ইজিপ্সিয়ান কটন | Egyptian Cotton Fibre - Textile Lab | Textile Learning Blog
আমাদের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে যতগুলো কটন ফাইবার ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে অন্যতম ফাইনার ফাইবার হচ্ছে এই ইজিপ্সিয়ান কটন ফাইবারটি।যার fiber length হচ্ছে (৪৯-৫০) mm, diameter হচ্ছে ০.০১৬ mm, মাইক্রোনিয়ার মান (৩-৩.২) এবং স্পাইনিং লিমিট ২০০ Ne. এটি একমাত্র মিশরেই উৎপাদন করা হয়।  
সাম্প্রতিক সময়ে মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল-ফাতাহ আল-সিসি ঘোষণা দিয়েছেন যে, জাতীয় অর্থনীতির উন্নতিসাধনে তুলা চাষের জন্য তিনি সার্বিক সহযোগিতা করবেন। এই ইজিপ্সিয়ান কটন উৎপাদন এবং এটির রপ্তানি, মিশরের অর্থনীতির জন্য একটি খুবই কৌশলগত সেক্টর যেটি মিশরের Gross Industrial Product এর ২৬.৪% যোগান দেয় এবং বার্ষিক আয়ের ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারও এই সেক্টরটিই যোগান দিয়ে থাকে।













মিশরের রয়েছে হাজার বছর ধরে তাদের এই তুলা চাষের ইতিহাস। ইজিপ্সিয়ান কটন ফাইবার খুবই উন্নত মানের একটি ফাইবার কারন এটির ফাইবার লেন্থ অনেক বেশি যা এটিকে অন্যান্য ফাইবার এর তুলনায় করে তুলেছে অনেক নরম ও অনেক tensile strength সমৃদ্ধ।এই ইজিপ্সিয়ান কটন এতটাই মূল্যবান যে  এটি  "White-Gold" নামেও পরিচিত। কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে এই ইজিপ্সিয়ান কটন এর ব্যবসা,দেশটির জন্য তেমন কোন তাৎপর্যপূর্ণ গুরুত্ব বহন করতে পারে নি,বিশেষত ২০১১ সালে এই দেশটির কটন উৎপাদন এর হার খুবই খারাপ ভাবে কমে গিয়ে ছিল।তার অন্যতম একটি প্রধান কারন ছিল দেশটির রাজনৈতিক দুর্দশা যা স্থানীয় কটনের মান অনেক নামিয়ে দিয়ে ছিল।


১৯৯৪ সালের নিকটবর্তী শুরুতে মিশরে যখন "মুক্ত-বাজার অর্থনীতি" চালু হয় তখন সেই দেশের সরকার তাদের অর্থনীতির উদারীকরণ এর  সিদ্ধান্ত নেয়। এই বিষয়টি এটাই বোঝায় যে, মিশরের তুলা চাষকারীরা তাদের সরকার থেকে আর কোন Direct Government Subsidies (ভর্তুকি) পায়নি। যার কারনে তুলা চাষ এর পরিবর্তে তারা অন্যান্য শস্য-বীজের উৎপাদন শুরু করেছিল।যা একটি অর্থনৈতিক মন্দার সূচনা তৈরি করে।






অর্থনৈতিক মন্দার দীর্ঘ সময় পর,ইজিপ্সিয়ান কটন এর উৎপাদন ও রপ্তানি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। বিশেষ করে Luxury Bedding এর ক্ষেত্রে ইজিপ্সিয়ান কটন এর ব্যবহার অনেক বেড়ে যায়। মিশরের রাষ্ট্র পরিচালিত একটি সংগঠন, Central Agency for Public Mobilization and Statistics এর মতে ২০১৬\১৭ সালে ইজিপ্সিয়ান কটন এর রপ্তানি ৬৩.৯% বেড়ে যায়। তারা ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর হতে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ২,০২,৫০০ বেল কটন রপ্তানি করে যা ২০১৬ সালে একই সময়ে ছিল ১,২৩,৬০০ বেল।

যাইহোক, মিশরে ইজিপ্সিয়ান কটন এর উৎপাদন গত ৩০ বছর ধরে বহু গুনে বৃদ্ধি পেয়েছে ও সারা পৃথিবীতে এই ইজিপ্সিয়ান কটন এর একটি সতন্ত্র চাহিদা রয়েছে এবং অনেক বিদেশি বায়ারগনও এই ইজিপ্সিয়ান কটন সবার আগে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।এমতাবস্থায় আমাদের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি তে এই ইজিপ্সিয়ান কটন এর গুরুত্ব কতটুকু আমরা তা নিজেরাই বুঝতে পারছি  !!!!!






লিখেছেনঃ বাধন সাহা 
Courtesy :- Google,You-tube.

ইজিপ্সিয়ান কটন | Egyptian Cotton Fibre

আমাদের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে যতগুলো কটন ফাইবার ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে অন্যতম ফাইনার ফাইবার হচ্ছে এই ইজিপ্সিয়ান কটন ফাইবারটি।যার fiber length হচ্ছে (৪৯-৫০) mm, diameter হচ্ছে ০.০১৬ mm, মাইক্রোনিয়ার মান (৩-৩.২) এবং স্পাইনিং লিমিট ২০০ Ne. এটি একমাত্র মিশরেই উৎপাদন করা হয়।  
সাম্প্রতিক সময়ে মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল-ফাতাহ আল-সিসি ঘোষণা দিয়েছেন যে, জাতীয় অর্থনীতির উন্নতিসাধনে তুলা চাষের জন্য তিনি সার্বিক সহযোগিতা করবেন। এই ইজিপ্সিয়ান কটন উৎপাদন এবং এটির রপ্তানি, মিশরের অর্থনীতির জন্য একটি খুবই কৌশলগত সেক্টর যেটি মিশরের Gross Industrial Product এর ২৬.৪% যোগান দেয় এবং বার্ষিক আয়ের ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারও এই সেক্টরটিই যোগান দিয়ে থাকে।













মিশরের রয়েছে হাজার বছর ধরে তাদের এই তুলা চাষের ইতিহাস। ইজিপ্সিয়ান কটন ফাইবার খুবই উন্নত মানের একটি ফাইবার কারন এটির ফাইবার লেন্থ অনেক বেশি যা এটিকে অন্যান্য ফাইবার এর তুলনায় করে তুলেছে অনেক নরম ও অনেক tensile strength সমৃদ্ধ।এই ইজিপ্সিয়ান কটন এতটাই মূল্যবান যে  এটি  "White-Gold" নামেও পরিচিত। কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে এই ইজিপ্সিয়ান কটন এর ব্যবসা,দেশটির জন্য তেমন কোন তাৎপর্যপূর্ণ গুরুত্ব বহন করতে পারে নি,বিশেষত ২০১১ সালে এই দেশটির কটন উৎপাদন এর হার খুবই খারাপ ভাবে কমে গিয়ে ছিল।তার অন্যতম একটি প্রধান কারন ছিল দেশটির রাজনৈতিক দুর্দশা যা স্থানীয় কটনের মান অনেক নামিয়ে দিয়ে ছিল।


১৯৯৪ সালের নিকটবর্তী শুরুতে মিশরে যখন "মুক্ত-বাজার অর্থনীতি" চালু হয় তখন সেই দেশের সরকার তাদের অর্থনীতির উদারীকরণ এর  সিদ্ধান্ত নেয়। এই বিষয়টি এটাই বোঝায় যে, মিশরের তুলা চাষকারীরা তাদের সরকার থেকে আর কোন Direct Government Subsidies (ভর্তুকি) পায়নি। যার কারনে তুলা চাষ এর পরিবর্তে তারা অন্যান্য শস্য-বীজের উৎপাদন শুরু করেছিল।যা একটি অর্থনৈতিক মন্দার সূচনা তৈরি করে।






অর্থনৈতিক মন্দার দীর্ঘ সময় পর,ইজিপ্সিয়ান কটন এর উৎপাদন ও রপ্তানি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। বিশেষ করে Luxury Bedding এর ক্ষেত্রে ইজিপ্সিয়ান কটন এর ব্যবহার অনেক বেড়ে যায়। মিশরের রাষ্ট্র পরিচালিত একটি সংগঠন, Central Agency for Public Mobilization and Statistics এর মতে ২০১৬\১৭ সালে ইজিপ্সিয়ান কটন এর রপ্তানি ৬৩.৯% বেড়ে যায়। তারা ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর হতে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ২,০২,৫০০ বেল কটন রপ্তানি করে যা ২০১৬ সালে একই সময়ে ছিল ১,২৩,৬০০ বেল।

যাইহোক, মিশরে ইজিপ্সিয়ান কটন এর উৎপাদন গত ৩০ বছর ধরে বহু গুনে বৃদ্ধি পেয়েছে ও সারা পৃথিবীতে এই ইজিপ্সিয়ান কটন এর একটি সতন্ত্র চাহিদা রয়েছে এবং অনেক বিদেশি বায়ারগনও এই ইজিপ্সিয়ান কটন সবার আগে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।এমতাবস্থায় আমাদের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি তে এই ইজিপ্সিয়ান কটন এর গুরুত্ব কতটুকু আমরা তা নিজেরাই বুঝতে পারছি  !!!!!






লিখেছেনঃ বাধন সাহা 
Courtesy :- Google,You-tube.

কোন মন্তব্য নেই: