাই একটা ভালো কনসেপ্ট থাকা ফ্যাশান ডিজাইনারের গুরুত্ব বলে বোঝানো লাগবে না আশা করি।

7. Industrial Production Engineering :  একটা কোম্পানির উৎপাদন কিভাবে করলে বেশি হবে,  কিভাবে অল্প পুঁজিতে লাভ বেশি হবে তা নির্ধারণ করাই এদের কাজ। এদের ডিসিশনের উপরেই কোম্পানির উৎপাদন  নির্ভর করে। এদের টার্গেট হলো একটা নির্দিষ্ট পরিমান উৎপাদন করতে যত কম ইনপুট  (ম্যান ,মেশিন,ম্যাটেরিয়াল) দেওয়া যায় সেটা নির্ধারন করে দেওয়া ।

৮. Textile Machinery Design and Maintenance:এদের কাজ হলো কিভাবে মেশিনকে আরও উন্নত করা যায়,  কিভাবে কাপড় তৈরীর নতুন নতুন মেশিন আবিষ্কার করা যায়। এদের কারণেই  হাতে কাপড় বোনার দিন শেষ হয়ে মেশিনে কাপড় বোনার দিনের শুরু হয়েছে। তাই এদের গুরুত্ব সহজেই অনুমেয়।

৯. Dyes and Chemical Engineering ঃ কোন কাপড়ের সাথে কোন টাইপের রঙ ভালো যায় , কোন কাপড়ের সাথে কোন ক্যামিক্যালের সম্পর্ক কেমন , ফিনিশিং এ কোন ক্যামিকাল দিলে আরো বেশি সুন্দর হ্যান্ডফিল আসে এগুলা নিয়েই কাজ এই ডিপার্টমেন্টের । 

১০. Environment Science and Engineering: এতো এতো কালার ,কেমিক্যা,পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করলাম কাপড়ে রং ,ফিনিশিং, ওয়াশিং এর জন্য , তা এগুলা পরিবেশে ডিরেক্ট ছেড়ে দিলে পরিবেশ কি আমাদের ছেড়ে কথা বলবে? তাই পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় ,সেদিকটা দেখভালের গুরুদায়িত্ব এই ডিপার্টমেন্টের ।

জব সেক্টর,  বাইরে পড়াশুনা,  স্যালারি সব কিছু নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে লিখবো,  বাট এখন না।  উপরের বিষয়গুলা বেসিক বিষয়,  তাই লিখলাম। আমাদের পরীক্ষা শেষ হলে বিস্তারিত লিখবো সব কিছু নিয়ে। তাই ওয়েট করো।  এই মাসের লাস্টেই একটি পোস্টে বিস্তারিত সবই লিখব।




Cracking the Admission Test

দীর্ঘ বারো বছরের স্কুল-কলেজ লাইফ শেষ করে তোমরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দ্বারপ্রান্তে এসে উপস্থিত হয়েছো। প্রথমেই এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের জন্য সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তোমরা যারা ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রিপারেশন শুরু করেছিলে, তোমাদের মধ্যে অনেকেই এইচএসসিতে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে পেরেছো আবার অনেকে হয়তো পারোনি। যাদের রেজাল্ট কোনোকারনে খারাপ হয়ে গিয়েছে, তোমাদেরও ভেঙে পড়ার কোনো কারণ নেই। অ্যাডমিশন টেস্ট সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি চ্যালেঞ্জ, এই অ্যাডমিশন টেস্ট ই এখন পর্যন্ত তোমাদের লাইফের সবচেয়ে কম্পিটিটিভ এক্সাম হতে যাচ্ছে। সো সেজন্য নিজেকেও সেভাবেই প্রস্তুত করে ফেলতে হবে।

লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে

ভর্তি পরিক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার ক্ষেত্রে মূলত কিছু ব্যাপারে শুরুতেই ক্লিয়ার থাকতে হয়। প্রথমত তুমি কিসের প্রিপারেশন নিচ্ছো সেটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে এবং তোমার টার্গেট অনুযায়ী পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। তোমরা যারা ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রিপারেশন নিচ্ছো, তোমরা হয়তো ইতোমধ্যেই সকল ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিগুলোর সম্পর্কে, সেগুলোর পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে এবং আসনসংখ্যা এবং অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে জেনে গিয়েছো। বাংলাদেশে পাব্লিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির সংখ্যা ৫টি (বুয়েট, কুয়েট, চুয়েট, রুয়েট এবং বুটেক্স)। এরমধ্যে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য একটিমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়- বুটেক্স। এই ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চারটিতেই লিখিত পদ্ধতিতে পরিক্ষা নেয়া হয়ে থাকে, যার কারণে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রস্তুতিতে স্টুডেন্টরা লিখিত প্রশ্নের উপরই বেশি জোর দিয়ে থাকে। 

কি পড়বো এবং কিভাবে পড়বো?

তোমাদের অ্যাডমিশন টেস্টের প্রস্তুতিপর্ব প্রায় শেষের দিকে। এরমধ্যেই হয়তো তোমরা বুঝে গিয়েছো এইচএসসি এবং ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির মধ্যে মিল-অমিলগুলো। আসলে তোমাদের এইচএসসির প্রিপারেশন ই ভর্তি পরীক্ষার প্রিপারেশনে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এইচএসসি পরীক্ষার জন্য তোমরা যা যা পড়ে এসেছো সেগুলোই ঘুরে-ফিরে প্রতিটা ভর্তি পরীক্ষায় আসে। তাই মেইন বইগুলোই তোমাদের প্রস্তুতির প্রধান হাতিয়ার। এর সাথে ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিগুলোর বিগত বছরের প্রশ্নগুলো দেখলেই তোমরা বুঝতে পারবে কোন কোন টপিকগুলো থেকে মেইনলি কোশ্চেন হয়ে থাকে, সেই টপিকগুলো ধরে ধরে তোমরা নিজেদের মত স্ট্র‍্যাটেজি অবলম্বন করে প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে থাকবে। তো, যখনই তোমরা কোনো চ্যাপ্টার পড়বে, তখনই সাথে প্রশ্নব্যাংক টা সাথে নিয়ে পড়বে এবং বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করবে। মেইন বই এবং প্রশ্নব্যাংক ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারলে তুমি অবশ্যই কোথাও কোথাও চান্স পাবে। এর বাইরেও অনেকে অনেক সহায়ক বই ফলো করে, এটা সম্পূর্ণ যার যার ব্যাক্তিগত, হাতে সময় থাকলে তোমরা চাইলে অন্যান্য সহায়ক বই থেকেও চোখ বুলিয়ে নিতে পারো। আর যেকোনো ইম্পর্ট্যান্ট টপিক, টেকনিক, শর্টকাট ইত্যাদি জানার জন্য কোচিং/বাসার যেকোনো টিচার অথবা যেকোনো সহায়ক বইয়ের হেল্প নিতে পারো।

হাল ছাড়া চলবে না..

অ্যাডমিশন টেস্টের স্টুডেন্টদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেটা দেখা যায়, সেটা হচ্ছে- হতাশা। হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ার কারণে অনেক স্টুডেন্ট প্রতিবছর যোগ্যতা থাকা স্বত্ত্বেও অ্যাডমিশন পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল পায়না। আমরা কোচিং বা প্রাইভেটের পরীক্ষাগুলোয় ভালো নম্বর না পেলেই অনেক হতাশায় ভুগি, যেটা করা একদমই চলবে না। কোচিং বা প্রাইভেটে পরীক্ষাগুলো নেওয়াই হয় তোমাদের প্র‍্যাক্টিসের জন্য, এই পরীক্ষাগুলো থেকে যতটুকু পারো এক্সপেরিয়েন্স নেওয়ার ট্রাই করবে, ভুলগুলো শুধরানোর চেষ্টা করবে, নাম্বার নিয়ে কখনো চিন্তা করবে না। নিজের উপর কনফিডেন্ট হতে হবে। সবসময় মাথায় রাখবে তোমার মেইন পরীক্ষা হচ্ছে  অ্যাডমিশন টেস্টের সেই ১/২/৩ ঘন্টা, ওই সময়টাতে নিজেকে যে যত ভালো করে উপস্থাপন করতে পারবে, তার এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই তত বেশি। 

বুটেক্স ভর্তি পরীক্ষার জন্য

ঢাকার মধ্যে পাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি- বুয়েট এবং বুটেক্স। তাই প্রতিবছর বহুসংখ্যক স্টুডেন্টের টার্গেট থাকে এই দুটো ইউনিভার্সিটিতে নিজের একটা সিট দখল করে নেওয়া। বুটেক্সের জন্য প্রিপারেশন বলতে আসলে ঐ ওভারল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রিপারেশন ই, তবে প্রতিটা ভার্সিটির মতই এক্ষেত্রেও প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করা জানতে হবে। কোন ধরনের প্রশ্ন আসে, কোন কোন টপিক থেকে প্রশ্ন আসে, প্রতিটা প্রশ্নে কয় মার্ক এই ব্যাপারগুলো ক্লিয়ার থাকলেই বাকিটা অনেক সহজ হয়ে যাবে তোমাদের জন্য। বুটেক্সে যেহেতু ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও ম্যাথের পাশাপাশি ইংলিশ থেকেও ২০ মার্কের প্রশ্ন হয়, তাই ইংলিশটাও প্র‍্যাক্টিস করতে হবে। বিষয়ভিত্তিক প্রিপারেশনের গাইডলাইন তোমাদের জন্য গ্রুপে প্রকাশ করা হবে। আর তাই ভালোভাবে প্রিপারেশনের জন্য অবশ্যই বুটেক্স প্রশ্নব্যাংকটা ভালোভাবে পড়তে হবে। যেহেতু বুটেক্সের ভর্তি পরীক্ষা দেরীতে হয়, তাই তোমরা প্রস্তুতির জন্য তুলনামূলকভাবে কিছু এক্সট্রা সময় পাবে, সেই সময়টাকে ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলেই তোমরা তোমাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফলের দেখা পাবে ইনশাআল্লাহ। 

অ্যাডমিশন টেস্ট নিয়ে সবার মাঝেই কিছু উৎকণ্ঠা কাজ করে- সেটাই স্বাভাবিক। তবে তোমরা সবসময় মনে রাখবে তোমরা এতদিন ধরে যা যা পড়ে এসেছো সেগুলোই ভর্তি পরিক্ষায় আসবে, এগুলোই যদি ঠিকমতো নিজের সেরাটা দিয়ে এন্সার করতে পারো তবেই একটা সিট তোমার দখলে 😇 এবং অবশ্যই নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে তুমি পারবে। অন্যদের দিকে লক্ষ্য না দিয়ে নিজেকে নিয়ে চিন্তা করো, যেটুকু সময় আছে নিজেকে ঝালিয়ে নেও। 

আর তোমাদের যেকোনো ধরনের সমস্যার সমাধানে আমাদের কমেন্ট সেকশন এবং ইনবক্স সবসময় খোলা আছে 😊
হয়তো তোমাদের মাঝেই অনেকের সাথেই দেখা হবে বুটেক্স ক্যাম্পাসে ☺
শুভকামনা রইলো তোমাদের সবার জন্য,
দেখা হবে বিজয়ে..

আসিফ রায়হান তপু
এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট, 
বুটেক্স- ব্যাচ ৪৫


এবার আসি Admission procedure  নিয়ে:

Application :
ভর্তি পরীক্ষার ডেট ফিক্সড হয়ে গিয়েছে, ১৫ই নভেম্বর। যদিও এখনও সার্কুলার দেওয়া হয় নি। তাও যদি আগের বছরের হিসাব করি তাহলে আগের বছর চেয়েছিল ১৮ পয়েন্ট ২০ এর মধ্যে ফিজিক্স,ক্যামিস্ট্রি,ম্যাথ আর ইংলিশ এর উপর।এই চারটা বিষয়ের যেকোনো ১টা তেও যদি এ মাইনাস থাকে তাহলে এপ্লিকেশন করা যাবে না।এসএসসি এবং এইচ এসসি তে নূন্যতম ৪.৫০ থাকতে হবে।এর পরে সকল এপ্লিকেন্ট দের থেকে সর্বমোট ১০০০০ জনকে পরীক্ষা দিতে এলাও করা হবে। এটা ছিল আগের বছরের সার্কুলার।আশা করি এবার কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।

Admission Test:
সময় মাত্র ২ঘন্টা। এর মানে, হলে বসার পরে প্রশ্ন হাতে পাওয়ার সাথে সাথে তোমার রণক্ষেত্রে নেমে পড়তে হবে। কারন ২০০মার্ক্সের পরীক্ষা।৬০+৬০+৬০+২০=২০০,   ৬০ মার্ক্স করে ফিজিক্স,ক্যামিস্ট্রি এবং ম্যাথে আর ২০ মার্ক্স ইংলিশে।এখানে এক একটা প্রশ্নের জন্য ৬ মার্ক্স কিন্তু এখানে একটু সংশোধন করি।১টা প্রশ্ন ৬ মার্ক্স কিন্তু ১টা প্রশ্নের ভিতরে ২টা প্রশ্ন থাকে এর মানে ৩+৩ করে মার্ক্স।তাহলে বুঝতে ই পারতেছ কেন বলেছিলাম রনক্ষেত্রে নামতে হবে।এখানে তোমার যুদ্ধ পরীক্ষার সাথে যতটুকু তার চেয়ে বেশি সময়ের সাথে করতে হবে।

preparation :
বেশি কিছু বলব না।এই প্রিপারেশন নিয়ে ৪টা সাবজেক্ট আলাদা আলাদা ভাবে পোস্ট দেওয়া হবে,কিভাবে পড়তে হবে,কোথা থেকে পড়তে হবে।আমি যদি সংক্ষেপ এ বলি তাহলে প্রথমেই বেসিক ১০০% ক্লিয়ার রাখতে হবে,ইঞ্জিনিয়ারিং প্রিপারেশন যারা নিচ্ছো তারা উদ্ভাসের দেওয়া প্রশ্নব্যাংক এর প্রশ্নগুলো সমাধান করো।কারন কয়েকটা প্রশ্ন ই রিপিট হয়।বুটেক্স এ রিপিট না হলে চুয়েট এ হবে না হলে কুয়েট এ হবে।মানে প্রশ্ন রিপিট পাবা ই। তাই প্রশ্নব্যাংক পড়া বৃথা যাবে না।আরো অনেক কথা প্রিপারেশন নিয়ে বিস্তারিত বলা হবে।

কত পেলে চান্স পাবো ?
এই প্রশ্ন টা সবচেয়ে বেশি করা হয়।ভাইয়া ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় মার্ক্স তো দেয় না।তবে ধারনা করা হয় ৬০% মার্ক্স পেলে চান্স পাওয়ার মাঝে খুব একটা বাধা থাকে না।শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং না যে কোনো ভার্সিটিতে ৬০-৬৫% মার্ক্স পেলে ই মোটামুটি চান্স কনফার্ম থাকে।

সাজেশন:
অনেক গুলো ভার্সিটিতে তোমরা ভর্তি পরীক্ষা দিবে।সামনে ই শুরু হবে।দেখা যাবে তোমার পরীক্ষা খুব ভালো হইসে কিন্তু রেজাল্ট এ দেখা গেলো আশানুরূপ মার্ক্স তুমি পাও নি।তুমি নিজেও জানো না কেন এমন হলো?এর উত্তর তুমি পাবে না। কিন্তু ভাইয়া এবং আপুরা এক্সাম ২/১টা খারাপ হলেও কোনোভাবে ই ভেঙে পড়া যাবে না। তোমার ফ্যামিলিতে সবাই ভেঙে পড়লেও তোমাকে শক্ত থাকতে হবে।কখনও ই হতাশ হওয়া যাবে না। কারন এডমিশন টেস্ট  তোমার মেধা যাচাই করে কিন্তু তার চেয়ে বেশি তোমার মানসিক চাপ নেওয়ার ক্ষমতা যাচাই হয়ে যায়। আর একটা কথা,প্রশ্ন কঠিন হওয়া মানে চান্স পাওয়া আরো সহজ। কারন এখানে শুধু তারাই চান্স পাবে যাদের বেসিক খুব ই ভালো।তাই কঠিন প্রশ্ন মানে ই ভয় না বরং যতটা সম্ভব এন্সার করে আসা।আর এখন টাইম কম অনেক পড়াশুনা করো  সবাই ইনশাল্লাহ অনেক ভালো কিছু করতে পারবা।

যাই হোক শুভ কামনা সকল ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য।তোমাদের বরণ করার অপেক্ষায় থাকলাম। আসো ভার্সিটিতে 😁 পড়ালেখা নাই এটা বলা মহাপাপ হবে, তবে মজা আছে। Stay safe❤


"বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলস "  সংক্ষেপে বুটেক্স যা দেশে টেক্সটাইল প্রকৌশল শিক্ষায় প্রথম এবং একমাত্র পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়.. 

ভূমিকাঃ হয়ত অনেকের মনে এখনও প্রশ্ন আসে এতকিছু থাকতে কেন টেক্সটাইল প্রকৌশলী হবো?

উত্তরে বুকে বিশাল গর্ব নিয়ে বলা যায় দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮৩ শতাংশ আছে এই শিল্পের হাত ধরে.এককভাবে এই সেক্টর দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় অবদান রাখে. 

আপনি যদি দেশের বাইরে কোনো দ্রব্য কিনতে গিয়ে দেখেন তাতে লিখা "Made in Bangladesh " তাহলে নিঃসন্দেহে আপনার মত খুশি আর কেউ হয় না. আর এই ট্যাগটি আপনি বিদেশে সবচেয়ে বেশি দেখবেন তৈরি পোশাকে (RMG বা ready made garments) . আমাদের একটি প্রচলিত ভূল ধারণা আছে টেক্সটাইল বোধয় শুধুই কাপড় নিয়েই কাজ করে. "না" ধারণাটি ভুল.. পোশাক বা কাপড় টেক্সটাইলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ. এটি ছাড়াও টেক্সটাইলের ক্ষেত্র বলে শেষ করা যাবে না..

টেক্সটাইলের উপর একটি দেশ উন্নয়নের সিংহভাগ নির্ভর করে.যে দেশ টেক্সটাইলে যত দ্রুত উন্নয়ন সাধন করে সে দেশ তত দ্রুত অার্থিক ভাবে লাভবান হয়. উদাহরণঃ ইউরোপ, চীন, ভারত, পাকিস্তান এবং আমাদের বাংলাদেশ নিজেও..আমাদের দেশের একক ভাবে সবচেয়ে বেশি জনশক্তি এই সেক্টরে যুক্ত.

 বলা হয়ে থাকে টেক্সটাইল সেক্টর যে দেশে যায় সে দেশের সার্ভিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধন করে আসে.

*প্রশ্ন যদি হয় দেশে টেক্সটাইল প্রকৌশলীদের চাহিদা কেমন ? 

শুধু যদি গার্মেন্টস সেক্টরের কথাই বলি তবে দেশে এখনও ২০ লাখের বেশি টেক্সটাইল প্রকৌশলী প্রয়োজন..চাকরির বাজারে এদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি. বিশেষ করে বুটেক্স থেকে পাশ করে শতভাগ শিক্ষার্থী চাকরি পেয়ে যান.. 

তাছাড়া বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় তো রয়েছেই.

*মেধাবী ও দক্ষ লোকবল তৈরির লক্ষ্যে প্রতিবছর বুটেক্সে অন্যান্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মাত্র ৬০০ জন শিক্ষার্থী এখানে পড়ার সুযোগ পান.

*Butex এ পাঁচটি ফ্যাকাল্টির অধীনে টোটাল ১০ টি ডিপার্টমেন্ট রয়েছে 
প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদেরই B.Sc in Textile Engineering ডিগ্রি প্রদান করা হয়.

*ভর্তি পরীক্ষার প্রতিযোগিতা কেমন?

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রায় ১০০০০ পরীক্ষার্থী বুটেক্সে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায়..অর্থাৎ মেধার হাড্ডাহাড্ডি এক লড়াই করেই এখানে চান্স পাওয়া লাগে. 

*ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতাঃ
HSC এবং SSC এর উভয়টিতেই GPA-4.5 এর নিচে থাকা যাবে না এবং উভয় ক্লাসেই উচ্চতর গণিত বিষয়টি থাকতে হবে( ৪র্থ বিষয় হলেও)
HSC এর ফলাফলে পদার্থ, রসায়ন, উচ্চতর গণিত,ইংরেজি বিষয়ে টোটাল ২০ পয়েন্টের মধ্যে ১৮ থাকতে হবে এবং এদের কোন একটিতেও ৪ পয়েন্টের নিচে থাকা যাবে না.

*পরীক্ষা পদ্ধতিঃ
সম্পূর্ণ লিখত পরীক্ষায় ২০০ নাম্বার এবং (SSC result কে ৮  ও HSC result কে ১২ দিয়ে গুণ করে ১০০) অর্থাৎ টোটাল ৩০০ নাম্বারের পরীক্ষা হবে

লিখিত পরীক্ষার সময় -২ ঘণ্টা
মানবন্টণঃ পর্দাথ থেকে ১০ টি
রসায়ন থেকে ১০ টি 
উচ্চতার গণিত থেকে ১০ টি করে ৩০ প্রশ্ন যাদের প্রত্যেকটি প্রশ্নের মান ৬ করে টোটাল ১৮০ বাকি ২০ নাম্বার ইংরেজিতে ১০ প্রশ্নের জন্য থাকবে অর্থাৎ ইংরেজি প্রশ্নের প্রতিটির মান ২ করে 
*কেমন নাম্বার পেলে বুটেক্স চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে?
পরিমাপ করে বলা যাবে না তবে যেকোন ভর্তি পরীক্ষার মতোই মোট নাম্বরের ৭০% একটি সেফজোন.

*গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্যঃ

১. চলতি বছরে HSC পাশ করা শিক্ষার্থীরাই শুধু আবেদনের সুযোগ পাবে অর্থাৎ কোনো সেকেন্ড টাইম নেই

২. ডিপ্লোমা থেকে পাশ করা শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে না

৩. নির্দিষ্ট মডেলের ক্যালকুলেটর পরীক্ষায় ব্যবহার করা যাবে

পরিশেষে বলবো, আপনার মনে যদি দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক খাতে অবদান রাখার ইচ্ছে থাকে তবে আপনার জন্যেই বাংলাদেশে টেক্সটাইল প্রকৌশলী তৈরির সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানের সবুজ আঙ্গিনায় অপেক্ষা করছি

Imon Hossain,
Department Of Yarn Engineering, 
45 batch-BUTEX

S. M. Rumman Ahmed
Bangladesh University of Textiles❤
Dept of IPE❤


বুটেক্স এডমিশন টেস্ট প্রিপারেশন (According to the question pattern)

বুটেক্স ভর্তি পরীক্ষায় চারটা বিষয়ের উপর ১০০টা MCQ থাকে।  ফিজিক্স-৩০টা, কেমিস্ট্রি-৩০টা, ম্যাথ-৩০টা,  ইংলিশ-১০টা। প্রতিটা MCQ দুই মার্ক করে টোটাল ২০০ নাম্বারের পরীক্ষা হয়। প্রতিটা ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ নম্বর কাটা যায়। সময় থাকে ১ ঘন্টা ২০ মিনিট। মানে প্রতি MCQ এর জন্য সময় পাওয়া যায় প্রায় ৪৮ সেকেন্ড। আর ক্যালকুলেটর Use করা যায়না। Normally  ৬০-৭০% আন্সার সঠিক থাকলে চান্স হয়। কিছু কিছু MCQ থাকে যেগুলোর আন্সার না করাই ভাল কারন ওগুলো থাকে শুধু কনফিউশন তৈরীর জন্য। বিষয়ভিত্তিক গাইডলাইন-

‌১) ফিজিক্স- ফিজিক্সের জন্য ইসহাক স্যারের বই এর অনুশীলনীর অবজেক্টিভগুলো, কিছু important theory, উদ্ভাস থেকে দেয়া ভার্সিটি ক+ইঞ্জিনিয়ারিং কোয়েশ্চেন ব্যাংকের MCQ, প্লাস/জয়কলি সিরিজের MCQগুলো ভালভাবে প্র‍্যাক্টিস করা লাগবে। ফিজিক্স মিনিমাম ২০টা কারেক্ট করতে হবে। ফিজিক্স কখনো এভারেজ লেভেল, কখনো হার্ড লেভেলের কোয়েশ্চেন হয়। আগে যখন written ছিল বুটেক্সে, তখনকার ফিজিক্স অনেক Hard ছিল। উদ্ভাসের ইঞ্জিনিয়ারিং কোয়েশ্চেন ব্যাংকে দেখবা চলতড়িতের একটা ঘনকের সার্কিট আছে (আন্সার ছিল 8R/3) যেটা খুবই আলোচিত একটা Problem এডমিশনের। ওটা দেশে সর্বপ্রথম বুটেক্সেই এসেছিল। So, ফিজিক্সের বেসিকটা ভাল করো আর বেশি বেশি প্রব্লেম সলভ করো। শর্টকাট যদি ইচ্ছা হয় use করবা, আর ইচ্ছা না থাকলে বেসিক ভাল থেকেই আন্সার করতে পারবা।

‌২) কেমিস্ট্রি - সবচেয়ে বেশি মার্ক্স তোলার মত একটা জায়গা। কেউ চাইলে easily 25+ তুলতে পারে। থিওরি+ম্যাথ সমান পরিমানে আসে। ম্যাথের জন্য কিছু শর্টকাট শিখা ভাল। অনেক আন্সার মুখে মুখে বলে দেয়া যায়। যেমন- 0.01M HCl এর pH কত? 
শর্টকাট: দশমিকের পর যতটা নাম্বার আছে সেটাই আন্সার। অর্থাৎ Ans: 2. এইটা একটা কমন প্রব্লেম। এমন আরো অনেক জিনিস আছে। কেমিস্ট্রি সেকশনের নাম্বারটাই অনেকের র‍্যাংক এগিয়ে দেয়। কেমিস্ট্রির জন্য হাজারী স্যারের বই, ইঞ্জিনিয়ারিং+ভার্সিটি কোয়েশ্চেন ব্যাংক, জৈব যৌগের বিক্রিয়াগুলোর নাম, বিক্রিয়ক, উতপাদ, প্রভাবকের নামগুলো পড়তে পারো। থিওরির জন্য মেইন বইয়ের ইম্পরট্যান্ট টপিক যেগুলো বিগত বছরগুলোতে আসছে, সেগুলো দেখে একটা আইডিয়া করে পড়লে ভাল।

৩)ম্যাথ- ম্যাথ সেকশন Hard করে অন্যগুলোর তুলনায়।  তবে এই সেকশনে ২০ এর কাছাকাছি নাম্বার তুলতে পারলেই হয়।  ম্যাথের অনেক কোয়েশ্চেন এর আন্সার অপশন টেস্ট করে বের করা যায় আবারবার অনেকগুলো অনেক চেষ্টা করেও মিলানো যায়না। ত্রিকোনমিতি+ক্যালকুলাসের উপর জোর দেয়া উচিত। ইঞ্জিনিয়ারিং কোয়েশ্চেন ব্যাংকের ম্যাথগুলো একটু বেশি আসে। কেতাব উদ্দিন/এস.ইউ আহম্মেদ, ইঞ্জিনিয়ারিং +ভার্সিটি কোয়েশ্চেন ব্যাংক আরর ম্যাথ প্লাস বইটা অনেক কাজে দেয়। ম্যাথ সবার শেষের দিকে দাগালে ভাল। 

৪)ইংরেজী- যাদের ছোটবেলার বেসিক ভাল তাদের আলাদা ভাবে পড়া লাগবেনা। তবে যারা একটু দুর্বল তারা ইংলিশ বিচিত্রার বেসিক Grammatical Rules গুলো দেখতে পারো। তাও যদি ইচ্ছে না করে, তাহলে এডমিশনের শেষের দিকে জয়কলির অনেক ছোট একটা সাজেশন বুক বের হয়। অইটা মুখস্থ করে ফেললেই হবে। ইংলিশ দিয়ে র‍্যাংক অনেক আগানো যায় যদি ভাল পারা যায়। ৫+ Answer correct করা উচিত, ৭+ করতে পারলে Best!

উপরের কাজগুলো ছাড়াও, বুটেক্সের কোয়েশ্চেন ব্যাংকটা মুখস্থের মত করে ফেলা উচিত। কোয়েশ্চেন ব্যাংক হিসেবে বুটেক্স প্লাস বইটা অনেক ভাল লেগেছিল। এছাড়া ঢাবি, কুয়েট, জাবি, রাবির সব ex-question সলভ করলে প্রিপারেশন more than completed! 

লেখকঃ প্রান্ত দে
Department of Fabric Engineering, BUTEX - 44th Batch

এডমিশন এক্সামের অভিজ্ঞতা 

অনেক এ ই প্রশ্ন করে ভাইয়া/আপু আমি ভার্সিটি এ ইউনিট এর প্রিপারেশন নিতেছি।আমি কিভাবে বুটেক্স এর এক্সাম দিবো?

-নিজের এক্সপিরিয়েন্স শেয়ার করি।আশা করি অনেকেরই কাজে দিবে এবং আত্মবিশ্বাস পাবে।

২০১৮ তে এইচএসসি প্রশ্ন যথেষ্ট কঠিনই হয়েছিল -একজন সাধারন স্টুডেন্ট হিসেবে বললে।যথারীতি ফিজিক্স আর ম্যাথ পরীক্ষা আশানুরূপ ভালো না দিতে পারায় ভর্তি কোচিং কোথায় করব!ভার্সিটি  নাকি ইঞ্জিনিয়ারিং? -এই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলাম।আত্মবিশ্বাস জোগাড় করতে পারছিলাম না। এ প্লাসের আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম, তাই অনেক ভেবে ফ্যামিলির পরামর্শ মতো ভর্তি হয়ে যাই এ ইউনিটের প্রিপারেশন নিতে। আল্লাহর রহমতে রেজাল্ট ভালোই হয় কিন্তু তখন কেবলই আমার ভার্সিটি পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল।সাধারণত ভার্সিটি এ ইউনিটের প্রস্তুতি এমন হয় যে,এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তরের জন্য,অর্থাৎ শর্টকাট টেকনিক প্রচুর পরিমাণে শেখানো হয় কিন্ত এর মাঝে মূল নিয়ম গুলো ভুলে যাওয়ার উপক্রম হয়।

যাই হোক,রেজাল্ট বের হওয়ার পর নতুন করে প্রিপারেশন নেওয়ার সুযোগ পাবো না ভাবে অন্য দিকে চিন্তা না নিয়ে ভার্সিটি এ ইউনিটের প্রস্তুতিই ভালোভাবে নিতে থাকি। কিন্তু এক এক করে পরীক্ষা দেয়ার পর যখন প্রস্তুতি হিসেবে ভালো পরীক্ষা দিতে ব্যর্থ হই,ঢাবিতে এ ইউনিটে মনমতো সাব্জেক্ট পাওয়া শংকায় পড়ে যায় ঠিক তখন আবার আত্মবিশ্বাস শূন্যের কোঠায় চলে আসে।
কিন্তু অনেকবার হোচট খাওয়ার পরে,শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে-এই সিদ্ধান্তে এগিয়ে যেতে হয়।ঢাকার বাইরেও পরিক্ষা না দেয়ায়,হাতে শেষ অপশন ছিল বুটেক্স আর শেকৃবি।কিন্তু বুটেক্সে লিখিত পদ্ধতির পরিক্ষার কথা ভেবে দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। বিভিন্ন পরিক্ষা দেওয়ার পর, বুটেক্সের লিখিত পরিক্ষার প্রস্তুতির জন্য হাতে ছিল মোটে ৯দিন।সব রকম ভয়, চিন্তা ভাবনা ঝেড়ে দিয়ে আবার প্রস্তুতি নিতে লেগে যাই। আর সত্যি বলতে,বুটেক্সের জন্য আমার এই ৯দিনের কিছু টেকনিকাল প্রস্তুতিই আমাকে সফল হতে সাহায্য করেছিল।

এবার আসি, টেকনিকাল প্রস্তুতি আর বেসিক ক্লিয়ার বলতে কি বুঝায়।এইচএসসি তে পড়ে আসা ম্যাথ/ফিজিক্সের সূত্রগুলোর এপ্লিকেশন, কেমিস্ট্রির রিয়েকশনগুলোর মেকানিজম আর প্রসিডিওর গুলোর ক্লিয়ার ধারনা থাকা লাগবে।আর সবগুলো সাব্জেক্টের (ফিজিক্স,কেমিস্ট্রি,ম্যাথ) বিগত বছর গুলোর প্রশ্ন সলভ করা,এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এতে দেখা যায় যে তুমি অনেক প্রশ্ন হুবহু কমন পাবে।যেমন বুটেক্সের প্রশ্ন চুয়েটে রিপিট হয়,আবার রুয়েটের প্রশ্ন কুয়েট এ রিপিট হয় আর এদের নিজেদের ও বিগত বছরের অনেক প্রশ্ন রিপিট হয় যা তোমরা প্রশ্নব্যাংক সলভ করলে ই বুঝতে পারবা।তো এখন যেহেতু ভর্তি প্রস্তুতির সময় আর তেমন হাতে নেই এদিকে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ও ফেলেছো ইতিমধ্যে কয়েকটা ভার্সিটিতে।তো তোমাদের আশা করি বেসিক সবার ই ক্লিয়ার আছে এখন একটা ই কাজ বেশি করে প্রশ্নব্যাংক সলভ করা।যে জায়গায় ই এক্সাম দিতে যাও তার আগে ওই ভার্সিটির ৪/৫বছরের প্রশ্ন সলভ করে যাও।কারন প্রত্যেক ভার্সিটি একটা নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি তে প্রশ্ন করে।প্রশ্ন সলভ করলে ওই ক্যাটাগরি সহজেই বুঝে যাবা।

যাই হোক ছোট একটা এক্সপিরিয়েন্স শেয়ার করলাম।আশা করি সবাই সবার পছন্দের ভার্সিটিতে পছন্দের সাব্জেক্টে পড়তে পারো।শুভকামনা রইল সকলের জন্য।


Ferdous Jahan Simran
BUTEX 
Department of IPE



BUTEX adimission experience:
(negative review on outside admission center)


ইতোমধ্যে অনেকেই প্রশ্ন-প্রিপারেশন-টাইম মেনেজম্যান্ট সম্পর্কিত তথ্যাদি দিয়ে তোমাদের খুব সুন্দরভাবে ধারনা দেয়ার চেষ্টা করেছেন।সে বিষয়ে তাই আমি বিস্তারিত যাচ্ছি না,তবে এসব কিছুর বাইরেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হলো সচেতনতা। সচেতনতার প্রসঙ্গ কেনো আসলো? আমার নিজের বুটেক্স এডমিশনের অপ্রত্যাশিত  অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেই বুঝতে পারবে।
,
আমার বুটেক্স এডমিশন পরীক্ষার কেন্দ্র ছিলো #সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এবং আমার সিট যে রুমে পরেছিলো সেখানে প্রায় ৭০+ সংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে।যথারীতি গার্ডস পরীক্ষার ১৫ মিনিট আগেই ক্লাসে আসেন এবং ঘন্টা পরলে প্রশ্ন বিতরন করেন।দেখা যায়, প্রায় ১০/১৫ টা প্রশ্নের ঘাটতি আছে।এবং আমিও প্রশ্ন না পাওয়া শিক্ষার্থীদের আওতায়। আমরা প্রশ্ন ছাড়া বসে থাকি। এমন কি কিছুক্ষন এক প্রশ্নে দুইজন শেয়ার করে লিখারও নির্দেশ দেয়া হয়। তোমরা নিশ্চয়ই এতোদিনে ধারনা করতে পারছো, এডমিশন এক্সামে এক মিনিট কতটা মূল্যবান।সেখানে আমাদের কতটা সময় নষ্ট করা হয়েছে। আর দুইজনের একপ্রশ্নে এক্সাম দেয়ার মতো সিচুয়েশন সম্পর্কে আর নাই বলি, কারো স্ট্রং পয়েন্ট ফিজিক্স, কারো কেমিস্ট্রি, অথচ এখানে নিজের স্বাধীনতা প্রকাশ করতে পারছিলাম না।আরেকজন যা এন্সার করছে আমারও ওই পেইজ থেকেই এন্সার করতে হচ্ছে। এরকম করে প্রায় দশ মিনিট চলে গেলে তারপর আলাদা প্রশ্ন পাই হাতে। অর্ধেক ম্যাথ প্রশ্ন অদেখা রেখেই খাতা জমা দিতে হলো আমাকে।
আমি হতাশ হয়ে বের হই, যথাসাধ্য ভালো এক্সাম দিয়েও হয়ত চান্স পাবো না গার্ডস এর ভুলের কারনে।কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে যতটুকু এন্সার করেছি তাতেই কাঙ্ক্ষিত সাব্জেক্টে পড়তে পারছি।হয়ত প্রশ্নত্তোর সংখ্যার চেয়ে, উত্তরকৃত প্রশ্নের একিউরিসি বেশি ছিলো, তাই এডমিশন এক্সাম নিরাশ করলেও ফলাফল নিরাশ করে নি। তাই বলে যে সবার ক্ষেত্রে এমন হবে তা নয়। রিটেন এডমিশন এক্সামে চেষ্টা করতে হয় প্রায় সব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার। পুরোপুরি না পারলেও পার্সিয়াল মার্কিং তোমার পজিশন সামনে এনে দিতে পারে।আর পজিশন সামনে আসা মানেই পছন্দের সাব্জেক্ট এর দিকে একধাপ এগিয়ে যাওয়া।  বুটেক্স কর্তৃপক্ষ আশা করি বহিঃকেন্দ্রের বিষয়ে এবার আরো সতর্ক হবেন। বুটেক্সের ক্যাম্পাসে যারা এক্সাম দিবে  তাদের এইধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হওয়ার চান্সেস খুবই কম।যারা বাইরের কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবে তাদের জন্য কিছু কথা,
,
এডমিশন এক্সাম তোমার, জীবন তোমার, স্বপ্ন তোমার, এটাকে অন্যের হাতে নষ্ট হতে দিও না।শুধু বুটেক্স কেনো? যেকোনো ইউনিভার্সিটি /কলেজে এক্সাম দেয়ার আগে দেখে নিবে পরীক্ষক প্রশ্ন চেক করেছেন কিনা,প্রশ্ন সংখ্যা,সেট আর কতসালের প্রশ্ন,নাহলে নিজ দায়িত্বে তাকে অনুরোধ করবে বিনয়ের সাথে। মোটেও এরুপ চিন্তা করবে না এতে বেয়াদবি হবে, সচেতন হও,বিনয়ের সাথে গার্ডেরও সচেতনতা তৈরি করো। যেহেতু তারা তাদের দেয়া কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোটা তোমাদের অধিকার। 
শুভকামনা ছোট ভাই বোনেরা.. তোমাদের স্বপ্ন সফল হোক। এখনো সুযোগ আছে, নিজেকে প্রিপেয়ার করো😊 

Nusrat Jahan Brishty
Batch 45
Department of Industrial and Production  Engineering 
BUTEX


কিছু পরামর্শ
প্রিয় জুনিওর ♥️

কালকেই তোমাদের সেই মহিন্দ্রক্ষন ,বুটেক্স ভর্তি পরীক্ষা 2019। অনেকেই চিন্তায় আছো পরীক্ষা কেমন হবে,প্রশ্ন কমন পরবে কিনা,পজিশন কত আসলে চান্স পাবো, কোন বিশ্ববিদ্যালয় পরব ইত্যাদি।।অনেকের কাছে বুটেক্স ই engineering এ ভর্তি হওয়ার শেষ সুযোগ।এইসব নিয়ে যত চিন্তা করবে ততই সফলতা আর অসফলতার মধ্যে দোটানায় পড়ে যাবে। আপাতত এইসব ভাবার দরকার নেই,কালকের জন্যে ফোকাস হও। কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা নিয়ে তমাদের আজকের এই লেখা।।।একটু মনোযোগ দিয়ে পড়বে।শেষ এ একটা spoiler আছে, কিন্তু আগে মূল পড়াটি পড়ে নাও।

1.ব্যবহার্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস:

 কলম,রাবার,sharpener, পেন্সিল, ক্যালকুলেটর(একাধিক নিতে পারো),প্রবেশপত্র ও অন্যান্য ব্যবহার্য কাগজপত্র বারবার দেখে নিয়ে যাবে যেনো কুনোটা বাদ পড়ে না যায়।।অনেকে দূরে থেকে আসতেছে তাদের ক্ষেত্রে কষ্ট হয়ে যাবে যদি কাগজপত্র ও ব্যবহার্য জিনিস না থাকে। 

2. সার্কুলার একবার দেখা:

 বুটেক্স এ পরীক্ষার আগের দিন একবার করে হলেও circular দেখে নিবে;বিশেষ করে পরীক্ষার মানবন্টন ও নির্দেশিকা(জানা থাকলেও,এটা কাজে দেয়)।।সেই অনুযায়ী নিজের টাইম ম্যানেজ করে নিতে হবে(!!!মনে থাকে যেন)
 3.আগের রাতের প্রস্তুতি:

 মানসিক চাপ নেওয়ার কিছু নেই আমি এটা নিয়ে কিছু বলবো না।তুমরা সবাই মেধাবী আর এতদিন কষ্ট করে পড়েছ নিজের মতো ,তাই চাপ না নিয়ে যতটুকু পড়ার পড়ে নাও। কোশ্চেন ব্যাংক টা(আগের বছর এর কোশ্চেন) একবার ভালো করে দেখে নিও,ওই টাইপ এর এই হতে পারে সম্ভবত♥️

4.পরীক্ষার দিনের প্রস্তুতি:
তুমরা ইতিমধ্যে অনেক পরীক্ষা দিয়ে এসেছ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ,তাই এই বিষয়টা নিয়ে অনেকে অবগত।
পরীক্ষার সময় হচ্ছে ৯.৩০-১১.৩০।।সময়ের ঠিক 30 মিনিট আগেই চলে আসবে।।।। প্রশ্ন "ভাই আমি ত কম পড়ি নাই,চান্স হচ্ছে না কেনো?"। একটা spoiler দিয়ে দেই।
        "পরীক্ষা হচ্ছে পুরা মানসিক খেলা"
        
আমি নিজের কথা বলি..বুটেক্স এ পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম কেনো জানো? বাকৃবি যাওয়ার টিকিট উঠানোর দিনে বুটেক্স এর পরীক্ষা ছিল তাই দিতে এসেছিলাম নইলে হয়ত পরীক্ষা ত দেওয়া হতো না(!!)🙂।
 তার মানে বুঝতেঅসুবিধা হচ্ছে না আমার মানসিক অবস্থা কতটা ভালো ছিল।।।যারা অতিরিক্ত চাপ নিয়ে পরীক্ষা দিতে আসতেছে তাদের বলে রাখি।"এই সুযোগ টা হাতছাড়া করো না মানসিক চাপ এ পরে"। সবাই একটু মানসিক অবস্থা ভালো রেখে দিতে এসো পরীক্ষা ,ইনশাআল্লাহ চান্স নিশ্চই হবে♥️।
5.Waiting: 

Waiting আগের বছর 1700 এর মত গিয়েছিল, কিন্তু  তারমানে যে এই বছর এরকম হবে তা যুক্তিযুক্ত নয় ।মোটামুটি ভাবে এক হাজারের মধ্যে থাকাটা সেফ।।কিন্তু মেরিট এ আসার চেষ্টা করবে।।সব সাবজেক্ট সেম বুটেক্স এ 
তুমাদের জন্যে নতুন করে সেজেছে বুটেক্স,তুমাদের এই এই অপেক্ষায়♥️।। 

  এইবার একটা spoiler:(যারা যারা পড়তে চাও তারা পড়তে পারো না পড়লেও সমস্যা নেই) 🙂
  
         "ভাইয়া কতো পেলে চান্স পাবো??"
         
জিনিসটা আসলে পরীক্ষার ধরন,প্রশ্ন পদ্ধতি,সহজ,কঠিন অনেক মাপকাঠির উপর নির্ভরশীল। আগের বার যে প্রথম হয়েছিল তার মার্ক ছিল 176!!। 1-500 এর মধ্যে যারা ছিল তাদের মার্কস ছিল ("127-176")।।500 -1200 এ যারা ছিল তাদের মার্কস ছিল(70-121)।পরবর্তী গুলো আমার জানা নেই বলে বলতে পারছি না।।(এগুলো অফিসিয়াল রেকর্ড)
এইবার ও যে এমন হবে তা নয়।।কম অথবা বেশি ও হতে পারে।।তুমরা তুমাদের যথাসাধ্য উত্তর করে আসবে তাহলে অবশ্যই চান্স পাওয়াটা সম্ভবপর।যত বেশি পারো অ্যানসার করে আসবে পার্শিয়াল মার্কিং এর ব্যবস্থা আছে।

তুমাদের জন্যে নতুন করে সেজেছে বুটেক্স,তুমাদের  এই অপেক্ষায়♥️।।
 Md.Saiful Islam Saad 
 Textile Engineering Management
 Batch(45)


বুটেক্স এডমিশন টেস্টঃ রুট ইনফো

ইতোমধ্যেই কেন্দ্রের লিস্ট প্রকাশ করে দেয়া হয়েছে। সবাই আশা করি নিজ নিজ কেন্দ্র সম্পর্কে জেনেছো।

 বুটেক্স ক্যাম্পাসে অথবা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে যাদের সিট পড়েছে তাদের যাতায়াতের সুবিদার্থে এই পোস্ট।

বুটেক্স ও পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট তেজগাঁও সাতরাস্তার খুব কাছেই অবস্থিত এবং পাশাপাশি অবস্থিত। 

বুটেক্স বা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট বা সাতরাস্তা হয়ে যায় এমন কিছু বাসের রুট নিচে দেয়া হলো। তোমরা তোমাদের অবস্থান অনুযায়ী খুজে বের করে দেখে নিতে পারো। যাদের লোকেশন থেকে সরাসরি সাতরাস্তা আসা যায়না কিংবা বেশি ঘুরতে হয়, তারা ফার্মগেট চলে এসে, ফার্মগেট থেকে খুব সহজেই বুটেক্স ক্যাম্পাস বা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কেন্দ্রে চলে আসতে পারবে।

সাতরাস্তা হয়ে যেসকল বাস যায় তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ

৬_নংঃ নতুন বাজার- গুলশান ২- গুলশান ১- ওয়ারলেস- মহাখালী- তিব্বত- (সাতরাস্তা)- মগবাজার- মৌচাক- মালিবাগ- শান্তিনগর- পল্টন- গুলিস্তান- মতিঝিল- কমলাপুর

আল_মক্কাঃ মতিঝিল- গুলিস্তান- পল্টন- কাকরাইল- মালিবাগ- মৌচাক- মগবাজার- (সাতরাস্তা)- নাবিস্কো- মহাখালী- বনানী- ইসিবি- কালশী- পূরবী- মিরপুর ৬- মিরপুর ২- সনি

আজমেরী_গ্লোরিঃ সদরঘাট- নয়াবাজার- গোলাপশাহ- জিপিও- পল্টন- কাকরাইল- শান্তিনগর- মালিবাগ- মৌচাক- মগবাজার- (সাতরাস্তা)- নাবিস্কো- মহাখালী- সৈনিক ক্লাব- বনানী- স্টাফ রোড- শেওড়া- কুড়িল বিশ্বরোড- খিলক্ষেত- এয়ারপোর্ট- জসিমউদদীন- রাজলক্ষী- আবদুল্লাহপুর- টঙ্গী- মিল গেট- বোর্ড বাজার- গাজীপুর বাইপাস- কোনাবাড়ি- চন্দ্রা

বলাকাঃ সায়েদাবাদ- মানিক নগর- টিটি পাড়া- কমলাপুর- মালিবাগ- মৌচাক- মগবাজার- (সাতরাস্তা)- নাবিস্কো- মহাখালী- বনানী- ... -আবদুল্লাহপুর

গাজীপুর পরিবহনঃ গাজীপুর চৌরাস্তা- বোর্ড বাজার- স্টেশন রোড- টঙ্গী- আবদুল্লাহপুর- এয়ারপোর্ট- কুড়িল বিশ্বরোড- বনানী- মহাখালী- (সাতরাস্তা)- ...  -মতিঝিল

মনজিল এক্সপ্রেসঃ চিটাগং রোড- সাইনবোর্ড- শনির আখরা- গুলিস্তান- ... -মগবাজার -(সাতরাস্তা) -মহাখালী -বনানী -এয়ারপোর্ট -আবদুল্লাহপুর

স্কাইলাইনঃ সদরঘাট- রায়ের বাজার- নয়াবাজার- গোলাপ শাহ-  মগবাজার- (সাতরাস্তা)- মহাখালী- এয়ারপোর্ট- আবদুল্লাহপুর- গাজীপুর চৌরাস্তা

স্মার্ট উইনারঃ আজিমপুর- নিউমার্কেট- সিটি কলেজ- কলাবাগান- পান্থপথ- কাওরান বাজার- (সাতরাস্তা)- নাবিস্কো- মহাখালী- গুলশান- বাড্ডা- শাহজাদপুর- নতুন বাজার- নর্দ্দা- বসুন্ধরা- কুড়িল বিশ্বরোড

এছাড়া যারা ফার্মগেট হয়ে আসবে তারা 
মিরপুর ১ থেকে কল্যানপুর শ্যামলী আসাদগেট হয়ে ফার্মগেট আসতে পারো 

নিউ_ভিশন তানজিল তালুকদার বাসে করে। 
সাভার থেকে গাবতলী কল্যাণপুর শ্যামলী আসাদগেট হয়ে আসতে পারো

 লাব্বাইক #এম_এম_লাভলী বাসে।

যাত্রাবাড়ি থেকে সায়েদাবাদ মতিঝিল হয়ে আসতে পারো #৮_নং #খাজাবাবা #লাব্বাইক #এম_এম_লাভলী বাসে করে। 
মতিঝিল থেকে #ওয়েলকাম #নিউ_ভিশনে করে।

মিরপুর ১০ থেকে ফার্মগেট আসতে পারো #আয়াত #শিকড় #খাজাবাবা #বিহঙ্গ বাসে। 
মিরপুর ডিওএইচএস থেকে কালশী ইসিবি হয়ে ফার্মগেট আসা যাবে  ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে। 

মোহাম্মদপুর থেকে ফার্মগেট আসা যাবে স্বাধীন মেশকাত বাসে।

ফার্মগেট থেকে রিকশায় সরাসরি বুটেক্স বা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট বা সাতরাস্তা যাওয়া যাবে। ফার্মগেট থেকে সাতরাস্তা রিকশা ভাড়া ২০-২৫ টাকা। 

তাছাড়া শহরের যেকোনো প্রান্ত থেকে আসার জন্য উবার, পাঠাও বা সিএনজি, ট্যাক্সি ইত্যাদি তো আছেই।

বুটেক্স লোকেশনঃ
 Bangladesh University of Textiles (BUTEX)
92, Shaheed Tajuddin Ahmed Avenue, Tejgaon Industrial Area, Dhaka 1208



★পরীক্ষার আধা ঘন্টা আগেই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবে।

★জ্যাম মাথায় রেখে রওনা দিতে ভুল করবে না।

এছাড়াও কারো কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্ট বক্স কিংবা ইনবক্সে জানাতে পারো। 
সকলের জন্য শুভকামনা 

বুটেক্স ক্যাম্পাসে তোমাদের স্বাগতম 💫

-আসিফ রায়হান তপু
এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বুটেক্স ৪৫


BUTex Admission নিয়ে কিছু কথা - BSc in Textile Engineering

Admission নিয়ে কিছু কথা:


বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, সংক্ষেপ এ বলতে গেলে বুটেক্স।বুটেক্স নামে ই সবার কাছে পরিচিত।যা কিনা বাংলাদেশে একমাত্র পূর্ণাঙ্গ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়।এখান থেকে Bsc in Textile Engineering degree দেওয়া হয় এবং এই বিশ্ববিদ্যালয় IEB সনদপ্রাপ্ত।হিসাবের দিক দিয়ে মাত্র ১২একরের একটা বিশ্ববিদ্যালয়। আপাত দৃষ্টিতে খুব ছোট।কিন্তু এর মধ্যে ই রয়েছে ভ্রাতৃত্ব এবং বন্ধুত্ব।ভার্সিটি নিয়ে অনেক কিছু ই বলা যায়।ভূমিকাতে ই যদি সব কথা বলে ফেলি তাহলে বাকি কথা কিভাবে বলব?


টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং  ( বুটেক্স ) 

আমাদের দেশের চাকরির বাজারে বর্তমানে যে কয়টি বিষয়ের গ্রাজুয়েটদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম শীর্ষে অবস্থান করছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং।দেশে টেক্সটাইল শিল্পের দ্রুত বিকাশ ঘটে চলেছে। বিশ্বমানের টেক্সটাইল শিল্পের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশের এ শিল্পও দ্রুত অগ্রসরমান। যার ফলে এই শিল্পে প্রয়োজন হচ্ছে দক্ষ প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের।টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা এতটাই বেশি যে, অনেক সময় স্নাতক করার আগেই এ বিষয়ের শিক্ষার্থীদের চাকরি হয়ে যায়।

আমাদের দেশে ৫টি ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটির মধ্যে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়(BUTEX) অন্যতম।এটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর জন্যে উপমহাদেশে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়।

বুটেক্সে বর্তমানে ১০ টি বিষয়ে B.Sc in Textile Engineering ডিগ্রী।

১। ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং(YE)

২। ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং(FE)

৩। ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং(WPE)

৪। অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং(AE)

৫। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট(TEM)

৬। টেক্সটাইল ফ্যাশন এন্ড ডিজাইন(TFD)

৭। ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং(IPE)

৮। টেক্সটাইল মেশিনারী ডিজাইন এন্ড মেইন্টেন্যান্স(TMDM)

৯। ডাইস এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং(DCE)

১০।এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং(ESE)

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে শুধু তৈরি পোশাক খাত থেকে। বুটেক্স শুধুমাত্র “মেড ইন বাংলাদেশ” ট্যাগলাইনের পথিকৃৎ না। RMG সেক্টর ছাড়াও স্পিনিং(তুলা/ ফাইবার থেকে সুতা), নিটিং ও উইভিং(সুতা থেকে ফেব্রিক), ডায়িং(সুতা বা কাপড়ে রঙ) সহ অনেক সেক্টরে বুটেক্সের অবদান অপরিসীম।

মিলিটারি গ্রেড স্পেসস্যুট, ফায়ার এন্ড ওয়াটারপ্রুফ ফেব্রিক, ফাইবার রিসার্চ(কার্বন ও ন্যানো ফাইবার) ক্ষেত্রসমূহেও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক দাপট।

সব জব বিবেচনায় বুটেক্সের স্টুডেন্টদের জব সেক্টর তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

১। প্রোডাকশন

ফাইবার থেকে পরিধানযোগ্য কাপড় বা অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং এর সবকিছু এই ধরনের জবের মধ্যে পড়ে। এই সেক্টরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে স্পিনিং, নিটিং, উইভিং, ডায়িং, প্ল্যানিং, R & D, গার্মেন্টস প্রোডাকশন, প্রিন্টিং, ওয়াশিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, হিউম্যান রিসোর্স ইত্যাদি।
বুটেক্সিয়ানদের পছন্দের তালিকায় সবচেয়ে প্রিয় এই সেক্টর।

২। মার্কেটিং এন্ড মার্চেন্ডাইজিং
সব ধরনের টেক্সটাইল(ফাইবার, সুতা, ফেব্রিক, ডাইস, অ্যাপারেল) ইত্যাদির বিপণন সংক্রান্ত সকল কিছু এই ক্ষেত্রের অন্তর্গত। টেক্সটাইলের কোয়ালিটি টেস্টিং, মার্চেন্ডাইজিং এই সেক্টরের অন্যতম আকর্ষণ।

বর্তমানে আমাদের দেশে এই সেক্টরের চাকরী ইঞ্জিনিয়ারদের খুবই পছন্দের একটি জায়গা। আর সেখানেও আধিপত্য বুটেক্সের।

৩।অন্যান্য জব

~বুটেক্সে শিক্ষকতা
~বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট 
~বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন
~বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন
~বস্ত্র পরিদপ্তর
~পাট অধিদপ্তর
~বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড
~বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন
~বিভিন্ন ব্যাংক (অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, টেক্সটাইল)
~জুট ডাইভারসিফিকেশন এন্ড প্রমোশন সেন্টার
~তুলা উন্নয়ন বোর্ড
~কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর
~অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়
~বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড
~সরকারি টেক্সটাইল কলেজ ইত্যাদি।

পরিশেষে, যারা বুটেক্সে পড়ার স্বপ্ন নিজের মধ্যে লালন করছো তাদের জন্যে শুভ কামনা রইলো।🙂

Mahbub Alam Riaz
Textile Engineering Management
45th Batch




ADMISSION Tips For Biggainer :

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে Bsc in Textile Engineering এর ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ইতিমধ্যে ই নির্ধারণ করা হয়ে গেছে।১৫ই নভেম্বর।আসলে আমরাই গত বছর তোমাদের জায়গায় ছিলাম।এডমিশন এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।বেশি দিন আগের কথা নয়।আমরা এখন ও ভুলিনি সেই দিনগুলোকে।কত রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিয়েছিলাম হিসাব রাখেনি কেউ।তোমাদের ও ভর্তি পরীক্ষা খুব ই সন্নিকটে।এই সময়ে একজন পরীক্ষার্থী কতটা একাকিত্বের ভিতর দিয়ে যায় তা শুধু যারা সেই সময় পার করে এসেছে শুধু তারাই জানে।এসময় ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ,ভর্তি পরীক্ষা দিতে যাওয়া,যাতায়াত,থাকা,খাওয়া,নিজের সিট খুজে পাওয়া সহ অনেক জিনিস এক সাথে জড়িয়ে আছে।সেই নিয়ে কিছু কথা আগে ই বলে রাখি:

১/ বিভিন্ন ভার্সিটির এডমিশন হেল্প ডেস্ক গ্রুপ গুলার মেম্বার হয়ে যাও।কবে সার্কুলার দিচ্ছে তার খেয়াল রাখো। আপডেট রাখো।

২/ ডেডলাইনের অপেক্ষায় থেকো না।এমন কিছু ই নাই যে একসাথে ফর্ম ফিলাপ করলে এক সাথে সিট পড়বে বা দেড়িতে করলে সুবিধা এরকম কিছু ই নাই। তাই সার্কুলার দেওয়ার পর পর ই ফর্ম ফিলাপ করে দেওয়া ভালো।

৩/ ছবি,ছবি হতে হবে ফর্মাল পাসপোর্ট সাইজ ছবি।কোনো একটা ভার্সিটি তে দেখলাম এক পরীক্ষার্থী নিজের ফেসবুক প্রোফাইল এ থাকা ছবি দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করেছে।এগুলা স্মার্টনেস না।আর ছবি গুলা যা ইউজ করবা তা সদ্য তোলা ছবি ইউজ করো।কারন প্রতি পরীক্ষায় এই ছবি মিলিয়ে তোমাকে বিচার করা হবে।

৪। নিজের সিগনেচার।চেষ্টা করবে সব ভার্সিটি তে একই রকম সহজ সরল সিগনেচার ইউজ করতে।কারন এই সিগনেচার ও মিলিয়ে দেখা হবে।

৫/ অতি গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াত।এডমিশন টাইমে বাস,ট্রেন,প্লেন কোনো কিছুর টিকিট পাওয়া যায় না।তাই এই জায়গায় অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।আর চেষ্টা করবে পরীক্ষার আগের দিন রাতে জার্নি না করার। কারন ক্লান্তি অনেক বড় একটা বিষয় হয়ে দাঁড়ায় পরীক্ষার সময়।

৬/ থাকার জায়গা,থাকার জায়গা থেকে তোমার পরীক্ষার হল কত দূরে তাও মাথায় রাখতে হবে।সময় হাতে রাখতে হবে কারন পরীক্ষার সময় মানুষ থাকে যে রিক্সা ও চলতে পারে না।তাই হাতে টাইম নিয়ে বের হতে হবে।

৭/হলে যে স্যাররা গার্ড দিবে তাদের কথা গুলো মন দিয়ে শুনবে।কি কি ইন্সট্রাকশন দিচ্ছে আর অবশ্যই বেয়াদবি করা যাবে না।

ভালো ভাবে প্রিপারেশন নেও।এই সময় টা অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু চেষ্টা করো এই সময়টাকে ই জীবনের টার্নিং পয়েন্ট বানানোর।

আর তোমাদের বুটেক্স এডমিশন নিয়ে যেকোনো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারো।আমরা বুটেক্সিয়ানরা সবাই হেল্প করার চেষ্টা করব।

আর সার্কুলার এখন ও দেয় নি।সার্কুলার দেওয়া হলে এই নিয়ে বিস্তারিত বলা হবে।

Rumman Ahmed
Butex
IPE




Hello Admission Seekers 

কি খবর তোমাদের সবার!? আজ অর্থাৎ ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০:০০টা থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে বুটেক্সের প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া 📣 তোমরা ঘরে বসে খুব সহজেই টেলিটক প্রিপেইড সিমের মাধ্যমে প্রাথমিক আবেদন সম্পন্ন করে ফেলতে পারো 💯
এজন্য যেকোনো টেলিটক সিম হতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে 👉

BUTHSC শিক্ষাবোর্ডের প্রথম তিন অক্ষরHSC পরীক্ষার রোলHSC পাশের সালSSC শিক্ষাবোর্ডের প্রথম তিন অক্ষরSSC পরীক্ষার রোলSSC পাশের সাল 

টাইপ করে সেন্ড করে দিতে হবে 16222 নম্বরে

ফিরতি মেসেজে তোমাদের একটি PIN নম্বর প্রদান করা হবে এবং আবেদন কনফার্ম করতে বলা হবে। কনফার্ম করতে পুনরায় মেসেজ অপশনে গিয়ে 👉

BUTYESPIN নম্বর আবেদন কারীর মোবাইল নম্বর 

টাইপ করে সেন্ড করে দিতে হবে 16222 নম্বরে এর মাধ্যমে টেলিটক সিম থেকে ২০০৳ কেটে নেয়া হবে এবং ফিরতি মেসেজে তোমাদের আবেদন সম্পর্কে কনফার্ম করা হবে। ব্যাস, হয়ে গেলো প্রাথমিক আবেদন!! 

আবেদনের ন্যুনতম যোগ্যতাঃ

>এসএসসি/এইচএসসি জিপিএ ন্যুনতম ৪.৫০

>এইচএসসিতে পদার্থ, রসায়ন, গনিত, ইংরেজী বিষয়ে প্রাপ্ত জিপিএ ন্যুনতম ১৮/২০(কোনো বিষয়ে ৪ এর নিচে নয়)]
★কোটায় আবেদনের জন্য প্রথম এসএমএসে SSC পাশের সালের পর স্পেস দিয়ে কোটা উল্লেখ করতে হবে (e.g. FFQ)।

★প্রাথমিক আবেদন করা যাবে আগামী ৪ অক্টোবর রাত ১১:৫৯ পর্যন্ত।

★প্রাথমিক আবেদনের ফলাফল আগামী ১৫ অক্টোবর প্রকাশ করা হবে।


-আসিফ রায়হান তপু 
এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, 
বুটেক্স, ব্যাচ-৪৫


Subject Review : Textile Engineering
Written by : Sourav Paul



সাবজেক্ট রিভিউ 

১. Yarn Engineering : টেক্সটাইলের মাদার সাবজেক্ট এটি। এদের কাজ হলো প্রোডাকশন সেক্টরে।  তুলা থেকে সুতা তৈরীর কাজ এদের সেক্টরে। বিভিন্ন ধরণের কাপড়ের জন্য বিভিন্ন রকম সুতা তৈরীর দিকনির্দেশনা দেওয়াই এদের কাজ।।

২. Fabric Engineering : এদের কাজ হলো তৈরিকৃত সুতা থেকে কাপড় তৈরী করা। কাপড়ের বুনন কেমন হবে, পাতলা হবে নাকি পুরু হবে সেটার দিকনির্দেশনা দেওয়াই এদের কাজ। অর্থাৎ এদের জবও প্রোডাকশন সাইডে।

৩. WET Engineering : এদের কাজ হল তৈরিকৃত পোষাকে রং করা। মানুষের চোখে পোশাককে দৃষ্টিনন্দন করে তোলাই এদের কাজ। এদের কাজও প্রোডাকশন বেজড।

৪. Apparel Engineering : কাপড়কে কাটিং,সুইং করে ব্যবহারযোগ্য ফর্মে নেওয়ার দায়িত্ব নির্ভর করে এদের উপরেই।  এদের জব কর্পোরেট টাইপের।  বিদেশি ক্রেতাদের কাছে নিজেদের তৈরী পোশাককে সুন্দরভাবে কথার মাধ্যমে উপস্থাপন করাই এদের কাজ। এদের জব মার্চেনডাইজিং বেজড। 

৫.Textile Engineering Management : এদের কাজও মার্চেনডাইজিং ও মার্কেটিং সেক্টরে। একটি কোম্পানির ওভার অল ম্যানেজমেন্ট ,অপারেশন এদের দিকনির্দেশনাতেই চলে। এদের দক্ষ নেতৃত্বেই কোম্পানির উন্নতি নির্ভর করে।

6.Textile Fashion Designes : একটা কাপড় কিভাবে কি করলে সেটা সকলের কাছে খুবই প্রিয় হবে তা এদের উপরেই নির্ভর করে। এটা খুব ক্রিয়েটিভ জব। পাখি ড্রেস,  কিরণমালা ড্রেসের ডিজাইন এদের মাথাতেই আসে। ( 😛 ) তাই একটা ভালো কনসেপ্ট থাকা ফ্যাশান ডিজাইনারের গুরুত্ব বলে বোঝানো লাগবে না আশা করি।

7. Industrial Production Engineering :  একটা কোম্পানির উৎপাদন কিভাবে করলে বেশি হবে,  কিভাবে অল্প পুঁজিতে লাভ বেশি হবে তা নির্ধারণ করাই এদের কাজ। এদের ডিসিশনের উপরেই কোম্পানির উৎপাদন  নির্ভর করে। এদের টার্গেট হলো একটা নির্দিষ্ট পরিমান উৎপাদন করতে যত কম ইনপুট  (ম্যান ,মেশিন,ম্যাটেরিয়াল) দেওয়া যায় সেটা নির্ধারন করে দেওয়া ।

৮. Textile Machinery Design and Maintenance:এদের কাজ হলো কিভাবে মেশিনকে আরও উন্নত করা যায়,  কিভাবে কাপড় তৈরীর নতুন নতুন মেশিন আবিষ্কার করা যায়। এদের কারণেই  হাতে কাপড় বোনার দিন শেষ হয়ে মেশিনে কাপড় বোনার দিনের শুরু হয়েছে। তাই এদের গুরুত্ব সহজেই অনুমেয়।

৯. Dyes and Chemical Engineering ঃ কোন কাপড়ের সাথে কোন টাইপের রঙ ভালো যায় , কোন কাপড়ের সাথে কোন ক্যামিক্যালের সম্পর্ক কেমন , ফিনিশিং এ কোন ক্যামিকাল দিলে আরো বেশি সুন্দর হ্যান্ডফিল আসে এগুলা নিয়েই কাজ এই ডিপার্টমেন্টের । 

১০. Environment Science and Engineering: এতো এতো কালার ,কেমিক্যা,পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করলাম কাপড়ে রং ,ফিনিশিং, ওয়াশিং এর জন্য , তা এগুলা পরিবেশে ডিরেক্ট ছেড়ে দিলে পরিবেশ কি আমাদের ছেড়ে কথা বলবে? তাই পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় ,সেদিকটা দেখভালের গুরুদায়িত্ব এই ডিপার্টমেন্টের ।

জব সেক্টর,  বাইরে পড়াশুনা,  স্যালারি সব কিছু নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে লিখবো,  বাট এখন না।  উপরের বিষয়গুলা বেসিক বিষয়,  তাই লিখলাম। আমাদের পরীক্ষা শেষ হলে বিস্তারিত লিখবো সব কিছু নিয়ে। তাই ওয়েট করো।  এই মাসের লাস্টেই একটি পোস্টে বিস্তারিত সবই লিখব।




Cracking the Admission Test

দীর্ঘ বারো বছরের স্কুল-কলেজ লাইফ শেষ করে তোমরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দ্বারপ্রান্তে এসে উপস্থিত হয়েছো। প্রথমেই এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের জন্য সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তোমরা যারা ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রিপারেশন শুরু করেছিলে, তোমাদের মধ্যে অনেকেই এইচএসসিতে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে পেরেছো আবার অনেকে হয়তো পারোনি। যাদের রেজাল্ট কোনোকারনে খারাপ হয়ে গিয়েছে, তোমাদেরও ভেঙে পড়ার কোনো কারণ নেই। অ্যাডমিশন টেস্ট সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি চ্যালেঞ্জ, এই অ্যাডমিশন টেস্ট ই এখন পর্যন্ত তোমাদের লাইফের সবচেয়ে কম্পিটিটিভ এক্সাম হতে যাচ্ছে। সো সেজন্য নিজেকেও সেভাবেই প্রস্তুত করে ফেলতে হবে।

লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে

ভর্তি পরিক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার ক্ষেত্রে মূলত কিছু ব্যাপারে শুরুতেই ক্লিয়ার থাকতে হয়। প্রথমত তুমি কিসের প্রিপারেশন নিচ্ছো সেটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে এবং তোমার টার্গেট অনুযায়ী পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। তোমরা যারা ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রিপারেশন নিচ্ছো, তোমরা হয়তো ইতোমধ্যেই সকল ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিগুলোর সম্পর্কে, সেগুলোর পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে এবং আসনসংখ্যা এবং অন্যান্য বিষয়াদি সম্পর্কে জেনে গিয়েছো। বাংলাদেশে পাব্লিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির সংখ্যা ৫টি (বুয়েট, কুয়েট, চুয়েট, রুয়েট এবং বুটেক্স)। এরমধ্যে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য একটিমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়- বুটেক্স। এই ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চারটিতেই লিখিত পদ্ধতিতে পরিক্ষা নেয়া হয়ে থাকে, যার কারণে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রস্তুতিতে স্টুডেন্টরা লিখিত প্রশ্নের উপরই বেশি জোর দিয়ে থাকে। 

কি পড়বো এবং কিভাবে পড়বো?

তোমাদের অ্যাডমিশন টেস্টের প্রস্তুতিপর্ব প্রায় শেষের দিকে। এরমধ্যেই হয়তো তোমরা বুঝে গিয়েছো এইচএসসি এবং ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির মধ্যে মিল-অমিলগুলো। আসলে তোমাদের এইচএসসির প্রিপারেশন ই ভর্তি পরীক্ষার প্রিপারেশনে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এইচএসসি পরীক্ষার জন্য তোমরা যা যা পড়ে এসেছো সেগুলোই ঘুরে-ফিরে প্রতিটা ভর্তি পরীক্ষায় আসে। তাই মেইন বইগুলোই তোমাদের প্রস্তুতির প্রধান হাতিয়ার। এর সাথে ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিগুলোর বিগত বছরের প্রশ্নগুলো দেখলেই তোমরা বুঝতে পারবে কোন কোন টপিকগুলো থেকে মেইনলি কোশ্চেন হয়ে থাকে, সেই টপিকগুলো ধরে ধরে তোমরা নিজেদের মত স্ট্র‍্যাটেজি অবলম্বন করে প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে থাকবে। তো, যখনই তোমরা কোনো চ্যাপ্টার পড়বে, তখনই সাথে প্রশ্নব্যাংক টা সাথে নিয়ে পড়বে এবং বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করবে। মেইন বই এবং প্রশ্নব্যাংক ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারলে তুমি অবশ্যই কোথাও কোথাও চান্স পাবে। এর বাইরেও অনেকে অনেক সহায়ক বই ফলো করে, এটা সম্পূর্ণ যার যার ব্যাক্তিগত, হাতে সময় থাকলে তোমরা চাইলে অন্যান্য সহায়ক বই থেকেও চোখ বুলিয়ে নিতে পারো। আর যেকোনো ইম্পর্ট্যান্ট টপিক, টেকনিক, শর্টকাট ইত্যাদি জানার জন্য কোচিং/বাসার যেকোনো টিচার অথবা যেকোনো সহায়ক বইয়ের হেল্প নিতে পারো।

হাল ছাড়া চলবে না..

অ্যাডমিশন টেস্টের স্টুডেন্টদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেটা দেখা যায়, সেটা হচ্ছে- হতাশা। হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ার কারণে অনেক স্টুডেন্ট প্রতিবছর যোগ্যতা থাকা স্বত্ত্বেও অ্যাডমিশন পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল পায়না। আমরা কোচিং বা প্রাইভেটের পরীক্ষাগুলোয় ভালো নম্বর না পেলেই অনেক হতাশায় ভুগি, যেটা করা একদমই চলবে না। কোচিং বা প্রাইভেটে পরীক্ষাগুলো নেওয়াই হয় তোমাদের প্র‍্যাক্টিসের জন্য, এই পরীক্ষাগুলো থেকে যতটুকু পারো এক্সপেরিয়েন্স নেওয়ার ট্রাই করবে, ভুলগুলো শুধরানোর চেষ্টা করবে, নাম্বার নিয়ে কখনো চিন্তা করবে না। নিজের উপর কনফিডেন্ট হতে হবে। সবসময় মাথায় রাখবে তোমার মেইন পরীক্ষা হচ্ছে  অ্যাডমিশন টেস্টের সেই ১/২/৩ ঘন্টা, ওই সময়টাতে নিজেকে যে যত ভালো করে উপস্থাপন করতে পারবে, তার এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই তত বেশি। 

বুটেক্স ভর্তি পরীক্ষার জন্য

ঢাকার মধ্যে পাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি- বুয়েট এবং বুটেক্স। তাই প্রতিবছর বহুসংখ্যক স্টুডেন্টের টার্গেট থাকে এই দুটো ইউনিভার্সিটিতে নিজের একটা সিট দখল করে নেওয়া। বুটেক্সের জন্য প্রিপারেশন বলতে আসলে ঐ ওভারল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রিপারেশন ই, তবে প্রতিটা ভার্সিটির মতই এক্ষেত্রেও প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করা জানতে হবে। কোন ধরনের প্রশ্ন আসে, কোন কোন টপিক থেকে প্রশ্ন আসে, প্রতিটা প্রশ্নে কয় মার্ক এই ব্যাপারগুলো ক্লিয়ার থাকলেই বাকিটা অনেক সহজ হয়ে যাবে তোমাদের জন্য। বুটেক্সে যেহেতু ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও ম্যাথের পাশাপাশি ইংলিশ থেকেও ২০ মার্কের প্রশ্ন হয়, তাই ইংলিশটাও প্র‍্যাক্টিস করতে হবে। বিষয়ভিত্তিক প্রিপারেশনের গাইডলাইন তোমাদের জন্য গ্রুপে প্রকাশ করা হবে। আর তাই ভালোভাবে প্রিপারেশনের জন্য অবশ্যই বুটেক্স প্রশ্নব্যাংকটা ভালোভাবে পড়তে হবে। যেহেতু বুটেক্সের ভর্তি পরীক্ষা দেরীতে হয়, তাই তোমরা প্রস্তুতির জন্য তুলনামূলকভাবে কিছু এক্সট্রা সময় পাবে, সেই সময়টাকে ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলেই তোমরা তোমাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফলের দেখা পাবে ইনশাআল্লাহ। 

অ্যাডমিশন টেস্ট নিয়ে সবার মাঝেই কিছু উৎকণ্ঠা কাজ করে- সেটাই স্বাভাবিক। তবে তোমরা সবসময় মনে রাখবে তোমরা এতদিন ধরে যা যা পড়ে এসেছো সেগুলোই ভর্তি পরিক্ষায় আসবে, এগুলোই যদি ঠিকমতো নিজের সেরাটা দিয়ে এন্সার করতে পারো তবেই একটা সিট তোমার দখলে 😇 এবং অবশ্যই নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে তুমি পারবে। অন্যদের দিকে লক্ষ্য না দিয়ে নিজেকে নিয়ে চিন্তা করো, যেটুকু সময় আছে নিজেকে ঝালিয়ে নেও। 

আর তোমাদের যেকোনো ধরনের সমস্যার সমাধানে আমাদের কমেন্ট সেকশন এবং ইনবক্স সবসময় খোলা আছে 😊
হয়তো তোমাদের মাঝেই অনেকের সাথেই দেখা হবে বুটেক্স ক্যাম্পাসে ☺
শুভকামনা রইলো তোমাদের সবার জন্য,
দেখা হবে বিজয়ে..

আসিফ রায়হান তপু
এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট, 
বুটেক্স- ব্যাচ ৪৫


এবার আসি Admission procedure  নিয়ে:

Application :
ভর্তি পরীক্ষার ডেট ফিক্সড হয়ে গিয়েছে, ১৫ই নভেম্বর। যদিও এখনও সার্কুলার দেওয়া হয় নি। তাও যদি আগের বছরের হিসাব করি তাহলে আগের বছর চেয়েছিল ১৮ পয়েন্ট ২০ এর মধ্যে ফিজিক্স,ক্যামিস্ট্রি,ম্যাথ আর ইংলিশ এর উপর।এই চারটা বিষয়ের যেকোনো ১টা তেও যদি এ মাইনাস থাকে তাহলে এপ্লিকেশন করা যাবে না।এসএসসি এবং এইচ এসসি তে নূন্যতম ৪.৫০ থাকতে হবে।এর পরে সকল এপ্লিকেন্ট দের থেকে সর্বমোট ১০০০০ জনকে পরীক্ষা দিতে এলাও করা হবে। এটা ছিল আগের বছরের সার্কুলার।আশা করি এবার কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।

Admission Test:
সময় মাত্র ২ঘন্টা। এর মানে, হলে বসার পরে প্রশ্ন হাতে পাওয়ার সাথে সাথে তোমার রণক্ষেত্রে নেমে পড়তে হবে। কারন ২০০মার্ক্সের পরীক্ষা।৬০+৬০+৬০+২০=২০০,   ৬০ মার্ক্স করে ফিজিক্স,ক্যামিস্ট্রি এবং ম্যাথে আর ২০ মার্ক্স ইংলিশে।এখানে এক একটা প্রশ্নের জন্য ৬ মার্ক্স কিন্তু এখানে একটু সংশোধন করি।১টা প্রশ্ন ৬ মার্ক্স কিন্তু ১টা প্রশ্নের ভিতরে ২টা প্রশ্ন থাকে এর মানে ৩+৩ করে মার্ক্স।তাহলে বুঝতে ই পারতেছ কেন বলেছিলাম রনক্ষেত্রে নামতে হবে।এখানে তোমার যুদ্ধ পরীক্ষার সাথে যতটুকু তার চেয়ে বেশি সময়ের সাথে করতে হবে।

preparation :
বেশি কিছু বলব না।এই প্রিপারেশন নিয়ে ৪টা সাবজেক্ট আলাদা আলাদা ভাবে পোস্ট দেওয়া হবে,কিভাবে পড়তে হবে,কোথা থেকে পড়তে হবে।আমি যদি সংক্ষেপ এ বলি তাহলে প্রথমেই বেসিক ১০০% ক্লিয়ার রাখতে হবে,ইঞ্জিনিয়ারিং প্রিপারেশন যারা নিচ্ছো তারা উদ্ভাসের দেওয়া প্রশ্নব্যাংক এর প্রশ্নগুলো সমাধান করো।কারন কয়েকটা প্রশ্ন ই রিপিট হয়।বুটেক্স এ রিপিট না হলে চুয়েট এ হবে না হলে কুয়েট এ হবে।মানে প্রশ্ন রিপিট পাবা ই। তাই প্রশ্নব্যাংক পড়া বৃথা যাবে না।আরো অনেক কথা প্রিপারেশন নিয়ে বিস্তারিত বলা হবে।

কত পেলে চান্স পাবো ?
এই প্রশ্ন টা সবচেয়ে বেশি করা হয়।ভাইয়া ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় মার্ক্স তো দেয় না।তবে ধারনা করা হয় ৬০% মার্ক্স পেলে চান্স পাওয়ার মাঝে খুব একটা বাধা থাকে না।শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং না যে কোনো ভার্সিটিতে ৬০-৬৫% মার্ক্স পেলে ই মোটামুটি চান্স কনফার্ম থাকে।

সাজেশন:
অনেক গুলো ভার্সিটিতে তোমরা ভর্তি পরীক্ষা দিবে।সামনে ই শুরু হবে।দেখা যাবে তোমার পরীক্ষা খুব ভালো হইসে কিন্তু রেজাল্ট এ দেখা গেলো আশানুরূপ মার্ক্স তুমি পাও নি।তুমি নিজেও জানো না কেন এমন হলো?এর উত্তর তুমি পাবে না। কিন্তু ভাইয়া এবং আপুরা এক্সাম ২/১টা খারাপ হলেও কোনোভাবে ই ভেঙে পড়া যাবে না। তোমার ফ্যামিলিতে সবাই ভেঙে পড়লেও তোমাকে শক্ত থাকতে হবে।কখনও ই হতাশ হওয়া যাবে না। কারন এডমিশন টেস্ট  তোমার মেধা যাচাই করে কিন্তু তার চেয়ে বেশি তোমার মানসিক চাপ নেওয়ার ক্ষমতা যাচাই হয়ে যায়। আর একটা কথা,প্রশ্ন কঠিন হওয়া মানে চান্স পাওয়া আরো সহজ। কারন এখানে শুধু তারাই চান্স পাবে যাদের বেসিক খুব ই ভালো।তাই কঠিন প্রশ্ন মানে ই ভয় না বরং যতটা সম্ভব এন্সার করে আসা।আর এখন টাইম কম অনেক পড়াশুনা করো  সবাই ইনশাল্লাহ অনেক ভালো কিছু করতে পারবা।

যাই হোক শুভ কামনা সকল ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য।তোমাদের বরণ করার অপেক্ষায় থাকলাম। আসো ভার্সিটিতে 😁 পড়ালেখা নাই এটা বলা মহাপাপ হবে, তবে মজা আছে। Stay safe❤


"বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলস "  সংক্ষেপে বুটেক্স যা দেশে টেক্সটাইল প্রকৌশল শিক্ষায় প্রথম এবং একমাত্র পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়.. 

ভূমিকাঃ হয়ত অনেকের মনে এখনও প্রশ্ন আসে এতকিছু থাকতে কেন টেক্সটাইল প্রকৌশলী হবো?

উত্তরে বুকে বিশাল গর্ব নিয়ে বলা যায় দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮৩ শতাংশ আছে এই শিল্পের হাত ধরে.এককভাবে এই সেক্টর দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় অবদান রাখে. 

আপনি যদি দেশের বাইরে কোনো দ্রব্য কিনতে গিয়ে দেখেন তাতে লিখা "Made in Bangladesh " তাহলে নিঃসন্দেহে আপনার মত খুশি আর কেউ হয় না. আর এই ট্যাগটি আপনি বিদেশে সবচেয়ে বেশি দেখবেন তৈরি পোশাকে (RMG বা ready made garments) . আমাদের একটি প্রচলিত ভূল ধারণা আছে টেক্সটাইল বোধয় শুধুই কাপড় নিয়েই কাজ করে. "না" ধারণাটি ভুল.. পোশাক বা কাপড় টেক্সটাইলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ. এটি ছাড়াও টেক্সটাইলের ক্ষেত্র বলে শেষ করা যাবে না..

টেক্সটাইলের উপর একটি দেশ উন্নয়নের সিংহভাগ নির্ভর করে.যে দেশ টেক্সটাইলে যত দ্রুত উন্নয়ন সাধন করে সে দেশ তত দ্রুত অার্থিক ভাবে লাভবান হয়. উদাহরণঃ ইউরোপ, চীন, ভারত, পাকিস্তান এবং আমাদের বাংলাদেশ নিজেও..আমাদের দেশের একক ভাবে সবচেয়ে বেশি জনশক্তি এই সেক্টরে যুক্ত.

 বলা হয়ে থাকে টেক্সটাইল সেক্টর যে দেশে যায় সে দেশের সার্ভিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধন করে আসে.

*প্রশ্ন যদি হয় দেশে টেক্সটাইল প্রকৌশলীদের চাহিদা কেমন ? 

শুধু যদি গার্মেন্টস সেক্টরের কথাই বলি তবে দেশে এখনও ২০ লাখের বেশি টেক্সটাইল প্রকৌশলী প্রয়োজন..চাকরির বাজারে এদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি. বিশেষ করে বুটেক্স থেকে পাশ করে শতভাগ শিক্ষার্থী চাকরি পেয়ে যান.. 

তাছাড়া বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় তো রয়েছেই.

*মেধাবী ও দক্ষ লোকবল তৈরির লক্ষ্যে প্রতিবছর বুটেক্সে অন্যান্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মাত্র ৬০০ জন শিক্ষার্থী এখানে পড়ার সুযোগ পান.

*Butex এ পাঁচটি ফ্যাকাল্টির অধীনে টোটাল ১০ টি ডিপার্টমেন্ট রয়েছে 
প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদেরই B.Sc in Textile Engineering ডিগ্রি প্রদান করা হয়.

*ভর্তি পরীক্ষার প্রতিযোগিতা কেমন?

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রায় ১০০০০ পরীক্ষার্থী বুটেক্সে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায়..অর্থাৎ মেধার হাড্ডাহাড্ডি এক লড়াই করেই এখানে চান্স পাওয়া লাগে. 

*ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতাঃ
HSC এবং SSC এর উভয়টিতেই GPA-4.5 এর নিচে থাকা যাবে না এবং উভয় ক্লাসেই উচ্চতর গণিত বিষয়টি থাকতে হবে( ৪র্থ বিষয় হলেও)
HSC এর ফলাফলে পদার্থ, রসায়ন, উচ্চতর গণিত,ইংরেজি বিষয়ে টোটাল ২০ পয়েন্টের মধ্যে ১৮ থাকতে হবে এবং এদের কোন একটিতেও ৪ পয়েন্টের নিচে থাকা যাবে না.

*পরীক্ষা পদ্ধতিঃ
সম্পূর্ণ লিখত পরীক্ষায় ২০০ নাম্বার এবং (SSC result কে ৮  ও HSC result কে ১২ দিয়ে গুণ করে ১০০) অর্থাৎ টোটাল ৩০০ নাম্বারের পরীক্ষা হবে

লিখিত পরীক্ষার সময় -২ ঘণ্টা
মানবন্টণঃ পর্দাথ থেকে ১০ টি
রসায়ন থেকে ১০ টি 
উচ্চতার গণিত থেকে ১০ টি করে ৩০ প্রশ্ন যাদের প্রত্যেকটি প্রশ্নের মান ৬ করে টোটাল ১৮০ বাকি ২০ নাম্বার ইংরেজিতে ১০ প্রশ্নের জন্য থাকবে অর্থাৎ ইংরেজি প্রশ্নের প্রতিটির মান ২ করে 
*কেমন নাম্বার পেলে বুটেক্স চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে?
পরিমাপ করে বলা যাবে না তবে যেকোন ভর্তি পরীক্ষার মতোই মোট নাম্বরের ৭০% একটি সেফজোন.

*গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্যঃ

১. চলতি বছরে HSC পাশ করা শিক্ষার্থীরাই শুধু আবেদনের সুযোগ পাবে অর্থাৎ কোনো সেকেন্ড টাইম নেই

২. ডিপ্লোমা থেকে পাশ করা শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে না

৩. নির্দিষ্ট মডেলের ক্যালকুলেটর পরীক্ষায় ব্যবহার করা যাবে

পরিশেষে বলবো, আপনার মনে যদি দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক খাতে অবদান রাখার ইচ্ছে থাকে তবে আপনার জন্যেই বাংলাদেশে টেক্সটাইল প্রকৌশলী তৈরির সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানের সবুজ আঙ্গিনায় অপেক্ষা করছি

Imon Hossain,
Department Of Yarn Engineering, 
45 batch-BUTEX

S. M. Rumman Ahmed
Bangladesh University of Textiles❤
Dept of IPE❤


বুটেক্স এডমিশন টেস্ট প্রিপারেশন (According to the question pattern)

বুটেক্স ভর্তি পরীক্ষায় চারটা বিষয়ের উপর ১০০টা MCQ থাকে।  ফিজিক্স-৩০টা, কেমিস্ট্রি-৩০টা, ম্যাথ-৩০টা,  ইংলিশ-১০টা। প্রতিটা MCQ দুই মার্ক করে টোটাল ২০০ নাম্বারের পরীক্ষা হয়। প্রতিটা ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ নম্বর কাটা যায়। সময় থাকে ১ ঘন্টা ২০ মিনিট। মানে প্রতি MCQ এর জন্য সময় পাওয়া যায় প্রায় ৪৮ সেকেন্ড। আর ক্যালকুলেটর Use করা যায়না। Normally  ৬০-৭০% আন্সার সঠিক থাকলে চান্স হয়। কিছু কিছু MCQ থাকে যেগুলোর আন্সার না করাই ভাল কারন ওগুলো থাকে শুধু কনফিউশন তৈরীর জন্য। বিষয়ভিত্তিক গাইডলাইন-

‌১) ফিজিক্স- ফিজিক্সের জন্য ইসহাক স্যারের বই এর অনুশীলনীর অবজেক্টিভগুলো, কিছু important theory, উদ্ভাস থেকে দেয়া ভার্সিটি ক+ইঞ্জিনিয়ারিং কোয়েশ্চেন ব্যাংকের MCQ, প্লাস/জয়কলি সিরিজের MCQগুলো ভালভাবে প্র‍্যাক্টিস করা লাগবে। ফিজিক্স মিনিমাম ২০টা কারেক্ট করতে হবে। ফিজিক্স কখনো এভারেজ লেভেল, কখনো হার্ড লেভেলের কোয়েশ্চেন হয়। আগে যখন written ছিল বুটেক্সে, তখনকার ফিজিক্স অনেক Hard ছিল। উদ্ভাসের ইঞ্জিনিয়ারিং কোয়েশ্চেন ব্যাংকে দেখবা চলতড়িতের একটা ঘনকের সার্কিট আছে (আন্সার ছিল 8R/3) যেটা খুবই আলোচিত একটা Problem এডমিশনের। ওটা দেশে সর্বপ্রথম বুটেক্সেই এসেছিল। So, ফিজিক্সের বেসিকটা ভাল করো আর বেশি বেশি প্রব্লেম সলভ করো। শর্টকাট যদি ইচ্ছা হয় use করবা, আর ইচ্ছা না থাকলে বেসিক ভাল থেকেই আন্সার করতে পারবা।

‌২) কেমিস্ট্রি - সবচেয়ে বেশি মার্ক্স তোলার মত একটা জায়গা। কেউ চাইলে easily 25+ তুলতে পারে। থিওরি+ম্যাথ সমান পরিমানে আসে। ম্যাথের জন্য কিছু শর্টকাট শিখা ভাল। অনেক আন্সার মুখে মুখে বলে দেয়া যায়। যেমন- 0.01M HCl এর pH কত? 
শর্টকাট: দশমিকের পর যতটা নাম্বার আছে সেটাই আন্সার। অর্থাৎ Ans: 2. এইটা একটা কমন প্রব্লেম। এমন আরো অনেক জিনিস আছে। কেমিস্ট্রি সেকশনের নাম্বারটাই অনেকের র‍্যাংক এগিয়ে দেয়। কেমিস্ট্রির জন্য হাজারী স্যারের বই, ইঞ্জিনিয়ারিং+ভার্সিটি কোয়েশ্চেন ব্যাংক, জৈব যৌগের বিক্রিয়াগুলোর নাম, বিক্রিয়ক, উতপাদ, প্রভাবকের নামগুলো পড়তে পারো। থিওরির জন্য মেইন বইয়ের ইম্পরট্যান্ট টপিক যেগুলো বিগত বছরগুলোতে আসছে, সেগুলো দেখে একটা আইডিয়া করে পড়লে ভাল।

৩)ম্যাথ- ম্যাথ সেকশন Hard করে অন্যগুলোর তুলনায়।  তবে এই সেকশনে ২০ এর কাছাকাছি নাম্বার তুলতে পারলেই হয়।  ম্যাথের অনেক কোয়েশ্চেন এর আন্সার অপশন টেস্ট করে বের করা যায় আবারবার অনেকগুলো অনেক চেষ্টা করেও মিলানো যায়না। ত্রিকোনমিতি+ক্যালকুলাসের উপর জোর দেয়া উচিত। ইঞ্জিনিয়ারিং কোয়েশ্চেন ব্যাংকের ম্যাথগুলো একটু বেশি আসে। কেতাব উদ্দিন/এস.ইউ আহম্মেদ, ইঞ্জিনিয়ারিং +ভার্সিটি কোয়েশ্চেন ব্যাংক আরর ম্যাথ প্লাস বইটা অনেক কাজে দেয়। ম্যাথ সবার শেষের দিকে দাগালে ভাল। 

৪)ইংরেজী- যাদের ছোটবেলার বেসিক ভাল তাদের আলাদা ভাবে পড়া লাগবেনা। তবে যারা একটু দুর্বল তারা ইংলিশ বিচিত্রার বেসিক Grammatical Rules গুলো দেখতে পারো। তাও যদি ইচ্ছে না করে, তাহলে এডমিশনের শেষের দিকে জয়কলির অনেক ছোট একটা সাজেশন বুক বের হয়। অইটা মুখস্থ করে ফেললেই হবে। ইংলিশ দিয়ে র‍্যাংক অনেক আগানো যায় যদি ভাল পারা যায়। ৫+ Answer correct করা উচিত, ৭+ করতে পারলে Best!

উপরের কাজগুলো ছাড়াও, বুটেক্সের কোয়েশ্চেন ব্যাংকটা মুখস্থের মত করে ফেলা উচিত। কোয়েশ্চেন ব্যাংক হিসেবে বুটেক্স প্লাস বইটা অনেক ভাল লেগেছিল। এছাড়া ঢাবি, কুয়েট, জাবি, রাবির সব ex-question সলভ করলে প্রিপারেশন more than completed! 

লেখকঃ প্রান্ত দে
Department of Fabric Engineering, BUTEX - 44th Batch

এডমিশন এক্সামের অভিজ্ঞতা 

অনেক এ ই প্রশ্ন করে ভাইয়া/আপু আমি ভার্সিটি এ ইউনিট এর প্রিপারেশন নিতেছি।আমি কিভাবে বুটেক্স এর এক্সাম দিবো?

-নিজের এক্সপিরিয়েন্স শেয়ার করি।আশা করি অনেকেরই কাজে দিবে এবং আত্মবিশ্বাস পাবে।

২০১৮ তে এইচএসসি প্রশ্ন যথেষ্ট কঠিনই হয়েছিল -একজন সাধারন স্টুডেন্ট হিসেবে বললে।যথারীতি ফিজিক্স আর ম্যাথ পরীক্ষা আশানুরূপ ভালো না দিতে পারায় ভর্তি কোচিং কোথায় করব!ভার্সিটি  নাকি ইঞ্জিনিয়ারিং? -এই সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলাম।আত্মবিশ্বাস জোগাড় করতে পারছিলাম না। এ প্লাসের আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম, তাই অনেক ভেবে ফ্যামিলির পরামর্শ মতো ভর্তি হয়ে যাই এ ইউনিটের প্রিপারেশন নিতে। আল্লাহর রহমতে রেজাল্ট ভালোই হয় কিন্তু তখন কেবলই আমার ভার্সিটি পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল।সাধারণত ভার্সিটি এ ইউনিটের প্রস্তুতি এমন হয় যে,এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তরের জন্য,অর্থাৎ শর্টকাট টেকনিক প্রচুর পরিমাণে শেখানো হয় কিন্ত এর মাঝে মূল নিয়ম গুলো ভুলে যাওয়ার উপক্রম হয়।

যাই হোক,রেজাল্ট বের হওয়ার পর নতুন করে প্রিপারেশন নেওয়ার সুযোগ পাবো না ভাবে অন্য দিকে চিন্তা না নিয়ে ভার্সিটি এ ইউনিটের প্রস্তুতিই ভালোভাবে নিতে থাকি। কিন্তু এক এক করে পরীক্ষা দেয়ার পর যখন প্রস্তুতি হিসেবে ভালো পরীক্ষা দিতে ব্যর্থ হই,ঢাবিতে এ ইউনিটে মনমতো সাব্জেক্ট পাওয়া শংকায় পড়ে যায় ঠিক তখন আবার আত্মবিশ্বাস শূন্যের কোঠায় চলে আসে।
কিন্তু অনেকবার হোচট খাওয়ার পরে,শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে-এই সিদ্ধান্তে এগিয়ে যেতে হয়।ঢাকার বাইরেও পরিক্ষা না দেয়ায়,হাতে শেষ অপশন ছিল বুটেক্স আর শেকৃবি।কিন্তু বুটেক্সে লিখিত পদ্ধতির পরিক্ষার কথা ভেবে দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। বিভিন্ন পরিক্ষা দেওয়ার পর, বুটেক্সের লিখিত পরিক্ষার প্রস্তুতির জন্য হাতে ছিল মোটে ৯দিন।সব রকম ভয়, চিন্তা ভাবনা ঝেড়ে দিয়ে আবার প্রস্তুতি নিতে লেগে যাই। আর সত্যি বলতে,বুটেক্সের জন্য আমার এই ৯দিনের কিছু টেকনিকাল প্রস্তুতিই আমাকে সফল হতে সাহায্য করেছিল।

এবার আসি, টেকনিকাল প্রস্তুতি আর বেসিক ক্লিয়ার বলতে কি বুঝায়।এইচএসসি তে পড়ে আসা ম্যাথ/ফিজিক্সের সূত্রগুলোর এপ্লিকেশন, কেমিস্ট্রির রিয়েকশনগুলোর মেকানিজম আর প্রসিডিওর গুলোর ক্লিয়ার ধারনা থাকা লাগবে।আর সবগুলো সাব্জেক্টের (ফিজিক্স,কেমিস্ট্রি,ম্যাথ) বিগত বছর গুলোর প্রশ্ন সলভ করা,এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এতে দেখা যায় যে তুমি অনেক প্রশ্ন হুবহু কমন পাবে।যেমন বুটেক্সের প্রশ্ন চুয়েটে রিপিট হয়,আবার রুয়েটের প্রশ্ন কুয়েট এ রিপিট হয় আর এদের নিজেদের ও বিগত বছরের অনেক প্রশ্ন রিপিট হয় যা তোমরা প্রশ্নব্যাংক সলভ করলে ই বুঝতে পারবা।তো এখন যেহেতু ভর্তি প্রস্তুতির সময় আর তেমন হাতে নেই এদিকে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ও ফেলেছো ইতিমধ্যে কয়েকটা ভার্সিটিতে।তো তোমাদের আশা করি বেসিক সবার ই ক্লিয়ার আছে এখন একটা ই কাজ বেশি করে প্রশ্নব্যাংক সলভ করা।যে জায়গায় ই এক্সাম দিতে যাও তার আগে ওই ভার্সিটির ৪/৫বছরের প্রশ্ন সলভ করে যাও।কারন প্রত্যেক ভার্সিটি একটা নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি তে প্রশ্ন করে।প্রশ্ন সলভ করলে ওই ক্যাটাগরি সহজেই বুঝে যাবা।

যাই হোক ছোট একটা এক্সপিরিয়েন্স শেয়ার করলাম।আশা করি সবাই সবার পছন্দের ভার্সিটিতে পছন্দের সাব্জেক্টে পড়তে পারো।শুভকামনা রইল সকলের জন্য।


Ferdous Jahan Simran
BUTEX 
Department of IPE



BUTEX adimission experience:
(negative review on outside admission center)


ইতোমধ্যে অনেকেই প্রশ্ন-প্রিপারেশন-টাইম মেনেজম্যান্ট সম্পর্কিত তথ্যাদি দিয়ে তোমাদের খুব সুন্দরভাবে ধারনা দেয়ার চেষ্টা করেছেন।সে বিষয়ে তাই আমি বিস্তারিত যাচ্ছি না,তবে এসব কিছুর বাইরেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হলো সচেতনতা। সচেতনতার প্রসঙ্গ কেনো আসলো? আমার নিজের বুটেক্স এডমিশনের অপ্রত্যাশিত  অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেই বুঝতে পারবে।
,
আমার বুটেক্স এডমিশন পরীক্ষার কেন্দ্র ছিলো #সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এবং আমার সিট যে রুমে পরেছিলো সেখানে প্রায় ৭০+ সংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে।যথারীতি গার্ডস পরীক্ষার ১৫ মিনিট আগেই ক্লাসে আসেন এবং ঘন্টা পরলে প্রশ্ন বিতরন করেন।দেখা যায়, প্রায় ১০/১৫ টা প্রশ্নের ঘাটতি আছে।এবং আমিও প্রশ্ন না পাওয়া শিক্ষার্থীদের আওতায়। আমরা প্রশ্ন ছাড়া বসে থাকি। এমন কি কিছুক্ষন এক প্রশ্নে দুইজন শেয়ার করে লিখারও নির্দেশ দেয়া হয়। তোমরা নিশ্চয়ই এতোদিনে ধারনা করতে পারছো, এডমিশন এক্সামে এক মিনিট কতটা মূল্যবান।সেখানে আমাদের কতটা সময় নষ্ট করা হয়েছে। আর দুইজনের একপ্রশ্নে এক্সাম দেয়ার মতো সিচুয়েশন সম্পর্কে আর নাই বলি, কারো স্ট্রং পয়েন্ট ফিজিক্স, কারো কেমিস্ট্রি, অথচ এখানে নিজের স্বাধীনতা প্রকাশ করতে পারছিলাম না।আরেকজন যা এন্সার করছে আমারও ওই পেইজ থেকেই এন্সার করতে হচ্ছে। এরকম করে প্রায় দশ মিনিট চলে গেলে তারপর আলাদা প্রশ্ন পাই হাতে। অর্ধেক ম্যাথ প্রশ্ন অদেখা রেখেই খাতা জমা দিতে হলো আমাকে।
আমি হতাশ হয়ে বের হই, যথাসাধ্য ভালো এক্সাম দিয়েও হয়ত চান্স পাবো না গার্ডস এর ভুলের কারনে।কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে যতটুকু এন্সার করেছি তাতেই কাঙ্ক্ষিত সাব্জেক্টে পড়তে পারছি।হয়ত প্রশ্নত্তোর সংখ্যার চেয়ে, উত্তরকৃত প্রশ্নের একিউরিসি বেশি ছিলো, তাই এডমিশন এক্সাম নিরাশ করলেও ফলাফল নিরাশ করে নি। তাই বলে যে সবার ক্ষেত্রে এমন হবে তা নয়। রিটেন এডমিশন এক্সামে চেষ্টা করতে হয় প্রায় সব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার। পুরোপুরি না পারলেও পার্সিয়াল মার্কিং তোমার পজিশন সামনে এনে দিতে পারে।আর পজিশন সামনে আসা মানেই পছন্দের সাব্জেক্ট এর দিকে একধাপ এগিয়ে যাওয়া।  বুটেক্স কর্তৃপক্ষ আশা করি বহিঃকেন্দ্রের বিষয়ে এবার আরো সতর্ক হবেন। বুটেক্সের ক্যাম্পাসে যারা এক্সাম দিবে  তাদের এইধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হওয়ার চান্সেস খুবই কম।যারা বাইরের কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবে তাদের জন্য কিছু কথা,
,
এডমিশন এক্সাম তোমার, জীবন তোমার, স্বপ্ন তোমার, এটাকে অন্যের হাতে নষ্ট হতে দিও না।শুধু বুটেক্স কেনো? যেকোনো ইউনিভার্সিটি /কলেজে এক্সাম দেয়ার আগে দেখে নিবে পরীক্ষক প্রশ্ন চেক করেছেন কিনা,প্রশ্ন সংখ্যা,সেট আর কতসালের প্রশ্ন,নাহলে নিজ দায়িত্বে তাকে অনুরোধ করবে বিনয়ের সাথে। মোটেও এরুপ চিন্তা করবে না এতে বেয়াদবি হবে, সচেতন হও,বিনয়ের সাথে গার্ডেরও সচেতনতা তৈরি করো। যেহেতু তারা তাদের দেয়া কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোটা তোমাদের অধিকার। 
শুভকামনা ছোট ভাই বোনেরা.. তোমাদের স্বপ্ন সফল হোক। এখনো সুযোগ আছে, নিজেকে প্রিপেয়ার করো😊 

Nusrat Jahan Brishty
Batch 45
Department of Industrial and Production  Engineering 
BUTEX


কিছু পরামর্শ
প্রিয় জুনিওর ♥️

কালকেই তোমাদের সেই মহিন্দ্রক্ষন ,বুটেক্স ভর্তি পরীক্ষা 2019। অনেকেই চিন্তায় আছো পরীক্ষা কেমন হবে,প্রশ্ন কমন পরবে কিনা,পজিশন কত আসলে চান্স পাবো, কোন বিশ্ববিদ্যালয় পরব ইত্যাদি।।অনেকের কাছে বুটেক্স ই engineering এ ভর্তি হওয়ার শেষ সুযোগ।এইসব নিয়ে যত চিন্তা করবে ততই সফলতা আর অসফলতার মধ্যে দোটানায় পড়ে যাবে। আপাতত এইসব ভাবার দরকার নেই,কালকের জন্যে ফোকাস হও। কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা নিয়ে তমাদের আজকের এই লেখা।।।একটু মনোযোগ দিয়ে পড়বে।শেষ এ একটা spoiler আছে, কিন্তু আগে মূল পড়াটি পড়ে নাও।

1.ব্যবহার্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস:

 কলম,রাবার,sharpener, পেন্সিল, ক্যালকুলেটর(একাধিক নিতে পারো),প্রবেশপত্র ও অন্যান্য ব্যবহার্য কাগজপত্র বারবার দেখে নিয়ে যাবে যেনো কুনোটা বাদ পড়ে না যায়।।অনেকে দূরে থেকে আসতেছে তাদের ক্ষেত্রে কষ্ট হয়ে যাবে যদি কাগজপত্র ও ব্যবহার্য জিনিস না থাকে। 

2. সার্কুলার একবার দেখা:

 বুটেক্স এ পরীক্ষার আগের দিন একবার করে হলেও circular দেখে নিবে;বিশেষ করে পরীক্ষার মানবন্টন ও নির্দেশিকা(জানা থাকলেও,এটা কাজে দেয়)।।সেই অনুযায়ী নিজের টাইম ম্যানেজ করে নিতে হবে(!!!মনে থাকে যেন)
 3.আগের রাতের প্রস্তুতি:

 মানসিক চাপ নেওয়ার কিছু নেই আমি এটা নিয়ে কিছু বলবো না।তুমরা সবাই মেধাবী আর এতদিন কষ্ট করে পড়েছ নিজের মতো ,তাই চাপ না নিয়ে যতটুকু পড়ার পড়ে নাও। কোশ্চেন ব্যাংক টা(আগের বছর এর কোশ্চেন) একবার ভালো করে দেখে নিও,ওই টাইপ এর এই হতে পারে সম্ভবত♥️

4.পরীক্ষার দিনের প্রস্তুতি:
তুমরা ইতিমধ্যে অনেক পরীক্ষা দিয়ে এসেছ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ,তাই এই বিষয়টা নিয়ে অনেকে অবগত।
পরীক্ষার সময় হচ্ছে ৯.৩০-১১.৩০।।সময়ের ঠিক 30 মিনিট আগেই চলে আসবে।।।। প্রশ্ন "ভাই আমি ত কম পড়ি নাই,চান্স হচ্ছে না কেনো?"। একটা spoiler দিয়ে দেই।
        "পরীক্ষা হচ্ছে পুরা মানসিক খেলা"
        
আমি নিজের কথা বলি..বুটেক্স এ পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম কেনো জানো? বাকৃবি যাওয়ার টিকিট উঠানোর দিনে বুটেক্স এর পরীক্ষা ছিল তাই দিতে এসেছিলাম নইলে হয়ত পরীক্ষা ত দেওয়া হতো না(!!)🙂।
 তার মানে বুঝতেঅসুবিধা হচ্ছে না আমার মানসিক অবস্থা কতটা ভালো ছিল।।।যারা অতিরিক্ত চাপ নিয়ে পরীক্ষা দিতে আসতেছে তাদের বলে রাখি।"এই সুযোগ টা হাতছাড়া করো না মানসিক চাপ এ পরে"। সবাই একটু মানসিক অবস্থা ভালো রেখে দিতে এসো পরীক্ষা ,ইনশাআল্লাহ চান্স নিশ্চই হবে♥️।
5.Waiting: 

Waiting আগের বছর 1700 এর মত গিয়েছিল, কিন্তু  তারমানে যে এই বছর এরকম হবে তা যুক্তিযুক্ত নয় ।মোটামুটি ভাবে এক হাজারের মধ্যে থাকাটা সেফ।।কিন্তু মেরিট এ আসার চেষ্টা করবে।।সব সাবজেক্ট সেম বুটেক্স এ 
তুমাদের জন্যে নতুন করে সেজেছে বুটেক্স,তুমাদের এই এই অপেক্ষায়♥️।। 

  এইবার একটা spoiler:(যারা যারা পড়তে চাও তারা পড়তে পারো না পড়লেও সমস্যা নেই) 🙂
  
         "ভাইয়া কতো পেলে চান্স পাবো??"
         
জিনিসটা আসলে পরীক্ষার ধরন,প্রশ্ন পদ্ধতি,সহজ,কঠিন অনেক মাপকাঠির উপর নির্ভরশীল। আগের বার যে প্রথম হয়েছিল তার মার্ক ছিল 176!!। 1-500 এর মধ্যে যারা ছিল তাদের মার্কস ছিল ("127-176")।।500 -1200 এ যারা ছিল তাদের মার্কস ছিল(70-121)।পরবর্তী গুলো আমার জানা নেই বলে বলতে পারছি না।।(এগুলো অফিসিয়াল রেকর্ড)
এইবার ও যে এমন হবে তা নয়।।কম অথবা বেশি ও হতে পারে।।তুমরা তুমাদের যথাসাধ্য উত্তর করে আসবে তাহলে অবশ্যই চান্স পাওয়াটা সম্ভবপর।যত বেশি পারো অ্যানসার করে আসবে পার্শিয়াল মার্কিং এর ব্যবস্থা আছে।

তুমাদের জন্যে নতুন করে সেজেছে বুটেক্স,তুমাদের  এই অপেক্ষায়♥️।।
 Md.Saiful Islam Saad 
 Textile Engineering Management
 Batch(45)


বুটেক্স এডমিশন টেস্টঃ রুট ইনফো

ইতোমধ্যেই কেন্দ্রের লিস্ট প্রকাশ করে দেয়া হয়েছে। সবাই আশা করি নিজ নিজ কেন্দ্র সম্পর্কে জেনেছো।

 বুটেক্স ক্যাম্পাসে অথবা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে যাদের সিট পড়েছে তাদের যাতায়াতের সুবিদার্থে এই পোস্ট।

বুটেক্স ও পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট তেজগাঁও সাতরাস্তার খুব কাছেই অবস্থিত এবং পাশাপাশি অবস্থিত। 

বুটেক্স বা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট বা সাতরাস্তা হয়ে যায় এমন কিছু বাসের রুট নিচে দেয়া হলো। তোমরা তোমাদের অবস্থান অনুযায়ী খুজে বের করে দেখে নিতে পারো। যাদের লোকেশন থেকে সরাসরি সাতরাস্তা আসা যায়না কিংবা বেশি ঘুরতে হয়, তারা ফার্মগেট চলে এসে, ফার্মগেট থেকে খুব সহজেই বুটেক্স ক্যাম্পাস বা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কেন্দ্রে চলে আসতে পারবে।

সাতরাস্তা হয়ে যেসকল বাস যায় তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ

৬_নংঃ নতুন বাজার- গুলশান ২- গুলশান ১- ওয়ারলেস- মহাখালী- তিব্বত- (সাতরাস্তা)- মগবাজার- মৌচাক- মালিবাগ- শান্তিনগর- পল্টন- গুলিস্তান- মতিঝিল- কমলাপুর

আল_মক্কাঃ মতিঝিল- গুলিস্তান- পল্টন- কাকরাইল- মালিবাগ- মৌচাক- মগবাজার- (সাতরাস্তা)- নাবিস্কো- মহাখালী- বনানী- ইসিবি- কালশী- পূরবী- মিরপুর ৬- মিরপুর ২- সনি

আজমেরী_গ্লোরিঃ সদরঘাট- নয়াবাজার- গোলাপশাহ- জিপিও- পল্টন- কাকরাইল- শান্তিনগর- মালিবাগ- মৌচাক- মগবাজার- (সাতরাস্তা)- নাবিস্কো- মহাখালী- সৈনিক ক্লাব- বনানী- স্টাফ রোড- শেওড়া- কুড়িল বিশ্বরোড- খিলক্ষেত- এয়ারপোর্ট- জসিমউদদীন- রাজলক্ষী- আবদুল্লাহপুর- টঙ্গী- মিল গেট- বোর্ড বাজার- গাজীপুর বাইপাস- কোনাবাড়ি- চন্দ্রা

বলাকাঃ সায়েদাবাদ- মানিক নগর- টিটি পাড়া- কমলাপুর- মালিবাগ- মৌচাক- মগবাজার- (সাতরাস্তা)- নাবিস্কো- মহাখালী- বনানী- ... -আবদুল্লাহপুর

গাজীপুর পরিবহনঃ গাজীপুর চৌরাস্তা- বোর্ড বাজার- স্টেশন রোড- টঙ্গী- আবদুল্লাহপুর- এয়ারপোর্ট- কুড়িল বিশ্বরোড- বনানী- মহাখালী- (সাতরাস্তা)- ...  -মতিঝিল

মনজিল এক্সপ্রেসঃ চিটাগং রোড- সাইনবোর্ড- শনির আখরা- গুলিস্তান- ... -মগবাজার -(সাতরাস্তা) -মহাখালী -বনানী -এয়ারপোর্ট -আবদুল্লাহপুর

স্কাইলাইনঃ সদরঘাট- রায়ের বাজার- নয়াবাজার- গোলাপ শাহ-  মগবাজার- (সাতরাস্তা)- মহাখালী- এয়ারপোর্ট- আবদুল্লাহপুর- গাজীপুর চৌরাস্তা

স্মার্ট উইনারঃ আজিমপুর- নিউমার্কেট- সিটি কলেজ- কলাবাগান- পান্থপথ- কাওরান বাজার- (সাতরাস্তা)- নাবিস্কো- মহাখালী- গুলশান- বাড্ডা- শাহজাদপুর- নতুন বাজার- নর্দ্দা- বসুন্ধরা- কুড়িল বিশ্বরোড

এছাড়া যারা ফার্মগেট হয়ে আসবে তারা 
মিরপুর ১ থেকে কল্যানপুর শ্যামলী আসাদগেট হয়ে ফার্মগেট আসতে পারো 

নিউ_ভিশন তানজিল তালুকদার বাসে করে। 
সাভার থেকে গাবতলী কল্যাণপুর শ্যামলী আসাদগেট হয়ে আসতে পারো

 লাব্বাইক #এম_এম_লাভলী বাসে।

যাত্রাবাড়ি থেকে সায়েদাবাদ মতিঝিল হয়ে আসতে পারো #৮_নং #খাজাবাবা #লাব্বাইক #এম_এম_লাভলী বাসে করে। 
মতিঝিল থেকে #ওয়েলকাম #নিউ_ভিশনে করে।

মিরপুর ১০ থেকে ফার্মগেট আসতে পারো #আয়াত #শিকড় #খাজাবাবা #বিহঙ্গ বাসে। 
মিরপুর ডিওএইচএস থেকে কালশী ইসিবি হয়ে ফার্মগেট আসা যাবে  ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে। 

মোহাম্মদপুর থেকে ফার্মগেট আসা যাবে স্বাধীন মেশকাত বাসে।

ফার্মগেট থেকে রিকশায় সরাসরি বুটেক্স বা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট বা সাতরাস্তা যাওয়া যাবে। ফার্মগেট থেকে সাতরাস্তা রিকশা ভাড়া ২০-২৫ টাকা। 

তাছাড়া শহরের যেকোনো প্রান্ত থেকে আসার জন্য উবার, পাঠাও বা সিএনজি, ট্যাক্সি ইত্যাদি তো আছেই।

বুটেক্স লোকেশনঃ
 Bangladesh University of Textiles (BUTEX)
92, Shaheed Tajuddin Ahmed Avenue, Tejgaon Industrial Area, Dhaka 1208



★পরীক্ষার আধা ঘন্টা আগেই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবে।

★জ্যাম মাথায় রেখে রওনা দিতে ভুল করবে না।

এছাড়াও কারো কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে কমেন্ট বক্স কিংবা ইনবক্সে জানাতে পারো। 
সকলের জন্য শুভকামনা 

বুটেক্স ক্যাম্পাসে তোমাদের স্বাগতম 💫

-আসিফ রায়হান তপু
এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বুটেক্স ৪৫


৩টি মন্তব্য:

Unknown বলেছেন...

আমি ২০২০ এ এইচ এস সি পাশ করেছি। এখনো রেজাল্ট দেয়নি। আমাদের ক্ষেতে ১০,০০০ কেমনে বাছাই করবে। ২০২০ ব্যাচ এর জন্য কিছু বলেন।

Unknown বলেছেন...

হ্যালো ভাইয়া butex admission এর কোনো কোটা আমার সুবিধা আছে...জানলে উপকৃত হতাম

Unknown বলেছেন...

আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া,,
একটু মুক্তিযোদ্ধা কোটা সম্পর্কে জানতে পারলে উপকৃত হতাম!
প্রতিবছর বুটেক্সে কোটায় আবেদনকারীর সংখ্যা কেমন হয়?
আর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যে ১০ জনকে চান্স দেওয়া হয় তাদের ন্যূনতম কতো মার্কস পেতে হয়,,বিিগত বছরগুলোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী যদি একটু ধারণা দিতেন!