টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের স্বপ্ন ওড়ে Wal-Mart, H&M, Zara, Tesco , Next এর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আউটলেটে - Textile Lab | Textile Learning Blog
“ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের স্বপ্ন ওড়ে Wal-Mart, H&M, Zara, Tesco, Next এর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আউটলেটে”

এক পাউন্ড ইয়ার্নের টুইষ্টে,প্রতি গজ ফেব্রিকের বুনন আর লাইট ডার্ক শেডের গহীনে; Wal-Mart,H&M, Zara,Tesco,Next -এর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত Outlet এর এক এক টি-শার্টের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকে এক এক জন "Textile Engineer" এর স্বপ্ন, আনন্দ,তৃপ্তি ,অতৃপ্তি, আর নির্ঘুম এক একটি রজনীর দীর্ঘশ্বাস। সেই স্কুল জীবনে পড়েছিলাম। পল্লী কবি জসীমউদ্দিন " নকশী কাঁথার মাঠ" এ লিখেছিলেন নকশী কাঁথার "সুঁচের এক একটি ফোঁড়ের ভিতর লুকিয়ে থাকে এক একটি পরিবারের আত্মকাহিনী, তাদের সুখ দুঃখ, হাসি কান্না"।

নকশী কাঁথা আজ বিরল, তার আবেদন ও বিলুপ্ত প্রায়।মসলিন আর নকশী কাঁথা যে মাটিকে সন্মানিত করেছিল মোগল সম্রাটের রাজদরবারে, সে মাটির "বস্ত্র প্রকৌশলী" রাই ইউরোপ-আমেরিকার মত উন্নত, আধুনিক সভ্যতার জাতিদের "2nd Basic Need" বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেদের মেধা,দক্ষতা,সৃজনশীলতার, বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে বিশ্বের দরবারে।

শুধুই এক Bale র কটন, বাকিটা “Textile Engineer’’ ও তাঁর সহযোগীদের প্রানান্ত প্রচেষ্টা। Bale opening, cleaning, tufting, lap, sliver forming, doubling, drawing ইত্যাদি এক একটি অত্যন্ত জটিল প্রসেসের এর মাধ্যমে strength,fineness,thickness,twist ঠিক রেখে তৈরি রিং ফ্রেমের প্রতিটি spindle এ জড়ানো এক এক কোন ইয়ার্নের মধ্যেই ফুটে ওঠে একজন “বস্ত্র প্রকোশলী’’র পরিতৃপ্তি। ফ্লোটেড ডাস্টের মধ্যে ফ্লোরের প্রতিটি কোনে ঘুরে ঘুরে প্রত্যেক অপারেটরকে মমতাভরা গাইডলাইন প্রদানের মাধ্যমে Quality ইয়ার্ন তৈরির এ প্রচেষ্টা কি শুধুই মাসান্তে পাওয়া মাইনের বিনিময় নাকি এ একজন মেধাবী প্রকৌশলীর দায়িত্বশীলতা আর কর্মনিষ্ঠারই বহি:প্রকাশ?


প্রতি কেজি ইয়ার্নকে বুনতে গিয়ে কত নির্ঘুম রাত্রি কেটে যায় কয়েশত Decible শব্দ সৃষ্টিকারী নিটিং/উইভিং ফ্লোরে পায়চারি করে। জীবনটা আপনা থেকেই ভাগ হয়ে পড়ে A,B আর C শিফটে। আর এই C শিফটটি মনের গহীনে হেমন্ত বাবুর গানের কয়েকটি লাইনকে স্মরণ করিয়ে দেয়ঃ 

“ক্লান্ত শ্বাস ছুঁয়েছে আকাশ
মাটি ভিজে গেছে ঘামে
জীবনের সব রাত্রিকে ওরা
কিনেছে অল্প দামে 
অনেক দুঃখে বহু বেদনায় অভিমানে অনুরাগে
ঘরে তার প্রিয়া একা সজ্জায় বিনিদ্র রাত জাগে”


ডিউটি রুমে বসে প্ল্যানিং আর মেশিনের প্রোগামের ডাটা তৈরিকালীন সময়টিতে ও মনের এক কোনে জেগে ওঠে Engineering Stripe মেশিনটির ফেব্রিকে কতটি hole হলো, কয়টি Sinker mark, Needle mark পড়লো। ফোর পয়েন্ট সিস্টমে ফল্ট ২৮ এর নিচে থাকবে কিনা? অপারেটর ছেলেটিকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার পর ও মাঝে মাঝে এসে একবার দেখে যাওয়া Lycra out বা needle drop হলো কিনা? না,এ শুধুই মাইনের বিনিময় নয়, এ হলো শিল্পের প্রতি শিল্পীর মমত্ববোধ আর পেশার প্রতি শ্রদ্বাশীলতার বহিঃপ্রকাশ।

সবচেয়ে কষ্ট হয় যখন ডাইস-কেমিক্যালসের তীব্র ও ঝাঁঝালো গন্ধ আর ঘাম ঝরানো উষন ডাইং ফ্লোরে ১০-১২ ঘন্টা সময় ব্যয় করে ও যখন শেডটি না মেলে। সহজে আত্মসমর্পন নয়, আর একবার চেষ্টা করা যাক। হয়তবা আরও কয়েকটি ওয়াশ আর টেম্পারেচারের নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে মিলে যেতে পারে কাঙ্খিত শেডটি। হয়ত মিলে যায়, নয়ত টোপিং এর মাধ্যমে মিলানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে। হয়ত একবারে, নয়ত একাধিক বারে মিলেছে, মিলবেই। 

চ্যালেঞ্জ করেই বলা যেতে পারে, পৃথিবীর এমন কোন মনহরণকারী শেড নেই, যে শেডটি মিলাতে পারেনি এই “Textile Engineer” রা। হাজারো অতৃপ্তি, অপূর্ণতায় মনে হয় আর নয় টেক্সটাইল প্রফেশনে। গর্ভমেন্ট অথবা ব্যাংকিং সেক্টরে জবের একটু আধটু স্বপ্ন উঁকি দেয় মনের কোনে। সেক্টর ছেড়ে দেওয়ার এ স্বপ্ন মন থেকে মুছে যেতেও দেরি হয় না,কেননা হাজারো অতৃপ্তি অপূর্ণতার মাঝেও ফ্লোর, প্রোডাকশন,শেড, নিটিং,উইভিংয়েই বস্ত্র প্রকৌশলীর স্বাচ্ছন্দবোধ, এরই মাঝে বেঁচে থাকে তাঁর স্বপ্ন।


সময়ের পরিবর্তনে এক ঝাঁক প্রকৌশলী আশার আলো জাগিয়ে যুক্ত হয়েছেন মার্কেটিং এন্ড মার্চেন্ডাইজিং এর মত গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে। মেধা,পরিশ্রম,পেশাদারিত্ব,কারিগরি জ্ঞান আর দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুতই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা এ সেক্টরে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমান দিয়ে প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়েছেন। তাই বায়িং হাউজ/শিল্প মালিকদের পছন্দের তালিকার প্রথম দিকেই থাকেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারা। 

মার্কেটিং/ মার্চেন্ডাইজিংয়ে বস্ত্র প্রকৌশলীদের অংশগ্রহণ প্রোডাকশনের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের কাজের সমন্বয় সাধনে সহায়ক ভূমিকা পালনের পাশাপাশি টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলোর সমাধানকে সহজ করে তুলেছে। তাই ফ্যাক্টরি থেকে যখন ফেব্রিকস্‌,শেড,শিফমেন্ট,নেগোসিয়েশন ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে বায়িং অফিসে আসার প্রয়োজন হয়,এখন আর অতটা বিচলিত হতে হয় না।কেননা প্রতিটি বায়িং অফিসেই দু-চার জন বস্ত্র প্রকৌশলী আছেনই। এক্ষেত্রে পেশাদারিত্বে কেউ কাউকে ছাড় দেন তা নয়, বরঞ্চ পারস্পরিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর মাধ্যমে সমাধানের একটি সহজ পথ বের করে আনতে সক্ষম হন।

স্বপ্ন দেখি সেদিনের,যেদিন বস্ত্রসংশ্লিষ্ট সকল উৎপাদনমুখী শিল্পের সি.ই.ও/এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টরের মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ আর বাস্তবায়নকারী পজিশনের পাশাপাশি নামকরা সব বায়িং হাউজের কান্ট্রি ডিরেক্টর, কান্ট্রি ম্যানাজারের মত গুরুত্বপূর্ন পদ গুলোয় নিজেদের যোগ্যতা আর দক্ষতা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হবেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারা। আর প্রতিযোগিতার এ যুগে ওয়ার্ল্ডের নামি দামি সব বায়ারদেরকে (Gucci, Chanel, Dolce & Gabbana, Prada, Gergio Armani, Versace, Dior, Valentino, Guess ,Fendi) বাংলাদেশ থেকে সোর্সিংয়ে কনভিন্স করতে সক্ষম হবেন।



লিখেছেনঃ
মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সটাইল - বুটেক্স
ফেইসবুক পেইজঃ  কাপড় জামা ডট কম 
   



টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের স্বপ্ন ওড়ে Wal-Mart, H&M, Zara, Tesco , Next এর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আউটলেটে

“ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের স্বপ্ন ওড়ে Wal-Mart, H&M, Zara, Tesco, Next এর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আউটলেটে”

এক পাউন্ড ইয়ার্নের টুইষ্টে,প্রতি গজ ফেব্রিকের বুনন আর লাইট ডার্ক শেডের গহীনে; Wal-Mart,H&M, Zara,Tesco,Next -এর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত Outlet এর এক এক টি-শার্টের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকে এক এক জন "Textile Engineer" এর স্বপ্ন, আনন্দ,তৃপ্তি ,অতৃপ্তি, আর নির্ঘুম এক একটি রজনীর দীর্ঘশ্বাস। সেই স্কুল জীবনে পড়েছিলাম। পল্লী কবি জসীমউদ্দিন " নকশী কাঁথার মাঠ" এ লিখেছিলেন নকশী কাঁথার "সুঁচের এক একটি ফোঁড়ের ভিতর লুকিয়ে থাকে এক একটি পরিবারের আত্মকাহিনী, তাদের সুখ দুঃখ, হাসি কান্না"।

নকশী কাঁথা আজ বিরল, তার আবেদন ও বিলুপ্ত প্রায়।মসলিন আর নকশী কাঁথা যে মাটিকে সন্মানিত করেছিল মোগল সম্রাটের রাজদরবারে, সে মাটির "বস্ত্র প্রকৌশলী" রাই ইউরোপ-আমেরিকার মত উন্নত, আধুনিক সভ্যতার জাতিদের "2nd Basic Need" বিনিময়ের মাধ্যমে নিজেদের মেধা,দক্ষতা,সৃজনশীলতার, বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে বিশ্বের দরবারে।

শুধুই এক Bale র কটন, বাকিটা “Textile Engineer’’ ও তাঁর সহযোগীদের প্রানান্ত প্রচেষ্টা। Bale opening, cleaning, tufting, lap, sliver forming, doubling, drawing ইত্যাদি এক একটি অত্যন্ত জটিল প্রসেসের এর মাধ্যমে strength,fineness,thickness,twist ঠিক রেখে তৈরি রিং ফ্রেমের প্রতিটি spindle এ জড়ানো এক এক কোন ইয়ার্নের মধ্যেই ফুটে ওঠে একজন “বস্ত্র প্রকোশলী’’র পরিতৃপ্তি। ফ্লোটেড ডাস্টের মধ্যে ফ্লোরের প্রতিটি কোনে ঘুরে ঘুরে প্রত্যেক অপারেটরকে মমতাভরা গাইডলাইন প্রদানের মাধ্যমে Quality ইয়ার্ন তৈরির এ প্রচেষ্টা কি শুধুই মাসান্তে পাওয়া মাইনের বিনিময় নাকি এ একজন মেধাবী প্রকৌশলীর দায়িত্বশীলতা আর কর্মনিষ্ঠারই বহি:প্রকাশ?


প্রতি কেজি ইয়ার্নকে বুনতে গিয়ে কত নির্ঘুম রাত্রি কেটে যায় কয়েশত Decible শব্দ সৃষ্টিকারী নিটিং/উইভিং ফ্লোরে পায়চারি করে। জীবনটা আপনা থেকেই ভাগ হয়ে পড়ে A,B আর C শিফটে। আর এই C শিফটটি মনের গহীনে হেমন্ত বাবুর গানের কয়েকটি লাইনকে স্মরণ করিয়ে দেয়ঃ 

“ক্লান্ত শ্বাস ছুঁয়েছে আকাশ
মাটি ভিজে গেছে ঘামে
জীবনের সব রাত্রিকে ওরা
কিনেছে অল্প দামে 
অনেক দুঃখে বহু বেদনায় অভিমানে অনুরাগে
ঘরে তার প্রিয়া একা সজ্জায় বিনিদ্র রাত জাগে”


ডিউটি রুমে বসে প্ল্যানিং আর মেশিনের প্রোগামের ডাটা তৈরিকালীন সময়টিতে ও মনের এক কোনে জেগে ওঠে Engineering Stripe মেশিনটির ফেব্রিকে কতটি hole হলো, কয়টি Sinker mark, Needle mark পড়লো। ফোর পয়েন্ট সিস্টমে ফল্ট ২৮ এর নিচে থাকবে কিনা? অপারেটর ছেলেটিকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার পর ও মাঝে মাঝে এসে একবার দেখে যাওয়া Lycra out বা needle drop হলো কিনা? না,এ শুধুই মাইনের বিনিময় নয়, এ হলো শিল্পের প্রতি শিল্পীর মমত্ববোধ আর পেশার প্রতি শ্রদ্বাশীলতার বহিঃপ্রকাশ।

সবচেয়ে কষ্ট হয় যখন ডাইস-কেমিক্যালসের তীব্র ও ঝাঁঝালো গন্ধ আর ঘাম ঝরানো উষন ডাইং ফ্লোরে ১০-১২ ঘন্টা সময় ব্যয় করে ও যখন শেডটি না মেলে। সহজে আত্মসমর্পন নয়, আর একবার চেষ্টা করা যাক। হয়তবা আরও কয়েকটি ওয়াশ আর টেম্পারেচারের নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে মিলে যেতে পারে কাঙ্খিত শেডটি। হয়ত মিলে যায়, নয়ত টোপিং এর মাধ্যমে মিলানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে। হয়ত একবারে, নয়ত একাধিক বারে মিলেছে, মিলবেই। 

চ্যালেঞ্জ করেই বলা যেতে পারে, পৃথিবীর এমন কোন মনহরণকারী শেড নেই, যে শেডটি মিলাতে পারেনি এই “Textile Engineer” রা। হাজারো অতৃপ্তি, অপূর্ণতায় মনে হয় আর নয় টেক্সটাইল প্রফেশনে। গর্ভমেন্ট অথবা ব্যাংকিং সেক্টরে জবের একটু আধটু স্বপ্ন উঁকি দেয় মনের কোনে। সেক্টর ছেড়ে দেওয়ার এ স্বপ্ন মন থেকে মুছে যেতেও দেরি হয় না,কেননা হাজারো অতৃপ্তি অপূর্ণতার মাঝেও ফ্লোর, প্রোডাকশন,শেড, নিটিং,উইভিংয়েই বস্ত্র প্রকৌশলীর স্বাচ্ছন্দবোধ, এরই মাঝে বেঁচে থাকে তাঁর স্বপ্ন।


সময়ের পরিবর্তনে এক ঝাঁক প্রকৌশলী আশার আলো জাগিয়ে যুক্ত হয়েছেন মার্কেটিং এন্ড মার্চেন্ডাইজিং এর মত গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে। মেধা,পরিশ্রম,পেশাদারিত্ব,কারিগরি জ্ঞান আর দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুতই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা এ সেক্টরে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমান দিয়ে প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়েছেন। তাই বায়িং হাউজ/শিল্প মালিকদের পছন্দের তালিকার প্রথম দিকেই থাকেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারা। 

মার্কেটিং/ মার্চেন্ডাইজিংয়ে বস্ত্র প্রকৌশলীদের অংশগ্রহণ প্রোডাকশনের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের কাজের সমন্বয় সাধনে সহায়ক ভূমিকা পালনের পাশাপাশি টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলোর সমাধানকে সহজ করে তুলেছে। তাই ফ্যাক্টরি থেকে যখন ফেব্রিকস্‌,শেড,শিফমেন্ট,নেগোসিয়েশন ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে বায়িং অফিসে আসার প্রয়োজন হয়,এখন আর অতটা বিচলিত হতে হয় না।কেননা প্রতিটি বায়িং অফিসেই দু-চার জন বস্ত্র প্রকৌশলী আছেনই। এক্ষেত্রে পেশাদারিত্বে কেউ কাউকে ছাড় দেন তা নয়, বরঞ্চ পারস্পরিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর মাধ্যমে সমাধানের একটি সহজ পথ বের করে আনতে সক্ষম হন।

স্বপ্ন দেখি সেদিনের,যেদিন বস্ত্রসংশ্লিষ্ট সকল উৎপাদনমুখী শিল্পের সি.ই.ও/এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টরের মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ আর বাস্তবায়নকারী পজিশনের পাশাপাশি নামকরা সব বায়িং হাউজের কান্ট্রি ডিরেক্টর, কান্ট্রি ম্যানাজারের মত গুরুত্বপূর্ন পদ গুলোয় নিজেদের যোগ্যতা আর দক্ষতা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হবেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারা। আর প্রতিযোগিতার এ যুগে ওয়ার্ল্ডের নামি দামি সব বায়ারদেরকে (Gucci, Chanel, Dolce & Gabbana, Prada, Gergio Armani, Versace, Dior, Valentino, Guess ,Fendi) বাংলাদেশ থেকে সোর্সিংয়ে কনভিন্স করতে সক্ষম হবেন।



লিখেছেনঃ
মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সটাইল - বুটেক্স
ফেইসবুক পেইজঃ  কাপড় জামা ডট কম 
   



কোন মন্তব্য নেই: