টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের গর্ব Prof. Xiao-ming Tao
পোস্টের শুরুতেই যেনে নেই যাকে নিয়ে এই পোস্ট তার পার্সোনাল প্রোফাইলঃ
Name: prof. Xiao-ming Tao
Vincent and Lily Woo Professor in Textile Technology
Chair Professor of Textile Technology
Fashion & Textile Technology - Textiles
Email : xiao-ming.tao@polyu.edu.hk
Website : https://www.polyu.edu.hk/itc/itcproftao/
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং জগত এর একজন সফল ব্যক্তিত্ব কে নিয়ে কিছু লিখছি আজকে। প্রোফেসর টাও। একজন নারী টেক্সটাইল প্রকৌশলী। বি এস সি করেছেন “East China Institute of Textile Science and Technology” থেকে ১ম শ্রেনীর ফলাফল নিয়ে। পি এইচ ডি করেছেন পৃথিবীর প্রথম ৩৭ টি ইউনিভার্সিটি এর মধ্যে থাকা University of New South Wales,Australia থেকে, টেক্সটাইল ফিজিক্স বিষয়ে।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে অনেক জ্ঞানী (!!!) ব্যক্তি রা অনেক মুখরোচক আলোচনা করে। কাপড়ের ইঞ্জিনিয়ারিং, গার্মেন্টস শ্রমিক...ইত্যাদি । এসব শুনে এবং বাহিরের জগত সম্পর্কে কোন ধারনা না নিয়েই অনেক টেক্সটাইল এ পরা স্টুডেন্ট ও হতাশ হয়ে যায় । টেক্সটাইল নিয়ে কাজের যে কতো বিশাল সেকটর পড়ে আছে তা তার কাজ না দেখলে বোঝা যাবে না।
এর আগে বেশ কয়েকবার তাই বিভিন্ন পয়েন্ট তুলে ধরে টেক্সটাইল সেক্টর সম্পর্কে ভালো ধারনা দিতে চেষ্টা করেছি। এবার অসংখ্য সফল ব্যক্তিত্ব এর মাঝ খান থেকে একজন কে উদাহরণ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছি । বর্তমানে ওয়ার্ল্ড এর নামকরা টেক্সটাইল সাইন্টিস্ট দের মাঝে একজন ।
প্রথমে তার গবেষণার পত্র গুলো নিয়ে বলিঃ
১। ফাইব্রাস মেটারিয়ালস
২। টেক্সটাইল টেকনোলোজি
৩। ইয়ার্ন মেনুফেকচারিং
৪। স্মার্ট টেক্সটাইল টেকনোলজি
৫। ফ্লেক্সিবল ( স্ট্রেচেবল) ইলেক্ট্রনিকস
৬। ন্যনোটেকনোলোজি
৭। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ফাইবার মেটারিয়াল
২ এবং ৩, ৬ নাম্বার নিয়ে মোটামুটি সবারি ধারনা আছে। ১ নাম্বার টা মেটারিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মিলিত খেত্র। ৪,৫,৭ নাম্বার টেক্সটাইল-ইলেক্ট্রিকাল- কম্পিউটেশনাল এই তিনটি বিষয়ের মিলিত ক্ষেত্র।
আসি তার অর্জন এবং অবদান গুলো সংক্ষেপে তুলে ধরতেঃ
১। প্রাত্তন ওয়ার্ল্ড প্রেসিডেন্ট, ইন্টারন্যশনাল টেক্সটাইল ইন্সিটিউট।
২। নির্বাচিত সদস্য, আমেরিকান সোসাইটি অব মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং।
৩। নির্বাচিত সদস্য, রয়াল সোসাইটি অব আর্টস, ডিজাইন এন্ড কমার্শিয়াল এপ্লিকেশন। (ইংল্যান্ড)
৪। ৬০০ সাইন্টিফিক পাবলিকেশন এবং ২০০ ইন্টারন্যশনাল জার্নাল।
৫। পৃথিবীর টপ ১% মেটারিয়াল সাইন্টিস্ট হিসেবে র্যাঙ্কিং, তার জার্নাল সার্চ এর ভিত্তিতে ।
৬। টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট এর অনারেবল ফেলোশিপ পুরষ্কার ( টেক্সটাইল সেক্টর এর সর্বোচ্চ পুরস্কার এটা)
৭। আমেরিকান ফাইবার সোসাইটি এর ফাউন্ডারস পুরষ্কার। ( ফাইবার সাইন্স এ সর্বোচ্চ পুরষ্কার এটা)
৮। এছারাও আরো ২৮ টি জাতীয় এবং ইন্টারন্যশনাল পুরষ্কার।
৯। মোট ১০.৫ বিলিওন হংকং ডলার আয় হয়েছে তার আবিষ্কৃত টেকনোলজি ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী ।
১০। তার টেকনোলোজি নির্ভর কোম্পানি “এডভান প্রো লিঃ” মাইক্রোসফট এর অধিভুক্ত হয়েছে, গ্লোবাল ইনোভেশন প্রোগ্রাম এর আউতায়।
১১। Supervision of Research Postgraduate Students as Chief Supervisor
Completed - 35 PhDs, 4 MPhils
Ongoing - 3 PhDs, 1 MPhil
Completed - 35 PhDs, 4 MPhils
Ongoing - 3 PhDs, 1 MPhil
আলাদা করে কিছু বলার নাই আসলে উনি ও একজন ইঞ্জিনিয়ার। আমরা ও ইঞ্জিনিয়ার। উনি টেক্সটাইল থেকে পরেও টেক্সটাইল-মেটেরিয়াল-ইলেক্ট্রিকাল- মেকানিকাল-কম্পিউটেশনাল-ডিজাইনিং- ন্যনোটেক ইত্যাদি নানা বিষয়ে অবদান রেখে যাচ্ছেন। আর আমরা, টেক্সটাইল এর বেতন কেমন নিয়ে আলোচনায় মগ্ন।
আমারা হয় তো তার মত জিনিয়াস নই মানলাম। কিন্তু, আমাদের মধ্যে অনেকেই তার চেও জিনিয়াস হয়ার যোগ্যতা রাখে। জ্ঞানঅর্জন ( ভার্সিটির সিজিপি এ না শুধু ) + স্বপ্ন দেখার মানসিকতা এবং একটা টার্গেট নিয়ে আগালেই হবে। হাজার টা বিষয়ে কেঊ অবদান রাখতে বলে নি। আমাদের দেশের টেক্সটাইল সেক্টর আশংকার মুখে। শুধু মাত্র টেকনোলোজি এর অন্তরভুক্তি এর মাধ্যমেই এই অবস্থার উন্নয়ন সম্ভব। আর সেটা করার দায়িত্ব অবশ্যই দেশের বেস্ট টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটি তে পরা স্টুডেন্ট দের ই।
যাদের কাছে প্রোফেসর ম্যাম টাও এর অবদান গুলো গাঁজাখুরি লাগবে তারা তার অফিসিয়াল পেইজ এ যেয়ে যাচাই করে নিতে পারেন।
এভাবে খুব কম লিখা হয়ে গেলো তার সম্পর্কে, তার সম্পর্কে জানতে হংকং পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির তার স্টাফ প্রোফাইল দেখতে পারেনঃ
তার লিংকড ইন প্রোফাইল দেখে কানেকটেড থাকতে পারে এবং তার লিংকড ইন প্রোফাইলে ফলোয়ার
লিস্টে ওয়ার্ল্ডের নামকরা সকল টেক্সটাইল সাইন্টিস্ট কে পেয়ে যাবেনঃ
টিএস আবির
মাজেদুল হাসান শিশির
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন